Thread Rating:
  • 294 Vote(s) - 3.18 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩৫ )
(বাকি অংশ আগের পৃষ্ঠায়) 

এর মাঝে ওয়েটার খাবার নিয়ে এসেছে। টেবিলে সার্ভ করছে। তাই সাফিনা আপাতত কিছু বলে না। মাহফুজ বুঝে উত্তেজনার তোড়ে সে অনেক কথা বলেছে। তবে সাফিনার মুখ দেখে কিছু বুঝা যাচ্ছে না ওর কথা গুলো কেমন প্রভাব ফেলল। সিনথিয়ার উপদেশ মনে পড়ে। সিনথিয়া বলেছিল, আম্মু কখনো সহজে তার ভিতরের চিন্তাটা মুখে ফুটে উঠতে দেয় না। অনেক সময় অনেকে এই জন্য নার্ভাস হয়ে পড়ে আম্মুর সাথে কথা বলতে গিয়ে। আসলে এত বছর ছাত্র ছাত্রী পড়িয়ে অভ্যাস তো। তাই একটা পোকার ফেস করা আম্মু শিখে গিয়েছে। আগে পুরো কথা শুনে তারপর চিন্তাভাবনা করে একটা সিদ্ধান্ত দেয়। তার আগে তার মুখ দেখে তুমি সহজে কিছু বুঝতে পারবে না। আমরাও বুঝি না। খালি মাথায় রেখ আম্মু যদি ভাবে তুমি আসলেই তোমার কথায় সিনসিয়ার তাইলে তোমাকে সাপোর্ট করবে। আর যদি একবারো মনে হয় যে তুমি মিথ্যা বলছ বা যা বলছ তা নিজেই বিশ্বাস করো না তাইলে কিন্তু আম্মুর সাপোর্ট আমরা কখনো পাব না। মাহফুজ রাজনীতি করার সূত্রে জাতীয় পর্যায়ের অনেক বড় বড় নেতার সাথে চলাফেরার সুযোগ পেয়েছে। ব্যবসার সূত্রে বেশ ঝানুঝানু ব্যবসায়ীদের সাথে কাজ করেছে। তবে খুব অল্প লোক কে এত কথা শোনার পর অভিব্যক্তিহীন মুখ করে বসে থাকতে দেখেছে। শিক্ষকতা পেশার উপর একটা শ্রদ্ধা আসে মাহফুজের সাফিনা কে দেখে। ছাত্র চড়িয়ে চড়িয়ে সাফিনার যে মানুষের কথা যাচাই বাছাই করার একটা সহজাত ক্ষমতা তৈরি হয়েছে সেটা টের পায় মাহফুজ। তবে সিনথিয়ার কথা মাথায় রাখে। ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না। কারণ এতক্ষণ পর্যন্ত সে যা বিশ্বাস করে তাই বলেছে। তাই এই নিয়ে আর কোন চিন্তা করে না। সাফিনা খাবার খেতে খেতে এইবার বলে, মাহফুজ তোমার কথা আমি শুনলাম। যদি আসলেই তোমার মত তরুণরা এইভাবে ভাবে তাহলে আমাদের দেশের জন্য খুব ভাল। তবে আমার আরেকটা কনসার্ন আছে। রাজনীতি খুব রিস্কি জিনিস। সরকারে আজকে তোমার দল থাকবে আগামীকাল থাকবে না। তখন হ্যরাসমেন্টের ভয় আছে। আবার রাজনীতিতে সংঘাত খুব নর্মাল। আমাদের দেশের প্রচুর খুনখারাবি হয় পলিটিক্স রিলেটেড। আমার মেয়ে কে ধর তুমি বিয়ে করলে কিন্তু ভবিষ্যতে পাচ দশ বছর পর যে এরকম একটা সংঘাতে পড়ে তুমি আহত বা আল্লাহ না করুক নিহত হবে না তার গ্যারান্টী কি? আমি তো চাইব না আমার মেয়ে এমন কার সাথে সংসার করুক যার জীবনে সব সময় একটা রিস্ক ফ্যাক্টর জড়িত আছে।


মাহফুজ মনে মনে খুশি হয়। প্রশ্ন কমন পরেছে। এই প্রশ্নটা আসবে সেটা জানত তাই আগে থেকে অনেক ভেবেছে কি বলবে। মাহফুজ এইবার দম  নিয়ে বলা শুরু করে। আন্টি জীবনে উত্থান পতন থাকবে। যে কোন পেশাতেই এটা আছে। রাজনীতিতে আপনি আজকে সরকারি দলে থাকলে আগামী বছর বিরোধী দলে থাকবেন এটা অপ্রত্যাশিত না। সাফিনা হাত তুলে। বলে আমি জানি উত্থান পতন থাকবে তবে অন্য পেশায় উত্থান পতনের যে মূল্য চুকাতে হয় রাজনীতিতে চুকাতে হয় তার অনেক বেশি। মাহফুজ বলে আমি এইব্যাপারে আপনার সাথে একমত। রাজনীতি অন্যতম রিস্কি বিজনেস। তবে কথা হচ্ছে আপনি যদি ভাল করে খেয়াল করে দেখেন তাইলে দেখবেন রাজনীতেতে বিরোধীদলে যাবার পর মূলত জেলের ভাত বেশির ভাগ সময় খায় তারাই যারা সরকারি দলে থাকার সময় জুলুম করত। দুই একটা যে ব্যতিক্রম নেই তা না, তবে বেশির ভাগ লোক যারা বিরোধী দলে যাবার পর সরকারি দলের লোকদের হামলার শিকার হয় তারা আগের আমলে অন্যায় করা লোক। আর যারা অন্যায় করছে না কিন্তু সরকারি দলে ছিল তারা কিছুটা যে হ্যারাসমেন্টের শিকার হবে না তা না, তবে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে চললে সেইটুকু ট্যাকেল দেওয়া যায়। আর আমি নিজে কখনো কোন হামলা মামলার সাথে সরাসরি জড়াই না। আপনি একটু খোজ নিলেই দেখবেন। আমি আমাদের যুব দলের ঢাকা দক্ষিণ কমিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হয়েছি ক্লিন ইমেজের জোরে। মাসল পাওয়ারের জোরে না। আমার হাতে বিরোধী দলের লোকেরাও উপকার পেয়েছে। ফলে আমি আশা করি যদি কোন দিন বিরোধীদলে যেতে হয় আশা করি সেরকম জেলে নেওয়ার মত কোন অন্যায় আমার নামে থাকবে না। আর দ্বিতীয় যা বললেন, সেই রিস্ক আসলে সব সময় আছে। আমার প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে দলীয় কোন্দলে বা দুই দলের মারামারিতে আহত নিহত হবার রিস্ক। তবে এটা তো সব খানেই আছে? সাফিনা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, সবখানে মানে?  আমার পেশাতেও কি মারামারির ভয় আছে? মাহফুজ একটু হেসে বলে না আন্টি সেটা বুঝাই নি। ধরুন আজকে আপনি যে আমার সাথে দেখা করতে এখানে এলেন, আশার পথে একটা একসিডেন্ট হতে পারত। আপনার কিছু একটা হতে পারত। তাই বলে কি আপনি চলাচল বন্ধ করবেন? করবেন না। কারণ রিস্কের তুলনায় আপনার গেইন বেশি যদি আপনি স্বাধীনভাবে আপনার চলাচল বজায় রাখেন। ঠিক সেইভাবে পলিটিক্সে আহত নিহত হবার একটা সম্ভাবনা থেকে যায় তবে সেটা ঠিক ততটুকু যতটুকু আমাদের প্রত্যেকের রাস্তায় বের হলে এক্সসিডেন্ট হবার সম্ভাবনা। সাফিনা মাহফুজের যুক্তি বুঝে তবে মনের ভিতর থেকে খুতখুত  যায় না কারণ কাজলের সেই ঘটনা মনে যে দাগ ফেলেছে তা তো সহজে যাবার না। মাহফুজ সাফিনার ভ্রু কুচকানো দেখে বুঝে সাফিনা ওর জবাবে সন্তুষ্ট না এবং সেটা লুকানোর চেষ্টাও করছে না। আর কাজলের প্রসংগ মাহফুজ নিজেও জানে। ফলে এটা যে কতবড় রেড ফ্লাগ তা তার অজানা না। মাহফুজ যে কাজ কোনদিন করে নি আজকে তাই করল মরিয়া হয়ে। মাহফুজ বলল আন্টি আমি জানি আপনি আমার কথায় কনভিন্সড না। সিনথিয়া আপনার আদরের মেয়ে। তার ভালমন্দের জন্য সব সিদ্ধান্ত আপনি নিবেন। এই অধিকার আপনার আছে। তবে যে কোন সিদ্ধান্ত নেবার আগে আমার আর একটু কথা আছে।


আন্টি আপনি জানেন সিনথিয়া কে আমি পছন্দ করি, সিনথিয়াও আমাকে পছন্দ করে। আমাদের দেশের প্রথায় আমরা বড়দের সামনে সহজে আমাদের প্রেম ভালবাসার কথা স্বীকার করি না তবে আজকে আমি আপনার সামনে বলছি আমি সিনথিয়া কে ভালবাসি। সিনথিয়ার সাথে সম্পর্ক হবার আগে প্রেম জিনিসটার গভীরতা কতটুকু সেটা সম্পর্কে আমার আসলে ধারণা ছিল না। আমি অস্বীকার করব না। সিনথিয়ার আগে আমার প্রেম ছিল। এক না  বরং একাধিক। সেই প্রেম গুলোতে সাময়িক সুখ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম  বেশি। অনেক সময় প্রেম গুলো ছিল অনেকটা ফ্লেক্সের মত। যে সবাই প্রেম করছে তাই আমার প্রেম না থাকলে আমার স্ট্যাটাস থাকে না। আপনি নিশ্চয় ভাবছেন যে মেয়ে কে আমি ভালবাসি তার মায়ের কাছে কেন আমি অবলীলায় এইসব বলছি? কারণ আমি আমার সিনসিয়ারিটি বুঝাতে চাচ্ছি আন্টি। সাফিনা মাহফুজের কথায় ধারায় একটু অবাক হয়েছিল তবে মাহফুজের এই কথার পর বলল, ঠিক আছে বল। আমি যেহেতু আজকে শুনতে এসেছি। তাই তোমার কথা শুনতে তো দোষের কিছু নেই। মাহফুজ বলে সেই সব প্রেম থেকে সিনথিয়া আর আমার প্রেম কতটুকু আলাদা আমি বুঝতে পেরেছি ওর সাথে সম্পর্ক যত গভীর হয়েছে তত। আগের প্রেম গুলোতে ঘুরা, আমার প্রেম আছে এই নিয়ে ফেক্স করা এই ছিল আসল কারণ। এই প্রেমে এসে আমি বুঝলাম প্রেম মানে খালি ঘোরা, মজা করা বা বন্ধু মহলে নিজের দাম বাড়ানো না। সিনথিয়া আমাকে যেভাবে বুঝে আর কেউ সেভাবে বুঝে উঠতে পেরেছে বলে মনে হয় না। সিনথিয়ার সাথে প্রেমের আগে আমি যতটা অস্থির চঞ্চল ছিলাম, সিনথিয়া আমার সেই চঞ্চলতা শান্ত করেছে। সাফিনা করিম অবাক হন। সিনথিয়া নিজেই প্রচন্ড চঞ্চল, সিনথিয়ার চঞ্চলতা নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকেন। আর মাহফুজ বলছে সেই সিনথিয়া তার চঞ্চলতা শান্ত করেছেন। কতটুকু বিশ্বাস করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না সাফিনা। সাফিনা তাই জিজ্ঞেস করেন তুমি কি আমার সিনথিয়ার কথা বলছ? আমি সারাজীবন দেখে এসেছি সিনথিয়ার চঞ্চলতা সামলাতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি আর তুমি বলছ তোমাকে আর ধীরস্থির করেছে সিনথিয়া, স্ট্রেঞ্জ। মাহফুজ বলে আমি আপনার কথা মানি। সিনথিয়া এখনো চঞ্চল কিন্তু আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেবার সময় ও খুব ধীরে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়। একটা উদাহারণ দেই, ওর সাথে আমার সম্পর্কের কিছুদিনের মাথায় ও আমাকে প্রশ্ন করেছিল আমি জীবনে কি করতে চাই? তখন পর্যন্ত আমি সেইভাবে ভাবি নি কিছু। তাই উত্তর দিয়েছিলাম পলিটিক্স করে একদিন মন্ত্রী এমপি হতে চাই। তখন সিনথিয়া আমাকে যা বলেছিল সেটা আমি কখনো ভুলি নি। বলা যায় সেটাই আমার ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। সাফিনা অবিশ্বাস্যে সুরে জিজ্ঞেস করেন তাই নাকি? মাহফুজ বলে হ্যা। সিনথিয়া প্রথম আমাকে প্রশ্ন করেছে দেশে এমপি হয় মাত্র ৩০০ লোক, মন্ত্রী আর কম। এদের বেশির ভাগ আসে কোন না কোন পারিবারিক কানেকশনে বা প্রচুর টাকাওয়ালা ফ্যামিলি থেকে। আমি কি এই দুই গ্রুপের মাঝে আছি নাকি? যদি না থাকি তাহলে কেন ধরে নিচ্ছি ভবিষ্যতে এমপি মন্ত্রী হতে পারব। আর যদি হতে না পারি তাহলে আমার বিকল্প প্ল্যান কি? তারপর আমাকে প্রশ্ন করেছে আমি কি পলিটিক্স করে চাদাবাজি করতে চাই কিনা। যখন না বলেছি তখন জিজ্ঞেস করেছে তাহলে কিভাবে আমার জীবন চালাতে চাই। কারণ পলিটিক্সে বড় নেতা হতে গেলে টাকা প্রয়োজন। প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়। একদল এই টাকা খরচ করে চাদাবাজি থেকে পাওয়া টাকায়। আরেকদল এই টাকা খরচ করে নিজেদের বাপের রেখে যাওয়া টাকা বা ব্যবসার টাকা থেকে। আমার কি এমন কিছু আছে? যখন না বলেছি তখন বলেছে তাইলে নিজে কেন সৎ ভাবে টাকা কামাই করার চেষ্টা করছি না। যাতে যদি পলিটিক্সে ব্যর্থ হই তাহলে একদম পথে না বসতে হয় অথবা যদি পলিটিক্সে বড় সুযোগ পাই তাহলে যেন নিজের সৎ ভাবে কামানো টাকা দিয়ে পলিটিক্স করতে পারি। সাফিনার অবিশ্বাস্য লাগে। তার ছোট মেয়েটা। যে এখনো বাসার কোন কাজ করতে চায় না, দ্বায়িত্ব নিতে চায় না। সে কিনা মাহফুজ কে পলিটিক্স, জীবন, অর্থনীতি নিয়ে বড় বড় উপদেশ দিয়ে দিচ্ছে।


মাহফুজ বলে আমার কথাটা শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্য। সিনথিয়ার কথার কারণে আমি আমার জীবন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা সব নিয়ে ভিন্ন ভাবে ভেবেছি। এই ভাবার কারণেই আমার কনস্ট্রাকশন বিজনেস, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস সব শুরু করেছি। আমি যে পদে আছি এখন তাতে বেশ টাকা খরচ করতে হয় প্রতি মাসে জুনিয়র ছেলেদের পিছনে। সেই টাকাটা আমি খরচ করছি নিজের বিজনেস থেকে। আবার চাদাবাজির সাথে জড়িত না থাকার কারণে আমার নামে মামলা বা কোন স্ক্যান্ডাল নেই। এত কম বয়সে সরকারি দলের যুব সংগঠনের এত বড় পদ খালি এইজন্য পেয়েছি যে একদিকে যেমন চাদাবাজির রেকর্ড নেই আমার নামে আবার অন্যদিকে নেতা হবার জন্য যে টাকা খরচ করতে হয় সেটাও পেরেছি। এর একটা পয়সা ফ্যামিলি থেকে নেওয়া না। আর এইটা পেরেছি কারণ সিনথিয়া আমার ভিশন ঠিক করে দিয়েছিল। আমাকে বড় স্বপ্ন দেখাতে শিখিয়েছিল। আর এর সাথে সাথে আমি এখন জানি যদি রাজনীতিতে ভবিষ্যতে ব্যর্থ হই বা অন্য কিছু করতে চাই তাহলে কিভাবে আমি ব্যবসা করে সার্ভাইভ করতে পারব। এতটুকু বলে একটু বিরতি নেয় মাহফুজ। থাই সুপ্যের বাটি থেকে কয়েক চামচ সুপ মুখে দেয়। একটা অং থং এ কামড় দেয়। তারপর প্রশ্ন করে, আন্টি প্রকৃত ভালবাসা কি জানেন? বয়েসে অনেক ছোট একটা ছেলের মুখে এমন গম্ভীর প্রশ্ন শুনে মুখে কৌতুকের হাসি ফুটে উঠে সাফিনার। বলেন, ভালবাসার সংজ্ঞা তো একেক মানুষের কাছে একেক রকম। তোমার সংজ্ঞা টা শুনি। মাহফুজ বলে আমি যখন আর ছোট ছিলাম তখন ভালবাসা বলতে খালি আবেগটা কে বুঝতাম, আমার জন্য কে কত পাগলামি করতে পারে তার ভালবাসা তত প্রবল। তবে এখন বুঝি এটা ছেলেমানুষী সংজ্ঞা। ভালবাসা মানে আমার কাছে এখন একটা মানুষ কিভাবে আমাকে সব ঝড়ঝাপটার মাঝে আগলে রাখতে পারে, জড়িয়ে ধরে রাখতে পারে। আমার ভুল গুলো কে শুধরে দিতে পারে। প্রয়োজনে সঠিক পরামর্শ দিতে পারে। যে আমাকে আমার খুত গুলোর সাথে গ্রহণ করবে। যার সাথে সব কিছু শেয়ার করা যায়। সিনথিয়া ঠিক তেমন একটা মানুষ। আমার চরম বিপদের সময় ও দাঁড়িয়ে থাকবে আমার পাশে এই বিশ্বাস আছে আমার। এই যে আমার আর সিনথিয়ার সম্পর্কের ব্যাপারে আপনারা বিরোধীতা করছেন কিন্তু সিনথিয়া কিন্তু এক বিন্দু সরে নি আমার কাছ   থেকে। অধিকাংশ মেয়েরা পরিবারের এত বিরোধীতা দেখলে সরে যেত সম্পর্ক থেকে। তার উপর আপনার হায়ার মিডল ক্লাস। আমার ফ্যামিলি প্রেস্টিজের দিক থেকে আপনাদের অনেক নিচে। আমি বহু দেখেছি অনেক মেয়ে প্রেম করার সময় লোয়ার মিডল ক্লাস ছেলের সাথে প্রেম করলেও বিয়ে করার সময় ঠিক বিয়ে করে নিজ ক্লাসের কাউকে। সেখানে সিনথিয়া সে কাজ করে নি। সিনথিয়ার এই আচরণ গুলো কে ভালবাসা না বললে আর কোন জিনিস কে ভালবাসা বলব সেটা আমার জানা নেই।
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
সাফিনা মুখে প্রকাশ করেন না কিন্তু মাহফুজের চিন্তার গভীরতা তাকে মুগ্ধ করেছে। সিনথিয়ার কাছে যখন এই ছেলের কথা শুনেছিলেন তখন ছাত্র রাজনীতি করা তথাকথিত পাংক গুন্ডা বদমাশ ছেলে ভেবেছিলেন। সাবরিনা আর নুসাইবার কান পড়ায় সেই বিশ্বাস আর দৃঢ় হয়েছিল। তবে আজকে মনে হচ্ছে তার প্রাথমিক ভাবনাটা ভুল ছিল। সাফিনা তাই কথা আর সামনে এগিয়ে নিতে চান। এইবার জিজ্ঞেস করেন আচ্ছা বুঝলাম সিনথিয়া তোমার জীবনে পজিটিভ পরিবর্তন এনেছে কিন্তু তুমি কিভাবে ওর জীবনে গুড ইনফ্লুয়েন্স হিসেবে কাজ করতে পার? মাহফুজ মনে মনে একটা হাফ ছেড়ে বাচে। সাফিনা তার এতক্ষণের কথা গুলো মেনে নিয়েছে  কিছুটা হলেও তাই এই প্রশ্ন করেছে। মাহফুজ কিভাবে সিনথিয়ার জীবনে পজিটিভ চেঞ্জ এনেছে। মাহফুজ কে এই প্রশ্ন করতে পারে এইটা সিনথিয়া আর সাবরিনা দুইজনেই বলেছিল। মাহফুজ তাই কমন প্রশ্নের  উত্তর দেয় গুছানো ভাবে। আন্টি, এইটার উত্তর আমার থেকে সিনথিয়া ভাল দিতে পারবে। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনি নিজেই সিনথিয়ার পরিবর্তন গুলো দেখছেন। সিনথিয়ি কখনো পড়াশুনা নিয়ে সিরিয়াস ছিল না। ওর মত মেয়ে বাইরের ভাল একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করতে চলে গেছে আপনাদের কার কোন তাড়া ছাড়া। সেখানে এখন ভাল রেজাল্ট করছে। বাইরে এপ্লাই করা বা এই যে প্রতি সেমিস্টারে ভাল রেজাল্ট করছে এইটা সব গুলো ওর পরিশ্রমের ফসল তবে আমি এইটুকু ক্রেডিট নিব যে আমি ওকে বুঝিয়েছি ওর প্রতিভা আছে। শুধু যদি লক্ষ্যটা ঠিক করে তাহলে অসম্ভব কিছু নেই। সাফিনা মাথা নাড়ানে। সিনিথিয়া নিজেই একবার তার সাথে তর্কের সময় বলেছে যে ওর এই বাইরে পড়তে আসার পিছনে ওকে সবচেয়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে মাহফুজ। সাফিনা মনে মনে ক্যালকুলেশন করেন। সিনথিয়া মাহফুজ দুইজন দুইজনেক ভালবাসে এটাতে তার সন্দেহ নেই। আজকে মাহফুজ তার মনে একটা পজিটিভ ইম্প্রেশন ফেলেছে। সাবরিনা যেখানে অনেক শান্ত ধীর স্থির সেখানে সিনথিয়া ঠিক ততটা চঞ্চল অস্থির। মাহফুজের ব্যক্তিত্ব স্ট্রং সেটা ওর সাথে ইন্টারেকশনে বুঝা যাচ্ছে। সিনথিয়া কে অনুপ্রেরণা দিয়ে ঠিক রাস্তায় নিয়ে যাবার কাজটা মাহফুজের মত স্ট্রং পার্সনালিটির কার পক্ষে সম্ভব। আর বাংলাদেশে সিনথিয়িয়ার মত স্ট্রং মেয়েদের ছেলেরা থ্রেট মনে করে, ভাবে তাদের সাথে সম্পর্কে গেলে নিজেরা ছোট হয়ে যাবে। মাহফুজের কথায় কোন খানে সেই চিহ্ন নেই। বরং সিনথিয়া আর উপরে দেখতে পেলে খুশি হবে। সাফিনার নিজের সংসারের শুরুর দিকের কথা মনে পড়ে। তার স্বামী তাকে অনুপ্রেরণা না দিলে ভার্সিটির ডিগ্রি শেষ করে আজকে সরকারী কলেজের টিচার হওয়া হত না। পিএইচডিটা শেষ হত না। যখন অনেকেই বউ কে এত পড়িয়ে কি হবে, চাকরি করতে দেওয়া ঠিক না বলেছে তখন মিজবাহ সেই সব বিরুদ্ধ মত কে ঠেলে সরিয়ে দিয়েছে। সেই দিক দিয়ে মাহফুজের সাথে স্বামী মিজবাহের মিল খুজে পান। স্ট্রং নারী কে দুইজনে জানে কিভাবে এপ্রিশিয়েট করতে হয়। আবার পলিটিক্স করে এবং দেশ কে ঠিক করার স্বপ্ন দেখে ঠিক কাজল দা এর মত। তার জীবনের দুইজন গূরুত্বপূর্ণ পুরুষের গুরুত্বপূর্ণ দুইটা ক্যারেক্টারিস্টিকস মাহফুজের ভিতর আছে টের পান। আর এর বাইরে মাহফুজ সুদর্শন সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। লম্বা। রাফ এন্ড বিউটিফুল লুক আছে চেহারায়। যে কোন বিচারে হ্যান্ডসাম ছেলে। এখন খালি একটাই প্রশ্ন মাহফুজের ফ্যামিলির সাথে ওদের কতটা মিলবে।


সাফিনা এইবার জিজ্ঞেস করেন, তোমার ফ্যামিলিতে কে কে আছে। যদিও এন্সারটা সিনথিয়ার কাছ থেকে আগেই শুনে এসেছেন তাও প্রশ্নটা মাহফুজ কে করে সাফিনা। মাহফুজ বলে আমরা দুই ভাই। বড় ভাই কাপড়ের বিজনেস করেন পুরান ঢাকায়। উনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ করেছিলেন। বাবা আছেন। উনি রাজনীতি করেন আগেই বলেছি তবে সেই সাথে আমাদের একটা স্টেশনারি দোকান আছে যেটার ইনকামে আমাদের ফ্যামিলি চলে। সাথে কিছু ভাড়ার দোকান আছে। সাফিনা বলেন তোমার মা? মাহফুজ বলে  উনি আমার বার  বছর বয়সে মারা গেছেন। সাফিনা একটু চমকে উঠেন। সিনথিয়া একবারো মাহফুজের মা নিয়ে কিছু বলে নি আর সাফিনা নিজেও জিজ্ঞেস করেন নি। ধরে নিয়েছিলেন হয়ত হাউজওয়াইফ তাই নতুন করে বলার কিছু নেই বলে  সিনথিয়া বলে নি কিছু। সাফিনা বলেন স্যরি, আমি জানতাম না, জানলে প্রশ্নটা করতাম না। মাহফুজ বলে ইটস ওকে আন্টি। সাফিনা এইবার বলেন তোমার কি মনে হয় তোমাদের আর আমাদের ফ্যামিলির যে ব্যবধান এইটা কি কোন সমস্যা সৃষ্টি করবে ভবিষ্যতে? মাহফুজের মনে পড়ে সাফিনার মা আসমা বেগম একটা কথা বলেছিলেন ওকে বিয়েতে দুই পরিবারের গ্যাপ নিয়ে। সেইটাই উত্তর হিসেবে দেয় মাহফুজ। মাহফুজ বলে বিয়ে একটা জটিল ব্যাপার। দুই ফ্যামিলি যত কাছাকাছি হয় তত সুবিধা সেটা আমি জানি। আমাদের সমাজে বিয়ের সময় এটাই খেয়াল করা হয় যে দুই ফ্যামিলি কতটুকু কাছাকাছি স্ট্যাটাসের দিক দিয়ে। তবে আমার মনে হয় আসল যে জিনিস খেয়াল রাখা দরকার সেটা হল বর কনের মনের মিল কতটুকু। আর আমার ফ্যামিলি হয়ত আপনাদের মত অত শিক্ষিত না তবে আশা করি আমার বাবা, ভাই বা নানার সাথে কথা বললে বুঝতে পারবেন তারা ভাল মানুষ। তার কখনো আমার বা সিনথিয়ার মাঝে ঝামেলা হয় এমন কিছু করবে না। আমাদের ফ্যামিলিতে কোন মেয়ে নেই। তাই আমার বড় ভাইয়ের বউ কে তারা  মেয়ের মত দেখে। সিনথিয়া কে ভবিষ্যতে সেইরকম দেখবে এটা আশা করতে পারেন।


সাফিনা এইবার বলেন তোমার কথা গুলো আমার ভাল লেগেছে। তবে খালি আমার মতামত নিলে তো হবে না। সিনথিয়ার বাবার মতামত নিতে হবে। বাকি আত্মীয়স্বজনদের মতামত নিতে হবে। উনারা সবাই হ্যা বললে তাহলে সামনে কোন একদিন দুই ফ্যামিলির মুরব্বীরা একসাথে বসতে পারে। মাহফুজের মনে হয় সে যেন সাত আসমানের উপর দিয়ে উড়ছে।
Like Reply


আদিবা রহমান মনযোগ দিয়ে তার ডায়েরিতে সাফিনা করিম কে নিয়ে লেখা নোট গুলো পড়ছেন। একটু পর সাফিনা করিমের সাথে তার এপয়মেন্ট আছে। বিভিন্ন রকম পেশেন্টের সাথে ডিল করতে হয় আদিবা কে, সবাই কে যদিও সমান পছন্দ করা উচিত তবে সেটা সম্ভব হয় না। সাফিনা হচ্ছেন সেরকম পেশেন্ট যাকে অপছন্দ করার উপায় নেই। শিক্ষিত, মার্জিত, রুচিশীল, সুন্দরী।  তার কাছে যারা পেশেন্ট হিসেবে আসে এদের একটা বড় অংশ ডিনায়ালে থাকে। নিজেদের সমস্যা কে অস্বীকার করতে চায় বা মিথ্যা বলে লুকাতে চায়। সেই সমস্যাটা সাফিনা করিমের নেই, ফলে তার সাথে ডিল করা অনেক ইজি। সাফিনা করিমের সমস্যা গুলো এক এক করে মনে মনে সাজাতে থাকেন আদিবা। মধ্য বয়স্ক নারীদের বাংলাদেশে যে সমস্যা, সাফিনার সেটা প্রধান সমস্যা। সারাজীবন পরিবারের জন্য করলেও এই সময়টাতে পরিবারে নারীদের দাম কমতে থাকে। সন্তানরা বড় হয়ে মায়ের উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেয়। আবার স্বামী ক্যারিয়ার আর পারিপার্শ্বিকতার চাপে একটু ব্যস্ত হয়ে যায়। তার উপর অনেক বছরের বিয়ের কারণে একটু ঝিমিয়ে পড়ে নিজেদের মাঝে রসায়ন। এইসব কিছু ঘটছে সাফিনা করিমের জীবনে। ফলে এক ধরণের শূণ্যতা তৈরি হয়েছে তার। আবার যদিও স্বামী তাকে ভালবাসে এই ব্যাপারে ডাউট নেই তবে একটা জিনিস স্বামীর প্রতি এক ধরনের অভিযোগ তৈরি করেছে সাফিনার। সাফিনার মতে সাফিনার স্বামী ছেলে চেয়েছিলেন একটা। ফলে দুই মেয়ের পর আর একবার ট্রাই করতে চেয়েছিলেন ছেলের জন্য তবে সাফিনা নিজের পিএইচডি করার জন্য সেটাতে রাজি হন নি। সাফিনার ধারণা এই কারণে তার হাজব্যান্ড মনে মনে কিছুটা ক্ষুণ্ণ। তার স্বামীর মতে একজন ছেলের পরম্পরা ধরে রাখতে পারে তার ছেলে সন্তান আর নাহয় তার কাজ। এখন যেহেতু ছেলে সন্তান নেই তাই বেশি করে কাজে ঝাপিয়ে পড়ে আর সফল হতে চাচ্ছেন। যদিও সাফিনার স্বামী মুখ ফুটে কখনো কিছু বলেন নি তবে এটা সাফিনার সন্দেহ। আদিবা ভাবেন খুব কমন একটা প্রবলেম এটা। তবে এইসব কারণে সাফিনার মনে এক ধরনের ডিপ্রেশন তৈরি হয়েছে। পরিবার কে সময় দিতে ক্যারিয়ারে স্যাক্রিফাইস করেছেন এখন পরিবারের সদস্যরা যার যার জীবনে ব্যস্ত, তাকে সময় দেবার কেউ নেই। যে স্বামী কে এত ভালবাসেন, সে স্বামী একটা ছেলে সন্তানের জন্য হাহাকার করছে এটা মেনে নিতে পারছেন না সাফিনা। সব মিলিয়ে এটাই সাফিনার জীবনের ডিপ্রেশনের মূল কারণ তার মতে। তবে সাফিনার পুরাতন একটা ট্রমা আছে। যেটা সম্ভবত আজকাল ডিপ্রেশনের কারণে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। পুরাতন এক প্রেমিক ছিল। অবশ্য প্রেমিক বলা যায় না, এক পাক্ষিক প্রেম। সেই প্রেমিকের অকালমৃত্যু ট্রমা তৈরি করেছিল। সাধারণত মানুষ যখন মানসিক ভাবে দূর্বল থাকে, ডিপ্রেসড থাকে তখন তার পুরাতন ট্রমা গুলো মাথা চাড়া দেয়। সেটাও এখনকার সমস্যা কে প্রভাবিত করছে।


দরজায়  নকের শব্দ। আদিবা মাথা তুলে দেখেন তার এসিসটেন্ট দাঁড়িয়ে আছে। কি হয়েছে? সাফিনা ম্যাডাম এসে বাইরে অপেক্ষা করছেন। উনার শিডিউলের টাইম এখন। পাঠিয়ে দিব? আদিবা বলেন হ্যা পাঠিয়ে দাও। সাফিনা ভিতরে ঢুকেন। কুশল বিনিময় শেষে সামনের একটা সোফায় বসেন সাফিনা আর উলটো দিকের একটা সিংগেল সোফায় বসেন আদিবা। সাফিনার কাছে আদিবা রহমানের এই সেশনটা একটা খোলা জানলা। কোন রকম জাজমেন্ট ছাড়া মনের সব কথা খুলে বলা যায়। আদিবা সাইকোলজিস্ট। অনেক সময় নিজের অনেক ব্যবহার বা আচরণের নিজে মানে খুজে পান না সাফিনা তখন আদিবা তাকে বুঝতে সাহায্য করেন কিভাবে তার আচরণ কে ব্যাখ্যা করা যায় তার পাস্ট হিস্টরি দিয়ে। নিজের জীবন নিয়ে যে একটা হতাশা লাস্ট কয়েক বছর মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল সেটা কাটাতে আদিবার এই সেশন গুলো কার্যকরী। আদিবা জিজ্ঞেস করেন সব ঠিক ঠাক চলছে তো? সাফিনা তখন এক এক করে সব বলেন লাস্ট সেশনের পর কি কি হয়েছে। সিনথিয়ার বিয়ের ব্যাপারে কথা উঠে সেখানে। আদিবার সাথে সিনথিয়ার রিলেশন নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। আদিবা ভাল করেই জানেন সাফিনার এই রিলেশন নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে। তাই সাফিনা যখন বলেন সিনথিয়ার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করেছেন তখন একটু অবাক হন। তবে মুখে প্রকাশ করেন না কারণ একজন ভাল সাইকোলজিস্ট তার ভিতরের জাজমেন্ট লুকিয়ে রাখেন যাতে পেশেন্ট সেফ ফিল করেন। আদিবা জিজ্ঞেস করেন কি হল সেখানে? সাফিনা কয়েক সেকেন্ড সময় নিলেন। তারপর বললেন আসলে আই এম ইম্প্রেসড সো ফার এবাউট দিস বয়। আদিবা বলেন কেন? সাফিনা বলেন সিনথিয়া সব সময় রেকলেস ছিল। এর আগের বয়ফ্রেন্ড কারা সেগুলো অল্প বিস্তর আমি জানতাম আমার বড় মেয়ের মাধ্যমে। সেই সব ছেলের তুলনায় অনেক বড় ইম্প্রুভমেন্ট এই ছেলে। দ্বায়িত্বশীল, মার্জিত, কথা বলতে জানে। আমরা খোজ নিয়ে যতটুকু দেখেছি ছেলের একটা বিজনেস আছে যেটার ভবিষ্যত উজ্জ্বল। সিনথিয়া যে এমন কার প্রেমে পড়তে পারে সেটা আমার ধারণা ছিল না। আদিবা জিজ্ঞেস করেন সিনথিয়া আগে কাদের প্রেমে পড়ত। সাফিনা হাসতে হাসতে বলেন, আমার ছোট মেয়েটা তো পাগলি। আগের সব ছেলের যদি কমন জিনিস বলি তাহলে দুইটা জিনিস কমন ছিল। এক সবাই টল  হ্যান্ডসাম আর কোন না কোন ভাবে আকাইম্মা। আদিবা বলেন এইবারের ছেলেটা? সাফিনা বলেন টল হ্যান্ডসাম নো ডাউট কিন্তু আকাইম্মা না।


আদিবা বলেন এর আগে কয়েক সেশনে তো আপনি এই সম্পর্কের বিরোধী ছিলেন। মতামত চেঞ্জ হল কিভাবে? সাফিনা এরপর সংক্ষেপে পিছনের ঘটনা বললেন। তার ননদ নুসাইবা কে এত বড় একটা হেল্প করেছে এরপর আসলে অন্তত একবার দেখা করা ভদ্রতা ছিল। নুসাইবার পর যখন সাবরিনাও ছেলেটা সম্পর্কে পজিটিভ কথা বলল তখন তার মন খানিকটা নরম হয়। আদিবা বললেন নুসাইবা আর সাবরিনার মন নরম হবার কারণ কি? সাফিনা বললেন নুসাইবা তো এত বড় সাহায্য পেয়েছে তাই সম্ভবত মাহফুজের পক্ষে গেছে। যদিও আগে প্রবল বিরোধী ছিল। আর সাবরিনার ব্যাপারটা শিওর না যদিও। তবে তার মনে হচ্ছে সম্ভবত সিনথিয়া কোন ভাবে বোন কে রাজি করিয়েছে আর এরপর হয়ত মাহফুজের সাথে কথা বলে সাবরিনার মনে হয়েছে ছেলে ওকে। আদিবা জিজ্ঞেস করেন আপনার মতামত কি তাহলে নুসাইবা আর সাবরিনার প্রেশারে চেঞ্জ হয়েছে? সাফিনা বলেন এইগুলো ফ্যাক্টর তবে মাহফুজ নিজেই আসলে তার মতামত চেঞ্জের ব্যাপারে বড় ভূমিকা রেখেছে। মাহফুজ যেভাবে কনফিডেন্টলি তার মেয়ের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেছে এটা তার ভাল লেগেছে। সাফিনা বলেন আমার মনে হয়েছে এই ছেলে সত্যিকার ভাবে সিনথিয়া কে ভালবাসে। আর নিজের কাজের ক্ষেত্রে মাহফুজ ভাল কনফিডেন্স দেখিয়েছে আর পরে আলাদা করে মাহফুজের সম্পর্কে খোজ নিতে গিয়ে আমরা দেখেছি ওর কথা ঠিক। ব্যবসা স্ট্রং। সবাই বেশ সুনাম করেছে মাহফুজের দুইটা ব্যবসার। আদিবা বলেন আচ্ছা বুঝেছি এইগুলো তাহলে কারণ। সাফিনা একটু ইতস্তত করেন। আদিবা অনেক বছর ধরে সাইকোলজিস্ট তাই পেশেন্টের চেহারা দেখে অনেক কিছু আন্দাজ করতে পারেন। তাই জিজ্ঞেস করেন আর কিছু কি আছে? সাফিনা বলবে কি বলবে না ভাবতে ভাবতে হঠাত করে বলে ফেলে। আরেকটা কারণ আছে। আমার মায়ের সাথে কথা হয়েছিল আসলে এই ব্যাপারে। আদিবা জিজ্ঞেস করেন, আপনার মা কি এই ছেলের পক্ষে কথা বলেছেন? সাফিনা হ্যা সূচক মাথা নাড়ান। আদিবা বলেন বেশ করিতকর্মা ছেলে। পরিবারের সবাই কে রাজি করিয়ে ফেলেছে দেখছি। সাফিনাও মাথা নাড়ান। সাফিনা বলেন মা, মাহফুজের পক্ষে কথা বলেছেন তবে তার থেকে উনি যা বলেছেন সেইটা আমাকে বেশি নাড়া দিয়েছে।


আদিবা জিজ্ঞেস করলেন কি বলেছেন আপনার মা। সাফিনা আবার ইতস্তত করেন। মনের এই দরজাটা বহুকাল বন্ধ ছিল। আদিবা রহমানের কাছে থেরাপি নিতে এসে আবার খুলেছিলেন কিছুদিন আগে। আজকে তার মায়ের কথা বলতে গেলে সেই দরজা আবার খুলতে হবে। তবে সাফিনা জানেন আদিবার কাছে কথা বললে তার হালকা লাগে। তাই ইতস্তত লাগলেও বলতে শুরু করলেন। সাফিন বলতে থাকলেন, মা আমাকে সিনথিয়ার ব্যাপারে রাজি করানোর জন্য ফোন দিয়েছিল। আপনাকে আমি আগেও বলেছি মায়ের উপর আমার একটা পুরাতন রাগ আছে। আদিবা বললেন, কাজলের ব্যাপারটা? সাফিনা তখন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল হ্যা।  মা কে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এত বছর আগে মা কেন আমাকে মানা করেছিল আর যদি করে তাহলে কেন মা এত বছর পর তার নাতনির জন্য আবার ওকালতি করছে। আমি আসলে আমার ভিতরের রাগটা চেপে রাখতে পারি নি। কাজল দা আর মাহফুজ। দুই জন পলিটিক্স করে। সেই সময় মা আমাকে বলেছিল পলিটিক্স করা কতটা ডেঞ্জারাস। কেন কাজল’দা এর সাথে মেশা যাবে না। আজকে দেখুন ত্রিশ বছর পর সব বদলে গেছে। কাজল দা এর জায়গায় মাহফুজ এসেছে, আর আমার জায়গায় সিনথিয়া। আর ওমনি মায়ের সিদ্ধান্ত বদলে গেল। জানেন কাজল দা মারা যাবার পর আমার বার বার মনে হত কাজল দা কে আমি বাচাতে পারতাম। হয়ত আমার সাথে প্রেম হলে আমি কাজল দা কে আটকে রাখতে পারতাম। অহেতুক সব ঝামেলায় ঝড়াতে দিতাম না। তাহলে হয়ত পলিটিক্যাল ঝামেলার মাঝে পড়ে এইভাবে মরতে হত না। সাফিনার চোখের কোণায় পানি টের পান আদিবা। তবে কোন কথা বলেন না, সাফিনা কে বলতে দেন। এইসব মূহুর্তে সাইকোলজিস্টদের কিছু বলার নেই বরং পেশেন্টদের বলে হালকা হতে দিতে হয়। সার্ভাইভাল গিল্ট। বেচে যাওয়া মানুষদের ভিতরে যে গ্লানি থাকে প্রিয় মানুষ কে না বাচাতে পারার সেটা বছরের পর বছর ভিতরে জমতে থেকে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। আদিবা টের পেয়েছেন আগের কয়েক সেশনে ঘর সংসার স্বামী সন্তান সব হলেও, তাদের কে ভালবাসলেও সাফিনার বুকে একটা হাহাকার রয়ে গেছে। লুকিয়ে  রাখলেও সেই হাহাকার মরে যায় নি। এত বছর পর যখন সাফিনা একা বোধ করেন সব কিছুর মাঝে, তখন সেই হাহাকার গলার মাঝে জমাট বাধা কান্না হয়ে উঠে আসে। আজকে আবার কাজল এর কথা আসায় সেই অনুভূতি ফিরে আসছে।

সাফিনা একটু নিজেকে সামলে নিয়ে বলতে থাকেন। আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মা প্রথমে আটকে গিয়েছিল তবে পরে যা বলেছে সেটা আসলে আমাকে অনেক ভাবিয়েছে। মা বলেছে কাজল মারা যাবার দা মারা যাবার পর মায়ের নিজের প্রচন্ড খারাপ লেগেছিল। মায়ের মনে হয়েছিল একটা ছেলে মারা যাবার আগে কাংখিত ভালবাসা পেল না। মা বলেছে যে, দেখ সাফিনা তুই সময়টা চিন্তা কর। প্রায় ত্রিশ বছর আগের সেই সময়টাতে ময়মনসিংহ শহর কতটা কনজারভেটিভ ছিল, তার উপর তোর বাবার কড়া নিয়ম কানুন। সেই সময় কিভাবে আমি তোকে প্রেমে  উতসাহ দেই। এই ছোট শহরে কিছু গোপন থাকে না। তুই প্রেম করলে ঠিক সবাই জেনে যেত। তখন কি অবস্থা হত ভেবে দেখেছিস? আদিবা প্রশ্ন করে আপনার মায়ের কথা গুলো কি আপনার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে? সাফিনা বলে মা যখন কথা বলছিল তখন যেন আবার সেই কিশোরী সাফিনা হাজির হয়েছিল সেখানে। সব যুক্তি তখন আবেগে ভেসে গেছে। আদিবা বলে তারপর? সাফিনা বলে তারপর আর কি। আমাদের মা মেয়ের না বলা অনেক কথা সেদিন বলা হয়েছে। মা তার ভুল স্বীকার করেছে আবার এটা বলেছে যে সেই সময়ের প্রেক্ষিতে দেখতে ব্যাপারটা। আমি আমার সেই সময়ের আবেগ যেমন স্বীকার করেছি আবার মায়ের যুক্তিটাও বুঝতে পেরেছি। আদিবা বলেন তাহলে আপনাদের মা মেয়ের একটা অভিমানের জায়গা তাহলে ক্লিয়ার হয়েছে। সাফিনা বলেন কিছুটা। সেই জন্য হয়ত আমি মাহফুজের প্রতি নরম হয়েছি। আমার মনে হয়েছে আমি যেই সুযোগ পাই নি সিনথিয়া সে সুযোগ পাক। কাজল দা যেই ভালবাসার স্পর্শ পায় নি মাহফুজ সেই ভালবাসার স্পর্শ পাক। আদিবা মাথা নাড়েন আর ভাবেন, নিজের জীবনের অপ্রাপ্তিগুলো সন্তানের জীবনের মধ্য দিয়ে পাওয়ার ইচ্ছাটা বাবা মায়েদের একটা স্বহজাত প্রবৃত্তি। আদিবা জিজ্ঞেস করেন, কি মনে হয় আপনার, মাহফুজ পারবে ভালবাসা দিতে সিনথিয়া কে। সাফিনা উত্তর দেন, মাহফুজের ভালবাসা আমার কাছে সিনসিয়ার মনে হয়েছে। তবে লম্বা সময়ের দৌড়ে কি হয় তা আমরা কেউ জানি না, এইটা বলার সময় নুসাইবা আর এরশাদের কথা মাথায় আসে সাফিনার। তবে কাজল দা যেখানে ব্যর্থ হয়েছিল, মাহফুজ যাতে সেখানে সফল হয় আমি সেই আশা করি।
Like Reply


সিনথিয়া ভিতরে ভিতরে উত্তেজনায় ফেটে যাচ্ছে। এমনিতেও সবাই ওকে চিনে ওর ছটফটানি স্বভাবের জন্য। আজকে সেই উত্তেজনা আর বেড়ে গেছে। প্রায় পনের ঘন্টার ফ্লাইট এমিরাটসের লন্ডন থেকে ঢাকা। আর আধা ঘন্টা পর ফ্লাইট ল্যান্ড করবে। বিমানে উঠার আগে দ্রুত অনেক কাজ সামলে আসতে হয়েছে, প্রচুর ক্লান্ত তাও ঘুম আসছে না উত্তেজনায়। আর সাত দিন পর আসার কথা ছিল। তবে মাহফুজ যখন ফোন দিয়ে জানাল আম্মু রাজি হয়েছে তখন যে জোরে চিতকার দিয়েছিল তাতে মাহফুজের কানের ফর্দা ফোনের ঐপাশে ফেটে গেছে কিনা কে জানে। এরপর শেষ এসাইনমেন্ট সাবমিশন প্রফেসর কে রাজি করিয়ে প্রায় এক সাপ্তাহ আগে আলাদা ভাবে দিয়ে এসেছে। আর দেশে কাউকে না জানিয়ে ফ্লাইট রিশিডিউল করেছে প্রায় পাচশ ডলার এক্সট্রা দিয়ে। টাকা গেলে যাক। আজকে সবাই ওকে দেখে যেভাবে চমকাবে সেটার কোন তুলনা হয় না। সবাই জানে ও আসবে আর এক সাপ্তাহ পর। আজকে আগে আগে চলে আসছে ও। প্লেন ল্যান্ড করবে সাড়ে আটটায়। এরপর দুই ঘন্টা লাগবে ইমিগ্রেশন আর লাগেজ কালেকশনে। হিসাব করে সিনথিয়া। এরপর আর এক ঘন্টা মাহফুজের ফ্লাট। প্লেনের ভিতর ওয়াইফাই নিয়েছিল টাকা দিয়ে শুধু মাহফুজের সাথে কথা বলার জন্য। মাহফুজ কে জিজ্ঞেস করেছিল আজকের প্লান কি। বাসা থেকে সাড়ে এগারটার দিকে বের হবে। সিনথিয়া জোর দিয়ে বলেছে বারটার দিকে বের হতে। মাহফুজ জিজ্ঞেস করেছিল কেন। সিনথিয়া বলেছে সারা রাত জেগে কাজ করেছে ও। সকাল সাতটার দিকে এসাইনমেন্ট সাবমিশন করবে একটা। এরপর অনেকদিন ফোন সেক্স করে না দুইজন তাই একটু ফোন সেক্স করে ঘুমাবে। মাহফুজ ওর পাগলামি কথা শুনে হেসেছে তবে রাজি হয়েছে এক ঘন্টা পর বের হবার জন্য। মনে মনে খুশি হয়েছে সিনথিয়া। ফোন সেক্স না আজকে আসল সেক্সের স্বাদ পাবে মাহফুজ। ওর নিজের উত্তেজনা লাগছে আর বেশি। মনে হচ্ছে যেন জীবনে প্রথম সেক্সের জন্য অপেক্ষা করছে ও। প্রায় এক বছর হয়ে গেল সেক্সে ছাড়া আছে ও। ভার্জিনিটি হারানোর পর থেকে জীবনে আর কখনো এত বেশিদিন সেক্স ছাড়া ছিল না ও। তবে এটা নিয়ে আফসোস নেই ওর। মাহফুজের জন্য দরকার আর দশ বছর সেক্স ছাড়া থাকতে পারে ও। মাহফুজ একটা নেশা ওর জন্য। আর কোন কিছুতে এই নেশা মিটবে না। উড়াধূড়া প্রেম এতদিন শুনে এসেছে, মাহফুজ ওকে সেই উড়াধূড়া প্রেমের স্বাদ দিইয়েছে।


প্লেন নামতেই যতটা দ্রুত সম্ভব নেমে পড়ে সিনথিয়া। আজকে লাক ভাল ওর। ইমিগ্রেশন, লাগেজ কালেকশন সব অনেক দ্রুত হয়ে গেছে। বাইরে এসে একটা উবার নেয়। কতদিন পর ঢাকায় আসল। শীত কালের মিষ্টি রোদ গাড়ির কাচের ভিতর দিয়ে ভিতরে পড়ছে। সব আগের মত আছে। জ্যাম, ভীড়, ধূলাবালি। তারপরেও কেন জানি এই শহরের মায়া ছাড়া যায় না। গাড়ির এফএম রেডিওতে গান বেজে উঠে এই শহর জাদুর শহর। সিনথিয়ার মনে হয় সত্যি ঢাকা যাদুর শহর। এতকিছুর পরেও এই শহরের মায়া ওর মন থেকে কখনো মুছবে না। ওর সব প্রাণের মানুষ গুলো যে আছে এই শহরে আর সাথে আছে ওর পুরো জীবনের স্মৃতি শহরের অলিতে গলিতে। গাড়ি মাহফুজের ফ্লাটের সামনে এসে দাঁড়ায়। বিল্ডিং এর দারোয়ান অনেকদিন পর সিনথিয়া কে দেখে অবাক হয়। সিনথিয়া অবাক হয় ওকে মনে রেখেছে দেখে। দারোয়ানের হেল্প নিয়ে লাগেজ গুলো উপরে তুলতে থাকে সিনথিয়া। ওর বুক ঢিপ ঢিপ করে কতদিন পর দেখা হবে মাহফুজের সাথে।
Like Reply
চার বা সাড়ে চার মাস পর আপডেট দিলাম। কর্মজীবনের ব্যস্ততা বেড়েছে অনেক। সামনে আর কিছুদিন এমন ব্যস্ত থাকার সম্ভাবনা আছে। তাই চাইলেও নিয়মিত আপডেট দিতে পারছি না। জানি অনেক পাঠক বিরক্ত হচ্ছেন, অনেকে গল্প পড়া ছেড়ে দিয়েছেন তবু কিছু করতে পারছি না জীবিকার টানে। গল্প লেখাটা প্যাশন তাই ব্যস্ততার মাঝেও চলবে যখন যতটুকু সময় পাই তাই নিয়ে।  নিজে যেহেতু নিয়মিত আপডেট দিতে পারছি না তাই পাঠকদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করা উচিত হবে না। তারপরেও যদি এত কিছুর পর গল্পের সাথে থাকেন তাহলে গল্পের ভাল মন্দ নিয়ে দুই এক কথা বলে যাবেন আশা করি।
[+] 11 users Like কাদের's post
Like Reply
কাদের ভাই বহুদিন পরে আপডেট পাওয়া গেল কিন্তু এত ছোট যে মন ভরলনা, মনে হয় আর একটু বেশী পেলে ভালো হতো। যেটুকু পেলাম ভালো লাগলো। ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন এবং আমাদের আরো আরো আপডেট দিতে থাকুন।
[+] 3 users Like pradip lahiri's post
Like Reply
(08-05-2025, 11:08 AM)pradip lahiri Wrote: কাদের ভাই বহুদিন পরে আপডেট পাওয়া গেল কিন্তু এত ছোট যে মন ভরলনা, মনে হয় আর একটু বেশী পেলে ভালো হতো। যেটুকু পেলাম ভালো লাগলো। ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন এবং আমাদের আরো আরো আপডেট দিতে থাকুন।

ব্যস্ততার জন্য ছোট আপডেট দিলাম। যদিও অত ছোট না, যদি অন্যদের আপডেট গুলোর সাথে তুলনা করেন। এখন ব্যস্ততা অনেক বেশি হওয়ায় লেখার সময় পাই কম। তাই ঠিক করেছি দশ বার পাতার মত লেখা হলে আপডেট দিয়ে দিব একটা করে। এর আগে নরমালি ২০/২২ পাতার আপডেট পেতেন।
[+] 3 users Like কাদের's post
Like Reply
অ্যাটলাস্ট আপডেট আসলো। তবে প্রায় চার মাস পর ছোট আপডেট মন ভরে কি বলেন? আপনার গল্পের ধরনই এরকম যে একটু বড় আপডেট না হলে ঠিক মজা পাওয়া যায় না। যাই হোক আপডেট তো পেলাম এই বা কম কি।
আপাতত পড়া শুরু করি পরে মতামত জানামুনে।
[+] 1 user Likes bluesky2021's post
Like Reply
যথারীতি নিয়ন্ত্রিত আপডেট। আমি নিজে লেখার চেষ্টা করি বলে জানি; সময় বার করা কতটা কঠিন। তার সঙ্গে প্লটের বিস্তার; সেটাও একটা কঠিন কাজ। পরবর্তী আপডেটের অপেক্ষায় রইলাম।

হাতে রেপু নেই বলে দিতে পারলাম না। আবার কালকে আসবো রেপু দিতে

Namaskar





গঠনমূলক মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা।

[+] 1 user Likes মাগিখোর's post
Like Reply
ছোট হলেও আপডেট ভালো ছিলো। সাফিনার জেরার মুখে মাহফুজ ভালো সামাল দিলো। সিনথিয়াও চলে আসাতে গল্পে জমজমাট পরিস্থিতি তৈরি হইছে। দেখা যাক কি হয়।
[+] 1 user Likes bluesky2021's post
Like Reply
(08-05-2025, 10:58 AM)কাদের Wrote: প্লেন নামতেই যতটা দ্রুত সম্ভব নেমে পড়ে সিনথিয়া।ওর বুক ঢিপ ঢিপ করে কতদিন পর দেখা হবে মাহফুজের সাথে।

এবার আমারও বুক ঢিপ ঢিপ করবে–না জানি কবে আসবে আপডেট !?❤️
[+] 2 users Like বহুরূপী's post
Like Reply
Marvelous update.great to read it
[+] 1 user Likes w3rajib's post
Like Reply
Khuv valo laglo
Like Reply
২ মিনিটের ট্রেইলার এর মত শেষ হয়ে গেল এবারের আপডেট। পূর্ণদৈর্ঘ ছায়াছবি দ্রুতই পাব সেই অপেক্ষায় রইলাম।
[+] 2 users Like Mafia's post
Like Reply
(09-05-2025, 01:48 AM)Mafia Wrote: ২ মিনিটের ট্রেইলার এর মত শেষ হয়ে গেল এবারের আপডেট। পূর্ণদৈর্ঘ ছায়াছবি দ্রুতই পাব সেই অপেক্ষায় রইলাম।

এত বড় ছায়াছবির পরেও যদি মন না ভরে তাহলে ত মুশকিল
[+] 1 user Likes Innocent devil's post
Like Reply
কাদের ভাই, বড় আপডেট দিলেন তবে মন ভরছে না কেন বলেন তো? আচ্ছা এই গল্প একবারে পুরোটা পড়লেও কি মন ভরবে?
[+] 4 users Like Shadowfox001's post
Like Reply
(08-05-2025, 11:04 AM)কাদের Wrote: চার বা সাড়ে চার মাস পর আপডেট দিলাম। কর্মজীবনের ব্যস্ততা বেড়েছে অনেক। সামনে আর কিছুদিন এমন ব্যস্ত থাকার সম্ভাবনা আছে। তাই চাইলেও নিয়মিত আপডেট দিতে পারছি না। জানি অনেক পাঠক বিরক্ত হচ্ছেন, অনেকে গল্প পড়া ছেড়ে দিয়েছেন তবু কিছু করতে পারছি না জীবিকার টানে। গল্প লেখাটা প্যাশন তাই ব্যস্ততার মাঝেও চলবে যখন যতটুকু সময় পাই তাই নিয়ে।  নিজে যেহেতু নিয়মিত আপডেট দিতে পারছি না তাই পাঠকদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করা উচিত হবে না। তারপরেও যদি এত কিছুর পর গল্পের সাথে থাকেন তাহলে গল্পের ভাল মন্দ নিয়ে দুই এক কথা বলে যাবেন আশা করি।
শুরুতেই বলবো আপনি সবার বস জনাব!! আপনার থেকে অনেক কিছু শেখারও যা যেটা আমাদের দেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ থেকেও শেখা যায় না ।  মাহফুজ পরোপকারী সে মানুষের সেবার জন্য রাজনীতি করে, সে এটা বিশ্বাস করে আজ সে সরকারী দল,  আগামীতে বিরোধী দল হবে এটা ভেবে রাজনীতি করে  ; এটা ভেবেই সকলের রাজনীতি করা উচিত ।  সুপার লেখনী বস ,  এই আপডেট পড়ে অনেকে রাজনীতি করাও শিখবে কিভাবে করা উচিত ।  আমি কিন্তু নুসাইবা ফুফুকে মিস করলাম!! ,  মাহফুজকে নুসাইবা ফুফু ডেকে নিজের বাসায় ১রাতের জন্য নিবে ,  এই ১ টা শেষ অনুরোধ ।  অনেক পাঠকই (৮০%) এটা মনে মনে চাইবে গুরু । পরবর্তী আপডেট যেন সামনে ইদের ছুটিতেই হয় এই আশায় আমরা তীর্থের কাক হয়ে থাকবো,  জনাব!!!!!
[+] 4 users Like Monika Rani Monika's post
Like Reply
কেন যেন মনে হচ্ছে এবার গল্পে ক্লাইম্যাক্স আসবে!! সিনথিয়া মাহফুজের রোমে এসে অন্য কিছু দেখবে তা দেখার জন্য ও প্রস্তুত ছিল না!! সেটা কি সাবরিনা? নাকি গল্প সহজাত ভঙ্গিমায় এগিয়ে যাবে?
আর তা হলে সিনথিয়া কবে জানতে পারবে সাবরিনা,নুসাইবা র সম্পর্ক? আর জানার পর রিয়েকশন কেমনে হবে!! যদিও আমরা জানি সিনথিয়া ফ্যান্টাসি আর অনেক ডার্ক আর ইরোটিক।কিন্তু ও কি মেনে নিতে পারবে??
অনেক প্রশ্ন জমে গেছে।মনে করেছিলাম নুসাইবা মাহফুজের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে কিন্তু গল্প কয়েকবার পুনরায় পড়ার পর মনে হল মাহফুজ এর আয়ত্তের বাইরে কেউ নয়।ও যেভাবে আভাস দিয়ে বলেছিল নুসাইবাকে যদি সে না যায় তাহলেই হবে না কারণ মাহফুজের তরফ থেকে কোন বাঁধা নেই।
লেখককে ধন্যবাদ। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর মনের আশা কিছুটা হলেও মিটল।আশা করি ব্যস্ততা কাটিয়ে আবার আবার আপনার সময়-সুযোগমত আপডেট পাওয়া যাবে।এর সাথে অনুরোধ আপডেট দিতে দেরী হলেও আশা করি টেলিগ্রাম গ্রুপে মাঝে মাঝে গল্পের জন্য আসবেন।আপনার সুস্থতা কামনা করি।
[+] 4 users Like Alvarezthed's post
Like Reply
(09-05-2025, 06:52 AM)Alvarezthed Wrote: কেন যেন মনে হচ্ছে এবার গল্পে ক্লাইম্যাক্স আসবে!! সিনথিয়া মাহফুজের রোমে এসে অন্য কিছু দেখবে তা দেখার জন্য ও প্রস্তুত ছিল না!! সেটা কি সাবরিনা?  নাকি গল্প সহজাত ভঙ্গিমায় এগিয়ে যাবে?
আর তা হলে সিনথিয়া কবে জানতে পারবে সাবরিনা,নুসাইবা র সম্পর্ক? আর জানার পর রিয়েকশন কেমনে হবে!! যদিও আমরা জানি সিনথিয়া ফ্যান্টাসি আর অনেক ডার্ক আর ইরোটিক।কিন্তু ও কি মেনে নিতে পারবে??
অনেক প্রশ্ন জমে গেছে।মনে করেছিলাম নুসাইবা মাহফুজের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে কিন্তু গল্প কয়েকবার পুনরায় পড়ার পর মনে হল মাহফুজ এর আয়ত্তের বাইরে কেউ নয়।ও যেভাবে আভাস দিয়ে বলেছিল নুসাইবাকে যদি সে না যায় তাহলেই হবে না কারণ মাহফুজের তরফ থেকে কোন বাঁধা নেই।
লেখককে ধন্যবাদ। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর মনের আশা কিছুটা হলেও মিটল।আশা করি ব্যস্ততা কাটিয়ে আবার আবার আপনার সময়-সুযোগমত আপডেট পাওয়া যাবে।এর সাথে অনুরোধ আপডেট দিতে দেরী হলেও আশা করি টেলিগ্রাম গ্রুপে মাঝে মাঝে গল্পের জন্য আসবেন।আপনার সুস্থতা কামনা করি।

ওই  টেলিগ্রাম গ্রুফে আমাকেও এড করুন আইডি ABcd_43
[+] 1 user Likes Monika Rani Monika's post
Like Reply
আবেগ আপ্লুত সাফিনা করিম
একি জগতের মায়া
মাহফুজের মাঝে দেখিলেন তিনি
পুরনো দিনের ছায়া
[+] 2 users Like poka64's post
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)