Posts: 114
Threads: 1
Likes Received: 108 in 57 posts
Likes Given: 95
Joined: Jan 2023
Reputation:
6
ভাই আমার কমেন্টের উত্তরের আশাবাদী আমি এবং নতুন আপডেটের অপেক্ষায়। আপনার গল্পের এক একনিষ্ঠ পাঠক। ধন্যবাদ কাদের ভাই।
Posts: 24
Threads: 0
Likes Received: 18 in 13 posts
Likes Given: 8
Joined: Dec 2023
Reputation:
0
(05-03-2024, 08:58 PM)সমাপ্তি Wrote: কাদের ভাই আপনার পাঠকরা কিন্তু আপনাকে ভালোবাসে। আপনি জদি দুই একজনের কথায় কস্ট পেয়ে থাকবেন তা ঠিক। কিন্তু জারা ভালোবাসে তাদেরকে কি কেন কস্ট দিবেন ভাই।
জানি আপনি কস্ট করে আমাদের জন্য গল্প লিখেন কিন্তু জখন আমরাই আপনাকে দুক্ষুদেই তা
আপনার জন্য কষ্টের। তাই সকলের পক্ষ থেকে আমরা আপনার সুভ কাংখিরা আপনার কাছে ক্ষমা প্রর্থি।
কাদের ভাই আপনার নতুন আপডেটের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনে সকল পাঠক। আপনার চুপ করে থাকা আমাদের কস্টদেয়।
কাদের ভাই একটু Personal সমস্যায় আটকে আছে। Problem টা solve হইলে আপডেট আসবে
Posts: 64
Threads: 0
Likes Received: 38 in 28 posts
Likes Given: 341
Joined: Mar 2019
Reputation:
2
(04-03-2024, 03:13 PM)Monika Rani Monika Wrote: কাদের ভাইয়ার সাথে কথা হয়েছে, উনি পারিবারিক কাজে একটু ব্যস্ত আছেন, উনি সুস্থ আছেন, উনি ফ্রী হলে আবার লেখায় হাত দিবেন । সকল পাঠকদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।
শান্তি পাইলাম ?
Posts: 63
Threads: 0
Likes Received: 54 in 38 posts
Likes Given: 362
Joined: Jul 2023
Reputation:
1
•
Posts: 1,137
Threads: 1
Likes Received: 6,117 in 938 posts
Likes Given: 998
Joined: Jan 2023
Reputation:
2,244
আমি ব্যক্তিগত একটা ঝামেলার কারণে একটু অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। লেখা বন্ধ হয় নি। মানসিক অস্থিরতার মাঝে লেখা যায় না তাই আপডেট আসছে না। আর কবে পরের আপডেট আসবে সেটা এই মূহুর্তে বলতে পারছি না। সব নির্ভর করছে সমস্যার সমাধানের উপর।
** গালাগালি করতে পারেন তবে লাভ নেই, এই অবস্থায় লেখা সম্ভব না আমার পক্ষে।
***আর যারা ধৈর্য্য ধরছেন তাদের কে ধন্যবাদ।
The following 15 users Like কাদের's post:15 users Like কাদের's post
• Amipavelo, bluesky2021, crappy, Dip 99, fucklodo, Monika Rani Monika, ms dhoni78, NehanBD, nusrattashnim, Porinita, pradip lahiri, roktim suvro, S.K.P, sudipto-ray, Voboghure
Posts: 83
Threads: 0
Likes Received: 60 in 42 posts
Likes Given: 234
Joined: Jul 2022
Reputation:
12
No worry. Personal life comes first.
Posts: 91
Threads: 0
Likes Received: 89 in 52 posts
Likes Given: 276
Joined: Dec 2021
Reputation:
4
08-03-2024, 01:15 PM
(This post was last modified: 08-03-2024, 01:16 PM by bluesky2021. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(08-03-2024, 01:33 AM)কাদের Wrote: আমি ব্যক্তিগত একটা ঝামেলার কারণে একটু অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। লেখা বন্ধ হয় নি। মানসিক অস্থিরতার মাঝে লেখা যায় না তাই আপডেট আসছে না। আর কবে পরের আপডেট আসবে সেটা এই মূহুর্তে বলতে পারছি না। সব নির্ভর করছে সমস্যার সমাধানের উপর।
** গালাগালি করতে পারেন তবে লাভ নেই, এই অবস্থায় লেখা সম্ভব না আমার পক্ষে।
***আর যারা ধৈর্য্য ধরছেন তাদের কে ধন্যবাদ।
ভাই, সময় লাগলে লাগুক। কিন্তু ফাটাফাটি আপডেট চাই।
•
Posts: 31
Threads: 0
Likes Received: 18 in 15 posts
Likes Given: 5
Joined: Jul 2021
Reputation:
1
তাঁকে তাঁর মতো থাকতে দাও
•
Posts: 24,578
Threads: 10
Likes Received: 12,347 in 6,212 posts
Likes Given: 7,984
Joined: Jun 2019
Reputation:
162
(24-01-2023, 06:29 PM)poka64 Wrote: মনে পড়ে বার বার
বিশকেজি হোগা তার
বুক জোড়া কালি তাল
গাঢ়ে ঢালো গাঢ় মাল
•
Posts: 34
Threads: 0
Likes Received: 13 in 11 posts
Likes Given: 53
Joined: May 2022
Reputation:
6
(16-01-2023, 02:02 AM)কাদের Wrote: আপডেট ৩
কফি হাউজে বসে আমাদের সেদিন পরিকল্পনা ঠিক হল। আমাদের পরিকল্পনার দুই পার্ট। সিনথিয়ার উপর বিয়ের চাপ আছে ওর ফ্যামিলির। অনার্স শেষ হয়েছে কিছুদিন। ভাল ছাত্রী সিনথিয়া। ইংল্যান্ডে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অলরেডি মাস্টার্সের একটা অফার আছে। দুই বছরের মাস্টার্স। সিনথিয়ার ওর ফ্যামিলি কে বলবে এই মূহুর্তে ও বিয়ে করবে না কারণ ও বাইরে গিয়ে মাস্টার্স করতে চায়। সিনথিয়ার ফ্যামিলি রাজি হবে কারণ গত কয়েক মাস আমাকে নিয়ে ওদের ভিতর ভাল মন কষাকষি হয়েছে। তাই ওরা ভাববে দেশের বাইরে গেলে হয়ত মেয়ের মাথা থেকে আমার ভূত নামবে। আর ওর উপর থেকে বিয়ের চাপ কমবে। এটা পরিকল্পনার প্রথম পার্ট। আর দ্বিতীয় পার্ট আমার উপর। সিনথিয়ার বোন, ফুফু আর মা কে রাজি করানো। কীভাবে রাজি করাবো জানি না ঠিক তবে সিনথিয়া কে কথা দিলাম রাজি করাবো যেভাবেই হোক। মেয়েটা এখন খড়কুটু ধরে আমাদের সম্পর্কটাকে বাচাতে চাইছে। না হলে ওর মা, ফুফু, বোন কার সাথে আমার কোন দিন এক শব্দ বাক্য বিনিময় হয় নি, আমাকে দেখেও নি কোন ভাবে। তাদের দৃষ্টিতে যা যা লোক্লাস কাজ সব আমি করি- টেন্ডার পলিটিক্স। তাই আমার কথায় তাদের রাজি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোঠায়। সেটা আমিও জানি। কিন্তু প্রেম এমন একটা জিনিস যেখানে অসম্ভব কে সম্ভব মনে হয় প্রেমিক হৃদয়ে।
তবে একটাই পজিটিভ দিক আমাদের হাতে সময় আছে দুই বছর। সিনথিয়া বাসায় গিয়ে যখন বলল যে ও মাস্টার্স করতে বাইরে যাবে তখন ওর বাবা মা নাকি এক কথায় রাজি হয়ে গেছে। সিনথিয়ার ভাষ্যমতে ওরা ভাবছে বিদেশে পড়তে গেলে এই দুই বছরে এই লোক্লাস ছেলেটার পাল্লা থেকে তাদের সুন্দরী মেয়ে বের হতে পারবে। তাদের কাছে এটা না চাইতেই বৃষ্টি। প্রেম নামক রণক্ষেত্রে যে আসলে এটা একটা ছায়া যুদ্ধ হয়ত সেটা তাদের বোঝা হল না। বাংগালী সমাজের প্রেম বিরোধী চিরন্তন বাবা-মা কে তাই সিনথিয়া অনেকটা ঝপ দিয়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার পারমিশন ম্যানেজ করে নিল। প্রথাগত ভাবে সিনথিয়ার বাবা মা একবার বলতে চেয়েছিল বিয়ে করে গেলে হত না, ভাল ছেলে আছে তাদের খোজে। সিনথিয়ার এক জবাব এখন বিয়ে করলে খালি মাহফুজ কে বিয়ে করব। এই টোটকায় কাজ হল। এরপর থেকে নাকি সিনথিয়ার বাবা, মা, বোন সবাই বলছে আমাদের এই ছোট মেয়েটার এখন বিয়ের কি দরকার। আগে মাস্টার্স টা কর তারপর নাহয় দেখা যাবে।
প্ল্যানের একটা অংশ সিনথিয়া ঠিকমত এক্সিকিউট করেছে। তবে মূল অংশটা কীভাবে এক্সিকিউট করব সেটাই ভাবছি রাতে বাসায় বসে। সিনথিয়ার সাথে একটু আগে কথা হল। প্রথম অংশ ঠিক হওয়ার মেয়েটা দারুন এক্সাইটেড। বারবার খালি বলছে দেখ তুমি ঠিক পারবা। তুমি অসাধ্য সাধন করতে পার। মনে নাই তোমার আমার কীভাবে দেখা হইছিল। তখন তুমি কি করছিল? সিনথিয়ার সাথে আমার দেখা একদম আকস্মিক একটা ব্যাপার। আমি তখন মাস্টার্সের ছাত্র, সিনথিয়া ফার্স্ট ইয়ার। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার দুই প্রান্তে আর ঠিক দুই রকম বিশ্ববিদ্যালয়। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। রাজনীতির জন্য দুই বছর লস দিয়ে মাস্টার্স করছি তখন আর সাথে সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কে আড়ালে এখনো লোকজন হাসাহাসি করে জগাবাবুর কলেজ ডাকে। পুরান ঢাকার ভিতর শতবর্ষী একটা কলেজ কে হঠাত বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরান ঢাকার মত তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মলিন তবে এর একটা ঐতিহ্য আছে যাকে আবার নতুন ঢাকার লোকেরা গোনে না। আর তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশিরভাগ সময় আসে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পাওয়া ছেলেমেয়েরা। আমার ক্ষেত্রে অবশ্য বিবেচনা আলাদা। বাবার রাজনীতি দেখে আমি সব সময় অনুপ্রানিত। আর বাবা পুরান ঢাকার এক ওয়ার্ডের সরকারি দলের সেক্রেটারি তাই পুরান ঢাকায় তার ভাল প্রভাব। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করলে তাই রাজনীতির সিড়ি বেয়ে উপরে উঠা আমার জন্য সহজ। আর সিনথিয়া তখন ভর্তি হয়েছে নর্থ সাইউ ইউনিভার্সিটিতে। বাংলাদেশের প্রথম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। পশ। এর ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক সব ফিটফাট। ঢুকলেই মনে হয় একটা কর্পোরেট হাউজ। আর অবস্থান একদম উত্তর ঢাকায়। বড়লোক পাড়ার কাছাকাছি। জগন্নাথ আর নর্থ সাউথ ভার্সিটির যেমন আকাশ পাতাল ফারাক সব কিছুতে আমাদের ঠিক তেমন। তাই আমাদের কোন ভাবে দেখা হওয়ার কথা না কিন্তু ঠিক দেখা হয়ে গেল একদম আচমকা।
চমৎকার শুরু। font আর একটু বড়ো করলে ভালো হবে
সিনথিয়া কিভাবে কিভাবে জানি একটা ছেলের সাথে জড়িয়ে পড়ে ভার্সিটির একদম প্রথম দিকে। হালকা একটা উইকনেস ছিল ওর ছেলেটার প্রতি। এক ব্যাকগ্রাউন্ড, চকলেট বয় চেহারা, চোস্ত ইংলিশ বলে। প্রেম প্রেম হই হই ভাব। এমন সময় ও টের পেল ছেলেটা খালি ওকে না সাথে আর চারপাচ জন কে ঘোরায়। টের পেয়েই সিনথিয়া বের হয়ে আসতে চাইছে কিন্তু ছেলেটা হুমকি দিচ্ছে প্রেম না করলে তুলে নিয়ে যাবে। সিনথিয়া বাসায় বলতে চাচ্ছে না একটা ঝামেলা হবে আবার ছেলেটার এইসব হুমকিও অস্থির করে রাখছে ওকে। নিজে থেকে প্রথমে ছেলেটাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে সফল হয় নি। একদিন নাকি সবার সামনে চড়ও মেরেছে ছেলেটা সিনথিয়াকে। মিউচুয়াল পরিচিত কিছু সিনিয়র কে হেল্প করতে বলেছিল সমাধান করার জন্য কিন্তু কেউ রাজি হয় নি। ছেলেটা ক্ষেপাটে। ফ্যামিলির ভাল টাকা আছে। সবচেয়ে বড় কথা ছেলেটার সাথে নাকি গুন্ডা টাইপ কিছু ছেলেপেলের খাতির। কেউ তাই আগ বাড়িয়ে ঝামেলায় পড়তে চাচ্ছে না। সিনথিয়া তখন প্রায় অসহায়। ঠিক তখন ওর কথা হল মুবিনের সাথে।
মুবিন আমার এলাকার ছেলে। পুরান ঢাকাইয়া পোলা। ভাল ছেলে। বাপের ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা। টিপিক্যাল পুরান ঢাকাইয়া ফ্যামিলি। কোটি টাকা আছে তবে পড়াশুনা নাই ফ্যামিলিতে। ওর বাপ তাই ছেলেকে ভার্সিটিতে পড়ানোর জন্য নর্থ সাউথে ভর্তি করিয়ে দিল। টাকা আছে তাই সেটা সমস্যা না। ছেলে সেখানে গিয়ে একটু চোস্ত ইংলিশ শিখবে এটাই চাচার আশা। তার ফ্যামিলির একটু ইজ্জত বাড়বে। কোন এক কোর্সে মুবিন আর সিনথিয়ার এসাইনমেন্ট গ্রুপ এক ছিল। সেখানে এসাইনমেন্ট করতে গিয়ে মুবিন সিনথিয়ার প্রবলেম শুনে প্রথম। ভাল ছেলে তাই হেল্প করার মেন্টাটিলিটি থেকে ও বলে আমার এক বড় ভাই আছে, যে তোমাকে হেল্প করতে পারে। সিনথিয়া নাকি তখন বলছিল মুবিন তুমি জান না ছেলেটা কতটা বদমাশ। মুবিন নাকি উত্তরে বলছিল মাহফুজ ভাইকে তুমি চিন না। পুরান ঢাকায় জগন্নাথ ভার্সিটিতে ছাত্র সংগঠনের সেক্রেটারি হতে গেলে খালি ব্যাকিং থাকলে হয় না সাথে সাথে ক্যাডার হতে হয়। ভাই সব ঠিক করে দিব। মুবিনের এই আস্থাই সেদিন দুই পৃথিবীর প্রথম স্বাক্ষাত ঘটায়।
সন্ধ্যার পর ধানমন্ডি এলাকায় আমি আড্ডা দিই মাঝে মাঝে মুবিন সেটা জানত। সেখানেই প্রথম নিয়ে আসে সিনথিয়া কে মুবিন। একটা কফি শপের বাইরে রাস্তায় আড্ডা দিচ্ছি। মুবিন ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল ভাই কি ধানমন্ডি। হ্যা উত্তর দেওয়ার পর ও বলল ভাই একটু থাকেন আধাঘন্টার মধ্যে আসতেছি। একটু দরকার ছিল। সেখানেই মুবিন হাজির। সিনথিয়াদের গাড়িতে। আমরা কয়েকজন রাস্তায় আমাদের বাইক পার্ক করে আড্ডা দিচ্ছি। হাতে চায়ের কাপ, কার হাতে সিগারেট। রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলো আর সামনের ক্যাফে থেকে কাচের দরজা ভেদ করে আসা আলো এর মাঝে রাস্তায় একটা আলো আধারি। এর মাঝে কাল একটা কার থামল। এই দোকানটা ধানমন্ডি এলাকার কম বয়েসি পয়সাওয়ালা ছেলেমেয়েদের আড্ডার জায়গা। তাই এই জায়গায় একটু পর পর গাড়ি থামে। ছেলেমেয়েরা নামে বা উঠে চলে যায়। তাকানোর কিছু নেই। তবে এবার খোলা দরজা দিয়ে সবুজ সালোয়ার কামিজ পড়া একটা মেয়ে নামতেই চোখ আটকে গেল। কিছু একটা ছিল যেন মেয়েটার মাঝে। সৌন্দর্য, কনফিডেন্স সব মিলে চোখ আটকে গেল। রাস্তায় মেয়ে গেলে চেক আউট তো কত করি কিন্তু এইবার একদম চোখ আটকে গেল নিশানায়। রাস্তার আলো আধারিতে মনে হচ্ছে যেন এই সবুজ কামিজটা বুঝি খালি এই মেয়েটার জন্য তৈরি হয়েছে।
সাধারণত গাড়ি থেকে নামা ছেলেমেয়েরা আমাদের এড়িয়ে ক্যাফেতে ঢুকে যায় এই মেয়েটা দেখি আমাদের দিকে আসছে। আরেকটু ভাল করে তাকাতেই দেখি মেয়েটার পিছনে মুবিন। কাছে এসে মুবিন প্রথম কথা বলল। ভাই আসসালামুলাইকুম। এতা সিনথিয়া, আমার ফ্রেন্ড। ও একটা ঝামেলায় পড়ছে। আমি বলছি মাহফুজ ভাইকে বললে ভাই সমাধান করে দিবে। মুবিন কথা বলছে আর আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি। শার্প চেহারা আর কি কনফিডেন্স যেন চোখে মুখে। জিজ্ঞেস করলাম কি সমস্যা বলেন আপনি। সিনথিয়া বলল ভাইয়া আমাকে তুমি করে বলেন আমি আপনার ছোট হব আর আপনি মুবিনের বড় ভাই। সেই থেকে শুরু। গলার স্বর শোনার পরেই যেন আমি হুকড আপ। আর কোন মুক্তি নেই এখান থেকে। আমি আটকে গেলাম।
বাংলাদেশে কি বিশাল বৈপরীত্য। সিনথিয়ার মত হাইক্লাস কনফিডেন্ট মেয়েও একটা ফাউল ছেলের থ্রেটে মুষড়ে পড়ে। মেয়েরা এত আগানোর পরেও সমাজের চোখ রাংগানির ভয়ে এই একটা জায়গায় ভয়ে কুকড়ে যায়। যাবেই না কেন? গরীব বড়লোক, শিক্ষিত অশিক্ষিত যে পরিবার থেকেই আসেন না কেন এই একটা জায়গায় দিন শেষে দোষটা পড়ে মেয়েটার কাধে। আমি এইসব জায়গায় এমনিতেও মেয়েদের পক্ষে। রাজনীতিতে আমাকে নিয়ে অনেক কথা আছে কিন্তু মেয়েদের ব্যাপারে আমি ক্লিন। বাবা অনেক আগেই বলে দিয়েছিল, বাপ রাজনীতিতে ভাল করতে চাইলে মেয়ে মানুষের দূর্নাম গায়ে লাগতে দিবি না, এটা লাগলে সামনে আগানো কঠিন। তারপর সিনথিয়া যখন বলল প্লিজ ভাইয়া কিছু একটা করেন তখন ওকে না বলার সাধ্য আমার ছিল না।
ঘটনা সমাধান করতে আমার লেগেছিল দুই দিন। ঐছেলের বন্ধু বান্ধব সব মহাখালি এলাকার ছিছড়ে পোলাপাইন। যে কোন এলাকায় কিছু করতে গেলে ঐ এলাকার কমিটি কে জানিয়ে করা ভাল তাই তীতুমীর কলেজের সেক্রেটারি কে সাথে নিয়ে খোজ বের করলাম। দাবড়ানি দিতেই বলল ভাই আমরা ওর সাথে নাই আপনি যা খুশি করেন। আর ছেলেটাকে ধরে এক অন্ধকার গলিতে নিয়ে দুই একটা চড় থাপ্পড় মারতে প্রথমে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এরপর যখন পরিচয় দিয়ে বললাম সিনথিয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে লাশ খুজে পাওয়া যাবে না তখন একদম ঠান্ডা হয়ে গেল। মাফটাফ চেয়ে বলল ভুল হয়ে গেছে আর কখনো করবে না। এই ঘটনার পর সিনথিয়া যখন সামনা সামনি এসে ধন্যবাদ দিল তখন ওর চোখে একটা মুগ্ধতা ছিল। পরে সিনথিয়া বলেছিল আমার মত ছেলেদের সব সময় এড়িয়ে চলতে শিখে এসেছে ও। তাই যখন মুবিন সাহায্য নেওয়ার কথা বলছিল তখন দো’মনা করছিল ও কিন্তু এত ডেসপারেট ছিল যে শেষ পর্যন্ত আমার কাছে এসেছে। পরে আমার সাথে কথা বলে বা আমার সাহায্যে সমস্যা সমাধান হওয়ায় ওর মনে হল এতদিন যা যা শুনে এসেছে আমার মত ছেলেদের সম্পর্কে সব বুঝি মিথ্যা। আমি বুঝি ওর বই থেকে উঠে আসা নাইট ইন এ শাইনিং আর্মর।
আমাদের প্রেম হতে সময় লাগে নি। মাস দু’য়েক। সিনথিয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ছিল অপজিট এট্রাক্টস। ওর এতদিনের চেনাজানা ছেলেদের থেকে আমি আলাদা। আমার চেহারায় একটা রুক্ষ ভাব সব সময় ছিল। আমি যথেষ্ট লম্বা। পাচ এগার হব। কলেজে থাকতে মারামারি করে পাওয়া গালে একটা কাটা দাগ যেন চেহারায় আর রুক্ষ একটা ভাব এনে দিয়েছে। ঘাড় অব্দি চুল, রুক্ষ চেহারায় আমার মাঝে নাকি একটা রহস্য রহস্য ভাব আছে সিনথিয়া বলে। আর বলে এই রুক্ষ রাগী চেহারা নিয়ে আমি যখন মাঝে মাঝে হাসি দিই তখন নাকি এমন একটা রহস্য তৈরি হয় যে, যে কোন মেয়ের নাকি ইচ্ছা করবে গোয়েন্দা হয়ে সে রহস্য ভেদ করতে। আর কেউ সেই রহস্যের ফাদে পড়ুক না পড়ুক সিনথিয়া যে পড়েছিল এটা নিশ্চিত। আর আমার ক্ষেতে প্রাথমিক মোটিভেটর ছিল চিরন্তন মেল হরমোন। এমন মেয়ের প্রেমে না পড়ে পাড়া যায়? পাচ ফুট পাচ। ফর্সা, ধারালো চোখ মুখ নাক। গলার স্বরে যেন বুকে ছুরি বসে যায়। আর? আর ওর ফিগার। এমন কোন রিভেলিং ড্রেস যে পড়ত তা না কিন্তু এর মাঝেও বোঝা যেত ভিতরে একটা চিতা লুকিয়ে আছে। স্কুল লাইফ থেকে মেয়েদের চেক আউট করে করে অভিজ্ঞ চোখ। তখন মোটে ১৮ বা ১৯ বয়স ওর। পাপড়ি থেকে ফুল ফুটে নি তখনো। তখনি ওর বেশ ধারালো বুক। ৩২ বি হবে হয়ত। পিনন্নীত পয়োধর। আর পিছন দিক? উফ। গুরুনিতম্বিনী। জামা ভেদ করে আসা বিশাল নিতম্ব না। তবে ওর শরীরের সাথে মানান সই। ওর পিছনে হাটলেই চোখে পড়বে। সব সময় সোজা হয়ে হাটে সিনথিয়া। তাই পিছন থেকে দেখলে মনে হয় ফর্সা লম্বা ঘাড়, এরপর পিঠ, আর ঠিক এরপর পরেই যেন উচু হয়ে আসা একটা পাহাড়। ঘাড়ের উপর আলতো করে পড়ে থাকা চুলের গোছা আর কোমড় থেকে উচু হওয়া নিতম্ব কোনটায় যে চোখ যাবে বুঝে পায় না। আমার ওর পিছনে দাড়ালেই মনে হয় জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে চুমু দিই। এরপর চুমুর রেলগাড়ি চালিয়ে পিঠ থেকে নিচে নেমে আসি। আর ওর নিতম্বে গিয়ে চুমুর বন্যা বইয়ে দিই। জিন্স পড়লে ওর পিছন টা যেন ঝলসে দেয় চোখ। বডি ফিটিং জিন্স একদম জড়িয়ে ধরে থাকে ওর পাছা। মনে হয় আমিই যেন জিন্স হয়ে যায়। জড়িয়ে ধরে মিশে যাই মনহরনী নিতম্বের মাঝে। তাই মেল হরমোন বলুন আর সৌন্দর্যের জয় বলুন সিনথিয়ার প্রেমে আমার না পড়ে উপায় ছিল না।
*****************************
আপনাদের মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা
•
Posts: 28
Threads: 0
Likes Received: 20 in 14 posts
Likes Given: 19
Joined: May 2021
Reputation:
3
গল্পটা পড়তে গিয়ে চরিত্রগুলোকে যেনো বাস্তবে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। আমার মতে বাংলা ইরোটিক সাহিত্যের top 5 এ অনায়াসে জায়গা করে নিতে পারবে গল্পটা। ধন্যবাদ লেখক কে আমাদের এমন একটা masterpiece উপহার দেয়ার জন্য। পাঠক হিসেবে আমার একটাই একান্তই ব্যক্তিগত একটা চাওয়া থাকবে গল্পের কোনো একটা অংশে যেনো সিনথিয়া এর সাথে মাহফুজ এর অন্তরঙ্গ মূহুর্তের বর্ণনা থাকে। বাকি নারীদের পাওয়ার পরও মাহফুজের তার আসল ভালোবাসার মানুষের প্রতি কতোটা টান সেটা ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এটা বিশেষ ভূমিকা রাখবে আশা করি। আপডেটের অপেক্ষায় রইলাম।
Posts: 55
Threads: 0
Likes Received: 27 in 26 posts
Likes Given: 3
Joined: Dec 2022
Reputation:
0
বড়ো অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছি, কবে আসবে?
Posts: 64
Threads: 0
Likes Received: 38 in 28 posts
Likes Given: 341
Joined: Mar 2019
Reputation:
2
(08-03-2024, 01:33 AM)কাদের Wrote: আমি ব্যক্তিগত একটা ঝামেলার কারণে একটু অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। লেখা বন্ধ হয় নি। মানসিক অস্থিরতার মাঝে লেখা যায় না তাই আপডেট আসছে না। আর কবে পরের আপডেট আসবে সেটা এই মূহুর্তে বলতে পারছি না। সব নির্ভর করছে সমস্যার সমাধানের উপর।
** গালাগালি করতে পারেন তবে লাভ নেই, এই অবস্থায় লেখা সম্ভব না আমার পক্ষে।
***আর যারা ধৈর্য্য ধরছেন তাদের কে ধন্যবাদ।
আপনি আগে স্থির হোন ভাই, নিজেরে সময় দেন।।। আমরা আছি সাথে সমস্যা নাই, শুধু অনুরোধ যে নিজের প্রতি খেয়াল, সম্মান দুই ই রাইখেন,; আর গুটিকয়েক মানুষের নিগেটিভ কথায় রাগ করে এত এত মানুষের থেকে দূরে সরে যাইয়েন না।।। আমরা অপেক্ষা করতে রাজি আছি, কিন্তু আপনারে হারাইতে রাজি নই।।
Posts: 63
Threads: 0
Likes Received: 54 in 38 posts
Likes Given: 362
Joined: Jul 2023
Reputation:
1
(05-01-2024, 12:43 PM)mozibul1956 Wrote: Kader vai tomake selam.porchi.
(10-03-2024, 08:51 PM)NehanBD Wrote: আপনি আগে স্থির হোন ভাই, নিজেরে সময় দেন।।। আমরা আছি সাথে সমস্যা নাই, শুধু অনুরোধ যে নিজের প্রতি খেয়াল, সম্মান দুই ই রাইখেন,; আর গুটিকয়েক মানুষের নিগেটিভ কথায় রাগ করে এত এত মানুষের থেকে দূরে সরে যাইয়েন না।।। আমরা অপেক্ষা করতে রাজি আছি, কিন্তু আপনারে হারাইতে রাজি নই।।
•
Posts: 63
Threads: 0
Likes Received: 54 in 38 posts
Likes Given: 362
Joined: Jul 2023
Reputation:
1
ভাই সেলাম। আর কতবার পড়লে তোমার মন ভালো হবে।আর কতবার পরলে তুমি আপডেট দিবে ভাই।আমি পড়তেই থাকবো।
Posts: 91
Threads: 0
Likes Received: 89 in 52 posts
Likes Given: 276
Joined: Dec 2021
Reputation:
4
12-03-2024, 12:07 AM
(This post was last modified: 12-03-2024, 12:08 AM by bluesky2021. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
কবে যে আসবে আপডেট জানি না!!
অপেক্ষার প্রহরও তো ফুরায় না!!
Posts: 23
Threads: 0
Likes Received: 19 in 13 posts
Likes Given: 14
Joined: Nov 2022
Reputation:
3
এই মাসে আর আপডেট আসার সম্ভাবনা নাই
Posts: 628
Threads: 0
Likes Received: 318 in 259 posts
Likes Given: 1,307
Joined: Dec 2021
Reputation:
13
কাদেরভাই প্রত্যেক দিন সবার আগে এই সাইটে যখন আসি তখন আপনার গল্প দেখি যে আপডেট এসেছে কিনা, আপনাকে খুব মিস করি, জানিনা আপনার সমস্যা কেমন এবং এর সমাধান কি? আপনাকে খুব মিস করছি আপনার সমস্যা দূর হোক এই কামনা করছি খুব আন্তরিক ভাবে।
Posts: 23
Threads: 0
Likes Received: 21 in 17 posts
Likes Given: 1
Joined: Sep 2023
Reputation:
3
I wish Kader Bhai will come out of all the problems he is facing in everyday life and soon back among with us with full of mental peace.
Posts: 83
Threads: 0
Likes Received: 60 in 42 posts
Likes Given: 234
Joined: Jul 2022
Reputation:
12
রমজান মাসে আপডেট না আসলে অবাক হবো না।
|