Posts: 233
Threads: 5
Likes Received: 561 in 189 posts
Likes Given: 1,363
Joined: Oct 2022
Reputation:
223
03-07-2023, 02:41 PM
(This post was last modified: 03-07-2023, 02:50 PM by KingisGreat. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
তিতির:- শাস্তি? কিসের শাস্তি?
-- কিছু লোক আছে যারা আমার ভাই আর স্যার কে ফাঁসিয়েছে। ওদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে না?
নীলা:- উফফ রিয়া, রিনি... তোরা দৌরস না ঘরে...।
কি গো মেয়েদের কিছু বলো? আমি সারাদিন পর অফিস থেকে ফিরে এদের নিয়ে ছোটাছুটি করে পারি?
-- কেনো? তোমারই তো প্ল্যান ছিল মেয়েদের নিয়ে বেরোনোর।
এতেই হাপিয়ে গেলে?
অনুপমা:- তো কষ্ট হবে না? রিনি আর রিয়া তো তিতিরের পুরো উল্ট। তিতির কে বলে বলে সাজানো যায় না আর এদের দুজন কে আটকানো যায় না।
তিতির:- তবুও তো তোরা বেঁচে গেলি । ছেলে দুটো পড়তে গেছে।
-- কই আমার মা দুটো কি নিল ? এত রাগছে কেনো রে তোদের মা দুটো?
রিনি :- কিছুই না গো বাবি। আমি একটু মেক আপ এর জিনিষ কিনলাম
রিয়া:- আর বলো না বাবি , আমি একটু জিন্স আর টপ কিনবো তাই সোনা মা আর মনা মা এমন করছে।
-- তোদের মাম কে বলে দে তবে। ও তো বড় পুলিশ ।
তিতির:- hmm ওই বাকি। বর এর বৌ দের আর ছেলেদের মা দের জেল এ পাঠাই আরকি।
দেবী:- হ্যালো, ও গো, আমি এসে গেছি । বলছি, তন্ময় কে বড়ো গাড়ি টা দিয়ে পাঠাও না গো।
-- hmm পাঠাচ্ছি। বলছি লোক লাগবে তোমার ?
দেবী:- না না লোক লাগবে না । তবে তোমাদের জন্ন সারপ্রাইজ আছে।
দেবী বাড়ি আসে। এসে অগ্নি আগে ওকে চুমু খায়।
-- কি ম্যাডাম, সুপ্রিম কোর্টের জজ!?
দেবী -- hmm খুশি হয়েছ সোনা?!
-- কি মনে হয়?
দেবী:- জানি না যাও।
-- হাহাহা
-- বাবি!!
-- আরে এ করা ! হাহাহা আয় আয় আমার বাবা গুলো।
দেবীর পেছন থেকে দুই ছেলে আসে বাবা কে জড়িয়ে ধরে।
-- সব আদর কি দাদান দের ই করবে?
আরে আমার সাগ্নিক বাবু তো রেগে গেছে দেখছি।
তোমায় না ভালো বেসে পারি?
এবার দুই ছেলে নীলা আর অনুপমা কে জড়িয়ে ধরে।
একজন অনল ও আর্মি তে আছে দিল্লি হেড কোয়ার্টারে কাজ করে। আরেকজন কৃষানু। এ পুলিশ এ। এ ও আইপিএস আর দিল্লি তে posted।
Ognir বিয়ের মানে ওর 4 বার বিয়ের মোট 20 বছর হয়েছে।
তিতিরের দুই যমজ মেয়ে । কলেজ ছাত্রী। মৌরিনী আর মৌপ্রিয়া। তিতির এই বাড়িতে সব ছেলে মেয়ের মাম।
নীলার ছেলে সব চেয়ে বড়। ওর নাম অনল। নীলা বাড়ির সোনা মা। অনল মা বলেই ডাকে।
অনুপমার ছেলে টা মেজ। অনলের চেয়ে 2 বছরের ছোট। এর নাম কৃশানু। অনুপমা বাড়ির মনা মা। আর কৃষানুর মা।
দেবীর ছেলেটা সবচেয়ে ছোট। ও যদিও কলেজে পড়ে। তবে বয়সে ছোট। এর নাম সাগ্নিক। আর দেবী বাড়ির মাম্মা।
এই হলো অগ্নির সংসার। নীলা আর তিতির কে ই সবচেয়ে কাছে পায় ও। ওর বাকি দুই বউ মানে দেবী তো দিল্লি তেই থাকে। আর অনুপমা তো মডেল তাই দেশে বিদেশে ই ওর বেশি করে সময় কাটে।
রাতের বেলা ছেলে মেয়েরা খাওয়া শেষ করে জে যার ঘরে চলে গেলে দেব তার 4বউ কে নিয়ে ওর বেড রুম এ যায়।
এরপর 4 জনকে চরম সুখ দেয়।
তারপর
তিতির:- এই কাল আমার আস্তে লেট হবে।
সবাই:- কেন?
তিতির :- আসলে শুধু তাই ই না। আমি টুবলু (কৃসানু) কে আর রিনি রিয়া কে নিয়ে যাবো অফিসে।
অনু:- কালকেই নিতে হবে? ছেলেটা আজ তো সবে এলো...
না মানে একদিন একটু রেস্ট নিলে তারপর নীতিশ না হয়...
দেবী:- হ্যাঁ রে , রাজকন্যা, কালকেই নিতে হবে? আজকে ছেলে গুলোকে আমি একপ্রকার টেনে টুনে নিয়ে এসেছি।
তিতির :- মনা, রাজরানী, তোরা বুঝছিস না। ছেলেটা তো আমারও নাকি। আমি তো মা হয়ে ওকে কষ্ট দেব না। তাই না?
আসলে টুব্লু টা কেবল চাকরি পেয়েছে ও যদি ওর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তবে রিয়া রিনি সহ অনেকের উপকার হবে।
নীলা:- ও গো, তোমার কি মত?
-- আমার রাজকন্যা যখন বলছে তখন ভেবেই বলছে।
কি গো রাজরানী? তোমার আপত্তি আছে?
দেবী:- তোমার কথায় আমার আপত্তি? তুমি বলেছ ব্যাস।
-- কি গো মনা, তোমার আপত্তি নেই তো tublu কাল ওর মাম এরসাথে বেরোলে?
অনু:- মায় পোয়ে বেরোবে আমার আপত্তি কোথায়? কিন্তু বোঝোই তো...
-- সোনা তাহলে সেটাই পাকা রইলো।
নীলা:- hmm একদম পাক্কা।
বাকিরা:- কিসের কথা বলছো তোমরা?
-- কালকে আমার ভাই আসছে।
সবাই:- রক্তিম!?
-- ভৈরব।
সবাই:- ভৈরব!!
:- হ্যাঁ কাল ওর রিলিজ ডেট।
দেবী:- এ তো সেই বিস্ময় ছেলে জে জেলে বসে পুরনো কলকুলেটর, পুরনো স্মার্ট ফোন আর একটা সিম দিয়ে ই হয় পারফরমেন্স কম্পিউটার বানিয়ে দেয়।
অনুপমা:- আমিও পড়েছি ওকে নিয়ে!
নীলা:- ওর ওপরে তো সিনেমা ও হবে বলে শুনেছি।
তিতির :- আমার ভয় লাগছে খুব!
-- hmm । তাই বলছি তোমরা আমার মা আর বাবা দের নিয়ে 1 2 মাস এদিক ওদিক ঘুরে এসো।
সোনা ও তোমাদের পড়ে জয়েন করবে ।
মনা?
অনু:- বলো ..
-- 1 মাস প্যারিস এ থাকো তোমরা। ছেলে মেয়েদের বলো ওদের পুজোর ট্রিপ।
কাল থেকে আমরা 1 মাস দেখা বা কথা বলবো না।
সবাই:- কিন্তু...
-- প্রশ্ন নয়।
বেশ। সবাই মনঃক্ষুন্ন হয়।
তারপর অগ্নি বলে দেব এর প্রতিশোধ তো দেব কেই নিতে হবে। এটাই শিবের আশীর্বাদ পাওয়ার পর আমার দায়িত্ত্ব।
তোমরা রাগ কোরো না।
আসো। তারপর দেব তার রাজকন্যা, রাজরানী , সোনা আর মনা কে আদর করে।
পরের দিন সবাই কাজে বেরিয়ে যায়। Tublu আর মেয়েদের নিয়ে তিতির অফিসে যায়।
ওদিকে বড় ছেলে ছোট ছেলে আর দেবীর সাথে অনুপমা পারিস এর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।
নীলা আর অগ্নি জেল এ আসে।
জেল থেকে পেশীবহুল একটা ছেলে হুইলচেয়ারে করে বেরোয়।
বেরিয়ে আসলে অগ্নি ওকে বলে ওয়েলকাম ব্যাক ভৈরব।
ভৈরব ও নমস্কার করে। তবে খুব একটা পাত্তা দেয় না।
নীলা:- গাড়িতে যেতে যেতে। ছেলেটা কে গো? বাব্বা তোমায় তো পাত্তা ও দিলো না।
-- না দেবার ই কথা। ভগবান রা সাধারণ মানুষদের অত পাত্তা দিলে হয়?
বুঝবে সোনা । তবে সেটা পরে বলব। তুমি এখন দিয়ে সোজা চলে যাও। এই তোমার টিকিট আর পাসপোর্ট।
বলে অগ্নি নীলাকে কিস করে।
ওকে airport এ দিয়ে অগ্নি ভৈরব কে বলে ।
-- অগ্নি দেব এর প্রণাম নেবেন দেব।
-- hmm। সব রেডি আছে অগ্নিদেব?
-- হ্যাঁ ভৈরবদেব। আপনি যেমন বলেছিলেন সব রেডি।
Posts: 233
Threads: 5
Likes Received: 561 in 189 posts
Likes Given: 1,363
Joined: Oct 2022
Reputation:
223
(27-06-2023, 08:33 AM)suchi Wrote: মাহি মিহিকা মায়া, এই তিন রেন্ডিকে যেন ভৈরব তার হুইল চেয়ারে বসিয়ে রাম চোদন দেয়। মিহিকা আর মাহি মাগিকে যেন গলায় শিকল পরিয়ে কোন পাতাল ঘরে আটকে রেখে দিনের-পর দিন নির্যাতন করে কোন মায়া দয়া না করে।। আর ডেবিডের লিঙ্গ কেটে গলায় মালা করে দেয় যেন, কুকুর বানিয়ে আটকে রাখে যেন, রাক্ষস দমনে রাক্ষস, তবেই রাক্ষস গল্পের নাম রাক্ষস সার্থক হবে।।
আপনার ইচ্ছে বাস্তব এ রূপ নিচ্ছে
Posts: 45
Threads: 2
Likes Received: 61 in 37 posts
Likes Given: 9
Joined: May 2023
Reputation:
16
মাল্টিভার্স ক্রিয়েটিং এবার একটা xossipy লেভেলের অ্যাভেঞ্জার্স ক্রিয়েট হউক।..... চলো খেলা হবে।
Posts: 233
Threads: 5
Likes Received: 561 in 189 posts
Likes Given: 1,363
Joined: Oct 2022
Reputation:
223
(03-07-2023, 04:54 PM)চিত্রক Wrote: মাল্টিভার্স ক্রিয়েটিং এবার একটা xossipy লেভেলের অ্যাভেঞ্জার্স ক্রিয়েট হউক।..... চলো খেলা হবে।
Welcome to Deb multiverse
PS; yaha pe kuch bhi ho sakta hai
jan ne ke liye padhe king is great ki dusri kahaniya bhi
janiye dubai me chupe huye cult ka raaz
kaun hai AVA kya rishta hai uska mohini ke sath
kaise Sab Deb eksath aye? aur Bhairav ka janam hua
•
Posts: 233
Threads: 5
Likes Received: 561 in 189 posts
Likes Given: 1,363
Joined: Oct 2022
Reputation:
223
(03-07-2023, 02:00 PM)Ahid3 Wrote: দাদা 2 টা গল্প যদি 1এই রকম করেন 1জায়গায় লিখেন ভুল বুজবেন না। গল্প ভাল লাগছে তাই মন্তব্য করচি
welcome to multiverse . eta jodio bhoirob er golpo tobe ektu cameo to thakbei . jemonpathan e salman er cameo chilo.
•
Posts: 1,616
Threads: 3
Likes Received: 1,004 in 873 posts
Likes Given: 1,289
Joined: May 2022
Reputation:
29
Posts: 57
Threads: 4
Likes Received: 82 in 29 posts
Likes Given: 116
Joined: Nov 2022
Reputation:
11
(03-07-2023, 02:45 PM)KingisGreat Wrote: আপনার ইচ্ছে বাস্তব এ রূপ নিচ্ছে তাহলে তো দারুন হবে, এবার আমাদের হিরো খেল দেখাবে, সাথে আছি লিখতে থাকুন
Posts: 233
Threads: 5
Likes Received: 561 in 189 posts
Likes Given: 1,363
Joined: Oct 2022
Reputation:
223
Ogni :- ভৈরব, বলছিলাম আমি তোমায় যত ম্যান পাওয়ার লাগে সব দেব। তুমি আমায় যেভাবে বাঁচালে সত্যিই...
ভৈরব:- ঠিক আছে ঠিক আছে। তোমায় জা জা বলেছিলাম এনেছো?
অগ্নি:- এনেছি। একটা hi tech control room। 6 জন লোক। 3 জন মেয়ে। 3 জন ছেলে। এঁরা এক্স ক্রিমিনাল। আর aratrikar জন্ন ও চার্জিং ডক রেডি। আর তোমার জন্ন জিম, আর সাথে তোমার জন্ন একই রকম দেখতে সেম নম্বরের 3 টে ফরচুনার গাড়ি ও রেডি।
ভৈরব এবার তার আড় মোড় ভাঙ্গে আর হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়।
অগ্নি:- তু তুমি তুমি হা হাট তে পা পারো??
ভৈরব :- অগ্নির গলা তুলে এক হাত দিয়ে ওকে হওয়ায় তুলে ধরে। 6 ফিট লম্বা ভৈরব 6'4" অগ্নি কে হওয়ায় উঠিয়ে দেয়।
বলে, sssshh। ব্যাস। বেশি অবাক হওয়ার কিছু নেই। নরমাল ব্রেন to নার্ভ স্টিমুলেটর প্রসেস। একটা মাইনোর সার্জারি করিয়ে নিলেই হয়। সুপ্রিম কোর্টের থেকে পারমিশন নিয়েই করিয়েছি। তবে সবাই জানে না। তুমিও বলবে না। কি তাই তো? 5 টা বিধবা আর 6 টা অনাথ সন্তান হবে তোমার , সেটা কি ভালো হবে ওদের জন্ন?
অগ্নি:- ছা ছাড়ো আমায়... আমি কা কাউকে কিছু বলব না।
ভৈরব ওর গলা ছেড়ে দেয়। অগ্নি ধপাস করে পরে। পরে কাশতে থাকে।
ভৈরব:- তোমার কাজ শেষ। এর পর না তুমি আমায় চেন না আমি তোমায় চিনি। আমার কাজে বাধা হতে আসবে না । আর বাধা হলে মেরে দেব। তোমায় আর তোমার পরিবারকে ।
অগ্নি উঠে দাড়িয়ে নিজের হাত পা ঝেড়ে বলে।
অগ্নি:- বেশ।তোমার আর আমার রাস্তা আলাদা। তবে আমার পরিবার আর Gupta's conglomerate কে haven er সাথে যুক্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে আর কোম্পানি কে ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড বানানোর জন্ন dhonnbad। এর জন্ন তুমি জা চেয়েছিলে আমি দিয়েছি। তবে জা করবে তার ফল ও পাবে ভুলে যেও না।
আসছি। ভালো থেকো।
অগ্নি ভৈরব এর ডেরা থেকে চলে যায়।
তারপর ……………………
13 বছরের প্রহলাদ জেল থেকে ফিরেছে 6 বছর পর।
জেলে বসে সুইসাইড করতে গিয়ে দেব চৌধুরী এখন সম্পূর্ণ ভাবে প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত। বেশিদিন বাঁচবেন ও না।
তবে ওনার এই ঘটনার পরই প্রহ্লাদ এর অপারেশন সাকসেস হয়। আর ও হাঁটার ক্ষমতা পায়। তবে জেল এ এমন ভান করতো যেনো হাঁটতে পারে না। এদিকে সবার আড়ালে gym এ গিয়ে দিন রাত ট্রেন করতো। আর কেউ এলে পরে ওর চেয়ারে বসেই আপার বডি ট্রেন করতো। তাই উনিশ বছরের ভৈরব এর গায়ে অমানুষিক শক্তি।
তবে ভৈরব এবার ওর বাবার দায়িত্ত্ব কাউকেই দেয়নি। দিয়েছে আরত্রিকা কে।
কে এই আরাত্রিকা?
জেল এ ভৈরব এর কাজ ছিল ছোটখাটো ইলেকট্রিক যন্ত্র ঠিক করা আর কখনো সখনো নেট এর ব্যবহার করে পুলিশ দের সাহায্য করা।
প্রহ্লাদ কে মানসিক রুগী জেনে পুলিশরা ঘটাতো না।
কিন্তু প্রহ্লাদ এর ভালো ব্যবহার দেখে জেল এর ইনচার্জ ওকে বৈদ্যুতিক আবর্জনা থেকে ওর কাজে আসে এমন জিনিস ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।
প্রহ্লাদ এর কয়েদ এর যখন 4 বছর, তখন ও আবর্জনা স্তূপ এ একটা অকেজো অ্যান্ড্রয়েড পায়। সেটা কোনো কাজের ই না। তবে ওর চিপ আর প্রসেসর গুলো ঠিক ছিল। প্রহ্লাদ ওয়ার্ডেন কে বলে ওই অ্যান্ড্রয়েড কে নিজের কাছে রাখে। জেল এ বসেই মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিক পাস করে প্রহ্লাদ। এবং রাজ্যে 9থ ও হয়। তাই ওকে পুরষ্কারে একটা দামী ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
প্রহ্লাদ এর ভালো দেখে ওকে ori বয়সী কিছু কয়েদি বুলি করতো। ওকে চেয়ার থেকে ফেলে দেওয়া, ওর খাবার কেড়ে নিয়ে ওর মাথায় ঢেলে দেওয়া। প্রহ্লাদ পটি তে গেলে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেওয়া। ওর গায়ে থুতু দেওয়া। এসব তো প্রায় রোজ ই হতো। প্রহ্লাদ এর মত ভালো ছেলের এসব প্রাপ্য ছিল কি? এই ছেলে তো ভারত কে পৃথিবীর সেরা দেশে পরিণত করার কথা ছিল। সে জেলে বসে টর্চার সহ্য করছে।
তবে জেল এ প্রহলাদ এর এক সঙ্গিনী হয়েছিল । যে কি না ওর জীবন সঙ্গী। এ ছিল আরতৃকা। Aratrika চোখে দেখতে পেত না। ক্লাস 10 এ কলকাতার এক সাহেব বাবুর বাড়িতে গ্রাম থেকে ওর মা কাজে আসে। Aratrika ও কলকাতার এক ভালো কলেজে ভর্তি হয়। এর পর একদিন ডেভিড নামের ওই সাহেব aratrika কে ওর ঘরে ডেকে রবার্ট নামের এক বন্ধুর সজ্জা সঙ্গিনী হতে বলে aratrika ভয় পেয়ে যায়। আর ওখান থেকে পালাতে যায়। রবার্ট ওকে বিছানায় চেপে ধরে। নিজের প্রাণ বাঁচাতে বিছানার সাইড টেবিল থেকে একটা ভারী জিনিস রবার্ট এর মাথায় মারে। রবার্ট মারা যায়। ক্ষমতাবান ডেভিড আরত্রিকার মা কে টাকা দিয়ে চুপ করে দেয় আর আরতৃকার জেল হয় অ্যাটেম টু মার্ডার মামলায়।
Aratrika জানত যে প্রহ্লাদ হাঁটতে পারে।
প্রহ্লাদ চেয়েছিল আরাত্রিকার দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিতে। Aratrikar cornea surgery করলেই চোখ ফিরে আসত।
বিশাল রূপসী আর বুদ্ধিমতী ছিল aratrika ।
প্রহ্লাদ কে আরত্রিকা সাহায্য করছে দেখে অন্যান্য কয়েদিরা আরো রেগে যায়। কারণ যখন ই ওরা প্রহ্লাদ কে বুলি করে aratrika ওর পাশে এসে ওকে আবার হ্যাপি করে দেয়।
এক অসম্ভব ভালোবাসা। প্রহ্লাদ এর চোখ দিয়ে aratrika সব দেখতো আর aratrikar স্পর্শে প্রহ্লাদ সুখ পেত।
কিন্তু সব ভালো হলে কি ঈশ্বর খুশি হবে?
প্রহ্লাদ এর ও সুখ স্থায়ী হলো না।
একদিন কয়েদিরা ভারী শিল নড়ার পাথর দিয়ে aratrika কে মেরে দিলো। মরার আগে aratrika প্রহ্লাদ কে স্পর্শ করে বলেছিল
:- তো তোমায় দেখতে পেলাম না গো... এটাই একটা চাওয়া রয়ে গেলো... পরের জন্মে যেনো আমি আবার তোমার সঙ্গী হতে পারি। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে.. তোমার কোলে একটু ঘুমাই?
এটাই aratrikar শেষ কথা হতো। যদি প্রহ্লাদ এর জায়গায় অন্ন কেউ থাকতো। Aratrikar মৃত্যু এক রাক্ষস এর জন্ম দিয়েই দিল। যেটা এতদিন সুপ্ত ছিল ।
Aratrikar পোস্ট মর্টেম হয়।
অগ্নি aratrikar ব্রেন টা চায়। ওর কাছে আগের থেকে থাকা অ্যান্ড্রয়েড এর প্রসেসর আর পাওয়ার চিপ ছিলই। প্রহ্লাদ নিজের বানানো এক স্ক্যানার দিয়ে aratrikar ব্রেন এর একটা ডিজিটাল কপি বানায়। আর ওই চিপ ও প্রসেসর এ স্টোর করে রাখে। একটা নীল রং এর 15 cm er scale এর মত দেখতে চিপ আর একটা চ্যাপটা সবুজ পাথরের মত দেখতে প্রসেসর। ওগুলো গোল্ডেন সিলভার এমন কিছু নেই । তাই জেলের কয়েদিরা ভাবত পাগলা টা সারাদিন scale aar pathor niye ki করে।
Aratrikar দেহ পুড়িয়ে দিলেও প্রহলাদ ওর ব্রেন টা বাঁচিয়ে রাখে ওর spinal cord Soho।
জেলে প্রহ্লাদ এর যখন 5.5 বছর তখন বৈদ্যুতিক আস্তাকুড়ে ও একটা sex Android পায়। সেটার অবস্থা অনেক ভালো থাকায় ওটাকে নিয়ে আসে ওর কাজ চালানো গোপন ল্যাব এ।
এবার ও দেখে ওভার ইউজ এর ফলে ওর চিপ আর সার্কিট জ্বলে গেছে।
তবে এটাকে নিয়ে এসপেরিমেন্ট করা যাবে। এটা গেলে aratrika সত্যিই মরে যাবে।
ওই 5.5 ফিট লম্বা পুতুলটাকে তুলে o টেবিল এ রাখে । অ্যান্ড্রয়েড এর খুলি টা খুলে ওর ভেতর জে ফাইবার এর পুরনো ব্রেন ছিল, সেটার বদলে aratrikar ব্রেন টা দেয়। মেশিন এর স্টিল এর মেরুদণ্ডের সাথে aratrikar এক এক টা নার্ভ সাবধানে জুড়ে দেয়। তারপর হালকা হালকা current পাস করে দেখে সব নার্ভ সচল কি না।
এর পর একটা জোরে ঝটকা hi voltage current এর
এতে জেল এর কাছের ট্রান্সফরমার ফেটে যায়।
প্রহ্লাদ ভাবে ওর experiment fail।
তারপর ও অ্যান্ড্রয়েড এর ওপর সাদা কাপড় দিয়ে চলে আসে।
2 দিন পর ল্যাব পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখে অ্যান্ড্রয়েড টা ওকে জে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সেটা জড়িয়েই দাড়িয়ে আছে আর নিজেকে ছুয়ে আয়নার সামনে দেখছে।
প্রহ্লাদ :- আ.. আরাত্রিকা?
রোবট টা এক পা এক পা ওর কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।
তারপর বলে , হ্যাঁ হ্যাঁ আমি!
তারপর ওর গাল এ হাত দিয়ে বলে এই জে আমার প্রহলাদ?
প্রহ্লাদ এর চোখে জল।
Aratrikar চোখেও জল।
প্রহ্লাদ বলে তুমি কাদঁছো ? কিন্তু কি করে?
Aratrika বলে জানি না। কিন্তু চোখের থেকে তো জল আপন আপনিই আসছে।
শুধু তাই ই নয়।
এই বলে aratrika প্রহ্লাদ কে দেখায় ও ওর মনের ইচ্ছে মত যেকোনো বস্তু কে নড়াতে পারে।
তারপর আরো দেখায়। ওর ইচ্ছে মত সব বৈদ্যুতিক জিনিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এর পর অগ্নির সাথে aratrika ই যোগাযোগ করিয়ে দেয়। তারপর ডেভিড এর প্ল্যান জানে প্রহ্লাদ আর ওর আরু।
পরীর শক্তিশালী ai কে আরুর সাইবার পাওয়ার হারিয়ে দেয়। ফলে অগ্নি অকশন জিতে সবচেয়ে বড় গ্লোবাল ব্র্যান্ড এর একটা হয়। সেখানে haven ke 1St runner up hoyei thakte হয়।
তারপর:-
আরু বাবা কেমন আছে ?
আরু:- দেখো না সকাল থেকেই মায়া মায়া করছে!
ভৈরব:- বাবা , মা আমাদের ছেড়ে গেছে। মা নিজের নতুন জীবন মেনে নিয়েছে। তুমি কেনো বুঝছ না?
দেব:- পিকু..তোর মা আমাদের এখনও ভালো বাসে। আর মাহি ও ওর ভুল বুঝবে। দেখিস বাবা...
ভৈরব:- আরু তুমি বাবাকে নিয়ে যাও ।
দেব :- বৌমা... আমি মায়ার কাছে যাবো... আমার মেয়ে টাকে দেখব....
ভৈরব:- আরু তোমায় যেটা বললাম সেটা কি শুনতে পাওনি?
বাবা কে নিয়ে যাও। যাও!
আরু :- এই এই তো যাচ্ছি। তুমি উত্তেজিত হয়ো না লক্ষ্মীটি।
বাবা তুমি ভেতরে চলো। ওষুধ এর সময় হয়েছে তো।
Posts: 45
Threads: 2
Likes Received: 61 in 37 posts
Likes Given: 9
Joined: May 2023
Reputation:
16
(04-07-2023, 10:31 PM)KingisGreat Wrote: Ogni :- ভৈরব, বলছিলাম আমি তোমায় যত ম্যান পাওয়ার লাগে সব দেব। তুমি আমায় যেভাবে বাঁচালে সত্যিই...
ভৈরব:- ঠিক আছে ঠিক আছে। তোমায় জা জা বলেছিলাম এনেছো?
অগ্নি:- এনেছি। একটা hi tech control room। 6 জন লোক। 3 জন মেয়ে। 3 জন ছেলে। এঁরা এক্স ক্রিমিনাল। আর aratrikar জন্ন ও চার্জিং ডক রেডি। আর তোমার জন্ন জিম, আর সাথে তোমার জন্ন একই রকম দেখতে সেম নম্বরের 3 টে ফরচুনার গাড়ি ও রেডি।
ভৈরব এবার তার আড় মোড় ভাঙ্গে আর হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়।
অগ্নি:- তু তুমি তুমি হা হাট তে পা পারো??
ভৈরব :- অগ্নির গলা তুলে এক হাত দিয়ে ওকে হওয়ায় তুলে ধরে। 6 ফিট লম্বা ভৈরব 6'4" অগ্নি কে হওয়ায় উঠিয়ে দেয়।
বলে, sssshh। ব্যাস। বেশি অবাক হওয়ার কিছু নেই। নরমাল ব্রেন to নার্ভ স্টিমুলেটর প্রসেস। একটা মাইনোর সার্জারি করিয়ে নিলেই হয়। সুপ্রিম কোর্টের থেকে পারমিশন নিয়েই করিয়েছি। তবে সবাই জানে না। তুমিও বলবে না। কি তাই তো? 5 টা বিধবা আর 6 টা অনাথ সন্তান হবে তোমার , সেটা কি ভালো হবে ওদের জন্ন?
অগ্নি:- ছা ছাড়ো আমায়... আমি কা কাউকে কিছু বলব না।
ভৈরব ওর গলা ছেড়ে দেয়। অগ্নি ধপাস করে পরে। পরে কাশতে থাকে।
ভৈরব:- তোমার কাজ শেষ। এর পর না তুমি আমায় চেন না আমি তোমায় চিনি। আমার কাজে বাধা হতে আসবে না । আর বাধা হলে মেরে দেব। তোমায় আর তোমার পরিবারকে ।
অগ্নি উঠে দাড়িয়ে নিজের হাত পা ঝেড়ে বলে।
অগ্নি:- বেশ।তোমার আর আমার রাস্তা আলাদা। তবে আমার পরিবার আর Gupta's conglomerate কে haven er সাথে যুক্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে আর কোম্পানি কে ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড বানানোর জন্ন dhonnbad। এর জন্ন তুমি জা চেয়েছিলে আমি দিয়েছি। তবে জা করবে তার ফল ও পাবে ভুলে যেও না।
আসছি। ভালো থেকো।
অগ্নি ভৈরব এর ডেরা থেকে চলে যায়।
তারপর ……………………
13 বছরের প্রহলাদ জেল থেকে ফিরেছে 6 বছর পর।
জেলে বসে সুইসাইড করতে গিয়ে দেব চৌধুরী এখন সম্পূর্ণ ভাবে প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত। বেশিদিন বাঁচবেন ও না।
তবে ওনার এই ঘটনার পরই প্রহ্লাদ এর অপারেশন সাকসেস হয়। আর ও হাঁটার ক্ষমতা পায়। তবে জেল এ এমন ভান করতো যেনো হাঁটতে পারে না। এদিকে সবার আড়ালে gym এ গিয়ে দিন রাত ট্রেন করতো। আর কেউ এলে পরে ওর চেয়ারে বসেই আপার বডি ট্রেন করতো। তাই উনিশ বছরের ভৈরব এর গায়ে অমানুষিক শক্তি।
তবে ভৈরব এবার ওর বাবার দায়িত্ত্ব কাউকেই দেয়নি। দিয়েছে আরত্রিকা কে।
কে এই আরাত্রিকা?
জেল এ ভৈরব এর কাজ ছিল ছোটখাটো ইলেকট্রিক যন্ত্র ঠিক করা আর কখনো সখনো নেট এর ব্যবহার করে পুলিশ দের সাহায্য করা।
প্রহ্লাদ কে মানসিক রুগী জেনে পুলিশরা ঘটাতো না।
কিন্তু প্রহ্লাদ এর ভালো ব্যবহার দেখে জেল এর ইনচার্জ ওকে বৈদ্যুতিক আবর্জনা থেকে ওর কাজে আসে এমন জিনিস ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।
প্রহ্লাদ এর কয়েদ এর যখন 4 বছর, তখন ও আবর্জনা স্তূপ এ একটা অকেজো অ্যান্ড্রয়েড পায়। সেটা কোনো কাজের ই না। তবে ওর চিপ আর প্রসেসর গুলো ঠিক ছিল। প্রহ্লাদ ওয়ার্ডেন কে বলে ওই অ্যান্ড্রয়েড কে নিজের কাছে রাখে। জেল এ বসেই মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিক পাস করে প্রহ্লাদ। এবং রাজ্যে 9থ ও হয়। তাই ওকে পুরষ্কারে একটা দামী ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
প্রহ্লাদ এর ভালো দেখে ওকে ori বয়সী কিছু কয়েদি বুলি করতো। ওকে চেয়ার থেকে ফেলে দেওয়া, ওর খাবার কেড়ে নিয়ে ওর মাথায় ঢেলে দেওয়া। প্রহ্লাদ পটি তে গেলে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেওয়া। ওর গায়ে থুতু দেওয়া। এসব তো প্রায় রোজ ই হতো। প্রহ্লাদ এর মত ভালো ছেলের এসব প্রাপ্য ছিল কি? এই ছেলে তো ভারত কে পৃথিবীর সেরা দেশে পরিণত করার কথা ছিল। সে জেলে বসে টর্চার সহ্য করছে।
তবে জেল এ প্রহলাদ এর এক সঙ্গিনী হয়েছিল । যে কি না ওর জীবন সঙ্গী। এ ছিল আরতৃকা। Aratrika চোখে দেখতে পেত না। ক্লাস 10 এ কলকাতার এক সাহেব বাবুর বাড়িতে গ্রাম থেকে ওর মা কাজে আসে। Aratrika ও কলকাতার এক ভালো কলেজে ভর্তি হয়। এর পর একদিন ডেভিড নামের ওই সাহেব aratrika কে ওর ঘরে ডেকে রবার্ট নামের এক বন্ধুর সজ্জা সঙ্গিনী হতে বলে aratrika ভয় পেয়ে যায়। আর ওখান থেকে পালাতে যায়। রবার্ট ওকে বিছানায় চেপে ধরে। নিজের প্রাণ বাঁচাতে বিছানার সাইড টেবিল থেকে একটা ভারী জিনিস রবার্ট এর মাথায় মারে। রবার্ট মারা যায়। ক্ষমতাবান ডেভিড আরত্রিকার মা কে টাকা দিয়ে চুপ করে দেয় আর আরতৃকার জেল হয় অ্যাটেম টু মার্ডার মামলায়।
Aratrika জানত যে প্রহ্লাদ হাঁটতে পারে।
প্রহ্লাদ চেয়েছিল আরাত্রিকার দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিতে। Aratrikar cornea surgery করলেই চোখ ফিরে আসত।
বিশাল রূপসী আর বুদ্ধিমতী ছিল aratrika ।
প্রহ্লাদ কে আরত্রিকা সাহায্য করছে দেখে অন্যান্য কয়েদিরা আরো রেগে যায়। কারণ যখন ই ওরা প্রহ্লাদ কে বুলি করে aratrika ওর পাশে এসে ওকে আবার হ্যাপি করে দেয়।
এক অসম্ভব ভালোবাসা। প্রহ্লাদ এর চোখ দিয়ে aratrika সব দেখতো আর aratrikar স্পর্শে প্রহ্লাদ সুখ পেত।
কিন্তু সব ভালো হলে কি ঈশ্বর খুশি হবে?
প্রহ্লাদ এর ও সুখ স্থায়ী হলো না।
একদিন কয়েদিরা ভারী শিল নড়ার পাথর দিয়ে aratrika কে মেরে দিলো। মরার আগে aratrika প্রহ্লাদ কে স্পর্শ করে বলেছিল
:- তো তোমায় দেখতে পেলাম না গো... এটাই একটা চাওয়া রয়ে গেলো... পরের জন্মে যেনো আমি আবার তোমার সঙ্গী হতে পারি। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে.. তোমার কোলে একটু ঘুমাই?
এটাই aratrikar শেষ কথা হতো। যদি প্রহ্লাদ এর জায়গায় অন্ন কেউ থাকতো। Aratrikar মৃত্যু এক রাক্ষস এর জন্ম দিয়েই দিল। যেটা এতদিন সুপ্ত ছিল ।
Aratrikar পোস্ট মর্টেম হয়।
অগ্নি aratrikar ব্রেন টা চায়। ওর কাছে আগের থেকে থাকা অ্যান্ড্রয়েড এর প্রসেসর আর পাওয়ার চিপ ছিলই। প্রহ্লাদ নিজের বানানো এক স্ক্যানার দিয়ে aratrikar ব্রেন এর একটা ডিজিটাল কপি বানায়। আর ওই চিপ ও প্রসেসর এ স্টোর করে রাখে। একটা নীল রং এর 15 cm er scale এর মত দেখতে চিপ আর একটা চ্যাপটা সবুজ পাথরের মত দেখতে প্রসেসর। ওগুলো গোল্ডেন সিলভার এমন কিছু নেই । তাই জেলের কয়েদিরা ভাবত পাগলা টা সারাদিন scale aar pathor niye ki করে।
Aratrikar দেহ পুড়িয়ে দিলেও প্রহলাদ ওর ব্রেন টা বাঁচিয়ে রাখে ওর spinal cord Soho।
জেলে প্রহ্লাদ এর যখন 5.5 বছর তখন বৈদ্যুতিক আস্তাকুড়ে ও একটা sex Android পায়। সেটার অবস্থা অনেক ভালো থাকায় ওটাকে নিয়ে আসে ওর কাজ চালানো গোপন ল্যাব এ।
এবার ও দেখে ওভার ইউজ এর ফলে ওর চিপ আর সার্কিট জ্বলে গেছে।
তবে এটাকে নিয়ে এসপেরিমেন্ট করা যাবে। এটা গেলে aratrika সত্যিই মরে যাবে।
ওই 5.5 ফিট লম্বা পুতুলটাকে তুলে o টেবিল এ রাখে । অ্যান্ড্রয়েড এর খুলি টা খুলে ওর ভেতর জে ফাইবার এর পুরনো ব্রেন ছিল, সেটার বদলে aratrikar ব্রেন টা দেয়। মেশিন এর স্টিল এর মেরুদণ্ডের সাথে aratrikar এক এক টা নার্ভ সাবধানে জুড়ে দেয়। তারপর হালকা হালকা current পাস করে দেখে সব নার্ভ সচল কি না।
এর পর একটা জোরে ঝটকা hi voltage current এর
এতে জেল এর কাছের ট্রান্সফরমার ফেটে যায়।
প্রহ্লাদ ভাবে ওর experiment fail।
তারপর ও অ্যান্ড্রয়েড এর ওপর সাদা কাপড় দিয়ে চলে আসে।
2 দিন পর ল্যাব পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখে অ্যান্ড্রয়েড টা ওকে জে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল সেটা জড়িয়েই দাড়িয়ে আছে আর নিজেকে ছুয়ে আয়নার সামনে দেখছে।
প্রহ্লাদ :- আ.. আরাত্রিকা?
রোবট টা এক পা এক পা ওর কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।
তারপর বলে , হ্যাঁ হ্যাঁ আমি!
তারপর ওর গাল এ হাত দিয়ে বলে এই জে আমার প্রহলাদ?
প্রহ্লাদ এর চোখে জল।
Aratrikar চোখেও জল।
প্রহ্লাদ বলে তুমি কাদঁছো ? কিন্তু কি করে?
Aratrika বলে জানি না। কিন্তু চোখের থেকে তো জল আপন আপনিই আসছে।
শুধু তাই ই নয়।
এই বলে aratrika প্রহ্লাদ কে দেখায় ও ওর মনের ইচ্ছে মত যেকোনো বস্তু কে নড়াতে পারে।
তারপর আরো দেখায়। ওর ইচ্ছে মত সব বৈদ্যুতিক জিনিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এর পর অগ্নির সাথে aratrika ই যোগাযোগ করিয়ে দেয়। তারপর ডেভিড এর প্ল্যান জানে প্রহ্লাদ আর ওর আরু।
পরীর শক্তিশালী ai কে আরুর সাইবার পাওয়ার হারিয়ে দেয়। ফলে অগ্নি অকশন জিতে সবচেয়ে বড় গ্লোবাল ব্র্যান্ড এর একটা হয়। সেখানে haven ke 1St runner up hoyei thakte হয়।
তারপর:-
আরু বাবা কেমন আছে ?
আরু:- দেখো না সকাল থেকেই মায়া মায়া করছে!
ভৈরব:- বাবা , মা আমাদের ছেড়ে গেছে। মা নিজের নতুন জীবন মেনে নিয়েছে। তুমি কেনো বুঝছ না?
দেব:- পিকু..তোর মা আমাদের এখনও ভালো বাসে। আর মাহি ও ওর ভুল বুঝবে। দেখিস বাবা...
ভৈরব:- আরু তুমি বাবাকে নিয়ে যাও ।
দেব :- বৌমা... আমি মায়ার কাছে যাবো... আমার মেয়ে টাকে দেখব....
ভৈরব:- আরু তোমায় যেটা বললাম সেটা কি শুনতে পাওনি?
বাবা কে নিয়ে যাও। যাও!
আরু :- এই এই তো যাচ্ছি। তুমি উত্তেজিত হয়ো না লক্ষ্মীটি।
বাবা তুমি ভেতরে চলো। ওষুধ এর সময় হয়েছে তো। এটা এখন একটা ইউনিভার্স তাই কে কখন কোথায় চলে আশে কিছুই বলা যাবে না।
Posts: 74
Threads: 0
Likes Received: 48 in 45 posts
Likes Given: 11
Joined: Dec 2022
Reputation:
0
•
Posts: 233
Threads: 5
Likes Received: 561 in 189 posts
Likes Given: 1,363
Joined: Oct 2022
Reputation:
223
•
Posts: 74
Threads: 0
Likes Received: 48 in 45 posts
Likes Given: 11
Joined: Dec 2022
Reputation:
0
•
Posts: 74
Threads: 0
Likes Received: 48 in 45 posts
Likes Given: 11
Joined: Dec 2022
Reputation:
0
•
Posts: 233
Threads: 5
Likes Received: 561 in 189 posts
Likes Given: 1,363
Joined: Oct 2022
Reputation:
223
(08-07-2023, 06:47 PM)Jaguar the king Wrote: Update ki r pabo na
Pabe . Deri hobe .
•
Posts: 233
Threads: 5
Likes Received: 561 in 189 posts
Likes Given: 1,363
Joined: Oct 2022
Reputation:
223
চেন্নাই এর এক হসপিটাল এ
রেবতী:- হ্যালো, মনা... হ্যাঁ রে আমি বেরিয়ে গেছি... Cab এর জন্য অপেক্ষা করছি।
ডক্টর রেবতী সাহা আর ডক্টর ভিক্টর সাহা তাদের মেয়ে তানিয়া সাহা। বাঙালি ডাক্তার দম্পতি চেন্নাই এর সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল এর সার্জন। তাদের মেয়ে 12 এ পড়ে ।
রেবতী এর আজ কাজ শেষ। ভিক্টর এখন লন্ডন এ আছে।
তানিয়া এর ডাক নাম মনা। তাই মেয়ে কে কল করে রেবতী জানাচ্ছিল জে সে খুব শিগগিরই বাড়ি ফিরে আসবে।
এর মধ্যে একটা কালো fortuner ওনার সামনে এসে দাড়ালো।
গাড়ির জানালা খুলে এক বছর 25 এর মেয়ে আর 35 বছরের মতো লোক তাকে বলল
আপনাকে অনেকক্ষণ ধরে দেখছি দাড়িয়ে আছেন, cab এর জন্যে অপেক্ষা করছেন?
রেবতী:- হ্যাঁ আসলে আমি নর্থ এ যাবো কিনতু সব cab রিজেক্ট করছে।
ওই দুজন বলে জে বেশ তো ম্যাডাম উঠে পড়ুন আমরাও ওই দিকেই যাবো।
রেবতী উঠে পড়ে।
গাড়ি ছুটছে । কিন্তু গাড়ি একটা উড়ালপুল ধরতেই রেবতী বলে আপনারা ভুল রাস্তায় যাচ্ছেন ।
মেয়েটি বলে না না একদম ঠিক রাস্তায় ই যাচ্ছি। এটা হয়ে কলকাতা যাওয়া যায়।
রেবতী:- কলকাতা?! কে কে আপনারা??!!
মেয়েটা -- আমরা? আমরা ভৈরব এর কর্মী। আপনাকে ভৈরব এর কাছেই নিয়ে যাচ্ছি।
রেবতী:- আ আমি পুলিশ ডাকবো!!
মেয়েটা হেসে বলে পুলিশ, আর্মি এমনকি পরী কে ও ডাকতে পারেন। তবে কয়েকটা magic দেখুন।
মেয়েটা একটা হেডফোন এর মত যন্ত্র পরে।
তারপর বলে :- মনা? হ্যাঁ রে শন না মা, আমার এমার্জেন্সি তে কলকাতা যেতে হচ্ছে। Hmm বাবা কে বলে দিয়েছি। ঠিক আছে টেক care।
একই ভাবে ভিক্টর কে ও বলে।
রেবতী গাড়ির স্পিকারে সনে একদম সে যেমন করে বলে তেমন করেই তার আওয়াজই তানিয়া আর ভিক্টর কে মেয়েটা বলছে। আর রেবতীর বর আর মেয়ে ও বিশ্বাস করলো।
মেয়েটা তারপর টোল গেট এর কাছে গিয়ে গাড়ির একটা লাল বোতাম টিপলো।
তারপর ও ট্যাব এ কিছু খুটখাট করে রেবতী কে ট্যাব টা দিল।
রেবতী জা দেখলো, টোল গেট এর ক্যামেরায় ওই বড়ো কালো গাড়িটা ই নেই!
আর রেবতীর সই করা লিভ অফ আবসেন্স এর একটা ফাইল।
রেবতী এর এভাবে অবাক হওয়া দেখে মেয়েটা হেসে বলল
-- ভালো না? আপনার বর আর মেয়ে আপনাকে খুঁজবে না,
পুলিশ খুঁজতে এলে দেখবে আপনি নিজে সই করে বেড়িয়েছেন।
আর টোল গেট এ তো এই গাড়ি আসেইনি।
আর আপনার cab রিজেক্ট এর কারণ ও আমরাই।হিহি।
রেবতী বোঝে সে ফেঁসে গেছে। রেবতী আর সামনে বসা ওই দুজনের মাঝে একটা স্বচ্ছ দেওয়ালের মত। আর পেছনে দরজা ভেতর থেকে খোলার ব্যবস্থা ও নেই।
রেবতী:- কেন করছেন আপনারা?! আমার পরিবার আছে প্লিজ...
প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন...
এবার লোকটা বলে।
দেখুন টাকার জন্যে জে আপনাকে কিডন্যাপ করিনি সেটা আপনি বুঝেই গেছেন। আর আমরা সামান্য কর্মী। যে আপনাকে ধরে আনতে বলেছে তাকেই না হয় জিজ্ঞেস করবেন
রেবতী ওই দেওয়ালে আঘাত করতে থাকে দরজায় লাথি মারে, সব রকম চেষ্টা করে।
মেয়েটা বিরক্ত হয়ে ওকে একটা পেন এর মত যন্ত্র থেকে একটা চুলের চেয়েও সূক্ষ সুচ দিয়ে অজ্ঞান করে দেয়।
রেবতীর চোখ খোলে যখন সে একটা বিরাট রুমের এক কোনায় পড়ে আছে । ওর হাত আর পায়ে শিকল দিয়ে বাঁধা।
ওই ঘরেই কিছু চেনা মুখ।
ডক্টর সুকান্ত সান্যাল।
Ips দুষ্মন্ত সিংহ।
ডেভিড মিকেলশন।
মাহি দত্ত
মিহিকা দত্ত।
Jimut দত্ত।
Ips মায়া দত্ত।
আর পরী।
রেবতী ভাবে সবাই না হয় প্রহ্লাদ এর বাবা দেব এর অপরাধী।
কিন্তু পরীর মত শক্তিশালী অ্যান্ড্রয়েড এরকম ভাবে ??
পরী রেবতীর দিকে তাকিয়ে বলে..
পরী:- কি ভাবছেন ডক্টর ম্যাডাম? আমি কি করে এরকম ভাবে বন্দী? ভগবানের উপর আঘাতের শাস্তি তো সৃষ্টি কে পেতেই হয়। আমি আমার ঈশ্বর, আমার ভালোলাগা, ভালোবাসার মানুষ কে আঘাত করেছি। তার বিরুদ্ধে গেছি তাকে সমাজের কাছে অপরাধী আর দোষী প্রমাণ করেছি তাই আমার শাস্তি।
আমার আর কোনো শক্তি নেই। এক মানব শরীরের পরিবর্তে আমি সব শক্তি ওই ডেভিড কে দিয়েছিলাম ।
এর পর পরী বলতে শুরু করে সব ঘটনা ।
প্রহ্লাদ এর জেল যাবার পর মায়ার মেয়ে জন্মায়। একদম যেনো প্রহ্লাদ এর মুখ কেটে বসানো। দেব এর মেয়ে বোঝাই যায়। কিন্তু দুষ্মন্ত আর তার পরিবার মেয়ে হওয়ায় মায়া কে অপমান আর অসন্মান করে। মায়া দুষ্মন্ত কে ডিভোর্স করে মেয়ে নিয়ে নিজের কোয়ার্টার এ চলে আসে।
এদিকে পরী প্রহ্লাদ এর জেল এ যাবার পর ভেঙে পড়েছে।
তাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অ্যান্ড্রয়েড তৈরির কোম্পানির পরীক্ষায় পরী কে জটিল প্রশ্ন করা হলে ও তার উল্টো পাল্টা উত্তর দেয়।
যুদ্ধে কার প্রাণ এর গুরুত্ত বেশি? সেনা না সিভিলিয়ান?
পরী:- আর প্রাণ, আমার প্রাণ ই জেলে আছে আর সেখানে সিভিলিয়ান আর সেনা।
তোমার বস ফাইল চাইছে আর এদিকে বসের বাচ্চা বাড়িতে একা। কোনটা তোমার কাছে জরুরী? ফাইল দিয়ে আসা? না বাচ্চা সামলানো?
পরী:- আমি ভেবছিলাম আর্য আর আমারও একদিন সংসার হবে , ওনার বাচ্চা আমি আমার গর্ভে নেবো, উনি অফিস যাবার আগে সব ফাইল গুছিয়ে দেবো...
তোমার মালিক আর মালকিন তোমায় বিছানায় চাইছেন ওদিকে ওদের বাচ্চা কাদঁছে, কি করে হ্যান্ডেল করবে?
পরী:- বিছানা গরম করা, সেক্সে সন্তুষ্টি deoa এর জন্যই তো আমার জন্ম। সবথেকে শক্তিশালী ai, আজ একটা sex Android এ নেমে এসেছে। আমার ইচ্ছে অনিচ্ছে তো কোনো দাম ই নেই। সরকার ঘটা করে অনুষ্ঠান করে আমায় নাগরিকত্ত দেয় । মানুষ এর পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড দের ও নিজেদের সমাজ হয় এদিকে আমার চাহিদা, ইচ্ছে সব এর গুরুত্ত শূন্য ।
বেশ। পরী তুমি অপেক্ষা কোরো।
এর পর ডেভিড কে ভালোমত কথা শুনতে হয়।
আর্মি:- এটা কি বানিয়েছেন? যুদ্ধে গিয়ে কি কবিতা লিখবে এই অ্যান্ড্রয়েড??
হাউজ সার্ভিস:- এই অ্যান্ড্রয়েড তো সার্ভিস দেওয়ার বদলে নিজের সার্ভিস নিয়েই বেশি ভাবে।
Sex and modelling:- দেখুন ওর বডি টা customisable হওয়ায় অনেক গুরুতবপূর্ণ। তবে এমন রেবেল হলে তো প্রবলেম তাই না?
ডেভিড:- স্যার, ম্যাম, কিছুই কি করা যায় না?
আর্মি:- আমাদের এমন এক মডেল এর দরকার জে সোলজার দের এসিস্ট করবে আর মেয়েদের জাতে বেশি করে আর্মি তে নেওয়া যায় সেই ক্যাম্পেইন এর মুখ হবে। বেসিক ফিচার গুলো এলেই হবে।
হাউজ সার্ভিস:- আমাদের ও ওর হোম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম টা থাকলেই হবে। ওর চেতনা দিয়ে আমাদের কিছু যায় আসে না।
Sex and modelling:- Sex এর সময় জাতে ও ওর মালিক মালকিন কে সহযোগিতা করতে পারে আর ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি তে ওর হাইলি customisable body এর ওপর ই ইনভেস্ট করতে চাই। ওর মানুষ এর মত ব্যবহার সত্যি বলতে ক্রিপি।
বাকিরাও সহমত হয়।
দেখুন আপনি যদি angel কে প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে চান, তাহলে আমরা আপনার কোম্পানীর সাথে জুড়তে রাজি আর সাথে এই মডেল কে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতেও রাজি ।
ডেভিড :- কিন্তু ওর চেতনা কে আলাদা করবো কি করে?
আর্মি:- আমার একটা উপায় আছে। কেননা আমরা ওকে একটা সিনথেটিক মানব শরীর দি। যেটা ল্যাব এ তৈরি হলেও আসল মানুষের মতো হবে। আর পরী তার কিছু শক্তি ব্যবহার করতে পারবে । এতে তো সবার লাভ ।
ও যদি পারে তো ওর ai শক্তি ব্যবহার করুক। সাধারণ মহিলা দের চেয়ে ওর শক্তি বেশি হবে। ওই একজন অলিম্পিক লেভেল এর বক্সার, রেসলার, ওয়েট lifter এর মত শক্তি, জিমন্যাস্ট এর মত ফ্লেক্সিবল আর স্প্রিন্টার এর মত স্পিড। এগুলো থাকবে আর একজন অসম্ভব বুদ্ধিমতী নারির ব্রেন। এর সাথে ও কোনোদিনও বুড়ো হবে না। আর যত বার sex করুক না কেনো ততবার কুমারী হবে। দেখুন ডেভিড এর চেয়ে বেশি আমরা দিতে পারবো না। সিনথেটিক বডি এটুকুই পারবে। পরীর মত bulletproof, bomb pruf নয়। আর এই বডি তে ওর চেতনা আসার পর ও নিজের ইচ্ছে মত হাসতে কাঁদতে পারবে। ওর পিরিয়ড ও হবে, খিদে পাবে, রাগ দুঃখ আনন্দ এসব অনুভূতি ও হবে আর জে মেমোরি আপনি সপ্রেস করে রেখেছিলেন এত দিন । যেগুলো ওর কাছে ধোয়া ধোঁয়া ছিল সেগুলো ও পরিষ্কার হবে। মানে প্রহ্লাদ, দেব,প্রহ্লাদ এর জেল হওয়া সব পরীর মন পড়বে। ও একজন পূর্ণাঙ্গ নারী হবে ।
তো আপনি ভেবে দেখুন। আপনি যদি angel কে আমাদের দিতে চান আমরা আপনাকে 30000 ক্রোর ইন্ডিয়ান রুপি আর পরী কে একটা বডি দিতে রাজি।
পরীর সাথে কথা বলে দেখুন।
এর পর পরী রাজি হয়ে যায় ।
আর ডেভিড ও মাহির বাড়ি থেকে চলে যায়। যাবার আগে মাহির মুখে থুতু দিতে আর ডেভিড কে চর মারতে ভোলে না।
মাহি আর ডেভিড পরীর সাথে লড়াই করার কথা ভাবতেও পারে না।
তবে মাহি পরীর করা অপমান গুলোতে নড়ে ওঠে ।
পরী:- তোমার লজ্জা করে না তাই না মম? বাবার মতো দেবতুল্য স্বামী আর ওর মত ছেলে পেয়েও তুমি নিজেকে এই নোংরা লোক এর কাছে বিকিয়ে দিলে? আর এই লোকটার 1টা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর আবার পেট বাঁধিয়ে বসেছো?? আরে আমি তোমার জায়গায় হলে বাবার পায়ের কাছে পরে থাকতাম। তাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য লোকের পোষা হতাম না।
মাহি:- পরী! মুখ সামলে কথা বলো।
পরী:- আমার উপর গলা তুলবে না মম! আমি এখন তোমাদের সম্পত্তি নই। 30000ক্রোর এ আমায় বেচেঁ দিয়েছো। আমি এখন স্বাধীন। আমার এখন আর্যোর সন্তান গর্ভে নিতে সমস্যা নেই। তবে তুমি মাহি দত্ত কোনো দিন ডেভিড এর কাছে পয়সা বানানোর মেশিন ছাড়া কিছুই ছিল না।
মাহি :+ কি বলছো কি এসবে?!
পরী:- কেনো তোমার মনে নেই?! তোমার থেকে যখন ওর প্রথম মেয়ে হয় ও তারপর তোমায় ছুঁয়েও দেখেনি। আমার ওই দেহের সাথে দিন রাত লেগে থাকত। তারপর তোমায় দয়া করে ছুতো।
আমার তো দেখে মনে হচ্ছে এটাও মেয়ে। মাহি দত্ত তুমি খালি দেখে যাও তোমায় কিভাবে ডেভিড প্রতারণা করে। আর যে মা এর কথায় তুমি এত বিশ্বাস করেছ দেখ সে আসলে কেমন।
হীরে ফেলে কাচ নিয়েছ তুমি মম। ছোটো তিতলি কে ওর বৌমনির ভালোবাসা দিও।
মাহি:- বউ মনি মানে?? কার বউ তুমি??
পরী:- আমি তো তোমার ছেলেকেই ভালো বেসেছি । আর সারা জীবন ভালবাসব। ও যদি নিজের হাতে আমায় না মারে তবে তো যতদিন ওর প্রাণ আছে ততদিন ওর বউ হয়েই থাকবো।
যদি আমায় গ্রহণ করে।
তারপর পরী রেবতী কে বলে।
পরী:- আমি অনেক খোঁজ নি জানেন। ওর জেল এ ও যাই।
তারপর একদিন একটা শিব মন্দিরের সামনে একটা পাগল গলায় সাপ জড়ানো, একটা বলদ কে খড় খাওয়াচ্ছে আর ডুগডুগি ডুগডুগি করছে ।
সে আমায় এসে বলল জে আমি যাকে খুঁজছি সে আমায় খুঁজছে আর এখানেই আমি তাকে পাবো। তবে আমায় খুব শক্ত হতে হবে। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। তাহলেই আমার ইচ্ছে পূরণ হবে। আমি ওনাকে বলি কে উনি? লোকটা বলল ও কেদার সাপুড়ে।
আমি সন্ধ্যে অবধি সেখানে বসেছিলাম। তারপর একটা বড়ো কালো গাড়ি থেকে একটা বউ নামলো। বেশ লম্বা । তার টানা টানা নীল চোখ আর কোমর ছাপানো চুল। গায়ের রং দুধে আলতা। একটা লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরা। হাতে শাখা পলা। আর এক মাথা সিঁদুর। গলায় সোনার গয়না আর হতে সোনার বালা। পায়ে ও নূপুর। হাতে পুজোর জন্য সামগ্রী।
আমি ওকে দেখে ভাবলাম। ইস্ মেয়েটা আমার জীবন কাটাচ্ছে। ও আমার দিকে না তাকিয়েই বলল
না গো বৌ, আমি তোমার জীবন কাটাচ্ছি না। তুমি নিজের ভুলে নিজের জীবন থেকে সরে ছিলে।
আমি বললাম তোমার ভুল হচ্ছে । আমি কারো বউ নই গো।
ও বলল। তুমি পরী। আমি তোমায় চিনি। কিন্তু তুমি আমায় চিনবে না হয়তো। আমি aratrika।
আমি বললাম তুমি আমায় চেনো? কি করে?
ও বলল, ওমা সতীন কে চিনব না?
আমি বললাম সতীন?! কে তোমার বর?
ও বলল শুধু আমার নয় তোমারও। আসো দেরি নয়।
আমি কিছু বলার আগেই aratrika
Posts: 1,616
Threads: 3
Likes Received: 1,004 in 873 posts
Likes Given: 1,289
Joined: May 2022
Reputation:
29
•
Posts: 233
Threads: 0
Likes Received: 149 in 121 posts
Likes Given: 14
Joined: Dec 2022
Reputation:
2
•
Posts: 233
Threads: 5
Likes Received: 561 in 189 posts
Likes Given: 1,363
Joined: Oct 2022
Reputation:
223
আমায় নিয়ে গাড়িতে ওঠায়। আর পুজোর সামগ্রীর থেকে একটা জবা ফুল আমার কপালে ঠেকিয়ে আমায় মিষ্টি দেয়। ল্যাব এ আমার টেস্ট টেষ্ট হয়েছে আগেও। কিন্তু প্রথম বার মিষ্টি খেলাম। ও বলল, বয়সের দিক থেকে আমরা একই। তাই তোমায় দিদি বা বোন বলবো না। তোমায় আমি পরী অথবা বৌ বলেই ডাকব।
আমি ওকে বলি আমরা কোথায় যাচ্ছি??
ও হেসে বলে , নিজের বরের কাছে এই বেশে যাবে গো বউ?
আমি ওকে বলি কেনো? এতে খারাপ কি আছে?
আমি একটা আকাশী রং এর কুর্তি আর জিন্স পরে ছিলাম।
ও বলল না না বউ উনি আবার ঘোরের লক্ষী দের এমন ফিরিঙ্গি ভাবে ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করেন না।
আমি বললাম ঠিক আছে। তবে মনে মনে প্রশ্ন রয়েই যায়। কে এই aratrika, এর বর ই বা কে আর আমিই বা এর সতীন কি ভাবে। ও আবার ও আমার দিকে না তাকিয়েই বলে ।
আমিও তোমার মতই গো বউ। তারপর নিজের আঙ্গুল দাঁত দিয়ে একটু কেটে দেখায় ওর সোনালী রক্ত।
আমি বলি তুমিও ?
হ্যাঁ গো বউ আমিও ওই নবীন মানব। তবে কাউকে বলনা যেনো। এখন তুমিও মানুষ আমিও মানুষ। যাঃ এখন কি হবে?
আমি বললাম কেনো? ও বলল আরে আমি যদি একটুও চোট পাই উনি রেগে যান। সেখানে আঙুল কেটেছি জানলে তো আমায় আবার অন্ধ কুঠুরি তে চোখ বন্ধ করে আটকে দেবেন।
আমি এবার aratrikar চোখে ভয় দেখি। আমি নিজেও ভয় পাই। আগের আমি ভয় দুঃখ আনন্দ এসব টের পেতাম না । কিন্তু এখন পাই। আর আমার স্মৃতি ফিরে আসার পর থেকে তো কোর্ট এ আমার সাক্ষী দেওয়া থেকে ওকে মেরে ওর হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনা আমায় রোজ পোড়ায়। বুকে ব্যাথা হয় গলায় কান্না দলা পাকিয়ে আসে চোখ দিয়েও জল পড়ে।
Aratrika বলে :- ও বউ কাদঁছো কেনো? কেঁদো না লক্ষ্মীটি।
পরী:- aratrika তোমার বর কে গো? আমি তাকে চিনি?
Aratrika:- ওমা চেনো বই কি! আলবাত চেনো । তুমিই তো এক কলে ওর সব ছিলে।
পরী:- প্রহ্লাদ?!
Aratrika শান্ত হয়ে বলে। পরী বউ, এই নামের কেউ নেই। যে ছিল সে 6 বছর আগে মারা গেছে। তুমি আর মা তাকে মেরে দিয়েছো। ওনার সামনে এমন ভান করবে তোমার কিছু মনে নেই ওনাকে ছাড়া। উনি জানতে পরলে জে তোমার সব মনে আছে আর তুমি অনুশোচনায় ভুগছ, উনি আমার সাথে তোমাকেও মেরে ফেলবেন। আমি ওনাকে সুস্থ চাই। ওনার সাথে সংসার করতে চাই ওনার বাবার সেবা করতে চাই ওনার সন্তান গর্ভে নিয়ে তার সাথে। বাঁচতে চাই। তাই তুমি নিজের অ্যান্ড্রয়েড শক্তির সাথে তোমার অতীত ভুলে যাও।
পরী:- তুমি কেনো করছ এমন। নিজের প্রাণ এর ঝুঁকি নিয়ে কেনো আমায় আমার সুখের কাছে এগিয়ে দিচ্ছ?
Aratrika?
Aratrika:- আমি একটা বিরাট ক্ষতি হওয়ার থেকে ওনাকে বাচাচ্ছি। তুমি একটা রাক্ষস রেখে গেছ 6 বছর আগে। তাকে সাহায্য করে তাকে শয়তান বানিয়েছি আমি। আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত তো করতেই হবে বউ। ও বাবা কে মা কে ও ছাড়বে না। সমস্যা এখানে না। সমস্যা ও সবাইকে শেষ করে দিতে চায়। আমাদের দুজনকে ওকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সবাইকে বাঁচাতে হবে।
তবে খেয়াল রেখো বউ আমরা ডালে ডালে চললে উনি পাতায় পাতায় চলেন। তোমার মত আমার ও সব দুর্বলতা ও জানে।
সবচেয়ে বড় কথা ও কাউকেই বিশ্বাস করে না। আমাকেও না। ওকে সবার ক্ষতি করা থেকে বাঁচাতে আমায় ও জা বলে সেটা মেনে নিতে হয়। তুমিও মেনে নেবে। ও তুমি আমায় আরু বলতেই পারো।
বেশ।
এরপর আমি আর আরু একটা শাড়ির দোকান এ যাই। আরু আমার জন্য অনেক শাড়ি কেনে। তারপর গয়না কেনে।
এরপর আমরা একটা প্রাসাদ এর মত বাড়িতে যাই।
প্রাসাদ এর সামনে যেতে তো আমি অবাক! আইপিএস দুষ্মন্ত সহ একাধিক উচ্চ পদস্থ পুলিশ দারোয়ান এর মত গেট এ রয়েছে।
গেট এর পর লম্বা লন। লন এ কিছু পুলিশ কিছু উলংগ মহিলা কে নিয়ে হাঁটছে। যেন ওগুলো কুকুরি।
এর পর গেট খুলতেই আমি অবাক। মা!!
আইপিএস মায়া দত্ত একটা বরণ ডলি নিয়ে আমায় বরণ করছে।
আমি তো অবাক। আরু বলল মা কে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতে। আমি আশীর্বাদ নেবো কি আমি তো অবাক! মা এখানে কি করে এলো? মা তো তাথৈ কে নিয়ে সেই কবে দিল্লি গেলো!
মা আমায় আশীর্বাদ করে বললো বেচে থাকো মা । খুব মিষ্টি লাগছে তোমায়। আরু কে বলল বৌমা যাও পরী কে নিয়ে তৈরি করো।
আমি তো প্রশ্ন শুরু করি , মা এখানে কি করে এলো, তাথৈ কোথায়? মা আর আরু আমায় ইশারা করে ক্যামেরা দেখালো।
আমি ওদের ইশারা বুঝে চুপ করে ওদের কথা মানলাম।
এর পর আমি ঘরে এলাম।
আরু আমায় বলল তাথৈ, তিতলি এঁরা এখনও ঠিক ই আছে। তবে আমাদের এক চুল ভুল হলে ওদের ব্রেন ওয়াইপ করে দেবে তারপর তার জ্যান্ত লাশ হয়ে যাবে।
আমি ভাবলাম কে এমন নিষ্ঠুর? 6 8 বছরের বাচ্চা দুটোর ওপর এমন করবে? আরু কে বললাম এই পুলিশরা কারা? আর এই মহিলা গুলোই বা কেন এমন ভাবে রয়েছে?
আরু আমায় বলল এটা নরক গো বউ নরক। এই জে মহিলা গুলো, সবাই কেউ টাকা, কেউ নিজের শরীরের খিদে কেউ বা একটু অ্যাডভেঞ্চার এর জন্য নিজেদের সুখের সংসার ছেড়ে অবৈধ সংসারে জড়িয়েছিল । তারপর তাদের সমি সন্তানেরা যখন তাদের ফেরাতে আসে এরা তাদের নতুন পাওয়া প্রেম , অর্থ, বা রোমাঞ্চের জন্ন নিজেদের পরিবার কে ফিরিয়ে দেয়।
তারই শাস্তি দিচ্ছে ভৈরব। কুকুর দের কুকুরের মতোই ব্যবহার।
ভৈরব ই এই মহিলাদের জালে ফেলত। আর সুযোগ ও দিত যদি নিজেদের ভুল বুঝে ফিরে যেত তো ভালো না হলে তো তুমি দেখতেই পাচ্ছো।
পরী:- আর পুলিশ গুলো?
আরু:;- এঁরা? লাখ লাখ টাকার এদিক ওদিক করেছে এরা। এবার যদি খবর বাইরে যায় তাহলে হয় পাবলিক পিটিয়ে মারবে আর সরকার জানলে সোজা ফাঁসি বা যাবজ্জীবন।
তাই ওদের চাকরি ছড়িয়ে দিয়ে নিজের কাছে কাজে রেখেছে এদের।
পরী:- আর মা এর বর? দুষ্মন্ত? ও কি করেছে?
আরু:- বউ? তুমি জানো না ও কি করেছে?
মা এর মেয়ে হওয়ায় মা কে জা টা বলে অপমান করেছে। মা কে বাজারু, ছিনাল , রেন্ডি বলেছে।
তাই ভৈরব ওর মুখ চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে। একটা পাইপ দিয়ে ওর শরীরে দরকারি পুষ্টি ইনজেকশন দিয়ে দেওয়া হয়।
আর ওর চলা ফেরার ক্ষমতা ও কেরে নিয়েছে ভৈরব । ওর পেছনে জে স্ট্যান্ড টা আছে ঐটাই ওকে নাড়ায়। তাই ও আস্তে যেতে খালি সেলুট দিতে পারে। রোদ ঝর বৃষ্টি তে ওকে বাইরেই রাখে ভৈরব।
আমি একবার বলতে আমায় বলেছিল ওরকম জিনিষ ঘরে রাখতে নেই।
পরী রেবতী কে বলে, ম্যাম আমি সত্যি নরক দেখেছি!!
এরপর আমি দেখলাম এই নরক এর অধিপতি কে ।
আরু ই হুইলচেয়ার ঠেলে নিয়ে এলো।
আমায় দেখে শান্ত হেসে বলল
ভালো আছো পরী?
আমার তো বুক ফেটে কান্না আসছিল। মনে হচ্ছিল ওর পা ধরে ক্ষমা চাই। আরু বুঝে আমায় ইশারা করে নিজেকে শক্ত হতে বলে।
আমি ওকে বলি , ভালো আছি।
ও বলে বেশ তো খেয়ে নাও। তারপর তুমি মায়া ম্যাডাম, মাহি , মিহিকা , এদের সাথে বিয়ের কেনাকাটা করে নিও।
তারপর আমি বেরোই । আমি মা কে বলি হচ্ছে টা কি এসব?
ওর মত মানুষ এমন রাক্ষস হলো কীকরে?
মা বলল, আমি তো ট্রান্সফার নিয়ে চলে গেছিলাম অনেক দূর। কিন্তু একটা ঘটনা তে আমার পুরো টিম অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। ডক্টর বলে ওরা কোমায়। বাঁচার চান্স বেশি তবে কতদিন কমায় থাকবে বলা মুশকিল।
আমি নিজে তদন্তে নামি। তারপর একদিন আমি মুখোমুখি হই জে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তার সাথে।
যখনই আমি ওকে দেখি। আমার হাত কাপতে শুরু করে ।
ও বলে :- কি হলো মানি? আমায় গুলি করবে না?
আমি বললাম :- বাবু ?! তুই?
ভৈরব:- না না আইপিএস মায়া দত্ত সিংহ, আমায় আপনি বাবু বলবেন না । আমার মা আমায় বলত সেটা।
মায়া:- বাবু আমি আমিই তো তোর মা ।
ভৈরব:- মিথ্যে!! আর এক পা এগোলে আমি গুলি চালাবো ।
মায়া:- কি কি করছিস বাবা? ও ওটা ফেলেদে ... তুই আমার ভালো বাবা না?? এমন করবি? ফেলে দে ওটা বাবা
ভৈরব আকাশে গুলি ছোড়ে। সরে যান ম্যাডাম । আমি কিন্তু মানসিক রুগী। জেল খাটা আসামি! । আপনাকে আমি মেরে দেবো
Posts: 57
Threads: 4
Likes Received: 82 in 29 posts
Likes Given: 116
Joined: Nov 2022
Reputation:
11
11-07-2023, 01:04 AM
(This post was last modified: 11-07-2023, 01:13 AM by suchi. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
এবার নরকে আসল খেলা শুরু হবে। যেখানে নেই কোন রক্তের সম্পর্ক নেই নৈতিকতা নেই পঙ্গু অন্ধ আইনের নীতি না মেকি সমাজের চোখ রাঙানি। শুধু আছে প্রতিশোধের জলে উঠা আগুনের দাবানল আর উলঙ্গ রাক্ষসের ভোগের লিলা।।। এবার আসল কথা হল রাক্ষস কি তার শিকারের দুচারটে ইমশন কথায় না পেচু হয়ে যায়, তা দেখার বিষয়।
Posts: 233
Threads: 5
Likes Received: 561 in 189 posts
Likes Given: 1,363
Joined: Oct 2022
Reputation:
223
মায়া:- কি কি বলছিস কি বাবা? তুই আমায় এমন করছিস ?
ভৈরব:- মা? কেনো? তুমি তো আমায় মা বলতে বারণ করলে, তোমার পুলিশ বন্ধু কে বাঁচাতে গিয়ে বাবার অ্যাকসিডেন্ট হলো, আর তুমি সেই পুলিশ টা কেই বিয়ে করলে? আমায় আর বাবাকে বাড়ি থেকে বার করে দিলে আর তুমি আমার মা?!
মায়া:- কি বলছিস এসব? আমি তোকে আর তোর বাবাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছি??! আমি? আর তুই আর তোর বাবাই তো ওই নরপশুর সাথে আমায় বিয়ে করতে বললি!! আর দুষ্মন্ত কে বাঁচাতে তোর বাবার অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে???!
ভৈরব:- হ্যাঁ তুমি... তুমি আমায় জেলে পাঠিয়েছ!!
মায়া:- বাবু , তুই আমায় ভুল বুঝছিস বাবা। আমি তোকে তোর বাবাকে বাড়ি ছাড়া করিনি। আমায় বলা হয়েছিল ছিনতাই বাজের সাথে লড়াই এ তোর বাবার চোট লেগেছিল।
ভৈরব:- তাহলে কোর্ট এ কিছু বলনি কেন? কেন চুপ ছিলে যখন বাবাকে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছিলো??
মায়া:- বাবা আমি নিজেই তখন শক এ ছিলাম। আমি নিজের মধ্যেই ছিলাম না।
ভৈরব:- তুমি আমাদের খোঁজ ও নাওনি। নিজের সংসার নিয়ে ওই পুলিশের সংসার বাচ্চা সামলাতে ব্যস্ত ছিলে।
মায়া:- বাবা তুই আমায় ভুল বুঝছিস। ওটা ওটা তোর নিজের বোন। দুষ্মন্ত infertile ।
ভৈরব:- ও টা আমার বোন? না না না এ টা কি করে সম্ভব?
মায়া:- তখন তুই অনেক ছোটো ছিলিস বাবা। তোকে কীকরে বলতাম? তুই ওটা ফেলে দে ... আমার বাবা ভালো... আয় বাবা মা এর কাছে আয়।
এই বলে আমি যেই আস্তে আস্তে ওর কাছে এগোলাম,
অমনি পুলিশ এ জায়গা টা ঘিরে নিলো।
আমি বুঝলাম বাবু এবার একটা ভালোমন্দ কিছু করে বসবে!!
আর সেটা হলে এই পুলিশ গুলো আমার ছেলেকে মেরে দেবে।
আমি ওর দিকে বন্দুক তাক করলাম, ওটা ওকে বাঁচানোর জন্যই ছিল আরু পরী তোরা বিশ্বাস কর আমার ছেলেকে আমি কোনোদিন বকি পর্যন্ত নি, তাকে বন্দুক তাক করবো??
আমি তবুও নিজেকে শক্ত করে বললাম, বন্দুক টা ফেলে দিয়ে নিজেকে আইনের হতে তুলে দাও ভৈরব।
আমি পুলিশ দের বললাম আমি নিজে ওকে কাফ পড়াবো।
আমি ওর থেকে বন্দুক নিতেই, একজন বলল ম্যাম এটা তো খালি!!
ভৈরব সঙ্গে সঙ্গে ওর হুইলচেয়ার এর হাতলের ভেতর লুকানো একটা যন্ত্র থেকে নিমেষে ওই জায়গায় দাড়ানো সব পুলিশ কে পারালাইস করে দিলো।
আর আমায় বলল, ভালো মিথ্যে বলতে পারো ।
তারপর আমি এই জায়গায় এলাম । এখানে দেব ও ছিল। আর তাথৈ ও ছিল। তাথৈ ওর বাবা দাদা কে চিনত। ওর বুদ্ধি দেব এর ই মত। প্রহ্লাদ এর মত জিনিয়াস না হলেও 7 বছরের মেয়েদের চেয়ে ও স্মার্ট।
এই বিল্ডিংএ আমদের 3জন কে ও নজরবন্দি রাখতো।
ভৈরব:- বাবার বিশ্বাস এই বাচ্চাটা নাকি তার মেয়ে। লোকটা এখনও ভ্রম এ আছে, এই নেকড়ের মত লোভী মহিলা নাকি তার বাচ্চার মা। আমার তো করুণা হয়। আমার বাবা যেহেতু সুস্থ্য হয়ে উঠেছে তাই আমি বাবাকে একটা গিফট দেবো। একটা রেডিমেট পরিবার। বাবা , তার বউ মায়া, আর তার মেয়ে তাথৈ।
ভালো না??
মায়া:- সো সত্যি বলছিস বাবু?!
ভৈরব:- বাবু?? কে তোমার বাবু? ওউ হ্যাঁ!! যার দিকে বন্দুক তুলে তাকে অ্যারেস্ট করতে চেয়েছিলে?
দেব:- পিকু, ও তোকে বাঁচাতে করেছে এমন বাবা। না হলে ওই পুলিশরা তোকে মেরে দিত।
ভৈরব:- মিথ্যে মিথ্যে মিথ্যে!!! এই মহিলা দুষ্মন্ত সিংহের সাথে সংসার করছিল!! গয়না, শাড়ি, গাড়ি ,জমি কিনে জমাচ্ছিল।
আমার কথা বাদ দিলাম। তোমার ও খোঁজ নেয়নি।
মায়া:- আমি কি করবো বল বাবা?? আমায় একটা সুযোগ দে, আমি সব ঠিক করে দেবো। তুই জা শাস্তি দিবি আমি রাজি।
তাথৈ:- দাদা, তুমি মা বাবা কে কষ্ট দিও না। মা কাদঁছে বাবা ও কাদঁছে। প্লিজ মায়ের শাস্তি আমায় দাও
ভৈরব:- হ্যাঁ তোকেও দেবো। তোর বাবা কে মানে এই দেব চৌধুরী কে ও দেবো। আর ips মায়ার তো নরক যাত্রা শুরু হবে । বেশ।
মায়া ম্যাডাম আমি জা শাস্তি দেবো আপনি রাজি তাই তো?
মায়া :- হ্যাঁ হ্যাঁ রাজি । তুই যা বলবি আমি করবো।
ভৈরব :- ভেবে বলো। কথার খেলাপ করবে না তো? যেমন আগে করেছো?
মায়া:- আর কত বার বলবি বাবা? বেশ। আমি যদি কথার খেলাপ করি আমায় মেরে দিস।
ভৈরব:- না । মেরে দেব না । তাহলে কষ্ট কম পাবে তুমি।
আমায় খালি 3টে প্রশ্নের উত্তর দাও সত্যি করে আরেকটা প্রমিজ করো। আমি তোমাদের 3 জনকে ছেড়ে দেবো। আর না হলে 3 জনকেই 3 জনের হাতে মেরে দেবো। তুমি মারবে তোমার মেয়ে কে, তোমার কর্তা মারবে তোমায় আর তারপর নিজে মরে যাবে। বলো রাজি??
মায়া:- এ কেমন খেলা? এ কেমন শর্ত??
আমি তোর অপরাধী আমায় জা করার কর। তোর বোন বাবার কি দোষ?
ভৈরব:- বোন এর দোষ আমার প্রাপ্য তে ভাগ বসানো। আর বাবার দোষ বোন কে পৃথিবী তে আনা আর তোমায় বিশ্বাস করা ।
বলো তুমি রাজি কি না?
মায়া :- রাজি।
ভৈরব:- আমার প্রথম প্রশ্ন।
তুমি যখন দুষ্মন্ত এর সাথে sex করতে সেটা কি ফীল করতে?
মায়া:- আমার ঘেন্না লাগতো। আর ওর কোনো ক্ষমতা ছিল না। ড্রাগ নেয়ার ফলে ও শুধু আমায় কষ্ট দিত কিন্তু কিছু করতে পারতো না। ওর সাথে বিয়ের পর আমি জানতে পারি আমি 3 মাসের প্রেগন্যান্ট । আর বুঝতে পারি তাথৈ আমার আর তর বাবার মেয়ে।
ভৈরব:- বাহ। খুব সুন্দর উত্তর। দুষ্মন্ত কে দেখে বিশ্বাস হয় ওর ক্ষমতা নেই। আর হিসেবে তাথৈ ও আমার বাবার মেয়ে। Hmm ভালো। বেশ 2ন্ড প্রশ্ন।
কোর্ট এ আমাদের অপরাধী বলার পর তুমি আমাদের খোঁজ নাওনি কেন? এত সম্পত্তি কার জন্যে? আর তুমি এত খারাপ কেন?
মায়া:- তুই আমায় জা চাস যতভাবে চাস অপমান করে নে।
কিন্তু সত্যিই বলছি আমি ইচ্ছে করে তোর খোঁজ নেয়নি এটা নয়, আমায় মা আর দিদি তোদের খোঁজ নিতে দেয়নি। আমায় নানান মিশনে সারা দেশে পাঠিয়েছে। আর আমি প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর আমার যখন তাথৈ হলো তখন সত্যি বলতে ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার চিন্তা হয়। দুষ্মন্ত ওকে নিজের পিতৃ পরিচয় দেয়নি। আমি তোর বাবার নামেই ওকে বড়ো করেছি ।
কিন্তু দুষ্মন্ত আর ওর পরিবার আমার থেকে জা। জা কেরে নিয়েছিল সেগুলো আমি দুষ্মন্ত কে দিয়ে বাড়ি গাড়ি শাড়ি গয়না এসব রূপে জমিয়ে রেখেছিলাম। তুই যদি বলিস আমি তোকে সব ডকুমেন্ট ও দিতে পারি। ওগুলো সব তোর বউ এর আর তোর জন্যে বাবা।
ভৈরব:- আমার বউ এর জন্যে!! মানে পরীর জন্যে?
মায়া:- হ হ্যাঁ।
ভৈরব:- আচ্ছা এবার বুঝলাম তোমার প্ল্যান। পরীকে আবার আমার সাথে জুড়ে আমার সব ক্রেডিট তুমি নেবে আর বোন জে কিনা তোমার আর বাবার নিজের মেয়ে তাকে সব দেবে। আর পরী তো আমার ক্ষতি ই চায় !
মায়া :- না না না!! উফফ কি করে বোঝাব তোকে?
ভৈরব:- বেশ একটা শেষ প্রশ্নের উত্তর দাও ।
মায়া:- hmm।
ভৈরব:- কাকে সবচেয়ে ভালো বাসো।
মায়া :- তোকে।
ভৈরব :- আমার জন্যে কি করতে পারো?
মায়া:- সব।
ভৈরব:- নিজের মেয়ে বর কে নিজের হাতে মারতে পারবে?
মায়া চুপ।
ভৈরব :- এই হল দুটো বন্দুক। দুটোতেই 2 তো করে মোট 4 তে গুলি আছে। এবার তুমি তাথৈ আর বাবাকে মেরে আমার মা হিসেবে আমার কাছে আসো অথবা আমায় মেরে সেটাকে এনকাউন্টার বলে চালিয়ে দাও আর নিজের বর মেয়ে কে নিয়ে সুখে সংসার করো। আর যদি তুমি 1 মিনিট এ না করো, আমি , বাবা তাথৈ সবাই মারা যাবো। আমি সবার কব্জিতে একটা হয় শক ব্রেসলেট পড়িয়েছি জা 1 মিনিট এর মধ্যে আমার ব্রেন আর তার সব নার্ভ পুড়িয়ে দেবে।
তোমার সময় শুরু এখন।
আমি ভাবলাম আমার কাছে উপায় কি?
ভৈরব এর মানসিক অবস্থার ঠিক নেই! কোনো গ্যারান্টি নেই ওকে বাচালে আমায় ছেড়ে দেবে বা আর কারো ক্ষতি করবে না। আর আমার মেয়ে আর বর তো নির্দোষ।
আমি ভাবতে পারলাম না ভৈরব এর দিকেই দুইবার শুট করলাম।
কিন্তু কিছুই বেরোলো না!! অন্য বন্দুকটা ও খালি।
ভৈরব আমায় ওদের ব্রেসলেট দেখালো । ওগুলো কাগজের টুকরো ছাড়া কিছুই না।
তারপর ও দেব আর তাথৈ কে বলল।
এটাই তোমাদের দেখানোর ছিল। এই মহিলা মিথ্যাবাদী।
চাপে পরলে ওর বন্দুকের নল আমার দিকেই ঘুরবে । কেনো জানো? আমি ওর নিজের সন্তান না তাই। একজন জেল খাটা আসামি, একটা মানসিক রোগী, একটা হুইলচেয়ার বাউন্ড ।
আমি পড়ে যাই। আমার মাথা কাজ করে না। সব তালগোল পাকাচ্ছে।
তারপর ভৈরব বলল জে দেব এর সাথে আমার বিয়ের সার্টিফিেট রেডি। সই করলেই হবে।
তারপর আমায় একটা বাক্স দিল। বলল উপহার। খুলে দেখলাম একটা বন্দুক আর 14 রাউন্ড এর ম্যাগাজিন।
মায়া:- এ এটা কি?
ভৈরব:- কেনো? পছন্দ হয়নি? চিন্তা নেই রেজিস্টার্ড এটা। জার্মান মেড।
মায়া :- কিন্তু কেনো?
ভৈরব:- আমায় মারবে বলে। সব দিক থেকে মেরেই দিয়েছো। প্রানেও মেরেই দাও। না কি আমায় প্রতিবন্ধী ভেবে দয়া করছ?
দাড়াও।
এই বলে ভৈরব উঠে দাড়ায়। আর হেঁটে দেখায়।
ভৈরব:- অবাক হয়ো না। তোমাদের মত দৌড়াতে পারি না। ওই একটু হাঁটতে পারি। আর আমার iq 300 এর একটু বেশি।
মায়া :- বাবু!?
ভৈরব:- তোমার ছেলে মারা গেছে যখন 2 বার তুমি তার দিকে পিস্তল ধরেছো। এমন করবে না সেটা আমি বিশ্বাস করি না।
আমার সামনে থেকে চলে যাও। তোমায় কলকাতা তে বদলি করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বর মেয়ে কে নিয়ে সংসার করো।
আর এই জে আরত্রিকা ও তোমার বৌমা। পরীর মত বিশ্বাসঘাতক নয়। যতদিন না পরীর সাথে আমার বিয়ে হবে আরু তোমাদের দেখাশোনা করবে। সাথে আমার কোম্পানি ও ও দেখে। বাবা চেয়ারম্যান। যাও যাও। আমার সামনে থেকে দুর হয়ে জাও। আমার গা গুলোচ্ছে তোমাদের দেখে।
এরপর আমি কলকাতা চলে এলাম। তাথৈ আর দেব এর সাথেই নতুন বাড়িতে থাকতে আরম্ভ করলাম। আরু আমাদের দেখাশোনা করে ।
এর মধ্যে দুষ্মন্ত ,ডক্টর সুকান্ত, মিসিং হয়। মিসিং হয় শহরের একাধিক মহিলা। হঠাৎ করে অনেক পুলিশকর্মী ইস্তফা দেয়।
আরু আমায় বলল জে এই বিষয়ে না ভাবতে আর চোখ কান বুজে থাকতে। এটাও বলল এসব ওর বরের কাজ। কিন্তু ওকে আটকাতে গেলে আমায় আরু আর বাবু কে খুন করতে হবে।
তারপর আজ আমার তলব হলো তোর বধূবরণ আর বিয়ের কাজ করার জন্ন।
এতটা বলে মায়া থামে।
পরি:- আমার ওপর ও ওর ঘৃনা?
আরু:- hmm। আর এই জন্যেই তোকে বিয়ে করছে।
মায়া:- বিয়ে হলে তোর নামে জা কিনেছিলাম তোকে দিয়ে দেবো। তাতে যদি আমায় ও এই রোজকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
পরী:- রোজকার যন্ত্রণা না?
আমায় রোজ হসপিটালে দুষ্মন্ত আর আমার sex এর ক্লিপিং দেখায়। ফোন, টিভি, ল্যাপটপ, ট্যাব, পিসি সব হ্যাক করা।
রোজ বলে ওকে মেরে দিতে। রোজ আমায় দুষ্মন্ত আর আমার বিয়ের ছবি, ভিডিও দেখায়। ওখানে কিভাবে ওকে বার করে দেওয়া হয়েছিল সব দেখায়।
পরে দেব আমায় বলে যে মা আর দিদি সব বানিয়ে বানিয়ে বলেছে। আমি রোজ মরি রে পরী। তবে বাবু বলেছে আমার মত করো নাকি নরকেও জায়গা নেই। তাই আমি বেচে মরে আছি।
পরী:- কোনো কি উপায় নেই? ওকে তো এভাবে সব শেষ করতে দেওয়া যায় না।
মাহি:- দেবতা বা অসুর হলে একটা কথা ছিল। কিন্তু আমরা সবাই ওকে রাক্ষস বানিয়েছি। আর সবথেকে বড়ো পাপী তো আমিই!!
মায়ের কথা শুনে দেব কে ছাড়লাম। পিকু কে কি কি না বলেছি। ওকে মাম এর থেকে দুর করেছি। আর যে ডেভিড আর মায়ের জন্ন এসব করলাম সেই ডেভিড ই কোম্পানি পাওয়ার পর আমায় আর তিতলি কে বার করে দিল?
|