Thread Rating:
  • 30 Vote(s) - 3.37 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
HORROR ভয় ২ - বাবান
#41
Star 
পর্ব - ৩


- দিদি গো! কাল যে কি গেছে আমাদের ওপর দিয়ে আমরাই জানি উফফফফফ!.

সান্তার মুখে পুরোটা শুনে অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই যেন করার ছিলোনা। আমাদের বাড়ি থেকে কয়েক পা এগোলেই একটা মুদির দোকান। কিছু একটা কম পড়লেই কিনে নিয়ে আসি ওখান থেকে। বেশ ভালোই চলে সেটি। আজ চা বানিয়ে দেখি বিস্কুট শেষ। যেকটা ছিল সবটা অরিন্দমকেই দিয়ে দিয়েছিলাম। একটু পরেই ও বেরিয়ে যায়। আমিও ঘরের গেটে তালা লাগিয়ে হাঁটা লাগাই। যেহেতু একদমই কাছে তাই চিন্তার কোনো ব্যাপারই নেই। জোজো বাবুও বাবাকে টাটা বাই বাই করে দিয়ে টিভির সামনে বসে পড়েছে। পড়াশুনা শুরু না হলেও এই বদ অভ্যাসটা আগেই রপ্ত করে ফেলেছে সে। না চালালে কেঁদে বাড়ি মাথায় তুলবে।

দোকানে পৌঁছেই দেখি কয়েক জনের সাথে দাঁড়িয়ে সান্তা। ওই অক্ষয় জ্যাঠার বাড়ির কাজের মেয়েটি। ওর মা এই বাড়িতে আগে কাজ করতো কিন্তু এখন সান্তাই সব করে আর এবাড়িতে থাকেও। এতে অনেকটা সুবিধাই হয়েছে ওনাদের। মোটামুটি ঘরের কাজ ও টুকটাক বাইরের বাজারের কাজ সান্তাই করে দেয়। পাশের বাড়ি বলে আমাদেরর সাথে পরিচয় হতে খুব একটা সময় লাগেনি। আমি গিয়ে ওর পাশে দাঁড়াতেই আমাকে দেখে হেসে উঠলো সে। কিন্তু হাসিটা বড্ড নকল লাগলো আমার। যেন ভদ্রতার খাতিরে হাসলো সে। আমাকে ওর আগে গিয়ে দাঁড়াতে বললেও আমি বারণ করলাম। ও আগে এসে দাঁড়িয়েছে এখানে, কেন শুধু শুধু আমার জন্য নিজের জায়গা ছাড়বে ও? তাই ওর পেছনে দাঁড়িয়ে ওর সাথে সাধারণ বিষয় কথা বলতে লাগলাম যেমন ওর মা কেমন আছে, ওর ছোট বোনটা কি করছে এইসব। হটাৎই আমার মনে পড়ে গেলো আগের রাত্রের ব্যাপারটা। জিজ্ঞাসা করা ঠিক হবে কি হবেনা ভেবে শেষমেষ জিজ্ঞেস করেই ফেললাম ওকে

- কাল। রাতে কি তোদের ওই বাড়ির দিকে কুকুর ডাকছিলো অনেকগুলো? আমি শুনছিলাম কেঁদেই চলেছে। তুই শুনেছিস?

আমার দিকে মাথা ঘুরিয়ে বড়ো বড়ো চোখ করে সে বললো - কুকুর? শুধু কুকুর? কাল যা গেছে দিদি উফফফফফ! আমি তোমায় বলবো কিনা ভাবছিলাম। তুমি নিজেই জিজ্ঞেস করলে যখন ভালোই হলো। দিদি কাল যে কি গেছে আমাদের ওপর দিয়ে উফফফফ তুমি কিছু শোনোনি?

- হ্যা ওই কুকুরের আওয়াজ পেয়েছি তো..... তাইতো জিজ্ঞেস করলাম

- আরে নিকুচি করেছে কুকুরের! ও তো হামেশাই চেল্লায় রাতে। আমি আসল আওয়াজের কথা বলছি। ওই জিনিসের আওয়াজ বুঝেছো? উফফফফফ এতদিন এ বাড়িতে রয়েছি দিদি এমন জিনিসের পাল্লায় পড়বো কোনোদিন ভাবিনি।

আমি বুঝলাম তাহলে ব্যাপারটা শুধুই আমরা নয়, এ বাড়ির মানুষও টের পেয়েছে। কাল রাতে যে ব্যাপারটা আমি ও আমার হাসবেন্ড ফিল করেছি তা এরাও হয়তো করেছে। এখানে আমি ফিরে যাবো কাল রাতের সেই বিশেষ মুহূর্তে। আমি ও অরিন্দম ততক্ষনে শুয়ে পড়লেও ঘুমটা আসেনি। বাইরের ওই কুকুরের করুন সুরে ডাক কানে আসছে। আর তার সাথে আসছে সেই কান্নার আওয়াজ। একে আগের রাতের ওই অদ্ভুত বমি জাতীয় আওয়াজ, সকালে ওই দুঃখজনক বাজে খবর, আবার এই রাতে এই কান্না! সব মিলে মিশে পুরো যাচ্ছেতাই অবস্থা। আর তারই মধ্যে শুনছি সেই কান্নার স্বর হালকা থেকে যেন জোর বাড়ছে। অর্থাৎ সে আওয়াজ অন্য দিক থেকে আরও এদিকে আসছে! তার মাঝেই শুনলাম কোনো বাড়ির মানুষদের আওয়াজ সাথে 'হ্যাট হ্যাট' জাতীয় শব্দ।

ওদিকে শুনছি এসব আর এদিকে ওই কান্না মিশ্রিত ফোঁপানি এবার অনেক কাছে চলে এসেছে। ঠিক যেন আমাদের জানলার বাইরে ওই সুপারি গাছ গুলোর কাছে। বালিশ আঁকড়ে শুয়ে আছি আমি। কোনো নরণ চরণ নেই। ঘরের দেয়াল ঘড়ির টিকটক আওয়াজ পর্যন্ত কানে আসছে।

- কি গো? এই? দেখবো নাকি একবার জানলাটা খুলে?

জোজোর বাবার মুখের ফিসফিস করে বলা এই কথা শুনে তখনি ইশারায় বারণ করলাম বা বলা চলে একপ্রকার আদেশ দিলাম কোনো মতে বিছানা ছেড়ে না উঠতে। নিজের বাড়িতে, নিজের ঘরে শুয়ে যেন উচ্চ কণ্ঠে কিছু বলার ক্ষমতা নেই, সাহস নেই আমাদের। যদি কেউ শুনে ফেলে? যদি জেনে যায় আমরা জেগে আছি! আমার কথামতো সেও চুপটি করে শুয়ে রইলো। ও ভীতু মানুষ নয়। এসব নিয়ে কোনোদিন ব্যাস্ত হতে  বা ভয় পেতে দেখিনি আমি ওকে। ভুতের ফিল্ম চললে অনেকবার রাতে একা ওই বসার ঘরে বসে অনেক রাত পর্যন্ত  জেগে দেখেছে সে আর তারপরে একাই কলঘরে গিয়েছে। সেই আজ ওকে পর্যন্ত ভাবতে বাধ্য করলো এই ঘটনা। ততক্ষনে সে আওয়াজ আমাদের ঘর ক্রস করে আরও এগিয়ে গেছে। এখনো শুনতে পাচ্ছি কিন্তু আবারো ক্ষীণ হয়ে আসছে সেটি। বরং এখন কুকুর গুলোর ওই আওয়াজ বেশি কানে আসছে।

- কি হলো বলোতো ব্যাপারটা?

ওর প্রশ্নে কোনো উত্তর না দিয়ে উল্টে আমি ওকে প্রশ্ন করে বসলাম - তুমি কি সত্যি তখন আমাকে দেখেছিলে?

- কখন?

- ঐযে তখন বললে না আমি নাকি উঁকি দিচ্ছিলাম?

- ওহ হ্যা! না মানে মুখ তো বোঝা যাচ্ছিলো না..... তবে তুমি ছাড়া আর কে হবে আর? আমি তো ওই ভেবেই ইঙ্গিতে বললাম কি ব্যাপার? তুমি দেখি অমন করেই দাঁড়িয়ে। তারপরে সরে গেলে ওখান থেকে। আমি ভাবলাম ছেলের কাছে চলে গেলে। তারপরে তো দেখি ঢুকে এলে একটু পরে। শালা এতটা ভুল দেখলাম আমি? তুমি....... ছিলেনা? এমন চোখের ভুল হলো?

- আমার কেমন যেন লাগছে গো! কিছু যেন একটা খারাপ হচ্ছে! আমি কাল রাতেও  টয়লেট করতে গেছিলাম তখনও কেমন ভয় লাগছিলো। আর আজ তো! এই! কি ব্যাপার হচ্ছে গো এসব!

- আরে ধুর! ভয় পাবার কিচ্ছু নেই। আমি আছি তো। আর তুমি যে ভয় পাচ্ছ ওসব নিয়ে বেশি ভেবোনা তো। মাথা থেকে ফালতু চিন্তা বার করে ঘুমাও। ও কে না কে পাগলী ফাগলী হবে যত্তসব! এই তো দুদিন আগেই আমাদের ওই  ওই  বাড়ির থেকে এগিয়ে অপোজিটে  নতুন ফ্ল্যাটটার নিচে দেখলাম একটা পাগলী। আগেও এক দুবার মেন রোড এর দিকে ওকে দেখেছি। ওই ওটাই হবে। ওই কুত্তা গুলো নিশ্চই তাড়া করেছে তাই ওসব কান্নাকাটি..... কিংবা হয়তো কোনো বেড়ালও হতে পারে। জানোতো ওরা অনেক সময় এমন ভাবে কাঁদে যেন মনে হয় মানুষের বাচ্চা কাঁদছে.......ছাড়তো! কিস্সু না এসব! শান্ত মাথাকে কষ্ট দেওয়া খালি খালি। কিচ্ছু হয়নি। ঘুমাও তো। আমি আছি না! ঘুমাও  তিন্নি।

ওর বলা কথাগুলোয় যেন কিছুটা সাহস ফিরে পেলাম। সাথে কেউ একজন সাহসী থাকলে আর তার সাহস দেখলে যেন নিজের ভেতরের ভয়টা কেটে যায়। আমাকে  একটু চিন্তিত দেখে পরিস্থিতির মূল্য বুঝে আমাকে সাহস জোগাতেই হোক বা সত্যিই হোক..... ওর বলা কথাগুলোয় অনেকটা হালকা হয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু ওকে আবারো সাবধান করেদিলাম ও যেন একটুও বাড়াবাড়ি না করে। অর্থাৎ আবারো আওয়াজ পেলে যেন উৎস খুঁজতে না যায়। রাতের মতো আর কোনো অসুবিধা হয়নি বা হয়ে থাকলেও আর আমরা কেউ টের পাইনি। সকালে আবারো

এইবার আবারো ফিরে আসি সকালের সময়ে। সান্তার মুখে সামান্য ঐটুকু শুনেই বুঝেছিলাম কাল রাতের ব্যাপারটাকে যতটা হালকা ভাবে নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম...... হয়তো ততটাও সোজা নয় ব্যাপারটা। কিন্তু পরে পুরোটা যা শুনেছিলাম তা শুনে ওই দিনের বেলাতেও ওই পাঁচিলের পাশে গলিটা দিয়ে ফিরতে কেমন লাগছিলো।

- বৌদি এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলা যাবেনা। দাঁড়াও আগে জিনিস কটা কিনেনি তারপরে ফিরতে ফিরতে সব বলছি।

হাতে ওই বাজার নিয়ে ফিরতে ফিরতে সান্তা বলতে শুরু করলো - তুমি তো জানো আমি ওই এক তোলাতে পেছনের দিকে যে ঘরটা আছে.... ওই গো রান্নাঘরের উল্টোদিকে যেটা... ঐটায় ঘুমাই রাতে। দোতলা বাড়িতে তো এই আমরা তিনটে প্রাণী ছাড়া আর কেউই থাকেনা। রাতে ওই আমার..... মানে ওই ইয়ের সাথে আরকি..... ফোনে কথা বলে সবে শুয়েছি এমন সময় শুনি ওই রান্নাঘরের পেছনের দিক থেকে আউউউউউউউউ। প্রথমে একটা, তারপরে দুটো, তিনটে। আমি তখনো অতটা কিছু ভাবিনি। এ তো হয়েই থাকে। কিন্তু একটু ভালো করে কান দিতেই মনে হলো কুকুর গুলোর চেল্লানির পাশাপাশি আরও যেন কিছু একটা শোনা যাচ্ছে। অমন টেনে টেনে। ভালো করে শুনতে পাক্কা শিওর হলে ওটা কান্নার আওয়াজ! কেউ কাঁদছে! তাও আবার এতো রাতে, এই ঠান্ডায় বাইরে! আমাদের বাড়ির ওই রান্নাঘরের বাইরে!

- কি বলছিস!?

- হ্যাগো বৌদি! তুমি ভাবো একবার আমার অবস্থাটা। স্পষ্ট শুনছি বৌদি কেউ কাঁদছে! টেনে টেনে কাঁদছে। একেবারে ওই রান্নাঘরের বাইরে থেকে আসছে আওয়াজটা। আমি তো উঠেই ঘরেই লাইট জালতে যাবো এমন সময় একটা আওয়াজ পেলাম.... ওই গ্রিলে ধাক্কা লাগলে যেমন একটা আওয়াজ হয়না অমন পুরো। যেন কেউ আমাদের ওই বাইরের গ্রিলে সজোরে এসে ধাক্কা মারলো। ঢং করে আওয়াজটা হলো। গ্রিল কেঁপে উঠলো যেন। ওদিকে কুকুর গুলোর চেল্লানি চলছে। কিন্তু ওগুলোর আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম রান্না ঘরের দিক থেকে আর গ্রিলের আওয়াজটা পেলাম আমি আমাদের ওই বারান্দার দিক থেকে। বৌদি কি বলবো তোমায় আমি ধরেই নিয়েছি এ চোর.... একদম শিওর! কিন্তু আমি একা তো কিছু করতে পারবোনা না। অন্তত যেটা আমার হাতে আছে সেটাই করি। চট করে উঠে আগে নিজের ঘরের আলো জ্বালালাল। তারপরে দৌড়ে বেরিয়ে রান্নাঘর, বাথরুমের, বসার ঘরের সব আলো জেলে দিলাম। কিন্তু বারান্দারটা পারলাম না। কারণ ওটা জ্বালাতে গেলেতো আমাকে দরজা খুলে বাইরে গিয়ে তবে সুইচ টিপতে হবে। ও আমার দ্বারা তখন সম্ভব ছিলোনা বাবা! শুধু ইচ্ছে করে বন্ধ দরজায় দুম দুম করে ধাক্কা মেরে একবার কেশে উঠলাম। যাতে বাইরে চোর থাকলে কেটে পরে। তাই হলোও গো বৌদি। কিছুক্ষন অপেক্ষা করে শুনলাম না আর কোনো আওয়াজ নেই। চোর ব্যাটা কেটে পড়েছে। আমি আবার আলো নিভিয়ে ফিরে আসবো ভাবছি এমন সময়......!

- এমন সময়? কি... কি হলো? আবার আওয়াজ?

- হ্যা বৌদি! আবার ধাক্কা গ্রিলে! কিন্তু এবার আর নিচের তলায় নয়গো! আওয়াজটা পেলাম দোতলা থেকে! আর বেশ জোরেই হয়েছে আওয়াজটা। চোর কি কোনোভাবে ওপরে উঠে গেলো নাকি? আমার তখন আর ভাবার সময় নেই! ওই কান্না ফান্না সব ভুলে দিলাম ওপরে দৌড়। সিঁড়ি দিয়ে উঠছি আবার এলো কানে আওয়াজটা। কিন্তু চোর যদি হবে তবে সে এমন জোরে আওয়াজ করবে কেন? কিন্তু সেসব নিয়ে ভাবার সময় নেই তখন। সিঁড়ির আলোটা সারারাত জ্বলে। দাদুর তো হাই সুগার আছে। অনেকবার নামতে হয় তাই জ্বেলেই রাখে আলো। আমি দৌড়ে ওপর পৌঁছে বসার ঘরটা পার করে দাদুর ঘরের কাছে গিয়ে দরজায় ধাক্কাতে লাগলাম। একটু ধাক্কাতেই ওপাশ থেকে দুজনের আওয়াজ শুনতে পেলাম। তারপরেই দরজা খুলে দিলো দাদু। আমায় ঐভাবে দেখে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করাতে সব বললাম। ঠাকুমা তো শুনেই ঘাবড়ে গেলো কিন্তু দাদু বললো কোথায় আওয়াজ চলতো দেখি? দাদুর সাহস দেখে আমারও একটু সাহস আসলো। আমি দাদুর সাথে ওদের ঘর থেকে বেরিয়ে সবে বেরিয়ে ওই বসার ঘরটায় এসেছি এমন সময় আবার ঢং! কেউ যেন সজোরে গ্রিলে কিছু দিয়ে ধাক্কা মারলো। এবার এই আওয়াজটা এলো দাদুর পাশের ঘর মানে রুমকি দিদিমনির ঘরের দিক থেকে । উনি তো শশুর বাড়িতে থাকেন। তাই ও ঘরে কেউ থাকেনা। ফাঁকাই থাকে।

আওয়াজটা পেতেই আমি আর ঠাকুমা তো আবার ঘাবড়ে গেছি। কিন্তু দাদু সাহস করে ঢুকলো মেয়ের ঘরে। আলো জেলে চারিদিক দেখলো। সব যেমন থাকার কথা তেমনি আছে। কোনো গন্ডগোল নেই। কিন্তু আওয়াজটা এদিক থেকেই এসেছে সেটা আমরা সবাই শিওর। দাদু অমনি এগিয়ে গেলো জানলার দিকে। ঠাকুমা দাদুর গেঞ্জি চেপে ধরে একবার বারণ করলো। কিন্তু দাদু উল্টে ওকেই বকে এগিয়ে গেলো জানলার দিকে। আমিও গেলাম এগিয়ে। যা হবে হোক। দাদুকে একা যেতে দেওয়া ঠিক না ভেবে আমি পাশে পাশে গেলাম। দাদু গিয়ে জানলা খুলে দিলো! কিন্তু কোথায় কি? কিস্সু নেই সামনে। ওই দূরে সুপারি গাছ গুলো দেখা যাচ্ছে আর নিচে চোখ দিতে দেখলাম ওই দু তিনটে কুকুর ওপরের দিকে তাকিয়েই লেজ নাড়ছে আর আউউউউউউ করে চেল্লাছে! কিন্তু আর কিছু নেই। আমি আর দাদু এপাশ ওপাশ তাকিয়ে দেখে নিলাম। না আর কিচ্ছু দেখতে পেলাম না। কিন্তু আবারো শুনতে পেলাম ওই কান্না। কেউ একজন কাঁদছে সুর টেনে। এবারে আমরা তিনজনেই শুনেছিলাম ওই আওয়াজ। ঠাকুমা তো ভয় পেয়ে ওমা গো! এসব আবার কি শুরু হলো? কে কাঁদে এতো রাতে বলে ঠাকুরের নাম নিতে শুরু করলো কিন্তু দাদু ওতো ভীতু নয়। সে চেঁচিয়ে বলেই ফেললো -এই কে বাইরে? কে? কিন্তু কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। আওয়াজটাও এবার দেখলাম কমে গেলো। যেন কেউ চলে গেলো। তখনো কুত্তা গুলো অমন করেই ডেকে চলেছে। দাদু ওগুলোকেও হ্যাট হ্যাট করে জানলা লাগিয়ে দিলো। তারপরে আমরা সবাই একবার নিচে নেমে পুরো ঘরটা ঘুরে দেখে নিলাম। দাদু তো বারান্দায় গিয়ে আলো জ্বালিয়ে বাইরেটা দেখলো। ততক্ষনে ওই কুকুর গুলোও কেটে পড়েছে। ঠাকুমা এতটাই ভয় পেয়ে গেছিলো যে ওই বাতের ব্যাথা নিয়ে পর্যন্ত ওপর নিচ করলো কিন্তু একা থাকলোনা। মিথ্যে বলবোনা বৌদি.... এতো কিছুর পরে আমারও আর সেই সাহস ছিলোনা। কাল রাতে বালিশ নিয়ে দোতলায় ওদের ঘরের নিচে শুয়েছিলাম। একা শোবার সাহস আর ছিলোনা।

পুরোটা শোনার পর বুঝলাম যে রাতের ওই 'হ্যাট হ্যাট' তাহলে অক্ষয় দাদুই করেছিল। তারমানে এতকিছু আগেই হয়ে গেছে যখন আমরা শুয়ে ছিলাম। কিন্তু ওই জানলায় ধাক্কার ব্যাপারটা কি? সেটা সান্তাকে জিজ্ঞেস করতে সে বলেছিলো -

- আমিও জানিনা বৌদি। উফফফফফ পুরো গ্রিল কেঁপে উঠছিলো এতো জোরে আওয়াজ হচ্ছিলো গো। কেউ যদি চুরি করতে আসেও সে অমন ঢং ঢং করে জোরে আওয়াজ করবে কেন? আর ওই কান্নাটা? বাপরে উফফফ। সাথে ওই আওয়াজ। কেউ হাত দিয়ে ঘুসি মারলে তবে অমন আওয়াজ হবে..... নয়তো ...

-  নয়তো? নয়তো কি?

- কেউ যদি সজোরে নিজের মাথা গ্রিলে ঠোকে তবেই.....!

ধক করে উঠলো বুকটা ওর বলা কথাটা কল্পনা করে। কিন্তু কোনোমতে সেটা ওকে বুঝতে দিলাম না। চুপচাপ হাঁটতে লাগলাম ওর সাথে। কিছুটা হাঁটার পর যখন ওদের বাড়ির কাছে পৌঁছে গেছি তখন ও বললো - আমার কি মনে হয় বলোতো বৌদি?

- কি?

আড় চোখে দূরের ওই নির্দিষ্ট একটা দিক দেখিয়ে বললো - ঐযে! ও বাড়ি! যা কান্ড করলো! নিশ্চই কোনো গন্ডগোল ছিল.... নইলে অমন কাজ করবে কেন? ওরই প্রভাব। নইলে এতদিন এখানে আছি কিচ্ছু হয়নি। এখন তো সন্ধে নামলেই কেমন পাড়াটা শান্ত হয়ে যায় দেখেছো? যেন চারিদিকে নিস্তব্ধ। পরশুদিন ছাদে গেছিলাম একটু হাঁটতে। ওপর থেকে নিচে দেখছিলাম। সন্ধে ৭টার সময় সব শান্ত। কেউ নেই। যেন মাঝরাত। একটাও লোক দেখতে পেলাম না যতক্ষণ ছিলাম।আমিও বেশিক্ষন থাকিনি। চলে এসেছিলাম। আর কাল তো যা হলো! এ কদিন জ্বালাবে দেখো। যতদিন না সব কাজ টাজ হচ্ছে। তোমরা সামলে থেকো গো বৌদি। বাড়িতে ধুপ টুপ জ্বালিয়ে রাখো। দাদাকে বলো বেশি দেরী করে না ফিরতে। আর ছেলেটাকে সামলে রেখো। ছোট বাচ্চাদের ওপর শুনেছি নাকি....... যাই হোক গেলাম হ্যা।

ও চলে গেলো অক্ষয় জেঠুর বাড়ির দিকে। আর আমি এগিয়ে হয়ে ধরলাম ওই গলি। দ্রুত পায়ে হাটছি। তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে ছেলেটা বাড়িতে একা।


চলবে......

[Image: 20230816-221934.png]
[+] 9 users Like Baban's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#42
অনলাইন ছিলাম তাই দেওয়ার সাথে সাথেই পড়লাম।

সেই এক , ভয় পেলাম না একটুও , কি করি তাহলে !!! Sad



Like & Repu ++
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#43
(22-01-2023, 09:38 PM)ddey333 Wrote: অনলাইন ছিলাম তাই দেওয়ার সাথে সাথেই পড়লাম।

সেই এক , ভয় পেলাম না একটুও , কি করি তাহলে !!! Sad



Like & Repu ++

তুমিই পারবে ভূত বাবাজিকে জব্দ করতে। কি সাহস মাইরি। Big Grin
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
#44
কিছু একটা রহস্যময় ব্যাপার তো আছেই, তবে একটা ব্যাপার জেনে নিশ্চিন্ত হলাম কান্নার আওয়াজ বা দরজা ধাক্কানো অথবা গ্রিল ধাক্কানোর আওয়াজ শুধু একজন নয় এই গল্পে উপস্থিত প্রত্যেকটি চরিত্র যারা ওই রাতে জেগে ছিল বা ঘুম ভেঙে গিয়েছিল - তারা সবাই পেয়েছে। তারমানে যিনি নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছেন তিনি কিছু একটা প্রকাশ করতে চাইছেন। দেখা যাক আগে কি হয়  yourock

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
#45
হাম সাত সাত হ্যায়  banana এই আওয়াজ, এই ক্রন্দন, এই চিৎকার যখনই হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হবে তখন যদি সবাই একসঙ্গে থাকে, তাহলে অবশ্যই we shall overcome .. এটাই এখন মূল মন্ত্র হওয়া উচিৎ এই কাহিনীতে উপস্থিত চরিত্রগুলির। বাড়িতে কিন্তু বাচ্চাটা একা আছে, ভুলে গেলে চলবে না .. 
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
#46
(22-01-2023, 09:47 PM)Sanjay Sen Wrote: কিছু একটা রহস্যময় ব্যাপার তো আছেই, তবে একটা ব্যাপার জেনে নিশ্চিন্ত হলাম কান্নার আওয়াজ বা দরজা ধাক্কানো অথবা গ্রিল ধাক্কানোর আওয়াজ শুধু একজন নয় এই গল্পে উপস্থিত প্রত্যেকটি চরিত্র যারা ওই রাতে জেগে ছিল বা ঘুম ভেঙে গিয়েছিল - তারা সবাই পেয়েছে। তারমানে যিনি নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছেন তিনি কিছু একটা প্রকাশ করতে চাইছেন। দেখা যাক আগে কি হয়  yourock

সত্যিই। কিন্তু মুহুর্ত গুলো এতটাই ভয়ঙ্কর যে তার উর্ধে কেউ কিছুই ভাবতে চায়না সহজে। দেখা যাক আগে কি হয়।

(22-01-2023, 09:52 PM)Bumba_1 Wrote: হাম সাত সাত হ্যায়  banana  এই আওয়াজ, এই ক্রন্দন, এই চিৎকার যখনই হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হবে তখন যদি সবাই একসঙ্গে থাকে, তাহলে অবশ্যই we shall overcome .. এটাই এখন মূল মন্ত্র হওয়া উচিৎ এই কাহিনীতে উপস্থিত চরিত্রগুলির। বাড়িতে কিন্তু বাচ্চাটা একা আছে, ভুলে গেলে চলবে না .. 

কিন্তু একটা ফিল্ম ভুলে গেলে যে চলবেনা। হাম আপকে হ্যা কৌন? সমাজের সেরা সিনেমা  Big Grin প্রয়োজন না পড়লে সবাই যে এই ফিল্মটাই বেশি দেখে। দেখা যাক আগে কি হয়।
[+] 3 users Like Baban's post
Like Reply
#47
(22-01-2023, 10:10 PM)Baban Wrote: কিন্তু একটা ফিল্ম ভুলে গেলে যে চলবেনা। হাম আপকে হ্যা কৌন? সমাজের সেরা সিনেমা  Big Grin প্রয়োজন না পড়লে সবাই যে এই ফিল্মটাই বেশি দেখে। দেখা যাক আগে কি হয়।

হক কথা কইসো  Smile
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
#48
শুরু জোজোর মায়ের সাথে হলেও এবার অলৌকিক ব্যাপারটা আরও নানা জায়গায় ছড়িয়ে পরছে। নিজের অস্তিত্ব জানান দেওয়া নাকি আরও ভয়ানক কিছু সেটাই এবার দেখার। বেশ লাগলো পর্বটা।
[+] 1 user Likes Avishek's post
Like Reply
#49
কিছুটা রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি...
ভূতের উৎপাত তাহলে শুধু একজনই সইছে না আরও একজন আছে। 
ভুতের ভূত ভূত ব্যাপারটা ফিল করছি। তাই বলছি কি আপডেট রাতে না দিয়ে সকালে দেয়া যায় না।
Shy হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই।
 দুইকে আমি এক করি না, এক কে করি দুই।। Shy
[+] 1 user Likes nextpage's post
Like Reply
#50
আজকের এই পর্ব পরে অনেক দিন আগের আমার নিজ অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল দাদা । আমার এক বন্ধু সে আবার S.B.I তে আছে তো একদিন হঠাৎই আমাকে বললো অফিসের অডিট এর কাজে ওকে অনেক দুরে যেতে হবে একা যদি আমি ফ্রি থাকি তাইলে তার সাথে যাবো কিনা । আমিও ফ্রি ছিলাম তাই চলে গেলাম ওর সাথে তারপরের ঘটনা দাদা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না আজকের পর্ব যেরকম লিখেছেন ঠিক সেই রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছিল এখনও মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দেয় ।।। লাইক রেপু এডেড দাদা।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
[+] 1 user Likes Boti babu's post
Like Reply
#51
Khub sundor golpo... Keep I going dada
[+] 1 user Likes Dushtuchele567's post
Like Reply
#52
(22-01-2023, 11:49 PM)Avishek Wrote: শুরু জোজোর মায়ের সাথে হলেও এবার অলৌকিক ব্যাপারটা আরও নানা জায়গায় ছড়িয়ে পরছে। নিজের অস্তিত্ব জানান দেওয়া নাকি আরও ভয়ানক কিছু সেটাই এবার দেখার। বেশ লাগলো পর্বটা।

একদমই তাই। অনেক ধন্যবাদ। সাথে থাকুন। ♥️

(23-01-2023, 12:17 AM)nextpage Wrote: কিছুটা রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি...
ভূতের উৎপাত তাহলে শুধু একজনই সইছে না আরও একজন আছে। 
ভুতের ভূত ভূত ব্যাপারটা ফিল করছি। তাই বলছি কি আপডেট রাতে না দিয়ে সকালে দেয়া যায় না।

এইতো এইবার মনে হয় ছেলে একটু একটু.... Big Grin

(23-01-2023, 08:49 AM)Dushtuchele567 Wrote: Khub sundor golpo... Keep I going dada

অনেক ধন্যবাদ ♥️ সাথে থাকুন।
[+] 2 users Like Baban's post
Like Reply
#53
(23-01-2023, 12:42 AM)Boti babu Wrote: আজকের এই পর্ব পরে অনেক দিন আগের আমার নিজ অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল দাদা । আমার এক বন্ধু সে আবার S.B.I তে আছে তো একদিন হঠাৎই আমাকে বললো অফিসের অডিট এর কাজে ওকে অনেক দুরে যেতে হবে একা যদি আমি ফ্রি থাকি তাইলে তার সাথে যাবো কিনা । আমিও ফ্রি ছিলাম তাই চলে গেলাম ওর সাথে তারপরের ঘটনা দাদা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না আজকের পর্ব যেরকম লিখেছেন ঠিক সেই রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছিল এখনও মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দেয় ।।। লাইক রেপু এডেড দাদা।

কি বলছেন দাদা!! এ যে দেখি আমার কল্পনা আর বাস্তব মিলেমিশে একাকার!
তবে জেনে কোথাও যেন ভালো লাগছে এই ভেবে আমার চিন্তা গুলো একেবারে অতিরঞ্জিত অবাস্তব নয়, তার একটা সত্য রূপ আছে। তা ঠিক হয়েছিল বলতে পারেন? যদি অসুবিধা না থাকে তাহলেই।
সাথে থাকুন ❤
[+] 2 users Like Baban's post
Like Reply
#54
Kahini jome uthechey. Ebar sudhu jojor parents noy onno bariteo paranormal bapar shuru hoe geche. Window te awaz er scene ta sotti bhoyer chilo. Kono karone regey achey ki sei entity?
[+] 1 user Likes Papai's post
Like Reply
#55
(23-01-2023, 12:35 PM)Baban Wrote: কি বলছেন দাদা!! এ যে দেখি আমার কল্পনা আর বাস্তব মিলেমিশে একাকার!
তবে জেনে কোথাও যেন ভালো লাগছে এই ভেবে আমার চিন্তা গুলো একেবারে অতিরঞ্জিত অবাস্তব নয়, তার একটা সত্য রূপ আছে। তা ঠিক হয়েছিল বলতে পারেন? যদি অসুবিধা না থাকে তাহলেই।
সাথে থাকুন ❤

ধন্যবাদ দাদা এই অধমের কথা শুনতে চাওয়ার জন্য  Big Grin
প্রথমেই কিছু কথা বলছি আমি ভূত প্রেত বিশ্বাস করি না যা আমি নিজ চোখে দেখি না তা কখনোই বিশ্বাস করি না তারপরেও কিছু কিছু ঘটনার কথা মনে হলে সব তালগোল পাকিয়ে যায়। সে রকম কিছু আমার অভিজ্ঞতার কথা আমি বলতে যাচ্ছি। যদি কেউ ভাবে আমি ঢপ মারছি তাহলে কিছু করার নেই। 
 আগে আমার কিছু সাহসের নমুনা বলছি আমি একসময় ড্রিন্স করতাম বন্ধুদের সাথে কিন্তু আমাদের যেখানে বসবাস সেখানে ঐরকম জায়গার অভাব যেখানে বাচ্চারা বসে মাল টানতে পারবে তাই আমরা কিছু বন্ধু মিলে আমাদের শহরের মহা শ্মশানে বশে মাল টানতাম মাঝে মধ্যে ভোলাবাবার প্রসাদ (সিদ্ধি)  খেতাম অনেক রাত করে ফিরেছি কোনও দিন রাত একটা কোনও দিন রাত দুটো । সবচেয়ে আমার পছন্দের সময় ছিল অমাবশ্যার সময় শ্মশান কালি মন্দিরে বশে মার পূজো দেখতে দেখতে বাবা টান মারা উফ এখনো ইচ্ছে হয় ঐ সময়ে চলে যেতে । তা আশা করি বুঝতেই পারছেন কেমন ছিলাম। 

তো আগেই বলেছি S.B.I এর বন্ধুর কথাতে চলে গেলাম ভোর বেলা চারটার ট্রেন ধরে চললাম সকাল ৮ টাই ট্রেন  থেকে নেমে আবার গাড়িতে তো গন্তব্য পৌঁছতে পৌঁছতে ১০'৩০ টা বেজে গেছে তার পর সারা দিন কাজ কাজ আর কাজ আমি কি করবো বাইরে যাই সুখটান দি সময় কাটানোর জন্য,  branch এ দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও ছিল, তারপর আবার কাজ কাজ তো এভাবেই ৪ টা বেজে গেল কিন্তু কাজ শেষ হয় নি । ম্যানেজার স্যার এসে বললেন ৬ টাতে শহরে যাওয়ার  লাস্ট  ট্রেন এদিকে কাজ শেষ হয় নি। তারপর বন্ধু বললো কাজতো এখনও শেষ হয়নি যদি কাজ শেষ না করে যাই তা হলে আবার আসতে হবে আর ট্রেনও ধরতে পারবো না গাড়িও ঠিকঠাক পাবো না তার থেকে ভালো এখানেই  রাত্রি থেকে যাই কাজ শেষ করে সকালের ট্রেনে বাড়ি রাত্রিটা কোনও হোটেলে থেকে যাব । আমিও ভাবলাম ঠিক আছে থেকেই যাই এসেছি যখন এতো দুর যখন এসেপড়েছি তখন কাজ শেষ না করে যাওয়া উচিত হবে না। যেটা ভাবা সেটাই করলাম।  প্রায় রাত ১০ টা বেজে গেল কাজ শেষ করতে করতে এদিকে ম্যানেজার স্যার আমাদের থাকার জন্য হোটেল ঠিক করে দিলেন।  আমরা হোটেলে গিয়ে ভাত খেয়ে ঘুমাতে গেলাম তাড়াতাড়ি কারন সকাল ৮ টার ট্রেন ধরবো। ঠিক রাত পৌনে বারোটা হবে হঠাৎই কে যানি আমাদের রুমের দরজার ঠক ঠক করলো আমার এবং বন্ধুর ঘুম ভেঙ্গে গেল বের হয়ে দেখি কেউ নেই। একজন আরেক জনকে দেখছি ব্যাপারটা কি হলো দরজা বন্ধ  করে আবার ঘুমুতে আসলাম কিন্তু হঠাৎই মনে হলো বারান্দা দিয়ে কেউ দৌড়ে চলে গেছে আবার বের হলাম এবারও কাউকে দেখলাম না। আবার দরজা বন্ধ করে রুমে কিছু সময় পড়ে মনে হলো আমাদের মাথার উপরের রুমের কিছু হচ্ছে কেউ যেন ঠাস ঠাস করে আউআজ করছে সাথে খিন মেয়ের গলার শব্দ  সাহস করে সিঁড়ি দিয়ে উপরে গেলাম কি হচ্ছে দেখার জন্য  ওমা গিয়ে দেখি  হিসেব মত যে রুম থেকে শব্দ আসার কথা ঐ রুম তালা বন্ধ আরে এটা আবার কি ভাবে হয় এর ভেতর রাত দুটো বেজে গেছে । বন্ধু পাড়ে না কেঁদ দেবে। আমি ওকে সাহস দিয়ে গেলাম কাউন্টারে জিজ্ঞেস করার জন্য যে এই সব কি হচ্ছে গিয়ে দেখি নিচে কোনও স্টাফ নেই  যে যার রুমের ঘুমোতে চলে গেছে আর ঐদিকে কুকুরের কান্না রাস্তায় অনবরত চলছে সেই 12 টা থেকে কি আর করার চলে আসলাম রুমের মধ্যেই।  তারপর ভোর সাড়ে তিনটা  পর্যন্ত চলছে এদিকে মাঝে মাঝে আবার নূপুরের আউআজ ভাবেন একবার অজপাড়া গাঁয়ে । ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই হোটেল ছেড়ে দিলাম।  তারপর রাস্তায় কিনারে চায়ের দোকানে যখন চা খেতে খেতে কথা বলছি তখন ঐ চাওলা এমন ভাবে আমাদের দেখছিল যেন আমাদের মাথায় সিং গজিয়েছে। 
ওখান থেকে চলে আসার পর খবর নিয়ে জানতে পারলাম ঐ হোটেলে তখন পর্যন্ত আট জন সুইসাইড করেছে। আর এটা শুরু হয়েছিল হোটেলের আগের মালিক তার এক ১২ বছরের কাজের মেয়েকে হত্যা করা দিয়ে। ঐ হোটেল রাত ১০ টার পর সকাল অব্দি কোনও রুম সার্ভিস দেয় না। 

এটা ছাড়াও আরো তিনটা মারাত্মক অভিজ্ঞতা সাক্ষী হয়ে ছিলাম । তার ভেতর একটা খবরতো সত্যতা জানার জন্য ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি থেকে এসেছিল।  ঐ গুলি নিয়ে আরেক দিন বলবো দাদা। বিশ্বাস করা না করা আপনার উপর আমি শুধুমাত্র আমার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করলাম।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
[+] 4 users Like Boti babu's post
Like Reply
#56
(23-01-2023, 10:19 PM)Boti babu Wrote: ধন্যবাদ দাদা এই অধমের কথা শুনতে চাওয়ার জন্য  Big Grin
প্রথমেই কিছু কথা বলছি আমি ভূত প্রেত বিশ্বাস করি না যা আমি নিজ চোখে দেখি না তা কখনোই বিশ্বাস করি না তারপরেও কিছু কিছু ঘটনার কথা মনে হলে সব তালগোল পাকিয়ে যায়। সে রকম কিছু আমার অভিজ্ঞতার কথা আমি বলতে যাচ্ছি। যদি কেউ ভাবে আমি ঢপ মারছি তাহলে কিছু করার নেই। 
 আগে আমার কিছু সাহসের নমুনা বলছি আমি একসময় ড্রিন্স করতাম বন্ধুদের সাথে কিন্তু আমাদের যেখানে বসবাস সেখানে ঐরকম জায়গার অভাব যেখানে বাচ্চারা বসে মাল টানতে পারবে তাই আমরা কিছু বন্ধু মিলে আমাদের শহরের মহা শ্মশানে বশে মাল টানতাম মাঝে মধ্যে ভোলাবাবার প্রসাদ (সিদ্ধি)  খেতাম অনেক রাত করে ফিরেছি কোনও দিন রাত একটা কোনও দিন রাত দুটো । সবচেয়ে আমার পছন্দের সময় ছিল অমাবশ্যার সময় শ্মশান কালি মন্দিরে বশে মার পূজো দেখতে দেখতে বাবা টান মারা উফ এখনো ইচ্ছে হয় ঐ সময়ে চলে যেতে । তা আশা করি বুঝতেই পারছেন কেমন ছিলাম। 

তো আগেই বলেছি S.B.I এর বন্ধুর কথাতে চলে গেলাম ভোর বেলা চারটার ট্রেন ধরে চললাম সকাল ৮ টাই ট্রেন  থেকে নেমে আবার গাড়িতে তো গন্তব্য পৌঁছতে পৌঁছতে ১০'৩০ টা বেজে গেছে তার পর সারা দিন কাজ কাজ আর কাজ আমি কি করবো বাইরে যাই সুখটান দি সময় কাটানোর জন্য,  branch এ দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও ছিল, তারপর আবার কাজ কাজ তো এভাবেই ৪ টা বেজে গেল কিন্তু কাজ শেষ হয় নি । ম্যানেজার স্যার এসে বললেন ৬ টাতে শহরে যাওয়ার  লাস্ট  ট্রেন এদিকে কাজ শেষ হয় নি। তারপর বন্ধু বললো কাজতো এখনও শেষ হয়নি যদি কাজ শেষ না করে যাই তা হলে আবার আসতে হবে আর ট্রেনও ধরতে পারবো না গাড়িও ঠিকঠাক পাবো না তার থেকে ভালো এখানেই  রাত্রি থেকে যাই কাজ শেষ করে সকালের ট্রেনে বাড়ি রাত্রিটা কোনও হোটেলে থেকে যাব । আমিও ভাবলাম ঠিক আছে থেকেই যাই এসেছি যখন এতো দুর যখন এসেপড়েছি তখন কাজ শেষ না করে যাওয়া উচিত হবে না। যেটা ভাবা সেটাই করলাম।  প্রায় রাত ১০ টা বেজে গেল কাজ শেষ করতে করতে এদিকে ম্যানেজার স্যার আমাদের থাকার জন্য হোটেল ঠিক করে দিলেন।  আমরা হোটেলে গিয়ে ভাত খেয়ে ঘুমাতে গেলাম তাড়াতাড়ি কারন সকাল ৮ টার ট্রেন ধরবো। ঠিক রাত পৌনে বারোটা হবে হঠাৎই কে যানি আমাদের রুমের দরজার ঠক ঠক করলো আমার এবং বন্ধুর ঘুম ভেঙ্গে গেল বের হয়ে দেখি কেউ নেই। একজন আরেক জনকে দেখছি ব্যাপারটা কি হলো দরজা বন্ধ  করে আবার ঘুমুতে আসলাম কিন্তু হঠাৎই মনে হলো বারান্দা দিয়ে কেউ দৌড়ে চলে গেছে আবার বের হলাম এবারও কাউকে দেখলাম না। আবার দরজা বন্ধ করে রুমে কিছু সময় পড়ে মনে হলো আমাদের মাথার উপরের রুমের কিছু হচ্ছে কেউ যেন ঠাস ঠাস করে আউআজ করছে সাথে খিন মেয়ের গলার শব্দ  সাহস করে সিঁড়ি দিয়ে উপরে গেলাম কি হচ্ছে দেখার জন্য  ওমা গিয়ে দেখি  হিসেব মত যে রুম থেকে শব্দ আসার কথা ঐ রুম তালা বন্ধ আরে এটা আবার কি ভাবে হয় এর ভেতর রাত দুটো বেজে গেছে । বন্ধু পাড়ে না কেঁদ দেবে। আমি ওকে সাহস দিয়ে গেলাম কাউন্টারে জিজ্ঞেস করার জন্য যে এই সব কি হচ্ছে গিয়ে দেখি নিচে কোনও স্টাফ নেই  যে যার রুমের ঘুমোতে চলে গেছে আর ঐদিকে কুকুরের কান্না রাস্তায় অনবরত চলছে সেই 12 টা থেকে কি আর করার চলে আসলাম রুমের মধ্যেই।  তারপর ভোর সাড়ে তিনটা  পর্যন্ত চলছে এদিকে মাঝে মাঝে আবার নূপুরের আউআজ ভাবেন একবার অজপাড়া গাঁয়ে । ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই হোটেল ছেড়ে দিলাম।  তারপর রাস্তায় কিনারে চায়ের দোকানে যখন চা খেতে খেতে কথা বলছি তখন ঐ চাওলা এমন ভাবে আমাদের দেখছিল যেন আমাদের মাথায় সিং গজিয়েছে। 
ওখান থেকে চলে আসার পর খবর নিয়ে জানতে পারলাম ঐ হোটেলে তখন পর্যন্ত আট জন সুইসাইড করেছে। আর এটা শুরু হয়েছিল হোটেলের আগের মালিক তার এক ১২ বছরের কাজের মেয়েকে হত্যা করা দিয়ে। ঐ হোটেল রাত ১০ টার পর সকাল অব্দি কোনও রুম সার্ভিস দেয় না। 

এটা ছাড়াও আরো তিনটা মারাত্মক অভিজ্ঞতা সাক্ষী হয়ে ছিলাম । তার ভেতর একটা খবরতো সত্যতা জানার জন্য ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি থেকে এসেছিল।  ঐ গুলি নিয়ে আরেক দিন বলবো দাদা। বিশ্বাস করা না করা আপনার উপর আমি শুধুমাত্র আমার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করলাম।

সাংঘাতিক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা .. শুনে বেশ শিহরিত হলাম। শুভ শক্তি হোক আর অশুভ শক্তি হোক .. এই ধরাধামে একটা তো কিছু আছেই।
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
#57
(23-01-2023, 10:14 PM)Papai Wrote: Kahini jome uthechey. Ebar sudhu jojor parents noy onno bariteo paranormal bapar shuru hoe geche. Window te awaz er scene ta sotti bhoyer chilo. Kono karone regey achey ki sei entity?

কে জানে দাদা? বড়ো অদ্ভুত সব ব্যাপার ঘটছে পাড়ায়। এই তো সেদিন জোজোর বাবা ফিরছিলো হটাৎ....... না..... এখানে আর বলবোনা। পরের পর্বে জানাবো।


(23-01-2023, 10:19 PM)Boti babu Wrote: ধন্যবাদ দাদা এই অধমের কথা শুনতে চাওয়ার জন্য  Big Grin
প্রথমেই কিছু কথা বলছি আমি ভূত প্রেত বিশ্বাস করি না যা আমি নিজ চোখে দেখি না তা কখনোই বিশ্বাস করি না তারপরেও কিছু কিছু ঘটনার কথা মনে হলে সব তালগোল পাকিয়ে যায়। সে রকম কিছু আমার অভিজ্ঞতার কথা আমি বলতে যাচ্ছি। যদি কেউ ভাবে আমি ঢপ মারছি তাহলে কিছু করার নেই। 
 আগে আমার কিছু সাহসের নমুনা বলছি আমি একসময় ড্রিন্স করতাম বন্ধুদের সাথে কিন্তু আমাদের যেখানে বসবাস সেখানে ঐরকম জায়গার অভাব যেখানে বাচ্চারা বসে মাল টানতে পারবে তাই আমরা কিছু বন্ধু মিলে আমাদের শহরের মহা শ্মশানে বশে মাল টানতাম মাঝে মধ্যে ভোলাবাবার প্রসাদ (সিদ্ধি)  খেতাম অনেক রাত করে ফিরেছি কোনও দিন রাত একটা কোনও দিন রাত দুটো । সবচেয়ে আমার পছন্দের সময় ছিল অমাবশ্যার সময় শ্মশান কালি মন্দিরে বশে মার পূজো দেখতে দেখতে বাবা টান মারা উফ এখনো ইচ্ছে হয় ঐ সময়ে চলে যেতে । তা আশা করি বুঝতেই পারছেন কেমন ছিলাম। 

তো আগেই বলেছি S.B.I এর বন্ধুর কথাতে চলে গেলাম ভোর বেলা চারটার ট্রেন ধরে চললাম সকাল ৮ টাই ট্রেন  থেকে নেমে আবার গাড়িতে তো গন্তব্য পৌঁছতে পৌঁছতে ১০'৩০ টা বেজে গেছে তার পর সারা দিন কাজ কাজ আর কাজ আমি কি করবো বাইরে যাই সুখটান দি সময় কাটানোর জন্য,  branch এ দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও ছিল, তারপর আবার কাজ কাজ তো এভাবেই ৪ টা বেজে গেল কিন্তু কাজ শেষ হয় নি................

এটা ছাড়াও আরো তিনটা মারাত্মক অভিজ্ঞতা সাক্ষী হয়ে ছিলাম । তার ভেতর একটা খবরতো সত্যতা জানার জন্য ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি থেকে এসেছিল।  ঐ গুলি নিয়ে আরেক দিন বলবো দাদা। বিশ্বাস করা না করা আপনার উপর আমি শুধুমাত্র আমার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করলাম।

বাবারে! এতো সাংঘাতিক অভিজ্ঞতা! তবে আমার কি মনে হয় জানেন? পূর্বের আপনার ব্যাক্ত করা অতীতের ক্রিয়া গুলো থেকে বোঝা যায় আপনার সাহস অনেক। আর সেটা আপনার ভেতরের পসিটিভ শক্তি অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলেছে। তাই আপনার ও আপনাদের সাথে বিশেষ বাড়াবাড়ি হতে পারেনি। শুধুই অস্তিত্ব জানান দেবার ওপর দিয়েই গেছে।
আপনি না থাকলে ওনার যে কি অবস্থা হতো ভাবতে পারছিনা!

আরও তিনটে অভিজ্ঞতা কি ঘটেছিলো পারলে একদিন জানাবেন। এই থ্রেড তো এই বিশেষ ব্যাপার কেন্দ্র করেই তাই আমার কাহিনী ছাড়াও আরও সত্য অভিজ্ঞতা হয়তো থ্রেডকে আলাদা মাত্রা দেবে। খুব ভয়ঙ্কর লাগলো । আসলে যার সাথে ঘটে সেই বোঝে। 
[+] 4 users Like Baban's post
Like Reply
#58
সেদিন রাতে আর কিছু আলোচনা করলাম না আমরা এসব নিয়ে। জোজোর বাবা নিজের বাবাকে যেমন ফোন করে তেমনি ফোন করে কথা বললো। যদিও এসব অদ্ভুত ব্যাপার নিয়ে কিছুই জানালো না তাদের। সেটা একদিকে ভালোই করেছে সে। শাশুড়ি মা আবার একটুতেই দুশ্চিন্তায় পড়ে জান। সামান্য ব্যাপারে দিশেহারা হয়ে পড়েন। তাই তাকে এসব না জানানোই ভালো। কিন্তু আমি পরের দিন নিজের মাকে ফোনে সবটাই জানাই। সবটা শুনে প্রথমে মা কিছুক্ষন চুপ করে রইলো, তারপরে বললেন....

আগামীকাল রাত্রে আসছে চতুর্থ পর্ব 
[+] 5 users Like Baban's post
Like Reply
#59
(25-01-2023, 06:30 PM)Baban Wrote:
সেদিন রাতে আর কিছু আলোচনা করলাম না আমরা এসব নিয়ে। জোজোর বাবা নিজের বাবাকে যেমন ফোন করে তেমনি ফোন করে কথা বললো। যদিও এসব অদ্ভুত ব্যাপার নিয়ে কিছুই জানালো না তাদের। সেটা একদিকে ভালোই করেছে সে। শাশুড়ি মা আবার একটুতেই দুশ্চিন্তায় পড়ে জান। সামান্য ব্যাপারে দিশেহারা হয়ে পড়েন। তাই তাকে এসব না জানানোই ভালো। কিন্তু আমি পরের দিন নিজের মাকে ফোনে সবটাই জানাই। সবটা শুনে প্রথমে মা কিছুক্ষন চুপ করে রইলো, তারপরে বললেন....

আগামীকাল রাত্রে আসছে চতুর্থ পর্ব 
Waiting dada
[+] 1 user Likes Dushtuchele567's post
Like Reply
#60
(23-01-2023, 11:46 PM)Baban Wrote:
আরও তিনটে অভিজ্ঞতা কি ঘটেছিলো পারলে একদিন জানাবেন। এই থ্রেড তো এই বিশেষ ব্যাপার কেন্দ্র করেই তাই আমার কাহিনী ছাড়াও আরও সত্য অভিজ্ঞতা হয়তো থ্রেডকে আলাদা মাত্রা দেবে। খুব ভয়ঙ্কর লাগলো । আসলে যার সাথে ঘটে সেই বোঝে। 

অবশ্যই দাদা আমিও কথা গুলি বলতে চাই । আসলে কেউ বিশ্বাস করে আবার কেউ বিশ্বাস করে না তাই সবার সামনে এগুলো নিয়ে আলোচনা করি না। আগামী পর্ব আপলোডের পড়ে আমার অভিজ্ঞতা গুলি বলবো । এখন এটাই বলবো তিনটি অভিজ্ঞতা তিন রকমের । যারা বিশ্বাস করবে তাদের একটু ভয় লাগবে যারা বিশ্বাস করবে না তাদেরও মজা লাগবে।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
[+] 1 user Likes Boti babu's post
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)