Thread Rating:
  • 114 Vote(s) - 2.66 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
কিছু মনের সত্যি কথা
"আরে বেশি না। আসলে আমি কজন কুকুর বিড়ালকে খাওয়াই। না, আমার পোষা না, এমনিই রাস্তার। ওদের জন্যই একটু মাংস মাছ সব্জি এসব…"

"আচ্ছা, বাহ। এটা তো দারুণ ব্যাপার!"
"আসলে, বেশিরভাগ বেচারারাই একটু খাবারের জন্য ঘুরতে থাকে। কোনো বাড়ি থেকে সামান্য খেতে দেয় তো কোনো বাড়ি থেকে লাঠির আঘাত করে, ঢিল ছুঁড়ে মারে, জল, এমনকি গরম জলও ছিটিয়ে দেয়। তাই আমি একটু…"
"আপনি এতো ভাবেন?"
"না না, সেরকম কিছু না…"
"আপনি তো দারুণ মানুষ একজন! ওয়াও! জাস্ট ওয়াও!"
"ধ্যাত! এটা বাড়াবাড়ি করে ফেললেন।"
"ভাবুন, আপনি নিজেকে ব্যর্থ ভেবে মনখারাপ করছিলেন, এদিকে আমার মনে হচ্ছে আপনি অত্যন্ত সফল একজন মানুষ।"
"থামুন তো!" হাসি চেপে বলে তিস্তা। নাকি সফল! আচ্ছা পাগল তো এই অপিরিচিত!
"এই যে বললেন রাস্তার অসহায় কুকুর বিড়ালদের যত্ন করে খাওয়ানওরা নিশ্চয়ই আপনাকে খুব ভালবাসে?"
"তা বাসে…" ওদের কথা ভাবতেই মন ভাল হয়ে যায় তিস্তার।
"জানেন তো, ওদের ভালবাসা শর্তহীন। আপনি ওদের একদিন খেতে দিলেও ওরা আপনাকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিত। এমনকি না খেতে দিলেওসামান্য একটু ভালবাসলেও ওরা কৃতজ্ঞ থাকে সারাজীবন? আর সেখানে তো আপনি ওদের অন্ন আর মাছ মাংস দাতা।"
"মাছ মাংস দাতা? হি হি!"
"আর কি বললেন, আপনার বয়স্কা মা কে আপনি নিজের কষ্টের কথা বুঝতে দেন না? আগলে রাখেন নিশ্চয়ই খুব?"
"মা বাবা তো আগলে রাখারই জিনিস! মানে, জিনিস ঠিক নাতবে বয়স হলে বাবা মা তো বাচ্চা হয়ে যান। একটু বেশি কেয়ার, একটু বেশি আদর তখন ওঁদের প্রাপ্য হয়।"
"আরে, আপনি কাঁদছেন নাকি? এই সামান্য কথাতে?"
"আসলে বাবা নেই তোমা আমার সব…"
"কত ভাল মেয়ে আপনি! অ্যাজ ডটার, ইউ আর অ্যামেজিং।"
"থ্যাংকইউ। আমি মা কে একটু ভাল রাখতে চাই শুধু।"
"জানেন, এইমধ্যেই কবে যেন পড়ছিলাম, করোনা অতিমারি চলাকালীন গত দুবছরে প্রায় ৫৬ লক্ষ ভারতীয় কাজ হারিয়েছেন।"
"হ্যাঁ হ্যাঁ আমিও পড়েছি।"
"তাও আপনার কাজ আছে। তারমানে নিশ্চয়ই আপনার ভাষায় 'বাটারিং' করতে না পারলেও আপনি একটা বিষয় ভাল পারেন, আপনার কাজটা। কখনও সখনও একটু আধটু ভুল তো আমাদের সবারই হয়…"
"এভাবে তো ভাবিনি কখনও।" আনমনা গলায় ভাবে তিস্তা।
"ভাবুন, ভাবুন। ভাবা প্র্যাক্টিশ করুন! আচ্ছা, আপনার পিসিওডি আছে, তাই না?"
"হ্যাঁ। তাই তো আমি মোটা, স্কিনটাও খুব একটা ভাল না। দেখছেন কত পিম্পল?"
"এই কম আলোতে তো ব্রণ দেখা যায় না। তবে আপনার চোখদুটি কিন্তু বড় সুন্দর। কাজল নয়না হরিণী আপনি। আগে কেউ বলেনি?"
"হুম, বলেছে। আগে।" লজ্জা পাচ্ছে তিস্তা এখন।
"তবেই বুঝুন। আর চোখ দেখেই কিন্তু মানুষ চেনা যায়। "
"হুম!"
"তাহলে বুঝলেন তো? আপনি ব্যর্থ না, একজন সফল মেয়ে। সফল মানুষ। এবং, আপনার ঝকঝকে মনটা ওই ত্বকের বাইরে থেকেও বোঝা যায়। যাওয়া উচিৎ। জানেন না, বিউটি ইজ স্কিন ডিপ?"
"হুম!"
"তবে? আজ আপনার দিন না। ইন ফ্যাক্ট, কারোরই দিন না। ফেইলিওর না থাকলে সাকসেস ভাল লাগত? মাধ্যমিকের টেস্টে ভাল রেজাল্ট না করার পরে লজ্জা আর জেদের চোটে আদা জল খেয়ে লেগে থেকে ওইরকম ভাল একটা রেজাল্ট যদি না করতেনভাল লাগত? ব্যর্থ হয়েছিলেন, তাই তো সফল হয়েছিলেন? তাই না?"
চোখে জল আসছিল তিস্তার। তাও নিজেকে সামলে বলল "হ্যাঁ, ঠিক। কিন্তুআপনি কি করে জানলেন আমার মাধ্যমিকের রেজাল্টের কথা?"
একটু হাসলেন বিবেক বাবু। চাঁদের আলো মাখা, মায়াময় সেই হাসি। তারপর বলে উঠলেন "আমি সব জানি। কারণ আমি যে বিবেক।"
এক মুহূর্ত পরেই উঠে পড়ল তিস্তা, বেঞ্চ থেকে।
অনেক কাজ পড়ে আছে।
বাড়ি গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়েই রান্নাঘরে ঢুকতে হবে। বাচ্চাগুলোকে খেতে দিতে হবে। মায়ের সাথে খেতে খেতে গল্প করতে হবে। তারপর একটা শান্তির ঘুম।
কাল আবার একটা দরকারী মিটিং আছে অফিসে। কাল কোনো ভুল করবে না ও।
হাতের ব্যাগ গুছিয়ে তাড়াতাড়ি উঠে পড়ল ও। বড় তাড়া এখন
পিছন দিকে একবারও ফিরে তাকায়নি তিস্তা। তাকালে বুঝতে পারত পাশের বেঞ্চে বসা একজোড়া প্রেমিক প্রেমিকা ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। ছেলেটি বলছে, "আজব মহিলাসাজগোজ সুন্দর, দেখে মনে হচ্ছে অফিস টফিস থেকে ফিরছে, অথচ আকাশের দিকে তাকিয়ে কাঁদছিল। তুই দেখেছিস, টুসি?"
"দেখেছি রে। আহা, কষ্ট হচ্ছিল বড্ড।" উত্তর দিল মেয়েটি।
"কি কষ্ট কে জানে। না না, সব কষ্ট মুছে যাক ওনার। বল?" আবার বলে ছেলেটি।
"একদম, ভাল থাকুন উনি। জানিস দীপ্ত, আমি ওনাকে চিনি। রাস্তায় নিউজপেপার পেতে কুকুর দের খেতে দেন। সেই লকডাউন থেকেই। কী ভাল, তাই না?"
"বাহ! সত্যি কী ভাল রে উনি। আচ্ছা, এইসময়টা আড্ডা না মেরে আমরাও ওনাকে হেল্প করতে পারি না? তাহলে তোকেও বাড়িতে বাহানা করে আমার সাথে দেখা করতে আসতে হবে না?"
"ডান! কাল থেকেই তাহলে?" হাসে মেয়েটি।
আজ তিস্তা নিজেকে ব্যর্থ ভাবছিল, কিন্তু কাল দীপ্ত আর টুসিকে দেখে হাসি ফুটবেই ওর মুখে। তাই না?
সাফল্য আর ব্যর্থতা যে বড় আপেক্ষিক...

[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
মহিলার বয়েস আন্দাজ বছর চল্লিশ-বিয়াল্লিশ হবে পরনে ছাই রঙের রং জ্বলা একটা সুতির ছাপা গায়ের রং কোনো এককালে ফর্সা ছিল এখন রোদে পুড়ে বাদামি পরিশ্রমী চেহারার একটা বিশেষ মাধুর্য থাকে, কপালের ভাঁজেও অভিজ্ঞতার চিহ্ন লেগে থাকে হাতে ব্যাগ নিয়ে ঘুরে ঘুরে বাজার করছেন মহিলা 

দুপিস পেটির মাছ দাও, আর দু পিস গাদার বড় বড় করে কাটবে পাঁচভাজায় একটা পেটি দেবো 
মাছওয়ালা মাছ কাটতে কাটতেই বললো, ছেলের জন্মদিনে কী মায়ের মাছ খাওয়া বারণ? চারপিস মাছে হবে?
মহিলা হেসে বললেন, ছেলের একপিস ভাজা, দুপিস ঝালে দেবো ওর বাবার এক পিস, ওই হবে গো... যা দাম আর দিতে হবে না 
মাছওয়ালা বললো, তাহলে তুমি কী খাবে বৌদি?
মহিলার মুখে তৃপ্তির হাসি, সে বিট্টু আমায় না দিয়ে খাবে না ওই ঝালের দুপিসের একপিস আমায় জোর করে খাওয়াবে 
মাছওয়ালা বললো, আর যদি সে খেয়ে নেয়? তাহলে তুমি কি খাবে? মহিলা বললেন, তুমি তাড়াতাড়ি দাও দিকি আমায় এরপর ছুটতে হবে মিষ্টির দোকানে মিষ্টি নিয়ে যেতে হবে মুদিখানার  পায়েসের চাল, ঘি, কাজু, কিসমিস সব কেনা বাকি মন্দিরে যেতে হবে পুজো দিতে 
ওর বাবা তো সকালেই কাজে বেরিয়ে গেছে ফিরবে সেই দুপুরে 
মাছওয়ালা ছেলেটার বয়েস বছর চব্বিশ হবে ছেলেটা পাঁচপিস মাছ ব্যাগে ভরে দিয়ে বললো, তুমি একটু কম করেই দাম দাও বৌদি কিন্তু নিজেও মাছ খেও তোমরা মায়েরা বুঝতেই পারো না, তোমাদের শরীরেও প্রোটিন দরকার 
আমার মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেই ডাক্তার বলে, সব ছেলেকে খাইয়েছেন? নিজের শরীরে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম সব ঘাটতি হয়েছে ঐজন্য কোমরে, হাঁটুতে ব্যথা হয় আমি বড় হয়েছি তো, এগুলো শুনে খুব কষ্ট হয় বৌদি তখন তো এত বুঝতাম না মা বলতো -তুই খেলেই আমার খাওয়া এখন বুঝি কত বড় ভুল করেছি 
মহিলা হেসে বললেন, তোমার মা তো বিশাল ধনী মানুষ গো, এমন একটা ছেলে পেয়েছে সে আর কী চাই!
 কিছু সম্পর্কে হিসেব-নিকেস, লাভ-লোকসানের সমীকরণ কাজ করে না পৃথিবীর আহ্নিকগতির মতই সত্য হয় সম্পর্ক
 
 অর্পিতা সরকার

[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
কথোপকথন

 
-"হাই"
-"হাহাই!"
-"হ্যালো"
-"ইয়েসহ্যালো?"
-"আজকের দিনটা কী সুন্দর, তাই না?"
-"হ্যাঁ…"
-"অথচ এই সপ্তাহে কিরকম একটা ফোরকাস্ট ছিল ঝড়- বৃষ্টি হবার?"
-"হ্যাঁমানে হয়েছে তো ঝড়-বৃষ্টি।"
-"তা হয়েছে, কিন্তু কম। মানে যতটা এক্সপেক্ট করেছিলাম, তার থেকে কম, তাই না?"
-"হুম।"
-"আর মঙ্গলবার থেকেই কী দারুণ রোদ উঠে গেছে…"
-"হুম"
-"তবে, এখনই কিন্তু বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা পড়ে গেছে, তাই না? মানে রাতে এসি চালাতে হয় না, ফ্যান যথেষ্ট। তাও গায়ে একটা চাদর দিলে ভাল লাগে।"
-"হ্যাঁ, ঠান্ডা লাগে রাতের দিকে।"
-"কিন্তু সকালগুলো কেমন বিউটিফুল, বলুন? ঠিক আমাদের জীবনের মতো!"
-"হুম"
-"আর শীতকাল আসছে - মজাই আলাদা! কতরকম ভাল ভাল খাবার-দাবার, কেক- পিঠেপুলি.."
-"সার্কাসবিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও মজা…"
-"তারপর ধরুন আপনাদের, মানে মেয়েদের মেকআপ করে মজা! মানে ঘাম টাম হয় না তো। ইয়ে…"
-"হ্যাঁ, এটা ঠিক বলেছেন। কিন্তু ভাল ভাল জামা কাপড় পরলে আবার ওপরে সোয়েটার পরতে হয়। বিয়েবাড়িতে সুন্দর শাড়ি, এদিকে শাল পরলে সব বরবাদ।"
-"হ্যাঁ কিন্তু…"
-"তবে হ্যাঁ, কিছু কিছু কমন কালার তো সবকিছুতেই ভাল যায়। একটু বুদ্ধি করে জামাকাপড় পরলেই হয়।"
-"ঠিক ঠিক।"
-"আচ্ছা, আপনি কি কোনো মেক আপ তৈরি করে এমন কোম্পানিতে আছেন?"
-"ন্ না তো?"
-"তাহলে? শীতকাল আপনাকে নিজের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার রেখেছে নাকি? হি হি!"
-"আরে তা কেন?"
-"তাহলেমানেশীতকালের এত প্রশংসা হঠাৎ করে?"
-"না না, ঠিক শীতকালের না। জীবনের।"
-"জীবনের?"
-"হ্যাঁ, মানে জীবন খুব সুন্দর। মানে, মাঝে মাঝে ঝড়বৃষ্টি আসে ঠিকই। কিন্তু তারপরেই সব মেঘ কেটে গিয়ে শুধুই রোদ্দুর।"
-"হ্যাঁ, সেটা তো ঠিক।"
-"আর আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারিনা আমাদের চারপাশে কত ভালবাসার মানুষেরা আছেন।"
-"হুম।"
-"মানে বাবা মা ছাড়াও অনেকেই আমাদের ভালবাসে, কিন্তু সাহসে কুলোয় না বলে মুখেও আনতে পারে না।"
-"আচ্ছা?"
-"হ্যাঁ তো। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের আমরা নিজেরা আছি। নিজেদেরকেও ভালবাসতে হয় তো।"
-"ঠিক। আচ্ছা, আপনার নাম কি?"
-"নীলাদ্রি। আপনি?"
-"দেবযানী। তা, নীলাদ্রি, আমি এখনও বুঝতে পারছি না আপনি ঠিক কি বলতে চাইছেন? মানে, এতদিন এই অ্যাপ থেকে বাস বুক করে অফিসে যাতায়াত করছি, আপনি মুখচেনা, কিন্তু কখনও তো কথা বলেননি…"
-"আসলে আগে তো কখনও পাশাপাশি বসিনি আমরা।"
-"আচ্ছা। ওকে!"
-"আর, মনে হল কথাগুলো বলি। সত্যিই জীবন…"
-"হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। খুব সুন্দর।"
-"আপনি মানেন সেটা?"
-"অফকোর্স।কেন বলুন তো?'
-"তাহলেদেখুন, ইটস ওকে টু ফিল লো, টু ফিল এম্পটি অ্যাট টাইমস। সেরকম হলে প্রফেশনাল হেল্প নিন।"
-"মানেটা বুঝলাম না। সত্যিই বুঝলাম না।"
-"বলছি। প্লিজ ভুল বুঝবেন না। আপনি ইউটিউবে কিছু একটা সার্চ করছিলেন, আমি আড়চোখে তাকিয়েছিলামদেখি আপনি লিখেছেন 'How to die…' তাই বলছি জীবন খুব সু…"
-"সুন্দর! আপনিজানেন এটা খুব অন্যায়? কেউ তার মোবাইলে, তার পারসোনাল স্পেসে কি করছে সেটা দেখা?"
-"স্যরি। আসলেআপনার হাতের এই ইনফিনিটি ট্যাটুটা এত সুন্দরচোখ ফেরাতে পারছিলাম না।"
-"আচ্ছা? শুধু আমার ট্যাটুই সুন্দর? আমি না?"
-"আপনি তো বটেই! আজ একটু বেশিই সুন্দর লাগছে আপনাকে এই লেমন- ইয়েলো জামাটায়।"
-"থ্যাংকইউ! আমার দাদা দিয়েছে ভাইফোঁটায়।"
-"খুব সুন্দর।"
-"আপনার প্রিয় শব্দ 'সুন্দর', তাই না? সকাল থেকে কতবার যে শুনলাম!"
-"না মানে, আপনি আর জীবন দুইই খুব সুন্দর।"
-"আচ্ছা, আমি সুন্দর? তাহলে এতদিনে একবারও পাশে বসেননি কেন?"
-"কারণ অন্য সিট থেকে আপনাকে দেখতে সুবিধা হয়। পাশে বসলে তাকানো যায় না!"
-" বাবা! পেটে পেটে এত!"
-"স্যরি!"
-"শুনুন নীলাদ্রি বাবু, স্যরি বললে হবে না। ইউ নীড টু অ্যামেন্ড। কফি খাওয়াতে হবে আমাকে। আজই।"
-"শিওর, মানে উইথ প্লেজার। কিন্তু আজই কেন?"
-"কারণ আমি কাল থেকে ডায়েট করব। নো সুগার ডায়েট। আর চিনি ছাড়া কফি আমি খেতে পারি না।"
-"ডায়েট?"
-"আজ্ঞে হ্যাঁ মশাই! আমি সার্চ করতে গেছিলাম 'How to diet' তার আগেই তুমি 'জীবন কী সুন্দর' শুরু করলে।"
-"তাইইই? ইস, বোকা একটা আমি।"
-"ভাগ্যিস বোকামিটা করলে! তাহলে আজঅফিসের পরে?"
-"অপেক্ষায় থাকব…"
Heart Heart

 

[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
Bro if possible please translate the stories from Bengali to English
Thanku
[+] 1 user Likes only4naughty2's post
Like Reply
(02-11-2022, 02:47 PM)only4naughty2 Wrote: Bro if possible please translate the stories from Bengali to English
Thanku

Sure , will try definitely !
Like Reply
নীলার জিজ্ঞাসার জবাবে আমি বলেছিলাম- "স্তনযুগল"

সে আমাকে ত্যাগ করেছিলো
 
সোমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম- "তোমার কোমরের ভাঁজ"
দুদ্দাড় ছেড়ে গিয়েছিলো সেও
 
একই প্রশ্ন শিউলি করলে, আমার জবাব ছিল- "ভরাট নিতম্বের আহ্বান"
শিউলিও আমার ধারেকাছে আসেনি আর
 
মমতাও জানতে চেয়েছিলো সেই তথ্যটিই, যার উত্তরে বলেছিলাম- "ওষ্ঠাধর"
সেও আমাকে ছুঁড়ে ফেলেছিলো তৎক্ষণাৎ
 
ওদের প্রত্যেকের কৌতূহলটি ছিল- "আমার মধ্যে কী পছন্দ তোমার?"
আমি প্রত্যেকবার সত্যটিই বলেছিলাম
 
ওরা এখন সুখী সংসারী
ওদের পার্টনাররা নিশ্চয়ই সেই প্রশ্নের জবাবে বলেছিলো- "তোমার হৃদয়"
 
মানুষ মিথ্যে শুনতে ভালোবাসে
[b] [/b]

Big Grin
 

[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
(24-08-2020, 09:43 PM)ddey333 Wrote: .'
আমার মনে যে প্রশ্ন টা ছিল সেটা করেই ফেললাম..'কিন্তু দাদা, বউনির সময় আপনার...এভাবে...আমি তো শুনেছিলাম বউনির সময়...'
ভদ্রলোক একটু হাসলেন...তারপর বললেন 'দিদি, যাঁর নামে মেলা...তিনিই যে বলতেন "জীবসেবাই শিবসেবা"...তাই আর কি...'
স্তব্ধ হয়ে গেলাম।
জীবসেবাই শিবসেবা! বলেছিলেন বটে মানুষটি...মানুষের মতো, ধ্রুবতারার মতো মানুষটি...।
আরেকজন বললেন আজ, আমার সামনে।
সময়, পরিধি, পরিস্থিতির লক্ষ যোজন পার্থক্য, তবু...গায়ে কাঁটা দিল।
'কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর...
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক... মানুষেতে সুরাসুর...'

জীবসেবাই শিবসেবা! অসাধারণ। ইঁহাদের ন্যয় দেবসম মনুষ্যদিগের কারণে এই বহুভোগ্যা বসুন্ধরা আজও বাসযোগ্যা। ইঁহারাই প্রকৃত ধার্ম্মিক কারণ সকল ধর্ম্মের সমস্ত সারাৎসার ইঁহারা আত্মস্থ করিয়াছেন।
এই অনন্যসুন্দর কাহিনীটি উপহার দিবার জন্য এই মহাবীর্য্য আপনারে অশেষ প্রণাম জানাইতেছে।
                            Namaskar
[Image: 20230923-133529.png]
Like Reply
(03-11-2022, 12:50 PM)মহাবীর্য্য দেবশর্ম্মা Wrote: জীবসেবাই শিবসেবা! অসাধারণ। ইঁহাদের ন্যয় দেবসম মনুষ্যদিগের কারণে এই বহুভোগ্যা বসুন্ধরা আজও বাসযোগ্যা। ইঁহারাই প্রকৃত ধার্ম্মিক কারণ সকল ধর্ম্মের সমস্ত সারাৎসার ইঁহারা আত্মস্থ করিয়াছেন।
এই অনন্যসুন্দর কাহিনীটি উপহার দিবার জন্য এই মহাবীর্য্য আপনারে অশেষ প্রণাম জানাইতেছে।

Namaskar Namaskar
Like Reply
(03-11-2022, 12:03 PM)ddey333 Wrote: নীলার জিজ্ঞাসার জবাবে আমি বলেছিলাম- "স্তনযুগল"

সে আমাকে ত্যাগ করেছিলো
 
সোমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম- "তোমার কোমরের ভাঁজ"
দুদ্দাড় ছেড়ে গিয়েছিলো সেও
 
একই প্রশ্ন শিউলি করলে, আমার জবাব ছিল- "ভরাট নিতম্বের আহ্বান"
শিউলিও আমার ধারেকাছে আসেনি আর
 
মমতাও জানতে চেয়েছিলো সেই তথ্যটিই, যার উত্তরে বলেছিলাম- "ওষ্ঠাধর"
সেও আমাকে ছুঁড়ে ফেলেছিলো তৎক্ষণাৎ
 
ওদের প্রত্যেকের কৌতূহলটি ছিল- "আমার মধ্যে কী পছন্দ তোমার?"
আমি প্রত্যেকবার সত্যটিই বলেছিলাম
 
ওরা এখন সুখী সংসারী
ওদের পার্টনাররা নিশ্চয়ই সেই প্রশ্নের জবাবে বলেছিলো- "তোমার হৃদয়"
 
মানুষ মিথ্যে শুনতে ভালোবাসে
[b] [/b]

Big Grin
 


মিথ্যা শুনিতে নারীদিগের জুড়ি নাই। বিবাহিত পুরুষদিগের প্রতিনিয়ত কী জ্বালায় জ্বলিতে হয় তাহা কেবল উহারাই বোঝে। প্রতিদিবস যে পরিমাণ অজস্র মিথ্যা বিবাহিতদের আপন ধর্ম্মপত্নীদিগকে কহিতে হয়, কেবল তাহার জন্যই চিত্রগুপ্তর হস্ত ফুলিয়া উঠে লিখিয়া লিখিয়া। অদ্য আমার এক সুহৃদের সহিত দীর্ঘকাল উত্তরে সাক্ষাৎ হওয়ায় একত্রে বসিয়া আলাপ করিতে করিতে গোল্ডফ্লেকের ধুম্র আস্বাদন করিতে ছিলাম তাহার মধ্যে উহার পত্নী তিনবার ডাক দিল, প্রতিবার উহাকে কহিতে হইল, "এই এসে গেছি বলে, আর দুই মিনিট!" একঘন্টা পর বাটীতে গেল।
                            Namaskar
[Image: 20230923-133529.png]
Like Reply
[Image: 11.jpg]

তুমিও_হেঁটে_দেখো_কলকাতা

 
আমাদের একজন 'রাজা' ছিলেন
সেই রাজা, যিনি একটা ঝিমিয়ে থাকা সমাজকে জাগানোর চেষ্টা করে গেছিলেন মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত। তিনি আমাদের সবার কাছে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক, যিনি ছিলেন, তাই আমরা, মেয়েরা - বাঁচতে পেরেছিলাম। নইলে তো...
একটু আগে ভুল লিখেছি।
আমাদের একজন রাজা আছেন। অষ্টাদশ শতকের অন্ধকার সময়ে যিনি নবজাগরণের সাগ্নিক ছিলেন। শুধুমাত্র সতীদাহ প্রথা রদ করেই না, ধর্ম এবং সমাজচিন্তাতেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। আর তাই, তিনি আছেন আমাদের প্রত্যেকের অস্তিত্বের মধ্যে।
কী যে লিখি আর তাঁর সম্পর্কে! শিক্ষা-সমাজচেতনা- এমনকি আমি যে বিষয়ের ছাত্রী, সেই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে আমি নিতান্তই অক্ষম। শুধু এইটুকুই বলি যে, আমি তাঁকে স্মরণ করি বছরভর।
আর সেজন্যই, কিছুদিন আগে ঘুরে এলাম 'রাজা রামমোহন রায় মিউজিয়াম' থেকে। ৮৫এ, রাজা রামমোহন সরনি, যেটি আদতে মেছুয়াবাজার নামেই অধিক পরিচিত, এবং যেখানে স্বয়ং রাজা থাকতেন, সেখানেই গড়ে উঠেছে এই সংগ্রহশালাটি। এই বাড়িটি 'সিমলা বাড়ি' নামে পরিচিত ছিল একসময়ে।
তিনটি তলা জুড়ে সংগ্রহশালা রয়েছে এখানে। রাজার ব্যবহৃত পোষাক এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ছাড়াও এখানে সমকালীন বঙ্গসমাজ সম্পর্কে খুঁটিনাটি অনেক তথ্য আছে। এছাড়াও তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনাও বর্ণিত আছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে সেইসময়টিকে যেভাবে তুলে আনা হয়েছে অন্যান্য সমকালীন ব্যক্তিত্ব, তখনকার সংবাদপত্র ইত্যাদির মাধ্যমে, সেই প্রচেষ্টাটিকে। তাই, সাধুবাদ জানাই রামমোহন কলেজকে, যাঁদের উদ্যোগে এই মিউজিয়ামটি তৈরি হয়েছে।
একতলায় রাজার বাগান আছে, যদিও কালের নিয়মে সেখানে আগাছার পরিমাণই বেশি। এই একটি জায়গা আরেকটু পরিচ্ছন্ন হলে ভাল লাগত। এছাড়া, সবটা, সবটুকু অত্যন্ত যথাযথ। বিশেষভাবে উল্লেখ করব কর্মীদের কথা, যাঁরা খুবই হাস্যমুখ এবং তৎপর। তবে যিনি টিকিট কাউন্টারের ভারপ্রাপ্ত ছিলেন, উনি দুঃখ করে বলছিলেন যে খুব কম মানুষই মিউজিয়াম দেখতে আসেন।
সত্যি বলতে কি, দেখতে দেখতে হারিয়ে যাচ্ছিলাম আমি। চোখে জল আসছিল... আর একই সঙ্গে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল - স্বয়ং রাজার বাড়িতে, যে ঘরে উনি একসময় থাকতেন, যে বৈঠকখানা ঘরে বসে হয়ত প্রিভি কাউন্সিলের কাছে চিঠি লিখেছিলেন সতীদাহপ্রথা রদ করার জন্য ... সেখানে দাঁড়িয়ে আছি আমি... একবিংশ শতাব্দীর এক সামান্য মানুষ - এটা ভেবেই আপ্লুত হয়ে গেছিলাম।
একবার ঘুরে আসুন সবাই, প্লিজ। এইসব মহাপুরুষদের বেড়ে ওঠার আঁতুড়ঘর কিন্তু আমাদের কাছে উপাসনাগৃহই একরকমের...
*কিভাবে যাবেন* - মানিকতলা মোড় থেকে পায়ে হাঁটা পথে, মেছুয়াবাজার এলাকাতেই এই সংগ্রহশালা।
*সময়* - মঙ্গল থেকে রবিবার সকাল এগারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে। সোমবার বন্ধ থাকে।
*প্রবেশমূল্য* - মিউজিয়াম দেখার জন্য কুড়ি টাকা। ক্যামেরায় ছবি তোলার জন্য অতিরিক্ত পঞ্চাশ টাকা। মোবাইলে ছবি তোলার জন্যও টাকা দিতে হয়।
*বি.দ্র* -
মানিকতলাতেই রাজার আরেকটি বাড়ি আছে, যেখানে বর্তমানে কলকাতা পুলিশের একটি মিউজিয়াম আছে। সেটিও খুব কাছাকাছি, তাই পারলে একইসঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকেও। আমি আগেই গেছি সেখানে... এবং আবেগাপ্লুত হয়েছি সবকিছু দেখে। এছাড়া, স্বামী বিবেকান্দের বাড়িও হাঁটাপথেই। সেখানেও যেতে পারেন একইদিনে

Like Reply
[Image: 12.jpg]
Like Reply
এখনকার বাচ্চারা জানেই না আগে আমাদের কী কী কারণে পেটানো হতো 

লিস্ট আরো লম্বা কয়েকটাই দেওয়া হয়েছে মাত্র
 
. মার খাবার পরে কাঁদলে
. মার খাবার পরে না-কাঁদলে
. না-মারা সত্ত্বেও কান্নাকাটি করলে
. খেলা নিয়ে বেশি মেতে থাকলে
. না-খেললে
. বড়দের আড্ডায় ঢুকলে
. বড়দের কথার উত্তর না-দিলে
. বড়দের কথায় প্রম্প্ট উত্তর দিলে
. অনেকদিন মার না-খেয়ে থাকলে
১০. কেউ উপদেশ দেওয়ার সময় গুনগুন করে গান করলে
১১. বাড়িতে অতিথি এলে বা কারো বাড়ি গিয়ে প্রণাম না-করলে
১২. অতিথি এলে তাকে খাবারের প্লেট দিতে যাওয়ার সময় হাতসাফাই করতে গিয়ে ধরা পড়লে
১৩. অতিথি বাড়ি চলে যাওয়ার সময় তার সাথে যাওয়ার বায়না ধরলে
১৪. খেতে না-চাইলে
১৫. সন্ধে্ নামার আগে বাড়ি না-ফিরলে
১৬. প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে খেয়ে চলে এলে
১৭. জেদ দেখালে
১৮. অতি উৎসাহী হলে
১৯. কারো সাথে মারামারি করে হেরে এলে
২০. কাউকে বেশ করে পিটিয়ে এলে
২১. স্লো মোশনে খেলে
২২. ফাস্ট ফরোয়ার্ড কলেজে যাওয়ার সময় খেলে
২৩. সকালে ঘুম থেকে উঠতে না-চাইলে
২৪. রাতে ঘুমোতে না-চাইলে
২৫. অতিথিরা খাওয়ার সময় খাবারের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইলে
২৬. শীতকালে স্নান করতে না চাইলে
২৭. গ্রীষ্মে বেশীক্ষণ স্নান করলে
২৮. অন্যের গাছ থেকে আম, পেয়ারা পেড়ে খেলে
২৯. কলেজে টীচারদের কাছে মার খেয়েছি খবর পেলে
৩০. জোরে উচ্চারণ করে না পড়ে চুপচাপ বসে পড়ার ভান করলে বা বিড়বিড় করে পড়লে
 
আমাদের না ছিল মান, না অভিমান, না ডিপ্রেশন মার খেতাম আবার চোখে জল নিয়ে হেসেও ফেলতাম...
 
এখন আর মার খাই না
ভাল আছি?
জানিনা!!   Sad

[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(12-11-2022, 10:01 AM)ddey333 Wrote:  
আমাদের না ছিল মান, না অভিমান, না ডিপ্রেশন মার খেতাম আবার চোখে জল নিয়ে হেসেও ফেলতাম...
 
এখন আর মার খাই না
ভাল আছি?
জানিনা!!   Sad


এখন মার খেলে মানে সন্তানের চোখে ও সমাজের চোখে বাবা মায়ের থেকে কিংবা গুরুজনের থেকে বড়ো ভিলেন আর কেউ নেই। থাঙ্কস তো সিনেমা জগৎ বিশেষ করে বলিউড - আজ হিরো হিরোইন এর ভিলেন কোনো বাইরের অভদ্র শয়তান নয়, স্বয়ং জন্মদাতারা। কারণ তারা নাকি স্বপ্ন, প্রেম, বিয়ে সব কিছুতেই বাঁধা দেয়। ওরাই নাকি সর্বদা ভুল.....ওদের দেওয়া শাস্তি নাকি অপমান আর সন্তান সর্বদা সঠিক। তাদের কোনো ভুল থাকতেই পারেনা। বাবা মায়ের থাপ্পর নাকি নির্মম অত্যাচার!!

আমি সবার ক্ষেত্রে যে সমান তাও বলছিনা। অনেক বাবা মাই ভুল করে, একটু বেশি কঠোর হন কিন্তু সন্তান প্রতি ভালোবাসাও কি কম থাকে তাদের?
[Image: 20240716-212831.jpg]
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
বিয়ে কি

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
 
" অস্কার ওয়াইল্ড লিখেছিলেন- ম্যারেজ ইজ পারমানেন্ট ডিসএগ্রিমেন্ট মানে স্থায়ী একটা মতের অমিল স্বামী আর স্ত্রীর মতের মিল হলে, বিবাহিত জীবনের সমস্ত স্বাদই চলে গেল সেই দাম্পত্য জীবন আলুনি তরকারির মতো চিনি আর দুধ ছাড়া চায়ের মতো লেজ- কাটা বেড়ালের মতো গোঁফ - কামানো বাঘের মতো শব্দহীন ঝরনার মতো নিঃশব্দ হাটের মতো ফ্যাঁস আর ফোঁস এই হল দাম্পত্য জীবন আমি ফ্যাঁস করব, তিনি ফোঁস করবেন লাগাতার খিচিমিচির নাম বিয়ে কি বড়, কি ছোট জীবনের যে- কোন ব্যাপারে দুজনের দুরকম মত 
 
কোন বিশ্বসংস্থার ক্ষমতা নেই সেখানে বিশ্বশান্তির প্রতিষ্ঠার "
 
.... সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
দাম্পত্যপ্রেম বড় মধুর 

বিবাহের অনেক দিন পর দুই বন্ধুতে দেখা হয়েছে প্রাণের বন্ধু দুজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কত কথা.....ফুরোতেই চায়না যাই হোক অনেক কথার পর এবার একে অপরকে তার বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে জানতে চাইল
প্রথম জন  : তো ভাই বল ! তোমার দাম্পত্য জীবন কেমন চলছে?
দ্বিতীয় জন :-
"আর বোলনা ভাই , ওপরওয়ালার কৃপায় খুবই ভাল চলছে আমাদের নিজেদের মধ্যে বিশাল understanding  সকালের চা টা আমিই করতে ভালবাসি তারপর দুজনে মিলেমিশে জলখাবার তৈরী করি   তারপর গল্প করতে করতে বাসন ধুয়ে ফেলি কি যে ভালবাসা আমাদের মধ্যে যে কি বলব।। এই ভালবাসার জোরে কখন যে কাপড় কেচে ফেলি , বুঝতেই পারিনা কখনো কখনো আমার স্ত্রী তার পছন্দের ডিশ আমাকে বানাতে বলে আবার কখনো কখনো আমিই নিজের ইচ্ছেতে ওর পছন্দের খাবার বানাই 
আমার স্ত্রী আবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে খুব ভালবাসে তাই ঘর দোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমি নিজে পালন করি এসব আর কিছুই নয় , গভীর প্রেমের প্রকাশ 
এবার তুমি বল ভাই , তোমার বৈবাহিক জীবন কেমন চলছে ......?
দ্বিতীয় জন একগাল হেসেবলছে : ভাই , বেইজ্জতি তো আমারও এমন হয় , যেমনটা তোমার কিন্তু একটাই সমস্যা যে আমি তোমার মত এত সুন্দরভাবে Presentation দিতে জানিনা
 
Collected ! Namaskar

Like Reply
*কি সুন্দর উত্তর!*

দুই "জেনারেশন" এর মধ্যে তুলনা.......
 
একজন যুবক তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিল: "আপনারা আগে কীভাবে থাকতেন-
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যানবাহন নেই
ওয়াইফাই নেই
কোন ইন্টারনেট নেই
কম্পিউটার নেই
অনলাইন শপিং নেই
টিভি নেই
মোবাইল ফোন নেই?
শপিং মল নেই
মাল্টিপ্লেক্স নেই"
 
তার বাবা উত্তর দিলেন:
"ঠিক যেমন তোমাদের প্রজন্ম আজকের
সাথে জীবনযাপন করে -
 
প্রার্থনা নেই
সমবেদনা নেই
সম্মান নেই
কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই
কোন চরিত্র নেই
লজ্জা নেই
বিনয় নেই
সময় পরিকল্পনা নেই
খেলাধুলা নেই
পড়া নেই"
 
 
আমরা যারা 1940-1980 সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছি তারাই ধন্য আমাদের জীবন একটি জীবন্ত প্রমাণ:
 
o কলেজের পর সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলতাম আমরা কখনো টিভি দেখিনি
o আমরা প্রকৃত বন্ধুদের সাথে খেলতাম, ইন্টারনেট বন্ধুদের সাথে নয়
o আমরা যদি কখনও তৃষ্ণার্ত অনুভব করি, আমরা বোতলের জল নয় কলের জল পান করি
o আমরা কখনই অসুস্থ হইনি যদিও আমরা চার বন্ধুর সাথে একই গ্লাস জুস শেয়ার করতাম
o আমাদের কখনই ওজন বাড়েনি যদিও আমরা প্রতিদিন প্রচুর ভাত খেতাম
o খালি পায়ে ঘোরাঘুরি করেও আমাদের পায়ের কিছুই হয়নি
o আমাদের মা বাবা কখনোই আমাদের সুস্থ রাখার জন্য কোনো সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেননি
o আমরা নিজেদের খেলনা তৈরি করতাম এবং সেগুলো দিয়ে খেলতাম
o আমাদের বাবা-মা ধনী ছিলেন না তারা আমাদের ভালবাসা দিয়েছেন, পার্থিব উপকরণ নয় 
o আমাদের কখনই সেলফোন, ডিভিডি, প্লে স্টেশন, এক্সবক্স, ভিডিও গেম, ব্যক্তিগত কম্পিউটার, ইন্টারনেট চ্যাট ছিল না - তবে আমাদের প্রকৃত বন্ধু ছিল
o আমরা আমাদের বন্ধুদের বাড়িতে বিনা আমন্ত্রণে যেতাম এবং তাদের সাথে খাবার উপভোগ করেছি
o আমরা হয়ত কালো এবং সাদা ফটোতে ছিলাম কিন্তু  সেই ফটোগুলিতে রঙিন স্মৃতি খুঁজে পেতাম
o আমরা একটি অনন্য এবং, সবচেয়ে বোধগম্য প্রজন্ম, কারণ আমরা শেষ প্রজন্ম যারা তাদের পিতামাতার কথা শুনেছি আর প্রথম প্রজন্ম যারা তাদের সন্তানদের কথা শুনতে হচ্ছে
 
সংগৃহিত
Like Reply
ময়ূর পুচ্ছে কাক


আমাদের পাড়ায় কালুর নন ভেজ পাকোড়ার ব্যবসা বছর চারেক আগে একটা টিনের চালার দোকানে কড়াই, স্টোভ নিয়ে ব্যবসার শুরু আজ তার নিজের দোতলা বাড়ির এক তলায় একটা অংশে টেবিল চেয়ার পাতা ছোট্ট সুন্দর দোকান ডেইলি সেল প্রায় / হাজার টাকার না আমি কোন উদ্যোগ পতির গল্প বলতে বসিনি বলছি আমাদের আধুনিক বাঙালী সমাজের মানসিকতা আর অন্ধ অহমিকার কথা কালুর সঙ্গে প্রেম স্বপ্নার স্বপ্নার ব্যাংক অফিসার বাবার আপত্তি পাকোরা ওলার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবেন না স্বপ্নার বিয়ে হলো কালুর তিনভাগের একভাগের রোজকার করা KFC এর সুট টাই শোভিত কাউন্টার ম্যানেজারের সঙ্গে
হায়রে এই আমাদের দেশ! বিজ্ঞাপনের বিপণন কৌশলে সাউথ সিটি তে ডেসার্ট মারছি, fb তে পিক দিচ্ছি, সবটাই বিপণনের গেরোয় পড়া হাফ আতেল বাঙালী  কিন্তু চন্দননগরের জলভরা কোনোদিন জাতে উঠতে পারলো না এরা নিজেরা নিজেদের উৎকর্ষতাকে নিজেরাই বিশ্বাস করে না, খালি ভাবে সাত সমুদ্র তেরো নদী না ছুঁয়ে এলে সর্টিফায়েড নয়, কি ডাক্তার, কি জামাই, কি ওষুধ, কি খাবার!
আসলে বিজ্ঞাপনের বিপণন কৌশলে আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভাঙছে বিদেশী বেনিয়ারা
বড় বড় রেস্তোরাঁ এবং হোটেলের খাদ্যতালিকায় সমস্ত খাবারের নাম ইংরেজি কিংবা অন্য কোন বিদেশী ভাষায় লেখা থাকে দেখেছিদেখা যাক কিছু উদাহরণ-
'রোসেটো আল্জফার্নো'
এটা বস্তুত ভাতে লাল শাক মেখে পরিবেশন করা হয়
দাম- ৩৭৫ থেকে ৪০০ টাকা প্লেট বাড়িতে আপনাকে দিলে আপনি কি খাবেন না নাক সিটকবেন! অথচ এসি রেস্তোরায় সোনা মুখ করে খেয়ে আসবেন!
'নাচোজ উইথ সালসা'
খাস্তা নিমকি কাঁচা টমেটোর চাটনির সাথে পরিবেশিত
দাম- ২০০ টাকা খাস্তা আর কাঁচা টমেটোর চাটনি শুনলে কেই বা আর ২০০ টাকা দেবে তা ছাড়া কাঁচা টমেটোর চাটনি সহযোগে খাস্তা খাচ্ছি বলাটাও বেশ লজ্জাজনক!
'সিনোমিনে সুফলে'
সুজির হালুয়া দাম - ১৭৫ টাকা! বাড়িতে মা ঠাকুমার হাতে এই টাকায় ২৫ জনের হয়ে যাবে
"রাইস সুপ উইথ লেমন গ্রাস" এর নামে ভাতের মাড় ১৫০ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয় এবং কুল স্মার্ট ছেলেগুলো বুক ফুলিয়ে বলে, "I am having rice soup and NACHOS WITH SALSA..!!!" কে আর বলতে পছন্দ করবে খাস্তার সংগে ভাতের মাড় খাচ্ছি রে! হাসিও পায় আবার দুঃখও হয়
একটা ডিশের নাম, 'ইন্ডিলাচা'
আমাদের যে পরোটার ভেতরে সবজী ভরে মা হাতে ধরিয়ে দিত ছেলেবেলায়, সেই জিনিষ! দাম- ২০০ টাকা
"ছাতু" বললে লোকে গেঁয়ো ভাবতে পারে এবং হীন দৃষ্টিতে দেখবে হয়ত কিন্তু ঠেলা ওয়ালার ঘটিতে তৈরি ১০টাকার ছাতুর সরবত যখন আমরা রেস্তোরায় বসে ১৫০ টাকা দিয়ে খাই "গ্রাম জুস উইথ পিপার" আহা ..!! কি স্ট্যান্ডার্ডের খাবার!
কুকারে সেদ্ধ করা টাকার ভুট্টা, "সুইট কর্ণ" বলে বেমালুম ৬০ টাকায় বিক্রি করছে আর লোকে কিনে খাচ্ছেও !
জাপানিজ রাইস ওয়াইন ওটা একটু সুগন্ধি সহযোগে পরিবেশিত গোদা বাংলায় যাকে বলে হাঁড়িয়া
চিলড রাইস উইথ গ্রিলড ব্রিঞ্জাল 225 টাকা+ GST. আসলে পান্তা ভাত আর বেগুন পোড়া
আসলে আমরা অতি আধুনিকরা খাবার নয় খাবারের মোড়কে টাকা চিবিয়ে খেতে পছন্দ করি আর এটাই প্রমাণ করে, আমাদের মতন বুদ্ধি ধারী আঁতেলরা যতদিন এই ধরাধামে বিচরণ করছে, অন্তত ওই রেস্তোরাঁ আর হোটেলের মালিকরা অনাহারে মরবে না
 
Collected .

Like Reply
*এক নিরক্ষর ঈশ্বর - "মা" -*

              Namaskar
 
 *এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৫% নম্বর পেয়েছে বাবা মার্কসিট হাতে নিয়ে আনন্দে চেঁচিয়ে বললেন, "ওগো শুনছো, পায়েস বানাও আমি রসগোল্লা আনছি, তোমার ছেলে মাধ্যমিকে ৯৫% নম্বর পেয়েছে*
 
*মা রান্নাঘরের থেকে প্রায় দৌড়ে এসে বললেন, "কি বললে? আমাকেও দেখাও"*
 
*ছেলে মাঝখানে ফট করে বলে উঠল, "বাবা মা'কে রেজাল্ট দেখিয়ে কি হবে, মা কি লেখাপড়া জানে, মা তো আঙ্গুলছাপ' নিরক্ষর, মার্কসিট পড়তেই পারবে না"*
 
 *মায়ের চোখ ভিজে উঠল, আঁচল ঢাকা দিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলেন পায়েস তৈরি করতে*

*ছেলের কথা শুনে বাবা বললেন, "হ্যাঁরে এটা সত্যি তোর মা পড়তে পারেন না আর শোন এটাও সত্যি যে তুই যখন তোর মায়ের গর্ভে, তখন তোর মা দুধ খেতে পছন্দ না করা সত্ত্বেও শুধু তুই যাতে সুস্থ থাকিস তাই মাস প্রতিদিন দুধ খেত শুধু তোরই জন্য - কেন না নিরক্ষর ছিল*
 *সকাল টার সময় তোকে কলেজে যেতে হবে, তাই তোর মা ভোর টার সময় ঘুম থেকে উঠে তোর পছন্দের জলখাবার আর টিফিন তৈরি করত - কেন না নিরক্ষর ছিল*
 
*যখন তুই রাতে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়তিস, তখন তোর মা তোর বই খাতা তোর ব্যাগে সাজিয়ে রেখে নিজে শুতে যেত - কেননা নিরক্ষর ছিল*
 
 *তোকে ভালো কাপড় জামা জুতো দেওয়ার জন্য আমাকে জোর করত আর নিজে দুটো শাড়িতে বছর পার করে দিত - কেন না তোর মা নিরক্ষর ছিল*
 
 *তোর মা ভালো ভালো খাবার বানিয়ে তোকে আমাকে খাইয়ে নিজে যা হোক কিছু খেয়ে নিত - কেন না তোর মা নিরক্ষর ছিল*
 
*এই কাগজের টুকরোটা'তে যে নম্বর তুই পেয়েছিস তার বেশিটাই তোর মায়ের দান জেনে রাখিস - সেদিক থেকে ধরতে গেলে তোর মায়ের ডিগ্রী পিএইচডির উপরে*
 
 *আর তুই বলছিস নিরক্ষর মা তোর সবচেয়ে বেশি ডিগ্রীধারী শিক্ষক যা মায়ের পা ধরে ক্ষমা চেয়ে আয়*
 
*ছেলে বুঝতে পারল সে কত বড় অন্যায় করেছে, মায়ের বুকে কতটা আঘাত করেছে সে কাঁদতে কাঁদতে রান্না ঘরে ঢুকে গেল  অনেক সন্তানই নিজেদের মা বাবা'কে অপমান করে, ছোট ছোট কারণে রাগ দেখায়, অভদ্র ভাষা ব্যবহার করে কথা বলার সময়*
 
 *তাদের একবার ভেবে দেখা উচিত যে মা বাবা'রা তাদের জন্য কত কষ্ট সহ্য করেন, নিজেদের ইচ্ছা অভিলাষ জলাঞ্জলি দিয়ে সন্তানকে মানুষ করে তোলেন, সন্তান প্রতিষ্ঠিত হলে তাঁরা কত খুশি হন*
 
        *- : সংগৃহীত :;-*

Like Reply
একবার বাদশাহ আকবর পরিপূর্ণ রাজসভায় বীরবল কে একসঙ্গে তিনটি প্রশ্ন করেন -

. দুধ কেন উথলে পড়ে?
. বেসিনে জল কেন বইতে থাকে?
. তরকারি কেন পুড়ে যায়?
 
প্রশ্নের সঙ্গে বাদশাহ শর্ত রাখলেন, এই তিনটি প্রশ্নের জবাব যেন একটাই হয়
 
রাজদরবারে নিস্তব্ধতা নেমে আসে এবং সমস্ত মাননীয় সভাসদ মন্ত্রীগণ বীরবলের দিকে দৃষ্টিপাত করেন 
 
কিছুক্ষণ নিরবতার পর বীরবল বাদশাহ কে বলেন,
 
-যদি অভয় দেন তাহলে বলি
 
আকবার বাদশাহ গুরুগম্ভীর কণ্ঠে বীরবলকে অভয় দান করেন এবং তারপরেই বীরবল উত্তর দেন…..
 
 
 
 
 
-ফেসবুক জাঁহাপনা
 
অপার বিস্ময় আনন্দে বাদশার চোখে জল এসে যায় তিনি রাজসিংহাসন  থেকে নেমে বীরবলকে জড়িয়ে ধরেন এবং নিজের গলার মুক্তোর মালা বীরবলের গলায় পরিয়ে দিয়ে বলেন,
 
-ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাও

Big Grin Big Grin
Like Reply
সুন্দর
[+] 1 user Likes The-Devil's post
Like Reply




Users browsing this thread: 22 Guest(s)