Thread Rating:
  • 114 Vote(s) - 2.66 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
কিছু মনের সত্যি কথা
#1
Rainbow 
ঝাপসা হয়ে যাওয়া চোখ...আর মুখে হাসি নিয়ে লিখছি।
আজ দিনটা খুব ভাল কেটেছে কিছু প্রিয়জনের সাথে। প্রায় সারাদিন তাদের সাথে কাটিয়ে ফিরছি, হাজরা মোড় দিয়ে, মেট্রো ধরব বলে। আমার কানে রোজকার মতোই হেডফোন গোঁজা ছিল।আমি সাধারণত খুব মৃদুসুরে গান শুনি। উচ্চগ্রামের শব্দতরঙ্গ আমার একদম নাপসন্দ।
কিন্তু সেই মৃদু গান আমার কান অবধি আর পৌঁছতে পারছিল না, কারন দুটি বাচ্চা - মানে, একজন একটু বড় একটি মেয়ে, তা প্রায় বছর বারো তেরো হবে...অন্যজন একদম ছোট্ট একটা ছেলে...চার পাঁচ হবে বড়জোর। নোংরা চিটকানি জামা পরা, দুজনের ই দুপায়ে দুরকমের চটি। মাথায় জটা পরা চুল আর ছেলেটার নাক বেয়ে সর্দি। দুজনের হাতেই দুটো মার্বেলের মতো একটু শক্ত পাথর। সে দুটো ঘষছিল দুজন। যেভাবে এরা বাসে বাসে গান গেয়ে ভিক্ষা চায়। আর এই মার্বেল ঘষার আওয়াজ টা খুব কর্কশ লাগে আমার।
যাই হোক...ওদের পাশ দিয়ে হনহন করে এগিয়ে গিয়ে মেট্রোর সিঁড়ি দিয়ে নামতে যাব, দেখি, সিঁড়ির সামনেই এক যুবক দাঁড়িয়ে। ভদ্র চেহারা, চোখে চশমা, হাতে ক্রাচ...পাশে একজন ভদ্রমহিলা। শাঁখা সিঁদুর পরা। মার্জিত, মৃদু কন্ঠে বলছেন 'শুনছেন? একটু সাহায্য করে যাবেন?' খুব খুব মৃদু কন্ঠে...কারন বেশি জোরে কথা বলার অভ্যাস নেই বোধহয়।
আমি সাধারণত এই ধরনের মানুষদের সাহায্য করিনা। কারন বেশিরভাগ ই তো ফেক হন, ঠকান আমাদের, তাই। কিন্তু, এই দুজনকে দেখেই মনে হচ্ছিল পার্ক স্ট্রিটের 'এক্সিউজ মি, আমার মানিব্যাগ হারিয়ে গেছে' বলার মতো লোক এঁরা নন। নিতান্তই অবস্থার বিপাকে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন একটু সাহায্যের আশায়। আমি একটু থমকে গেলাম। আসলে আজ আমার ওয়ালেটে তেমন খুচরো টাকা ছিল না, ছিল একটাই গোলাপী নোট। তাই ব্যাগের এদিক ওদিক খুঁজছি, যদি একটা পঞ্চাশ টাকাও পাওয়া যায়,হঠাৎ একটা 'ঠং' করে আওয়াজ শুনলাম। ভুল বললাম, ঠিক ঠং না...'ঝনঝন'...
পেছন ফিরে দেখি সেই বাচ্চা দুটো এক মুঠো খুচরো পয়সা ফেলে দিয়েছে অসুস্থ ছেলেটির সামনে রাখা পাত্রে। তার পাশে দাঁড়ানো ভদ্রমহিলা অবাক হয়ে 'এই তোরা দিলি কেন?' বলার আগেই দুজন হাত ধরাধরি করে দে ছুট চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের অন্ধকার রাস্তাটার দিকে...।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম সেদিকে।
রাস্তাটা আর অন্ধকার লাগছিল না...দু' দু'টো আলোকবিন্দু... গেছে ওখান দিয়ে...।
যে ছেলেটি অসুস্থ, তার নাম সৌমিক জানা। অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল। নিম্নবিত্ত বাড়ির একমাত্র রোজগেরে। ছ' ছ'টা অপারেশান হয়ে গেছে...যেটুকু জমানো ছিল চলে গেছে তাতেই। এখন বাধ্য হয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে। আমি ফোন নাম্বার নিয়ে এসেছি...কেউ যদি পারেন, যদি ইচ্ছে করে..পৌঁছে দিতে পারেন সাহায্য ওদের কাছে। ওদের অনুমতি নিয়েই ছেলেটির ছবি ও নাম্বার টি পোস্টে দিলাম - 8583912764।
তবে, আমি জানি সৌমিক জানা সেরে উঠবেই, আবার কাজেও যাবে...কারন দুজন দেবশিশু...না না ভুল বললাম...দুজন 'মানুষের মতো মানুষ' আজ ওকে ভালবাসা পাঠিয়ে দিয়ে গেছে....আর এই ভালবাসা কক্ষনো মিথ্যা হতে পারে না...।।
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
[Image: 90061331_10157918859181815_7851863841074...e=5F6A2E50]
[+] 4 users Like ddey333's post
Like Reply
#3
আমি আজ একটুকরো ছেলেবেলা ফিরে পেলাম। সেই স্বপ্নের মতো ছেলেবেলা। স্বর্গের মতো ছেলেবেলা।
হয়েছে কী, শনিবাসরীয় অফিসবেলার পরে হাঁটি হাঁটি পা পা করে কোথায় যাব ভাবছি, হঠাৎ চোখ গেল একটি হোর্ডিং এর দিকে। হরিশ মুখার্জি পার্কে চলছে 'বিবেক মেলা'। একেই স্বামীজীর নামাঙ্কিত, তায় আবার মেলা, অতএব, পদব্রজেই 'চল পানসি' বলে রওনা হলাম সেদিকে। আর, কত্তদিন পরে একটা মেলা! মনের সুখে 'দশ টাকায় হরেক মাল' কিনে জিলিপির দোকানের দিকে পা বাড়ালাম। দেখি সবে কড়ায় জিলিপি ছাড়া হয়েছে। মেলার জিলিপি যেমনি হয়, একটু বেশিই মিষ্টি, কমলা, টুসটুসে...ভেবেচিন্তে একশো গ্রাম জিলিপি চাইলাম দোকানদার দাদার কাছে। আর বললাম 'দাদা, দেখবেন, গরম যেন হয়!'
তা দাদা বেশ খিঁচিয়ে বললেন 'দেরি হবে!'
মুখ গোমড়া করে তাকিয়ে আছি, দেখি, সদ্য কড়া থেকে নামানো জিলিপি গুলোর থেকে বেশ খানিকটা, তা ওই একশো গ্রাম মতোই হবে, একটা ঠোঙায় ভরলেন, ওজন টোজন না করেই। আমি আমার টা ভেবে হাত বাড়াতে যাব, দেখি ওই দোকানের একটু উঁচু পাটাতন থেকে লাফিয়ে নামলেন ওই দাদা। তারপর একটু এগিয়ে গেলেন, পার্কের এক কোনে, যেখানে দুজন বাচ্চা বাচ্চা ছেলে বসে...মাটি মাটি গায়ের রং, ভীতু ভীতু চোখ...জড়োসড়ো...।
সেই দাদা বাচ্চাগুলোর কাছে এগিয়ে গিয়ে বললেন 'এই যে খেয়ে নে। আর শোন, ঠোঙা টা যেখানে সেখানে ফেলবি না। আমার দোকানের নীচে বালতি রেখিচি, সেখেনে ফেলবি। আবার ক্ষিধে পেলে ওখানে গিয়ে দাঁড়াস...' হাত দেখিয়ে নিজের দোকানের দিকে দেখিয়ে এগিয়ে এলেন দাদা। তারপর, ফিরে এসে আমার অবাক হওয়া চোখের দিকে না তাকিয়েই বললেন 'দিদি, কতটা দেব? ওই বাচ্চাগুলোকে আগে দিয়ে এলাম...আসলে এই জিলিপি নামালাম তো... ওরা কি খেয়েছে কে জানে...'
আমার মনে যে প্রশ্ন টা ছিল সেটা করেই ফেললাম..'কিন্তু দাদা, বউনির সময় আপনার...এভাবে...আমি তো শুনেছিলাম বউনির সময়...'
ভদ্রলোক একটু হাসলেন...তারপর বললেন 'দিদি, যাঁর নামে মেলা...তিনিই যে বলতেন "জীবসেবাই শিবসেবা"...তাই আর কি...'
স্তব্ধ হয়ে গেলাম।
জীবসেবাই শিবসেবা! বলেছিলেন বটে মানুষটি...মানুষের মতো, ধ্রুবতারার মতো মানুষটি...।
আরেকজন বললেন আজ, আমার সামনে।
সময়, পরিধি, পরিস্থিতির লক্ষ যোজন পার্থক্য, তবু...গায়ে কাঁটা দিল।
'কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর...
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক... মানুষেতে সুরাসুর...'
Like Reply
#4
গত শুক্রবারের কথা। একটা কাজে গড়িয়াহাটের কাছে গেছিলাম। হাতে ঘন্টাখানেক সময় ছিল, একদম যাকে বলে 'টাইম কিল' করার জন্য...তাই ঠিক করলাম রাসবেহারী মোড় পর্যন্ত হাঁটব। সময় ও নিজে নিজেই মরে যাবে, আর আমিও একটু সচল থাকতে পারব! নইলে এই লকডাউন তো আমাকে আরো বেশি অলস পান্ডা করে তুলেছে!
এক সপ্তাহ পরে, আজও নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে...ভাগ্যিস...ভাগ্যিস সেদিন হাঁটছিলাম...তাই তো দেখতে পেলাম ভাত, গরম ভাতের ওপর ডাল থাকার মায়া...।
বাসন্তী দেবী কলেজের উল্টোদিকের ফুটপাথ দিয়ে হাঁটছিলাম। ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের মোড়টার আগে, 'আনন্দ পাবলিশার্সের' দোকান টা পেরিয়ে দেখি একজন বয়স্ক মানুষ ক'টা টিপের পাতা, দড়ি, কাপড় কাচার ব্রাশ, ক্লিপ, সেফটিপিন এসব নিয়ে বসে আছেন। বয়স্ক মানে, বেশ বয়স্ক...সত্তরোর্ধ তো হবেনই। ঘষা কাঁচের মতো চশমা পরা... মলিন আধময়লা ফতুয়া... দোকানে একজন ও ক্রেতা ছিলেন না। এই 'নিউ নর্ম্যাল' দিনে এমনিতেই রাস্তায় লোকজন কম...তাতে আবার এইসব জিনিস...। আমি ভাবছিলাম কী কী কেনা যায় ওনার থেকে...। টিপ তো লাগেই, দড়ি, সেফটিপিন সব ই দরকারি...এই ভেবে সামনে এগিয়ে গেলাম। সবমিলিয়ে কুড়ি টাকার জিনিস। টাকাটা বের করে ওনাকে দিতে যাব, উনি খুব কিন্তু কিন্তু করে বললেন "মা গো, তুমি ওই ভাতের হোটেলে টাকাটা দিয়ে দেবে?" বলে, সামনের একটা দোকান, ঠিক রাস্তার হোটেল যেমন হয়, তেমনি একটা হোটেলের দিকে দেখালেন।
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম "কেন, দাদু? তুমি নেবে না?"
উনি একটু চুপ করে রইলেন। তারপর বললেন "কাল খেয়ে টাকা দিতে পারিনি...তাই...আজ তুমিই প্রথম কাস্টমার মা গো...বাজার খারাপ...জানি না আর কেউ আসবে কিনা...আগে কালকের ভাতের ধার টা শোধ হোক..."
ঘষা কাঁচের চশমা...আর ঠিকরে আসা জীবনদর্শন।
ধার শোধ...ভাতের ধার শোধ...!
সেই দোকানটিতে যাবার পর, দোকানের রাঁধুনি মাসি একটু হাসলেন, তারপর টাকাটা নিয়ে বললেন "দাদু এইরকমই...আগে তাও খাবারের টাকা দু' একদিন না দিয়েও থাকতেন...এখন যে আমার ও বিক্রি নেই, তাই ধার রাখতে চান না...এই দেখুন না দিদি, আজ সকাল থেকে মাত্র কয়েকজন খেয়েছে, যত বলছি, সব পরিষ্কার, বেঞ্চি, টেবিল স্যানিটাইজার দিয়ে মুছছি, হাত ধুচ্ছি বারবার...তাও লোক আসে না..."
কী যে হয়ে গেল আমার...অদ্ভুত লাগছিল... অনির্বচনীয় এক অনুভূতি...একটা এম্পটিনেস...
পলকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম।
নাম না জানা, অচেনা সেই দাদু কে গিয়ে বললাম "আজ আমার জন্মদিন, চলো, এক সাথে খাই..."
শুনে দাদুর কী হাসি..
আর সেই মাসিরও।
সবুজ কলাপাতা...সাদা গরম ভাত আর হরিদ্রাভ ডাল..পাশে একটু নুন, লেবু, কাঁচালঙ্কা...। এই তো, এইটুকুই তো চাই...। মাসি আমাকে ডিম ভেজে দিয়েছিলেন, সেটাও জন্মদিনের উপহার। আমার মা নেই শুনে ছলছলে চোখে বলেছেন, একদিন গিয়ে চাট্টি মাছ ভাত খেয়ে আসতে।
ক্ষুন্নিবৃত্তির পরে দাদু সরল বিশ্বাসে আমাকে একটা ক্লিপ উপহার দিয়েছিলেন। বিশ্বাস করুন...এত সুন্দর উপহার কক্ষনো পাই নি আমি!
পরের দিন, শনিবার ছিল স্বাধীনতা দিবস। এক 'বিশিষ্ট' ফেরার ব্যক্তিত্ব ট্যুইট করে 'হ্যাপি ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে' জানিয়ে ট্রোলড হলেন, আবার। আর আমার চোখে ভাসছিলেন একজন মলিন বৃদ্ধ - যিনি ধার রাখতে চান না...কুড়ি টাকার ধার ও না। কেউ 'জন্মদিন' বলে বায়না করলেও তাকে সাধ্যমত উপহার দেন...।
এই বাহ্যত মলিন, কিন্তু ঝকঝকে অন্তরের মানুষ...এরাই আমার ভারতবর্ষ... আমাদের ভারতবর্ষ। দরিদ্র, কিন্তু মানবিকতায় উজ্জ্বল। বহুমূল্য সুগন্ধি নয়, আজ ও আমাদের প্রিয় গন্ধ কলাপাতায় গরম ভাত এবং ডালের মায়াবী মিলন...।।
Like Reply
#5
[Image: 117895162_10158461042201815_433993266051...e=5F67B7C5]
[+] 4 users Like ddey333's post
Like Reply
#6
বাহ বেশ সুন্দর লিখেন তো আপনি ।
Like Reply
#7
All posts are copied from the facebook wall of Rupanwita Roy

Namaskar Namaskar
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#8
খুব সুন্দর সাবলীল গল্প।
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
#9
(24-08-2020, 09:54 PM)ddey333 Wrote: All posts are copied from the facebook wall of Rupanwita Roy

Namaskar Namaskar

Ei thered e erokom lekha just awesome. Aaj r onno kono post e visit korlam na. Kal aabar aasbo ei post er jonnoi. Valo thakben ??
[+] 2 users Like mofizulazad1983's post
Like Reply
#10
প্রত্যেকটা অণু গল্প কি সত্য ঘটনা অবলম্বনে?
Like Reply
#11
(24-08-2020, 11:38 PM)Mr Fantastic Wrote: প্রত্যেকটা অণু গল্প কি সত্য ঘটনা অবলম্বনে?

Yes off course
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#12
গত তিন দিন ধরে একটি এক্সহিবিশানে অংশগ্রহন করেছে আমি যে সংস্থায় কাজ করি সেটি, নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আর, পেশাগত প্রয়োজনে রোজ ই হাজির হয়েছি আমি সেখানে। তা, আজ সকালে আর যেতে ইচ্ছে করছিল না একটুও। একে রবিবার, তায় এমন সোনা ঝরানো দিন! কিন্তু, যেতেই হলো...ওই বলে না, পাপী পেট কি সওয়াল হ্যায়।
এই রাত্তিরবেলা যখন লিখছি, ভাবছি, ভাগ্যিস! ভাগ্যিস আজ গেছিলাম, নইলে যে আরো একটু আলো, একটু ভালো...দেখতে পেতাম না?
তাহলে, খুলেই বলি। গতকাল কাজের ফাঁকেই, দুপুরবেলা এক্সহিবিশান স্টল থেকে একটু বেরিয়েছিলাম বাইরে, আর হাঁটতে হাঁটতে চলে গেছিলাম বাবুঘাট। নেতাজী ইন্ডোর থেকে সামান্যই দূর। তা সেখানে গিয়েই দেখলাম ইতিউতি অনেক সরস্বতী ঠাকুর পড়ে আছেন। মানে ভাসান না দিয়ে যে সব মূর্তিকে গঙ্গার ধারে রেখে দেওয়া হয়েছে। পাশে ভাঙা ঘট, ফুলের মালা, চাঁদমালা আরও কত কী পড়ে আছে। নিতান্ত অবহেলায়। চুপচাপ। দেখে কাল খুব খারাপ লেগেছিল।ভাবছিলাম, ক্যালেন্ডারের হিসেবে ঠিক দুদিন আগে যে পুজো গেল...বাসন্তী শাড়ি, স্লেট, কুল আর দোয়াত কলম মুখর, প্রেমমুখর পুজো...সেই পুজো শেষে এমনি অবহেলা!? মন এত খারাপ হয়ে গেছিল যে ছবি তুলিনি।
কিন্তু আজ...
আজ, আমার সেই এক্সহিবিশানের শেষদিন ছিল। অনুষ্ঠানের পর হাওড়াগামী বাস ধরব বলে বাবুঘাট স্টপেজে দাঁড়িয়ে আছি হঠাৎ দেখলাম একটি ছোট্ট বাচ্চা, বছর তিন বা চারেক হবে, মাটি মাটি লাগা পুরোনো সোয়েটার পরা...সাথে একটা লাল প্যান্ট, যার কোমরের ইলাস্টিক টা কেবল নেমে আসছে নীচের দিকে...মাথার চুল উলোঝুলো...দেখেই মনে হয় বাবুঘাট বা গঙ্গা সন্নিহিত জায়গার ফুটয়াথে থাকা পরিবারের একজন...পথশিশু। এগিয়ে আসছে ফুটপাথ ধরে।
আমার বাস আসছিল না। তাই তাকিয়ে ছিলাম বাচ্চাটির দিকেই। ভাবছিলাম কী করবে বাচ্চাটা? কোথায় যাচ্ছে? এমনিই দেখছিলাম, বাস টা আসছিল না তো, তাই।
কিন্তু, আমাকে অবাক করে দিয়ে বাচ্চাটা পায়ে পায়ে এগিয়ে গেল ফুটপাথের ওপর রাখা একটি দেবীমূর্তির দিকে। তারপর সেই মূর্তিকে জড়িয়ে ধরল। যেভাবে পুতুলকে, টেডি বিয়ারকে জড়িয়ে ধয়ে ছোট্ট বাচ্চারা। তারপর মায়ের গালে চুমো দিল বাচ্চাটা। আর, তারপর ই হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল ফুটপাথ ধরে আরেকটু দূরে।
আমি স্তব্ধ হয়ে রইলাম।
মনে হল, ও যেন আমাদের সব্বার হয়ে মা সরস্বতীর কাছে একটু উষ্ণতা পাঠিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলো...দুদিন আগের মাতামাতি আর তারপর ই ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে মৃন্ময়ী মূর্তি পরিত্যাগ করার মধ্যে যে ক্রুরতা আর স্বার্থপরতা আছে, আমাদের সবার মধ্যে, তার বিরুদ্ধে...।
বাচ্চা টার মাথার সেই মাটি মাখা চুল ঘেঁটে দিয়ে ধন্যবাদ দেব...আমার মতো তথাকথিত সেইসব মানুষদের হয়ে যারা পুজোয় মজা করার পরেই দূষন - তা সে শব্দ বা দৃশ্য - যাই হোক না কেন, ঘটানোর জন্য...তার আগেই, আমার বাস এসে গেলো...আমি আমি আরো একবার নিজের স্বার্থপরতার প্রমান দিয়ে উঠে পড়লাম বাসে...। কিন্তু, মনে অদ্ভুত এক উষ্ণতা নিয়ে...।
রক্তমাংসের কলকাতার যীশুর দেখা পেয়েছি যে!
__________________________________________
কলকাতার যীশু
- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী--
লালবাতির নিষেধ ছিল না,
তবুও ঝড়ের বেগে ধাবমান কলকাতা শহর
অতর্কিতে থেমে গেল;
ভয়ঙ্করভাবে টাল সামলে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল
ট্যাক্সি ও প্রাইভেট, টেমপো, বাঘমার্কা ডবল-ডেকার।
‘গেল গেল’ আর্তনাদে রাস্তার দুদিক থেকে যারা
ছুটে এসেছিল—
ঝাঁকামুটে, ফিরিওয়ালা, দোকানি ও খরিদ্দার—
এখন তারাও যেন স্থির চিত্রটির মতো শিল্পীর ইজেলে
লগ্ন হয়ে আছে।
স্তব্ধ হয়ে সবাই দেখছে,
টালমাটাল পায়ে
রাস্তার এক-পার থেকে অন্য পারে হেঁটে চলে যায়
সম্পূর্ণ উলঙ্গ এক শিশু।
খানিক আগেই বৃষ্টি হয়ে গেছে চৌরঙ্গিপাড়ায়।
এখন রোদ্দুর ফের অতিদীর্ঘ বল্লমের মতো
মেঘের হৃৎপিণ্ড ফুঁড়ে
নেমে আসছে;
মায়াবী আলোয় ভাসছে কলকাতা শহর।
স্টেটবাসের জানালায় মুখ রেখে
একবার আকাশ দেখি, একবার তোমাকে।
ভিখারি-মায়ের শিশু,
কলকাতার যিশু,
সমস্ত ট্রাফিক তুমি মন্ত্রবলে থামিয়ে দিয়েছ।
জনতার আর্তনাদ, অসহিষ্ণু ড্রাইভারের দাঁতের ঘষটানি,
কিছুতে ভ্রুক্ষেপ নেই;
দু’দিকে উদ্যত মৃত্যু, তুমি তার মাঝখান দিয়ে
টলতে টলতে হেঁটে যাও।
যেন মূর্ত মানবতা, সদ্য হাঁটতে শেখার আনন্দে
সমগ্র বিশ্বকে তুমি পেয়ে চাও
হাতের মুঠোয়। যেন তাই
টাল্‌মাটাল পায়ে তুমি
পৃথিবীর এক-কিনার থেকে অন্য-কিনারে চলেছ।
[+] 9 users Like ddey333's post
Like Reply
#13
দূরদর্শী লেখা সব, লেখিকা যথেষ্ট পারদর্শিতার ছাপ রেখেছে প্রতিটা গল্পে।
Like Reply
#14
ভালো -বাসা
আজ চতুর্থী। সক্কাল থেকে শরতের সোনা রোদ্দুর আকাশ ছুঁয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে, আদুরে বিড়ালের মতো। আর, সেই মেঝেতে বসে একমনে মোচা কাটছিলেন সুলেখা।
এবারের সব যেন কেমনতর। দিব্যি একটা ভালো বছর শুরু হলো। তারপর ই সব শেষ! পুজোটাও ঘরে বসেই কাটাতে হবে। একটাও নতুন জামা-কাপড় কেনেন নি ওঁরা কেউ। ইচ্ছে করেই...মেয়ের জন্য অনলাইনে ফ্রক আর গাউন আনিয়েছেন, ওঁরা কর্তা -গিন্নি কিচ্ছু কেনেন নি...বলা নেই কওয়া নেই কর্তার অফিস মাইনে কমিয়ে দিয়েছে অনেকটা। সবমিলিয়ে চাপ যাচ্ছে বড্ড।
তাও, মা আসছেন...মন খারাপ করে থাকলে কী হয়! আসল আনন্দ তো মনে! তাই আজ চা খেতে খেতে বিকাশ বাবুকে সুলেখা বলেছিলেন "শোনো, পারলে বাবুর জন্য একটা ক্যাপ বন্দুক এনো তো! এবার তো বেরোনো নেই, তাও বারান্দা থেকেই না হয় ফাটাবে বন্দুক!" শুনে বিকাশ বাবু ভুরু কুঁচকে একটা "হুম" বলে চলে গেলেন। একবার ও বললেন না "সুলেখা, তোমার জন্য কিছু আনব? তুমিও তো নতুন কিচ্ছু কেনো নি এবার!" উনি তো "না" ই বলতেন...তবু...শুনতে তো ভালো লাগত!
ভাবতে ভাবতেই, সেই পুরোনো দিন গুলোতে ফিরে যাচ্ছিলেন সুলেখা। বিকাশের সাথে প্রথমবার দেখা পাড়ার পুজো প্যান্ডেলে। বিকাশ ভলিন্টিয়ার ছিলেন... আর তখন খুব ই বিরক্তিকর লেগেছিল ওঁর হাবভাব! বাজখাঁই গলায় "লাইনে দাঁড়ান" বলে চিৎকার। তবে, অষ্টমীর অঞ্জলিতে অত ভিড়েও ওনার হাতেই সব্বার আগে ফুল-বেলপাতা দিচ্ছিলেন বিকাশ। নবমীতে পাড়ার খাওয়া দাওয়াতেও দুটো বেগুনি পড়েছিল পাতে! সেই থেকেই শুরু হয়েছিল নতুন শাড়ি আর পাঞ্জাবির সোহাগের!
তা, নতুন শাড়ি এখন পুরোনো হয়ে গেছে!বারো বছর কেটে গেছে বিয়ের। সেদিনের ষোড়শী চল্লিশ পেরিয়েছেন জুলাইতে। তাই হয়ত থোড় - বড়ি -খাড়ার জীবনে আজ মোচা কাটতে হচ্ছে।
জীবনের ধর্মই পরিবর্তন, তাও কেন কে জানে চোখে জল আসছিল সুলেখার। পুরোনো দিন গুলো কেন যে পুরোনো হয়ে যায় এভাবে! মানুষ যে কেন পুরোনো হয়ে যায়!
কাটাকুটি শেষ, এবার রান্না বসানোর পালা। সব ই একা হাতে করতে হয়। ছেলের অনলাইন ক্লাস চলছে, আজ ই শেষ ক্লাস পুজোর আগে। আর বিকাশ এখন ভলিন্টিয়ার থেকে ক্লাবের পান্ডা। আজ ওঁর ওয়ার্ক ফ্রম হোমে দিন ছিল, কিন্তু "ও আজ মোবাইল থেকে ম্যানেজ করে দেব" বলে বেরিয়ে গেছেন উনিও। উনি না থাকলে তো পুজোই হবে না! কত্ত ব্যবস্থাপনা বাকি!
গ্যাস জ্বালিয়ে কড়া বসিয়েছেন সুলেখা...হঠাৎ শুনলেন পাড়ার ক্লাবে বেজে উঠল "আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো...আমায় পড়বে মনে কাছে দূরে যেখানেই থাকোওওও..."
আরে এ তো সেই গানটা! যে গান বাজিয়ে ওঁকে প্রপোজ করেছিলেন বিকাশ! চোখে চোখে কথা হলেও 'হ্যাঁ' বলতে সময় নিচ্ছিলেন উনি...। আর তখনই...। এরপরেই বিকাশ চালিয়েছিলেন "আর কত রাত একা থাকব...!"
ভাবতে ভাবতেই মুখটা লাল হয়ে গেল সুলেখার। কতবছর আগের কথা...সেই ১৯৯৭/৯৮... আর এখনও সেই এক শিহরন...সেই এক আনন্দ...
বিকাশের ক্লাবে আশা ভোঁসলে তখন গাইছেন "এমন লগ্ন পেয়ে কি করে বলো
নিজেকে সরিয়ে আমি রাখবো
আর কত রাত একা থাকবো
আর কত রাত একা থাকবো"
[+] 4 users Like ddey333's post
Like Reply
#15
আলোর দেখা
©রূপান্বিতা
'ধুত্তোর' বলে ল্যাপটপ টা শাট ডাউন করে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ল রন।
আজকাল কিচ্ছু ভালো লাগে না ওর। ওদের অফিস মাল্টিন্যাশনাল, তাই এখনও ওয়ার্ক ফ্রম হোম ই চালিয়ে যাচ্ছে। আর রোজ একটানা বসে থেকে থেকে আর ভালো লাগছে না ওর। একা থাকে, বাবা -মা শিলিগুড়িতে...কতদিন বাড়ি যাওয়া হয় নি! তারমধ্যেই কিছুদিন আগে মেইল পেয়েছে যে ওদের স্যালারি কমানো হচ্ছে বর্তমান আর্থিক মন্দার জন্য। কিন্তু খরচ তো কমে নি! আর এই ছয় - সাত মাস হয়ে গেল, বাড়িতে বন্দী...কোত্থাও বেড়াতেও যায় নি...এমন কি বাড়িও যেতে পারে নি! সেই রন, যার কিনা 'পায়ের তলায় সর্ষে'। এইসব ভেবেই খুব বিরক্ত লাগে ওর। এই একটা ছাতার মাথার ভাইরাস গোটা পৃথিবীকে শেষ করে দিল!
ভাবতে ভাবতে জানলার কাছে এসে দাঁড়ালো ও। আজকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে। দু একটা বাড়িতে শাঁখ বাজার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। শাঁখ বাজার শব্দ শুনেই মন টা আরও খারাপ হয়ে গেল ওর। পুজোতে হিমাচল প্রদেশ যাবার কথা ছিল ওর! ব্যাটা করোনা! নাহ্, জীবন বড্ড বাজে!
বিরক্তিতে মাথা নাড়ছে, হঠাৎ খোলা জানলা দিয়ে চোখ পড়ল পাশের ফ্ল্যাটের দিকে। একজন বয়স্ক মানুষ আর ওঁর মেয়ে থাকেন ওই ফ্ল্যাটে। মেয়েটাও বোধহয় ওর মতোই ওরার্ক ফ্রম হোম করছে। তবে বাজার -হাট সব ই একা হাতেই করে। আর সারাদিন চড়া গলায় বকবক করে। স্পষ্ট বোঝা যায় না কী বলছে, কিন্তু গলার আওয়াজটা পাওয়া যায়। আর রাবনের মতো হা হা করে হাসির শব্দ ও পাওয়া যায়। কিসের এতো হাসি আর মজা, কে জানে!
বেজার মুখে আবার চেয়ারে বসতে যাবে, দেখে কিছু লাইট জ্বলে উঠল বাইরে। পুজোর লাইট। বোধহয় চেক করে দেখছে লাইট জ্বলছে কিনা ঠিক ভাবে। প্রতিবার ই করে। তবু, ওই হলুদ হলুদ বাল্বের চেইনের মধ্যে একটা আলাদা মায়া আছে! ছোটবেলা আছে! তাই আবার জানলার কাছে এলো রন। এক্ষুণি নিভিয়ে দেবে লাইট...তার আগে একটু দেখে নেওয়া আর কি!
হঠাৎ দেখে, পাশের ফ্ল্যাটটির ব্যালকনিতে সেই মেয়েটা...চিৎকার করে বলে উঠল, "বাবা, এখানেই এসো, লাইট চেক করছে ক্লাব থেকে, নিভিয়ে দেবার আগেই এখানে কেক টা কেটে ফেলি.."
বলতে বলতেই মেয়েটির বাবা এসে গেলেন। আর মেয়েটি একটা ছোট্ট টুলের ওপর একটা আরো ছোট্ট প্লেট রাখল।
কেক! মানে জন্মদিন বোধহয়। যদিও ওঁদের সেভাবে চেনে না, কিন্তু জন্মদিন হলে উইশ করা উচিৎ... তাই একটু অপেক্ষা করে রন। আর, ওই হলুদ আলোতে বাবা - মেয়ের হাসিমুখ দেখতেও ভালো লাগছিল খুব। বাবা - মাকে মিস করছিল। নাহ্ ট্রেন না রেগুলার হলেও বাসে করেই চলে যাবে ও শিলিগুড়ি... চার মাস হয়ে গেল বাড়ি যায় নি!
দুজনের সন্মিলিত হাসির মধ্যেই মেয়েটির চোখ পড়ল রনের দিকে। খানিকটা বাধ্য হয়েই ও বলে উঠল "হ্যাপি বার্থডে"। বাবা না মেয়ে, কার বার্থডে কে জানে...যার জন্মদিন সে ই "থ্যাংকইউ" বলবে নিশ্চয়ই!
মেয়েটি ওর কথা শুনে একটু অবাক হয়েই তাকাল ওর দিকে। তারপর মুচকি হেসে বলল "না, না...আমাদের কারও জন্মদিন না...আসলে আমরা রোজ ই বেঁচে থাকা সেলিব্রেট করি। আর সেজন্য, সেদিনের জন্য, একটা না একটা কারণ খুঁজে বের করে নিই। যেমন - কাল আমি একটা জিনিস খুঁজে পাচ্ছিলাম না অনেকদিন ধরে, সেটা খুঁজে পেয়েছি, তাই সেলিব্রেট করেছি...তেমনি আর কি! রোজ বিকেলের চা - জলখাবার খাই। আজ কেক বানিয়েছি..."।
ইন্টারেস্টিং তো! বেঁচে থাকার উদযাপন!
নিজের অজান্তেই ও জিজ্ঞেস করে ফেলল "আজ কি সেলিব্রেট করছেন!"
"আজ? আজ তো দারুণ ভালো একটা খবর আছে...সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে...স্থিতিশীল আছেন উনি... এরচেয়ে বেশি আনন্দের কি হতে পারে, বলুন?" হাসতে হাসতে বলল মেয়েটি।
তক্ষুণি ঝপ করে আলো টা নিভে গেল। চেক করা শেষ। আবার বোধহয় ঠিক পুজোর সময়েই জ্বালাবে।
চোখটা বন্ধ করে ফেলল রন।
পাশের ব্যালকনিতে দুজন মানুষ তখনও হাসছেন, কথা বলছেন।
বেঁচে থাকা, ভালো থাকা উদযাপন করছেন!
"আমাকে কেকের ভাগ দেবেন না? আমিও সেলিব্রেট করতে চাই, আপনাদের সাথে..." জোরে বলে উঠল রন।
"নিশ্চয়ই...আসুন না প্লিজ..." হেসে বলল মেয়েটি...হাজার ওয়াটের আলো সেই হাসিতে...
ঝটপট চটি পরছিল রন। তাড়াতাড়ি যেতে হবে।
কালো মনে আলোর দেখা পেয়েছে যে!
[+] 9 users Like ddey333's post
Like Reply
#16
সত্যি ই দারুন দারুন এক একটা হিরে মুক্তো খুঁজে এনেছেন !!!!!!
[Image: 20210115-150253.jpg]
[+] 3 users Like pinuram's post
Like Reply
#17
হায়রে !!
সবাই দেখুন আজ কার পদধূলি পড়েছে এই গরিবের থ্রেডে !!
আসলে বহুদিন পরে আজ ফেবু তে লগইন করে দেখলাম রূপান্বিতাদির এই দুটো নতুন পোস্ট , তাই এখানে পেশ করলাম

Namaskar Namaskar
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#18
বাহ্ বেশ সুন্দর ছোট্ট কিন্তু মন ছুঁয়ে যাওয়া ঘটনার সুন্দর উপস্থাপন!
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#19
(21-10-2020, 04:16 PM)dada_of_india Wrote: বাহ্ বেশ সুন্দর ছোট্ট কিন্তু মন ছুঁয়ে যাওয়া ঘটনার সুন্দর উপস্থাপন!

আরেক মহারথীর পদার্পন !!!!!

আজ সূর্য কোন দিকে উঠেছিল সকালে , কেউ কি ঠিক করে লক্ষ্য করেছিলেন ?????

Namaskar Namaskar Smile
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#20
মন ছুয়ে গেলো... অসাধারন... মনুষ্যত্বর প্রকৃত প্রতিফলন...
Heart
[+] 1 user Likes bourses's post
Like Reply




Users browsing this thread: r.ahmed, 1 Guest(s)