Poll: এই গল্প টা আপনাদের ভালো লাগলে নীচের অপশন এ ক্লিক করে জানান কেন ভালো লাগছে
You do not have permission to vote in this poll.
গল্পের কাহিনী
10.00%
2 10.00%
গল্পের গতি
0%
0 0%
গল্পের গতি এবং কাহিনী
85.00%
17 85.00%
গল্প টি ভালো লাগছে না
5.00%
1 5.00%
Total 20 vote(s) 100%
* You voted for this item. [Show Results]

Thread Rating:
  • 96 Vote(s) - 3.46 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Fantasy বাঘমুড়োর আতঙ্ক - সমাপ্ত
(23-07-2022, 12:30 PM)Baban Wrote:
এখানে যখন সময় আর ডাইমেনশন নিয়ে লেখার ও আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে তখন দিদি তোমায় দুটো অদ্ভুত প্রশ্ন করতে চাইবো।

১) Temporal paradox, grandfather paradox সম্পর্কে তোমার মতামত কি হবে?

তোমার কি মনে হয় যদি কেউ অতীতে গিয়ে একজনকে হত্যা করে, তাহলে কি সেই মৃত ব্যাক্তির ভবিষ্যত ওখানেই শেষ? অর্থাৎ তার নাতি হয়তো সমাজে কোনো পরিবর্তন আনতে পারতো কিন্তু এবার আর তা আর হবেই না। কারণ দাদুই তো বিবাহ পূর্বে মৃত। নাকি পুরোটাই একটা নতুন টাইম লাইনে গিয়ে ক্রিয়েট হবে, অরিজিনাল টাইম লাইন নিজের মতোই অক্ষত থাকবে?

২) অনেকের মতে (তা সে ইচ্ছাকৃত ভাবেও কেউ বলতে পারে ) ভগবানেরা স্বয়ং নাকি এলিয়েন। তারা মহা উন্নত শ্রেণীর জীব, এবং তাদের বসবাস অন্য ডাইমেনশনে। ১৩ নম্বর হতেও পারে। তারা পৃথিবীতে এসে তাদের থেকে অনুন্নত মানব সভ্যতাকে জীবন বাঁচতে, কাজ করতে ও লড়তে শিখিয়েছে, সাথে শিক্ষা তো আছেই। এবং তারা আবার ফিরে গেছে নিজেদের স্থানে। আর পৃথিবীর মানব জাতি সেই মহান শক্তির সম্মানে তাদের কথা লিখে গেছেন।

এই দুটো সম্পর্কে কি বলবে তুমি?

এই টাইম লকার টা আসলে একটা টেম্পোরাল ক্যাসুয়ালিটি লুপ। যেখানে একটা ঘটনা তার সমগ্রতা কে নিয়ে, কোন স্বাধীন টাইম জোন এ , নিজের ঘটনা প্রবাহ কে বারংবার রিপিট করে একটা লুপের মতন। আমরা যেমন প্রোগ্রামিং এ লিখি, ইফ এক্স= ওয়াই, দেন এম= এ/ ওয়াই, এলস, এম = এ++। এই রকম ভাবে ভ্যালুর হেরফেরে কোন ইনফাইনাইট লুপ তৈরি হতে হবে। আমি এখানে সিউডো কোড টা ঠিক লিখিনি আমি জানি। জাস্ট একটা উদাহরণ দিলাম মাত্র। 

১) এখন এই গ্রান্ড ফাদার প্যারাডক্স বা টেম্পোরাল প্যারাডক্স  দেখতে গেলে তো প্যারাডক্স নয়। দেখ কনসেপ্ট টা কে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু সত্যি তো কেউ অতীতে গিয়ে নিজের দাদু কে হত্যা করার পরেও যদি সে জন্ম নিয়েছে জানতে হবে তার আসল দাদু অন্য কেউ। মজা করে বললাম কথাটা। কিন্তু ব্যাপার টা সত্যি। সেই জন্যেই পঞ্চম ডাইমেনশন এ গিয়ে এই প্যারাডক্স টা তৈরি হয়। যদি কোনদিন সত্যি আমরা পঞ্চম ডাইমেনশন কে কব্জা করতে পারি তবে এই ভয় টা তো রয়েই যাবে। আর এই নিয়ে গল্প ও আছে। দাদুকে মেরে ফেলেও জানতে পারে যে যাকে মেরেছে সে তার আসল দাদুই নয়। বায়োলজিক্যাল দাদু ছিল অন্য কেউ। যেমন কংস মেরেছিল আসল লোক কে ছেড়ে দিয়ে বাকি সবাই কেই। এমন প্যারাডক্স তো আমাদের চার ডাইমেনশন এও হয়। কাজেই তখনো থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। জীবন আরো জটিল হবে। আর সেটাই স্বাভাবিক। আমরা প্রাচীন কাল থেকে অনেক বেশী জটিলতায় বসবাস করি এখন। 

২) আমার মনে হয় না সেটা। আসলে এই গুলো থিয়োরী। কোন থিয়োরীর বিশেষ কোন প্রমাণ নেই। আর প্রতিটা থিয়োরীর নিজের নিজের বিশ্বাস অনুযায়ী একটা ফ্যান বেস আছে। ধর্ম আমাদের মূলত চারটে পুস্তকে বর্ণিত আছে। যদিও মনে করি সনাতন ধর্ম এর কোন বই নেই। কোন বই সনাতন ধর্মের দলিল হতে পারে না। সনাতন ধর্ম, নিজের মূল্যবোধ, কর্ম, জ্ঞান, মনুষ্যত্ব, আর বিবেকের উপরে প্রতিষ্ঠিত আছে। হ্যাঁ মাঝে এই সনাতন ধর্মের বিকৃতি হয়েছে। কিন্তু মূল ব্যাপার টা এটাই যেটা আমি লিখলাম। যা বলছিলাম, এই সনাতন ধর্মের যা যা রেফারেন্স আমরা পেয়েছি, তা মূলত চার ধরণের বই এর আছে। এক, উপনিষদ। দুই বেদ। তিন রামায়ণ। চার মহাভারত। বাকী যা যা আছে সব গুলোই পাওয়া গেছে খ্রীষ্ট জন্মের হাজার বছর পরের। ব্রহ্ম বৈবর্ত পূরাণ, বিষ্ণু পূরাণ, শিব পূরাণ সব ই অনেক পরে রচিত আর বহু প্রক্ষেপণ এর দুষ্ট। এটলিস্ট পরে উল্লেখিত বই গুলির কোন পুরোন রেফারেন্স পাওয়া যায় নি এখনো অব্দি। এখন এই চার ধরনের বই পরে যা মনে হয়েছে তাতে বুঝেছি, ভগবান বা দেবতার কনসেপ্ট অনেক পরে এসেছে। 

ঋক বেদে কিন্তু দেবতা ছিল না। সর্বপ্রথম বেদ। ছিল পঞ্চ ভুত। মানে জল অগ্নি বায়ু আকাশ আর পৃথিবী। মানুষ মানত বা পূজো করত এই পাঁচ টি মহা ভূত কে। তারপরে এলো গুণের কনসেপ্ট। উপরের পঞ্চভূত পাঁচটি মহান রিসোর্স ছাড়া তো কিছু না। জীবনে বাঁচতে গেলে এই গুলোর সব থেকে বেশী দরকার। কেন দরকার সেটা আর লিখলাম না। সেটা সবাই বুঝতে পারছে। এখন ধীরে ধীরে মানুষের মানসিক উন্নতি ও হলো। আসলে অনেক বড়ো উত্তর লিখতে হবে। যাই হোক ওরা ভাবল যে, রিসোর্স এর তো মান্যতা হলো, এর পরে জীবনের গুণের মান্যতা দরকার। সেই ঋষি রা দেখলেন, জীবনের তিনটি মহান গুণের ওপরে সংসার চলে। সৃজণ , রক্ষণ আর মৃত্যু। মৃত্যু কেও মহানতম গুণের মধ্যে রেখেছিলেন সনাতনী রা। কারণ বুঝে ছিলেন। মৃত্যুর মান্যতা না থাকলে সৃজণের কোন গুরুত্ব থাকবে না। এই তিনটি মহানতম গুণ কে ত্রিদেব নামে আখ্যা দিলেন। এদের মধ্যে যার কোন সৃষ্টি নেই সেই ধ্বংস বা মৃত্যু কে দিলেন দেবাদিদেব বা আদি তম দেবের আখ্যা। কারণ জীব জন্মের বহু আগে থেকেই চলছে ধ্বংসের লীলা খেলা।যে তেত্রিশ রকমের দেবতার পুজো সনাতনী রা করে, তার মধ্যে ১১ টা রুদ্রের উল্লেখ থাকলেও মহাদেবের উল্লেখ নেই। বরং ব্রহ্মা বা নারায়ণ কে ১২ আদিত্যের মধ্যে ধরা আছে। আট টা বসুর মধ্যে ধরা আছে সম্ভবত পঞ্চভূত কে। যদিও সূর্য্য কে আদিত্য আবার সাবিত্র নামে একটি বসু ও আছে। আর বাকি দুটো অশ্বিনী কুমার দ্বয়। কাজেই এই দেবতার কনসেপ্ট এসেছে পরে। আর এটা সনাতনী ইতিহাসের একটা মানসিক অভিযোজন। 

ধীরে ধীরে আর ও অনেক দেবতা এসেছে। অর্থাৎ এই ত্রিগুণ কে ভেঙ্গে যত গুণ হতে পারে সব গুণের এক একটি দেবতা কে তৈরি করা হয়েছে। মন্দ নয়। এই বিশাল সংসারে সবার ক্ষমতা সমান নয়। বা সবাই এক ভাবে বাঁচতে পারে না। তাই নানান গুণ সামনে আসতে আসতে দেবতাদের একটা বিশাল সম্ভার তৈরি হয়েছে। আর পুজো করছি আমরা সেই গুণের। বস্তুত আমরা এই সংসার সমুদ্র সফল ভাবে পার করতে যা যা গুণের দরকার সেই গুণের তপস্যা করছি। সমগ্র পৃথিবী এই ভাবেই চলছে। তাতে কেউ মেনে চলছে কেউ না মেনে। কেউ সামনে হোম বা যজ্ঞ কুন্ড বানিয়ে তপস্যা করছে তো কেউ অন্যভাবে। 

এই ত্রিদেব আসলে মানসিক। সৃজণের জন্য জ্ঞান দরকার। তপস্যা দরকার। তাই এই সংক্রান্ত সকল গুণ কে এক এক টা দেব দেবীর মান্যতা দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর জন্য ধ্বংসের জন্য, কোন নোংরা সিস্টেম কে উপড়ে ফেলার জন্য যা যা গুন দরকার তাদের আলাদা আলাদা দেব দেবীর মান্যতা দেওয়া হয়েছে। যেমন ধর্ম, মৃত্যু জরা ইত্যাদি। বাকি রইল পালন আর রক্ষণ। বলা হয় এই কাজ টা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই কাজে, তাকে সৃজণের জ্ঞান থাকা দরকার, রক্ষা করার সামর্থ্য প্রয়োজন, দরকার তাকে পালনের জন্য ভালোবাসা। দরকার প্রভুত জ্ঞান। দরকার সব রকম কলার অধিকারী হওয়া। তাই ত্রিদেবের মধ্যে এই মাঝের দেব টি কে জগত প্রতিপালক বলা হয়। এটি কোন একটি গুণ নয়। সকল গুণের আধার বলা হয়ে থাকে। যাকে আমরা নারায়ণ বলে জানি। কাজেই এই ত্রিদেব এবং বাকি সকল দেব দেবী হলেন মানসিক আর ভার্চ্যুয়াল। আর কন্সেপ্ট টা কি সেটা উপরে লিখেই দিলাম। 

আর প্রতিটা মানব বা জীব এই তিনটে ভূমিকা পালন করে তার জীবন চক্রে। সে সৃষ্টি ও করে, পালন ও করে , রক্ষা ও করে, আবার ধ্বংস ও করে। আবার সৃষ্টি কর্তা সেই মানব , রক্ষা কর্তা সেই মানব , ধ্বংস কারী সেই মানব, নিজেও সৃষ্টি হয়, পালিত হয় আবার সময়ে সে মারাও যায়। কাজেই, এই ভাবে সকল সৃষ্টি কর্তা , কোন পরমকর্তার ইশারায় চলছে। এই ভাবেই এসেছে আত্মা আর পরমাত্মার কনসেপ্ট। এই কনসেপ্ট গুলো অভিযোজিত। দুম করে চলে আসে নি। তিনহাজার বছর আগে যে মহাভারত লিখতে পারে, সে কত খানি জ্ঞানী ছিল এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এমন নয় যে আমরা এখন অজ্ঞানী। জ্ঞানের পরিভাষা বদলাবে। আর বদলাচ্ছেও। কাজেই, এখন কোথাও কোন দ্বীপে কোন বাচ্চা ছেলে আটকে পরলে তাকে আদিম মানুষের মতন লক্ষ বছর ধরে আগুনের উৎপত্তি শিখতে হবে না। কারণ এই জ্ঞান টা তার ভিতরে অভিযোজিত হয়ে গেছে। 

বাকী রইল এলিয়েন। এটার কোন প্রমাণ নেই। তাই বিশ্বাস হয় নি। এমন না যে আমি ব্যাপার টা তে খুব রিজিড। বিশেষ করে মিশরের পিরামিড। একমাত্র পিরামিড ই আমাকে একটু টলিয়ে দেয়। কারণ এই টা বানানোর মতন অবস্থা সেই সময়ের মানুষের ছিল কিনা সেটা এখনো গবেষণার ব্যাপার। কিন্তু এখানেও কিন্তু আছে। কোন মিসিং লিঙ্ক আছে। হতে পারে সেই মিসিং লিঙ্ক টা এলিয়েন বা জগতের অন্য কোন সনাতনী জ্ঞানীর কর্মকান্ড। 

জানিনা কি সব লিখে দিলাম।
[+] 7 users Like nandanadasnandana's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
যা লিখে দিলে তা পড়ে আর তোমার জ্ঞান পরিধি জেনে যে এখনো উল্টে চিৎপটাং না হয়ে স্বাভাবিক আছি সেটাই অনেক। কি দিলে দিদি!! এরপর আর কিছুই বলার থাকেনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ এই ভাবে, এতো পরিষ্কার ভাবে আমার বলা ব্যাপারগুলো নিয়ে মতামত দেবার জন্য। ♥️

শক্তি নিয়ে তোমার এই মূল্যবান অভিমত ও সত্য ইতিহাস জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এই ব্যাপারটা নিয়ে অর্থাৎ টাইম ট্রাভেল নিয়ে আমার এই আকর্ষণ প্রথম জন্মায় Terminator 1,2 দেখে। সেই ছোট বয়সে ওতো কিছু না বুঝলেও ওই সময় পারাপার ব্যাপারটা বেশ মনকারা ছিল। পৃথিবী আর মানুষের নয়, AI দ্বারা চালিত উন্নত মেশিনের কন্ট্রোলে চালিত হচ্ছে আর মানব সভ্যতা তখন তাদের বন্দি ও সেবক। নিজেদেরই সৃষ্টি ওই আধুনিক বিজ্ঞানের আরও আধুনিক হয়ে ওঠার উপহার স্বরূপ মানুষেরাই তখন গিনিপিগ। সেই সময় দাঁড়িয়ে কিছু মানব বিদ্রোহী হাতে তুলে নেয় অস্ত্র আর বিদ্রোহ ঘোষণা করে যন্ত্র মালিকদের ওপর। তাদের জয় ক্রমশ বাড়তে থাকে ওই বিদ্রোহী ও তাদের সর্দার জন কর্নর এর হাত ধরে।

তাই দেখে টাইম ট্রাভেল করে পাঠানো হয় এক AI robo কে। যার একটাই লক্ষ.... সেই প্রথম বিদ্রোহী সর্দার জন নামক মানুষের অস্তিত্ব বিনাশ। সে মারা গেলে আর বাকিরা লড়ার অনুপ্রেরণাই পাবেনা। আর এটা হবে তার জন্মের পূর্বেই তার মাকে হত্যা করে। যাতে সে জন্মাতেই না পারে। আর নিজের মাকে রক্ষা করতে সেই বিদ্রোহী সৈনিক ও বিজ্ঞানী নিজেও একই ভাবে পাঠায় নিজের দলের মধ্যেকার এক পুরুষকে। যাতে সে গিয়ে ওই রোবটকে ধ্বংস করে নিজের গুরু তথা সিনিয়র এর মা কে রক্ষা করতে পারে।

কিন্তু এখানেই আসল চমক যেটা আমার সবচেয়ে অদ্ভুত আর অসাধারণ লেগেছিলো। সেই জুনিয়ার সৈনিক অতীতে গিয়ে দেখা পায় নিজের সিনিয়র এর মায়ের যখন সে একেবারে যুবতী। রূপসী এক নারী। তাকে রক্ষা করতে করতে কখন যে সেই ছেলেটি নিজের গুরুর, নিজের সিনিয়র এর মায়ের প্রেমে পড়ে যায় সেটা নিজেও হয়তো বুঝতেই পারেনি। অন্য দিকে মেয়েটিও সেই রক্ষাকারী পুরুষের প্রেমে পড়ে যায় আর ভালোবাসার চরম ফল স্বরূপ একে ওপরের খুবই কাছে চলে আসে আর একে ওপরের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। মেয়েটি প্রেগনেন্ট হয়ে যায়।

এবার বুঝতে পারছো তাহলে ওই জুনিয়র ছেলেটি আসলে কে? হ্যা ওই সিনিয়র বিদ্রোহী যোদ্ধার পিতা স্বয়ং সেই জুনিয়র ছেলেটি। যাকে ছোট্ট বয়সে রক্ষা করে সেই যোদ্ধা নিজের কাছে রেখে নিজের হাতে লড়তে শিখিয়ে ছিল ও একদিন নিজের মাকে বাঁচাতে সেই জুনিয়র ছেলেটিকেই কে মায়ের কাছে পাঠিয়েছিল..... সেই কিনা ওর আপন পিতা!

এই ব্যাপারটা ওই বয়সে মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলো আমার! হ্যা কল্পবিজ্ঞানের গল্প হলেও এই আইডিয়াটা অসাধারণ। আর পরিচালক কে ছিলেন সেটাও তো দেখতে হবে। জেমস ক্যামেরণ। ❤

যাইহোক আবারো ধন্যবাদ। মিশর, পিরামিড আর এলিয়েন এর এই মিসিং লিংক সত্যিই রহস্য ময়। 
[+] 3 users Like Baban's post
Like Reply
দিদি তুমি পারোও বটে, সময়বিজ্ঞান নিয়ে অনেকটা পড়েছ, এতে কোন সন্দেহ নেই। আসলে সময় তো বিজ্ঞানকেউ হার মানায়। তোমার এই পর্বটার তথ্যগুলো অনেকটা " Doctor Strange in the Multiverse of Madness "  এবং  " Spider-Man: No Way Home " মুভির সাথে মিলে যায়। সেখানেও সময়কে বিভিন্ন ডাইমেনশনে দেখানো হয়েছে। তবে এই পর্বটা অনেকেরই মাথার উপর দিয়ে যাবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আবার অনেকেরই সময়কে আরও কাছ থেকে জানার ইচ্ছা জাগবে। সৃষ্টিকর্তা সবকিছুকে কি সুন্দরভাবেই না নিয়ন্ত্রণ করছেন।
[+] 2 users Like sudipto-ray's post
Like Reply
                                                                                 পর্ব আঠেরো

উপরে উঠে এলো দুজনাই। দুজনের জামা কাপড় ই জলে ভেজা। শীত করতে লাগল লালির। তাও নিজের ওড়না টা নিংড়ে হীরার মাথা মুছিয়ে দিতে লাগল। জিজ্ঞাসা করল,
-      কিরে কিছু উপায় পেলি?

মুখ এর সামনে ওড়না দিয়ে মাথা মুছে দেওয়ায় হীরার মাথা টা নড়ছিল। আর ততই বিরক্ত হচ্ছিল হীরা। বিরক্ত হয়েই বলল,
-      আরে ধুর!! কি করছ? ছাড় না এবারে। ছোট ছেলে নাকি আমি?

-      তুই? তার ও অধম রে। নিজেকে সামলাতে পারে না উনি আমার মণি সামলাতে পুকুরে ঝাঁপ দিলেন!!

হীরা মরে যায় এমন ভালবাসা পেতে। কিছু বলল না হীরা। লালি কে ইচ্ছে মতন নিজের আশ মিটিয়ে হীরার মাথা মুছতে দিল। যেমন দেয় নিজের মা কে। কিন্তু লালির প্রশ্নের উত্তর টা ও দিল। বলল,
-      হুম পেয়েছি একটা উপায়।
                                                                                             
লালি উৎসাহিত হয়ে পড়ল। জিজ্ঞাসা করল,
-      কি পেলি? বল?
-      বুঝবে কি?
-      দ্যাখ ভালো হচ্ছে না কিন্তু বল।
-      আচ্ছা আচ্ছা শোন, বলতো তোমাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, একটা সেট অফ নাম্বারস, যা খুশী হতে পারে হয়ত বলল এক থেকে একশ, একটা সেট অফ নাম্বার। এর মধ্যে থেকে পাঁচ আছে এমন কি কি নাম্বার আছে সেখানে? রিলেট কর, অনেক গুলো টাইম লকার, চাবি এক ই, তার মধ্যে কোন লকার এ মণি আছে?
-      মানে? ভালো করে বোঝা।
-      বেশ, দেখ এখানে পাঁচ কত গুলো আছে সেটা ইম্পর্ট্যান্ট নয়, ইম্পর্ট্যান্ট হলো সময়। তোমার কাছে বেস্ট আর ওয়ার্স্ট দুটোই পসিবিলিটি আছে। ওয়ার্স্ট হলো তোমাকে এক থেকে একশ সব কটা নাম্বার কেই শুরু থেকে সার্চ করে যেতে হবে আর দেখতে হবে ভিতরে পাঁচ আছে কিনা। আর বেস্ট তো বেস্ট। তুমি সেই সেই নাম্বার গুলো কেই ভগবানের আশীর্ব্বাদে তুলে নিলে যেগুলো তে পাঁচ আছে। হিসাব মতন ওয়ার্স্ট এর ক্ষেত্রে তোমাকে একশো টা সার্চ করতে হবে আর বেস্ট এর ক্ষেত্রে সার্চ করতে হবে কুড়ি টা নাম্বার, তাইতো?

লালি হিসাব করে বলল
-      হ্যাঁ কুড়ি টা পাঁচ আছে এক থেকে একশোর মধ্যে  
-      বেশ এখন এই সেট অফ নাম্বার টা তুমি ফ্যাক্টোরিয়াল ১০ কর।
-      মানে?
-      মানে ফ্যাক্টোরিয়াল ১০। ৩৬২৮৮০০। এই নাম্বার সেটের মধ্যে খুঁজতে বলা হয়, কত সময় লাগবে ভেবেছ?
-      ওকে! কিন্তু তাতে কি হবে?
-      আছে তো ইনফাইনাইট ইউনিভার্স। কিন্তু ১০ টা ইউঁনিভার্স এর ভিতরে এই টাইম লকারের রেপ্লিকা ছড়িয়ে দিলে, পারমুটেশন এ ৩৬২৮৮০০ পসিবিলিটি  তৈরি হবে। আর অশ্বথামা কে এতো গুলো পসিবিলিটি তে সার্চ করতে হবে মণি , যেখানে এক ই চাবি দিয়ে টাইম লকার খুলবে। আর ওদের মধ্যে একটা তে থাকবে মহাশিবের এই অনন্ত শক্তিশালী মণি। আর প্রতিটা নকল টাইম লকার হবে এক একটা সময় ফাঁদ। অর্থাৎ একটা বাক্স র রেপ্লিকা আর ও ৩৬২৮৮০০ টা বানানো হল। না ভুল বললাম, বানানো হবে দশ টাই, কিন্তু ওকে কে খুঁজতে ৩৬২৮৮০০ বার ওকে চেষ্টা করতে হবে। আর প্রতিটা বাক্স একটাই চাবি দিয়ে খোলে। যে বাক্সে মণি নেই সেই বাক্সে বিষধর সাপ বা বিষাক্ত ধোঁয়া বা কোন বিশাল প্রাণঘাতী কীট। প্রতিটা তেই প্রাণের আশঙ্কা।  মানে একটা টাইম লকারে ভুল করে ঢুকে গেলে অশ্বথামা কে বের হতে অনেক টা সময় লাগবে। আর বের হয়ে এলেও ওকে ফিরতে হবে সেই পুরোন জায়গায় যেখান থেকে ও শুরু করেছিল। আইডেন্টিক্যাল এই টাইম লকার গুলো চক্রব্যুহের মতন ঘুরতে থাকবে, আসল টা কে ব্যুহের নাভী তে নিয়ে। যেখানে অশ্বথামা পৌঁছতে পৌঁছতে না জানি কত ইউনিভার্স ধ্বংস হবে আর কত তৈরি হবে। হয়ত বা ওর অমরত্ব এই বিশাল ইউনিভার্সের পুনর্বার সিঙ্গুলারিটির সাথে একাত্ম হয়ে যাবে আর ও খুঁজতেই থাকবে সেই মণি কে, সময় চক্রের ফাঁদে ফেঁসে গিয়ে। এটাই ওর জীবন। এই ভাবেই লেখা আছে ওর জীবনের পরিনতি। সেখানে কিছুই পরিনতি পাবে না।

লালি চুপ করে রইল। কোন জবাব তো নেই আর। জিজ্ঞাসা করতে সাহস ও পাচ্ছে না কিছু। এতো প্রশ্নের ভিড়ে হারিয়ে গেল আবার সেই প্রশ্ন, হীরা কি ভাবে এই রেপ্লিকা বানাবে? ভ্যোম হয়ে বসে রইল লালি। আর পারছে না ও। চোখ জড়িয়ে আসছে একেবারে। ভিজে গায়েই, সিক্ত হীরার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেল লালি ক্লান্তি তে। কত স্বপ্ন চোখে ওর। হীরা কে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন। হীরা কিছু না করে না করুক। লালি তো চাকরী করেই। হীরা বসে থাকবে আর লালি শুধু ওকে দেখবে। আহা ছেলেটা কত কষ্ট করেছে। পুরো মথুরা নগরী কে তুলে নিয়ে গিয়ে বসিয়েছে দ্বারকা তে। বদমাশ!! মথুরায় থাকলে পাছে দেখা হয়ে যায় ললিতার সাথে! ললিতা খবর রেখেছিল ওর। দুষ্টু টা বিয়ে করেছিল। সন্তান সন্ততি। কিন্তু ও নিজের বুকে হাত রেখে বলুক, ললিতার মতন এতো ভালো আর কেউ বেসেছিল কিনা ওকে? জানে ললিতা এমন দুষ্টু কে বেঁধে রাখতে ললিতা ছাড়া কেউ পারবে না আর।আর ওকে ছাড়বে না লালি কোন দিন। যদি বাঘমুড়োর থেকে লালি বেঁচে যায়, লজ্জার মাথা খেয়ে ও বাবা কে বলে দেবে হীরা কে ঘর বাঁধার কথা। ওর বাবা নিশ্চই মেনে নেবে। দুটো সন্তান হবে ওদের। একটা ছেলে আর একটা মেয়ে। ছেলেটা যেন একেবারে হীরার মতন হয়। সন্ধ্যে বেলায় লালি ফিরবে বাড়িতে, আর তিন জন কে নিয়ে একেবারে নির্ঝঞ্ঝাট জীবন কাটাবে এই বাঘমুড়ো তেই। উফ হীরা!! এতো সুন্দর বাঁশী কেন বাজাস তুই? জানিস না, এই বাঁশী আমাকে ঘুমোতে দেয় না, জাগতে দেয় না। কেমন অস্থির করে তোলে? ঘুমের মধ্যেই লালি যেন জড়িয়ে ধরল হীরা কে। লালির ঠোঁটে অপার্থিব শান্তির হালকা হাসি। মনে মনে বলল হীরা কে, না না তুই বাজা বাঁশী। তোর বাঁশী ই আমার জীবন কাঠি। কিন্তু কেন বার বার লালি চোখ বুজলেই দেখছে কানু কে? কেন বিয়ের স্বপ্নের সময়ে হীরা কে কানুর সাথে মিশিয়ে ফেলছে লালি। কেন বার বার মনে হচ্ছে হীরার পরিশ্রমের কথা দ্বারকা তে নগরী বসানোর সময়ে? কেন সেদিনের কানুর বৃন্দাবণ ছেড়ে চলে আসার সময়ে বার বার মনে হচ্ছে কানু না ওকে হীরা ছেড়ে চলে যাচ্ছে?

চমকে ঘুম ভাঙল লালির। চারিদিকে তাকিয়ে দেখল ও হীরার বুকে শুয়ে ঘুমিয়ে গেছিল। নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে দেখল লালি সামান্য ভিজে নেই আর ওর জামাকাপড়। রোদ একেবারে ঝাঁ ঝাঁ করছে। হীরার দিকে তাকাল লালি। দেখল হীরা ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে মিটি মিটি। ও কি পুরোটাই স্বপ্ন দেখছিল? তা কি করে হয়? আর ওকে দেখ? যেন কিচ্ছু হয় নি এমন মুখ করে বসে আছে। উফ এমন ঘুম বহুকাল লালি ঘুমোয় নি। নিজেকে কি পরিমাণ হালকা লাগছে লালির বলে বোঝাতে পারা যাবে না। মিষ্টি করে হেসে হীরা ওকে বলল,
-      তোমাকে একবার নগেন দাদুর বাড়ি যেতে হবে।

লালি বলল,
-      কিন্তু হীরা মণি সেফ তো? অশ্বথামা খুঁজে পাবে না তো আর?
-      কি করে বলব? আমি তো নিজেই খুঁজে পাই নি।

লালি আর ও অবাক হয়ে গেল। কি বলছে ছেলেটা। এতোক্ষণ কি তবে স্বপ্নই ছিল সব কিছু? না না তা কি করে হয়? ও বলল,
-      আমাকে বোঝালি যে এতো কিছু? টাইম লকার, নাইন্থ ডাইমেনশন ইত্যাদি?
-      আমি? কোথায় বোঝালাম? কি বলছ তুমি? স্বপ্ন দেখেছ নাকি? বাবাহ টাইম লকার? কি বস্তু সেটা? তুমি তো এসে আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেলে। বাবাহ কি নাক ডাক তুমি।

অন্য সময় হলে, এই নাক ডাকার কথায়, লালি ঝগড়া করত হীরার সাথে। কিন্তু আজকে মনটা কেমন একটা হয়ে গেল। অথচ হীরা হাসছে মিটিমিটি। এরকম করছে কেন ছেলেটা। সেদিনের স্বপ্নের কানু আর হীরার মুখ টা অবিকল এক। গায়ে কাঁটা দিল লালির। কেন মনে হচ্ছে সামনে আরাধ্য আর লালি বুঝতে পারছে না সেটা। কেন মনে হচ্ছে হীরা ইচ্ছে করে লালি কে কনফিউজ করছে? হীরা আবার কথা বলল,

-      কি গো কি ভাবছ?
-      তুই কি কিছু লোকাচ্ছিস আমার থেকে?

হীরা সেই রকম ই মুচকী হেসে জবাব দিল।
-      আমি আর কি লোকাবো? লোকানোর কি আছে আমার? সব তো তোমার সামনে আমি খুলে দিয়েছি নিজের সর্বস্ব। এর পরেও এমন কথা বললে কি করে চলবে।

কেমন কথা? লালি আবার কনফিউজ হয়ে গেল। মানে কানু আর হীরা এক ই সেই কথাটা লালি বুঝতে পারছে না নাকি হীরা শুধু একজন যাকে লালি ভালবাসে, সেই কথাটা। এমন দ্বর্থ্যক কথা বলে যে কথার ফাঁদে জড়িয়ে যেতে সময় লাগে না। ঠিক অনন্ত সম্ভাবনার সময়-ফাঁদের মতই এই ছোঁড়া কথার-ফাঁদ বানিয়ে রাখে প্রতি কথায়। লালি কিছু বলতে যাবে এবারে, ঠিক তখন ই উমা কাকি খিড়কী দরজা থেকে হাঁক দিল,

-      হীরা!!! কই রে, ভাত দুটো খেয়েই কোথায় গেলি? ঘাটে আছিস নাকি?? ও হীরা। শুতে আয় বাবা!!!!

মায়ের গলা শুনেই হীরা ভয় পেয়ে চলে যাবার সময়ে বলে গেল,
-      নগেন দাদু র কাছে যাও।

যে ভাবে পালাল হীরা লালির হাসি পেয়ে গেল। যদিও লালির সন্দেহ ঠিক হলে, এই সব নাটকের জন্যেই ওর নাম নটবর। কিন্তু মন থেকে বোঝা টা নেমে গেল লালির। হীরা কে তেমন ভাবেই পেল এই ক্ষেত্রে যেমন ভাবে ও চায় হীরা কে ওর জীবনে। হীরা দৌড়ে চলে গেল। লালির মনে পড়ল আর সময় নেই, নগেন দাদুর ব্যাপার টা পরিষ্কার করতেই হবে। বা নগেন দাদুর সাথে থাকতে হবে। ও পুকুরের ধার ধরে চলে এল নগেনের বাড়ি।

মনে শতেক দোলাচল নিয়ে নগেনের বাড়ি এল লালি। স্বপ্ন হোক বা যাই হোক, লালি বুঝে গেছে হীরার সাথে কথোপকথন থেকে যে নগেন দাদুদের বাড়িতেই আছে অলায়ুধের বংশধর। হীরা যেমন ভাবে বলল, তেমন ভাবে যদি টাইম লকার কে একটা ভুল্ভুলাইয়া তে ফেলে দিতে পারে কেউ তবে নগেন দাদু লকারের চাবি দিলেও, আসল লকার এ ঢুকতে অনেক সময় ব্যতীত হবে। বা কোন দিন ও কেউ ওই লকারে পৌঁছতে পারবে না। মনের মধ্যে হাজার হাজার প্রশ্ন ভিড় করে এল। অশ্বথামা কে না হয় আটকানো গেল মণি নেওয়ার থেকে। কিন্তু অশ্বথামা ও তো বিশাল বীর। ওর সামর্থ্য কে, কে চ্যালেঞ্জ জানাবে? একলা বাঘমুড়োর সাথেই তিন জনে মিলে লড়াই করে উঠতে পারা যাচ্ছে না। তারপরে অশ্বথামা যোগ দিলে কি হবে? পুলিশ প্রশাসন? না না অনেক লোকের মৃত্যু ঘটবে এতে। লালি এই বিশাল বিপদে আর কোন নিরীহ প্রাণ কে বলি দিতে পারবে না। এদের কে শেষ করার উপায় বের করতেই হবে। কি উপায়? আচ্ছা নগেন দাদু রা তো অলায়ুধের বংশধর।কোন ক্ষমতা নেই কি ওদের? নাহ দাদুর সাথে কথা বলতেই হবে এখন। সময় কমে আসছে অতি দ্রুত।

ধীর পায়ে নগেনের বাড়িতে ঢুকতেই, গন্ধ টা টের পেল লালি। না বিশ্রী দুর্গন্ধ নয়। পূর্নাংগ বাঘের গন্ধ। ম ম করছে বাড়িময়। কি ব্যাপার? লালি খুব ধীর পায়ে এগিয়ে গেল কলপার হয়ে নগেন দের বারান্দার দিকে। ডান পাশে রাধামাধবের মন্দির টা রেখে বারান্দার কোনে পা রাখল লালি। ঠিক উল্টোদিকের কোনে দেখল বাঘমুড়ো কে। উবু হয়ে বসে আছে। আর তার সামনে কেউ শুয়ে আছে। ভাল করে খেয়াল করল লালি, ওটা নগেন দাদু। নগেন দাদুর চেক লুঙ্গি টা চিনতে পারল লালি। বাঘমুড়ো হয়ত নগেন কে মাটিতে ফেলে গলায় কামড় দিয়ে মাথা টা ছিঁড়ে নেবার উপক্রম করছে। নগেন দাদু কে বাঁচতেই হবে যে। লালির মন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল নগেন কে বাঁচাতেই হবে। আর সাথে সাথে লালির মাথাও সায় দিল। আর তার থেকেও কম সময়ে লালির ভিতরের পশু টা না চাইতেই জেগে উঠলো। সময় নেই আর একদম। ভয়ানক গর্জন করে যে লাফ টা দিল বাঘমুড়ো কে লক্ষ্য করে তাতেই বাঘমুড়ো তাকালো পিছন ফিরে। লালি বুঝতে পারল সেকেন্ডের ও কম সময়ে ওর পোশাক ছিঁড়ে কুচি কুচি হয়ে গেল। সুতির পোশাক, বিশাল কুকুরের শরীর কে নিতে পারল না। মাথার ঘন চুল যেন বদলে গিয়ে সাদা হয়ে গেল। হাত বদলে শক্তিশালী দুটো পা বেড়িয়ে এলো হাওয়া তেই। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেল। নাকের মধ্যে বাঘের গন্ধ টা ঢুকে একেবারে হৃদয় অব্দি পৌঁছে গেল। চারদিকের আওয়াজ মারাত্মক ভাবে কানে প্রবেশ করতে লাগল লালির। বাঘমুড়োর হৃদপিন্ডের আওয়াজ ও শুনতে পাচ্ছে এখন লালি। শুনতে পাচ্ছে বাঘমুড়োর কয়েক লহমার আতঙ্কের শ্বাসের শব্দ। বাঘমুড়োর ঘুরে তাকানোর খুব অল্প পরিমাণ শব্দ ও লালি শুনতে পাচ্ছে এখন। এতে লালির সুবিধা হয় আক্রমনের। লালি দেখল বাঘমুড়ো বসে আছে এমন ভাবে যেন সমতা নেই অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। একটা চকিত অসামঞ্জস্য। মুহুর্তের অবাক হয়ে যাওয়া অসতর্ক বাঘমুড়োর গলা এখন লক্ষ্য লালির।  

ততক্ষণে বাঘমুড়ো দেখে নিয়েছে বিশাল সাদা কুকুর টা কে। আর শুধু সেটাই দেখে নি। লালি র বদলে যাওয়া টা ও দেখল হাওয়াতেই। আর সেটা দেখেই হয়ত বাঘমুড়ো একটু বিহবল হয়ে গেছিল। চকিতের ইম-ব্যালেন্স। চকিতের অসতর্কতা। ব্যস ওই টুকু সময়েই লালি এসে পড়ল বাঘমুড়োর ঘাড়ে। কিন্তু সে তো শুধু বাঘমুড়ো নয়। সে শিশুপাল। মুহুর্তেই নগেন কে ছেড়ে দুটো হাত দিয়েই আটকাতে গেল লালি কে। আটকেও দিল। লালির বাঘমুড়োর গলার নলী টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও, আক্রমণ একেবারে বিফলে গেল না। লালির বিশাল শরীরের ধাক্কায় আর সাথে বাঘমুড়ো ছিটকে গেল সেখান থেকে বারান্দার পশ্চিম দিকে। রাখা ছিল একটা ছোট তক্তপোষ। অনেক গুলো বড় বড় কাঁসার ঘড়া, বাসন পত্র। বাঘমুড়োর শরীরের ভারে তক্তপোষ টা কাঠির মতন মড়মড় করে ভেঙ্গে গেল। কাঁসার বাসন পত্র ঝন ঝন করে সান বাঁধানো মেঝেতে পড়ল। মনে হলো ভুমিকম্প হলো বাঘমুড়ো ছিটকে পরার সাথে সাথেই।

বাসনপত্রের ঝনঝনানি থামার সাথে সাথেই কিছুক্ষণের নীরবতা। মনে হলো কিছুক্ষণ আগে এই সব কিচ্ছু হয় নি, এমন ই স্তব্ধতা বিরাজ করছিল তখন। অনেক কষ্টে নগেন দাঁড়াল। বিহবল হয়ে গেছিল নগেন একটু আগে। মনে হচ্ছিল মৃত্যুই সত্য। কিন্তু ঘোর কেটে গেছে নগেনের। দেখল বিশাল কুকুর টা নগেন কে আড়াল করে দাঁড়াল বাঘমুড়োর থেকে। বাঘমুড়ো মনে হয় ঘাবড়ে গেছিল। কিন্তু সহসা উঠে দাঁড়িয়ে পরেই যে হুংকার দিল মনে হলো বারান্দায় ঝোলানো সব ছবি গুলো এবারে খসে পরে যাবে। সেই হুংকারে চারিদিক একেবারে আতঙ্কে পরিপূর্ণ হয়ে গেল। মনে হলো ঝড় উঠেছে বাইরে। ক্রোধে বারান্দার দেওয়ালে লাথি মারতেই নগেনের বারান্দাটা উঠোনের দিকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ল। গ্রিল ছিল লোহার, সেটা প্রায় উড়ে গিয়ে কলপারে , টিউবওয়েলের ধাক্কা খেয়ে খিড়কী দরজা টা কে আটকে দিল। একটা ছোট্ট লাফ মেরে বাইরে বেড়িয়ে উঠোনে এলো বাঘমুড়ো। বস্তুত আহ্বান করল লালি কে যুদ্ধে। নগেনের মনে হলো লালি যুদ্ধে যাবে না। কিন্তু ভাবনা টা শেষ ও হলো না, আবার একটা মারাত্মক আতঙ্কিত হুহুঙ্কারে ভরে গেল চারিদিক। নগেন কান চাপা দিল সেই বিশাল আর্ত রব সহ্য করতে না পেরে। দেখল কি মারাত্মক ক্রোধ নিয়ে গলা উঁচিয়ে লালি বারংবার হুঙ্কার দিতে থাকল। - আআআআউউউউ।

 লাফ দিলো কুকুর টা বাইরের দিকে। তোয়াক্কা করল না কিছুর। সেই লাফে এদিকের বারান্দা টাও ভেঙ্গে গেল। লালি বাইরে এসে দাঁড়াল দু ফালি চকচকে দাঁত বের করে। মুহুর্মুহু গর্জনে ভরে উঠলো নগেনের বাড়ি। নগেন দেখল কেউ বেড়িয়ে আসে নি ঘর থেকে। তবে কি কেউ বুঝতে পারছে না এই লড়াই এই শব্দ? কেউ আসছে না কেন? ততক্ষণে নগেন বারান্দা দিয়ে ভয়ে ভয়ে বাইরে তাকাল। দেখল কোথা থেকে কালবৈশাখী এসে হাজির হয়েছে, মহামেঘ দের শাগরেদ করে। সাদা কুকুর টার লম্বা সাদা লোম উড়ছে হাওয়ায়। আর বাঘমুড়োর ক্রোধিত, নৃশংস চাউনি নগেন সহ্য করতে পারল না। একে অপর কে গোল করে উঠোনে ঘুরতে লাগল দুজনে। সুযোগ খুঁজছে একে অপর কে শেষ করে দেবার। নগেন সেদিনে দেখেছে বাঘমুড়ো কে জলার মাঠে লড়তে তিনজনের সাথে। আজকে তো একলা লালি। উফ না এ লড়াই হতে দেওয়া যাবে না কোন ভাবেই। কিন্তু কি ভাবে আটকাবে দুজন কে? ততক্ষণে উঠোনের মাঝে ধুন্ধুমার বেঁধে গেছে। নগেন একবার বাইরে বের হবার চেষ্টা করল। কিন্তু বিশাল লোহার গ্রিল টা, বাঘমুড়ো জোরে লাথি মেরেছিল যে ছিটকে এসে একেবারে দেওয়া ঠেসে গেছে। কোন ভাবেই নড়াতে পারল না নগেন।

চিৎকার করে উঠলো নগেন, যখন বাঘমুড়ো লালির আক্রমণে নিজেকে সামলাতে না পেরে ছিটকে এসে পড়ল কলপারে ঠিক নগেনের পায়ের কাছে। কিন্তু সামনে নগেন থাকা স্বত্বেও বাঘমুড়ো নগেন কে দেখলই না। উঠে দ্বিগুন সামর্থ্যে প্রায় ছুটে গেল লালি কে আঘাত করতে। নগেন তাকিয়ে দেখল বাঘমুড়ো মারাত্মক ক্রোধে বিশাল কুকুর টা কে দুই হাতে তুলে আছাড় মারল উঠোনেই। নগেন কেপে উঠল সেটা দেখে। কিন্তু না আছাড় খেয়েও কোন পরিবর্তন নেই কুকুর টার। আছাড় মারার পরে শরীরের যে তূল্যতা খোয়া গেছিল বাঘমুড়োর, সেইটা কে কাজে লাগিয়েই কুকুর টা চকিতে উঠে বিশাল শরীর নিয়ে বাঘমুড়োর গায়ে ঝাঁপ দিল। বাঘমুড়ো টাল সামলাতে পারল না। পড়ে গেল মাটিতে। আর কুকুর টা ওই অবস্থাতেই বাঘমুড়ো কে নিয়ে গড়াতে গড়াতে রাধামাধবের মন্দিরের কোনায় ধাক্কা খেল। ভেঙ্গে গেলো মন্দিরের সান বাঁধানো কোনা টা। কুকুর টা বাঘমুড়োর গলার নলী টা কামড়ে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগল। ততক্ষণে ঢের বেশী শক্তিশালী বাঘমুড়ো নিজেকে সামলে নিয়েছে। ওই অবস্থা তেই কুকুর টা গলা নিজের দিকে টেনে নিয়ে বজ্রসম শক্তিতে গলায় প্যাঁচ দিলো একটা।   

নগেন দেখল, কুকুর টা সেই প্যাঁচ ছাড়িয়ে নিতে কি মারাত্মক ছটফটানি শুরু করল। বাঘমুড়ো কে তুলে ফেলল একবার। ঝেড়ে ফেলে দিতে চেষ্টা করল বাঘমুড়ো কে। কিন্তু বাঘমুড়ো কুকুর টার পিছন থেকে সেই যে মরণ প্যাঁচ দিয়েছে, কুকুর টা আর ছাড়াতে পারল না। নগেন দেখছে ধীরে ধীরে লালির ক্ষমতা কমে আসছে। ছটফটানি কমে যাচ্ছে। উফ কি হবে এবারে। বাঘমুড়ো মাটিতে শুয়ে পরেছে কিন্তু নিজের বুকের উপরে বিশাল কুকুর টা কে নিয়ে গলার মরন প্যাঁচ দিয়ে রেখে দিয়েছে। হে মধুসুদন রক্ষা কর মেয়ে টা কে। কি হবে এবারে? মেয়েটা এই ভাবে মারা পরবে? নগেন হাতের সামনে যা ছিল তাই দিয়ে বাঘমুড়ো কে আঘাত শুরু করল। কিন্তু তাতে বাঘমুড়োর কিচ্ছু এলো গেল না। নগেন প্রায় কেঁদে ফেলল। নাতনী সম কাউকে এই ভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখলে কার ই বা মাথার ঠিক থাকে। নগেন আর পারল না নিজেকে সামলাতে। ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠলো সেখানেই।

-      যে ভগবান, হে হৃষিকেশ , হে প্রভু আমার সর্বস্ব দিয়ে তুমি মেয়ে টা কে বাঁচাও ঠাকুর। হে প্রভু, হে মধুসূদন।

আর সময় নেই, ধীরে ধীরে কুকুর টার চার পা শিথিল হয়ে আসছে। আগের সেই ছটফটানি আর দেখা যাচ্ছে না। মল্লযুদ্ধে পারদর্শী শিশুপাল নিজের থেকে দ্বিগুন শক্তিধর যোদ্ধাকে পরাজিত করার জ্ঞান আর সামর্থ্য রাখত, সেটা আজকে যুদ্ধে পরিষ্কার। কুকুর টার ক্রোধিত চোখ দুটো মায়া ময় হয়ে উঠলো। ধীরে ধীরে শ্বাস না পেয়ে চোখ বুজে আসছে কুকুর টার। গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে নাক দিয়ে কুকুর টার। সাদা রেশমের মতন লোক একেবারে রক্তে লাল হয়ে গেছে। অসহায় ভাবে চেয়ে রইল নগেনের দিকে।
ঠিক সেই সময়ে ঝড় উঠল। ঢং ঢং করে বেজে উঠলো রাধামাধবের মন্দিরের ঘন্টা। ঠিক তখন ই নগেনে মনে পরে গেল একটা কথা। সামনে রাধামধব কে প্রণাম করে দৌড়ে নিজের ঘরে চলে গেল নগেন। খাটের তলায় একটা বেশ পুরোন, কাঠ আর ধাতুর দিয়ে বানানো একটা বাক্স ছিল। বের করে আনল সেই বাক্স টা নগেন। খুলেই একটা ভেল্ভেটের ছোট্ট বাক্স বের করল নগেন। ভিতরে দেখল আছে জিনিস টা। দুটো ছোট্ট খাপে দুটো ছোট্ট হলুদ রঙের বোতাম। সময় নষ্ট করল না নগেন। একটা বোতাম হাতে নিয়ে প্রণাম করে বেড়িয়ে এলো নগেন বাইরে। দৌড়ে গেলো যুযুধান দুই বিশাল কায়ার দিকে।

ততক্ষণে লালির শেষ অবস্থা। চকচকে দাঁতের মাঝ দিয়ে জিভ টা বের হয়ে এসেছে কুকুর টার। লালা বের হচ্ছে মুখ দিয়ে। বাঘমুড়ো নিশ্চিত হতে পারছে না তাই এখনো ছেড়ে দেয় নি। নগেন আর দেরী করল না। ছুটে গেল বাঘমুড়োর কাছে। রাধামাধব কে প্রণাম করে,  বোতাম টা বাঘমুড়োর কপালে ঠেকিয়ে চেপে ধরল নগেন আর বলে উঠল,

-      হে প্রভু যদি তুমি সত্যি এসেছিলে সেদিনে , দেখা দিয়েছিলে, তখন রক্ষা করেছিলে আমার পরিবার কে তবে তুমি আজকে এখানে প্রকট হও। বিশ্বাসের মর্যাদা দাও আমার। রক্ষা কর মেয়ে টা কে। হে প্রভু দয়া কর। হে প্রভু দয়া কর।

অবাক করে দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যের মরন আর্তনাদ শুরু করল বাঘমুড়ো। যেখানে বোতাম টা ঠেকিয়েছিল নগেন সেখান টা উত্তপ্ত হতে শুরু করল। নগেনের আঙ্গুল মনে হচ্ছে জ্বলে পুড়ে যাবে যাবে এবারে। কিন্তু নগেন ছাড়ল না আঙ্গুল টা। আঙ্গুল যাক। মেয়েটা বাঁচুক। ছটফট করতে শুরু করল বাঘমুড়ো। মরন প্যাঁচ শিথিল হয়ে গেল ধীরে ধীরে। নগেন বুঝল সেটা যখন কুকুর টা খুব হালকা আওয়াজে গরররররররররর করে উঠল আর মনে হলো কেশে উঠলো। আর কাশীর সাথে এক দলা রক্ত উঠোনে পরল। বাঘমুড়ো যেন আর নিতে পারছিল না সেই উত্তাপ। ছটফট করতে করতে হাত পা ছুঁড়তে শুরু করতেই সেই ধাক্কায় কুকুর টা শূন্যে ছিটকে গিয়ে নগেনের দোতলা বাড়ির উপরের ঘরের দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে উঠোনে আবার আছাড় খেলো ভুতল কাঁপিয়ে।

আর বাঘমুড়ো কোনরকমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে উর্ধশ্বাসে পালাল নগেনের বাড়ির দেওয়াল টা কে একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে। মন্দিরের কোনায় পরে রইল গলিত বোতাম টা কালো হয়ে। নগেনের হাত জ্বালা করছে মারাত্মক। কুকুর টার দিকে তাকিয়ে দেখল, সেটা ধীরে ধীরে লালির রূপ ধারণ করছে। ক্ষমতাধারী বাঘমুড়োর সাথে লড়তে গিয়ে প্রাণ টাই যেতে বসে ছিল মেয়েটার। দেরী করল না নগেন। বারান্দার এক কোনে একটা বিছানার চাদর ছিল। সেটা নিয়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি উলঙ্গ লালির গায়ে চাপিয়ে দিল। কেঁদে উঠল নগেন হাউ হাউ করে চাদর সমেত লালি কে বুকে করে আঁকড়ে ধরে।
Like Reply
(24-07-2022, 01:52 PM)sudipto-ray Wrote: দিদি তুমি পারোও বটে, সময়বিজ্ঞান নিয়ে অনেকটা পড়েছ, এতে কোন সন্দেহ নেই। আসলে সময় তো বিজ্ঞানকেউ হার মানায়। তোমার এই পর্বটার তথ্যগুলো অনেকটা " Doctor Strange in the Multiverse of Madness "  এবং  " Spider-Man: No Way Home " মুভির সাথে মিলে যায়। সেখানেও সময়কে বিভিন্ন ডাইমেনশনে দেখানো হয়েছে। তবে এই পর্বটা অনেকেরই মাথার উপর দিয়ে যাবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আবার অনেকেরই সময়কে আরও কাছ থেকে জানার ইচ্ছা জাগবে। সৃষ্টিকর্তা সবকিছুকে কি সুন্দরভাবেই না নিয়ন্ত্রণ করছেন।

হ্যাঁ আমার মেয়ে বলেছে সিনেমা টা দেখবে। আমিও দেখব। স্পাইডারম্যান সিনেমা টা।
Like Reply
সাদা কুকুররূপী লালি আর বাঘমুড়োরূপী শিশুপালের যুদ্ধের বর্ণনা পড়তে পড়তে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছিল। সেই সঙ্গে চারপাশে দারুন একটা অ্যাম্বিয়েন্স তৈরী করা হয়েছিল। নগেন দাদু এবং লালি পরস্পরের প্রাণ বাঁচিয়ে যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠলো। সবশেষে নাতনী সম লালিকে বাঁচানোর পর তার শরীরে বিছানার চাদর জড়িয়ে দিয়ে হাউ হাউ করে কাঁদার দৃশ্যটা জাস্ট অসাধারণ।  clps
[+] 2 users Like Bumba_1's post
Like Reply
প্রথম দিকে সম্ভবতা যাচাইয়ের অঙ্কে মাথাটা একদম গুবলেট করে দিলে। এই অংশ গুলো তোমার এই গল্পের প্রাণ কিন্তু সিংহভাগ পাঠকের মাথার উপর দিয়ে যায় বিষয় গুলো।

সাদা কুকুর রুপী লালি আর বাঘমুড়োর লড়াইটা গা শিউরে দেবার মত। কি ভয়ানক দৃশ্যে প্রাণপণ যুদ্ধ। বাঘমুড়ো দিনের বেলায় বের হদে শুরু করেছে এখন। হীরা সবটা জেনেই লালি কে পাঠিয়েছে হয়তো নগেন জ্যাঠার মুখ খোলার জন্যই। ঐ বক্স টা কোথা থেকে এলো আর কবেই বা নারায়ন দেখা দিলেন তাকে।
Shy হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই।
 দুইকে আমি এক করি না, এক কে করি দুই।। Shy
[+] 1 user Likes nextpage's post
Like Reply
Nandu di sorry for not communicating with u......ebar free hoie apnar lekha porbo....kato wait kore chilam lekha porar jonyo.....but kaj e fese achi...... thanks
[+] 1 user Likes raja05's post
Like Reply
কি দিচ্ছেন দিদি একের পরে এক। সত্যি বলছি এ গল্প এক অসাধারণ গল্প। যেমন কন্সেপ্ট তেমন বাঁধুনি আর তেমন গতি। সত্যি এমন সব দিক মিলমিশ করে অদ্ভুত বাঁধুনি আমি খুব কম গল্পে পেয়েছি। এ এক অসাধারণ গল্প। অনন্য। 

যে প্রোবাবিলিটি আপনি আঁকলেন সত্যি সেটা বুঝতে দম শেষ হয়ে যাবে অধিকাংশ পাঠকের। খুব ভাল ছাত্র বা ছাত্রী না হলে এই গল্প পড়ে মজা পাওয়া যাবে না। এটা বুঝতেই সব শেষ হয়ে যাবে। এই ফোরামে এই গল্প ভাবা যায় না। আর এমন না যে যেন তেন প্রকারেণ গল্প। দুর্দান্ত। ভারী ভারী লেখক দের গল্প কে ও আপনি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন অনায়াসে। 

শেষের যুদ্ধ টা এক কথায় অনবদ্য। মনে হচ্ছিল সিনেমা দেখছি। এতো ডিটেইলিং? সব থেকে বড় কথা কি জানেন দিদি, আপনি ডিটেইলিং আর গল্পের ফ্লো এর মাঝের দাঁড়ি টা এতো সুন্দর মেইন্টেইন করেন যে গল্পের মাধুর্য্য টা এক মুহুর্তের জন্যেও হারিয়ে যায় না। লালির ঘুমিয়ে যাওয়ার জায়গায় কি সুন্দর করে হীরা আর কানুর গোলমাল পাকিয়ে দিলেন। আমি তো ভাবছিলাম দিদি কি চেক করেন নি এখানে পোষ্ট করার আগে? পরে দেখলাম না আমাদের না গন্ডোগোল টা লালির ই হয়েছে। হীরা কে নিয়ে সংসার পাতার দৃশ্য মেয়েটা ভাবল আর পরের দৃশ্যেই তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেকে দিলেন আপনি। এমনি এমনি এই ফোরাম আপনাকে মোচড় ক্যুইন ডাকে না! 

হ্যারি পটার সিরিজ বিখ্যাত সিরিজ। কিন্তু পড়তে পড়তে ডিটেইলিং ফাঁদে গল্পের ফ্লো বহু জায়গায় বিঘ্নিত হয়েছে। কিন্তু এই গল্প টা সব দিক থেকে সুষম। যখন যেখানে ডিটেইলিং দেবার দরকার, যতটুকু দরকার ঠিক ততটাই আছে।

অনাবশ্যক কোন বর্ণনা নেই। যেখানে যেখানে বর্ণনা না দিলে পাঠক বুঝে উঠতে পারবে না, সেই খানে বর্ণনা দেওয়া। এক কথায় অসাধারণ। অসাধারণ। আপনি থাকুন অনেক দিন বেঁচে। এমন সুন্দর গল্প লিখে মাতোয়ারা করে রাখুন সবাই কে। অনেক অনেক প্রণাম।
[+] 2 users Like boro bara's post
Like Reply
abar mathar upor diye beriye gelo amar. kintu eta bujhte parlam je hira je bhabe plan koreche sei bhabe khujte gele ashwathamar za somoy lagbe tate ei prithibi dhongsho hoye abar notun universe toiri hoye jabe. plan darun. jeheti onker baje student bhitor ta bujhte parchi na. amar durbhagyo. kintu lorai ta darun enjoy korlam. ki durdanto bornona. didi apanar lekha porte darun lage.
[+] 1 user Likes nandini20002022's post
Like Reply
সকল রূপ সম্ভাবনা, বৈজ্ঞানিক দিক থেকে সকল প্রকার দৃষ্টিভঙ্গি ও কল্পনা যা বাস্তবের সাথে হয়তো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত কিংবা হয়তো নয় তা সব মিলিয়েই বলছি - এমন গল্প তোমার পক্ষেই লেখা সম্ভব। সব দিকে যার এতো নজর বা বলা উচিত জানার ইচ্ছে ও ক্ষিদে তার হাত থেকে এমন জাদু বেরোবে না তো কার হাত থেকে বেরোবে? আমার করা প্রশ্ন গুলোর সম্পর্কে তোমার নিজের বক্তব্য ও ধারণা সম্পর্কে লিখিত লাইন গুলো পড়েও নিজের জ্ঞান একটু হলেও বাড়ে।

হীরার লীলা সেই জানে। সব বলেও কেমন মিথ্যে করে দিলো সে। কিন্তু যা বলার তা ঠিক বলেও দিলো। আবার ওদিকে নগেনকে বিপদে দেখে লালির আক্রমণ। নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করেই মানুষটাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়া, তারপরে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ উফফফ কি দুর্ধর্ষ! তবে শেষের কয়েকটা লাইন পড়ে যে কারো বুক কেঁপে উঠবে। ভয় নয়, ভালোবাসার শক্তি কতটা হতে পারে তা জেনে। মৃত্যু ভয়ও কিছু নয় নিজের কাউকে রক্ষা করার পথে। আর শেষের চাদরে জড়ানো মেয়েটাকে জড়িয়ে মানুষটার কান্না..... দৃশ্যটা কল্পনা করলে কেমন যেন লাগে। উফফফ
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
(24-07-2022, 04:04 PM)Bumba_1 Wrote: সাদা কুকুররূপী লালি আর বাঘমুড়োরূপী শিশুপালের যুদ্ধের বর্ণনা পড়তে পড়তে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছিল। সেই সঙ্গে চারপাশে দারুন একটা অ্যাম্বিয়েন্স তৈরী করা হয়েছিল। নগেন দাদু এবং লালি পরস্পরের প্রাণ বাঁচিয়ে যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠলো। সবশেষে নাতনী সম লালিকে বাঁচানোর পর তার শরীরে বিছানার চাদর জড়িয়ে দিয়ে হাউ হাউ করে কাঁদার দৃশ্যটা জাস্ট অসাধারণ।  clps

অনেক অনেক ধন্যবাদ বুম্বা।  Heart
Like Reply
(24-07-2022, 11:07 PM)nextpage Wrote: প্রথম দিকে সম্ভবতা যাচাইয়ের অঙ্কে মাথাটা একদম গুবলেট করে দিলে। এই অংশ গুলো তোমার এই গল্পের প্রাণ কিন্তু সিংহভাগ পাঠকের মাথার উপর দিয়ে যায় বিষয় গুলো।

সাদা কুকুর রুপী লালি আর বাঘমুড়োর লড়াইটা গা শিউরে দেবার মত। কি ভয়ানক দৃশ্যে প্রাণপণ যুদ্ধ। বাঘমুড়ো দিনের বেলায় বের হদে শুরু করেছে এখন। হীরা সবটা জেনেই লালি কে পাঠিয়েছে হয়তো নগেন জ্যাঠার মুখ খোলার জন্যই। ঐ বক্স টা কোথা থেকে এলো আর কবেই বা নারায়ন দেখা দিলেন তাকে।

হ্যাঁ সেটাও ঠিক বলেছ। 

তোমার পরের প্রশ্নের উত্তর এর পরের পর্বেই আছে। এই খান টা তুমি ছাড়া কেউ খেয়াল ই করে নি। বা অনেকেই হয়ত ভেবে নিয়েছে পরের পর্বেই উত্তর পাওয়া যাবে।
Like Reply
(24-07-2022, 11:13 PM)raja05 Wrote: Nandu di sorry for not communicating with u......ebar free hoie apnar lekha porbo....kato wait kore chilam lekha porar jonyo.....but kaj e fese achi...... thanks

হ্যাঁ তুমি বহুকাল আস নি ভাই। এসো মাঝে মাঝে।
Like Reply
(24-07-2022, 11:37 PM)boro bara Wrote: কি দিচ্ছেন দিদি একের পরে এক। সত্যি বলছি এ গল্প এক অসাধারণ গল্প। যেমন কন্সেপ্ট তেমন বাঁধুনি আর তেমন গতি। সত্যি এমন সব দিক মিলমিশ করে অদ্ভুত বাঁধুনি আমি খুব কম গল্পে পেয়েছি। এ এক অসাধারণ গল্প। অনন্য। 

যে প্রোবাবিলিটি আপনি আঁকলেন সত্যি সেটা বুঝতে দম শেষ হয়ে যাবে অধিকাংশ পাঠকের। খুব ভাল ছাত্র বা ছাত্রী না হলে এই গল্প পড়ে মজা পাওয়া যাবে না। এটা বুঝতেই সব শেষ হয়ে যাবে। এই ফোরামে এই গল্প ভাবা যায় না। আর এমন না যে যেন তেন প্রকারেণ গল্প। দুর্দান্ত। ভারী ভারী লেখক দের গল্প কে ও আপনি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন অনায়াসে। 

শেষের যুদ্ধ টা এক কথায় অনবদ্য। মনে হচ্ছিল সিনেমা দেখছি। এতো ডিটেইলিং? সব থেকে বড় কথা কি জানেন দিদি, আপনি ডিটেইলিং আর গল্পের ফ্লো এর মাঝের দাঁড়ি টা এতো সুন্দর মেইন্টেইন করেন যে গল্পের মাধুর্য্য টা এক মুহুর্তের জন্যেও হারিয়ে যায় না। লালির ঘুমিয়ে যাওয়ার জায়গায় কি সুন্দর করে হীরা আর কানুর গোলমাল পাকিয়ে দিলেন। আমি তো ভাবছিলাম দিদি কি চেক করেন নি এখানে পোষ্ট করার আগে? পরে দেখলাম না আমাদের না গন্ডোগোল টা লালির ই হয়েছে। হীরা কে নিয়ে সংসার পাতার দৃশ্য মেয়েটা ভাবল আর পরের দৃশ্যেই তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেকে দিলেন আপনি। এমনি এমনি এই ফোরাম আপনাকে মোচড় ক্যুইন ডাকে না! 

হ্যারি পটার সিরিজ বিখ্যাত সিরিজ। কিন্তু পড়তে পড়তে ডিটেইলিং ফাঁদে গল্পের ফ্লো বহু জায়গায় বিঘ্নিত হয়েছে। কিন্তু এই গল্প টা সব দিক থেকে সুষম। যখন যেখানে ডিটেইলিং দেবার দরকার, যতটুকু দরকার ঠিক ততটাই আছে।

অনাবশ্যক কোন বর্ণনা নেই। যেখানে যেখানে বর্ণনা না দিলে পাঠক বুঝে উঠতে পারবে না, সেই খানে বর্ণনা দেওয়া। এক কথায় অসাধারণ। অসাধারণ। আপনি থাকুন অনেক দিন বেঁচে। এমন সুন্দর গল্প লিখে মাতোয়ারা করে রাখুন সবাই কে। অনেক অনেক প্রণাম।

বাহ খুব ভাল লাগল তোমার লেখা। ধ্যাত প্রণাম কেন? দিদি কে মনে রেখ, ভালবেস তাহলেই হবে। আর একদম ই লালি কে মরণের মুখে ঠেলে দিই নি। আহত হয়েছে লালির। কিন্তু ওদের তো সেলফ হিলিং আছে। ওদের আন্যাটমি কি আমাদের মতন নাকি? ঠিক যেন ম্যাজিক।
[+] 1 user Likes nandanadasnandana's post
Like Reply
(25-07-2022, 01:06 PM)nandini20002022 Wrote: abar mathar upor diye beriye gelo amar. kintu eta bujhte parlam je hira je bhabe plan koreche sei bhabe khujte gele ashwathamar za somoy lagbe tate ei prithibi dhongsho hoye abar notun universe toiri hoye jabe. plan darun. jeheti onker baje student bhitor ta bujhte parchi na. amar durbhagyo. kintu lorai ta darun enjoy korlam. ki durdanto bornona. didi apanar lekha porte darun lage.

বোঝ!! একটু পড়লেই বোঝা যাবে। যেমন ধর, তোমার কাছে চারটে ডাইস আছে। মানে লুডো খেলার ছক্কার মতন। বলা হলো ওই চারটে ছক্কাকে আকাশে ছুঁড়ে আবার নীচে পরতে দিলে, ওদের মধ্যে দুই পরার ন্যুনতম সম্ভাবনা কত? মানে হলো সব থেকে খারাপ পরস্থিতি তে ওই চারটে ছক্কার মধ্যে দুই পরার সম্ভাবনা কত। এখন সব থেকে খারাপ হলো কোনটাতেই দুই পড়ল না। কিন্তু বলেছে, ন্যূনতম সম্ভাবনা। তার মানে হলো চারটে ডাইসের একটা তে পড়লে সেটা সব থেকে কম। তার মানে সম্ভাবনা প্রথমেই ১/৪ হয়ে গেল। এখন একটা ডাইসে ছটা সংখ্যা থাকে। সেখানে দুই পরার সম্ভাবনা ছটায় একটা, মানে ১/৬। দুটো কে গুন করে দাও, হবে ১/২৪। মানে প্রতি চব্বিশ বার উপরে ছুঁড়লে, একবার সব মিলিয়ে ন্যূনতম দুই পরতে পারে। তেমন দশ টা ইউনিভার্স। সেখানে ফ্যাক্টোরিয়াল ১০ মানে ১০ * ৯*৮*৭*৬*৫*৪*৩*২*১ = যা হয় এতো ভাবে ওই ইউনিভার্স গুলো নিজেদের মধ্যে পারমুটেশন এ থাকবে। সেই সঙ্খ্যা টা বিশাল। কাজেই ওই বাক্স পাবার সম্ভাবনা ১/ ফ্যাক্টোরিয়াল ১০ হয়ে গেল। সেটা খুব কম। প্রায় শূন্য। আর অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। ভালো থেক। কাছাকাছি বাড়ি হলে না হয় শিখিয়ে দিতাম অঙ্ক টা। আমার প্রিয় তো নয়, কিন্তু ভালো লাগে এখনো।
Like Reply
(25-07-2022, 03:26 PM)Baban Wrote: সকল রূপ সম্ভাবনা, বৈজ্ঞানিক দিক থেকে সকল প্রকার দৃষ্টিভঙ্গি ও কল্পনা যা বাস্তবের সাথে হয়তো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত কিংবা হয়তো নয় তা সব মিলিয়েই বলছি - এমন গল্প তোমার পক্ষেই লেখা সম্ভব। সব দিকে যার এতো নজর বা বলা উচিত জানার ইচ্ছে ও ক্ষিদে তার হাত থেকে এমন জাদু বেরোবে না তো কার হাত থেকে বেরোবে? আমার করা প্রশ্ন গুলোর সম্পর্কে তোমার নিজের বক্তব্য ও ধারণা সম্পর্কে লিখিত লাইন গুলো পড়েও নিজের জ্ঞান একটু হলেও বাড়ে।

হীরার লীলা সেই জানে। সব বলেও কেমন মিথ্যে করে দিলো সে। কিন্তু যা বলার তা ঠিক বলেও দিলো। আবার ওদিকে নগেনকে বিপদে দেখে লালির আক্রমণ। নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করেই মানুষটাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়া, তারপরে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ উফফফ কি দুর্ধর্ষ! তবে শেষের কয়েকটা লাইন পড়ে যে কারো বুক কেঁপে উঠবে। ভয় নয়, ভালোবাসার শক্তি কতটা হতে পারে তা জেনে। মৃত্যু ভয়ও কিছু নয় নিজের কাউকে রক্ষা করার পথে। আর শেষের চাদরে জড়ানো মেয়েটাকে জড়িয়ে মানুষটার কান্না..... দৃশ্যটা কল্পনা করলে কেমন যেন লাগে। উফফফ

Namaskar Namaskar  । ব্যাস শেষের দোরগোড়ায় চলে এসেছি আমরা। দুটো পর্বে শেষ হয়ে যাবে।
[+] 1 user Likes nandanadasnandana's post
Like Reply
Sad 
Sad 
হায়রে লালি
[+] 1 user Likes LajukDudh's post
Like Reply
(26-07-2022, 12:52 AM)LajukDudh Wrote: Sad 
হায়রে লালি

না না লালির কিছু হবে না। লালির কিছু হলে এখানে যাও দু চার জন আমার লেখা পড়ে আর পড়বে না। হাহা, মজা করে বললাম।

না এই গল্প তেমন গল্প না।
Like Reply
এই গল্প এর পরে আসবে আপাদমস্তক রগরগে ইন্সেস্ট কাহিনী। হ্যাঁ গল্পের মোড়কে ঢাকা কাহিনীতে সেক্স এর সব উপাদান ই থাকবে। এই গল্প শেষ হতে আর দুটো পর্ব খুব বেশী হলে। শেষ পর্ব লেখা হয়ে গেছে। আশা করি গল্প টা আপনাদের ভালো লেগেছে। 

চেষ্টা করে দেখছিলাম, কত পারি এই রকম গল্প লিখতে। আপনাদের ভালবাসায় মনে হয়েছে, হয়ত বা পারব। আর একটু রিসার্চ ওয়ার্ক আর পড়াশোনা করেই লিখব এমন গল্প পরের দিকে। 

আমার সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। 
[+] 5 users Like nandanadasnandana's post
Like Reply




Users browsing this thread: 4 Guest(s)