Poll: এই গল্প টা আপনাদের ভালো লাগলে নীচের অপশন এ ক্লিক করে জানান কেন ভালো লাগছে
You do not have permission to vote in this poll.
গল্পের কাহিনী
10.00%
2 10.00%
গল্পের গতি
0%
0 0%
গল্পের গতি এবং কাহিনী
85.00%
17 85.00%
গল্প টি ভালো লাগছে না
5.00%
1 5.00%
Total 20 vote(s) 100%
* You voted for this item. [Show Results]

Thread Rating:
  • 96 Vote(s) - 3.46 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Fantasy বাঘমুড়োর আতঙ্ক - সমাপ্ত
#61
দিদি তোমার এই গল্প কি পুরোপুরি অলৌকিক বা ভৌতিক ?? আমার তো মনে হচ্ছে " অলৌকিক হলেও বাস্তব " এমন থিমের একটা গল্প পেতে যাচ্ছি। গল্পের শুরুটা চমৎকার হয়েছে। তুমি করেই বললাম, কিছু মনে করোনা দিদি।

আপডেটের জন্য লাইক ও রেপুটেশন দুটোই।
[+] 1 user Likes sudipto-ray's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#62
(08-06-2022, 06:19 PM)sudipto-ray Wrote: দিদি তোমার এই গল্প কি পুরোপুরি অলৌকিক বা ভৌতিক ?? আমার তো মনে হচ্ছে " অলৌকিক হলেও বাস্তব " এমন থিমের একটা গল্প পেতে যাচ্ছি। গল্পের শুরুটা চমৎকার হয়েছে। তুমি করেই বললাম, কিছু মনে করোনা দিদি।

আপডেটের জন্য লাইক ও রেপুটেশন দুটোই।

ওমা দিদি কে তুমি বলবে না তো কি বলবে? আলৌকিক তো বটেই। হ্যাঁ অনেকটাই তাই। কোন কাহিনী ই বাস্তব কে পেরিয়ে পালাতে পারে না। ধন্যবাদ তোমাকে অনেক ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ। লাইক আর রেপুটেশনের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
[+] 1 user Likes nandanadasnandana's post
Like Reply
#63
(08-06-2022, 03:24 PM)Bumba_1 Wrote:
অন্যায় কুরুক্ষেত্রে ঝরলো কৌরবদের রক্ত
অধর্মের জয়গান গেয়ে ঘুমায় কুরুক্ষেত্র
দ্রৌপদীর ইন্ধন জুড়ে চাতুরির জমা ক্লেদ
যুধিষ্ঠির ভীম অর্জুন নকুল সহদেব
জাতিস্মরের ইস্তেহারে এবার লজ্জা মোচন
এক মহাকাশ ঘৃণা বুকে নিয়ে .. ইতি দুর্যোধন

এই কথাগুলো শুনে আমাকে ভিলেন মনে হচ্ছে তো? একবার দুর্যোধনের point of view থেকে মহাভারতের সমস্ত ঘটনা দেখার চেষ্টা করো .. তাহলে হয়তো বুঝতে পারবে। 
প্রথম পর্বের জন্য এটাই‌ আজকের review আমার তরফ থেকে।

প্রতিটা বিষয়ের দুটি করে পয়েন্ট অব ভিউ থাকে।
বেশির ভাগ মানুষই একদিকে ঝুঁকে থাকে আর সেদিকটাই সত্যের, ধর্মের, ন্যায়ের দিক বলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মেনে নেয়া হয়৷ একদিক থেকে এতগুলো মানুষ ভুল হতে পারে না আবার দ্বিতীয় পয়েন্ট অব ভিউ টাও এড়িয়ে যাওয়া ঠিক না। দুটোকেই যাচাই করার দরকার হয় কিন্তু সাধারণ মানুষ সাধারণ থাকতে ভালবাসে তাই ঐদিকটা ঘাটতে যায় না।

কেবল আজ নতুন করে নয় সৃষ্টির আগে থেকেই দেবতা অসুর কনসেপ্ট এ কিন্তু বরাবরই দেবতাদের জয়গান করা হয়েছে আর অসুরদর মুন্ডুপাত তবে মাঝে মাঝে কিন্তু ঐ অসুরেরাও দেবতাদের চেয়ে ভাল কর্ম করতো কিন্তু ঐ আজন্মের পাপ অসুর তুমি সেখানেই কর্মফলের মারপ্যাঁচ এ নিষ্পেষিত হতে হয়েছে।
তুমি এখানে যেমন দুর্যোধন কে চয়েস করলে তেমন অনেকেই রাবন বা অন্যদের করে।
তবে বিষয় টা হলো মানুষকে গড়ে তুলতে এই গল্পগুলোর আর্বিভাব তাই সেটা থেকে আমরা বরাবরই সাধারণের সাথে মেশে এমন দিকটাই বেছে নিতে চায় আর সেটাই হয়ে আসছে আদি কাল থেকে।
Shy হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই।
 দুইকে আমি এক করি না, এক কে করি দুই।। Shy
[+] 6 users Like nextpage's post
Like Reply
#64
(08-06-2022, 06:38 PM)nextpage Wrote:
প্রতিটা বিষয়ের দুটি করে পয়েন্ট অব ভিউ থাকে।
বেশির ভাগ মানুষই একদিকে ঝুঁকে থাকে আর সেদিকটাই সত্যের, ধর্মের, ন্যায়ের দিক বলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মেনে নেয়া হয়৷ একদিক থেতে এতগুলো মানুষ ভুল হতে পারে না আবার দ্বিতীয় পয়েন্ট অব ভিউ টাও এড়িয়ে যাওয়া ঠিক না। দুটোকেই যাচাই করার দরকার হয় কিন্তু সাধারণ মানুষ সাধারণ থাকতে ভালবাসে তাই ঐদিকটা ঘাটতে যায় না।

কেবল আজ নতুন করে নয় সৃষ্টির আগে থেকেই দেবতা অসুর কনসেপ্ট এ কিন্তু বরাবরই দেবতাদের জয়গান করা হয়েছে আর অসুরদর মুন্ডুপাত তবে মাঝে মাঝে কিন্তু ঐ অনুরেরাও দেবতাদের চেয়ে ভাল কর্ম করতো কিন্তু ঐ আজন্মের পাপ অসুর তুমি সেখানেই কর্মফলের মারপ্যাঁচ এ নিষ্পেষিত হতে হয়েছে।
তুমি এখানে যেমন দুর্যোধন কে চয়েস করলে তেমন অনেকেই রাবন বা অন্যদের করে।
তবে বিষয় টা হলো মানুষকে গড়ে তুলতে এই গল্পগুলোর আর্বিভাব তাই সেটা থেকে আমরা বরাবরই সাধারণের সাথে মেশে এমন দিকটাই বেছে নিতে চায় আর সেটাই হয়ে আসছে আদি কাল থেকে।

                          ভালো বুঝিয়েছেন।
Like Reply
#65
বরাবরের মতোই নন্দনা ম্যাডামের গল্প উপন্যাস গুলো জ্ঞান মূলক বার্তা প্রেরণ করেন। এই ক্ষেত্রেও তাই। পৌরাণিক আমার কাছে বরাবরই একটা ভালোলাগার বিষয়।এই গল্প পড়ে রামায়ণ এবং মহাভারত সম্বন্ধে লেখিকার দৃষ্টিকোণ এবং বার্তা পর্যবেক্ষণ করবো।



[+] 1 user Likes Jupiter10's post
Like Reply
#66
(08-06-2022, 03:24 PM)Bumba_1 Wrote:
অন্যায় কুরুক্ষেত্রে ঝরলো কৌরবদের রক্ত
অধর্মের জয়গান গেয়ে ঘুমায় কুরুক্ষেত্র
দ্রৌপদীর ইন্ধন জুড়ে চাতুরির জমা ক্লেদ
যুধিষ্ঠির ভীম অর্জুন নকুল সহদেব
জাতিস্মরের ইস্তেহারে এবার লজ্জা মোচন
এক মহাকাশ ঘৃণা বুকে নিয়ে .. ইতি দুর্যোধন

এই কথাগুলো শুনে আমাকে ভিলেন মনে হচ্ছে তো? একবার দুর্যোধনের point of view থেকে মহাভারতের সমস্ত ঘটনা দেখার চেষ্টা করো .. তাহলে হয়তো বুঝতে পারবে। 
প্রথম পর্বের জন্য এটাই‌ আজকের review আমার তরফ থেকে।

বুম্বা দার সঙ্গে আমি সহমত। তথাকথিত অপরাধীর দৃষ্টিকোণ থেকেও ঘটনাক্রম অনুধাবন করা উচিৎ। আমি মনে করি কেউই পুরোপুরি সৎ এবং অসৎ হয়না।

এখানে দুর্যোধনও নিজ জায়গায় সঠিক।

আসলে ইতিহাস ন্যায় অন্যায় দেখে না। ইতিহাস সর্বদা জয়ী পক্ষকে আলিঙ্গন করে। যে জয়ী সে'ই সঠিক।

আমি প্রশ্ন করি,

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একধারে কর্ণকে বলে, "হে বৎস তুমি কুন্তি পুত্র। সুতরাং সমগ্র পাণ্ডব তোমার ভ্রাতা। তুমি তাদের হয়ে যুদ্ধ কর। অপর দিকে অর্জুনকে পরামর্শ দেয় হে অর্জুন এই যে তোমার পিতামহ কে তুমি হত্যা করতে সংকোচ বোধ করছো সে আসলে তোমার কেউ নয়। তুমি কেবল নশ্বর শরীরকে হত্যা করছো আত্মা কে নয়। কারণ আত্মা অবিনশ্বর। সুতরাং গাণ্ডীব ধর আর বাণ নিক্ষেপ করো। নির্দ্বিধায়"

কেনই বা সকল কৌরব কে ছলনার আশ্রয় নিতে হয়েছিল যুদ্ধে জয়ী হবার জন্য। তারা যদি সত্যিই নিজের জায়গায় সঠিক হতো।



[+] 6 users Like Jupiter10's post
Like Reply
#67
(08-06-2022, 08:46 PM)Jupiter10 Wrote: আসলে ইতিহাস ন্যায় অন্যায় দেখে না। ইতিহাস সর্বদা জয়ী পক্ষকে আলিঙ্গন করে। যে জয়ী সে'ই সঠিক।
ekdom
[+] 1 user Likes ekagro's post
Like Reply
#68
(08-06-2022, 04:00 PM)nandanadasnandana Wrote: দুর্যোধনের পয়েন্ট থেকে কি দেখার কোন দরকার আছে? আমরা কি কোনদিন ও ইংরেজ দের চোখে দেখেছি ওদের কে? কেন এতো অতাচার করেছিল ভারতবাসী সহ পৃথিবীর নানা দেশ কে। কেন দেখিনি? কারন সেখানে আমরা ছিলাম বঞ্চিত। মহাভারত একটা বিশাল মহাকাব্য। আমাদের সেই অধিকার আছে খারাপের চোখ দিয়েও পুরো মহাভারত কে দেখার বা পড়ার। কারন সেখানে আমরা কেউ বঞ্চিত হইনি। আমি জানিনা কোন যুক্তি তে রাবণের চোখে, কর্ণের চোখে বা দুর্যোধনের চোখে দেখব তাদের চারপাশ টা? বা তুমি ই বা কেন দেখছ? নিশ্চই কোন কারণ থাকবে। সেটা না জানলে কিছুই বক্তব্য রাখতে পারা যাবে না। নিশ্চই তোমার মনে হয়েছে দূর্যোধন কোন কারনে বঞ্চিত, তাই সহানুভূতি পাচ্ছে তোমার থেকে। কাজেই যুক্তি না পেলে কিছু বলা যাবে না। আমার ভালো লাগে এই সব যুক্তি রাখতে। অপেক্ষা করব।

তবে এই গল্প টা পড়ছ এটা খুব খুশীর আমার কাছে।

(08-06-2022, 04:24 PM)nandanadasnandana Wrote: না গো ভাবিনি। আমার তেমন কোন আদর্শ নেই জীবনে। হতে পারে আমি যেমন ভেবেছি তুমি অন্য ভাবে ভেবেছ। তাই জানতে চাইছি তোমার ভাবনা টা কি? খল বলে তো কিছু হয় না। সবাই নিজের জায়গা থেকে ঠিক থাকে তার কর্মের সাপেক্ষে। কাজেই আমি জানতে চাইছি ঠিক কি ভাব তুমি। 

গল্পের জন্য তোমাদের প্রশংসা পেলে যে কি ভালো লাগে বলে বোঝাতে পারব না।

Nextpage ভাই এবং Jupiter ভাই .. এদের দুজনের মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে এই বিষয়ে এদের জ্ঞানের ভান্ডার অপরিসীম। আমার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এরা দু'জনে যে যুক্তি প্রদান করেছে, আমি আমার নিজের মন্তব্যের স্বপক্ষে এত ভালো গুছিয়ে লিখতে পারতাম না। তাই এদের দুজনের বক্তব্যকে তুমি তোমার প্রশ্নের উত্তর ধরে নিতে পারো ম্যাডাম (তোমাকে কিছুতেই দিদি বলে সম্মোধন করবো না  Big Grin )। 

এর বেশি যদি কিছু বলতে চাই তাহলে ব্যক্তিগত দিকে চলে যেতে হবে, সেটা বোধহয় এখানে বলা অনুচিত হবে। শুধু এইটুকু বলতে পারি - যা একদা আমার পিতা-মাতার প্রাপ্য ছিলো, ছলচাতুরি করে ধর্মের বলা ভালো আইনের দোহাই দিয়ে সেই সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল যারা, আমি বড় হয়ে ধর্মের বুলি না আওড়ে, ভগবানের নাম জপ না করে সেই সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছি তাদের কাছ থেকে .. তাই আজ আমি আমার কিছু কাজিন ভাই বোনেদের কাছে খলনায়ক .. আমাকে আড়ালে দুর্যোধন বলে তারা। দূর্যোধন যেমন তার শত্রুদের কাছে একজন ভয়ঙ্কর খলনায়ক ছিলেন, ঠিক তেমনই একজন অসম্ভব প্রজাবৎসল রাজা ছিলেন। আমার শত্রুদের কাছে আমি খুব খারাপ মানুষ হলেও, আমিও আমার পরিবারকে খুব ভালোবাসি। দুর্যোধনের মৃত্যুর পর খুব কষ্ট পেয়েছিল তার শাসিত রাজ্যের অন্তর্গত প্রজারা। দুর্যোধনের নামে দেরাদুনে একটি মন্দির আছে। সেখানে তাকে ভগবান রূপে পূজো করা হয়। in fact অনেকের মতে দেরাদুন নামটা দুর্যোধন নামের থেকেই এসেছে।

 
[+] 4 users Like Bumba_1's post
Like Reply
#69
(08-06-2022, 09:27 PM)Bumba_1 Wrote: Nextpage ভাই এবং Jupiter ভাই .. এদের দুজনের মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে এই বিষয়ে এদের জ্ঞানের ভান্ডার অপরিসীম। আমার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এরা দু'জনে যে যুক্তি প্রদান করেছে, আমি আমার নিজের মন্তব্যের স্বপক্ষে এত ভালো গুছিয়ে লিখতে পারতাম না। তাই এদের দুজনের বক্তব্যকে তুমি তোমার প্রশ্নের উত্তর ধরে নিতে পারো ম্যাডাম (তোমাকে কিছুতেই দিদি বলে সম্মোধন করবো না  Big Grin  )। 

এর বেশি যদি কিছু বলতে চাই তাহলে ব্যক্তিগত দিকে চলে যেতে হবে, সেটা বোধহয় এখানে বলা অনুচিত হবে। শুধু এইটুকু বলতে পারি - যা একদা আমার পিতা-মাতার প্রাপ্য ছিলো, ছলচাতুরি করে ধর্মের বলা ভালো আইনের দোহাই দিয়ে সেই সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল যারা, আমি বড় হয়ে ধর্মের বুলি না আওড়ে, ভগবানের নাম জপ না করে সেই সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছি তাদের কাছ থেকে .. তাই আজ আমি আমার কিছু কাজিন ভাই বোনেদের কাছে খলনায়ক .. আমাকে আড়ালে দুর্যোধন বলে তারা। দূর্যোধন যেমন তার শত্রুদের কাছে একজন ভয়ঙ্কর খলনায়ক ছিলেন, ঠিক তেমনই একজন অসম্ভব প্রজাবৎসল রাজা ছিলেন। আমার শত্রুদের কাছে আমি খুব খারাপ মানুষ হলেও, আমিও আমার পরিবারকে খুব ভালোবাসি। দুর্যোধনের মৃত্যুর পর খুব কষ্ট পেয়েছিল তার শাসিত রাজ্যের অন্তর্গত প্রজারা। দুর্যোধনের নামে দেরাদুনে একটি মন্দির আছে। সেখানে তাকে ভগবান রূপে পূজো করা হয়। in fact অনেকের মতে দেরাদুন নামটা দুর্যোধন নামের থেকেই এসেছে।

 

এখানে বুম্বা দা জ্ঞান বর্ধকের কাজ করলেন। দেরাদুন নামটা দুর্যোধনের নামের সঙ্গে মিল রেখেই রাখা হয়েছে হয়তো।

তবে এটা ঠিক বলেছেন যে দুর্যোধন প্রজাবৎসল ছিলেন। তার শত্রুতা কেবলমাত্র পান্ডব দের সহিত ছিলো। একে ধারে পান্ডবরা আত্মগৌরবে ভুগতেন।



[+] 2 users Like Jupiter10's post
Like Reply
#70
(08-06-2022, 09:49 PM)Jupiter10 Wrote: এখানে বুম্বা দা জ্ঞান বর্ধকের কাজ করলেন। দেরাদুন নামটা দুর্যোধনের নামের সঙ্গে মিল রেখেই রাখা হয়েছে হয়তো।

তবে এটা ঠিক বলেছেন যে দুর্যোধন প্রজাবৎসল ছিলেন। তার শত্রুতা কেবলমাত্র পান্ডব দের সহিত ছিলো। একে ধারে পান্ডবরা আত্মগৌরবে ভুগতেন।

একদমই তাই 
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
#71
যাই হোক। মহাভারত বা রামায়ন উভয় নিয়েই আমার রিসার্চ কম নেই। অনেক কথার উত্তর এবং তার প্রত্যুত্তর দেখলাম। চলে যাই পিছনে একটু। সত্যি ই কি হস্তীনাপুর দুর্যোধনের ছিল? উত্তর হলো না ছিলো না। আমি কিন্তু কোন বাঙ্গালী লেখকের মহাভারত পড়িনি। মূল মহাকাব্য পড়ে যা আহরণ করেছি তার পরিপ্রেক্ষী তে বলছি। সর্বপ্রথমে, হস্তীনাপুরে বিপ্লব এনেছিলেন মহারাজা ভরত।  নানান চর্চা এবং এই ব্যাপারে করা রিসার্চ বলছে, ভরতের পরে রাজা হয়েছিলেন ভূমন্যু বলে এক ব্যক্তি, যিনি ভরতের পুত্র ছিলেন ই না। নিজের নয় পুত্রই অযোগ্য সেই বিবেচনা করে উনি ভূমন্যু কে এই জম্বুদ্বীপের শাসন ভার তুলে দিয়েছিলেন। দেখতে গেলে মহাভারতের কলাকুশলী সবাই এই এডপ্টেড সন্তান এবং রাজা ভূমন্যুর বংশধর। 

তারপরে কেটে গেছে অনেক কাল। গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। শান্তনুর সময়ে আরেকবার হস্তীনাপুরে বিপ্লব এলো। এবারে ভালোর জন্য নয়। বলা যেতে পারে মহাভারতের সূচনা হলো। চরম অন্যায় হলো দেবব্রতর সাথে। যেখানে রাজা ভরত, নিজের পুত্র অযোগ্য বলে , যোগ্য ব্যক্তি কে রাজ সিংহাসন দিয়ে যেতে দ্বিধা করেন নি, সেখানে গঙ্গা উল্টো দিকে বইল। দুজন চরম অযোগ্য রাজকুমারের হাতে রাজ্য এলো। প্রথম জন চিত্রাঙ্গদ, দ্বিতীয় জন বিচিত্রবীর্য। প্রথম জন গন্ধর্ব দের সাথে যুদ্ধে মারা গেল আর একজন রোগ ভোগে। পরের ঘটনা জানি। নিয়োগ প্রথায় বিচিত্রবীর্যের দুই স্ত্রীর গর্ভে, আরো দুই পুত্র আসে পরিবারে। কিন্তু ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ, সে দোষ পান্ডুর ছিল না বোধ করি। আর স্বভাবতই এই অন্ধত্ব রূপক হোক বা যাই হোক, অন্ধ রাজার উপরে প্রজাদের কনফিডেন্স ও আসে না। কাজেই নিয়মের জালে পান্ডু রাজা হলেন। যদিও জ্যেষ্ঠ্য পুত্র ছিলেন ধৃতরাষ্ট্র। এখানে বঞ্চনার প্রশ্ন আশা করি আসবে না। কারন সে দিক থেকে দেখতে গেলে ভরতের নয় পুত্রের উপরে বঞ্চনা হয়ে গেছে অনেক আগেই। ভীষ্মের উপরে আরো বড় বঞ্চনা হয়ে গেছে। ওনার মতন বীর সমগ্র কুরু পরিবারে আর আসে নি। তাও উনি সামান্য বিত্তভোগী কর্মচারী মাত্র ছিলেন হস্তীনাপুরের। আর ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ সেখানে কারর দোষ ছিল না এটা সবাই মানবেন। 

সমস্যা টা হলো, এর পরে। পান্ডু নিজের দাদা কে কেয়ারটেকার করে বনবাসে গেছিলেন মন শান্ত করতে। মনে রাখবেন কেয়ার টেকার। রাজা নন। ধারণা ছিল ফিরে এসে আবার উনি নিজের মুকুট পরবেন। কিন্তু এখানে হিসাব টা উলটে গেল কারণ, পান্ডুর মৃত্যু হল বনেই। হিসাব মতন, জ্যেষ্ঠ্য পুত্র রাজা হবে, বা রাজার ছেলের রাজা হবে। এতো দূর এলাম, এখনো কিন্তু পান্ডব দের কোন দোষ নেই। না পান্ডুর দোষ আছে না আছে পঞ্চ পান্ডব দের।  যুধিষ্ঠির ছোট বলে, ধৃতরাষ্ট্র চালিয়ে গেলেন রাজত্ব ভীষ্মের সহায়তায়। এখানেও ভাগ্য খেলল, এ ক্ষেত্রেও বড় রাজকুমার যুধিষ্ঠির ই ছিলেন। সেখানেও আশা করি পান্ডব দের কোন দোষ ছিল না। 

কাজেই তর্কের খাতিরে দেখতে গেলে, সিংহাসন কোনদিন দুর্যোধনের ছিলই না। কাজেই ওটা আমার ছিল, আমার জিনিস অন্য কে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে , যে দাবীদার নয় তাকে ( মধ্যম পান্ডব) , বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার কোন যুক্তি তো খুঁজে পাই নি। আর দাবীদার কে , যুবরাজ ঘোষণা করে দেবার পরে, পাঁচ ভাই এবং মা সমেত পুড়িয়ে মেরে ফেলার মধ্যে কি মহানত্ব থাকে আমি খুঁজে পাই নি কোন কালেই। ভবিষ্যতে ও চেষ্টা চালিয়ে যাব খুঁজে বেড়ানোর। সমগ্র মহাভারতে কোথাও লেখা নেই, দুর্যোধন ভাল শাসক ছিলেন। বরং প্রজাদের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েছিল , বুঝতে পারি যখন পাঞ্চালী কে বিয়ে, পান্ডব রা ফিরে এলেন হস্তীনাপুরে আর সেখানে প্রজাদের উল্লাস দেখে। আমি তো কোন রিসার্চারের লেখা পড়ি না। যা বলছি যুক্তি আর তর্ক দিয়ে। দুর্যোধন দান ধ্যান করতেন, প্রজা হাতে রাখতে। যুধিষ্ঠির অর্থব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন ইন্দ্রপ্রস্থে। আমি বলছি না লেখা আছে মহাভারতে, সভা পর্বে। এতদুর এলাম, কোথাও পান্ডব রা আত্মগরিমা তে ভরপুর হয়ে উল্লাস করেন নি, বা কারোর ক্ষতি করেন নি। 

চলে যাই আর একটু অন্য দিকে। এখানে কর্ণ কে টানলাম না। সেখানেও আসব। দ্রৌপদীর স্বয়ংবর সভাতে, ধনুক দুর্যোধন তুলতে পারেন নি। অর্জুন তুলে লক্ষ্যভেদ করলেন, সেখানে পাণ্ডব দের দোষ আমি খুঁজে পাই নি। স্বভাবতই, নিজের জেঠুর ছেলে প্রাণে মেরে ফেলতে চাইছে, আর নিজেদের বন্ধু দরকার, সেটা চিন্তা করাতে আত্মগরিমা খুঁজে পাই নি আমি। বরং মনে হয়েছে, এটাই করাই উচিৎ। কাজেই পাঞ্চাল রাজ্য কে নিজেদের বন্ধু বানানোর আকিঞ্চন কে নিরপেক্ষ ভাবে দেখলে সাপোর্ট করাই উচিৎ। আর নিজের বন্ধু কে বিয়ে না করতে চেয়ে দ্রৌপদীর উপরে রাগের মনে হয় না কোন মানে আছে বলে। দুর্যোধন নিজেও কাশী রাজের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন, তার অনুমতি নিয়েই। কাজেই একটি মেয়ে কর্ণ কে পছন্দ না ই করতে পারে, সেই স্বাধীনতা মেয়েদের ছিল। একমাত্র এতো বড় মহাকাব্যে, এমন জোর করে বিয়ে দিয়েছিলেন ভীষ্ম নিজের ভাই এর সাথে অম্বিকা আর অম্বালিকার। তাও সেখানে অম্বা ও ছিল। যাকে উনি মুক্ত করে দিয়েছিলেন , যখন শুনেছিলেন অম্বা, শ্বাল্ব কে ভালবাসেন। কাজেই দুর্যোধনের এই রাগ অশিক্ষার ফসল বলেই মনে করি। বা তার সামান্যতম ধারণা  ছিল না উনি কি । বা নিজের জায়গা উনি বুঝতেন না। 

তাহলে কি দাঁড়ালো? কেউ বেড়াতে গেলেন বাইরে, বাড়ির চাবি নিজের দাদা কে দিয়ে। ভাই মারা গেলেন। ভাই এর স্ত্রী ভাই এর সন্তান নিয়ে ফিরে এলেন, বাড়ি চাইলেন, কিন্তু শুনলেন সেই বাড়ি তাদের নয়, দাদার ছেলের হয়ে গেছে। বঞ্চিত কে হলো , তর্ক কিন্তু অন্য কথা বলছে। যদিও তখন কার রাজপাট আর এখন কার বাড়ি আলাদা। এখন যত সন্তান ই থাকুক, সেই রাজপাটে অধিকার সবার সম ভাবে। সেই সময়ের নিরিখে ভাবলে যুক্তির বান অন্য রকম ভাবে সাজবে। যে রাজপাট যুধিষ্ঠিরের ই ছিল। তাও যুধিষ্ঠির মেনে নিয়ে ছিলেন এই রাজ্যের বন্টন। নিজের জিনিস ছেড়েও, ওনাকে দেওয়া উষর, এবড়ো খেবড়ো খান্ডবপ্রস্থ কেই মেনে নিয়েছিলেন। দুর্যোধন কিন্তু মানতে পারেন নি। কারন উনি জানতেন এদের রাজ্য হলেই, সমগ্র ভারত এঁরা করায়ত্ব করতে পাড়ে। আর করেওছিল পান্ডব রা। 

মেনে নিলাম, যুধিষ্ঠির এর ভুল ছিল পাশা খেলা। আমি সেটা মানিও। আর মনে করি তেরো বছরের বনবাস ওই পাপের শাস্তি ই ছিল। কোন ভাবেই এই পাশা খেলার পরাজয়, রাজবংশের কূলবধু কে সভার মাঝে এনে নগ্ন করে উরুতে বসানোর অশিক্ষা দেয় না। এই অশিক্ষা তিনি পেলেন কোথায়?  কিন্তু যেদিন বিরাট যুদ্ধ হয় সেদিনে , উপস্থিত সবাই ক্যাল্কুলেশন করে করে বললেন, তেরোবছর পূর্ণ হয়ে কিছু দিন বেশী হয়ে গেছে। সেটা তিন বৃদ্ধ। গাঙ্গেয়, দ্রোণ আর কৃপ। সেটাও তিনি শুনলেন না। পাছে ইন্দ্রপ্রস্থ ফিরিয়ে দিতে হয়। সেদিনে অনেক কিছুই হতে পারত। মহাভারতের লেখক সেদিনে সবাই কেই অজ্ঞান করিয়ে দিয়েছিলেন অর্জুনের হাতে। কিন্তু অর্জুনের মনে একবার ও আসে নি এদের মেরে ফেলা যায় এখনি। ভাবুন তখনো অর্জুন, নিজের মর্যাদা, নিজের শিক্ষা কে প্রাধান্য দিচ্ছে। কুরুক্ষেত্র কি সত্যি হতো যদি সেদিন অর্জুন একটু বেঁকে বসত? সেদিনেই হস্তীনাপুর বীর শূন্য হয়ে যেত। হ্যাঁ কর্ণ সমেত। কর্ণ দু বার আক্রমণ করেছিলেন অর্জুন কে। দুবার ই অজ্ঞান হয়ে গেছিলেন। এতো পরশ্রী কাতর আমি দুর্যোধন ছাড়া কাউকেই দেখিনি এতো বড় মহাকাব্যে। 

এবারে চলে আসি যুদ্ধে। ভীষ্মের কাছে ইচ্ছা মৃত্যুর বরদান ছিল। এতো বড় বরদান মনে হয় না আছে বলে। অমরত্বে চাইলেও মরা যায় না। কিন্তু ইচ্ছা মৃত্যু তে চাইলে মৃত্যু বরণ করা যায়। একটা সুসম যুদ্ধে সেটা ফেসিলিটি নেওয়া নয়? কই অর্জুন তো কোন দিব্যাস্ত্র প্রয়োগ করে নি। ঝাড় খেয়েছে কৃষ্ণের কাছে। তাও করে নি। বা কৃষ্ণ ও করতে বলে নি ব্যবহার। অথচ কর্ণ করলেন। ঘটোতকচ কে মারলেন দিব্যাস্ত্র দিয়ে। ভগদত্ত নারায়নাস্ত্র প্রয়োগ করলেন। কর্ণ নাগাস্ত্র প্রয়োগ করলেন। এই যুদ্ধ তো প্রথম থেকেই অসম ছিল। ওখানে কৌরবপক্ষে যুদ্ধ করা সমস্ত বড় বীর , অর্জুনের দয়ায় যুদ্ধ করছিল কুরুক্ষেত্রে। কারন বিরাট যুদ্ধে অর্জুন কাউকেই হত্যা করেন নি দয়া করে। 
দ্রোণ এর মৃত্যু তে দায়ী পাণ্ডব রা নন। ধ্যান রত দ্রোণ কে মারলেন ধৃষ্টদ্যুম্ন। পরশুরাম সম বীর দ্রোণ কে কেউ মারতে পারবে না এটা পাণ্ডব রাও জানত। ওনাকে অস্ত্র সংবরণ করানো হয়েছিল মাত্র।  কিন্তু মজার ব্যাপার। যে পক্ষে কৃষ্ণ আছেন অস্ত্র না নিয়ে, সেখানে এই দুই মহান বীর যুদ্ধ করলেন কৌরব দের পক্ষ নিয়ে। যদি ওনারা নুন খেয়েছেন বলে যুদ্ধ করেন, তবে ভীষ্ম পান্ডুর নুন ও খেয়েছিলেন। আর দ্রোণ যে রাজ্য নিয়ে বসবাস করতেন তা অর্জুনের এনে দেওয়া ছিল। দ্রুপদ কে বন্দী দুর্যোধন নয় , অর্জুন ই করেছিলেন সম্মুখ যুদ্ধে। আর ওই অর্ধেক রাজ্য দ্রুপদের ছিল। কাজেই নুন খাবার ব্যাপার থাকলে দুজনাই পাণ্ডব পক্ষেও যুদ্ধ করতে পারতেন। করেন নি। 
 
চলে যাই অভিমন্যু বধে। নিয়মের কথা ছেড়ে দিলাম। কি করে সাত জন মিলে একজন কে এই ভাবে হত্যা করতে পারে সেই যুগে, সেটা একটা বিশাল প্রশ্ন চিহ্ন। তাও সে একটা বাচ্চা ছেলে। এমন নয় যে সে অর্জুন। কি সব বীর? অর্জুন কে ডেকে নিয়ে চলে গেল কিছু পাগল সংশপ্তক। আর এদিকে বড় বড় মহারথী রা একটা বাচ্চা ছেলেকে সাত জনে মিলে হত্যা করল।  সেখানে মহানতম বীর কর্ণ ও ছিলেন আর দুর্যোধন ও ছিলেন। সেটা অন্যায় নয়? আর যখন যুদ্ধে অর্জুনের উপর্যুপরি আক্রমণে কর্ণ দিশাহারা, কর্ণ অস্ত্রের নাম ভুলে গেছেন, চাকা মাটিতে বসে গেছে অভিশাপে, তখন কৃষ্ণ , অর্জুন কে বলেন, কর্ণ কে মারতে । রথের চাকা বসে গেছে তো কি হয়েছে? তুমি ওকে মার। কর্ণ কোথায় তোমার ছেলেকে বুকে আগলে রেখেছিল চক্রব্যুহের ভিতরে। মারো ওকে মারো , কারণ তোমার ছেলের গলায় তরবারি টা ওই বসিয়েছিল। ও তো দয়া করে নি? তুমি কেন দয়া করছ? - এই ব্যাপার টা অন্যায় হয়ে গেলো? কর্ণ বঞ্চিত হলে, ওর অনেক আগে কৃষ্ণ বঞ্চিত হয়েছেন। কারন তাকেও নিজের বাবা মা কে ছেড়ে ছোত বেলায় চলে যেতে হয়েছিল প্রাণের ভয় ছিল তাই। তার ও আগে ভীষ্ম বঞ্চিত হয়েছেন। তার ও আগে ভরতের নয় পুত্র বঞ্চিত হয়েছেন। 

আসলে দুর্যোধনের রাজত্ব চাওয়া টা আমার মাথায় আসেই না। আমি হলে তো বলতে পারতাম না যে এই রাজ্য আমার, যদি না আমাকে ভুল বোঝানো হত। তাই যদি হয়, দুর্যোধনের , দুঃ ব্যাপার টার কারন ওর বাবা, পান্ডব রা নয়। মজার ব্যাপার নয়?  একমাত্র দুর্যোধন ই বলছেন রাজ্য ওনার। বাকি সবাই বলছেন রাজ্য রাজার। সেটা যুধিষ্ঠির হলে তাই সই। 

হ্যাঁ কৃষ্ণ বলেছেন কর্ণ কে যোগ দিতে পাণ্ডব পক্ষে। সেটা কুন্তী কর্ণের কাছে যাবার অনেক আগেই। কারণ কর্ণ কে সরাতে চেয়েছিলেন। উনি জানতেন এক পুরুষ ঘাতিনী অস্ত্র কর্ণের কাছে আছে। অর্জুন যে দিব্যাস্ত্র চালাবে না সেটা উনি জানতেন, কিন্তু অর্জুনের উপরে কর্ণের তীব্র ক্রোধ কর্ণ কে যে মানুষের পর্যায়ে রাখে নি সেটাও উনি জানতেন। তাই সরাতে চেয়েছিলেন। তাই নিজের ভক্ত ঘটোতকচ কেও সামনে এগিয়ে দিতে দ্বিধা করেন নি সেই রাতে, শুধু অর্জুন কে বাঁচাতে।  কিন্তু তখন ও মারা যান নি অভিমন্যু। তখনো সাত জন মিলে হত্যা করে নি নৃশংসের মতন। অর্জুন কি পারতেন না অভিমন্যু কে ওই ভাবে মারার পরে, কোন দিব্যাস্ত্র চালাতে? চালান নি তো!  খেয়াল করুন, অভিমন্যুর মৃত্যুর পরে অত দুঃখ ক্রোধের মাঝে , কৃষ্ণ  একবার ও অর্জুন কে বলেন নি দিব্যাস্ত্র চালাও, ছাড়খার করে দাও সব কিছু। আবার যুদ্ধ শেষে অশ্বথামার ব্রহ্মাস্ত্রের উলটো দিকে, ব্রহ্মশিরা চালিয়েও তাকে থামিয়ে দিলেন জগত বাঁচানোর উদ্দেশ্যে। মারা গেল নিজের নাতি। সেখানেও কৃষ্ণ এসে বাঁচালেন পরীক্ষিৎ কে। তবু অস্ত্র কে সংবরণ করিয়েছিলেন অর্জুন কে দিয়ে। বলেছিলাম তো, ক্ষমতা নয়, তার ব্যবহার এর সিদ্ধান্ত টা মানুষ কে উচ্চতায় তোলে। তাই অশ্বথামা, চুড়ান্ত অভিশাপ মাথায় নিয়ে মনিহারা হয়ে , অমরত্বের অভিশাপে জর্জরিত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। 

আর আত্মগরিমা আসে শিক্ষা আর মূল্যবোধ থেকে। পান্ডব দের আত্মগরিমা তাদের সর্বদাই ভুল কাজ করা থেকে আটকেছে। এখন ব্যাসদেব এদের চরিত্র এই ভাবে এঁকেছেন তাতে এদের তো কোন দোষ নেই। আর দুর্যোধনের আত্ম অহঙ্কারের ফিরিস্তি আর তার দ্বারা কার্যকলাপের ছোট্ট উদাহরণ উপরে লেখা আছে। 

যাই হোক একখানা গল্প মাত্র। গল্প হিসাবে দেখাই ভালো। 
[+] 8 users Like nandanadasnandana's post
Like Reply
#72
(08-06-2022, 09:27 PM)Bumba_1 Wrote: Nextpage ভাই এবং Jupiter ভাই .. এদের দুজনের মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে এই বিষয়ে এদের জ্ঞানের ভান্ডার অপরিসীম। আমার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এরা দু'জনে যে যুক্তি প্রদান করেছে, আমি আমার নিজের মন্তব্যের স্বপক্ষে এত ভালো গুছিয়ে লিখতে পারতাম না। তাই এদের দুজনের বক্তব্যকে তুমি তোমার প্রশ্নের উত্তর ধরে নিতে পারো ম্যাডাম (তোমাকে কিছুতেই দিদি বলে সম্মোধন করবো না  Big Grin  )। 

এর বেশি যদি কিছু বলতে চাই তাহলে ব্যক্তিগত দিকে চলে যেতে হবে, সেটা বোধহয় এখানে বলা অনুচিত হবে। শুধু এইটুকু বলতে পারি - যা একদা আমার পিতা-মাতার প্রাপ্য ছিলো, ছলচাতুরি করে ধর্মের বলা ভালো আইনের দোহাই দিয়ে সেই সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল যারা, আমি বড় হয়ে ধর্মের বুলি না আওড়ে, ভগবানের নাম জপ না করে সেই সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছি তাদের কাছ থেকে .. তাই আজ আমি আমার কিছু কাজিন ভাই বোনেদের কাছে খলনায়ক .. আমাকে আড়ালে দুর্যোধন বলে তারা। দূর্যোধন যেমন তার শত্রুদের কাছে একজন ভয়ঙ্কর খলনায়ক ছিলেন, ঠিক তেমনই একজন অসম্ভব প্রজাবৎসল রাজা ছিলেন। আমার শত্রুদের কাছে আমি খুব খারাপ মানুষ হলেও, আমিও আমার পরিবারকে খুব ভালোবাসি। দুর্যোধনের মৃত্যুর পর খুব কষ্ট পেয়েছিল তার শাসিত রাজ্যের অন্তর্গত প্রজারা। দুর্যোধনের নামে দেরাদুনে একটি মন্দির আছে। সেখানে তাকে ভগবান রূপে পূজো করা হয়। in fact অনেকের মতে দেরাদুন নামটা দুর্যোধন নামের থেকেই এসেছে।

 

 আমাকে কেউ একটা গালি দিল। আর আমি সেটা সত্যি ভেবে নিয়ে , সেই গালি টা কে জীবনে জাস্টিফাই করতে লাগলাম। এটা কাজের কথা নয় তো। কই যখন কারোর মা বলে , আমার ছেলে রাজা ছেলে। কই তখন তো কেউ নিজেকে রাজা ভেবে নেয় না? বা রাজার মতন আচরণ ও করে না? তাহলে কেন আমরা একটা গালি কে সত্যি ভেবে নি আর রেগে যাই? আর শুধু রেগেই যাই না, সেই রাগের কারন কেও জাস্টিফাই করি। আমার কথা হলো, নিজের সামান্য জিনিস ও আমি কাউ কে দেব না। কিন্তু যেটা আমার নয় সেটা আমি নেব কেন? কাজেই আমার জিনিস আমি না দেবার জন্য যদি কেউ আমাকে দুর্যোধন বলে, আর সেই নিয়ে দুর্যোধন কে যদি আমি মহান করাই সেটা ঠিক না। বরং উলটো টা ভাবব। আমি পান্ডব, আমি নিজের অধিকার আদায় করে নিয়েছি। আর আমি জয়ী হয়েছি। দুর্যোধন কিন্তু জয়ী হন নি। আমার জিনিস আমি কাউকেই দিই নি। আর দেব ও না। দেখার আঙ্গিক। কেউ কিছু বলল আর সেটা আমি হয়ে গেলাম সেটা তো না। বরং ওদের কে বলবেন, তোমরা দুর্যোধন। আমি লড়াই করে ছিনিয়ে নিয়েছি সেটা , ছল করে নিই নি। 

হয়ত আপনার জীবনের ব্যাপারে লিখে ফেললাম। আপনি লিখলেন বলে লিখলাম। খারাপ লাগলে বলবেন ডিলিট করে দেব। আর দিদি নাই বা বললেন। তাতে তো, কিছু বদলে যাবে না ভাই। আপনার পড়েন বলেই লিখি। না হলে লেখার তো গুরুত্ব নেই।
[+] 2 users Like nandanadasnandana's post
Like Reply
#73
(09-06-2022, 12:35 AM)nandanadasnandana Wrote:  আমাকে কেউ একটা গালি দিল। আর আমি সেটা সত্যি ভেবে নিয়ে , সেই গালি টা কে জীবনে জাস্টিফাই করতে লাগলাম। এটা কাজের কথা নয় তো। কই যখন কারোর মা বলে , আমার ছেলে রাজা ছেলে। কই তখন তো কেউ নিজেকে রাজা ভেবে নেয় না? বা রাজার মতন আচরণ ও করে না? তাহলে কেন আমরা একটা গালি কে সত্যি ভেবে নি আর রেগে যাই? আর শুধু রেগেই যাই না, সেই রাগের কারন কেও জাস্টিফাই করি। আমার কথা হলো, নিজের সামান্য জিনিস ও আমি কাউ কে দেব না। কিন্তু যেটা আমার নয় সেটা আমি নেব কেন? কাজেই আমার জিনিস আমি না দেবার জন্য যদি কেউ আমাকে দুর্যোধন বলে, আর সেই নিয়ে দুর্যোধন কে যদি আমি মহান করাই সেটা ঠিক না। বরং উলটো টা ভাবব। আমি পান্ডব, আমি নিজের অধিকার আদায় করে নিয়েছি। আর আমি জয়ী হয়েছি। দুর্যোধন কিন্তু জয়ী হন নি। আমার জিনিস আমি কাউকেই দিই নি। আর দেব ও না। দেখার আঙ্গিক। কেউ কিছু বলল আর সেটা আমি হয়ে গেলাম সেটা তো না। বরং ওদের কে বলবেন, তোমরা দুর্যোধন। আমি লড়াই করে ছিনিয়ে নিয়েছি সেটা , ছল করে নিই নি। 

হয়ত আপনার জীবনের ব্যাপারে লিখে ফেললাম। আপনি লিখলেন বলে লিখলাম। খারাপ লাগলে বলবেন ডিলিট করে দেব। আর দিদি নাই বা বললেন। তাতে তো, কিছু বদলে যাবে না ভাই। আপনার পড়েন বলেই লিখি। না হলে লেখার তো গুরুত্ব নেই।

একদমই খারাপ লাগার বিষয় নয় .. আপনি যথার্থ বলেছেন। তবে কেউ আমাকে কোনো বিশেষ নামে সম্বোধন করলো আর আমি নিজেকে পরের দিন থেকে সেটাই ভাবতে শুরু করলাম .. এতটা বোকা আমি নই এবং এতটা গুরুত্ব আমি লোকজনকে দিই না। তবে মুখে যাই বলি না কেন at the end of the day যাদের সঙ্গে ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলাধূলা করেছি, মারামারি করেছি, পড়াশোনা করেছি .. পরবর্তীকালে তারা তাদের point of view থেকে আমার সম্পর্কে কটু কথা বললে একটু খারাপ তো লাগেই .. তাই শেয়ার করলাম।

মহাকাব্যের বিপুল সংখ্যক চরিত্রের মধ্যে কারোর না কারোর কোনো না কোনো বিশেষ চরিত্রকে পছন্দ হয় .. আমার ক্ষেত্রেও সেই একই ব্যাপার ঘটেছে। এবং সর্বোপরি সেটি একটি so called negative character .. তাই চেনা স্রোতের বিপক্ষে হাঁটতে গেলে একটু বিতর্ক সৃষ্টি তো হবেই, একটু কথা শুনতে হবেই .. এক্ষেত্রেও সেটাই ঘটছে। 
আপনাকে দিদি না বলে ম্যাডাম সম্বোধন করেছিলাম .. কথাটা মজা করেই বলেছি। Never mind .. bye  Namaskar
[+] 2 users Like Bumba_1's post
Like Reply
#74
(08-06-2022, 08:46 PM)Jupiter10 Wrote: ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একধারে কর্ণকে বলে, "হে বৎস তুমি কুন্তি পুত্র। সুতরাং সমগ্র পাণ্ডব তোমার ভ্রাতা। তুমি তাদের হয়ে যুদ্ধ কর। অপর দিকে অর্জুনকে পরামর্শ দেয় হে অর্জুন এই যে তোমার পিতামহ কে তুমি হত্যা করতে সংকোচ বোধ করছো সে আসলে তোমার কেউ নয়। তুমি কেবল নশ্বর শরীরকে হত্যা করছো আত্মা কে নয়। কারণ আত্মা অবিনশ্বর। সুতরাং গাণ্ডীব ধর আর বাণ নিক্ষেপ করো। নির্দ্বিধায়"

apnar ei rokom sabolil prosno ebong uttorer jonnoi to apnake mohan banai Jupiter babu. sujog hole apnar sathe dekha korte chai. 
[+] 2 users Like swaruproy312's post
Like Reply
#75
(09-06-2022, 12:35 AM)nandanadasnandana Wrote:  আমাকে কেউ একটা গালি দিল। আর আমি সেটা সত্যি ভেবে নিয়ে , সেই গালি টা কে জীবনে জাস্টিফাই করতে লাগলাম। এটা কাজের কথা নয় তো। কই যখন কারোর মা বলে , আমার ছেলে রাজা ছেলে। কই তখন তো কেউ নিজেকে রাজা ভেবে নেয় না? বা রাজার মতন আচরণ ও করে না? তাহলে কেন আমরা একটা গালি কে সত্যি ভেবে নি আর রেগে যাই? আর শুধু রেগেই যাই না, সেই রাগের কারন কেও জাস্টিফাই করি। আমার কথা হলো, নিজের সামান্য জিনিস ও আমি কাউ কে দেব না। কিন্তু যেটা আমার নয় সেটা আমি নেব কেন? কাজেই আমার জিনিস আমি না দেবার জন্য যদি কেউ আমাকে দুর্যোধন বলে, আর সেই নিয়ে দুর্যোধন কে যদি আমি মহান করাই সেটা ঠিক না। বরং উলটো টা ভাবব। আমি পান্ডব, আমি নিজের অধিকার আদায় করে নিয়েছি। আর আমি জয়ী হয়েছি। দুর্যোধন কিন্তু জয়ী হন নি। আমার জিনিস আমি কাউকেই দিই নি। আর দেব ও না। দেখার আঙ্গিক। কেউ কিছু বলল আর সেটা আমি হয়ে গেলাম সেটা তো না। বরং ওদের কে বলবেন, তোমরা দুর্যোধন। আমি লড়াই করে ছিনিয়ে নিয়েছি সেটা , ছল করে নিই নি। 

হয়ত আপনার জীবনের ব্যাপারে লিখে ফেললাম। আপনি লিখলেন বলে লিখলাম। খারাপ লাগলে বলবেন ডিলিট করে দেব। আর দিদি নাই বা বললেন। তাতে তো, কিছু বদলে যাবে না ভাই। আপনার পড়েন বলেই লিখি। না হলে লেখার তো গুরুত্ব নেই।

আমি ভাবছি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা এখানেই সমাপ্তি টানা ভালো।
এর মানে এই নয় যেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিষয়টা বাজে, তবে এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা অনেকেরই বোধগম্য হয় না আর তারা এটার নেগেটিভ সাইড নিয়ে ভাবতে থাকে। এর ফলে মূল আলোচনা মূল্য হারায়।

আমি একজন আপাদমস্তক ধার্মিক মানুষ তবে ধর্মভীরু নই। যেসব আচার পালন করি তার পজেটিভ সাইড গুলো বিবেচনা করেই করি। একাদশী, বিভিন্ন ব্রত, উপবাস এগুলো বাদ দেই না। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এন্টেড করি জ্ঞানীদের বক্তব্য শুনি মাঝে মাঝে নিজেও অংশগ্রহণ করি। তাতে আর যাই হোক না হোক জ্ঞানের পরিধি বাড়ে। অন্যদের সাথে তুমুল আলোচনা সমালোচনা করি তবে এমন মানুষদের সাথেই করি যারা আমার যুক্তির জায়গা ধরতে পারবে নইলে নেহাত বকবক মনে হবে।

শেষমেশ একটাই কথা,
হিরণ্যকশিপু ছাড়া প্রহ্লাদ পেতাম না, রাবন ছাড়া রাম, কৌরব ছাড়া পান্ডব, একপক্ষ কে তো বলিদান দিতেই হতো। বিষয়টা এমন ভাবে দেখলেই অনেকটা সাবলীল হওয়া যায়। 
Shy হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই।
 দুইকে আমি এক করি না, এক কে করি দুই।। Shy
[+] 3 users Like nextpage's post
Like Reply
#76
(09-06-2022, 12:17 AM)nandanadasnandana Wrote: যাই হোক। মহাভারত বা রামায়ন উভয় নিয়েই আমার রিসার্চ কম নেই। অনেক কথার উত্তর এবং তার প্রত্যুত্তর দেখলাম। চলে যাই পিছনে একটু। সত্যি ই কি হস্তীনাপুর দুর্যোধনের ছিল? উত্তর হলো না ছিলো না। আমি কিন্তু কোন বাঙ্গালী লেখকের মহাভারত পড়িনি। মূল মহাকাব্য পড়ে যা 

আর আত্মগরিমা আসে শিক্ষা আর মূল্যবোধ থেকে। পান্ডব দের আত্মগরিমা তাদের সর্বদাই ভুল কাজ করা থেকে আটকেছে। এখন ব্যাসদেব এদের চরিত্র এই ভাবে এঁকেছেন তাতে এদের তো কোন দোষ নেই। আর দুর্যোধনের আত্ম অহঙ্কারের ফিরিস্তি আর তার দ্বারা কার্যকলাপের ছোট্ট উদাহরণ উপরে লেখা আছে। 

যাই হোক একখানা গল্প মাত্র। গল্প হিসাবে দেখাই ভালো। 

darun bishleshon Nandana debi.
[+] 1 user Likes haridaspal2000's post
Like Reply
#77
(04-06-2022, 11:25 AM)nandanadasnandana Wrote: হ্যাঁ কাম সব কিছু না। আবার অনেক কিছুই। আসলে এটা চটি সাইট। সাহিত্যে হয়ত আগামী দশ বছরে ধীরে ধীরে পর্যবাসিত হবে। যাইহোক সেই বিতর্কে যাচ্ছি না। 

ছোট বেলায় রাজলক্ষী শ্রীকান্ত পড়ছিলাম। হয়ত বা ক্লাস সেভেন এ হব। সেখানে শ্রীকান্ত , অনেক দিনের স্বেচ্ছা নির্বাসনের পরে , ধুম জ্বর নিয়ে রাজলক্ষীর কাছে আছে। এমতাবস্থায় রাজলক্ষীর নানান বর্ণনার মাঝেই, একটা কথা পড়লাম, রাজলক্ষী কাপড়ের নীচে সেমিজ পরিত না। কথাটা কেমন একটা হয়ে এমন জড়িয়ে গেছিল মাথায় ওই বয়সে। ওই কথাটাই বহুবার আমাকে অনেক ভাবে গরম করেছে। জানিনা কারোর এমন হয়েছে কিনা। 

মানে বলতে চাইছি, আমি সব সময়েই মনে করি, চটি বা যৌন গল্প পড়ে পাঠক এর এন্ড রেজাল্ট একটাই হয়। সেটা আমরা সবাই জানি। ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সবাই নিজের নিজের রাগ মোচন করে দেয়। আর সবাই খুব প্রাইভেট এ করে ব্যাপার টা। কেউ হয়ত একলা শোয় কাজেই তাঁর জন্য বিছানা, আর যারা আমার মতন এক ধারে মা , বউ, পিসি , মাসী , কাজের লোক সব একসাথে , তাদের জন্য বাথরুম বা অপেক্ষা করা, কখন একটু একলা সময় পাওয়া যায়। কাজেই শরীর আর মন চাইলেও , সময় আর পরিস্থিতি আসব আসব করেও আসতে চায় না। তাদের জন্য স্নানের সময় বাথরুম ভরসা। হয়ত বেশির ভাগের ই তাই। কাজেই চটি বই নিয়ে বাথরুমে যাওয়া মনে হয় না সম্ভব। তাই গল্পের কন্সেপ্ট আর পাঠক কে সেই চিন্তায় বুঁদ করাটা আবশ্যিক। 

পাঠক কে না বললেও সে জানে, সে যেটা ভেবে রাগ মোচন করবে, সেখানে মনে মনে যৌন মিলনের সমস্ত উপকরণ আর হাতিয়ার মনে কল্পনায় নিয়েই কাজ শুরু করে। ইভেন হাতে বই থাকলেও সেই সময়ে চোখ বুঝে সে সেটাই কল্পনা করে, গল্পের যে  জায়গা টা তাকে বেশী নাড়ায়। হতে পারে সেটা কন্সেপ্ট। যার যেমন ভালো লাগে। ইন্সেস্ট ,কাকোল্ড, বা অসম সম্পর্ক। আর দ্বিতীয় , পরিস্থিতি। সেখানেও মানুষ উত্তেজিত হয়। যেমন নিজের বউ কে বিছানায় সবাই পায়, বছর চারেক পরে তাতে মনে হয় না স্বামঈর কোন আলাদা উত্তেজনা আসে বলে। কিন্তু সেই বউ কেই যদি বৃষ্টি স্নাতা হয়ে ছাদে একলা টি দেখে হয়ত সেটা বেশী ভাল লাগবে। বা বিয়ের ২০ বছর পরেই, স্নান সেরে আসা বউ কে বরের রা হাঁ করেই দেখে।  সেই সময়ে সেই অবস্থায় বউ কে পাওয়ার ইচ্ছে টা দশ গুণ বেড়ে থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও তাই। আমার তো তাই অভিজ্ঞতা। রোজ প্যান্ট শার্ট পরিহিত স্বামী কে দেখা আর রবিবারে ছোট্ট শর্টস পরে বাগানে কাজ করে ঘেমে নেয়ে যাওয়া বর কে দেখা দুটো আলাদা। আর তাছাড়াও মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যাপার টা একটু আলাদা। মেয়েদের কাম অনেক ভাবেই জাগে। সে নিয়ে বিশাল বই হয়ে যাবে। আসল কথা হলো যৌন উদ্দীপনা পুরুষাঙ্গের আকার বা স্তনের আকারের থেকেও বেশী নির্ভর করে পুরুষ নারীর প্রকৃতি, তাদের চাওয়া পাওয়া, পরিস্থিতি আর সম্পর্কের উপরে। 

আমিও হয়ত লিখব , রগরগে কাহিনী । যেখানে গালির সাথে , পুরুষাঙ্গ, যৌনাঙ্গ ইত্যাদির বর্ণনা থাকবে। কিন্তু সেটা না লিখেও কাম জাগানো যায়। স্যাপিয়ো সেক্সুয়াল বলে একটা ব্যাপার হয়। তাতে মানুষের বুদ্ধিমত্তার উপরেও সেক্স জাগে। এখন এতো পাঠকের মধ্যে কার কিসে সেক্স জাগে, কে কোন টা কে ভালো বলবে। এতো বড় লেখায় কার কিসে কাম জাগে। কে জানে? আমি বাপু লিখে যাই। বাকি আপনাদের উপরে।


ধন্যবাদান্তে,

নন্দনা

নন্দনা,

দারুন লিখেছেন। আবার একবার বিশ্বাস করালেন যে মস্তিষ্ক সবচেয়ে শক্তিশালী যৌনাঙ্গ, আর পারিপার্শ্বিক সবচেয়ে উত্তেজনাদায়ী মাধ্যম। শরীর জেগে উঠল আপনার লেখা পড়ে। শুভেচ্ছা নেবেন।

রাহুল
[+] 2 users Like yaaary's post
Like Reply
#78
(09-06-2022, 12:17 AM)nandanadasnandana Wrote: যাই হোক। মহাভারত বা রামায়ন উভয় নিয়েই আমার রিসার্চ কম নেই। অনেক কথার উত্তর এবং তার প্রত্যুত্তর দেখলাম। চলে যাই পিছনে একটু। সত্যি ই কি হস্তীনাপুর দুর্যোধনের ছিল? উত্তর হলো না ছিলো না। আমি কিন্তু কোন বাঙ্গালী লেখকের মহাভারত পড়িনি। মূল মহাকাব্য পড়ে যা আহরণ করেছি তার পরিপ্রেক্ষী তে বলছি। সর্বপ্রথমে, হস্তীনাপুরে বিপ্লব এনেছিলেন মহারাজা ভরত।  নানান চর্চা এবং এই ব্যাপারে করা রিসার্চ বলছে, ভরতের পরে রাজা হয়েছিলেন ভূমন্যু বলে এক ব্যক্তি, যিনি ভরতের পুত্র ছিলেন ই না।
জেনে ঋদ্ধ হলাম
[+] 1 user Likes riyamehbubani's post
Like Reply
#79
(09-06-2022, 09:20 PM)yaaary Wrote: নন্দনা,

দারুন লিখেছেন। আবার একবার বিশ্বাস করালেন যে মস্তিষ্ক সবচেয়ে শক্তিশালী যৌনাঙ্গ, আর পারিপার্শ্বিক সবচেয়ে উত্তেজনাদায়ী মাধ্যম। শরীর জেগে উঠল আপনার লেখা পড়ে। শুভেচ্ছা নেবেন।

রাহুল

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Like Reply
#80
(10-06-2022, 12:11 AM)riyamehbubani Wrote: জেনে ঋদ্ধ হলাম


ধন্যবাদ বোন।
Like Reply




Users browsing this thread: 4 Guest(s)