Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,964 in 27,777 posts
Likes Given: 23,840
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
Posts: 6,161
Threads: 42
Likes Received: 12,436 in 4,169 posts
Likes Given: 5,340
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,799
18-01-2022, 03:24 PM
(This post was last modified: 18-01-2022, 03:33 PM by Baban. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
সত্যি.... ছোটবেলার সাদা কালো কমিকস গুলো আজ আধুকীকতার যুগে রঙ এর ছোঁয়া পেলেও রঙিন সেই শুরুর যাত্রাপথ হতেই... শুধুই লাল নীল সবুজ রঙ নয়.... মনের রঙে রাঙিয়ে তুলেছিল প্রতিটা চরিত্র এই মানুষটা..... শান্তিতে থাকুন......
ডানপিটে খাঁদুর কেমিকেল দাদু যদি এমন কিছু আবিষ্কার করতো যা..... না থাক কিছু অজানা....
Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,964 in 27,777 posts
Likes Given: 23,840
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
Posts: 717
Threads: 5
Likes Received: 2,165 in 475 posts
Likes Given: 730
Joined: Dec 2021
Reputation:
666
হ্যাঁ আমাদের ছোটবেলা টা এতোক্ষনে হয়ত..... ভাবতে পারছি না, উনি চলে গেলেন
•
Posts: 717
Threads: 5
Likes Received: 2,165 in 475 posts
Likes Given: 730
Joined: Dec 2021
Reputation:
666
হ্যাঁ আমাদের ছোটবেলা টা এতোক্ষনে হয়ত..... ভাবতে পারছি না, উনি চলে গেলেন
•
Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,964 in 27,777 posts
Likes Given: 23,840
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
দক্ষিণ পাড়া কলেজ বোর্ডিং আজ বন্ধ। বন্ধ সুপারিনটেনডেন্ট পাতিরাম হাতির ঘর। মনিটর কেল্টুদা লাইন করে সকলকে নিয়ে চলেছে। পিসেমশাইয়ের রাগ আজ ঠান্ডা। হাঁদা-ভোঁদা সকাল থেকে একবারও দস্যিপনা করেনি। নন্টে-ফন্টে কে স্যার পাঠিয়েছেন ফুলমালা ধুপ ইত্যাদি নিয়ে আসতে। বাহাদুর বেড়াল আজ থাবায় মুখ গুঁজে দূরে বসে আছে। তার পাশে ভেদোও আজ শান্ত। একবারও সে বাহাদুর বিড়াল এর দিকে তেড়ে যায়নি।
একটু বাদে রাস্তার মোড়ে দেখা গেল চারজনকে। লম্বকর্ণ, বাচ্চু, বিচ্ছু, ও একদম সামনে বাঁটুলদার বলিষ্ঠ কাঁধে চেপে আসছে ফুলে সাজানো একটা খাট! সকলে ফিরে চাইল সে দিকে। সকলের চোখে জল।
ওরা চারজন সামনে এসে খাট নামাতেই সকলে অবাক। একী! খাট তো খালি!
"তোরা কি কাউকে খুঁজছিস?" পেছন থেকে স্নেহ মাখানো মোলায়েম গলা।
কেল্টুদা ল্যাকপ্যাকে ঠ্যাংএ তিড়িং করে লাফিয়ে উঠে সোজা স্যারের ঘাড়ে!
সামনে এক সৌম্য চেহারার চশমা পরা লম্বা চুলের হাসিমুখ বৃদ্ধ।
হাঁদা বরাবরের ইচরে পাকা। এগিয়ে গিয়ে দাঁত বের করে বলল, "ইয়ে-কিছু মনে করবেন না স্যার। আমরা শুনেছিলাম আপনি- আপনি নাকি আজ-"
বৃদ্ধ ফোকলা মুখে একগাল হেসে বললেন, "দূর বোকা, এতদিন আমি ওদের জগতে ছিলাম। সেখানে সময় তো একদিন ফুরোতে বাধ্য। তোদের সময় কোনোদিন ফুরাবে না। যতদিন বাঙালির মন থাকবে, কৃষ্টি থাকবে, বাঙালির মুখে হাসি থাকবে, ততদিন তোরা থাকবি আর তোদের সাথে আমিও থাকব। তাইতো ওদের জগত ছেড়ে তোদের কাছে পাকাপাকিভাবে চলে এলাম।"
পিছন থেকে উটো লম্বা গলা বাড়িয়ে ক্যাঁক করে খুশিতে ডেকে উঠলো!!!
Posts: 6,161
Threads: 42
Likes Received: 12,436 in 4,169 posts
Likes Given: 5,340
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,799
যে আঁকা বোঝে, যে আঁকার কিছুই বোঝেনা, যে আর্ট বোঝে, যে তার কিছুই বোঝেনা, যে ফিগার ডিসাইন বোঝে, যে জানেওনা সেসব খায় না মাথায় দেয়.... তাদের সকলের ছোটবেলা থেকেই পাশে ছিল রোগা মোটা লম্বা শক্তিশালী দুস্টু মিষ্টি মানুষ গুলো... তাদের দেখলেই হাসতাম মোরা। তাদের সৃষ্টি করেছিলেন যিনি আজ তিনি পাকাপাকি ভাবে তাদের সাথেই থাকতে চলে গেছেন। ❤❤❤
•
Posts: 4,432
Threads: 6
Likes Received: 9,366 in 2,850 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,226
22-01-2022, 04:12 PM
(This post was last modified: 22-01-2022, 04:13 PM by Bumba_1. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
আসছে দিন সামলে নিন
সময়টা ২০২৩
*কেন্দ্রীয় সরকারের বদান্যতায় সব ব্যাঙ্ক প্রাইভেটে শিল্পপতিদের পরিচালনায়।*
*হাজার দুয়েক টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেবো বলে বাড়ি থেকে বেরোলাম। মাইল খানেক গিয়ে ব্রাঞ্চের সামনে সাইকেল রাখতেই সিকিউরিটি ইউনিফর্ম পরা এক ছোকরা একটা কাগজ হাতে ধরিয়ে দিলেন। হাতে নিয়ে দেখলাম, Bicycle Rs. 20। নীচে একটা ছোট্ট স্লোগান, 'Safe cycling, Safe Banking'। আমি একটু ইতস্তত করছি দেখে ছোকরা আস্তে করে, কার্ড সোয়াইপ মেশিনটা এগিয়ে দিল। আমি কার্ড বার করে সোয়াইপ করে এগোই। মোবাইলে ম্যসেজ এলো Rs. 20 has been debited from your account'। ঢোকার গেট বন্ধ, নো এট্রি’ স্টিকার সাঁটা। নীচেয় একটা তীর চিহ্ণ দিয়ে লেখা, ‘ইউজ লিফ্ট’। তীর বরাবর একটু এগোতেই লিফ্ট নজরে আসল। কিন্তু সুইচ টিপলেও খুললো না। সাথে সাথে লাল আলোয় ডিসপ্লে করলো, ‘প্লিজ ইনসার্ট ইওর ডেবিট কার্ড হিয়ার’। ডেবিট কার্ডটা বার করে ঢোকালাম। লিফ্ট এর দরজা সাথে সাথে চিচিং ফাঁক। সেই সাথে ডিসপ্লেতে ভেসে উঠলো, ‘Rs. 10 has been debited from your account'।*
*সোঁ করে উপরে উঠে গেলাম। গেটে দাঁড়িয়ে থাকা দারোয়ান জিজ্ঞেস করলো, “আপনার কি ‘ইনফো কার্ড’ লাগবে?” একটু অবাক হয়ে বললাম, “কেন? সেটা আবার কি?” সে বললো, নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাঙ্কের ডেস্কগুলো একটু পাল্টে গেছে ও কোনটি কোথায় আছে সেটা কোন বোর্ডে লেখা থাকবে না। তাই সেগুলো এখন কোথায় কোনটা আছে সেটা জানার জন্য ইনফো কার্ড লাগবে। আমি বললাম, ‘এ তো উদ্ভট নিয়ম’। সে মুচকি হেসে বললো, ‘সব তো দেশের ভালোর জন্য। আপনার কটা ইনফো কার্ড লাগবে?’ আমি ভেবে দেখলাম আমার শুধু জানার দরকার যে জমা দেওয়ার ফর্মটা কোথায় পাওয়া যাচ্ছে আর জমা দেওয়ার ডেস্কটা কোথায়। ‘দিন দুটো কার্ড দিন’। ‘কুড়ি টাকা দেবেন’। আবার কর্ড সোয়াইপ এবং মোবাইল ডিসপ্লে Rs. 20 has been debited from your account'।*
*কার্ড দুটি পেয়ে জমা ফর্ম যোগাড় করে পেন বার করে লিখতে যাবো, অমনি এক নিরাপত্তারক্ষী হনহন করে এসে বললেন, ‘এখানে বাইরের পেন অ্যালাও নেই’। ‘তো লিখব কি দিয়ে’? ‘ঐ কাউন্টার থেকে দশ টাকা দিয়ে পেন নিয়ে আসুন’। অগত্যা দশ টাকা খসিয়ে কাউন্টার থেকে পেন এনে একটা বসার সোফা দেখতে পেয়ে বসলাম। আর অমনি টি টি করে আওয়াজ শুরু হয়ে গেল। আবারও নিরাপত্তারক্ষী দৌড়ে এসে বললো, ‘কার্ড সোয়াইপ করে বসেননি’?*
*আমি বললাম, ‘মানে’? ‘দেখুন সোফার হাতলে একটা সরু POS লাগানো আছে। ওখানে আপনার ডেবিট কার্ডটা সোয়াইপ করে তারপর বসুন’।*
*একটু ভড়কে গিয়ে সোফায় আর বসার চেষ্টা না করে দাড়িয়ে দাড়িয়েই ফর্মটা ভর্তি করে সোজা জমা দেওয়ার কাউন্টারে চলে গেলাম। ফর্মটা ও টাকাটা হাতে নিয়েই কর্মীটি বললেন, ‘আর কুড়ি টাকা দিন’। ‘আমি তো দু হাজারই জমা দেব’। ‘না ওটা কাউন্টিং চার্জ’। ‘আগে তো কখনও লাগেনি’? ‘নতুন নিয়ম হয়েছে নোটের পরিমাণ পাঁচের কম হলে কাউন্টিং চার্জ লাগবে’। নিরুপায় হয়ে কুড়ি টাকা দিয়ে কাউন্টার ছাড়লাম।*
*এত সব কাণ্ডে জল তেষ্টা পেল। কয়েক হাত দূরে রাখা ‘ড্রিঙ্কিং ওয়াটার’ এর জার এর দিকে এগোতেই চোখে পড়লো একটা নতুন বোর্ড, ‘Drop money, drink drops’। তার ঠিক নিচে লেখা '1 glass@10'। খুব তেষ্টা পেয়েছিল তাই দশ টাকার কয়েন ফেলে এক গ্লাস জল খেলাম। ভাবলাম, জলযোগে তো কড়ি লাগলো। দেখে আসি জল বিয়োগে লাগছে কিনা! এগোলাম টয়লেটের দিকে। দেখলাম, টয়লেটের গেটে বড় বড় করে লেখা, 'Pay ten, use then'. একটু একটু পেয়েছিল বটে। দশের গল্প শুনে মনে হল বাড়ি গিয়েই করে নেব। কিন্তু তখনি আরেকটা ম্যাসেজ এসে ঢুকলো Rs. 50 has been debited from your account for cross your limit of card transaction in a month.*
হেই সামালো ভাইয়ো
দেশ যে বড়ই দ্রুত এগোচ্ছে
Posts: 3,689
Threads: 14
Likes Received: 2,572 in 1,404 posts
Likes Given: 2,044
Joined: Apr 2021
Reputation:
530
ব্যাঙ্কের নাম শুনলেই আমার রাগ হয়। বিগত চার পাচ বছর ধরে ব্যাঙ্কের গ্রাহক হওয়ার সুবাদে আমি ব্যাঙ্কের অত্যাচার সহ্য করছি। ব্যাঙ্ক যদি পুরোটাই প্রাইভেট হয়ে যায় তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ক্ষমতার হানী হবে। আর রিজার্ভ ব্যাংক যদি শেষ হয় তাহলে ভারতের অর্থনীতির পুরোটাই কিছু বিশেষ লোকের হাতে চলে যাবে। সরকার টেক্স নেবে, সেই টেক্স রাখা হবে প্রাইভেট ব্যাঙ্কে আর সেই প্রাইভেট ব্যাঙ্কের মালিক তখন bye bye see you
একটু বেশি কল্পনা দিয়ে ফেললাম মনে হচ্ছে
❤❤❤
•
Posts: 176
Threads: 0
Likes Received: 324 in 153 posts
Likes Given: 1,047
Joined: Jun 2021
Reputation:
38
(22-01-2022, 04:36 PM)Bichitravirya Wrote: ব্যাঙ্কের নাম শুনলেই আমার রাগ হয়। বিগত চার পাচ বছর ধরে ব্যাঙ্কের গ্রাহক হওয়ার সুবাদে আমি ব্যাঙ্কের অত্যাচার সহ্য করছি। ব্যাঙ্ক যদি পুরোটাই প্রাইভেট হয়ে যায় তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ক্ষমতার হানী হবে। আর রিজার্ভ ব্যাংক যদি শেষ হয় তাহলে ভারতের অর্থনীতির পুরোটাই কিছু বিশেষ লোকের হাতে চলে যাবে। সরকার টেক্স নেবে, সেই টেক্স রাখা হবে প্রাইভেট ব্যাঙ্কে আর সেই প্রাইভেট ব্যাঙ্কের মালিক তখন bye bye see you
একটু বেশি কল্পনা দিয়ে ফেললাম মনে হচ্ছে
❤❤❤
Interesting! পৃথিবীর ধনী দেশগুলোয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। এবং কোন সরকারী ব্যাঙ্ক নেই। তাহলে কি দেশগুলোতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঠুঁটো?
•
Posts: 176
Threads: 0
Likes Received: 324 in 153 posts
Likes Given: 1,047
Joined: Jun 2021
Reputation:
38
22-01-2022, 04:43 PM
(This post was last modified: 22-01-2022, 04:44 PM by surjosekhar. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
(22-01-2022, 04:12 PM)Bumba_1 Wrote: আসছে দিন সামলে নিন
সময়টা ২০২৩
*কেন্দ্রীয় সরকারের বদান্যতায় সব ব্যাঙ্ক প্রাইভেটে শিল্পপতিদের পরিচালনায়।*
করে নেব। কিন্তু তখনি আরেকটা ম্যাসেজ এসে ঢুকলো Rs. 50 has been debited from your account for cross your limit of card transaction in a month.*
হেই সামালো ভাইয়ো
দেশ যে বড়ই দ্রুত এগোচ্ছে
ভালো ফ্যান্টাসি গল্প।
•
Posts: 4,432
Threads: 6
Likes Received: 9,366 in 2,850 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,226
(22-01-2022, 04:36 PM)Bichitravirya Wrote: ব্যাঙ্কের নাম শুনলেই আমার রাগ হয়। বিগত চার পাচ বছর ধরে ব্যাঙ্কের গ্রাহক হওয়ার সুবাদে আমি ব্যাঙ্কের অত্যাচার সহ্য করছি। ব্যাঙ্ক যদি পুরোটাই প্রাইভেট হয়ে যায় তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ক্ষমতার হানী হবে। আর রিজার্ভ ব্যাংক যদি শেষ হয় তাহলে ভারতের অর্থনীতির পুরোটাই কিছু বিশেষ লোকের হাতে চলে যাবে। সরকার টেক্স নেবে, সেই টেক্স রাখা হবে প্রাইভেট ব্যাঙ্কে আর সেই প্রাইভেট ব্যাঙ্কের মালিক তখন bye bye see you
একটু বেশি কল্পনা দিয়ে ফেললাম মনে হচ্ছে
❤❤❤
কার ক্ষমতা কমবে, কার ক্ষমতা বাড়বে, কে বিদেশে 'বাই বাই সি ইউ' করে চলে যাবে .. আমি জানিনা। এটাতো নিছক একটা গল্প, কিন্তু এইরকম যদি ভুলেও সত্যি হয় তাহলে নিম্নবিত্ত গ্রাহকদের পক্ষে ব্যাঙ্কে টাকা রাখা আর সম্ভবপর হবে না .. এ কথা সত্যি।
•
Posts: 176
Threads: 0
Likes Received: 324 in 153 posts
Likes Given: 1,047
Joined: Jun 2021
Reputation:
38
(22-01-2022, 05:07 PM)Bumba_1 Wrote: কার ক্ষমতা কমবে, কার ক্ষমতা বাড়বে, কে বিদেশে 'বাই বাই সি ইউ' করে চলে যাবে .. আমি জানিনা। এটাতো নিছক একটা গল্প, কিন্তু এইরকম যদি ভুলেও সত্যি হয় তাহলে নিম্নবিত্ত গ্রাহকদের পক্ষে ব্যাঙ্কে টাকা রাখা আর সম্ভবপর হবে না .. এ কথা সত্যি।
তা বোধহয় না। এই প্রাইভেট ব্যাঙ্করাই কিন্তু মাইক্রোফিনান্সে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। নিম্নবিত্ত ব্যাঙ্কিং ভলিউম ইগ্নোর করা মূর্খামি।
•
Posts: 3,689
Threads: 14
Likes Received: 2,572 in 1,404 posts
Likes Given: 2,044
Joined: Apr 2021
Reputation:
530
(22-01-2022, 04:42 PM)surjosekhar Wrote: Interesting! পৃথিবীর ধনী দেশগুলোয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। এবং কোন সরকারী ব্যাঙ্ক নেই। তাহলে কি দেশগুলোতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঠুঁটো?
আমি এখানে আমার স্বভাবের জন্য সবচেয়ে বেশি কুখ্যাত। কয়েক দিন আগে হলে এর জবাব দিতাম এবং একটা তর্ক সভা তৈরি হতো। এখন এইসবের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি।
❤❤❤
Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,964 in 27,777 posts
Likes Given: 23,840
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
কারা এবং কেন এতো likes দেয় , খেয়ালই করিনি ... এই দুদিন আগে দেখলাম ৬০০০ , এখন দেখছি ৮৩০০ ..
সামনে আর পেছনে গার্ড পরে থাকতে হবে এবার থেকে ...
Posts: 3,689
Threads: 14
Likes Received: 2,572 in 1,404 posts
Likes Given: 2,044
Joined: Apr 2021
Reputation:
530
(22-01-2022, 06:18 PM)ddey333 Wrote: কারা এবং কেন এতো likes দেয় , খেয়ালই করিনি ... এই দুদিন আগে দেখলাম ৬০০০ , এখন দেখছি ৮৩০০ ..
সামনে আর পেছনে গার্ড পরে থাকতে হবে এবার থেকে ...

তাহলে এবার কান্নাকাটি করাটা বন্ধ করুন
❤❤❤
Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,964 in 27,777 posts
Likes Given: 23,840
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
একটা হাতি মরার পর যমালয়ে গেছে..._*?
????????????
*_যমরাজ তাকে শুধোচ্ছেন , " হ্যা রে !_*
*_তোকে এত বড় একটা প্ৰকাণ্ড শরীর দিয়ে পাঠানো হল , আর তুই মানুষের বশ হলি কী করে ? তোর একটা পায়ের সমান মানুষ , সেই ছোট্ট মানুষটা তোকে বশ করে নিল ? ”_*
_হাতি বলল , “ ধর্মরাজ ! মানুষ এমনই এক জাত__যে আমার চেয়েও বড় বড় প্ৰাণীকে সে বশ করে নেয়।_
_ধৰ্মরাজ বললেন , “ আমার এখানে তো কতই না মানুষ আসে। কই , তাদের দেখে তো এমন মনে হয় না। ”_
_হাতি বলল , “ ধর্মরাজ! আপনার এখানে তো তারা আসে মরার পরে। যদি জীবন্ত মানুষ আসত তো বুঝতে পারতেন। ”_
_ধৰ্মরাজ দূতকে বললেন , “ যা তো , একজন জীবন্ত মানুষ এখানে নিয়ে আয়।_
_যমদূত বলল , “ জী হুজুর এখনি যাচ্ছি। ”_
_দূত পৃথিবীতে বিচরণ করতে করতে এক জায়গায় দেখল গরমে ছাদের উপরে খাটে একটা লোক ঘুমাচ্ছে সে তখন খাট সমেত লোকটাকে কঁধে তুলে নিয়ে যমালয়ের দিকে রওনা হল।_
_মাঝপথে লোকটাের ঘুম ভেঙে গেল। দেখল ,“ অদ্ভুত ব্যাপার_ কেউ তাকে শূন্যে তুলে নিয়ে
যাচ্ছে !_
_লোকটা ছিল এক কায়স্থ , বইটই লিখত। বইতে যমদূতের যে সকল লক্ষণ লেখা আছে , সেইরকম দেখে সে বুঝল , এ নির্ঘাৎ যমদূত। আমাকে তাহলে যমালয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সে তখন পকেট থেকে তাড়াতাড়ি কাগজ - কলম বার করে খচখচ করে কী সব লিখেই কাগজটা পকেটে পুরে নিল। তারপর চুপচাপ খাটের উপর মটকা মেরে পড়ে রইল। ভাবল চিৎকার - চেঁচামেচি করলে পড়ে গিয়ে হাড়গোড় ভাঙবে। দেখা যাক কী হয়।_ _সকাল হতে না হতেই দূত যমালয়ে পৌছে গেল।_
_ধৰ্মরাজের সভা সবে মাত্ৰ আরম্ভ হয়েছে। দূত গিয়ে সেখানে খাট নামাল। কায়স্থ চট করে উঠেই পকেট থেকে একটা কাগজ বার করে দূতের হাতে দিল ধৰ্মরাজকে দেবার জন্য।_ _সেই চিরকুট ভগবান বিষ্ণুর নামে লেখা হয়েছিল। দূত কাগজটি ধৰ্মরাজের হাতে দিলে ধৰ্মরাজ সেটি মন দিয়ে পড়লেন। তাতে লেখাছিল ----------_
_“ প্রিয় ধৰ্মরাজ! আপনাকে জানানো হচ্ছে যে , এই পত্ৰবাহক আমার একান্ত - সচিব। একে আপনার কাছে পাঠালাম। একে দিয়ে আপনি যাবতীয় কাজ করাবেন।_
_ইতি -----_
_নারায়ণ , বৈকুণ্ঠপুরী। ”_
_লেখা পড়েই ধৰ্মরাজ তড়াক করে গদি থেকে উঠে এসে কায়স্থকে বললেন , “ আসুন মহারাজ! সিংহাসনে বসুন। ”_
_কালবিলম্ব না করে কায়স্থ ধৰ্মরাজের সিংহাসনে গিয়ে বসল। ততক্ষণে দূত একটা লোককে নিয়ে এসে সভায় হাজির করল।_
_কায়স্থ বলল , “ এ কে ? ”_
_দূত জানায় , “ হুজুর ! এ একটা ডাকাত। বহু লোকের সর্বনাশ করেছে , বহু লোককে হত্যা করেছে। এর কী দণ্ড হবে ? ”_
_কায়স্থ বলল , “ একে স্বৰ্গে পাঠিয়ে দাও। ”_
_তারপর আর একজনকে উপস্থিত করা হল।_
_কায়স্থ জিজ্ঞাসা করল , “ এ কে ? "_
_দূত বলল , “ এ একজন দুধওয়ালা, দুধে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করত। সেই ভেজাল দুধ খেয়ে বহু ছোট ছোট শিশু পেট ফুলে মারা গেছে। এর কী শাস্তিবিধান হবে ? ”_
_কায়স্থ বলল , “ একেও স্বৰ্গে পাঠিয়ে দাও। ”_
_ততক্ষণে আরেকজন উপস্থিত হল ।_
_কায়স্থ জিজ্ঞাসা করল , “ এ কে ? "_
_দূত , “ হুজুর এ মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে বহু বেচারিকে ফাঁসিয়েছে। একে কী করব ? ”_
_কায়স্থ বলল , “ জিজ্ঞাসা করছ কী! সব স্বৰ্গেই পাঠিয়ে দাও। ”_
_এরপরও ব্যভিচারী , পাপী , হিংসুটে যত রকমের দুষ্ট থাকতে পারে সব একে একে এল , আর সবাইকার জন্য ওই একই হুকুম হল ‘স্বৰ্গেই পাঠিয়ে দাও। ”_
_ধৰ্মরাজ আর কী করবেন! সিংহাসনে বসে বিষ্ণুর একান্ত সচিব যা বলছেন তাই মেনে নিতে হবে।_
_ওদিকে স্বৰ্গে তো লাইন পড়ে গেছে।_
_দেখে ভগবান ভাবছেন , একি কাণ্ড ! এত লোক কোথা থেকে আসছে ? পৃথিবীতে কী তবে কোনো মহাত্মার আবিৰ্ভাব হল নাকি ? লোকে দল বেঁধে স্বৰ্গে হাজির হচ্ছে।_
_ভগবান দেখলেন , সব যমালয় থেকে উঠে আসছে। নারায়ণ তখন নিজেই যমালয়ে গেলেন। নারায়ণকে দেখে সবাই উঠে দাঁড়াল।_
_যমরাজ উঠে দাঁড়ালেন , আর ওই কায়স্থও উঠে দাঁড়াল।_
_নারায়ণ জিজ্ঞাসা করলেন ,_ _ধৰ্মরাজ! আপনি সবাইকে স্বৰ্গে_ পাঠিয়ে দিচ্ছেন , _ব্যাপার কী ?_
_এত লোক ভক্ত হয়ে গেল নাকি ?_
_ধৰ্মরাজ বললেন , ‘' প্ৰভু ! এ কাজ আমি করিনি। আপনি যে লোক পাঠিয়েছেন , এ তারই কাজ।”_
_ভগবান নায়ায়ণ বললেন , “ আমি আবার কবে লোক পাঠালাম ? ”_
_তিনি কায়স্থকে জিজ্ঞাসা করলেন , “ তোমাকে কে পাঠিয়েছে ? ”_
_কায়স্থ বলল , “ প্ৰভু ! আপনি পাঠিয়েছেন। ”_
_ভগবান নারায়ণ অবাক হয়ে বললেন , “ আমি কবে পাঠালাম হে..! ”_
_কায়স্থ বলল , “ প্ৰভু ! এখানে আসা আমার বাপের সাধ্য কী যে আসব। আপনিই তো আমাকে পাঠিয়েছেন। আপনার ইচ্ছা ছাড়া কি কোনো কাজ হতে পারে ? এ কি আমার শক্তিতে হয়েছে ? ”_
_নারায়ণ বললেন , “ তা ঠিক আছে ! কিন্তু তুমি এ কী করছ ? "_
_কায়স্থ বলল , “ কী করেছি প্ৰভু ? ”_
_নারায়ণ বললেন , “ তুমি যে সবাইকে স্বৰ্গে পাঠিয়ে দিয়েছ ? "_
_কায়স্থ বলল , “ যদি স্বৰ্গে পাঠানো অন্যায় হয়ে থাকে তবে যত সাধু , সন্ত , মহাত্মা আছে সবাইকেই দণ্ড দিতে হয়। আর যদি আমি ঠিক করে থাকি , তবে আর কৈফিয়ৎ কিসের ? এতে যদি আপনার মত না থাকে তো সবাইকে ফেরত পাঠিয়ে দিন। "_
_তবে শ্ৰীমদ্ভগবদগীতায় আপনার যে বাণী লেখা আছে তা কেটে ফেলতে হবে —_
_“ যদ গত্বা ন নিবৰ্তন্তে তদধাম পরমং মম ”।। (গীতা ১৫ । ৬)_
_অর্থাৎ আমার ধামে পৌছে কেউ ফিরে আসে না।_
_নারায়ণ বললেন , ‘' কথা তো ঠিক ! যত বড়ই পাপী হোক না কেন যদি স্বৰ্গে অর্থাৎ বৈকুণ্ঠধাম যায় তবে ফিরে আসেন না। তার সমস্ত পাপক্ষয় হয়ে যায়। কিন্তু এ কাজ তুমি কেন করলে ? ”_
_কায়স্থ বলল , “ আমি তো ঠিক কাজই করেছি প্ৰভু! আমার কাছে যে আসবে আমি তাকেই স্বৰ্গে পাঠিয়ে দেব। আমি কাউকে দণ্ড দেব না। আমি জানি , অল্প সময়ের জন্য সিংহাসন পেয়েছি , তো ভালো কাজ কেন করব না? মানুষকে উদ্ধার করা কি খারাপ কাজ ?_
_নারায়ণ যমরাজকে বললেন , ‘' ধৰ্মরাজ! আমি বুঝতে পারছিনা , একে আপনি সিংহাসনে বসালেন কী কারণে? ’'_
_ধৰ্মরাজ বললেন , ‘' প্ৰভু ! আপনার লেখা চিরকুট আমার কাছে রয়েছে। ওতে আপনি স্পষ্ট করে এই নিৰ্দেশ দিয়ে তাকে পাঠিয়েছেন। ”_
_ভগবান কায়স্থকে জিজ্ঞাসা করলেন , “ ওহে , তোমাকে আবার চিরকুট দিয়ে কখন পাঠালাম আমি ? ”_
_কায়স্থ বলল , “ আপনি শ্ৰীমদ্ভগবদগীতায় বলেছেন -----_
_"সর্বস্য চাহং হৃদিসন্নিবিষ্টং "।। ( গীতা ১৫/৭ )_
_অর্থাৎ , আমি সকলের হৃদয়ে বাস করি ।_
_অতএব হৃদয় থেকে আদেশ এসেছে কাগজে লিখে দাও , তাই কাগজে লিখে দিয়েছি। আদেশ তো আপনারই। যদি এটা আপনি আমার কথা মনে করেন তো গীতা থেকে ওই কথাগুলো বাদ দিয়ে দিন।_
_নারায়ণ বললেন , “ ঠিক কথা। ”_
_তিনি ধৰ্মরাজকে প্রশ্ন করলেন ,_ _" ওহে ধৰ্মরাজ! ব্যাপার কী ! এই জীবন্ত মানুষ_ _এখানে এল কী__করে ? ”_
_ধৰ্মরাজ দূতকে জিজ্ঞাসা করলেন , " যমালয়ে জীবন্ত মানুষ নিয়ে এলি কেন ? "_
_দূত বলল , " ধৰ্মরাজ! আপনিই তো একদিন বলেছিলেন একটা জীবন্ত মানুষ নিয়ে আসার জন্য। "_
_ধৰ্মরাজ বললেন , “ এই সেই লোক নাকি ! আরে , সবকিছু বলবি তো !_
_দূত বলল , “ আমি কী বলব মহারাজ ! আপনিই তো কাগজটা নিলেন আর একে সিংহাসনে_
_বসিয়ে দিলেন। তাই আমি আর কিছু বলার_সাহস পাইনি। ”_
_হাতিটা কিন্তু ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছিল।_
_সে যমরাজকে বলল , “ হুজুর , আপনি বলেছিলেন আমি কী করে মানুষের বশ হলাম ; এখন দেখছি আপনি এবং ভগবান নারায়ণও স্বয়ং মানুষের বশ হয়ে গেছেন। এই কালো চুলওয়ালা মানুষ খুব সাংঘাতিক মহারাজ !_ _এ যদি মনে করে সব ওলোট-পালট করে দিতে পারে। কিন্তু এতো নিজেই সংসারে ফেঁসে আছে। ”_
_ভগবান বললেন , “ এখন যা হবার হয়ে গেছে , কী আর করা যাবে! হে মানব, তুমি এবারে ফিরে যাও।”_
_কায়স্থ বলল , “ প্ৰভু গীতায় আপনি বলেছেন ,_
_" মামুপেত্য তু কৌন্তেয় পুনৰ্জন্ম ন বিদ্যতে ”।। (গীতা ৮ । ১৬)_
_অর্থাৎ , আমাকে পাবার পর পুনরায় আর জন্ম নিতে হয় না।_
_তাহলে এখন বলুন আপনাকে কী আমি পাইনি !_
_ভগবান বললেন , “ আচ্ছা আচ্ছা ! তুমি চলো আমার সঙ্গে। ”_
_কায়স্থ বলল , “ প্ৰভু! কেবল আমিই যাব ? ওই হাতি বেচারা এখানেই থাকবে ? এর কৃপাতেই তো আমি এখানে এসেছি। একেও তাহলে সঙ্গে নিই প্ৰভু !_
_হাতি বলল , “ প্ৰভু ! আমার অনেক স্বজাতি_
_এখানে নরক ভোগ করছে , তাদেরও তবে সঙ্গে নিয়ে নিন।"_
_ভগবান নারায়ণ বললেন , “ চল তবে ! সবাইকেই নিয়ে চল। ”_
_যমালয়ে ভগবানের আসার ফলে হাতির মঙ্গল হল , কায়স্থেরও মঙ্গল হল অন্য সকলেরও মঙ্গল হল।_
*_এটি কল্পিত গল্প। কিন্তু এর তাৎপৰ্য খুব গভীর অৰ্থবহ। কোনো অধিকার যদি পাও তবে তা দিয়ে সকলের মঙ্গল করো, যতটা পার ভালো করো। নিজের দিক থেকে কারো কোনো মন্দ করো না , কাউকে দুঃখ দিও না।_*
*_#_গীতার_বাণী_*
_" সৰ্বভূতহিতে রতাঃ ''।। (গীতা ৫ । ২৫ , ১২ । ৪)_
*_“ অর্থাৎ জীব মাত্রেরই মঙ্গল চিন্তা করো।_*
*_অধীকার , পদ ইত্যাদি কিছু দিনের জন্য পাওয়া গেছে, চিরকাল থাকবেì না। সুতরাং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো। "_*
*সংগৃহীত*
Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,964 in 27,777 posts
Likes Given: 23,840
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
যখন পুরুষও কেঁদে ওঠে.....
একজন প্রজ্ঞাময় বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, পুরুষ কি কাঁদে?
তিনি জবাব দিয়েছিলেন, হ্যা, পুরুষ কাঁদে, অবশ্যই কাঁদে।
যে প্রশ্ন করেছিল সে অবাক হয়ে বললো, পুরুষও কাঁদে? কখন? কিভাবে? কি এমন কারণ থাকতে পারে, যাতে করে পুরুষ কেঁদে উঠবে?
বৃদ্ধ বললেন,
পুরুষ কাঁদে, যখন তার মায়ের মত আপন মানুষগুলো এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়,
পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার বাবা মা দুজনকেই হারায়,
পুরুষ কাঁদে, যখন তার সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে,
পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার মেয়ের বিয়ে দেয়,
পুরুষ কাঁদে, যখন তার অকৃতজ্ঞ একগুঁয়ে সন্তান তাকে সবার সামনে অপমান করে,
পুরুষ কাঁদে, যখন সে বুঝতে পারে সে আসলে কি ভীষণ অসহায়, জীবন যুদ্ধ তাকে কিভাবে গোলাম বানিয়ে রেখে দিয়েছে,
পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার ভালবাসার মানুষগুলোর ভরণ পোষণ করতে ব্যর্থ হয়, তাদের সামান্যতম সখগুলোও সে যখন আর মিটাতে পারে না,
পুরুষ কাঁদে, যখন সে তার নিজের মা, মাটি আর দেশ থেকে অনেক দূরে, ভালবাসার মানুষগুলোকে একটু ছুঁতেও পারে না, একটু আদরও করতে পারে না,
হ্যা, পুরুষ কাঁদে, কিন্তু... সে তখনই কাঁদে,
যখন সে আঁধারের অতলে...
যখন ঝুম বৃষ্টি নামে...
যখন তার পাশে বালিশটা ছাড়া আর কেউই নেই...
পুরুষের সেই অশ্রু তার চোখের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে না, যা অন্য কেউ দেখে ফেলবে,
পুরুষের অশ্রু বেরিয়ে আসে তার হৃদয়ের গহীন থেকে, কখনো সেটা একটা দীর্ঘশ্বাস, কখনো বিস্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা,
পুরুষের অশ্রুতে তার চামড়ায় ভাঁজ পড়ে, চুল দাড়ি পেকে যায়, তার হাত দু'টো কেঁপে কেঁপে ওঠে।
এতটুকু বলে সেই বৃদ্ধ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না, নিজেই কেঁদে উঠলেন তিনি, বললেন,
হ্যা রে মা, ঠিক এভাবেই পুরুষ মানুষ কেঁদে ওঠে, কাঁদতে থাকে।I
Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,964 in 27,777 posts
Likes Given: 23,840
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
•
Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,964 in 27,777 posts
Likes Given: 23,840
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
#ভালোবাসার_বিবর্তন
সে অনেকদিন আগেকার কথা। শীতকালে তখন সদ্য সদ্য বিয়ে করেছি। বিয়ের পরেই গায়ে এতো পুলক লাগল যে ক্রিম মাখা ছেড়ে দিলাম। মনে প্রানে হিল্লোলের বাতাস, গ্রীষ্ম কালেও ফ্যান লাগছে না।
রান্নাঘরে তখন একসাথে হাতে হাত লাগিয়ে আমরা দুজনে রান্না করতাম। বউ খুন্তি নাড়ছে তো আমি হাতা নাড়ছি। পরসস্পরের দিকে মাঝে মাঝে চেয়ে দেখছি। বউ লজ্জা পেয়ে মুখ নামিয়ে নিচ্ছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে "আঁখো কি গুস্তাখিয়া...." আমি আবার হাতা নাড়াতে কনসেনট্রেট করছি। গরম তেলে বউ পেয়াঁজকুচি দিতে যাচ্ছে, আমি বললাম, সাবধানে দিও, তেল ছিটকে লাগলে ফোস্কা পড়ে যাবে। পেঁয়াজ দেওয়া হলে আমি বউয়ের মুখের দিকে চেয়ে দেখলাম--ঘর্মাক্ত মুখ। তোমার মনে হয় গরম লাগছে। টেবিল ফ্যানটা চালিয়ে দেব। বউ বলল, না থাক, ও সামান্য গরমে কিচ্ছু হবে না। তুমি বরং একটু টিভি দেখো। IPL চলছে তো। আমি বললাম, চলুক। তুমি একা একা রান্নাঘরে পচে মরবে আর আমি ঘরে বসে ফ্যান চালিয়ে tv দেখব! ভাবলে কী করে!
এসব কথা হতে গিয়ে পেয়াঁজ গেল পুড়ে। বউ বলল, ইস, পেয়াঁজ যে পুড়ে গেল। আমি বললাম, আরে হতেই পারে। আমি পেয়াঁজগুলো ফেলে দিয়ে কড়াই ধুয়ে দিচ্ছি।
বউ বলল, কিন্তু আর যে পেয়াঁজ নেই। তুমি আলুসেদ্ধ কী দিয়ে মাখিয়ে খাবে?
আমি বললাম, তুমি পারবে তো?
বউ বলল, আমার কাঁচা তেল নুন দিয়ে মাখিয়ে খেতে কোন অসুবিধা নেই।
আমি বললাম, আমারও অসুবিধা নেই।(যদিও কাঁচা তেল পেয়াঁজ দিয়ে আলুসেদ্ধ আমার অখাদ্য লাগে)
কড়াইটা বেসিনে নামাতে গিয়ে স্ল্যাবে রাখা একটা কাপে ধাক্কা খেয়ে কাপটি গেল মেঝেয় পড়ে।
আমি আঁতকে উঠে বললাম, সরি গো।
বউ বলল, ধুর এতে সরি বলার কী আছে। কাজ করতে গেলে এরকম একটু আধটু জিনিস তো ভাঙবেই। তুমি সরো, আমি পরিষ্কার করে দিচ্ছি। আমি বললাম, না সোনা, তোমার নরম তুলোর মতো আঙ্গুল, তুলতে গিয়ে কেটে যেতে পারে।
বউ বলল, ঠিক আছে, সাবধানে পরিষ্কার কোরো।
বউ ঝাঁটা নিয়ে এলো। আমি ঝাঁট দিয়ে কাপের ভাঙা টুকরোগুলো এক জায়গায় আনালম। এরপর হাত দিয়ে খুব সাবধানে টুকরোগুলো একটা কাগজের উপর রাখতে গিয়ে, একটা টুকরো আঙুলে ফুটে গেল। যেমনি ফুটল, ওমনি ফিনকি দিয়ে রক্ত শুরু হল। বউ রক্ত দেখে আউচ করে উঠল, যেন ওর হৃদয়ে কাপের টুকরো বিঁধল।
পুরোনো দিনের সিনেমার নায়িকাদের মত বউ আমার আঙ্গুল মুখে পুড়ে চুষতে যাবার উপক্রম করলে আমি বাধা দিলাম। বললাম, এসব কী করছ! বেরিয়ে যাওয়া রক্তে কত জার্ম থাকে তুমি জানো?
বউ বলল, কিন্তু রক্ত তো থামছে না।
এই বলেই বউ আমার হাত ধরে বেসিনের সামনে আঙ্গুল রেখে ট্যাপ কল চালিয়ে দিল। জল পড়ছে, আমরা পরস্পর চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। জল পড়ছে, ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে, "চোখে চোখে কথা বল, মুখে কিছু বলনা। মন নিয়ে খেলা করো, এ কি ছলনা।"
*
তারপর অনেক দিন কেটে গেছে। ভালোবাসা আর আগের মত নেই, তবে ফিকে হয়ে যায়নি, শুধু কালের নিয়মে বিবর্তিত হয়েছে।
এখন আমি রান্নাঘর এড়িয়ে চলি।
একদিন রান্নাঘর থেকে বউয়ের চিল চিৎকার শোনা গেল। উৎসুক হয়ে গিয়ে দেখলাম, গোটা ঘরময় সর্ষের তেল ছড়ানো। আমি চট করে হিসেব করে দেখলাম প্রায় ত্রিশ চল্লিশ টাকার তেল নষ্ট হয়েছে, মানে 600 ml কোল্ড ড্রিংকসের দাম।
আকাশ দিকে তাকিয়ে কাজ করলে এরকমই হবে, ঠোঁটের কোণে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি এনে আমি বললাম।
বউ ততোধিক গলা চড়িয়ে বলল, মুড়িতে তেল নিয়ে ঢাকনা হালকা করে লাগিয়ে রাখাটা তোমার স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
---মানে? কী বলতে চাও?
---তোমার জন্যই তেল পড়েছে। পরিষ্কার করো এবার।
শুনেই তো আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল।
ঝগড়া ঝামেলা করে কোন লাভ হল না। বউ প্রমান করেই ছাড়ল যে, আমার দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্যই তার হাত থেকে তেল পড়েছে। অতএব আমাকেই পরিষ্কার করতে হবে। IPL দেখছিলাম। রাসেল ক্যালাচ্ছিল। আমি বললাম, রাসেলের ব্যাটিংটা দেখে পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
বউ বলল, বলি রাসেল-ভাজা দিয়ে ভাত খাবে না মাছ-ভাজা দিয়ে ভাত খাবে?
আমি মনে মনে ভাবলাম, এক মাঘে তো আর শীত যায় না। আমারও দিন আসবে। আমার হাত থেকে কিছু জিনিস পড়ে নষ্ট হলে আমিও তোমাকে দায়ী করব।
কিছুদিন পরেই এরকম একটি ঘটনা ঘটে গেল। রান্নাঘরে কী একটা নিতে গিয়ে স্ল্যাবে রাখা পাঁচটি ডিমের মধ্যে একটি ডিম মেঝেতে পড়ে গেল। ব্যাস আর যায় কোথায়। শুরু করে দিলাম চেঁচাতে।
কবে যে বোধ বুদ্ধি হবে কে জানে! বলি কোন জিনিসটি কোথায় রাখতে হয় সেটা আর কবে শিখবে?
বউ সিরিয়াল দেখতে দেখতে রান্নাঘরে এসে জিজ্ঞাসা করল, এমন হাঁড়লের মত চিৎকার করছ কেন?
আমি মেজাজ নিয়ে তারই টেকনিকে বললাম, এটা ডিম রাখার জায়গা?
বউ ভ্রু কুঁচকে বলল,
ওহে নিউটনের নাতি, ভালো করে স্মরণ করে দেখ তো কে রেখেছে?
আমার তো স্পষ্ট মনে পড়ছে এটা শেক্সপিয়ারের নাতনির কাজ।
শেষমেশ অনেক চিৎকার চেঁচামেচি বাগবিতণ্ডার পর আমার একটু একটু মনে পড়তে লাগল, এই বেকুবের মত কাজটা অধমেরই করা। কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থন আদায়ের জন্য বললাম, ঠিক আছে তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আমিই রেখেছি কিন্তু তোমার তো সরিয়ে রাখা উচিত ছিল। না, তাতে বিশেষ কোন কাজ হল না। বউ কোথা থেকে ছেঁড়া ন্যাকড়া নিয়ে হাজির। আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, পরিষ্কার করে ফেলো।
কী আর বলব আপনাদেরকে, মেয়ের পটি পরিষ্কার করতে এত কষ্ট করতে হয়নি যতটা ভেঙে যাওয়া ডিম পরিষ্কার করতে হল। পরিষ্কার তো হল কিন্তু একটা আঁশটে গন্ধ কিছুতেই যাচ্ছে না। ফিনাইল দিয়ে সেটা দূর করলাম। মিনিট পনের পর উনি রান্নাঘর পরিদর্শনে এলেন। নাক দিয়ে প্রথমে শুঁক শুঁক করে শুঁকলেন। কোন গন্ধ পেলেন না। এরপর ডিম ভাঙার জায়গায় হাঁটু গেড়ে বসে মাটি থেকে ইঞ্চি খানেক তফাতে নাক নিয়ে গিয়ে শুঁকে বললেন, গন্ধ আসছে।
এক বোতল কেরোসিন ঢালবো? আমি অম্লান বদনে জিগ্গেস করলাম।
প্রত্যুত্তরে কোন উত্তর এলো না। কিন্তু চোখের চাহনি ভালো ঠেকলো না। অগত্যা আবার ফিনাইল দিয়ে ন্যাকড়া ঘষতে লাগলাম। ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে, "লেগেছে লেগেছে লেগেছে
লেগেছে লেগেছে লেগেছে আগুন
তুম তানা নানা নানা
আয় তোরা দেখে যা না।"
পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। সেই নতুন নতুন বিয়ে হবার পর কাপ ভাঙার দৃশ্য মনে করে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে এলো। উফ, কী সব দিন ছিল তখন! চোখে চোখে কতই না কথা হত আমাদের। এখন আর চোখে চোখে কোন কথা হয় না, যা হয় মুখে মুখেই হয়।
•
|