Thread Rating:
  • 114 Vote(s) - 2.66 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
কিছু মনের সত্যি কথা
*বাঁচতে শেখা*


"কিপটে বুড়ি, আমি আর কাজ করবো না তোমার বাড়িতে । হাড়-মাস জ্বালিয়ে খেল, নতুন বছরে দুশো টাকা মাত্র বোনাস চাইছি, তাও দেবে না ! ওই টাকা নিয়ে তুমি কি স্বর্গে যাবে ? তিন কুলে তো কেউ নেই ? কী করবে ওই টাকা দিয়ে তুমি ?" 

"দরকার হলে, রাস্তার ভিখিরিদের দান করে দেব তবু এগারোশো টাকা মাইনের এক পয়সা বেশি পাবি না, এই বলে রাখলাম ।"

"এই শেষ, নাক-কান মুললাম, তোমার বাড়িতে যদি আর কাজে আসি তবে নাম বদলে দিও ।চললাম আমি ।"

এই নিয়ে প্রায় বার চল্লিশেক কাজ ছেড়েছে টুম্পা । প্রত্যেক বারই আর না আসার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে চলে গেছে, কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর, খুব বেশি হলে দুপুর ছেড়ে বিকেল, এই হল তার রাগের সীমারেখা । বহু চেষ্টা করে একবার সন্ধ্যে ছয়টা অবধি আসেনি সে, কিন্তু  সাড়ে ছয়টায় মৃণালিনী দেবীর একটা ওষুধ আছে । তাই আবার সে ছুটতে ছুটতে গ্যাছে । ওই ওষুধ না খেলে বুড়ি সারা রাত দু-চোখের পাতা এক করতে পারবে না । 
মৃণালিনী ভবনের এই মস্ত প্রাসাদের মতো বাড়িটার বিশাল গেটটা ঠেলে প্রতিদিনের মতো ভিতরে ঢোকে টুম্পা । তার শরীরে সকালের ঝগড়ার কোন রেশ নেই আর । ঘরে ঢুকেই একেবারে দিদিমনির কায়দায় শাসন শুরু করে দেয় সে -
"এই বুড়ি, দুপুরে খেয়েছো ?"
- "না খেয়ে কি তোর জন্যে বসে থাকবো মুখপুড়ি ? আসতে এত দেরি হলো যে ? সিরিয়ালের প্রথম পার্টটা তো হয়েই গেল ।"
- "সে হোক গে, ওষুধ খেয়েছো ?"
- "না ।"
- "দেখলে, একদিন একটু দেরিতে এসেছি অমনি অনিয়ম শুরু ।"
- "এই, মেলা জ্ঞান দিস না তো । বক্ বক্ না করে মুড়ি চানাচুরটা মেখে নিয়ে আয় দেখি । কুচি কুচি করে পিঁয়াজ দিস আর হ্যাঁ, একটা কাঁচা লঙ্কা চিরে আনবি ।"
- "খালি হুকুম আর হুকুম । এই নাও ওষুধ, গিলে আমায় শান্তি দাও ।"
- "হুম, আমি গেলে তুই তো শান্তিই পাস । বুড়ি মরলে তোকে দেখবে কে রে মুখপুড়ি ?"
- "ও নিয়ে তোমায় ভাবতে হবে না, আমাকে দেখার লোক অনেক আছে ।"
- "কেন রে প্রেম টেম করছিস নাকি ? বলিস নি তো !"
- "থামবে তুমি ?"

চলতে থাকে তাদের আবোলতাবোল বক বক । প্রতিদিন প্রায় এভাবেই সন্ধ্যে কাটে দু-জনের । দিন শুরু হয় ঝগড়া দিয়ে, শেষও হয় ঝগড়া দিয়ে । মাঝে লেগে থাকে এক রাশ অভিমান, আবদার, অভিযোগ আর খুনসুটি । দুজনের বয়সের পার্থক্য কম করে হলেও পঞ্চাশ-বাহান্ন হবে, অথচ বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে দুই বান্ধবী বসে ছেড়া পুতুলের মুন্ডু নিয়ে ঝগড়া করছে । 

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ! দু-জনের ভাগ্য বোধহয় ঈশ্বর একই কলমে লিখে ছিলেন । টুম্পার স্বামী বিয়ের দেড় বছরের মাথায় তাকে ছেড়ে সৌদি আরব চলে যায় । আজ প্রায় সাত বছর হয়ে গেছে আর ফেরেনি সে । গত কয়েক বছর হলো টুম্পা অপেক্ষা করাও ছেড়ে দিয়েছে  । উত্তর প্রদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে 'গুতেল মুন্সি' নামের এক দূর সম্পর্কের কাকু তাকে কলকাতায় নিয়ে আসে মাত্র দুই বছর বয়সে । তাই উত্তর প্রদেশের গ্রামের বাড়ি অথবা তার নিজের মা-বাবার মুখও মনে নেই তার । এবং না থাকাটাই স্বাভাবিক । 
গুতেল মুন্সি মদ খেয়ে খেয়ে নিজের শরীরটাকে শেষ করে ফেলেছিল, তাই  কেউ আর তাকে কাজে নিতে চাইতো না । তাই খুব ছোট বয়স থেকেই এর ওর বাড়িতে কাজ করে, দু দুটো পেট চালাতে হতো টুম্পাকে । তারপর হঠাৎ একদিন রাত তিনটের দিকে খবর এলো তার ভিটেমাটির একমাত্র সাক্ষী, তার ওই গুতেল কাকু মদ্যপ অবস্থায় লরির নীচে পরে পার্থিব কষ্ট থেকে মুক্তিলাভ করেছে । খুব কেঁদেছিল সেদিন টুম্পা, যাও বা কিছু মাত্র শিকড় ছিল তাও সমূলে উপড়ে গেল । এবার সে সম্পূর্ণ উদ্বাস্তু হয়ে গেল । উত্তরপ্রদেশের কোথায় তার বাড়ি ? কে তার মা-বাবা ? কিছুই যে জানে না সে । 

অপর দিকে মৃণালিনী দেবীর স্বামী এলাকার বিখ্যাত উকিল উপেন স্যান্যাল, অগাধ সম্পত্তির মালিক । কিন্তু ভগবান সব দিক থেকে দু-হাত ভরে দিলেও মৃণালিনী দেবীর কোল ফাঁকা করে রেখেছিলেন । পার্কে বা কলেজের সামনে সব মায়েদের তাদের নিজের বাচ্চাদের আদর করতে দেখলে তার বুকটা হু হু করে উঠতো, কিন্তু কিছুই করার ছিল না তার । জরায়ুতে টিউমার অপারেশনের সময় ডাক্তার বলেই দিয়েছিলেন সেই নির্মম সত্যটা । তারপর জীবনের একমাত্র সঙ্গী এই বৃদ্ধ বয়সে এসে, তার হাত ছেড়ে দিয়ে আকাশের বুকে জায়গা করে নিলো তা আজ প্রায় তিন বছর । যৌবন তাও বা কেটে যায় নেশায় নেশায়, বার্ধক্যের ব্যালকনিতে এলে প্রকৃত ভালোবাসার যে অর্থ উপলব্ধি করা যায়, তা তিনি প্রতিটা রাতেই ওপাশের ফাঁকা বালিশটাতে হাত বুলিয়ে অনুভব করতেন । 

এই ভাবেই জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতে দুই পথ হারানো নাবিক, দিকশূন্য সাগরের মাঝে একটা ছোট্ট দ্বীপ খুঁজে নিয়েছে নিজেদের জন্য । 

- "শোনো বুড়ি, বেশী রাত অবধি বই পড়ো না কিন্তু । ঘুম ঠিক করে না হলে কাল সারাদিন কিন্তু মাথা ব্যথা করবে, বুঝলে ?"
- "হুম বুঝেছি, অনেক রাত হয়ে গেল, যা এবার বাড়ি যা ।"
- "ধুর-র কোথায় রাত ? সবে সাড়ে নটা বাজে । যাই হোক শোনো, টেবিলের উপর ওষুধ রইলো রাতের, ঘুমাবার আগে খেয়ে নিও । আর গরম জল করে ফ্ল্যাক্সে রেখে গেলাম । ঠান্ডা জল খেয়ে আবার সর্দি বাঁধিয়ে বসো না কিন্তু ।"
- "আচ্ছা বাবা ঠিক আছে, প্রতিদিন একই কথা মুখস্থের মতো আওড়িয়ে যাস । আমার কথা তো আর শুনবিও না ।"
- "তোমার আবার কি কথা ?
- "কত করে বলি, রাতটা এখানেই থেকে যা । না, রাতে তারকা রাক্ষসীর ঝুপড়িতে না গেলেই নয় । এই কে আছে রে তোর বাড়িতে ?"
- "দেখো বুড়ি ।"
- "এই থাম থাম ! আবার জ্ঞান দেবে । যা তুই যেদিকে মন চায়, কাল সময় মতো চলে আসিস ।"

প্রতিদিনই রাতে গেট দিয়ে বেরোনোর সময়, ভীষণ খারাপ লাগে টুম্পার । একা বয়স্ক মহিলা এত বড় বাড়িতে থাকে, রাত বিরেতে কিছু হয়ে গেলে কেউ জানতেও পারবে না । 

সত্যিই একদিন তেমনটাই হলো, রাতে উঠে বাথরুমে গিয়ে আর শোওয়ার ঘরে ফেরা হলো না মৃণালিনী দেবীর । পরদিন সকালে কাজে এসে টুম্পাই প্রথম জানতে পারে । যেদিন গুতেল কাকু মরে গেল সেদিনও এতটা কষ্ট হয়নি তার, যতটা আজ হচ্ছে । তার মনে হচ্ছিল ঈশ্বর যেন তার বুকের বাঁদিক থেকে একটা বড় অংশ কেটে নিয়ে গেলেন । মাকে পায়নি সে, কিন্তু ভগবান মা হারানোর কষ্টটা তার ভাগ্যের খাতায় সন্তর্পনে লিখতে ভুল করেননি । আজ যেন সম্পূর্ণ অনাথ হলো টুম্পা । সময়ের কাটা থেমে থাকেনি, চোখের জলের রেখাও বইতে বইতে ক্লান্ত হয়ে থেমে গেছে আজ প্রায় পাঁচ মাস হতে চললো । বিশাল প্রাসাদের মতো সাদা ওই বাড়িটা হাঁ করে তাকিয়ে থাকে তার দিকে । গেটে তালা ঝোলে, ওপাশে কেউ নেই, এপাশের মানুষটাও কেমন যেন পাথর হয়ে যায় দিন কে দিন । 

হঠাৎ একদিন বস্তির মোড়ে একটা গাড়ি এসে দাঁড়ালো আর তার থেকে নেমে এলো কোট-টাই পড়া এক ভদ্রলোক । বস্তিতে কোনও বড় গাড়ি দেখলে এমনিতেই সকলে ভিড় করে দাঁড়ায়, এখানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি । লোকটি কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে করে সোজা টুম্পার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালো । বাইরের চেঁচামেচি শুনে টুম্পাও ততক্ষণে বেরিয়ে এসেছে ঘর থেকে । লোকটি জিজ্ঞেস করলো -

"আপনি মিস টুম্পা সরকার ?"
- "হ্যাঁ ।"
- "আচ্ছা, আপনার ভোটার অথবা আধার কার্ডটা একবার একটু দেখতে পারি ?"
- "হ্যাঁ, কিন্তু.....মা...মা নে...আমি তো আপনাকে চিনি না আর টিভিতে যে বলে অচেনা কাউকে দরকারি কাগজ পত্র কিছু দিতে নেই ।"
- "না না, আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই, আমি আমার পরিচয় বলছি । আমি স্বর্গীয় মিস্টার উপেন স্যান্যালের স্ত্রী স্বর্গীয়া মিসেস মৃণালিনী স্যান্যালের উকিল ছিলাম । আসলে মৃণালিনী দেবী নিজের স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে আপনাকে মনোনীত করে গেছেন । এখন আপনাকে এখানে একটা সই করতে হবে আর সেজন্যই একটা প্রমাণ থাকা তো জরুরি যে আপনিই আসল টুম্পা সরকার । ও হ্যাঁ, এর সাথে একটা চিঠিও রেখে গিয়েছেন ।" 

কাঁপা কাঁপা হাতে চিঠিটা ধরলো টুম্পা । আগে হলে হয়তো এটা পড়ার সাধ্যি তার হতো না, কিন্ত মৃণালিনী দেবী তাকে পড়তে শিখিয়েছেন, পনের দিনে একটা গল্পের বই পড়তে হতো তাকে । তারপর তার থেকে মৃণালিনী দেবী প্রশ্ন করতেন । এইসব পুরোনো কথা মনে পড়লেই টুম্পার চোখের জল কোন বারণ না শুনেই অবাধে নেমে আসে । চিঠির ভাঁজ খুলে পড়তে শুরু করলো সে.....

- "শোন মুখপুড়ি, তোর দায়িত্বে সব রেখে গেলাম । জানি তুই হেলায় নষ্ট করার মতো মেয়ে নোস, তবু মনে রাখিস আমি আর উনি কিন্তু উপর থেকে সব দেখছি । আমার বাড়িটা আজ থেকে তোকে দিলাম, আগের মতোই গুছিয়ে যত্ন করে রাখিস । আর শোন, আবার একটা বিয়ে করিস । একা একা সারা জীবন বেঁচে থাকা যায় না, ঝগড়া করারও একটা লোক চাই । আজ তো এই বুড়িটাও নেই যে গাল ফুলিয়ে সকাল সন্ধ্যে ঝগড়া করবি । ভাল থাকিস, নিজের একটু যত্ন নিস, চলি রে !"
                   
ইতি,
তোর ঝগড়ুটে বুড়ি

থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে মাটির উপর বসে পড়ে টুম্পা । প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার সম্পত্তি পেয়েও নিজেকে তার পৃথিবীর সব চাইতে নিঃস্ব ব্যক্তির থেকেও নিঃস্ব মনে হচ্ছিল । 

~~~~~

তিন তিনটে বছর কেটে গেছে তারপর, এখন মৃণালিনী ভবন শুধু একটি বাড়ি নয়, এটি একটি বৃদ্ধাশ্রম । এখানে টুম্পা মৃণালিনী দেবীর মতো এমন পঁয়ত্রিশ জনকে নিয়ে এসেছে যাদের সমাজ, পরিবার এমন কি ঈশ্বরও দূরে ঠেলে দিয়েছে । তাদেরই দু-হাতে বুকে টেনে নিয়েছে টুম্পা, জায়গা করে দিয়েছে মৃণালিনী ভবনে যাতে শেষ কটা দিন তারা যেন একাকিত্বে না বাঁচেন । টুম্পা যেন একা না থাকে, একটা ঝগড়া করার লোক খুঁজে নেয় এই তো ছিল মৃণালিনী দেবীর শেষ ইচ্ছে । সেটাই খুঁজে নিয়েছে সে, একটা দুটো নয় পঁয়ত্রিশটা ঝগড়ুটে বুড়ি । এখন সারাটা দিন মন খুলে সে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ।

সংগৃহিত।।।

চোখ ভরে এলো,ভাগ করলাম তোমাদের সাথে।
[+] 4 users Like ddey333's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
চোখ আমারও ভরে এলো দাদা পড়ার পরে ... Namaskar
Like Reply
#বাঁচতে শেখা - অসাধারণ লেখা.... এসব লেখা বাস্তব অবাস্তব এর দূরত্ব ঘুচিয়ে বিশ্বাস, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা বাড়িয়ে দেয়. কারণ অনেক বাস্তব অবাস্তব হতে পারতো আবার কিছু অবাস্তব বাস্তবের রূপ পেলে ক্ষতি কি? ❤
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
বাঁচতে শেখা পড়লাম। কই আমার তো চোখ ভরে এলো না  Tongue Tongue Tongue

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(09-01-2022, 06:55 PM)Bichitravirya Wrote: বাঁচতে শেখা পড়লাম। কই আমার তো চোখ ভরে এলো না  Tongue Tongue Tongue

❤❤❤

তোর চোখে ছানি পড়েছে ! কাটিয়ে নে ! হারামি কোথাকার  Smile Smile Smile
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(09-01-2022, 08:44 PM)dada_of_india Wrote: তোর চোখে ছানি পড়েছে ! কাটিয়ে নে ! হারামি কোথাকার  Smile Smile Smile

Lotpot মেজো জেঠুর আশীর্বাদ !!Lotpot
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
*হ্যাপি নিউ ইয়ার।*

(বন্ধুবর শ্রী অতনু দত্তের গল্প অবলম্বনে)

রাতের খোয়ারি তখনও কাটেনি, গিন্নি বলেন শুনছো
আউট হয়েছো কয় পেগ খেয়ে এখনো কি তাই গুনছো?
আজ বছরের পয়লা তারিখ, অনেক রয়েছে ঝক্কি
যাওনা বাজার, সবজীর সাথে নিয়ে এসো রামপক্ষী।
বাড়িতে আসবে বান্ধবী সব হুল্লোড় হবে রাত্রে
তোমার এমন গা এলানো ভাবে জ্বালা ধরে যায় গাত্রে।

বেগতিক দেখে ব্যাগখানি হাতে বাজারের দিকে ছুটলাম
হায়রে বছর, প্রথম দিনেই কার মুখ দেখে উঠলাম!
নিজের মনেই গজগজ করে রাস্তাতে চলি একা,
হারান খুড়োর সাথে হয়ে গেলো হঠাৎ করেই দেখা।
খাটো ধুতি আর ফতুয়া পরনে, গায়েতে পুরোনো শাল,
খুড়োর পোশাকে হয়না বদল, হোকনা নতুন সাল।
হারান কাকুর সটান কথাকে সবলোকে ভয় করে
ছেলেকে মানুষ করেছেন একা কাকিমা যাওয়ার পরে
সেই ছেলে আজ বছর দশেক অনাবাসী ভারতীয়
দেশে ফিরবেনা সেই তথ্যটা নয় খুব গোপনীয়।
ডলারের থোকা মাঝে মাঝে নাকি খুড়োর বাড়িতে আসে
নিয়মিত  সেটা দান করে দেন নানান বৃদ্ধাবাসে।

'সাত তাড়াতাড়ি চললে কোথায়, হনহন করে ছোকরা?'
মাঝচল্লিশে ছোঁড়া ডেকে যান কাকুর মতন লোকরা।
মৃদু হাসি মুখে এনে তবু বলি হ্যাপি নিউ ইয়ার খুড়ো
খুঁড়োর কথায় সে সম্ভাষণ ভেঙে হলো গুঁড়ো গুঁড়ো।
'হ্যাপি তো হয়েছে মদের দোকান আর কিছু রেস্তোরাঁ, 
ছাপোষাদের নয়া সাল এলে যায় আসে না হে ছোঁড়া!
সক্কলে মিলে পৃথিবীর সাথে ঘুরলাম আরো একপাক 
বুঝিনা হে বাপু এই নিয়ে কেন হইচই হাঁকডাক।
চলি হে ছোকরা, মোবাইলটাতে পয়সা কিছুটা ভরবো
ভেবেছি আজকে ছেলেটার বাড়ি একবার ফোন করবো।'

বাজারে ঠিক ঢোকার পরেই  মনখারাপের খবর শুনি
বছরশেষের রাতের শেষে মরে গেছে পাগলি  টুনি।
টুনি পাগলি এই বাজারেই থাকতো হাসতো বকতো খালি
ইদানিং তো পাথর ছুঁড়তো, সঙ্গে বিকট গালাগালি।
নারী মানেই কিছু পশুর খুবলে খাওয়ার জন্য শরীর,
পাগলী হলেও পায় নি রেহাই, অঙ্গগুলো সেই তো নারীর।
তিলে তিলে বেড়ে উঠেছিলো ছেলে  ধর্ষিত জরায়ুতে ,
জননী পাগলী কখনো কাউকে শিশুকে দিতো না ছুঁতে
কালকে রাত্রে পাগলীটা গেছে ছেড়ে জীবনের দাবী
ছেলেটা এবার শেষ হয়ে যাবে বিষন্নবুকে ভাবি।

ফিরবার পথে চায়ের দোকানে জটলা একটা দেখি,
হারানকাকার কোলে বসে আছে টুনির ছেলেটা, একি!
'শোনো হে ছোকরা', খুড়ো বললেন কান্নার মতো হেসে
আমার নাতিটা পুরো মার্কিনী, ছেলে ফিরবেনা দেশে।
সময় কোথায় হাতে হে তাদের, ফোনটোন তুলবার
আমারও সময় এসে গেছে বুঝি তাদেরকে ভুলবার।
তাই ভাবলাম টুনির ছেলেকে আমি নিয়ে যাই বাড়ি
দেখাই যাক না কতটা যত্নে মানুষ করতে পারি।
মুশকিল হলো খুড়োর চোখেতে সরাসরি চোখ রাখা
রুমালে দুচোখ ঢেকে নিয়ে বলি,হ্যাপি নিউ ইয়ার, কাকা!

?
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
*লুকোচুরি* 


জীবনটা কি অদ্ভুত, তাইনা? যখন শশ্মানে কাউকে দাহ করতে যাই তখন অজান্তেই এক শূণ্যতা ভর করে। আমাদের শেষ ঠিকানা! আজ শশ্মানে দাহ করতে এসেছি শশিভূষন বাবুকে। দীর্ঘদিন বৃদ্ধাশ্রমে ছিলেন তিনি, আর আমিই তাঁর লোকাল গার্ডিয়ান। মানে আমার হাত থেকেই আশ্রমে টাকাপয়সা যেত, উনার সুবিধা অসুবিধাও আমিই দেখতাম। উনার সন্তান পরিমল আমার বন্ধু ছিল, পরিমল ছোটবেলা থেকেই মাতৃহীন, বিদেশে থাকার জন্য বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলনা। প্রায় ১৪ বছরের মতন শশিভূষন বাবু বৃদ্ধাশ্রমে কাটিয়েছেন। তবে এই দীর্ঘসময়ে উনার ছেলে পরিমল একবারও আসেনি, এমনকি এই আধুনিক ইন্টারনেটের যুগেও কখনো ভিডিও কলে কথা বলেনি। আশ্রম কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে আমাকে কয়েকবার বললেও আমি এড়িয়ে গেছি, তারাও আর বিশেষ ঘাঁটায়নি। ঠিক সময়ে টাকা পাচ্ছে এমনকি আমি কখনো অতিরিক্ত টাকার জবাব চাইনি, তাই হয়তো এ বিষয়কে আর তত গুরুত্ব দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তারা ধরেই নিয়েছে শশিভূষন বাবুর উপর তার ছেলের কেবল সামাজিক দায় আছে কোনরকম আত্মীয়তার বন্ধন নাই, তাই অর্থের বিনিময়ে এই দায়মোচন করে চলেছে 'কুপুত্র'। তবে একটা বিষয় আমাকে বরাবর অবাক করেছে। শশিভূষন বাবু কখনো তার ছেলের সাথে দেখা করতে চাওয়া দূরে থাক কেমন আছে তাও জানতে চাইতেন না। আমি বছরে ১/২ বার পরিমলের পত্র ওনার হাতে দিতাম, উনি শীতল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে সেগুলো নিতেন, কোনোদিন সেগুলোর উত্তর দেন নি। উত্তর দেন নি এজন্য বলছি কারণ পরিমলের ঠিকানা একমাত্র আমি জানতাম, তাই চিঠি লিখতে হলে আমার মাধ্যমে ওঁকে পাঠাতে হত।  
একসাথে এতবছর থাকার ফলে বৃদ্ধাশ্রমের সাথে শশিভূষন বাবুর একটা আন্তরিক আত্নীয়তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছ। আশ্রমের বেশ কয়েকজন কর্মীছেলে এসেছেন দেখতে পাচ্ছি, প্রবীণদের মধ্যেও কয়েকজন উপস্থিত। কর্মীদের মধ্যে অল্পবয়সি একটা ছেলে, নাম পরিতোষ, এগিয়ে এল আমার কাছে। ছেলেটার চোখ ভেজা, বেশ শোক পেয়েছে বোঝাই যাচ্ছে। কে বলে , স্বার্থ থেকে সৃষ্ট সম্পর্ক স্বার্থকে কখনো ছাড়িয়ে যায়না? আমি অবশ্য কোনো শোক বা বেদনা অনুভব করছি না, বরং ভারমুক্তির একটা অনুভুতি অনুভব করছি। চিন্তার জগৎ এ চলে গিয়েছিলাম বোধহয়, পরিতোষের কথায় চমক ভাংলো! 
"কাকার তো দাহর সময় হয়ে এলো, পরিমল বাবুকে কি খবর দেওয়া হয়েছে? আসবেন? মুখাগ্নি করবেন কে?" অন্যদের মতন বডি না বলে কাকা বলা এবং 'পরিমল বাবু' শব্দ দুটো ভালোভাবে লক্ষ্য করলাম। অনেক কিছু জানাতে ইচ্ছে হল কিন্তু তার বদলে এমন কিছু বললাম যা হাস্যকর শোনাল, অবশ্য পরিতোষ বা তার সঙ্গীরা কেউই হাসল না, একটু অবাক হলো অবশ্য। আমি বললাম, "পরিমল এখানেই আছে, তবে মুখাগ্নি করার ক্ষমতা নাই ওর, তোমরা কেউ কর।" মনে হলো পরিতোষ একটু খুশীই হলো মুখাগ্নি করতে পেরে। 
শশ্মানের কাজ শেষ হলে আরেকবার বৃদ্ধাশ্রমে আসলাম শশিভূষন বাবুর সব হিসাবনিকাশ চুকিয়ে দিতে। আমার সন্তান যদি এখানে না পাঠায় তবে এটাই আমার অন্তিমবার এখানে আসা। উনার হিসাবে বাকি বিশেষ কিছুই ছিল না, বরং কিছু টাকা জমা হিসেবে ছিল। সেগুলো আর ফেরত নিলাম না, ওদের ট্রাস্টেই দান করলাম! চলেই যাচ্ছিলাম, তখন পরিতোষ ডাক দিল, একটা ব্যাগ দিয়ে বলল, কাকার শেষ স্মৃতিচিহ্ণ। নিয়ে যান, এর উপর কেবল পরিমল দাদার অধিকার। বলতে বলতে ওর গলা বুজে আসল। আমি কোনো কথা না বলে ব্যাগটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে আসলাম। 
বিকালে আবার সেই শশ্মানে আসলাম। শশ্মানে এখনো চিতা জ্বলে চলেছে। একটু দূরে নদীর পাশে ঘাসের উপর বসলাম। প্রায় ১৫ বছর আগে আমি আর পরিমল এখানে বসেছিলাম আর একটা নাটকের প্লট রচনা করেছিলাম। তারপর এতবছর ধরে আমরা শুধু অভিনয় করে চলেছি। 
পরিমল আমার খুব ভালো বন্ধু। না, ছোটবেলার বন্ধু নয়। আমাদের বন্ধুত্ব কর্মজীবনে। আমরা এক জায়গাতেই চাকরি করতাম। সেদিন অবশ্য পরিমল আমাকে এখানে ডেকে এনেছিল। প্রথমে জীবন নিয়ে সব দার্শনিকতার কথা শোনাচ্ছিল। তারপর বলল ওর ব্রেন ক্যান্সার। নিজের রোগের কথা এমনভাবে বলল যেন অন্য কারও রোগের কথা বলছে! তারপর নিজের বাবাকে নিয়ে পরিকল্পনা করল। এদেশে ওদের তেমন আত্নীয় কেউ ছিলনা। তারপর শুরু করল বৃদ্ধাশ্রমের খোঁজ। সবচেয়ে ভালো আশ্রমের সবচেয়ে ভালো রুমটাই সে ঠিক করল বাবার জন্য। তারপর বিভিন্ন বছরের তারিখ দিয়ে ৫০ টা চিঠি লিখে ফেলল। আমার কাজ সেসব চিঠি নির্দিষ্ট তারিখের ২/৩ দিন পর শশীভূষন বাবুর কাছে পৌঁছানো। নিজের চিকিৎসার জন্য সামান্য টাকা রেখে সবই আমার নামে ব্যাংকে জমা রাখল যেন ওর বাবার কখনো কোন অভাব না হয়। এরপর ৩ মাসের ভেতর পরিমল দেহ রাখল। প্রিয় বন্ধুকে আমি এই শশ্মানেই দাহ করেছিলাম। এতবছর ধরে এক "পিতার নিকট তার পুত্রের" এই গোপন কথা লুকিয়ে রেখেছি। আর আজ তো সব শেষ। 
সন্ধার পর বাসায় ফিরে বৃদ্ধাশ্রম থেকে আনা সেই ব্যাগটা চোখে পড়ল। আগামীকাল এটার একটা ব্যাবস্থা করতে হবে। তবে কৌতূহলী হয়ে একটু ব্যাগটা খুললাম, সাধারণ পোশাক, ৫০০ টাকার ৫ খানা নোট , কিছু খুচরা টাকা এসব ছাড়া একটা ডায়েরী পেলাম। সেখানে চিঠিগুলো রাখা, সবগুলো খামের মুখ বন্ধ, মানে তিনি কোনোদিনও ওগুলো খুলে দেখেননি। ডায়েরীতে সবই ফাঁকা, শুধু ভেতরে এক পৃষ্ঠায় লেখা- *“খুব ছোট থাকতে পরি আমার সাথে লুকোচুরি খেলত, ও কোথায় লুকাত আমি জানতাম কিন্তু কখনো সেখানে খুঁজতাম না পাছে খেলার মজা নষ্ঠ হয়। বাবা!! ডাক্তারি রিপোর্টগুলো কেন আরও কঠিন জায়গাতে লুকালি না?”*

#collected
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
আমার এই শুস্কম কাষ্ঠম থ্রেডটা  একেবারে টপ এ রাখার জন্য দাদা সবসময় লেগে থাকে Heart ...  আমি নিজে যদিও হাল ছেড়ে দিয়েছি .. Smile

প্রায় সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি থ্রেড পোস্ট করেছি , সময়ের স্বল্পতা ধীরে ধীরে গ্রাস করছে  ... এবার সরে যাওয়ার পালা শুরু ..
শুধু পাঠক হয়েই আসা শুরু হয়ে যাবে অদূর ভবিষ্যৎ থেকে ... কতদিন এড়িয়ে থাকা যায় শুধু সেটাই দেখার বিষয় .. Namaskar
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(11-01-2022, 08:10 AM)dada_of_india Wrote: *হ্যাপি নিউ ইয়ার।*

(বন্ধুবর শ্রী অতনু দত্তের গল্প অবলম্বনে)

রাতের খোয়ারি তখনও কাটেনি, গিন্নি বলেন শুনছো
আউট হয়েছো কয় পেগ খেয়ে এখনো কি তাই গুনছো?
আজ বছরের পয়লা তারিখ, অনেক রয়েছে ঝক্কি
যাওনা বাজার, সবজীর সাথে নিয়ে এসো রামপক্ষী।
বাড়িতে আসবে বান্ধবী সব হুল্লোড় হবে রাত্রে
তোমার এমন গা এলানো ভাবে জ্বালা ধরে যায় গাত্রে।

বেগতিক দেখে ব্যাগখানি হাতে বাজারের দিকে ছুটলাম
হায়রে বছর, প্রথম দিনেই কার মুখ দেখে উঠলাম!
নিজের মনেই গজগজ করে রাস্তাতে চলি একা,
হারান খুড়োর সাথে হয়ে গেলো হঠাৎ করেই দেখা।
খাটো ধুতি আর ফতুয়া পরনে, গায়েতে পুরোনো শাল,
খুড়োর পোশাকে হয়না বদল, হোকনা নতুন সাল।
হারান কাকুর সটান কথাকে সবলোকে ভয় করে
ছেলেকে মানুষ করেছেন একা কাকিমা যাওয়ার পরে
সেই ছেলে আজ বছর দশেক অনাবাসী ভারতীয়
দেশে ফিরবেনা সেই তথ্যটা নয় খুব গোপনীয়।
ডলারের থোকা মাঝে মাঝে নাকি খুড়োর বাড়িতে আসে
নিয়মিত  সেটা দান করে দেন নানান বৃদ্ধাবাসে।

'সাত তাড়াতাড়ি চললে কোথায়, হনহন করে ছোকরা?'
মাঝচল্লিশে ছোঁড়া ডেকে যান কাকুর মতন লোকরা।
মৃদু হাসি মুখে এনে তবু বলি হ্যাপি নিউ ইয়ার খুড়ো
খুঁড়োর কথায় সে সম্ভাষণ ভেঙে হলো গুঁড়ো গুঁড়ো।
'হ্যাপি তো হয়েছে মদের দোকান আর কিছু রেস্তোরাঁ, 
ছাপোষাদের নয়া সাল এলে যায় আসে না হে ছোঁড়া!
সক্কলে মিলে পৃথিবীর সাথে ঘুরলাম আরো একপাক 
বুঝিনা হে বাপু এই নিয়ে কেন হইচই হাঁকডাক।
চলি হে ছোকরা, মোবাইলটাতে পয়সা কিছুটা ভরবো
ভেবেছি আজকে ছেলেটার বাড়ি একবার ফোন করবো।'

বাজারে ঠিক ঢোকার পরেই  মনখারাপের খবর শুনি
বছরশেষের রাতের শেষে মরে গেছে পাগলি  টুনি।
টুনি পাগলি এই বাজারেই থাকতো হাসতো বকতো খালি
ইদানিং তো পাথর ছুঁড়তো, সঙ্গে বিকট গালাগালি।
নারী মানেই কিছু পশুর
খুবলে খাওয়ার জন্য শরীর,
পাগলী হলেও পায় নি রেহাই, অঙ্গগুলো সেই তো নারীর।
তিলে তিলে বেড়ে উঠেছিলো ছেলে  ধর্ষিত জরায়ুতে ,
জননী পাগলী কখনো কাউকে শিশুকে দিতো না ছুঁতে
কালকে রাত্রে পাগলীটা গেছে ছেড়ে জীবনের দাবী
ছেলেটা এবার শেষ হয়ে যাবে বিষন্নবুকে ভাবি।

ফিরবার পথে চায়ের দোকানে জটলা একটা দেখি,
হারানকাকার কোলে বসে আছে টুনির ছেলেটা, একি!
'শোনো হে ছোকরা', খুড়ো বললেন কান্নার মতো হেসে
আমার নাতিটা পুরো মার্কিনী, ছেলে ফিরবেনা দেশে।
সময় কোথায় হাতে হে তাদের, ফোনটোন তুলবার
আমারও সময় এসে গেছে বুঝি তাদেরকে ভুলবার।
তাই ভাবলাম টুনির ছেলেকে আমি নিয়ে যাই বাড়ি
দেখাই যাক না কতটা যত্নে মানুষ করতে পারি।
মুশকিল হলো খুড়োর চোখেতে সরাসরি চোখ রাখা
রুমালে দুচোখ ঢেকে নিয়ে বলি,হ্যাপি নিউ ইয়ার, কাকা!

?

বাঁচতে শেখার থেকে এটা বেশি মর্মস্পর্শী লাগলো। 
তবে এটা যেহুতু ছন্দ মিলিয়ে কবিতার আকারে লেখা তাই এটা এডিট করে ফন্ট ছোট করে প্রত্যেক লাইনে একটা কবিতার লাইন দিলে আরও ভালো লাগতো। ঠিক যেমন আমি করেছি । এখানে লাইন শেষ কোথায় আর শুরু কোথায় সেটা বোঝা যাচ্ছে না। 

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(11-01-2022, 11:16 AM)ddey333 Wrote: আমার এই শুস্কম কাষ্ঠম থ্রেডটা  একেবারে টপ এ রাখার জন্য দাদা সবসময় লেগে থাকে Heart ...  আমি নিজে যদিও হাল ছেড়ে দিয়েছি .. Smile

প্রায় সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি থ্রেড পোস্ট করেছি , সময়ের স্বল্পতা ধীরে ধীরে গ্রাস করছে  ... এবার সরে যাওয়ার পালা শুরু ..
শুধু পাঠক হয়েই আসা শুরু হয়ে যাবে অদূর ভবিষ্যৎ থেকে ... কতদিন এড়িয়ে থাকা যায় শুধু সেটাই দেখার বিষয় .. Namaskar

এই নিয়ে কতবার এই কথাটা বললেন সেটা ভুলে গেছি। আর ভালো লাগছে না। সত্যি আর ভালো লাগছে না। তার চেয়ে বরং চলেই যান। একটু কষ্ট হবে। তবে সেটা সময়ের সাথে সয়ে যাবে।
কষ্ট! কিসের কষ্ট? ওই যে এতদিন কথা বললাম, আড্ডা দিলাম, হাসি ঠাট্টা করলাম। এইসব ভুলে শুধু কোন পিনুরাম , না কি যেন নাম লেখকটার , ওই লেখকের জন্য চলে যেতে চাইছেন। যান , চলে যান। আমরা তো কেউ নই আপনার কাছে। আমাদের সাথে এত হাসি ঠাট্টাও কিছু নয় আপনার কাছে। ঠিক যেমন বাবান দা কে ভাইটু বলে সম্বোধন করাটা পিনুরাম নামক লেখকের কাছে কিছু ছিল না। বাবান দা কে মিথ্যা ভাইটু বলে ডেকে লোকটা চলে গেল। আপনিও যান। অন্তত এই বারবার চলে যাবো , ভালো লাগছে না , এইসব তো শুনতে হবে না। 

তিনটে লাভ স্টিকার দিলাম না আর।
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(11-01-2022, 09:33 PM)Bichitravirya Wrote: এই নিয়ে কতবার এই কথাটা বললেন সেটা ভুলে গেছি। আর ভালো লাগছে না। সত্যি আর ভালো লাগছে না। তার চেয়ে বরং চলেই যান। একটু কষ্ট হবে। তবে সেটা সময়ের সাথে সয়ে যাবে।
কষ্ট! কিসের কষ্ট? ওই যে এতদিন কথা বললাম, আড্ডা দিলাম, হাসি ঠাট্টা করলাম। এইসব ভুলে শুধু কোন পিনুরাম , না কি যেন নাম লেখকটার , ওই লেখকের জন্য চলে যেতে চাইছেন। যান , চলে যান। আমরা তো কেউ নই আপনার কাছে। আমাদের সাথে এত হাসি ঠাট্টাও কিছু নয় আপনার কাছে। ঠিক যেমন বাবান দা কে ভাইটু বলে সম্বোধন করাটা পিনুরাম নামক লেখকের কাছে কিছু ছিল না। বাবান দা কে মিথ্যা ভাইটু বলে ডেকে লোকটা চলে গেল। আপনিও যান। অন্তত এই বারবার চলে যাবো , ভালো লাগছে না , এইসব তো শুনতে হবে না। 

তিনটে লাভ স্টিকার দিলাম না আর।

চলে যাবো বলিনি BC !! Angry


বলেছি যে শুধু পড়তে আসবো , গত দেড় বছর ধরে এই যে  প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় অন্য জায়গায় থেকে গল্প খুঁজে বেড়ানো আর এখানে দেওয়া সেটা আর সম্ভব হবে না ...
এবারও যদি মাথায় না ঢোকে তাহলে আরো বিশেষ কিছু শক্তিশালী বিশেষণের প্রয়োগ করতে হবে আমাকে ... devil2

Big Grin Big Grin
Like Reply
(11-01-2022, 09:44 PM)ddey333 Wrote: চলে যাবো বলিনি BC !! Angry


বলেছি যে শুধু পড়তে আসবো , গত দেড় বছর ধরে এই যে  প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় অন্য জায়গায় থেকে গল্প খুঁজে বেড়ানো আর এখানে দেওয়া সেটা আর সম্ভব হবে না ...
এবারও যদি মাথায় না ঢোকে তাহলে আরো বিশেষ কিছু শক্তিশালী বিশেষণের প্রয়োগ করতে হবে আমাকে ... devil2

Big Grin Big Grin

বলেন নি কিন্তু বলেন। আর বলবেন না। এটা এই বিচিত্রর হুকুম আদেশ এবং অর্ডার। আপনি দেবু দা। পুরো নাম দে*** দে। নিজেকে পিনুরাম ভেবে ছোট করবেন না  devil2

জানি না কেন, কিন্তু এই নিয়ে চার জন কে ছোট বড়ো কথা শুনিয়ে বসে আছি। সত্য বললো এটা সিঙ্গেল থাকার সাইড এফেক্ট  Sad 


[Image: IMG-20220111-194601.jpg]

এটা নিশ্চয়ই আপনার চক্রান্ত  Dodgy Dodgy Dodgy
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
যখন পৃথিবী থাকবেনা
কিন্তু আমি থাকবো 
সৃষ্টির প্রতি অনুরণে 
প্রতিক্ষণে আমি ভাববো !
আর কতদিন হবো ইতিহাস 
মহেঞ্জাদারো, হরপ্পা
সত্য, ত্রেতা, দ্বাপরের শেষ নিশ্বাস ?
সভ্যতার উন্মাদনায় 
আর কতো  যুগ  হবে শেষ?
আবার কবে নতুন প্রাণ নেবে জন্ম 
খুঁজবে সভ্যতার ভগ্নাবশেষ ?

লেখা : ভারতীয় দাদা
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
কারো মার্সিডিজ থামছে রাতের গভীরে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে...! কেউ ভাঙা ঘরে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত স্বপ্নের জোয়ারে ভাসছে।

কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন! ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি। কেউ কেউ আবার একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য অবিরাম যুদ্ধ করে চলছে।
কেউ সদ্যজাত সন্তানকে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে। আবার কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!
কেউ বছরে কতোজন ভালবাসার মানুষ বদলে ফেলছে!
কেউ আবার তার ভালবাসার মানুষের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করে চলছে।

কেউ দামি শাড়ি হাতে পেয়ে তবু খুশি নয়! আবার কেউ তাঁতের নতুন শাড়ির গন্ধ বারবার শুঁকছে।
কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে খেতে পারছেনা! কেউ পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা কচলিয়ে গোগ্ৰাসে পান্তা গিলছে।
কারো দামি খাটে শুয়েও ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! কেউ আবার হিমেল হাওয়ায় অঘোরে ঘুমোচ্ছে।
কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়ার ইচ্ছে নেই. কেউ আবার পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে!
কেউ বিলাস বহুল গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তানগুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো? কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, আর মনে মনে ভাবছে... সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি!সৃষ্টিকর্তা চাইলে, ওরা নিজেরাই নিজের জীবনটা গড়ে নেবে.
নানান রঙের মানুষ,
বিভোর নানা স্বপ্নে,
জীবন এঁকে বেড়ায়
সাদাকালো আলাপনে !!
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
দাদা কাঁপিয়ে যাচ্ছে এই গরিবের থ্রেডটা !!

Namaskar clps Namaskar
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
এরই নাম জীবন !
একদিকে যেমন ঝলমলে আলোর উস্কানি !
অন্যদিকে অতল আঁধারের হাতছানি !
এরই নাম জীবন !
একদিকে হিংস্র পশুর পাশবিকতা !
অন্যদিকে রোজ মরে মানবিকতা !
এরই নাম জীবন !
একদিকে থাকে শারীরিক যৌনতা !
অন্যদিকে মুখ ফেরানোর মৌনতা !
এরই নাম জীবন !
একদিকে একজন রোজ হয় ধর্ষিতা !
অন্যদিকে রোজ সাজানো হয় শরীরে পশড়াটা !
এরই নাম জীবন !
বিকৃত উন্মাদনার বীভৎস লোলুপতা !
জন্ম দিয়ে যায় অন্ধকারের কুটিলতা !

লেখা : ভারতীয় দাদা
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
বাড়ী ঘর পুড়লে বীমা করা যায়
স্বপ্ন পুড়লে কি করা যায়...
 
বৃষ্টির জল পড়লে ছাতা নেওয়া যায়
চোখের জল পড়লে কি করা যায়...
 
বাঘ গর্জালে পালিয়ে বাঁচা যায়
অহংকার গর্জালে  কি করা যায়...
 
কাঁটা বিঁধলে বের করা যায়
কথা বিঁধলে কি করা যায়...
 
শরীরের কষ্টে ঔষুধ নেওয়া যায়
মনের কষ্টে কি করা যায়...

লেখা : ভারতীয় দাদা
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
প্রশ্নোত্তরের খেলায়

Following the trend
. নাম?
. ভারতবর্ষ
. পদবী?
উঃ পদবী নেই... ইংরাজি একটা নাম আছে... 'ইন্ডিয়া'
. ডাকনাম?
উঃ যে নামেই ডাকো না কেন, 'মা' তো, 'মা' হয়, তাই না?
. চুলে রং করেছেন?
উঃ হিমালয়ের বরফ সাদা রং, সমুদ্দুরের নীল, জঙ্গলের সবুজ, মরুভূমির হরিদ্রাভ বালুকারাশি - কোন রংটা পছন্দ?
. হাড় ভেঙ্গেছে কোনোদিন?
উঃ মন ভেঙেছে। বাইরের লোকেরা যখন ঘরের মানুষদের মেরেছে। যখন নিজের মানুষেরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করেছে। কষ্ট হয়েছে... তবু স্বপ্ন দেখি... ভাঙা মন জুড়বে...
. একপাক্ষিক ভালোবেসেছেন কাউকে?
উঃ? তোমাকে। তোমাদের সবাইকে।
শোনোনি, "কুপুত্র যদিও হয়, কুমাতা কদ্যপি নয়?"
. কাউকে মারা যেতে দেখেছেন?
উঃ "যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানেন
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভুমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি।"
. সব থেকে প্রিয় ফুল?
: সব ফুল... ওরাও আমার সন্তান যে...
. অ্যাম্বুলেন্সে উঠেছেন?
উঃ প্রতিটি সাইরেনের শব্দে... বুকের মাঝে রক্ত ঝরে...
১০. পোষা প্রাণী আছে ?
: পোষা না, ভালবাসার প্রাণী আছে। মানুষ আর মনুষ্যেতর সবকিছু...বড্ড ভালবাসার।
১১. হাসপাতালে থেকেছেন?
উঃ হাসপাতাল তো আমারই অংশ...
১২. ঘোড়ায় চড়েছেন?
উঃ আহা,বড় মিষ্টি বাছা আমার ওরা...
১৩. ভালবাসেন?
উঃ প্রতিদিন। প্রতিমুহূর্তে। তোমাকে। তোমাদের।
১৪. টিকিট ছাড়া ভ্রমণ করেছেন?
উঃ নিজের বাড়িতে ভ্রমণ করতে আবার টিকিট লাগে নাকি? অ্যাঁ?
১৫. প্রেমপত্র লিখেছেন?
: লিখিনি, বলি - মনে মনে। তোমাদের জন্য। তার নাম "মায়ের প্রার্থনা"
১৬. রাস্তায় নেচেছেন কখনো?
উঃ ছেলেমেয়েদের নাচতে দেখতে, ভাল থাকতে দেখলে ভাল লাগে... ওইটুকুই...
১৭. জীবনে কয়টা প্রপোজ পেয়েছেন?
উঃ বহুমানুষ বলেছেন "আই লাভ মাই ইন্ডিয়া"
১৮. বাড়ি থেকে পালিয়েছেন?
উঃ পালাবার পথ নেই...
১৯. চুরি করেছেন?
উঃ ভগিনী নিবেদিতা থেকে মাদার টেরেসা - কতজনের যে মন চুরি করেছি!
তোমরাও কি মন দাও নি? সত্যি বলো?
২০. ভূত দেখেছেন?
উঃ ভূতপূর্বকাল, অর্থাৎ অতীত দেখেছি।
২১. বেস্টফ্রেন্ড আছে?
উঃ আছে। অগুনতি। সন্তানেরাই তো মায়ের বেস্ট ফ্রেন্ড হয়, তাই না?
২২. আপনার জন্য কেউ অপেক্ষা করে?
উঃ তোমরা
২৩. কাউকে ভালো লাগে?
উঃ সবাইকে
২৪. প্রিয় খাবার?
উঃ যা তোমাদের প্রিয়, তাইই আমার প্রিয়।
২৬. আপনি কেমন?
উঃ সুজলাং সুফলাং মলয়জশীতলাং।
২৭. প্রিয় জায়গা?
উঃ আসমুদ্রহিমাচল।
২৮. বড় কোন ইচ্ছা আছে ?
উঃ "বল, বল, বল সবে, শত বীণা-বেণু-রবে,
ভারত আবার জগত-সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে|
ধর্মে মহান্ হবে, কর্মে মহান্ হবে,
নব দিনমণি উদিবে আবার পুরাতন পুরবে।"
২৯. প্রিয় রং?
উঃ পতাকার রং। সম্মানের রং। গৌরবের রং। শক্তি, ত্যাগ আর ভালবাসার রং।
৩০. প্রিয় পোশাক?
উঃ আলিঙ্গন। তার চেয়ে উষ্ণতা যে আর কিচ্ছুতে নেই, তাই বড় প্রিয় পোষাক।
৩১. কখনো লুকিয়ে কেঁদেছেন?
উঃ প্রতিবার যখন সন্তান বিয়োগ হয়...
৩২. নিজেকে ১০- কত দিতে চান?
উঃ - অসীম, সীমাহীন। ঠিক তোমাদের প্রতি আমার ভালবাসার মতো...
 
 

[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
(17-01-2022, 10:29 PM)ddey333 Wrote: প্রশ্নোত্তরের খেলায়

Following the trend
. নাম?
. ভারতবর্ষ
. পদবী?
উঃ পদবী নেই... ইংরাজি একটা নাম আছে... 'ইন্ডিয়া'
. ডাকনাম?
উঃ যে নামেই ডাকো না কেন, 'মা' তো, 'মা' হয়, তাই না?
. চুলে রং করেছেন?
উঃ হিমালয়ের বরফ সাদা রং, সমুদ্দুরের নীল, জঙ্গলের সবুজ, মরুভূমির হরিদ্রাভ বালুকারাশি - কোন রংটা পছন্দ?
. হাড় ভেঙ্গেছে কোনোদিন?
উঃ মন ভেঙেছে। বাইরের লোকেরা যখন ঘরের মানুষদের মেরেছে। যখন নিজের মানুষেরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করেছে। কষ্ট হয়েছে... তবু স্বপ্ন দেখি... ভাঙা মন জুড়বে...
. একপাক্ষিক ভালোবেসেছেন কাউকে?
উঃ? তোমাকে। তোমাদের সবাইকে।
শোনোনি, "কুপুত্র যদিও হয়, কুমাতা কদ্যপি নয়?"
. কাউকে মারা যেতে দেখেছেন?
উঃ "যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানেন
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভুমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি।"
. সব থেকে প্রিয় ফুল?
: সব ফুল... ওরাও আমার সন্তান যে...
. অ্যাম্বুলেন্সে উঠেছেন?
উঃ প্রতিটি সাইরেনের শব্দে... বুকের মাঝে রক্ত ঝরে...
১০. পোষা প্রাণী আছে ?
: পোষা না, ভালবাসার প্রাণী আছে। মানুষ আর মনুষ্যেতর সবকিছু...বড্ড ভালবাসার।
১১. হাসপাতালে থেকেছেন?
উঃ হাসপাতাল তো আমারই অংশ...
১২. ঘোড়ায় চড়েছেন?
উঃ আহা,বড় মিষ্টি বাছা আমার ওরা...
১৩. ভালবাসেন?
উঃ প্রতিদিন। প্রতিমুহূর্তে। তোমাকে। তোমাদের।
১৪. টিকিট ছাড়া ভ্রমণ করেছেন?
উঃ নিজের বাড়িতে ভ্রমণ করতে আবার টিকিট লাগে নাকি? অ্যাঁ?
১৫. প্রেমপত্র লিখেছেন?
: লিখিনি, বলি - মনে মনে। তোমাদের জন্য। তার নাম "মায়ের প্রার্থনা"
১৬. রাস্তায় নেচেছেন কখনো?
উঃ ছেলেমেয়েদের নাচতে দেখতে, ভাল থাকতে দেখলে ভাল লাগে... ওইটুকুই...
১৭. জীবনে কয়টা প্রপোজ পেয়েছেন?
উঃ বহুমানুষ বলেছেন "আই লাভ মাই ইন্ডিয়া"
১৮. বাড়ি থেকে পালিয়েছেন?
উঃ পালাবার পথ নেই...
১৯. চুরি করেছেন?
উঃ ভগিনী নিবেদিতা থেকে মাদার টেরেসা - কতজনের যে মন চুরি করেছি!
তোমরাও কি মন দাও নি? সত্যি বলো?
২০. ভূত দেখেছেন?
উঃ ভূতপূর্বকাল, অর্থাৎ অতীত দেখেছি।
২১. বেস্টফ্রেন্ড আছে?
উঃ আছে। অগুনতি। সন্তানেরাই তো মায়ের বেস্ট ফ্রেন্ড হয়, তাই না?
২২. আপনার জন্য কেউ অপেক্ষা করে?
উঃ তোমরা
২৩. কাউকে ভালো লাগে?
উঃ সবাইকে
২৪. প্রিয় খাবার?
উঃ যা তোমাদের প্রিয়, তাইই আমার প্রিয়।
২৬. আপনি কেমন?
উঃ সুজলাং সুফলাং মলয়জশীতলাং।
২৭. প্রিয় জায়গা?
উঃ আসমুদ্রহিমাচল।
২৮. বড় কোন ইচ্ছা আছে ?
উঃ "বল, বল, বল সবে, শত বীণা-বেণু-রবে,
ভারত আবার জগত-সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে|
ধর্মে মহান্ হবে, কর্মে মহান্ হবে,
নব দিনমণি উদিবে আবার পুরাতন পুরবে।"
২৯. প্রিয় রং?
উঃ পতাকার রং। সম্মানের রং। গৌরবের রং। শক্তি, ত্যাগ আর ভালবাসার রং।
৩০. প্রিয় পোশাক?
উঃ আলিঙ্গন। তার চেয়ে উষ্ণতা যে আর কিচ্ছুতে নেই, তাই বড় প্রিয় পোষাক।
৩১. কখনো লুকিয়ে কেঁদেছেন?
উঃ প্রতিবার যখন সন্তান বিয়োগ হয়...
৩২. নিজেকে ১০- কত দিতে চান?
উঃ - অসীম, সীমাহীন। ঠিক তোমাদের প্রতি আমার ভালবাসার মতো...
 
 


সেরা সেরা  Iex
Like Reply




Users browsing this thread: 10 Guest(s)