Thread Rating:
  • 114 Vote(s) - 2.66 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
কিছু মনের সত্যি কথা
(23-12-2021, 10:25 PM)Bichitravirya Wrote: বিচিত্র নিউজ থেকে আপনার কাছে সরাসরি টাটকা কথা --- আমি ওই পিনুরাম নামক লেখকের কথা বলছি  Shy 

❤❤❤

এমন মনে করার কারণ? তিনি কি ভালো গল্প লিখতেন না? Sleepy বাকী কে কে আছেন?

*পিনু বাবুকে এই মেসেজ টা ফরওয়ার্ড করে দিচ্ছি



Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
(23-12-2021, 10:29 PM)Jupiter10 Wrote: এমন মনে করার কারণ? তিনি কি ভালো গল্প লিখতেন না? Sleepy বাকী কে কে আছেন?

*পিনু বাবুকে এই মেসেজ টা ফরওয়ার্ড করে দিচ্ছি

আর পাঠিয়ে লাভ নেই... কারন আমার করা এরকম মন্তব্য অনেক আগেই স্ক্রিনশট তুলে পিনুরাম নামক লেখককে whatsApp করে দিয়েছেন আমাদের প্রিয় দেবু দা। তবুও আপনি চেষ্টা করলে করতে পারেন  Shy

উপরে যে অপশন গুলো দিলেন। তার মধ্যে একটাও না। এরকম মনে করার কারন আমার মনের ভিতরেই থাক।  Shy

বাকি সেই সব লেখকরা যাদের কাছে আপডেট চাইলে তারা উল্টে টাকা চায়  Dodgy 

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(23-12-2021, 11:00 PM)Bichitravirya Wrote: আর পাঠিয়ে লাভ নেই... কারন আমার করা এরকম মন্তব্য অনেক আগেই স্ক্রিনশট তুলে পিনুরাম নামক লেখককে whatsApp করে দিয়েছেন আমাদের প্রিয় দেবু দা। তবুও আপনি চেষ্টা করলে করতে পারেন  Shy

উপরে যে অপশন গুলো দিলেন। তার মধ্যে একটাও না। এরকম মনে করার কারন আমার মনের ভিতরেই থাক।  Shy

বাকি সেই সব লেখকরা যাদের কাছে আপডেট চাইলে তারা উল্টে টাকা চায়  Dodgy 

❤❤❤

না না এমনি মজা করছিলাম। আর কিসব লেখক মাইরি এরা। নির্লজ্জের মত টাকাও চায়। আর একজন আছে চরম মিথ্যুক! রবিবার আপডেট দেবো বলে দেয়না। পাঠকদের সময়ের মূল্য দেয়না। Sick



Like Reply
ভালোবাসার মর্গে নিখোঁজ হওয়া,
আমরা দুজন বেনামী দুটি লাশ
ছেঁড়া পোস্টমর্টেম রিপোর্টে লেখা,
"মৃত্যুতে দায়ী মিথ্যেকারের মন্দবাস"।।


লেখা : বোরসেস
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
ভাল দিন


ঘুমিয়ে পড়েছিল পিকলু বাবু। হঠাৎ কচর মচর আওয়াজ শুনে ঘুমটা ভেঙে গেল ওর।
ঘরে কে যেন হাঁটছে। চোর এলো নাকি?
অন্যসময় এলে পিকলু বাবু চিৎকার করে কেঁদে উঠত, তবে ও কিনা এখন সেভেন প্লাস, আর নিজে জেদ করে একা একা শোবে বলে বায়না করে কিডসরুমে শুয়েছে, মাম্মাম বারণ করা সত্ত্বেও, তাই আর চেঁচাতে পারল না।
তবে, কি করবে ভাবছে, এমন সময় দেখে চোর ওর খাটের কাছেই এগিয়ে এসেছে। চোরের কাঁধে একটা ইয়াব্বড় থলি...মাথায় টুপি...আর...আর...
"সান্টা ক্লজ!"
চিৎকার করে বলে ওঠে পিকলু বাবু । শুনে সান্টা ক্লজ চমকে ওঠেন, তারপর ঠোঁটের ওপর হাত রেখে 'শ শ শ' করে একটা ইশারা করেন।
কিন্তু হাতের কাছে সান্টা কে দেখেও চুপ করে থাকা যায়? তাই পিকলু বাব্জ জিজ্ঞেস করে "সান্টা? তুমি সত্যিই সান্টা দাদু? আমার জন্য গিফট এনেছ?"
"হ্যাঁ পিকলু বাবু। ইউ হ্যাভ বিন আ গুড বয়! তাই তো। বলো তোমার কি চাই!"
কি চাই!
শুনে একটু ঘাবড়ে গেল পিকলু বাবু। ওর তো সব ই আছে। বই-খাতা-ড্রয়িং বুক-কালার পেন্সিল-রেসিং কার সব। তাহলে কি চাইবে ও?
ভাবতে ভাবতেই মনে পড়ে গেল সন্ধ্যেবেলার কথা। মাম্মামের বকার কথা। পিকলু বাবু একটু পিৎজা খেতে চেয়ে বায়না করেছিম বলে মাম্মাম বকা দিয়েছেন, বলেছেন "এত ছোট বেলায় এত বায়না কিসের? যা দিয়েছি খেয়ে নেবে। ওসব খাবার বড় হয়ে খেও।" শুনে খুব মন খারাপ হয়ে গেছে ওর। ধ্যাত! মাম্মাম না, খুব বাজে! রাগের চোটে রাতে ভাত খায় নি ও ঠিক ভাবে। চিকেন ও না।
আচ্ছা, মাম্মাম বলেছিলেন না "বড় হয়ে"? সত্যিই যদি বড় হয়ে যাওয়া যায়?
মনস্থির করে নেয় পিকলু বাবু। তারপর বলে "আমি বড় হয়ে যেতে চাই সান্টা দাদু। প্লিজ আমাকে বড় করে দাও। "
শুনে, চোখ বড় বড় হয়ে যায় সান্টা দাদুর। তারপর বলে ওঠেন "এটা তো আমি পারব না পিকলু বাবু..."
"কিন্তু তুমি তো আমাকে গিফট দিতে এসেছিলে সান্টা.."
"হুম...আচ্ছা, আমি তোমাকে একটা মেশিন দিচ্ছি, আগে দেখে নাও তুমি বড় হয়ে কোন বছর টা দেখতে চাও...তারপরে আমরা ভাবব, কেমন?" বলতে বলতে ওর হাতে একটা ঘড়ির মতো যন্ত্র পরিয়ে দিলেন সান্টা দাদু। অনেক গুলো কাঁটা তাতে।
"আমি বাপির মতো বড় হতে চাই দাদু। আমার বাপি এখন থার্টি এইট ইয়ার্স ওল্ড। " তড়বড় করে বলে পিকলু বাবু।
সান্টা দাদু কি যেন একটা বোতাম টিপলেন আর সোঁওও করে একটা আওয়াজ হলো। ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল পিকলু বাবু।
এটা কোথায়? চোখ খুলেই অবাক হয়ে গেল ও। থার্টি ইয়ার্স পরের কলকাতা এটা। কিন্তু কেমন একটা ধোঁয়া ধোঁয়া...সবাই গোমড়া মুখে হেঁটে যাচ্ছে চারিদিকে।
ধন্দে পড়ে গেল পিকলু বাবু। শোনে একজন কাঁদতে কাঁদতে বলছেন "আজও খেতে পাই নি, জানিস? আগেকার দিনে লোকেরা কত ভালো ভালো খাবার খেতেন। নিজেরা খেতেন আবার নষ্টও করতেন। আর আজ দেখ...আমাদের জন্য কিচ্ছু নেই!"
শুনে পাশের আরেকজন বলে উঠল "আমি তো আজ জল ও পাইনি। সব জল শেষ। এখন আরও সাতদিন জল আসবে না আমাদের এখানে..."
খাবার নেই, জল ও নেই?
হঠাৎ কাশতে কাশতে একজন বলে উঠল.."আজ তিনদিন হলো হাওয়া নেই এখানে। কৃত্রিম অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে আছি। সব আগের লোকেদের জন্য!"
হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ!
বলে ওঠে ওরা তিনজন। তারপর ওর দিকে নজর যাওয়ায় বলে ওঠে "এইইইও তুমি কে? তুমি তো আমাদের চেনা কেউ না? এখানে কিভাবে এসেছ?"
ভয়ে ভয়ে পিকলু বাবু বলে ওঠে.."আ আমি পিকলু...আমি থার্টি ইয়ার্স পরে দেখতে এসেছি, পছন্দ হলে এখানে থেকে যাব..."
"থার্টি ইয়ার্স আগের লোক? এই তো, তোমাদের জন্যই আমাদের এই অবস্থা। এই কে আছিস? এই যে, আগের মানুষ এসেছে...একে পুলিশের কাছে দিয়ে দে..." বলে ওঠে তিনজন একসাথে।
পুলিশ? ওরে বাবা!
সেদিন ই মাম্মাম -বাপি একটা ওয়েব সিরিজ দেখছিলেন, তাতে পুলিশ একজনকে মারছিল, দেখেছে পিকলু বাবু।
ওকেও মারবে পুলিশ?
খুব ব্যথা লাগবে তাহলে?
"মাম্মাম...বাপিইইইইই" বলে কেঁদে ওঠে পিকলু বাবু।
"এই তো...এই তো সোনা..." মাম্মানের গলার আওয়াজে চমকে ওঠে ও। দেখে মাম্মাম ওকে জড়িয়ে ধরেছেন। পাশেই বাপিও। দুজনেই খুব চিন্তিত হয়ে দেখছেন ওকে।
আর... ও তো ঘরেই আছে। যেখানে ছিল।
হঠাৎ ওই তিনজনের কথা মনে হতে আবার চোখে জল এলো পিকলু বাবুর।
তবে এবার ভয়ে না, কষ্টে।
আহা রে! খাবার নেই...জল নেই...অক্সিজেন নেই...। কত কষ্ট পাচ্ছে ওরা।
আর, তখনই মনে পড়ে গেল রাতের কথা। রাগ করে খাবার নষ্ট করে ও... কল খুলে দিয়ে বন্ধ করতে ভুলে যায়... বাবা সেদিন বাড়ির সামনের কয়েকটা বড় বড় গাছ কেটে দিলেন...
এইজন্যই তো ওরা... তিরিশ বছর পরে ওরা...কষ্ট পাবে...
চোখে জল নিয়ে বাপি আর মাম্মামের দিকে তাকায় পিকলু বাবু। তারপর বলে "আমার সান্টা দাদুর গিফট চাই না। তোমরা আমাকে প্রমিজ করো, খাবার, জল আর কোনো কিছু নষ্ট করবে না? কেউ নষ্ট করলে বারণ করবে? নইলে আর কয়েকবছর পরে বাকিদের কি হবে? আমিও নষ্ট করব না। আমার সব বন্ধুদের বলব। করো প্রমিজ? "
ওর কথা শুনে হকচকিয়ে তাকায় দুজন। বাপি বলে ওঠেন "প্রমিজ করছি বেটা!"
আর মাম্মাম আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরেন ওকে। কপালে একটা চুমো দেন।
আহা, ওঁর পিকলু যে সত্যিই 'পিকলু বাবু' হয়ে গেল আজ!
আজ তাই বড়দিন... বড় ভাল দিন।
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(25-12-2021, 08:49 PM)ddey333 Wrote: ভাল দিন


ঘুমিয়ে পড়েছিল পিকলু বাবু। হঠাৎ কচর মচর আওয়াজ শুনে ঘুমটা ভেঙে গেল ওর।
ঘরে কে যেন হাঁটছে। চোর এলো নাকি?

Wow!! খুব সুন্দর ❤
এইটুকুর মধ্যে অনেক কিছু যেমন বুঝিয়েও দিলো তেমনি নিষ্পাপ নজরের আর চিন্তাধারার জোর কতটা দেখিয়েও দিলো.

সত্যিই পিকলু বাবু আজ বড়ো হয়ে গেলো.... ❤❤
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
*ভালো লাগবেই*||


এখানে 'প্রস্রাব করিবেন না।' কেন বাবা, 'এখানে পেচ্ছাপ করবেন না' লিখতে কী দোষ? তাতে কি প্রস্রাবের ধারা অন্যদিকে প্রবাহিত হবে ?

সাধু বাংলা বাঙালির মজ্জায়। একটু সিরিয়াস ব্যাপার হলেই সাধুর দাড়ি ধরে টানাটানি। তাতে অবিশ্যি বঙ্কিমি স্বাদের কণামাত্র নেই, আছে বিশুদ্ধ ইতরামি। 

'রাস্তা বন্ধ। কাজ চলিতেছে।' যেন কাজ চলছে লিখলে কাজ আর হবেই না। 

কিংবা 'আগামীকল্য আমাদের সংঘের বার্ষিক সভা ভানুবাবুর বাটীতে বিকাল পাঁচ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হইবে।' আমি ছেলেবেলায় ভাবতাম, বাটিতে কী করে সভা হবে? ওইটুকু তো সাইজ। লোকে বসবে কোথায়? ভানুবাবুর বাটি কত বড়? আহাম্মক কি গাছে ফলে!

এই যে ব্যাটা পটা। মাইক নিয়ে চিল্লিয়ে যাচ্ছে, 'যাহারা যাহারা মহাষ্টমীর অঞ্জলি দিতে ইচ্ছুক তাহারা তাহারা অবিলম্বে মণ্ডপে চলিয়া আসুন।' 

সাধুর এই মহামারীর জন্য দায়ী বোধহয় কলেজশিক্ষা। আমাদের সময় পই পই করে বলা হত, 'ভাষা দিয়ে লেখ।' ভাষা দিয়ে মানে কঠিন ভাষা দিয়ে। যার ভাষা যত কঠিন, তার নম্বর তত বেশি।

 বানানেও তাই। সব 'ঈ-কার'। জ্যোতিভূষণ চাকী লিখেছেন, কোনও ছাত্র যদি 'বাড়ি' লেখে তা হলে কলেজে নির্ঘাত সেই বাড়ি মেরামত হয়ে হবে 'বাড়ী।' এখনও তেমন হয় কি না, জানি না। 

সবচেয়ে কাহিল অবস্হা বিয়ের ও শ্রাদ্ধের কার্ডের। বাঙালির পোশাকআশাক, খাবারদাবার---কত কী বদলে গেল। 

কিন্তু বিয়ে ও শ্রাদ্ধের চিঠির ভাষা সেই এক। *'মদীয় বাসভবন*' থেকে *'সাধনোচিত ধামে গমন'*--এর রাস্তা যে কণ্টকাকীর্ণ তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

 এর সঙ্গে *'আশীর্বাদ করতঃ'* এবং *'প্রজাপতি ব্রহ্মার আশীর্বাদে স্নাত'* যদি হন, তা হলে তো পোয়া বারো। 

বিয়ের চিঠির ভাষা একটু বদলাতে যান, সমাজপতিরা টিকি নাড়বেন। যেন সাধুভাষায় না-লিখলে বিবাহবিচ্ছেদ অনিবার্য।

 ভাষার মৌলবাদ অতি সাংঘাতিক। কোথায় যেন পড়েছিলাম, *'আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতুষ্পুত্রের পঞ্চম পুত্র শ্রীমান অঘোরকান্তির সহিত পূর্বতন কুষ্টিয়া জেলা নিবাসী (অধুনা গঙ্গাবক্ষে নিমজ্জিত)*...।' বোঝো। 

এই কার্ড লিখবেন বলেই বোধহয় ভদ্রলোক এতদিন বেঁচে ছিলেন। 

আমার বিয়ের কার্ড লেখার সময় আমি আমার এক অকৃতদার রিটায়ার্ড কলেজ মাস্টার ধরনীজ্যেঠুর কাছে পরামর্শ চেয়েছিলাম। জ্যেঠু বলল, *'ল্যাখ, আমি অমুক তারিখে বিয়া করমু। সইন্দ্যাবেলায় আমাগো বাড়িত আইয়া দুগা ডাইল-বাত খাইয়া যাইবেন*।' 

এই বিপ্লবটা করতে পারলে নিজেকে চে গেভারা ভাবতাম। কিন্তু পারিনি। অগত্যা ওই আশীর্বাদ করতঃ...।

বাড়ির দলিল কোনওদিন পড়েছেন? আমি একবার পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। দু'লাইন পড়ার পর মনে হল..এখন থাক, পরে পড়ব। আজও সময় করে উঠতে পারিনি। ?

#সংগৃহীত!
[+] 3 users Like ddey333's post
Like Reply
একটি বিপজ্জনক ফোনালাপ*****


কন্যা : হ্যালো , হ্যাঁ বাবা বলো ? 

মানিকবাবু : আমরা ভালো আছি , তোর মায়ের হাঁটু ব্যথা বেড়েছে ,  আর হ্যাঁ শোন সুমি আজ কাজে আসেনি , আমি তোর মায়ের ঘরদোর ওই ডান্ডান্যাতাটা দিয়ে মুছে দিয়েছি। তোরা সব ভালো তো ? ছাড়ছি তাহলে .....

কন্যা : আরে এখুনি কি ছাড়বে ? মা কে দাও ।

মানিকবাবু : আবার মা কেন ? এক্ষুনি একগাদা কথা বলবে । শোন মিনিটে একটাকা কুড়ি পয়সা , আমার পাওয়ার ভরা নেই ( পাশ থেকে মায়ের চেঁচিয়ে হাঁক , আমি কথা বলবো , কিপটে বুড়ো একটা )

কন্যা : মা আমি ঘুরিয়ে ফোন করছি , তোমরা লাইন কেটে দাও ।

মানিকবাবু : অপচয় করিস না । আর ফোন করার দরকার নেই । আবার কাল করবি । ( লাইন কেটে দেওয়া হল )

মেয়ে ঘুরিয়ে ফোন করলেন ।

মা : হ্যালো , কে স্বাতী ? শোন , তোর বাবার সাথে আর একসাথে সংসার করা যাচ্ছে না , ভীষন অত্যাচার করছে ।

কন্যা : সে কি ? কি করেছে । 

মা : শোন সারাদিন খাইখাই করছে । সকালে চারবার চা খেয়েছে । সিগারেটের ধোয়ায় ঘরে কিচ্ছু দেখা যায় না । এই সবে আমাশা থেকে উঠলো । আমাকে বলছে মুড়িঘন্ট করে দিতে আর বোয়ালের ঝাল । পাঁচশো চুনো মাছ এনেছে । কে কাটবে বল , (কান্না) আমার হাঁটু ব্যথা । বলছে চুনো মাছের চচ্চড়ি করতে । আমি আর ওর সাথে থাকবো না । আমাকে আলাদা করে দে ।

কন্যা : এসব রেঁধেছো নাকি ? কালকেও তো মেট্রোজিল খেয়েছে ।

মা : মুখ ফুটে চাইলো মানুষটা আর রাঁধবো না ? জানিস রাতে আমাকে ঘুমাতে দেয় না , সারারাত অত্যাচার করে ।

কন্যা : সে কি ? কি বলছো মা ?

মা : ঠিকই বলছি ( কান্না ) সারারাত টিভি চালিয়ে হিস্ট্রি চ্যানেলে এলিয়েন দেখে । তারপর পাঁচশো কেজির মানুষ কি করে অপারেশন করে রোগা হচ্ছে তা দেখে । গাঁক গাঁক করে টিভি চলে । আমার ঘুম আসেনা । অত্যাচার নয় ? অথচ আমাকে দিদি নম্বর ওয়ান দেখতে দেয় না , তখন নিউজ শোনে ।

কন্যা : তো তুমি অন্য ঘরে শোও না কেন ?

মা : তোর বাবা ভুতের ভয় পায় , আমাকে ছাড়া শুতে পারে না । তুই এসে এর একটা বিহিত করে যা । ( ব্যাকগ্রাউন্ডে মানিকবাবুর আবৃত্তি শোনা যায় , " মানিক ব্যানার্জ্জীরে হে মুটকি জননী / রেখেছো ক্রীতদাস করে , স্বামী তো ভাবোনি ।" ) ওই দেখ , সারাদিন ছড়া কাটছে নয় গান করছে । লোকে পাগল বলে ।

কন্যা : আচ্ছা আমি কাল কলেজফেরত যাবো । একটু মুড়িঘন্ট রেখো ।

মা : একপাতা সেফটিপিন আর শায়ার দড়ি আনবি । আর ন্যাপথলিন ।

কন্যা : আনবো মা ।

মা : এবার রাখি , তোর বাবা কড়াইশুটির কচুরি করতে বলছে । রাখছি ।
©স্বাতীব্যানার্জ্জী
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
পরপর দুটোই পড়লাম Lotpot ... হাসিতে পেট ব্যাথা করতে শুরু করেছে Lotpot

Lotpot Lotpot Lotpot

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 1 user Likes Bichitro's post
Like Reply
[Image: 270126413_2049750798526927_7259727253668...e=61CE4DA6]
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
সুশোভন স্যার ! 

জাঁদরেল লেডি Lawyer মিস্ গাঙ্গুলি বললেন – “Your Honour! এবার আমি আমার Client মিস্ প্রকৃতি মজুমদার কে Witness Box এ ডাকতে চাই।*

*কোর্টের এজলাসে তখন থিক থিক করছে মানুষ – সবাই কয়েক মূহুর্ত চুপ। সবারই চোখ আটকে আছে সামনের দিকের চেয়ারে বসা জিন্স আর কুর্তি পরা তন্বী মেয়েটির দিকে। একটু যেন বেশীই সময় নিয়ে উঠে দাঁড়ালো মেয়েটি। কোর্টের ওই তিনদিক ঘেরা কাঠের বাক্সটার দিকে যেতে যেতে কত কথা মনে পরতে লাগল ওর। আজ সকালেই পাশের বাড়ির ছাদ থেকে মিলিদি বলছিল – “অ্যাই পিকু, তোদের তো কেস উঠেছে কোর্টে। আজ নাকি তোকে ডেকেছে, আর তোর ওই মাষ্টারকেও তো আজই তুলবে কোর্টে। একদম ছাড়বি না এই সব লোককে। মনের মধ্যে যা আছে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিবি”।*
*মিলিদির কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ওই কাঠের বাক্সটায় উঠে দাঁড়ালো মেয়েটি।*
*বিচারক শান্ত নরম গলায় জিজ্ঞেস  করলেন- “মিস প্রকৃতি, আপনি আসামি সুশোভন মিত্রকে চেনেন?”*
*“না”- দৃঢ় আর সংক্ষেপ জবাব প্রকৃতির।*
*সভায় মৃদু গুঞ্জন – উঠে এলেন প্রকৃতির solicitor শ্রীমতী গাঙ্গুলি।*

*“মিস্ প্রকৃতি – ভাল করে তাকিয়ে দেখুন আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ওই লোকটিকে আপনি চেনেন কি না”*
*উল্টো দিকে দাঁড়ানো খোঁচা খোঁচা দাড়ি ভর্তি, অপমানে, লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া মুখটার দিকে তাকিয়ে প্রকৃতি বলল – “ওই লোকটিকে আমি নিশ্চয় চিনি। ওনার নাম শ্রী সুশোভন মিত্র। আমাদের সুশোভন স্যর্। তবে ‘আসামি সুশোভন’ বলে আমি কাউকে চিনি না”।*
*-“ব্যাপার একই” – বললেন Lawyer গাঙ্গুলি, “তার মানে আপনি ওনাকে চেনেন।*

*এবার আমি আপনাকে যা যা প্রশ্ন করব, তার সঠিক উত্তর দেবেন। আমার প্রথম প্রশ্ন ----*
*হাত তুলে ইশারায় তার Lawyer কে থামতে বলল প্রকৃতি। বিচারকের দিকে ফিরে প্রশ্ন করল – “Your Honour! সকাল থেকে অনেক প্রশ্ন করেছেন আপনারা সবাইকে। আমার মা, প্রতিবেশী, কলেজের বিভিন্ন কর্মী – অনেককে। আমি কি আমার মতো করে নিজের কথা বলতে পারি? তারপর না হয় আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেবো”।*
*বিচারক বললেন – “অবশ্যই! আমরা তো তোমার কথাই শুনতে চাই” – আপনি থেকে তুমি তে এসে পরিবেশকে আরও সহজ করে তুলতে চাইলেন বিচারক মশাই।  “শুধু একটা কথা বল – সুশোভন বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে – উনি তোমাকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করেছেন এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছেন – যাকে আমরা “Bad Touch” বলে জানি – কথাটা সত্যি?”*
*প্রকৃতি - Touch তো উনি অবশ্যই করেছেন, (থামল প্রকৃতি। সভায় গুঞ্জন বাড়ল। সুশোভন মাষ্টার একবার প্রকৃতির দিকে তাকিয়েই আবার মাথাটা আরও নিচু করে দাঁড়ালেন) আবার বলল প্রকৃতি – Touch করেছেন উনি, আর করেছেন আমাকে। তাহলে সেটা Good না Bad সেটা আমার থেকেও ভাল করে এতগুলো মানুষ বুঝে ফেলল কি করে?*
*শ্রীমতী গাঙ্গুলি case-এর হাল ধরবেন বলে উঠে আসছিলেন চেয়ার ছেড়ে। বিচারক তাঁকে ইঙ্গিতে বসতে বলে নিজেই প্রশ্ন শুরু করলেন। - “তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে মাষ্টার মশায়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুমি মানতে চাইছ না”।*
*প্রকৃতি - অভিযোগ তো আমি করিনি, করেছেন আমার মা, মাকে সাহায্য করেছেন পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন আর দু-তিনটে  TV Channel.*
*- কি ঘটেছিল সেটা বরং তুমিই খুলে বল। (বিচারক জিজ্ঞেস করলেন) মাষ্টার মশায় কে তুমি কি ভাবে চেন? কেমন ধারণা তোমার এই মানুষটির সম্বন্ধে?*
*-“প্রথম দিকে অতি সাধারণ বলে মনে হত। আমাদের ক্লাস নিতেন না, দেখতেও আহামরি কিছু নয়, তাই নজর দেওয়ার প্রয়োজনই পড়েনি। শুধু উঁচু ক্লাসের দাদা দিদিদের মুখে ওনার কথা খুব শুনতাম। ক্লাস নাইন-এ যখন উঠলাম, রেজাল্ট খারাপ করাতে একদিন ডেকে আমায় বললেন– “শোন! তোমার এই প্রকৃতি নামের গুরুত্ব বোঝো তো? সৃষ্টি আর ধ্বংস দুটোর ক্ষমতাই তোমার আছে। যদি ঝড় তুলতে চাও তবে এটাই সেরা সময়। একবার শুধু দাঁতে দাঁত চেপে ঝাঁপিয়ে পড়, দেখবে কোন বাধাই তোমার সামনে দাঁড়াতে পারবে না” – সেদিন নতুন করে চিনেছিলাম মানুষটাকে। সেদিন অন্যভাবে চিনেছিলাম নিজেকে। আত্মবিশ্বাসী লাগছিল অনেক। এতদিন তো শুধুই শুনতাম সব জায়গায় – “তোর দ্বারা কিস্যু হবে না”। বলতে বলতে গলা ধরে আসে প্রকৃতির।*
*বিচারক - যে ঘটনার কারণে এত তোলপাড়, সে ব্যাপারে সত্যিটা শুনতে চাই তোমার মুখ থেকে।*
*প্রকৃতি - সত্যিটা খুব ছোট্ট আর অতি সাধারণ। এবার Inter-House Drama Competition এ আমাদের House চ্যাম্পিয়ন হয়। উনি ছিলেন আমাদের Trainer , যা হয়, জয়ের উল্লাসে ছুটে গেছিলাম ওনার কাছে। প্রণাম করলাম। উনি আশীর্বাদ করলেন। গাল টিপে দিলেন। তারপর আনন্দে সবার মতোই আমাকেও বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। পরিচ্ছন্ন পিতৃ সুলভ আলিঙ্গন। এক ফোঁটা দুরভিসন্ধি বা খারাপ চিন্তা ছিল না সেই ছোঁয়ায়। অথচ যারা এই ঘটনাটা দেখলেন তাদের চোখ বোধহয় অন্য কিছু অনুভব করেছিল। খানিক পর থেকেই গুঞ্জন শুনলাম – Back Stage-এ Bad Touch. সেই গুঞ্জন আলোড়নে পরিণত হয়ে আজ এই Court room এ এসে হাজির।*
*বিচারক - প্রকৃতি, তোমার কথাই আমরা সত্যি বলে মেনে নেব, কারণ, প্রথমত – অভিযোগ মূলতঃ তোমাকে ঘিরে আর দ্বিতীয়ত – যে জায়গায় ঘটনাটা ঘটে সেখানে কোন C-C-T-V ক্যামেরা ছিল না।*
*প্রকৃতি - ঠিক কথা,স্যার, এই CC-TV Camera ই আজকাল সব থেকে বড় গোয়েন্দা, সব থেকে বড় বিচারক। জানেন স্যার, আমাদের বাড়ির ছাদের চিলেকোঠার ঘরটাতেও কোন C-C-T-V Camera নেই, আর তাইজন্যই তো কোনও শাস্তি হল না বিল্টু মামার। আমার নিজের মামা স্যার। ক্লাস সেভেনে যখন পড়ি তখন একবার বিল্টু মামা এসে চিলেকোঠার ঘরে পড়া বোঝাবার নাম করে বেশ করে বুঝিয়ে দিয়েছিল – পুরুষের লোভী স্পর্শ কেমন হয় আর এখনকার ভাষায় কাকে বলে Bad Touch. মাকে জানালাম। সাথে সাথে ধমক খেলাম – “তোমার সবেতেই বাড়াবাড়ি। তোমার মামা বিদেশে পড়াশুনো করে। Adjust করতে না পারলে Avoid কর, কিন্তু এই নিয়ে আর কোনও কথা যেন উচ্চারণ করতে না শুনি”। ভেবে দেখুন স্যর্ , একজন নারী তার কন্যাসন্তানের অসম্মান উপেক্ষা করছেন কেন? না যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে তার নিজের ভাই, সে আমেরিকা থেকে এসেছে, তার বিরুদ্ধে কি কিছু বলা যায়? না উচিৎ? স্যর্ , আজ আমি ক্লাস ইলেভ্নে। এই চার বছরেও কিন্তু আমাদের বাড়িতে C-C-T-V Camera বসেনি। আজও কিন্তু বিল্টু মামা নিয়ম করে বছরে দুবার আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসেন। প্রচুর আমোদ-আহ্লাদ হয়। কিন্তু ওই যে দাঁড়িয়ে আছে লোকটা (সুশোভন মাস্টারের দিকে আঙ্গুল দেখায়), বিচারের রায় যেমনই হোক, তার কিন্তু কলেজে আসা চিরকালের মতো ঘুচে গেল।*
*স্যর্! আমার বাবার অফিসের করিডরেও কোনো C-C-T-V Camera নেই। তাই বাবার অফিসের Boss পরেশ কাকু যখন তাদের Annual Programme এ  আমার নাচের প্রশংসা করতে করতে আমার সারা গায়ে হাত বোলাচ্ছিলেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে বাবা অন্যদিকে তাকিয়েছিলেন। আহা! বড়বাবু বলে কথা। পরেশ কাকু কিন্তু প্রায় রোববারই আমাদের বাড়ি আসেন। লুচি-তরকারি খান। অথচ সুশোভন মাষ্টারকে কলেজ কিন্তু আর রাখবে না।*

*স্যর্! আজকাল কলেজে ক্লাসে ক্লাসে যখন Good Touch/Bad Touch কি তা বোঝানো হয়, তখন মেয়েরা মুখে হাত রেখে হাসি চাপার চেষ্টা করে। আচ্ছা বলুন তো, এই বিল্টু মামা, পরেশ কাকুদের স্পর্শ বুঝতে আমাদের বই থেকে কায়দা শিখতে হবে? এটা হাস্যকর নয় আমাদের মেয়েদের কাছে?*
*বিচারক - বেশ, আমরা তাহলে তোমার বক্তব্যকেই বিশ্লেষণ করে তোমাকে শেষ প্রশ্ন করছি – খুব সংক্ষেপে বল – তোমার বিচারে সুশোভন মাষ্টার কি অপরাধী?*
*প্রকৃতি - বাবা মায়ের ভালবাসা আর সময়ের অভাবে আমরা যখন দিশেহারা, তখন ছাত্রছাত্রীদের বন্ধু হয়ে ওঠা যদি অপরাধ হয় তবে উনি অপরাধী, আর বিল্টু মামা, পরেশ কাকুদের মতো, বিলেত ফেরত বা অফিসের Boss না হয়ে সাধারণ নিরীহ শিক্ষক হওয়াটা যদি অপরাধ হয়, তাহলেও উনি অপরাধী। Teacher হয়ে উনি যখন উনি জন্মেছেন তখন অপরাধী হওয়ার একচেটিয়া অধিকার তো ওনারই।*
*পরীক্ষায় প্রশ্ন Common না এলে Teacher অপরাধী, Result খারাপ হলে Teacher অপরাধী, ক্লাসে মারামারি হলে Teacher অপরাধি। মিডিয়া প্রচার করে – কলেজে দুষ্টু লোকেরা থাকে। বাবা মায়েদের দাবির জোরে আমাদের কলেজে 75 টা C-C-T-V Camera. এবার খেলার মাঠে গাছের ডালেও Camera বসানো হবে। আচরণ দেখলেই মনে হয় – যেন কলেজের বাইরেটা পবিত্রতায় ভরা আর ভেতরেই যত দুষ্টু লোকদের আনাগোনা। বাড়িতে শেখানো হয় শিক্ষকরা বাবা-মায়ের মতো। অথচ ওই লোকটাকে দেখুন কেমন হাত পা বাঁধা। বাবার মতো শাসন করতে গেলেও মুশকিল, বাবার মতো ভালবাসতে গেলেও বদনাম।*
*স্যর্, আপনি আপনার ছাত্রজীবনে কতজন শিক্ষককে আসামীর কাঠগড়ায় উঠতে দেখেছেন বা শুনেছেন স্যর? তাঁরা কি রাতারাতি সবাই বদলে যাচ্ছেন? সবাই “দুষ্টু লোক” হয়ে পড়ছেন? সারা বছর ধরে আমাদের বাবা-মায়েরা হোম-ওয়ার্ক কপি থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে টিচার এর ভুল ধরেন, আর 4Th September আমাদের Gift কিনে দেন পরের দিন Teachers’ Day বলে। আসলে আমরা পিছিয়ে পড়ছি স্যর্। রাজা রামমোহন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নারীদের যে উচ্চতায় তুলে এনেছিলেন, আমরা আইনের অপব্যবহার করে করে নিজেদেরকে সেই সম্মানের আসন থেকে নামিয়ে আনছি দিনে দিনে। অবাক হবেন না স্যর্ – যদি আজ থেকে কয়েক বছর পর আপনি এই এজলাসেই আবারও কোন “সতীদাহ”র মামলা পেয়ে যান। সেই দিন আবার ফিরে আসতে খুব বেশি দেরি নেই হয়ত।*
*বিচারক এতক্ষন অপলক দৃষ্টিতে প্রকৃতির কথা শুনছিলেন। কয়েকটা নিয়মমাফিক কাজকর্মের পর তিনি রায় ঘোষণা করলেন। নির্দোষ প্রমাণ হলেন সুশোভন মাস্টার। তাঁর বুক হাল্কা করে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল। রুমাল দিয়ে চোখ মুছলেন তিনি। বিজয়িনীর গর্বে প্রকৃতি এগিয়ে গেল তাঁর দিকে। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করল। স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন সুশোভন বাবু।*
*“আশীর্বাদ করলেন না স্যর্!” – প্রশ্ন করল প্রকৃতি।*
*আরও জড়সড় হয়ে খালি হাতটা যেন কোথাও লুকিয়ে ফেলতে চাইছেন মাস্টার-মশাই। তারপর কাঁপা কাঁপা ধরা গলায় বললেন – “ভয় করে রে মা! সবই তো বুঝিস, আবার যদি Bad Touch হয়ে যায়!”*
*.....সংগৃহীত।..
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
সুশোভন স্যার গল্পটা কয়েক মাস আগে আমরা পড়েছিলাম। মানে এটা রিপোস্ট হয়েছে। গল্পটা অসাধারণ ছিল। আমি বাবান দা, দেবু দা খুব প্রশংসা করেছিলাম তখন  Heart Shy

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
# আমার_বউ_কিছুই_করে_না
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
--- হ্যালো ভাই, আপনি কি করেন?
--- আমি একটা ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার।
--- বাহ্! খুব ভালো। তা আপনার স্ত্রী?
--- সে কিছুই করে না। স্রেফ গৃহিণী।
--- তাই নাকি? তা ভাই, সকালে আপনার ফ্যামিলীর জন্য নাস্তা কে
বানান?
--- আমার বউই করে। কারণ সে তো কিছু করে না।
--- ঠিকি তো। আচ্ছা, এখন বলুন তো, তিনি ঘুম থেকে কখন
ওঠেন?
--- সে ভোর পাঁচটায় ওঠে। কারণ নাস্তা বানানোর আগে তাকে
ঘর-দোর পরিস্কার করতে হয়।
--- আপনার বাচ্চাদের কে কলেজে নিয়ে যায়?
--- সে-ই নিয়ে যায়। কারণ, তার তো আর অন্য কোনো কাজ
নেই।
--- হা হা হা.... বেশ বলেছেন। আচ্ছা এখন বলুন তো, বাচ্চাদের
কলেজে দিয়ে তিনি কোথায় যান? কি করেন?
--- বাচ্চাদের কলেজে দিয়ে সে বাজারে যায়, বাসায় ফিরে কাপড়
কাচে, ঘর-মেঝে পরিস্কার করে, রান্না-বান্না করে। এছাড়া তার
তো আর কাজ নেই।
--- বেশ। এবার বলুন- লাঞ্চের পর তিনি কি করেন?
--- তেমন কিছু না। ধোয়া কাপড়-চোপড় ঘরে এনে ইস্ত্রি
করে, ঘর-বিছানা গোছায়, বাচ্চাদের কলেজ থেকে নিয়ে আসে,
খাওয়ায়, টিউটরের জন্য নাস্তা রেডি করে- এইসব টুকিটাকি কাজ আর
কি। এইটুকু না করলে তো শরীর ভারী হয়ে যাবে, অসুখ-বিসুখ
বাসা বাঁধবে।
--- খুবই খাঁটি কথা বলেছেন। আচ্ছা, বিকেল থেকে রাতে
শোয়া পর্যন্ত তিনি আর কি কি করেন?
--- হা হা হা ... ওই যে বললাম - তেমন কিছু না। টুকিটাকি হালকা কাজ।
--- যেমন?
--- এই ধরেন, বিকেলের নাস্তা-চা বানায়, ঘর-আঙ্গিনা ঝাট দেয়,
রাতের জন্য রান্না করে, বাচ্চাদের পড়াতে বসায়, আত্মীয়-
মেহমান এলে তাদের অপ্যায়ন করে, সবাইকে ডিনার করিয়ে
নিজে খায়, এঁটো বাসন-কোসন মাজে, বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে
নিজে ঘুমায়।
--- বুঝলাম আপনার বউকে তেমন কিছুই করতে হয় না। অনেক
শান্তিতে আছেন তিনি। এবার আপনার রুটিনটা বলুন।
--- আমার তো ভাই মেলা কাজ, মেলা ঝাক্কি-ঝামেলা। সেই সকাল
আটটায় উঠি, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাস্তা করেই অফিসের দিকে ছুটি।
--- তারপর?
--- সন্ধ্যার আগে আগে বাসায় ফিরি।
--- বাসায় ফিরে কি করেন?
--- সারাদিনের হাজারো কাজে খুব টায়ার্ড হয়ে যাই, তাই ঘন্টা
দুয়েক রেস্ট করি। বউ চা দেয়, চা খেতে খেতে টিভি দেখি,
পেপার পড়ি।
--- তারপর কি করেন?
--- হালকা ড্রেস আপ করে বাজারে বা ক্লাবে যাই। শারীরিক মানসিক
পরিশ্রমে বোরড হয়ে যাই। একটু রিক্রিয়েশন না করলে মাথা ঠিক
থাকে না।
--- বাজারে গিয়ে কি করেন?
--- বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আড্ডা দেই, তাস খেলি, চা-কফি, পান-বিড়ি খাই।
--- বাসায় ফেরেন ক’টায়?
--- এই ধরেন.. সাড়ে দশটা - এগারটা।
--- তারপর?
--- তারপর আর কি? খেয়ে-দেয়ে টিভি দেখতে দেখতে
ঘুমিয়ে পড়ি।
--- বাচ্চারা জেগে প্রস্রাব-পায়খানা করতে চাইলে কে ওঠেন?
আপনি না ভাবী?
--- আমার ক্লান্ত শরীর, ঘুম-বিশ্রামের খুব প্রয়োজন। গিন্নী
তো কিছুই করে না, তাই সেই ওঠে। হা হা হা হা!
[+] 1 user Likes ambrox33's post
Like Reply
(23-12-2021, 11:00 PM)Bichitravirya Wrote: আর পাঠিয়ে লাভ নেই... কারন আমার করা এরকম মন্তব্য অনেক আগেই স্ক্রিনশট তুলে পিনুরাম নামক লেখককে whatsApp করে দিয়েছেন আমাদের প্রিয় দেবু দা। তবুও আপনি চেষ্টা করলে করতে পারেন  Shy

উপরে যে অপশন গুলো দিলেন। তার মধ্যে একটাও না। এরকম মনে করার কারন আমার মনের ভিতরেই থাক।  Shy

বাকি সেই সব লেখকরা যাদের কাছে আপডেট চাইলে তারা উল্টে টাকা চায়  Dodgy 

❤❤❤

Pinuda himself called me , talked about 40 minutes .
Like Reply
(29-12-2021, 08:43 PM)ddey333 Wrote: Pinuda himself called me , talked about 40 minutes .

When?? তাহলে এবার শান্তি তো ? আর কাঁদবে না তো তুমি ? বোকাচোদা কি আর সাধে বলি?
Like Reply
(29-12-2021, 08:43 PM)ddey333 Wrote: Pinuda himself called me , talked about 40 minutes .

আমি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিরব থাকবো Shy । হয়তো দেখা গেল এমন গালি দিলাম যে আর জীবনেও লিখবে না Tongue ... তাই আমি বোবার অভিনয় করবো  Big Grin 

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
আমার প্রথম প্রেম ! স্বীকার করতে লজ্জা নেই !

 কিন্তু । ....... তুই কালো ছিলিস ! তাইতো তোকে বাসিনি ভালো ! 
শুধু চেয়েছিলাম খেলতে তোকে নিয়ে !
কিন্তু কখন যেন হারিয়ে গেলাম !
কালোয় আমার জীবন ভরিয়ে দিলো আলো ! 

তুলি  !!! আমি তোকে ভুলতে পারিনি ! 
যৌবনের প্রথম উচ্ছাস ছিলি তুই ! 
না ! ! সত্যি বলছি ! তোকে ভুলিনি কখনো !
তুই ছিলিস ! আমি ছিলাম ! শুধু ছিলোনা 
আমার সেই কালো হরিণ চোখের সেই জীবনের মই ! 
জীবন তখন স্বপ্ন ছিল 
আমার ছিল সংগ্রাম ! 
কখন জানিনা বিকিয়ে গেলো 
আমার সব অভিমান ! 
ছিলাম মানুষ কিন্তু শেষে 
নিজেকে হারিয়ে দিলাম স্রোতে ! 
তুই প্রেমিকা থেকে হয়ে গেলি 
বারবনিতা ! প্রলেপ দিতে ক্ষতে ! 
ক্ষমা করিস বলবো না আজ 
এই জীবনের শেষ বিদায় লগ্নে ! 
মিলবো জানিস সেই সময়ে 
শেষ জীবনের লগনে ! জীবন তখন স্বপ্ন ছিল 
আমার ছিল সংগ্রাম ! 
কখন জানিনা বিকিয়ে গেলো 
আমার সব অভিমান ! 
ছিলাম মানুষ কিন্তু শেষে 
নিজেকে হারিয়ে দিলাম স্রোতে ! 
তুই প্রেমিকা থেকে হয়ে গেলি 
বারোবনিকা ! প্রলেপ দিতে ক্ষতে ! 
ক্ষমা করিস বলবো না আজ 
এই জীবনের শেষ বিদায় লগ্নে ! 
মিলবো জানিস সেই সময়ে 
শেষ জীবনের লগনে !
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
পকাদা ঘুমের মধ্যেই নাকে একটা বোঁটকা গন্ধ পেল। লঞ্চটা অল্প অল্প দুলছে, ঘুমটা দারুণ হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ গন্ধ কোত্থেকে এলো? পকাদার চোখ খুলে মনে হল সামনের বেডে কেউ একটা শুয়ে। চশমাটা চোখে দিয়েই আঁতকে উঠল পকাদা, একটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার তার মুখের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। পকাদা'র দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, গুড মর্নিং।

    পকাদা কি ঘটছে বুঝতে না পেরে বলল, গুড মর্নিং।
    বাঘটা বলল, ঘুম কেমন হল?
    পকাদা বলল, ভালো।
- সুন্দরবন এই প্রথম?
- হ্যাঁ
- হিসি-হাগু কিছু করার আছে?
- কেন?
- না, তাহলে আমি খাব।
- কি?
- কি না, কাকে? আপনাকে?
- মানে?
- হুম্... এটাই তো চুক্তি হয়েছে।
- কার সঙ্গে?
- বনদপ্তরের সঙ্গে।
- কি চুক্তি?
- মাসে দশটা করে টুরিস্ট আমাদের প্রাপ্য। তবে তার বদলে আমরা আপনাদের এন্টারটেন করব।
- কিভাবে?
- আপনারা যখন লঞ্চের জানলা দিয়ে উঁকি দেবেন আমরা সপরিবারে পাড়ে এসে দাঁড়াব। বাচ্চারা ডিগবাজি খাবে। আমার বউ সামনের দুটো পা তুলে আমার গালে একটা চুমু খাবে।
- এতে কি হবে?
- আরো বেশি টুরিস্ট আসবে। বনদপ্তরের লাভ হবে।
- বেশ। কিন্তু আমাদের প্যাকেজে তো এটা ছিল না! মানে আমায় লঞ্চের মধ্যেই বাঘে খাবে।
- ছিল না? ভালো করে পড়েননি।
- মানে?
- নীচে ছোট্টো করে 'শর্তাবলী প্রযোজ্য' লেখা ছিল।
- কি লেখা ছিল?
- একজন কাউকে বাঘ পছন্দ করে নেবে। কাকে পছন্দ করবে সেটা বাঘের উপর নির্ভর করবে।  
- আপনি আমাকেই বাছলেন?
- বাছলাম।
- বেশ। তা লঞ্চের বাকিরা কোথায়?
- আমার পরিবারের সঙ্গে জঙ্গলে বেড়াচ্ছে।
- মানে? কেউ যদি খেয়ে নেয়?
- কেউ খাবে না। আমরা চুক্তি ভঙ্গ করি না।
- বেশ। আপনি কি এখনই খাবেন?
না, আমার হাতে কিছুটা সময় আছে।  

- সময় নিতে পারেন। আমাদের হাতে দেড় ঘন্টা আছে। ছাদে যাবেন?
- ছাদে কেন?
- এই শীতের আমেজে বেশ রোদে বসে আপনাকে টুকটুক করে খাব। মজা লাগবে।
- মজা লাগবে? এত নিষ্ঠুর আপনি?
- পাঁঠা, মুরগীগুলোও একই কথা বলে।
- বুঝেছি।
- পায়খানা করবেন?
- না।
- তবে ছাদে চলুন।
- চলুন।
- আমি ঘাড় ধরে নিয়ে যাব?
- কেন?
- না, তবে বেশ একটা শিকার ধরে নিয়ে যাচ্ছি ফিলিংস আসবে।
- আমার ভয় লাগছে।
- কিচ্ছু ভয় নেই। এমন ধারালো দাঁত আমার, তাছাড়া মানুষের মাংস ছাড়ানো আমাদের কাছে একটা শিল্প।
- মানে?
- মানে আপনি বুঝতেই পারবেন না আপনাকে কখন খেয়ে ফেললাম। আমার ঢেকুর শুনে বুঝবেন।
- মানে! আমি তো তখন মরেই যাব।
- সে তো শরীরটা। গীতাটা পড়িসনি রে পাগলা? ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।
- বাবা, আবার গীতাও জানেন!
- জানি। কোরাণ, বাইবেল, জেন্দাবেস্তা সব জানি।
- আচ্ছা।
- তবে ঘেঁটিটা ধরি?
- ধরুন।
    বাঘটা এগিয়ে আসছে। পকাদার সিটটা ভিজে যাচ্ছে। বুঝতে পারছে। কিন্তু থামাবে কে?
    হঠাৎ বাঘের মুখটা  বৌ এর মত হয়ে যাচ্ছে। গলার আওয়াজটাও।
    "এই শোনো, তুমি তাড়াতাড়ি উঠে টয়লেটে যাও... আবার বিছানায়... একে নিয়ে আমি যে কি করি…."
Like Reply
আজ ফিরছি ট্রেনে, আচমকাই একটা কন্ঠস্বর আর কিছু কথা এসে কানে পৌঁছালো। শুধু পৌঁছালো আর বেরিয়ে গেল এমন নয়। রীতিমত মনের গভীরে প্রবেশ করলো।

একজন বছর আটচল্লিশ-পঞ্চাশের ভদ্রলোক বেশ জোর গলাতেই বললেন, আরে সৌভিক তুমি এত ম্রিয়মাণ হয়ে রয়েছে কেন? সৌভিক নামের বছর চল্লিশের ভদ্রলোক বললেন, আসলে নীলাদ্রিদা মা চলে যাবার পর থেকে বাড়িটা এত ফাঁকা লাগে যে অফিস থেকে ফিরতেই ইচ্ছে করে না। সুস্মিতা আর রনিও বুঝতে পারে আমার মনখারাপটা। ওই বাড়ি ফিরলেই, মায়ের প্রথম কথাই ছিল- টিফিন খেয়েছিলি? সেই প্রাইমারি থেকে আজ পর্যন্ত মা একই কথা জিজ্ঞাসা করতো বাড়ি ফিরলেই। ওটা খুব মিস করছি।
নীলাদ্রি নামের ভদ্রলোক বললেন, তাতে এত ভেঙে পড়ল চলে? মা কি কারোর চিরটা কাল থাকে? না,না এভাবে মনখারাপ করো না। মাসখানেক ধরেই দেখছি তুমি বড্ড চুপচাপ।
সৌভিক বললেন, আরেকটু আগে যদি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো বেঁচে যেত মা। আসলে বমি হচ্ছে দেখে ভাবছিলাম, গ্যাস-অম্বল হয়েছে। ওটা যে স্ট্রোক বুঝতে পারিনি দাদা।
সৌভিক নামের ভদ্রলোক দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন।
নীলাদ্রি বললেন, ওসব ছাড়ো, বড়দিনে কী করলে বলো? আরে ডাক্তারের হাতেই কি সব ক্ষমতা নাকি? পরমায়ু শেষ হলে কি কেউ বাঁচে?
আমার একটু বিরক্তই লাগছিলো। একজন সদ্য মাতৃহারাকে সান্ত্বনা দেবেন কোথায়, তা নয় কাঠ কাঠ জ্ঞানের কথা। কিছু মানুষ এত অতিরিক্ত জ্ঞান ফলায় সবেতে যে বিরক্ত লাগে। আসলে যার জীবনে এমন শোক আসেনি সে বোধহয় এমনই বলতে পারে। ঠিক এরকম ভাবনা থেকেই ছিটকে পড়লাম মুহূর্তে। কত কম জেনে আমরা একটা মানুষ সম্পর্কে ধারণা করে ফেলি ভেবেই লজ্জা পেলাম।
নীলাদ্রি নিরুত্তাপ গলায় বললেন, আমার ছেলে নীলাভ যখন চলে গেল তখন ওর বয়েস ষোলো। মাধ্যমিকের টেস্টটাও দিতে পারলো না। একমাত্র তখনই আমি বুঝেছিলাম, আমরা ডাক্তারদের ঈশ্বর ভাবলেও ওনারাও আসলে মানুষ। ওনাদের ক্ষমতাও সীমিত। বিশ্বাস করো সৌভিক, নীলাভর যিনি ট্রিটমেন্ট করছিলেন, সেই ডাক্তারও আমার সঙ্গে কেঁদেছিলেন। বলেছিলেন, রেয়ার ম্যালিগন্যান্ট, বাঁচাতে পারলাম না। সেই ডাক্তার বলেছিলেন, উনি নাকি ওনার মাকেও বাঁচাতে পারেননি। খাবার টেবিলে আচমকা অ্যাট্যাক, আর মুহূর্তে শেষ।
গায়ে কাঁটা দিচ্ছিলো, ভদ্রলোকের অমন নিরুত্তাপ গলা শুনে। সন্তানের মৃত্যু মেনে নেওয়ার পরে বোধহয় আর কোনো শোকই ওনাকে স্পর্শ করে না।
তাই এমন নিরুত্তাপ গলায় বলতে পারছেন, মা কি চিরকাল কারোর থাকে?
সৌভিক বললেন, হ্যাঁ, আপনার ছেলের কেসটা শুনেছিলাম অভিষেক বলেছিল। সত্যিই খুব স্যাড।
নীলাদ্রি বললেন, আসলে চেষ্টা করতে পারি আমরা, কিন্তু ফিরিয়ে দেবেন কিনা সেটা তাঁর ইচ্ছে।
অন্ধকারে খেয়াল করিনি কোন স্টেশন ঢুকলো, ভদ্রলোক দেখলাম হাত জোড় করে প্রণাম করলেন কোনো দেবতার উদ্দেশ্যে।
না উনি ডাক্তারের ওপর থেকে ভরসা হারিয়েছেন, না ঈশ্বরের ওপর থেকে। অদ্ভুত কঠিন মেরুদন্ড হয় বাবাদের। সংসারের কর্তার শিরদাঁড়াটা ভাগ্যিস এতটা কঠিন হয়, তাই অনেকের মাথায় ছাদ সরে যায় না। ভাগ্যিস তাঁদের দুঃখগুলো বরফ কঠিন হয়, তাই তো শুকনো চোখে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
একটুতেই নিজের ভাগ্যকে বা ঈশ্বরকে দোষারোপ করা আমি স্তম্ভিত হয়ে ভাবলাম, এর নামই বোধহয় মানসিক শক্তি।
© এক চিলতে রোদ্দুর- কলমে-অর্পিতা সরকা
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
 ??
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)