Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,451 in 27,681 posts
Likes Given: 23,741
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,263
(22-12-2021, 07:55 PM)raja05 Wrote: Aj pakka asbe mone hoche.....
Posts: 163
Threads: 0
Likes Received: 189 in 128 posts
Likes Given: 10
Joined: Sep 2021
Reputation:
5
(22-12-2021, 05:21 PM)ddey333 Wrote: আজ আপডেট না আসলে ইঁদুর মারার বিষ কিনতে হবে .....
দে.বাবু চলুন,
ইদুর মারার বিষ কিনি;
তেলাপোকা মারতে হবে,
মশার উৎপাত বেড়েছে !
তোমারেই চেয়েছি,
শতরূপে শতবার ,
নিয়মে অনিয়মে ।
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,451 in 27,681 posts
Likes Given: 23,741
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,263
(22-12-2021, 10:33 PM)mahadeb Wrote: দে.বাবু চলুন,
ইদুর মারার বিষ কিনি;
তেলাপোকা মারতে হবে,
মশার উৎপাত বেড়েছে !
আসছি , ক্যাশ রাখবেন পকেটে ... কার্ড চলবে না মনে হয়
•
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,451 in 27,681 posts
Likes Given: 23,741
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,263
samareshbasu
মার্জনা করবেন শ্রদ্ধ্বেয় লেখক। যে ঠিকানাটা দিয়েছন উপরে সেটি বোধহয় IAS coaching center. অর্থাৎ ওখানে পড়লে আডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে চান্স পাওয়া যেতে পারে। ওটি নিতান্তই বানিজ্যিক, সরকারী নয়।
অর্থহীন এ কারণে ঠিক যে কারণে মমতা প্রধনমন্ত্রী হতে চাইছেন। অর্থাৎ তিনি কেন্দ্রীয় স্তরে কাজ করতে চান। ওটাই তাঁর ঊচ্চাকাংক্ষা।
Given negative repus for your immature comments and unnecessary over smartness.
This is a forum for writers and readers for enjoying ... not for apparent scotland yard or kgb executives like you ...
Posts: 67
Threads: 0
Likes Received: 51 in 33 posts
Likes Given: 165
Joined: Dec 2019
Reputation:
2
22-12-2021, 11:18 PM
(This post was last modified: 22-12-2021, 11:18 PM by Abid Ahmed. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(22-12-2021, 10:52 PM)ddey333 Wrote: samareshbasu
মার্জনা করবেন শ্রদ্ধ্বেয় লেখক। যে ঠিকানাটা দিয়েছন উপরে সেটি বোধহয় IAS coaching center. অর্থাৎ ওখানে পড়লে আডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে চান্স পাওয়া যেতে পারে। ওটি নিতান্তই বানিজ্যিক, সরকারী নয়।
অর্থহীন এ কারণে ঠিক যে কারণে মমতা প্রধনমন্ত্রী হতে চাইছেন। অর্থাৎ তিনি কেন্দ্রীয় স্তরে কাজ করতে চান। ওটাই তাঁর ঊচ্চাকাংক্ষা।
Given negative repus for your immature comments and unnecessary over smartness.
This is a forum for writers and readers for enjoying ... not for apparent scotland yard or kgb executives like you ...
দাদা একা যাইয়েন না।আমিও আসতাছি নেগেটিভ রেপু দিতে।
Posts: 163
Threads: 0
Likes Received: 189 in 128 posts
Likes Given: 10
Joined: Sep 2021
Reputation:
5
(22-12-2021, 10:40 PM)ddey333 Wrote: আসছি , ক্যাশ রাখবেন পকেটে ... কার্ড চলবে না মনে হয়
টাকার যে দাম,
দুটোই চলবে ,
বাজার গরম আছে !
.
সাথে দু চারটে হিজড়ে আনিয়েন ,
এখানে তো কোচিং এ ডিজে বাজছে ।
বেচারিরা বেশ নাচতে পারে,
নেচে ক্লান্ত হই কিলো খানেক ।
তোমারেই চেয়েছি,
শতরূপে শতবার ,
নিয়মে অনিয়মে ।
Posts: 1
Threads: 0
Likes Received: 1 in 1 posts
Likes Given: 0
Joined: Jul 2020
Reputation:
0
(22-10-2021, 07:55 PM)kumdev Wrote:
আপনার লেেখা পড়তে বসলেে বাকি থাকা কাজ বাকি থেকে যায়। আমি লিখতে যানিনা তাই, কাউকে কোনোদিন রিপ্লেই ও দিই নি। কিন্তু আজ মৌনতা ভাাাঙতে বাদ্য হলাম।
আপনার গল্পের বেলি চরিিত্র কালবেলার মাধবিলতা র কথা মনে করিয়ে দিল। তাই রিপ্লাই লিখতে বাধও হলাম।
।।৪৮।।
আবার পড়াশোনা ভেবে খুব খারাপ লাগছিল।মাও তালে তাল দিল।মায়ের অবাধ্য হওয়ার কথা ভাবতেই পারেনা।কিছুটা দ্বিধা নিয়ে শুরু করলেও এখন কেমন নেশার মত পেয়ে বসেছে।পরীক্ষার চেয়ে জানার আগ্রহই তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।প্রাসঙ্গিক আরও বই দরকার,একটা ইতিহাস নয় কয়েকজন অথরের বই ঘেটে পড়তে হয়।কিভাবে রাত কেটে যায় হুশ থাকে না।শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়ে পড়ে মনসিজ।
হিমানীদেবী শুনেছেন রেজাল্ট বেরোবার কথা।পড়াশোনায় খারাপ নয় পাস করে যাবে।কেমন রেজাল্ট হয় সেটাই চিন্তা।ওর বাবা বলতো বিত্ত-সম্পত্তি হয়তো রেখে যেতে পারব না কিন্তু শিক্ষাই তোমার সম্পদ।উনি থাকলে আজ এত চিন্তা করতে হতোনা।বিছানা থেকে নেমে চা করতে গেলেন।মনু কি ঘুম থেকে উঠেছে।সারারাত জেগে পড়ে ঘুম ভাঙ্গাতে ইচ্ছে হয়না।ও নিজেই উঠে পড়ে।ওর বাবা বলতো পরিশ্রমের বিকল্প নেই।নিজেও সারা জীবন পরিশ্রম করেছেন ছেলেকেও সেভাবেই তৈরী করেছে।হাসপাতাল আর আদালত এড়িয়ে চলার কথা বলতো।ওকে কোনোদিন দু-জায়গার কোনো জায়গায় যেতে হয়নি।
পিছনে এসে দাঁড়ায় মনসিজ।বুঝতে পেরে ঘুরে বললেন,উঠে পড়েছিস?নে চায়ের কাপটা ধর।
--বাজার যেতে হবে?
--কাল গেলেও হবে।
--আজই সেরে আসি।কবে রেজাল্ট বেরোবে কে জানে।
চা খেয়ে চোখে মুখে জল দিয়ে বাজারে যাবার জন্য প্রস্তুত হতে থাকে।হিমানী দেবী টাকা দিয়ে বললেন,মেয়েটা অনেকদিন আসছে না।
--বেশী মায়া বাড়িও না।
--মায়া নয় এলে ভাল লাগে।
--আজ আসবে।
--আমাকে বলিস নি তো।কখন আসবে?
--সেসব বলেনি।খালি নিজের কথা বলে অন্যের কথা শোনে না।দাও থলি দাও।
লক্ষী জুয়েলারীর মালিক বিনয় মণ্ডল দোকানের একপাশে তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসে।সামনে ক্যাশ বাক্স।নজরে পড়ল প্রথম কাউণ্টারে কি নিয়ে যেন গোলমাল হচ্ছে।একজন মহিলা বলছে,তাহলে ফোন করি?
বিনয়বাবু হাক পাড়েন,এই সুদর্শন কি হয়েছে?
সুদর্শন কাছে গিয়ে নীচু হয়ে ফিস ফিস করে বলল,চোরাই মাল চোর নাকি থানায়...ফেরৎ চায়।
--ম্যাডাম এদিকে আসুন।বিনয় মণ্ডল উচু গলায় ডাকল।মহিলা এগিয়ে গেলে বিনয়বাবু বলল,একটা চেয়ার দে।
একটা চেয়ার দিয়ে গেল একজন।মহিলা বসতে বিনয়বাবু বলল,ঐ সব কর্মচারীর কথা বাদ দিন বলুন কি হয়েছে।
মহিলা ব্যাগ থেকে একটা কানপাশা বের করে বলল,এর জোড়া চুরি হয়ে গেছে।আমাদের কাছে খবর ছিল আপনার দোকানে বিক্রী করেছে।
--দেখুন অভাবে পড়ে অনেকেই আসে কে চোর কে সাধু দেখে তো বোঝা যায় না।তা ছাড়া পুরানো সোনা আমরা গলিয়ে ফেলি--।
--কদিন আগে এসেছিলাম আমি দেখে গেছি।চোরাই মাল এমনি সিজ করতে পারি তবু আমি টাকা দিয়েই নিতে চাই।যার গয়না তাকে ফেরৎ দিতে হবে।
--এই সুদর্শন এদিকে আয়।উনি কি বলছেন ওই কানপাশাটা আছে নাকি?
সুদর্শনের মুখে কথা নেই।বিনয়বাবু বলল,তাহলে বের ওনাকে দে।যান ম্যাডাম।সই করিয়ে রাখবি।
কানপাশা হাতে নিয়ে এগিয়ে দেওয়া কাগজে সই করল,প্রজ্ঞা চৌধুরী।দোকান থেকে বেরিয়ে রাস্তায় দাড় করিয়ে রাখা রিক্সায় উঠে বলল,চলুন ভাই।
খাওয়া দাওয়া শেষে নিজের ঘরে এসে শুয়ে পড়ল।বেলি বলেছিল আসবে,আসেনি।অবশ্য এখন আড়াইটে বাজে সময় আছে।শুয়ে শুয়ে পুরানো দিনের কথা ভাবে।অভাবের মধ্যে বড় হয়েছে সে।বাবা কোনোমতে এই ফ্লাটটা কিনে গিয়েছিল তাই পথে দাড়াতে হয়নি।দেওয়ালে চোখ পড়তে ঈশ্বরচন্দ্রের ছবিতে চোখ আটকে যায়।জ্বল জ্বল চোখে তাকিয়ে আছেন।দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন।নিজের জন্য অপেক্ষা অন্যের জন্য ভেবে জীবনাতিপাত করেছেন।নারীজাতি সম্পর্কে ছিল অপরিসীম শ্রদ্ধা।নিজের সমস্যাগুলো আর বড় মনে হয়না।মনসিজের মধ্যে জেগে ওঠে আত্ম্য প্রত্যয়।বাইরে কলিং বেলের শব্দ হল মনে হল।উঠেতে গিয়ে বুঝতে পারে মা উঠেছে।বেলি এলোনা তো?মনসিজ আবার শুয়ে পড়ল।
হিমানীদেবী দরজা খুলে অবাক।ঘেমে নেয়ে একশা বেলি দাঁড়িয়ে কাধে বিশাল এক ঝোলা ব্যাগ।
--কিরে তুই তো ঘেমে একেবারে স্নান করে গেছিস।আয় ভিতরে আয়।
ভিতরে বসিয়ে পাখার গতি বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,তোর ব্যাগে কি?
--মস্তানের বই।
হিমানী দেবী ব্যাগ হতে বইগুলো বের করে টেবিলের উপর রেখে বললেন,তুই বোস আমি সরবৎ করে আনি।
--মামণি তুমি বোসো আমার কাছে।
হিমানী দেবী খাটে সামনা সামনি বসলেন।প্রজ্ঞা উঠে বলল,এই দেখো তোমার জন্য কি এনেছি।হিমানীদেবীর হাতে কানপাশা জোড়া তুলে দিল।
অবাক হয়ে হিমানীদেবী বললেন,ওমা এ তুই কোথায় পেলি?
--তুমি পরো।অত কথার দরকার কি?
উচ্ছ্বসিত হিমানীদেবী খাট থেকে নেমে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কানে পাশা আটতে আটতে ডাকলেন,এই মনু দেখ বেলি কি এনেছে।
মনসিজ এসে মায়ের কানে পুরানো পাশাজোড়া দেখে অবাক হয়ে বলল,তোমার লজ্জা করছে না ছিঃ মা।
--এই মস্তান কাকে কি বলছিস?
--আমি আমার মাকে বলেছি।
--তুই আরেকবার ছিঃ বলে দেখ।
হিমানীদেবী বললেন,ছেড়ে দে বেলি ওর কথা--।
--মামণি তুমি চুপ করো,তুমি কোনো কথা বলবেনা।
মনসিজ অবাক মাকেও ধমকাচ্ছে!
--কিরে আরেকবার বল ছিঃ।
--কি করবে তুমি?
--তুই আরেকবার ছিঃ বল।
--তুমি বললেই বলতে হবে।আমি বলব না।
মনসিজ পা দাপাতে দাপাতে নিজের ঘরে চলে গেল।হিমানীদেবী আর বেলি হাসিতে ভেঙ্গে পড়ে।হিমানীদেবী বল্লেন,একেবারে ছেলে মানুষ।
--ছেলে মানুষ থাকলে হবে বড় হতে হবে না।
--এমনি ঠিক আছে আসলে তোকে দেখলে ঘাবড়ে যায়।
--আমি একটু গায়ে জল দেবো।সারা গা চট চট করছে।সরবৎ নয় তুমি বরং আমার হলে একটু চা দিও।
হিমানীদেবী একটা পরিষ্কার তোয়ালে এগিয়ে দিলেন।প্রজ্ঞা তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে ঢুকতে মনসিজ এল রান্না ঘরে।
--তুই ঘরে গিয়ে বোস চা হলে দিয়ে আসবো।
--মা তুমি খেয়াল করেছো বেলি তোমাকে মামণি বলছিল?
--বলছিল তাতে কি হয়েছে?ওতো আমার মেয়ের মতই।
--মেয়ের মত হলেও অন্যের মাকে কেউ মা বলে?ভিখিরিরা ভিক্ষে চাওয়ার সময় বলে,মাগো দুটো ভিক্ষে দেবে মা।বেলি কি ভিখিরী?
--মনু তুই কিরে?মেয়েটা এত গুলো বই তোর জন্য বয়ে বয়ে নিয়ে এল--কে করে এরকম?
--বেলি আমার জন্য অনেক করে চিরকাল মনে রাখব।কিন্তু ও যে আমাকে মস্তান বলে আমার নাম কি মস্তান?
--মস্তানী করে বেড়াতিস তাই বলে।
--বাঃ বাঃ তোমার দেখিছি ওর খারাপ কিছুই নজরে পড়েনা।
হিমানীদেবী মুখ টিপে হেসে বললেন,বেলি যদি আমার বৌমা হয় তাহলে আমাকে মা বলবে না?
মনসিজের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।কোন জগতে বাস করছে তার মা।মনসিজ বলল,মা তুমি কি পাগল হলে?
--কেন পাগলামীর কি হল?
--ওরা কত বড়লোক তুমি জানো চাকদায় ওর বাবার কত প্রতিপত্তি তুমি ভুলে গেছো?মা আকাশ কুসুম কল্পনা করলে শেষে দুঃখ পেতে হবে।
প্রজ্ঞা বাথরুম হতে বেরোচ্ছে বুঝতে পেরে বইগুলো নিয়ে দ্রুত নিজের ঘরে চলে গেল।ঘরে এসে বইগুলো নিয়ে বসল।যে বইগুলোর খোজ করছিল বেলি ঠিক সেই বইগুলো এনেছে।রাতের জন্য অপেক্ষা করার ধৈর্য নেই এখনি বইগুলো পড়তে ইচ্ছে করছে।মুখ তুলে দেওয়ালে ছবিগুলোর দিকে দেখে মনে হচ্ছে সবাই তার দিকে চেয়ে আছে।প্রজ্ঞা চা নিয়ে ঢুকে খাটের একপাশে নামিয়ে রাখে।মনসিজ মুগ্ধ হয়ে দেখে চুলে জল কণা লেগে আছে।মনে হচ্ছে যেন শিশির সিক্ত ভোরের বেল ফুল।প্রজ্ঞা কোনো কথা না বলে বেরিয়ে গেল।বাথরুম হতে তার কথা শোনেনি তো?চায়ের কাপ তুলে চুমুক দেয়।
চা খেতে খেতে হিমানীদেবীর সঙ্গে কথা বলছে প্রজ্ঞা।
--আচ্ছা মা তুই পেলি কোথায়?
--মস্তান লক্ষ্মী জুয়েলারসে বিক্রী করেছিল।
--তুই জানলি কি করে?
--কয়েকটা দোকান ঘুরে শেষে এখানে হদিশ পেলাম।
--ওরা দিয়ে দিল?
--এমনি-এমনি কি দেয় অনেক কায়দা কৌশল ভয় টয় দেখাবার পর---কম ঝামেলা করতে হয়েছে।মামণি এবার উঠবো।
--এই মনু।হিমানীদেবী গলা তুলে ডাকলেন।
মনসিজ আসতে বললেন,বেলিকে একটু এগিয়ে দে।
--একাই তো এসেছে।
--থাক ওকে যেতে হবে না।
--যাবনা বলিনি।জামা টামা গায়ে না দিয়েই যাবো নাকি?
মনসিজ ঘরে গিয়ে দ্রুত নিজেকে প্রস্তুত করে ফিরে এল।প্রজ্ঞা ততক্ষনে বেরিয়ে গেছে।মনসিজ বলল,দেখলে কেমন তেজ।
--তুই তাড়াতাড়ি যা।
সামনে প্রজ্ঞা পিছন পিছন মনসিজ হাটতে থাকে।বেশ কিছু টা যাবার পর প্রজ্ঞা দাঁড়িয়ে পড়ল।মনসিজ কাছে যেতে প্রজ্ঞা জিজ্ঞেস করে,তোদের এখানে কোনো পার্ক নেই?
--ছোট একটা আছে দোলনা পার্ক,ঐ দিকে।
--চল পার্কে গিয়ে বসি।
--আমার কাজ আছে।
--কাজ তো রকে গিয়ে গ্যাজানো।আজ নাহয় আমার সঙ্গে একটু গল্প করবি।
--তোমার সঙ্গে গল্প।সারাক্ষন চোটপাট করো যেন আমি একটা বাচ্চা ছেলে।আমার বন্ধুরা এভাবে আমার সঙ্গে কথা বলতে সাহস করবে না।
প্রজ্ঞা হাসল,সব আমি জানিরে মস্তান। কেন চোটপাট করি জানিস?আমি একটা জিনিস পরীক্ষা করে দেখছি।
--চোটপাট পরীক্ষা?
--চল পার্কে গিয়ে বলব।
ওরা পার্কের দিকে এগোতে থাকে এমন সময় ওদের পাশে একটা গাড়ী এসে থামে।গাড়ীর ভিতর থেকে গলা বাড়িয়ে এক মহিলা বলল,কাল আসছো তো?
মনসিজ বলল,হ্যা ম্যাডাম।
মহিলা একনজর প্রজ্ঞার দিকে চোখ বুলিয়ে গাড়ীতে স্টার্ট করল।
পার্কে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসে প্রজ্ঞা বলল,তোর একটা গুণ মেয়েদের খুব সমীহ করিস।
--মেয়েরা আমার মায়ের মতো।
-- একটা লোককে দিয়ে এক গণিকাকে মা বলিয়েছিলি।
মনসিজ বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করে,তোমাকে এসব কে বলল?
প্রজ্ঞা হাসে পা দোলাতে দোলাতে বলল,আমি চোটপাট করি কেন জানিস,কখন তোর ধৈর্যচ্যুতি ঘটে।কিন্তু আজ পর্যন্ত দেখলাম না তুই আমার অসম্মান করেছিস।
মনসিজের চোখ ছল ছল অন্যদিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবে।প্রজ্ঞা ওর চিবুক ধরে তার দিকে ঘুরিয়ে বলল,কি হল?
--বেলি তুমি যা বললে ঠিক নয়।আমি খুব খারাপ খুব নোংরা তুমি শুনলে আমাকে ঘেন্না করবে--।
--আমি জানি।
--তুমি জানো?
--দ্যাখ মস্তান পাড়াগ্রামে গরু খুটো দিয়ে বেধে রাখে ঘাস খাবার জন্য।খুটো থেকে ছুটে গেলে অন্যের জমির বেড়া ভেঙ্গে ফসলে মুখ দেয়।
--মানে?
--মানুষের শরীর জামা কাপড়ের মত।ধুলেই ময়লা সাফ হয়ে যায়।কিন্তু মনের ময়লা সাফ করা যায়না।তোর মন পরিস্কার,আমি আছি আর তোকে অন্যের জমিতে মুখ দিতে হবে না।
--বেলি তুমি খুব ভাল।
--ওসব থাক।তুই আমার কথা শুনে চলবি তো?
--তুমি বলেছো কোন কথা শুনিনি বলো?
--তোর পছন্দ না হলেও আমার কথা অমান্য করবি না।
--ঠিক আছে।বেলি এবার তোমাকে একটা কথা বলি?
--তোর আবার কি কথা?
--আমার মা না খুব সরল।তোমাকে নিয়ে আবোল তাবোল ভাবে।যদি কিছু বলে কিছু মনে কোর না।মা কিন্তু তোমাকে খুব ভালবাসে।
--এ্যাই মামণিকে নিয়ে তোর ভাবতে হবে না।তোকে যা জিজ্ঞেস করছি তাই বল,ওই মহিলা কে,কোথায় যাবার কথা বলল?
--ও ওনার নাম উশতী পাকড়াশি।ওর মেয়েকে আমি পড়াই।
--তুই ঐ টিউশনিটা ছেড়ে দিবি।
--দুশো টাকা দেয়।
--তুই বলেছিস আমার সব কথা শুনবি।
পার্ক থেকে বেরিয়ে প্রজ্ঞা দেখল দূর থেকে একটা ট্যাক্সি আসছে বলল,তোকে আর যেতে হবে না।ট্যাক্সিটা থামা।
ট্যাক্সি থামিয়ে প্রজ্ঞা উঠে জানলা দিয়ে মুখ বের করে জিজ্ঞেস করল,মামণির মতো তুই কিছু ভাবিস না?
মনসিজের মুখ লাল হয়।প্রজ্ঞা হাত নাড়ে মনসিজও হাত নাড়ে।
Posts: 1,203
Threads: 24
Likes Received: 9,934 in 1,160 posts
Likes Given: 18
Joined: Nov 2019
Reputation:
2,694
(22-12-2021, 07:55 PM)raja05 Wrote: Aj pakka asbe mone hoche.....
নেট এক্সপায়ার হয়ে গেছিল সকালে রিচার্জ করলাম।
Posts: 759
Threads: 6
Likes Received: 1,591 in 804 posts
Likes Given: 2,169
Joined: Jan 2019
Reputation:
193
(23-12-2021, 03:01 PM)kumdev Wrote: নেট এক্সপায়ার হয়ে গেছিল সকালে রিচার্জ করলাম।
আজ পাবো তো আপডেট দাদা?
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,451 in 27,681 posts
Likes Given: 23,741
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,263
আজ যদি আপডেট না আসে , কাল থেকে আমরণ অনশনে বসে যাবো !!
Posts: 669
Threads: 6
Likes Received: 1,376 in 383 posts
Likes Given: 82
Joined: Aug 2021
Reputation:
103
•
Posts: 1,228
Threads: 0
Likes Received: 975 in 705 posts
Likes Given: 1,681
Joined: Jul 2020
Reputation:
66
aj deben lekha .....acha puro post cope kore reply debar ki dorkar......keo keo emni kore kano bujhi na
•
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,451 in 27,681 posts
Likes Given: 23,741
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,263
(23-12-2021, 04:58 PM)ddey333 Wrote: আজ যদি আপডেট না আসে , কাল থেকে আমরণ অনশনে বসে যাবো !!
অনশনে বসে লাভ নেই ! কামদেভ দাদা দিদির লোক ! কিছুই যাবে বা আসবে না !
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,451 in 27,681 posts
Likes Given: 23,741
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,263
23-12-2021, 10:11 PM
(This post was last modified: 24-12-2021, 09:42 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(23-12-2021, 08:19 PM)dada_of_india Wrote: অনশনে বসে লাভ নেই ! কামদেভ দাদা দিদির লোক ! কিছুই যাবে বা আসবে না !
আমি তোমার মানে দাদার লোক , নিজের চরকায় তেল ... মানে নিজের গল্প লেখো আগে !!
Posts: 122
Threads: 0
Likes Received: 335 in 153 posts
Likes Given: 818
Joined: Jun 2021
Reputation:
59
(22-12-2021, 10:52 PM)ddey333 Wrote: samareshbasu
মার্জনা করবেন শ্রদ্ধ্বেয় লেখক। যে ঠিকানাটা দিয়েছন উপরে সেটি বোধহয় IAS coaching center. অর্থাৎ ওখানে পড়লে আডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে চান্স পাওয়া যেতে পারে। ওটি নিতান্তই বানিজ্যিক, সরকারী নয়।
অর্থহীন এ কারণে ঠিক যে কারণে মমতা প্রধনমন্ত্রী হতে চাইছেন। অর্থাৎ তিনি কেন্দ্রীয় স্তরে কাজ করতে চান। ওটাই তাঁর ঊচ্চাকাংক্ষা।
Given negative repus for your immature comments and unnecessary over smartness.
This is a forum for writers and readers for enjoying ... not for apparent scotland yard or kgb executives like you ...
ডিডে৩৩৩ দাদা, আপনার কথার যুক্তি ঠিক বোঝা গেল না। আমার ধারণা আমাদের পাঠকদের কর্তব্য হল লেখার কোনও তাথ্যিক ত্রুটি লেখকের দৃষ্টিতে নিয়ে আসা। যাতে লেখাটি আরও সর্বাঙ্গসুন্দর হয়।
Posts: 163
Threads: 0
Likes Received: 189 in 128 posts
Likes Given: 10
Joined: Sep 2021
Reputation:
5
(24-12-2021, 12:57 AM)samareshbasu Wrote: ডিডে৩৩৩ দাদা, আপনার কথার যুক্তি ঠিক বোঝা গেল না। আমার ধারণা আমাদের পাঠকদের কর্তব্য হল লেখার কোনও তাথ্যিক ত্রুটি লেখকের দৃষ্টিতে নিয়ে আসা। যাতে লেখাটি আরও সর্বাঙ্গসুন্দর হয়।
তাহলে আপনাকে ঐ তথ্য সম্পকে পূণ জ্ঞান রাখতে হবে ।
তাথ্যিক ত্রুটিতে
হতে পার,মনে হয়, বোধয় - এরকম শব্দের প্রয়োগ না করাটাই উৎকৃষ্ট ।
তোমারেই চেয়েছি,
শতরূপে শতবার ,
নিয়মে অনিয়মে ।
Posts: 163
Threads: 0
Likes Received: 189 in 128 posts
Likes Given: 10
Joined: Sep 2021
Reputation:
5
(24-12-2021, 01:41 PM)samareshbasu Wrote: মানবজাতির জ্ঞান সীমিত এবং ক্রমপরিবর্তনশীল। "বোধহয়" ইত্যাদি বিনয় ও নম্রতার দ্যোতক। পূর্ণ জ্ঞানের শ্লাঘা আমার অন্ততঃ নেই। সুতরাং দুঃখের সঙ্গে আপনার উপদেশ প্রত্যাখ্যান করাই সমীচীন।
ক্ষমা করবেন,আমি কাউকে উপদেশ দেয়ার যোগ্যতা রাখিনা ।
আমি কেবল মন্তব্য করেছি ।
আমি শুধু বলেছি যে, গল্পে ত্রুটিযুক্ত তথ্য বলে যদি কিছু থেকে থাকে ।
তবে সেই তথ্য সম্পকে সঠিক তথ্য পেশ করুন ।
পৃথিবীতে কারোর পূর্ণ জ্ঞান থাকতে পারে না ।
তোমারেই চেয়েছি,
শতরূপে শতবার ,
নিয়মে অনিয়মে ।
Posts: 1,203
Threads: 24
Likes Received: 9,934 in 1,160 posts
Likes Given: 18
Joined: Nov 2019
Reputation:
2,694
24-12-2021, 08:21 PM
(This post was last modified: 01-03-2022, 02:50 PM by kumdev. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
।।৮৩।।
ছেলেটির ইউপি কিম্বা তামিলনাডুতে পোস্টিং হলে মেয়েটা অনেক দূর চলে যাবে।খোকার থেকে বেলি অনেক মেধাবী,সেই সঙ্গে খেয়ালী।ছোটো থেকে যত আবদার বাপির কাছে।সে আজ কত বড় হয়ে গেছে।এমন একটা দিনের সম্মুখীন হতে হবে কখনো মনে হয়নি।সিভিল সার্ভিস পাস করেছে খারাপ নয় ঠিক আছে কিন্তু একেবারে বিয়ে!বেলিটা বরাবরই জেদী, আশা বলে যেমন বাপ তার তেমনি মেয়ে।যেন মেয়ে তার একলার।বিজন চৌধুরীর ঠোটে হাসি ফোটে। বিজন চৌধুরী কারো কৃপা অনুগ্রহের ধার ধারেন নি।বরং অনেকে তার শরণাপন্ন হয়েছে।অবশ্য সবই আইনগত।অনিচ্ছে সত্বেও দিল্লীতে কয়েক জায়গায় ফোন করেন।বেলি বলছিল ছেলেটিকে ঐ পাস করিয়ে নিজের মত করে গড়ে তুলেছে।মনে মনে হাসেন বিজনবাবু।ছেলেটিকে অস্পষ্ট মনে পড়ছে ডানপিটে প্রকৃতি। আজেবাজে ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশা করতো। অবশ্য উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট করেছিল।
মুখার্জী বাড়ীতে ঢোকার জন্য একদিন ধরণা দিতে হয়েছিল।স্ট্যাটাসের ব্যবধান মেনে নিতে পারছিল না।বাড়ি সহ চার কাঠা জমির মালিক কৃষ্ণার স্ট্যাটাস রাতারাতি বদলে গেল।অবনীশবাবু এখন বউমাকে সমীহ করে চলেন।আশিসের চাকরির ভবিষ্যত নেই কৃষ্ণার পছন্দ নয়।এক সঙ্গে থাকতে থাকতে আশিস অনুভব করে কৃষ্ণা তার কত আপন।কৃষ্ণার মত করে কেউ তাকে নিয়ে ভাবে না সংসারে।
দেখা করার সময় নেই,ফোন করলেও সব সময় ধরছে না।কি চায় রীমা বুঝতে পারেনা নির্মল।অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্ব পেরিয়ে নির্মল ফোন করে বলেছিল একটিবার অন্তত দেখা করুক।কাজের অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে গেছে।একসময় রেগে গিয়ে বলেছিল,তুমি কি ব্রেক আপ করতে চাও?
--তাই ভাবলে তাই।
বুকের মধ্যে ছ্যৎ করে উঠ্ল, কি বলছে কি পাঁচ বছরের উপর সম্পর্ক। নির্মল বলল,আমি তোমাকে ভালবাসি রীম--বিশ্বাস করো--।
--ছোটোবেলা থেকে বাবা-মা আমাকে মানুষ করেছে তাদের অবাধ্য হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
নিরুত্তাপ কথায় কোনো আবেগ নেই একেবারে স্পষ্ট উচ্চারণ নির্মলের চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারেনি।সকালে উঠে ভার্সিটিতে যাবার জন্য অভ্যাস বশত তৈরী হতে থাকে।
মন্দাকিনী বেরোবার জন্য তৈরী হয়।নির্মলবাবুর কথা শুনে অবাক হয়েছে।তার ধারণা ছিল মস্তান টাইপের ছেলে।সেই ছেলে সিভিল সার্ভিস! ট্রেনিং-এ গেছে প্রায় মাস খানেক হতে চলল।প্রজ্ঞার চেনা ও নিশ্চয়ই জানবে।সায়েন্স কলেজে ভর্তি হয়েছে জানে।অনেকদিন দেখা হয়না।পার্কের ঘটনাটা মনে পড়তে মজা লাগে।হাত মুচড়ে ধরা মারমুখি চেহারাটা চোখের সামনে ভাসছে স্পষ্ট। তারপর থেকে সন্ময় তার পিছু ছেড়েছে। আচ্ছা কোনো ভুল হচ্ছে নাতো? মনসিজ ভেবে অন্য কারো কথা বলেনি তো।নির্মলবাবু বলছিল ওর বন্ধু,মন্দাকিনীর মনের ধন্দ কাটতে চায়না।নীচে নেমে গাড়ীতে উঠে বসল।
রীমার সেই 'তাই ভাবলে তাই' কথাটা ভুলতে পারছে না নির্মল। রাতে ঘুমোতে পারেনি,অভ্যাসের কারণে ভার্সিটিতে এসেছে।ক্লাস করতে ইচ্ছে হল না।মদ খেলে নাকি সব ভুলে থাকা যায়।আগে কখনো মদ খায়নি।ক্যাম্পাস হতে বেরিয়ে রাস্তায় এসে দাড়ায়।আগোচালো পদক্ষেপে উত্তর দিকে এগোতে থাকে। এপাশ থেকে ওপাশ ছুটে চলেছে গাড়ী অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মত।কেউ অনুমান করতেও পারবে না তার মনের মধ্যে কি হচ্ছে।ধীর গতিতে একটা গাড়ী উত্তর দিক হতে আসছে আচমকা তার গা ঘেষে দাঁড়িয়ে পড়ে।চমকে দু-পা পিছিয়ে আশে নির্মল।গাড়ীটা পেরিয়ে নির্মল হাটতে থাকে।
--নির্মলবাবু---নির্মলবাবু--।
পিছন থেকে ডাক শুনে নির্মল ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখল সেই মেয়েটা,এবার ভর্তি হয়েছে।মনার কথা জিজ্ঞেস করছিল।মেয়েটি কাছে এসে জিজ্ঞেস করে,ক্লাস নেই কোথায় যাচ্ছেন?
--আপনি এখানে নামলেন?
--আপনাকে দেখে নেমে পড়লাম।
আমাকে দেখে নেমে পড়ল।নির্মল ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করে।এক বছরের জুনিয়র ভাল করে চেনে না।তার সঙ্গে কি এমন দরকার।
--আচ্ছা নির্মলবাবু একটা কথা জিজ্ঞেস করব?
--তার আগে বলুন আমাকে কি আপনার বাবু-বাবু মনে হচ্ছে?
খিল খিল হাসিতে ভেঙ্গে পড়ে মেয়েটি।মেয়েরা হাসলে ভাল লাগে নির্মল নিজেকে সংযত করে।হাসি থামিয়ে বলল,আপনি সিনিয়ার অবশ্য অনুমতি দিলে বাবু বাদ দিয়েই বলতে পারি।
--অবশ্যই পারেন?
--তুমি বলতে পারি?
--এ্যাজ ইউ উইশ।
--ওকে থ্যাঙ্ক ইউ।
--আপনি কি জিজ্ঞেস করবেন বলছিলেন?
--থাক দরকার নেই।
--কেন কি হল?
--এখনো আপনি?তার মানে আমাকে আপন ভাবতে পারছো না?
নির্মল বুঝতে পেরে বলল,আমার মুডটা আজ ভাল নেই।তোমার সঙ্গে আলাপ সবে চার-পাঁচ দিন--।
--দেখো যে আপন নয় যে পাঁচদিন কেন পাঁচ বছরেও আপন হয়না।
পাঁচ বছর শুনে নির্মলের মনে হল ঠিকই পাঁচ বছরের সম্পর্ক নিমেষে ছিন্ন করে দিল রীমা।
--কি ভাবছো?
--না কিছু না।তুমি কি জিজ্ঞেস করবে বলছিলে?
--চলো ক্যাণ্টিনে বসে বলব।
--তুমি ক্লাস করবে না?
--না আজ তোমার সঙ্গে কাটাবো।
দুজনে হাটতে হাটতে কলেজের দিকে চলল।মেয়েটা তাকে কি বলতে চায়।এত অল্প আলাপে "তোমার সঙ্গে কাটাব" কথাটা কানে বাজে।
একবার শিক্ষা হয়েছে আর নয়।
--আচ্ছা তুমি যে মনসিজের কথা বলেছিলে সেকি মস্তান ছিল?
--না না একটু ডেয়ার ডেভিল টাইপ ভদ্র,লেখাপাড়ায় বরাবর খুব ভাল।তুমি ওকে কিভাবে চিনলে?
--সে অনেক মজার ব্যাপার।চলো ক্যাণ্টিনে গিয়ে বলব।
দুজনে ক্যাণ্টিনে ঢুকল,তখন ক্লাস চলছে ক্যাণ্টিনে ভীড় তেমন নেই।ওরা দুজন এক কোনে একটা টেবিলে বসল।দু-কাপ চায়ের ফরমাস করে নির্মল জিজ্ঞেস করল,ও কী তোমার সঙ্গে কিছু করেছে?
--না না তুমি যা ভাবছো তা নয়।তোমাকে ব্যাপারটা বলছি।
মেয়েটি একে একে তার বয় ফ্রেণ্ডের কথা পার্কে কি হয়েছিল সব ঘটনা বলতে থাকে।এক সময় জিজ্ঞেস করল,তুমি সিরিয়াল দেখো?
--খুব একটা দেখা হয়না, কেন?
--সন্ময় এখন সিরিয়াল করে ছোটখাটো রোল।টিভিতে নাম সুমন।
--তোমার সঙ্গে এখন আর সম্পর্ক নেই?
--পাগল।ভগবান আমাকে বাচিয়ে দিয়েছে।
হাটতে হাটতে পাড়ায় ফিরে বাড়ী যেতে ইচ্ছে করল না।একবার ইচ্ছে হয়েছিল ওকে সব কথা বলবে।কি ভাববে ভেবে আর বলেনি।এই সময় মনা থাকলে ভাল হত।দিলীপের বাড়ীর কাছে এসে ভাবে ওকে সব বলবে কিনা।
মনা ছাড়া তার বাসায় আগে কেউ আসেনি নির্মলকে দেখে অবাক হল দিলীপ।ভিতরে নিয়ে বসিয়ে জিজ্ঞেস করে,কলেজ যাস নি।
--গেছিলাম,ক্লাস করতে ইচ্ছে হল না।
--রীমার খবর কি?
--সে অনেক ব্যাপার--।
--দাড়া চা আনছি চা খেতে খেতে শুনবো।
দিলীপ চলে গেল।গোপন করে কি লাভ,যা সত্যি একদিন না একদিন সবাই জানবে।নির্মল ঠিক করল দিলীপকে ঘটনাটা বলবে।দিলীপ এখন অনেক বদলে গেছে।দিলীপ দু-কাপ চা নিয়ে ঢুকলো,নির্মল জিজ্ঞেস করে,তোর দিদির খবর কি?
--মিনুতো এখনো এখানেই আছে।তারপর বল কি বলছিলি?
--রীমার সঙ্গে আমার ব্রেক আপ হয়ে গেছে।
--ব্রেক আপ মানে?
নির্মল কদিনে যা যা ঘটেছে বিশদে দিলীপকে বলতে লাগল।দিলীপ গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকে।এক সময় নির্মল থামে।দিলীপ বলল,চল এতক্ষনে সবাই এসে গেছে।
রাস্তায় বেরিয়ে দিলীপ বলল,নিমু কিছু মনে করিস না, বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে ওসব বাহানা।
--কেন বাহানা বলছিস?
--আমার কাছে খবর আছে ওর অফিসে একটা ছেলের সঙ্গে ও জড়িয়ে পড়েছে।ছেলেটি খারাপ নয় যাদবপুর থেকে বিটেক করেছে।
নির্মলের এরকম কখনো মনে হয়নি,রীমার অদ্ভুত আচরণের একটা ব্যাখ্যা পাওয়া গেল।দিলীপকে বলল,তুই রকে এসব বলতে যাস না।
The following 17 users Like kumdev's post:17 users Like kumdev's post
• a-man, Abid Ahmed, Badmas boy, bad_boy, Bondhon Dhali, Crushed_Burned, ddey333, LajukDudh, Pocha, ppbhattadt, raja05, Rudroneel, S.K.P, SubtleKN, Tiger, tuhin009, Voboghure
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,451 in 27,681 posts
Likes Given: 23,741
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,263
একের পর এক সাস্পেন্স ! কোথায় গিয়ে যে দাঁড়াবে সেটা কামদেব দাদাই বলবেন ! কিন্তু এতো সময় নিচ্ছেন যে আমাদের দম বন্ধ হবার অবস্থা !
Posts: 163
Threads: 0
Likes Received: 189 in 128 posts
Likes Given: 10
Joined: Sep 2021
Reputation:
5
24-12-2021, 08:47 PM
(This post was last modified: 24-12-2021, 10:48 PM by mahadeb. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.
Edit Reason: it was incorrect
)
ভালোলাগে ,
ভালোগল্প গুলো শম্মুক গতিতে চললে
আরো বেশি ভালো লাগে ।
তোমারেই চেয়েছি,
শতরূপে শতবার ,
নিয়মে অনিয়মে ।
|