Thread Rating:
  • 97 Vote(s) - 3.41 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance ছাইচাপা আগুন ।।কামদেব
(11-11-2021, 09:43 PM)kumdev Wrote: আদালত মুখের কথা শোনে না সাক্ষ্য প্রমাণ চায়।

ভালো লাগছে যে আপনি এতো বছর পরে অবশেষে পাঠক দের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলছেন  Namaskar
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
আপডেটের জন্য ধন্যবাদ ।
সাথে আছি ।
রেপু দিলাম ।
Like Reply
(09-11-2021, 10:51 PM)Biddut Roy Wrote: মুল নায়কের ব্যাপারে গল্পে অনেক কম লিখা থাকে যেমন মনসিজ। অপ্রয়োজনীয় চরিত্রের ঘটনা টা একটু কমালে ভালো হয়। আমি পাঠক তাই আমার দৃষ্টিভংগী  তুলে ধরলাম।
If you feel offended,  then I am really sorry.
However the story was good.  পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিয়েন দাদা।

প্রত্যেকেরই নিজের বুদ্ধি বিবেচনা অনুযায়ী কথা বলতেই পারে,তাতে মনে করার কিছু নেই।লেখক গল্প লেখে যেমন সত্যি তেমনি যা ইচ্ছে তাই লিখে পারে না।সূর্যকে পূবে অস্তগামী করার সাধ্য কি লেখকের যত বড় লেখকই হোক না।
[+] 6 users Like kumdev's post
Like Reply
।।৬৪।।



 চায়ের কাপ নিয়ে ব্যালকনিতে এসে বসল মন্দাকিনী।রাস্তায় লোক চলাচল সবে শুরু হয়েছে। পরীক্ষার পর একা একা সময় কাটতে চায়না। মাঝে দু-একবার মনসিজকে ফোন করেছিল সুইচ অফ।প্রজ্ঞার সঙ্গে ওর রিলেশান নেই তো।মনসিজের কথা শুনে তা মনে হল না।অবশ্য কথা আর হল কোথায়। ফোন ধরলে কথা বলে বোঝা যেতো।পার্কের দৃশ্যটা মনে পড়তে হাসি পেল।তারপর সনুর সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।ছেলেটা বেশ সহজ সরল,বেশ সাহসী।প্রজ্ঞা এখন ওর বাড়ীতে চলে গেছে। সনুটা যে এত ধুর্ত বুঝতে পারেনি।ফেসবুকে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে ছবি দেখেছে।একটাও সিরিয়াল করেনি ফেসবুকে নিজেকে সেলিব্রিটি বলে পরিচয় দেয়।প্রিয়াংশু ছেলেটা ভাল, শুনেছে রেজাল্ট বেরোলে শ্রেয়া বিয়ে করবে।ভালই মানাবে প্রিয়াংশুর সঙ্গে।মনসিজকে একবার ফোন করবে?এত সকালে মনে হয় ঘুমোচ্ছে।
মনসিজ ঘুম থেকে উঠেই ভাবল,আজকের দিনটা গেলে বাচা যায়।দেওয়ালের ছবিগুলোর দিকে নির্নিমেষ চেয়ে থাকে কিছুক্ষণ।ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে বাথরুমে চলে গেল।রান্না ঘরে হিমানীদেবী ভাবছেন,ছেলেটা এত পরিশ্রম কোনো পরীক্ষার সময় করেনি।বেলি ওকে কি বুঝিয়েছে ভগবান জানে।
পূর্ণেন্দু বাজার থেকে ফিরছে।দোকান বাজার সব তাকেই করতে হয় এখন।এলিনার পেটটা এত বেশি স্ফীত হয়েছে লজ্জায় বাইরে বের হয়না।ধরে ধরে শোওয়াতে হয়,শুয়ে থাকলে ধরে তুলতে হয়। যমজ বাচ্চা হবে নাতো?
স্নান করে খেতে বসেছে মনসিজ।হিমানীদেবী পাশে বসে ইতস্তত করে জিজ্ঞেস করলেন,পরীক্ষা কেমন হচ্ছে?
মনসিজ মায়ের কৌতূহলে হাসলো।মুখের গরাস গিলে বলল,এতো কলেজ কলেজের পরীক্ষা নয়।এখানে পাস মার্ক-টার্ক থাকে না।উপরের দিক থেকে প্রয়োজন মত কয়েকজনকে কোয়ালিফাই করা হয়।যা পারছি লিখছি দেখা যাক কি হয়।
হিমানীদেবী পুরোপুরি না বুঝলেও আর প্রশ্ন করেন না।খাওয়া হয়ে গেলে হাত মুখ ধুয়ে বাবার ছবির সামনে চোখ বুজে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকে।কলম ইত্যাদি যা যা নেবার নিয়ে মেঝেতে বসে মায়ের পা ছুয়ে কিছুক্ষন মনে মনে কি আওড়াতে থাকে।হিমানীদেবীর চোখ ঝাপসা হয়ে আসে,মনে মনে বলেন ভগবান ছেলেটাকে দেখো।মনসিজ বেরিয়ে পড়ল।টেবিলের উপর মোবাইল দেখে এগিয়ে গিয়ে হাতে নিয়ে সুইচ অন করতেই মোবাইল বেজে উঠল,কানে লাগিয়ে বললেন, হ্যালো?
--মামণি?মাস্তান কোথায়?
--এইতো বেরিয়ে গেল।
--মোবাইল বন্ধ ছিল?
--হ্যা বন্ধুরা ফোন করে সেজন্য বন্ধ করে রেখেছিল,সঙ্গে নিয়েও যায় না।
--তুমি ভাল আছো?
--আর ভাল থাকা পরীক্ষার কটাদিন কিভাবে যে কাটছে--।
--আজই তো শেষ?
--হ্যা মা তুই ভাল আছিস?
--হ্যা ভাল আছি রাখছি?
প্রজ্ঞা ফোন রেখে বুঝতে পারে কেন সুইচ অফ রেখেছিল। 
যতদিন যাচ্ছে বোনের জন্য তাগাদা বাড়ছে দীপার।কাল রাতেও শুয়ে শুয়ে জিজ্ঞেস করছিল,কবে বোন আনবে?
মনিকুন্তলা কি করে বোঝাবে মেয়েকে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।
নৃপেন শুনে বলল,বোন-বোন করছে শেষে যদি ছেলে হয়?
--বোঝাও তোমার মেয়েকে।
নৃপেন লক্ষ্য করে রেজিস্ট্রি হবার পর মণির মধ্যে কনফিডেণ্ট ফিরে এসেছে।স্বাভাবিক আগের বার একটা ধাক্কা খেয়েছে শঙ্কা তো হবেই।দিগনগরের বাড়ীটা বিক্রীর কথা বলছিল।নৃপেনের ইচ্ছেও তাই তবু যেচে সেকথা বলেনি পাছে ভুল বোঝে।মণি নিজেই বলছে যখন ভাবছে কাগজে একটা বিজ্ঞাপন দেবার কথা।
--আমি আসছি।মনি বেরিয়ে গেল।
নৃপেনকেও বেরোতে হবে,মালার জন্য অপেক্ষা করছে।দীপাকে দিয়ে মালা ফিরলে বেরবে।দীপাকে মণির কলেজে ভর্তি করার কথা ভাবে।কলেজটা একটু দূর হবে তাহলেও একই রিক্সায় মায়ের সঙ্গে কলেজে যেতে পারবে।মনিরও মেয়ের দিকে নজর রাখার সুবিধে।মণিকে দেখে আর অবাক হয়।মেয়েরা কত সহজে সব কিছু মানিয়ে নিতে পারে।মনে হল মালা ফিরল নৃপেন বেরিয়ে বলল,আমি আসছি দরজা বন্ধ করে দে।
কলেজ যাবার তাড়া নেই খেতে খেতে অনেক বেলা হয়ে এল।খাওয়া দাওয়ার পর ছাদে উঠে এল।দুপুরে ঘুমায় না মোটা হয়ে যাবার ভয়ে।ছাদ হতে টালা পার্ক পরিস্কার দেখা যায়।পুকুরে ছেলেগুলো ঝাপাঝাপি করছে।বস্তিতে থাকে ছেলেগুলো।মোবাইল বাজতে স্ক্রিনে নম্বরটা দেখে অবাক হয়।সন্ময়ের নম্বর ডিলিট করে দিলেও নম্বরটা চেনা।এতদিন পরে কি মনে করে?ধরবে কি ধরবে না কয়েক মুহূর্ত ভাবে।বাটন টিপে যেন চেনে না এমনভাবে বলল,হ্যালো?
--চিনতে পারছো?
--কে বলছেন?
সত্যিই চিনতে পারছে না নাকি নক্সা করছে সন্ময় বলল,সনুকে ভুলে গেলে?
--এতদিন পর কি মনে করে?
--একটা গুড নিউজ দেব বলে তোমাকে ফোন করলাম।
--যা বলার তাড়াতাড়ি বলো আমার কাজ আছে।
--আমাদের স্যুটিং শুরু হয়েছে--একটি বখাটে ছেলের কাহিনী।
--বখাটে ছেলে কে? তুমি?
--প্রথম সিরিয়াল।আমি বখাটে ছেলেদের মধ্যে একজন,মেন রোল অঞ্জন।
--ভাল লেগে থাকো।
--শোন যে জন্য তোমাকে ফোন করেছি--তুমি স্যুটিং দেখবে? অঞ্জনের বিপরীতে আছে সৃজনী--।
--কোথায় হচ্ছে স্যুটিং?
--টালি পাড়ায়,তুমি বললে গেস্ট কার্ড পাঠিয়ে দিতে পারি।
এক মুহুর্ত ভাবে মন্দাকিনী।একটু মজা করলে কেমন হয়?মন্দাকিনী বলল,যেতে পারি যদি দুটো কার্ড পাঠাও।
--দুটো মানে আর কে তোমার বন্ধু প্রজ্ঞা?
প্রজ্ঞা মনে গেথে আছে,ভুলতে পারছে না।মন্দাকিনী বলল,না আমার বন্ধু মনসিজ।
মনসিজ?এর মধ্যে একটাকে জুটিয়ে ফেলল নাকি?বড়লোকের মেয়ে এদের জুটতে সময় লাগে না,সন্ময় নিজেকে সংযত করে বলল,এ মালটা কে?
--একে চিনতে পারলে না?
--আমি কি করে চিনবো?এমনভাবে বলছো যেন কোনো সেলিব্রিটী!
--এত শিঘ্রি ভুলে গেলে দু-মাসও হয়নি।
--মানে?
--মানে সেই পার্কের কথা মনে আছে তোমার হাত মুচড়ে চিঠিগুলো কেড়ে নিয়েছিল--হ্যালো--হ্যালো মনে পড়েছে?--হ্যালো--হ্যালো?
ফোন কেটে দিয়েছে মন্দাকিনী খিল-খিল করে হাসতে থাকে।
--মণি-ই মণি-ই নীচে আয় তোর বন্ধু এসেছে।
মায়ের গলা পেয়ে সাড়া দিল,আসছি।
নাম করতে না করতেই হাজির।প্রজ্ঞা কি তাহলে কলকাতায় এসেছে?
নীচে নেমে নিজের ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে বলল,শ্রেয়া তুই?
--তুই কি ভেবেছিলি?
--না মানে তুই আসবি ভাবিনি।
--সময় কাটতে চায়না, সবাই বেরিয়ে গেলে বাড়ীটা একেবারে খা-খা।ভাবলাম যাই পাকপাড়া থেকে ঘুরে আসি।রেজাল্ট বেরোবার সময় হয়ে এল।
--প্রিয়াংশুর খবর কি?
--সেই সকালে বের হয় ফেরে সেই রাত করে,ফোনেই যা কথা হয়।বেকার ছিল ভাল ছিল এক ফোনেই হাজির।তোর খবর বল।
--আমার আর কি খবর সেই গয়ং গচ্ছ।
--হুউম ছেলেটা এত বদ দেখে মনে হয়নি।
--ছাড়তো ওর কথা।এই জানিস একটা মজা হয়েছে।
মন্দাকিনীর চোখ মুখ দেখে শ্রেয়া মজার ব্যাপারটা আন্দাজ করার চেষ্টা করে।
মন্দকিনী বলল,তুই তো জানিস সেই পার্কের ঘটনাটা।
--কোন ঘটনা?ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল শ্রেয়া।
--সেই যে চিঠি নিয়ে ব্লাক মেইল করতে এসেছিল?
--ও-হো-হো-হো বাব্বা সেকী আজকের কথা।তুই আমি প্রজ্ঞা--আমাদের সাবজেক্ট এক নাহলেও আমাদের বন্ধুত্বের কথা সবার মনে আছে।কারো সঙ্গে দেখা হলেই তোর কথা প্রজ্ঞার কথা জিজ্ঞেস করে।মজার ঘটনা কি বলছিলি?
--সনু ফোন করেছিল একটু আগে।
--এতদিন পরে?ঝালাতে চাইছে?শোন মন্দা তোর ব্যাপারে আমার বলা ঠিক নয় তবু বলছি টোটাল ব্যাপারটা থেকে ওর চেহারা পরিস্কার--।
--তুই কি বলবি আমি বুঝিনা?দাড়া চা নিয়ে আসছি।মন্দাকিনী ভিতরে গিয়ে দেখল কাজের পিসি রান্না ঘরে চা করছে।ফিরে এসে বলল,আজকের ঘটনা শুনলে তুই মজা পাবি।ও একটা সিরিয়াল বখাটে ছেলে না কি,তাতে চান্স পেয়েছে।আমাকে বলল স্যুটীং দেখতে যাবার কথা সৃজনী নাকি আছে ঐ সিরিয়ালে।আমি বললাম যাবো তবে মনসিজকে সঙ্গে নিয়ে--শুনেই ব্যাস আর কথা নয়--।
--তোর সঙ্গে ওর যোগাযোগ হয়েছে?
--নারে--ফোন করছি সুইচ অফ।আচ্ছা শ্রেয়া ছেলেটার সঙ্গে প্রজ্ঞার কোনো রিলেশন নেইতো?
পিসী চা নিয়ে ঢুকলেন।মন্দাকিনী জিজ্ঞেস করে,পিসী মা উঠেছে?
--এইমাত্র চা দিয়ে এলাম।
শ্রেয়া বলল,প্রজ্ঞা তো বলে ওর কোনো বয় ফ্রেণ্ড নেই।তাছাড়া ওই ছেলেকে প্রজ্ঞা--আমার বিশ্বাস হয়না।প্রজ্ঞাকে একবার ফোন কর না।
অনেকদিন কথা হয়না।
--দাড়া চা খেয়ে করছি।

     
Like Reply
Lovely
[+] 2 users Like S.K.P's post
Like Reply
মনের প্রেমে পড়ছে মন্দা ,
প্রজ্ঞাকে ফাঁকি দেয়ার ধান্ধা ।
তোমারেই চেয়েছি,
শতরূপে শতবার ,
নিয়মে অনিয়মে ।
[+] 1 user Likes mahadeb's post
Like Reply
কামদেব বাবু কি দারুণ লিখেছেন,
এতো লেখকের ভীড়ে আপনি প্রিয় হয়েছেন ।
তোমারেই চেয়েছি,
শতরূপে শতবার ,
নিয়মে অনিয়মে ।
[+] 2 users Like mahadeb's post
Like Reply
মেয়েরা এক যায়গায়  জড়ো  হলেই  শুরু হয়      পি  এন  পি  ছি   ।   গল্পেও  তার ব্যাতিক্রম  নেই।
 








PROUD TO BE KAAFIR  devil2


                                 
[+] 1 user Likes Kallol's post
Like Reply
চা দিয়ে শুরু , চা দিয়ে শেষ

আহা বেশ বেশ !
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
Golpo besh bhalo egoche
[+] 1 user Likes raja05's post
Like Reply
মন্দাকিনীর কপাল মন্দ।
মনের কাছে সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হয় না। 
এলিনার যমজ বাচ্চা হলে খারাপ হবে না। 
এতদিন হচ্ছিল না, এখন বোনাস সহ।
রেপু দিলাম। 
সাথে আছি দাদা। 
Like Reply
(08-11-2021, 01:35 PM)notunkuri Wrote: ভালোর কথা বলো,
মনকে নিয়ে চলো ।

(13-11-2021, 07:35 PM)ddey333 Wrote: চা দিয়ে শুরু , চা দিয়ে শেষ

আহা বেশ বেশ !

_
নতুন কিছু দেখছি আমি
লাগছে বড্ড ভালো ,
দে. বাবুও ছন্দ দিয়ে
জ্বালছেন নতুন আলো !
তোমারেই চেয়েছি,
শতরূপে শতবার ,
নিয়মে অনিয়মে ।
[+] 2 users Like mahadeb's post
Like Reply
(13-11-2021, 08:22 PM)mahadeb Wrote: _
নতুন কিছু দেখছি আমি
লাগছে বড্ড ভালো ,
দে. বাবুও ছন্দ দিয়ে
জ্বালছেন নতুন আলো !

Tongue Big Grin
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
নেপু আর মনিকে সেটল হতে দেখে খুব ভালো লাগলো ... মনির মনে শুরুতে যতই সন্দেহ থাকনা নেপু কিন্তু ভালো লোক ..

নেপো শুধু দই মারতে আসেনি সেটা এখন প্রমাণিত ...
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(13-11-2021, 08:41 PM)ddey333 Wrote: নেপু আর মনিকে সেটল হতে দেখে খুব ভালো লাগলো ... মনির মনে শুরুতে যতই সন্দেহ থাকনা নেপু কিন্তু ভালো লোক ..

নেপো শুধু দই মারতে আসেনি সেটা এখন প্রমাণিত ...

[Image: VcC0oKh5_t.jpg]
Like Reply
মন্দাকিনীর যে এমনটা হওয়ারই কথা সেটা বুঝা গিয়েছিলো, দেখা যাক কে শেষ পর্যন্ত আত্মত্যাগ করে, মন্দ নাকি প্রজ্ঞা!
মনি আর এলিনা সেটল হয়ে গেছে ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে....
Like Reply
(13-11-2021, 04:48 PM)Kallol Wrote: মেয়েরা এক যায়গায়  জড়ো  হলেই  শুরু হয়      পি  এন  পি  ছি   ।   গল্পেও  তার ব্যাতিক্রম  নেই।

ছেলেদের ক্যারিশ্মা দেখলেই মেয়েরা অভিভুত হয়।
[+] 2 users Like kumdev's post
Like Reply
(13-11-2021, 10:16 PM)kumdev Wrote: ছেলেদের ক্যারিশ্মা দেখলেই মেয়েরা অভিভুত হয়।

আমারও এই সমস্যা , যে মেয়ে দেখে সেই অভিভূত হয়ে যায় !!

কি যে করি , ভেবেই যাই ... Smile Big Grin
Like Reply
(13-11-2021, 10:21 PM)ddey333 Wrote: আমারও এই সমস্যা , যে মেয়ে দেখে সেই অভিভূত হয়ে যায় !!

কি যে করি , ভেবেই যাই ... Smile Big Grin

বৌদি  শুনলে আপনাকে  ঠ্যাঙাবে    Big Grin
 








PROUD TO BE KAAFIR  devil2


                                 
[+] 1 user Likes Kallol's post
Like Reply
।।৬৫।।


যা লেখার লিখেছে ঘন্টা পড়েনি তাই বসে খাতা নাড়াচাড়া করছে।ঘাড় ঘুরিয়ে চারদিক দেখে সবাই মাথা নীচু করে লিখে চলেছে।কি করবে খাতা জমা দিয়ে চলে যাবে?কব্জি ঘুরিয়ে ঘড়ি দেখল মনসিজ।
চারুলতা অবাক হয়ে বললেন,এইতো এলি আবার কোথায় যাচ্ছিস?
--একটা ছোট কাজ আছে যাব আর আসব।
মোবাইল বাজতে মুচকি হেসে বাটন টিপে কানে লাগিয়ে বলল,বল।
--তুই কবে আসবি?
--আজ এসেছি মাসীমণির এখানে।তারপর কেমন আছিস?
--তুই এসে গেছিস?
--কালই চল যাবো।একটা কাজে এসেছি।
--আচ্ছা তোর ঐ ছেলেটার সঙ্গে দেখা হয়?
--কে মাস্তান?কি করে হবে,আমি তো এখানে আজ এসেছি।
--মাস্তান বলিস কেন?
প্রজ্ঞা হাসল বলল,মাস্তানকে মাস্তান বলব নাতো কি বলব?
--আমার তো খারাপ লাগেনি।পাশ থেকে শ্রেয়া বলল,ওর কথা বাদ দেতো।
--তাহলে ফোন কর তোর কাছে তো নম্বর আছে।
শ্রেয়া বলল,জিজ্ঞেস কর কোন নম্বরে করবি।
--করেছিলাম সুইচ অফ।
প্রজ্ঞা ভাবে সুইচ অফ ঠিকই বলেছে মামণিও বলছিল ফোন সুইচ অফ রাখে।মজা করার জন্য বলল,শোন মন্দা বাইরে থেকে দেখে লোক চিনতে যাস না একবার ঠোকেও তোর শিক্ষা হল না।ওর দলের একটা ছেলে রেলের মাল সরাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে।প্রজ্ঞা মনে মনে হাসে।
--কি বলছিস তুই!
--তোর সঙ্গে কেউ আছে?
--হ্যা  শ্রেয়া।কথা বলবি?
শ্রেয়ার দিকে ফোন এগিয়ে দিল।
--কিরে পরীক্ষা কেমন হল?শ্রেয়া জিজ্ঞেস করে।
--আর তো কদিন রেজাল্ট বেরোলে জানতে পারব।
--আহা কেমন দিয়েছিস জানিস না?
--তুই জানিস?
--আমি পাস করে যাব।কেমন হবে বলতে পারছি না।শ্রেয়া বলল।
--শুনলাম পাস করে বিয়ে করবি?
--হ্যা রে ও ভীষণ তাগাদা দিচ্ছে।
--তাহলে পড়াশুনা?
--ও বলেছে পড়াবে।
--ভেরি গুড।উইশ ইউ অল দা বেস্ট।
--মানে তুই আসবি না?
--তুই বললে না এসে পারি?আচ্ছা পরে ফোন করবো এখন একটু বেরোতে হচ্ছে।
--ওকে বাই।
শ্রেয়া ফোন রাখতে মন্দাকিনী চোখ বড় বড় করে বলল,চিটিংবাজের খপ্পর থেকে শেষে গুণ্ডা?
--ধুস তুইও যেমন। প্রজ্ঞাকে চিনিস না তুই?ও ঐ রকম বলে।প্রিয়কে নিয়ে আমার সঙ্গে কম মজা করেছে।
ঘণ্টা বাজতে খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে পড়ল।কটা দিন কি ধকল গেল। মাও ভেবে ভেবে অস্থির। রকে যাওয়া হয়না অনেক দিন কি জানি কি ভাবছে ওরা।পরীক্ষার কথা বলা যাবে না,কিছু একটা বানিয়ে বলতে হবে।আশিসদার খবর নেওয়া হয়নি।বেচারী মেয়েটা কি করছে কে জানে।হঠাৎ কি দেখে চমকে ওঠে মনসিজ।
ঠিক দেখছে তো,বাড়ী গেছিল না?ঠিকই দেখেছে ওর চেহারায় একটা স্বাতন্ত্র আছে, ভীড়ের মধ্যেও ওকে আলাদা করে চিনতে অসুবিধে হয়না।মনসিজ মাথা নীচু করে এগোতে থাকে যেন কিছু দেখেনি।
প্রজ্ঞা মিট মিট করে হাসে।কেমন মাথা নীচু করে সিড়ি দিয়ে নামছে ভাবখানা ওকে খেয়াল করেনি।ইচ্ছে করছে ঠাস করে একটা দিই।
প্রজ্ঞার কাছাকাছি এসে অবাক হবার ভান করে বলল,আরে বেলি তুমি এখানে?
--মার খাবার ইচ্ছে হয়েছে তুই আমাকে আগে দেখিস নি?
মনসিজ আশপাশ দেখে কেউ শুনলো কিনা বলল,দেখব না কেন উপর থেকেই দেখেছি, তুমি বাড়ী গেছিলে তাই বললাম।
একটু ফাকায় গিয়ে প্রজ্ঞা জিজ্ঞেস করল,কেমন হল পরীক্ষা?
--যা পেরেছি লিখেছি।
--আমি সবগুলোর কথা জিজ্ঞেস করছি।
--লিখেছি।
--কোনো প্রশ্ন আটকে যায়নি তো?
--সেরকম নয় তবে অনেকভাবে লেখা যায়।আমি আমার মত লিখেছি।
প্রজ্ঞা ভাবে ঠিকই কিভাবে শুরু করবো পরীক্ষা হলে বসে একটা সিদ্ধান্ত করতে সময় নষ্ট হয়।অব্জেক্টিভ টাইপ হলে আলাদা।অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্তের জন্য শুরু করে আর শেষ করতে পারিনা।বাস স্টপেজের কাছে এসে প্রজ্ঞা জিজ্ঞেস করল,বাসে যাবে তো?
--তুমি বাসে যাবে?
--বাসেই তো এসেছি।
--না মানে এখন অফিস থেকে সবাই বাড়ী ফিরবে--আচ্ছা চলো।
বাস এসে থামতে সবাই গেটের মুখে জড়ো হয়।লোক নামা শেষ হলে বেলিকে ঠেলে এগিয়ে দিয়ে পিছন থেকে হাত দিয়ে ভীড় সামলায়।লোকজন বিরক্ত হয়ে বলে,আরে মশায় হাত সরান না,উঠতে দেবেন তো।
প্রজ্ঞা উঠতে পিছন পিছন উঠল মনসিজ।প্রজ্ঞা লেডিস সিটের সামনে দাড়ায়।ভীড়ে ঠাষা বাস চলতে শুরু করে।প্রজ্ঞার বা-দিকে মনসিজ ডানদিকে আরেকটা ছেলে।একের পর এক স্টপেজে থামতে থামতে চলেছে বাস।বাস থামলে টাল সামলাতে ছেলেটী প্রজ্ঞার দিকে হেলে পড়ছে।বিষয়টি মনসিজের দৃষ্টি এড়ায় না।রাগে ফুসতে থাকে।একসময় প্রজ্ঞাকে সরিয়ে দিয়ে ছেলেটি আর প্রজ্ঞার মাঝে গিয়ে মনসিজ বলল,কি ভাই সোজা হয়ে দাড়াতে পারেন না।
--আপনিই তো মাঝখানে এসে দাড়ালেন।
--দেখবেন কিভাবে সোজা হয়ে দাড়াতে হয়।
প্রজ্ঞা বিরক্ত হয়,ভীড় বাসে এরকম একটু-আধটু হয়।ছেলেটী বলল,আপনি তো আজব লোক,আপনার কাছে দাঁড়ানো শিখতে হবে না।
--মহিলা দেখলে আর টাল সামলাতে পারেন না?
--উনি কি আপনার গার্ল ফ্রেণ্ড?
--তাতে আপনার দরকার কি?
--এতই যদি দরদ ট্যাক্সিতে যেতে পারেন--।
--অনেক্ষন ভদ্রভাবে বলেছি,ট্যাক্সিতে যাব নাকি প্লেনে যাব তুই বলার কে?
ছেলেটি ঘাবড়ে গিয়ে বলল,আচ্ছা মশাই ঘাট হয়েছে--।ভীড়ের মধ্যে কে যেন বলল,এবার দুটোকেই নামিয়ে দেবো।
--কেরে আয় নামিয়ে দিবি আয়--।
প্রজ্ঞা বিরক্ত হয়ে বাস থামতে নেমে হন হন করে সিমলার দিকে হাটতে থাকে।মনসিজও নেমে পিছন থেকে ডাকতে থাকে,বেলি--বেলি শোনো--।
প্রজ্ঞা দাঁড়ায় না হাটতে থাকে।মনসিজ হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে,বুঝতে পারেনা হঠাৎ কি এমন হল মাঝ রাস্তায় নেমে পড়তে হবে।মনসিজ দেখল কিছুটা গিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে তাকে ইশারা করে ডাকছে।মনসিজ দ্রুত এগিয়ে গিয়ে বলল,কি হল নেমে পড়লে?
--বাসের মধ্যে সিন ক্রিয়েট না করলে চলছিল না?
--সিন ক্রিয়েট ব্যাটাকে দু-ঘা দিইনি ওর ভাগ্যি।
--সব জায়গায় গা-জোয়ারী?
--আমি গা-জোয়ারী করলাম আর ছেলেটা যে তোমার উপর কেদরে কেদরে পড়ছিল?
--তাতে কি বেলি ক্ষয়ে গেছে, ভীড় বাসে ওরকম হয়--।
--তুমি দেখোনি ছেলেটা তোমাকে কেমন ড্যাবডেবিয়ে দেখছিল--।
--দেখছিল তো কি হয়েছে,তুই দেখিস না?বেলি কি তোর একার?
--হ্যা আমার একার--একার--একার--হলতো?ক্ষেপে গিয়ে বলল মনসিজ।
প্রজ্ঞা অবাক হয়ে দেখে কোন পাগলের পাল্লায় পড়ল।আশপাশ দিয়ে লোক চলে যাচ্ছে।নিজেকে সামলে প্রজ্ঞা বলল,সারা জীবন আমাকে তোর কাছে রাখতে পারবি?
--আমি জানি না।মাথা নীচু করে বলল মনসিজ।
--তুই আমাকে ভালবাসিস না?
--আমি কি সেকথা বলেছি?
--তা হলে সেকথা মুখ ফুটে বলিস নি কেন?
মনসিজ পায়ের বুড়ো আঙুল চটীতে ঘষতে থাকে কিছু বলে না।
প্রজ্ঞা জিজ্ঞেস করে,কিরে কথার উত্তর দে।
--ভয়ে বলিনি।
প্রজ্ঞা খিল খিল করে হেসে উঠে বলল,তুই আবার ভয় পাস?কাকে ভয় পাস--বিজন চৌধুরী?
একেবারে ছেলে মানুষ মাস্তান যদি পাস করে সরকারী আমলা হবে জিজ্ঞেস করল,কথার উত্তর দিচ্ছিস না কেন?বিজন চৌধুরীকে ভয় পাস?
--না তোমাকে।
আমাকে?প্রজ্ঞার বিস্ময়ের সীমা ছাড়িয়ে যায় বলে,আমাকে তোর কিসের ভয়?
--তুমি যদি মুখের উপর না বলে দেও।
--তাহলে প্রেস্টিজে লাগতো?তোর কিসের এত অহঙ্কার?
--আমার কি আছে যে অহঙ্কার করব।
--তোর যাকে ভাল লাগবে তারও তোকে ভাল লাগতে হবে?
--আমি তা বলিনি। তাহলে আমার পক্ষে তালপুকুরে থাকা সম্ভব হত না।
তাল্পুকুরের দিনগুলো মনে পড়ে।প্রজ্ঞার চোখ ঝাপসা হয়ে যায়,মাস্তান এসব কি বলছে।প্র্যাখ্যানের ভয়ে মনের কথা চেপে রেখেছে বুকে।প্রত্যাখ্যাত হলে তাল্পুকুর ছেড়ে পালিয়ে যেত?প্রজ্ঞা বলল,চল ঐ পার্কে গিয়ে বসি।
বাটন টিপে প্রজ্ঞা কাকে ফোন করে,রিং হতে এগিয়ে দিয়ে বলল,মামণি চিন্তা করবে কথা বল।
মনসিজ ফোন কানে লাগিয়ে বলল,হ্যা পরীক্ষা হয়ে গেছে... বেলির সঙ্গে কথা বলছি...না মাসীর বাড়ি এসেছে...ঠিক আছে তুমি চিন্তা কোরোনা...রাখছি?
পার্কে ঢুকে একটা ফাকা বেঞ্চে দুজনে পাশাপাশি বসল।কিছুক্ষন নীরবতার পর প্রজ্ঞা বলতে থাকে,শোন মাস্তান সত্যের মুখোমুখি হতে শেখ।কবিগুরুর ভাষায়, মনরে তাই কহ যে ভাল মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে।আমরা অনেক কিছু চাই কিন্তু সব কি পাওয়া যায়?তাই বলে হতাশ হতে হবে?
--বেলি একটা কথা বলব?
প্রজ্ঞা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো।
--তোমার হাতটা একটু ধরবো?
সুযোগ পেলে জানোয়ারগুলো ছিড়েখুড়ে খায় হাত ধরার জন্য অনুমতি।প্রজ্ঞা হাতটা মনসিজের কোলে তুলে দিয়ে বলল,শোন মাস্তান পরিস্থিতির সামনে বোল্ডলি দাড়াবি।পা রাখবি বাস্তবের শক্ত মাটিতে আর দৃষ্টি দূর আকাশের দিকে।ঘটনাকে বিশ্লেষণ করবি ঘটনার থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে।তোকে একটা গল্প বলি,একটা লোক তার বউকে নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছিল।একদিন লোকটি দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হল।বউটা চোখে অন্ধকার দেখে তার যা অলঙ্কার বিক্রী করে স্বামীর চিকিৎসা করতে লাগল।গয়না শেষ হলে শুরু করল দেহ বিক্রী।দেহ বিক্রীর একটা পয়সাও নিজের জন্য খরচ করেনি সব স্বামীর চিকিৎসায় ব্যয় করেছে।একদিন লোকটি আরোগ্য লাভ করল।
বেশ্যা কুলটা বলে বউকে ত্যাগ করল।যে তার জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেছে হতভাগা তাকে চিনতে পারেনি।
মনসিজ হাতটা নিয়ে গালে বোলায়।প্রজ্ঞা বলল,অনেক্ষন হল এবার হাত ছাড়।ধরবি বললি গালে বোলাচ্ছিলি কেন?
--বেলি যখন গালে বোলাচ্ছিলাম মায়ের কথা মনে পড়ল।মা আমার গায়ে মাথায় এভাবে হাত বুলিয়ে দেয়।
প্রজ্ঞা অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে চোখের জল আড়াল করে।তারপর বলল,সন্ধ্যে হয়ে এল আজ আর বাড়ী যাব না।চল তোকে বাসে তুলে দিই।
  
 
 
Like Reply




Users browsing this thread: 61 Guest(s)