Posts: 1,544
Threads: 4
Likes Received: 11,710 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,927
(07-11-2021, 08:40 PM)Baban Wrote: অনেক ধন্যবাদ জুপিটার দা....... সর্বাধিক রেপুটেশন অর্জনকারী আমি হলেও, সর্বাধিক লাইক অর্জনকারী হলেন mr.fantastic. ছয় হাজার তিনশো মতন.
একজন লেখক ও পাঠক হিসেবে উনি ডিসার্ভ করেন ❤ তবে মানুষটা আবার ফিরে এলে ভালো হতো.. যাকগে.....আপনিও লিখতে থাকুন আর আবারো কোনো ভৌতিক গপ্পো বা ছোট গল্প পারলে লিখবেন. আমি অন্তত পড়বোই :)
হ্যাঁ মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক কে আমিও খুব মিশ করি। তাঁর অনুপুস্থিতিতে গসিপ অনেকটাই ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তাঁর লেখনশৈলী এবং মন্তব্য দক্ষতা অসাধারণ ছিল। আরে দে বাবু বলেছিলেন, তিনি আমার অজাচার গল্প পছন্দ করেন না। তাই এই টা লিখে তাঁর মতামত আশা করেছিলাম। তবে আপনি পাশে আছেন এটাও বড় ব্যাপার আমার মত লেখকের কাছে।
আর সর্বাধিক লাইকের ক্ষেত্রে বলবো। খুব শীঘ্রই আপনি সর্বাধিক লাইকের অধিকারী হবেন। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
Posts: 6,161
Threads: 42
Likes Received: 12,438 in 4,169 posts
Likes Given: 5,340
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,799
Posts: 4,432
Threads: 6
Likes Received: 9,374 in 2,851 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,226
07-11-2021, 10:24 PM
(This post was last modified: 07-11-2021, 10:24 PM by Bumba_1. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(07-11-2021, 03:04 PM)Baban Wrote:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের প্রত্যেককে
আপনাদের বিশ্বাস ভালোবাসা ও সাপোর্ট পেয়েই এতদূর আসতে পারলাম. ❤
Congratulations ❤❤ বাবান ভাই
Posts: 6,161
Threads: 42
Likes Received: 12,438 in 4,169 posts
Likes Given: 5,340
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,799
(07-11-2021, 10:24 PM)Bumba_1 Wrote: Congratulations ❤❤ বাবান ভাই
ধন্যবাদ বুম্বা দা ❤
•
Posts: 3,689
Threads: 14
Likes Received: 2,573 in 1,404 posts
Likes Given: 2,044
Joined: Apr 2021
Reputation:
530
(07-11-2021, 10:24 PM)Bumba_1 Wrote: Congratulations ❤❤ বাবান ভাই
আমি শব্দটাকে ছোটবেলায় উচ্চারণ করতাম কংগোজুলেটন বলে
❤❤❤
•
Posts: 4,432
Threads: 6
Likes Received: 9,374 in 2,851 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,226
08-11-2021, 09:00 AM
(07-11-2021, 10:38 PM)Bichitravirya Wrote: আমি শব্দটাকে ছোটবেলায় উচ্চারণ করতাম কংগোজুলেটন বলে
❤❤❤
আমার মামার বাড়ি অর্থাৎ আমার দাদু এবং দিদু থাকতেন কুন্ডু বাগান নামক একটি জায়গায়। আমি খুব ছোটবেলায় সেই জায়গাটাকে বলতাম তুতু বাদান।
এরকম অনেক unique ডাক ছিলো আমার। যা নিয়ে এখনও লোকজন আমার leg pull করে।
•
Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,972 in 27,778 posts
Likes Given: 23,869
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
(05-11-2021, 12:10 AM)Jupiter10 Wrote: কালী পুজোর অমাবস্যা রাত
by- Jupiter10
(বাস্তব অভিজ্ঞতা অবলম্বনে)
বীরভূম জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে কালীপূজো দেখতে এসেছে সমরেশ। সুদূর কলকাতা শহর থেকে। এখানে তার এক দূর সম্পর্কের জ্যাঠা মশাই থাকেন। বাবাকে তিনি বহুবার অনুরোধ করে ছিলেন তাদের এই গ্রামে আসবার জন্য। তা বাবার উপযুক্ত সময় না হওয়ার কারণে সমরেশ একাই এখানে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। সে শুনেছে এই গ্রামে কালীপূজো নাকি খুব ধূমধামে হয়।
এমনিতেই ছোট থেকে কলকাতা শহরের জাঁকজমক পূর্ণ কালীপূজো দেখে এসেছে সে। তাই গ্রামের পুজো দেখবার ইচ্ছা জেগেছে তার। ছোট বেলা থেকেই গ্রাম ভালো লাগেলেও সেভাবে গ্রাম বেড়ানোর সুযোগ হয়ে ওঠেনি কখনও। এখন পড়াশোনা শেষ করে মনমত চাকরি পাওয়ার আশায় বসে রয়েছে। তাই গ্রাম বেড়ানোর সুযোগ হাত ছাড়া করেনি সে।
বিকেলবেলায় গ্রামে ফেরা থেকে জ্যাঠা মশাইয়ের ছোট ছেলে রাজেশ কে সঙ্গে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেরিয়েছে সে। অজ পাড়া গ্রাম যাকে বলে। প্রচুর গাছপালা,ধান ক্ষেত, পুকুর দিয়ে ঘেরা এই গ্রাম। গরু,ছাগল,ভেড়ার ডাক সর্বত্র শুনতে পাওয়া যায়। গ্রামের বাতাসও বিশুদ্ধ।কলকাতা শহরের মতো দূষণ নেই এখানে। গ্রামের মানুষজনও খুব সাদাসিধে এবং মিশুকে। রাজেশের দুই বন্ধু অনিল আর প্রহ্লাদও খুব ভালো ছেলে। তারাও সমরেশের গ্রাম ভ্রমণে সঙ্গী হয়েছে।
বিকেল থেকে সন্ধ্যা নেমে এলেও গ্রাম ঘোরার আশ মেটেনা সমরেশের। দাদা রাজেশ বলেছে আগামীকাল সকাল বেলা তাকে সাইকেলে করে বাকী গ্রাম গুলো ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে।
সে দেখছে, কলকাতা শহরের থেকে এখানে সন্ধ্যা নামে খুব দ্রুত। এখন ঘড়িতে প্রায় সাড়ে ছয়টা বাজলেও চারিদিক কেমন অসিত অন্ধকার নেমে এসেছে। কলকাতার মতো চারিদিক ঝিকিমিক আলো নেই এখানে। আধুনিকতার ছোঁয়াও নেই এখানে বলতে গেলে। তবে সিমেন্টের ঢালাই রাস্তা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। রাস্তার ধারে বৈদ্যুতিক পোলের উপরে ফিলামেন্টের বাল্ব লাগানো রয়েছে ওতেই রাতের অন্ধকার খানিকটা প্রশমিত হচ্ছে। আর বিদ্যুৎ সংযোগ কেবলমাত্র অবস্থাপন্ন মানুষদের বাড়িতেই রয়েছে। গরিব মানুষদের বাড়িতে হ্যারিকেন বাতি জ্বলছে।
সন্ধ্যা নামার পর গ্রামের নীরব অন্ধকার দেখে সমরেশের খানিকটা মন খারাপ তৈরি হলেও রাজেশের কালীমন্দিরের উৎসবের কথা শুনে সেটা দূর হয়ে যায়। কালীপুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামের মানুষদের উচ্ছাস তাদের মুখ দেখলেই বোঝা যায়। তাদের উৎসাহের মধ্যেই বোঝা যায় যে গ্রামের লোকেদের আনন্দ উৎসবের মুহূর্ত কেবলমাত্র পুজো পার্বণের দিন গুলিতেই। দুর্গাপুজো অনেক ব্যয়বহুল বলে এই গ্রামে হয়না। তবে কালীপুজোর জৌলুশ খুব। পাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকেও লোকের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকে। বর্ণ জাতি নির্বিশেষে এই পুজো হয় এখানে। গ্রামের সব ধরণের মানুষই অংশ নেয় এতে।
সমরেশের দাদা, তাকে বলেছে বাড়ি ফিরে কিছু খেয়ে পোশাক বদলে তারা সেই কালী মন্দিরে যাবে।
সেই মতো অন্ধকার নামার পর তারা বাড়ি ফিরে সন্ধ্যাহার করে মন্দিরের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে। গ্রামের উত্তর দিকে একটা খোলা প্রাঙ্গণের পাশে বিশাল কালী মন্দির। মন্দিরের দুইপাশে এবং পেছনে সারিসারি গাছপালা। শাল শিশু ইত্যাদি।
সমরেশ,দাদা রাজেশ এবং তার দুই সহচর অনিল এবং প্রহ্লাদকে নিয়ে মন্দিরের সামনে এসে হাজির হয়। মন্দিরের পরিবেশ দেখলেই কেমন দুঃসাহসিক অভিযানের অনুভূতি জাগে মনে। ভীষণ ভিড়ের মধেও কেমন একটা অজানা ভয় তৈরি হয়। আর মা কালীর মূর্তিও তেমনি প্রচণ্ডা। কালী মায়ের উচ্চতা প্রায় তিরিশ ফুট এবং বিশাল তার রক্তিম চোখ এবং লম্বা জিহ্বা। চুল খোলা। মাথার উপর সোনার মুকুট। নাকের নথ সোনার। মায়ের দুই ধারে রক্ত পিপাসু ডাকিনী যোগিনী। আর একটা শৃগাল ঊর্ধ্ব গগণে মুখ হাঁ করে জিভ বের করে মায়ের হাতের কাটা মুণ্ডু থেকে টপকে পড়া রক্ত পান করার জন্য লালায়িত ভঙ্গীতে চেয়ে রয়েছে।
মায়ের এই রূপ দেখে সমরেশ জোড় হাত করে তাকে প্রণাম করে নেয়। এবং সেখানে তারা কিছুক্ষণ থাকার পর গ্রামে ফিরে আসে।
গ্রামের রাস্তার মধ্য দিয়ে যাবার সময় সে দেখে তার দাদা রাজেশ,অনিল এবং প্রহ্লাদ নিজেদের মধ্যে কি যেন বলাবলি করছে।
সমরেশ তা জানতে চাওয়ায় রাজশে তাকে জিজ্ঞাসা করে, সে মদ ভাং খায় কি না। সমরেশ তাতে সাফ মানা করে দেয়। কারণ সে জীবনে কোনদিন মদ্যপান করেনি।
তাতে রাজেশ তাকে বলে যে তারা এই পুজো পার্বণে একটু নেশা ভাং করে থাকে। তো সে যদি এগুলো পছন্দ না করে তাহলে তারা মদ পান করবে না। অথবা সমরেশ কে বাড়িতে দিয়ে এসে একান্তে নেশা করবে।
সমরেশ বলে, তাদের সঙ্গে ওর থাকতে কোন অসুবিধা নেই। সে কেবলমাত্র তাদের সঙ্গে থাকবে। মদ্যপান করবে না। এবং তারাও তাকে মদ্যপান করার জন্য জোর না করে।
এই শর্ত তারা মেনে নেয়।
গ্রামের মধ্যে মদের দোকান থেকে তারা মদ এবং ছোলা ভাজা কিনে নেয়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় বসে খাবার মতো উপযুক্ত জায়গার অভাব নিয়ে। কারণ মন্দির চত্বরে মদ পান কঠোর রূপে নিষিদ্ধ। এবং বাড়িতে বসেও খাওয়া যাবে না।
সুতরাং তারা সিদ্ধান্ত নিল যে গ্রামের পূর্ব দিকে একটা ক্লাব ঘরের চাতালে বসে মদ্যপান করবে।
কিন্তু অনিল সেখানে যেতে মানা করে দেয়। কারণ সেদিকে দাস পাড়া। এবং সেই দাস পাড়ারই এক মহিলা নাকি ওই ক্লাব ঘরের সামনেই একটা পুকুর পাড়ে গত তিন মাস আগে কেরোসিন ঢেলে নিজের গায়ে আগুল লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এবং তার ভূত নাকি সবসময় ওই চত্বরেই ঘুরে বেড়ায়।
তা শুনে সমরেশ মনে মনে হাসল। ভূত প্রেতের একদমই বিশ্বাসী নয় সে। ভূত কে সে ভয় পায়না। ভূতের গল্প শুনলে বরং হাসি পায় তার। বিজ্ঞান চেতনায় বড় হয়েছে সে। বিজ্ঞানে বিশ্বাসী। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় একলা রাতে বেড়িয়েছে সে। হোস্টেলে কতবার একলা থেকেছে। কিন্তু ভূতের ভয় তো কি? মানুষেরও ভয় পায়নি সে বিন্দুমাত্র।
ভূতের সিনেমা দেখলে হাসি পায়। বিচিত্র ভূতের মেকআপ দেখে হাসে সে।
আজও অনিলের কথা শুনে মুচকি হাসল সমরেশ। মনে মনে বলল, “এই টিপিক্যাল গ্রাম্য বাসিরা ভূতের ফ্যান্টাসি থেকে এখনও বেরতে পারলো না”।
সে বলল, “ধুর। ভূত টুত আবার হয় নাকি! ওসব কুসংস্কার। মনের ভুল”।
অনিল বলল, “নাগো ভাই। তোমরা শহরের মানুষ রা ভূতে বিশ্বাস করো না। আমারা গ্রামের লোক ভূত দেখেছি বলে ভূতে বিশ্বাস করি”।
সেটা শুনে সমরেশ হো হো করে হেসে ফেলল, “তুমি ভূত দেখেছো নাকি অনিল দা?”
অনিল সভয়ে বলল, “হ্যাঁ আমি নিজের চোখে কোনদিন দেখিনি তবে লোকের মুখে শুনছি। ওই যে মদন দাসের বউ যেদিন গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে মরল, তার পর থেকেই গাঁয়ে ভূতের উপদ্রব শুরু”।
“আচ্ছা”!
“হ্যাঁ গো ভাই। কিশোরী মরার পর থেকেই ওই পুকুরে কেউ চান করতে যেতো না। বলতো নাকি জলের তলায় কেউ আছে। মেয়ের ডাক শুনতে পাওয়া যায়”।
“ধুর”
“হেই নাগো ভাই সত্যি। সেখানে অনেকেই কিশোরীর কান্নার আওয়াজ পেয়েছে।সেদিন গায়ে আগুন লাগার পর যন্ত্রণায় যেমন ছটফট করে কাঁদছিল আর লাফিয়ে বেড়াচ্ছিল, অবিকল সেই রকম গলার আওয়াজ করে কেউ কাঁদে ওখানে মাঝে মাঝে। বিশেষ করে বুধবার দিন। যেদিন ও আত্মহত্যা করেছিলো”।
অনিলের গল্প হাস্যকর হলেও বেশ মজাদার মনে করলো সমরেশ। তাই শুনতেও খুব ভালোই লাগছিলো ওর। সে উৎসাহ নিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো এবং কিশোরীর ভূতের গল্প শুনতে লাগলো।
“ওহ আচ্ছা তারপর?”
“তারপর আর কি ভাই সে অনেক কাণ্ড। সেই পুকুরের ধারে কাছে যাদের বাড়ি। সেই বাড়ির মানুষ জনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। ভাতের মধ্যে পায়খানা মিশিয়ে দেওয়া, ভাঙ্গা চুড়ি মিশিয়ে দেওয়া। তারপর গরু ছাগল দের উপর উৎপাত আরও কত কি”।
“আর? আর কি করে ছিল সে?”
“আরও অনেক কিছু করেছিলো ভাই বেশ কয়েক দিন। মদন দাসে সঙ্গে ঝগড়া করে মরেছিল বলে মদন দাস কে তো প্রায় পাগল করে তুলেছিল। মদন দাসের সঙ্গে যেই মেয়ের সম্পর্ক ছিল সেই মেয়ের রক্ত বমি হতে লাগলো। তারপর কিশোরী মরার কয়েকদিন পর মদন দাসের ঘর থেকে নাকি কিশোরীর ভূত এসে ওর শাড়ি কাপড় বের করে নিয়ে চলে গিয়েছিলো। সেগুলো পরে গ্রামের উত্তর পূর্ব দিকের বাবলা গাছের ডালে ঝোলানো অবস্থায় পাওয়া যায়”।
গ্রামের লোকের মস্তিষ্ক যে উর্বর তা এই গল্পের মাধ্যমেই বোঝা যায়। মনে মনে বলে সমরেশ।
অনিল বলল, “এতো কিছু শোনার পরেও তুমি হাসছ ভাই……। তোমার সাহস বলিহারি”।
সমরেশ বলল, “এই না না। আসলে তোমার গল্পটা বেশ মজাদার তাই শুনছিলাম আরকি”।
অনিলের কথায় বিন্দুমাত্র বিশ্বাস হয়না সমরেশের। সে তার জেঠতুতো দাদাকে জিজ্ঞাসা করে এই বিষয় নিয়ে।
“হ্যাঁ গো দাদা……।অনিলদা যেগুলো বলছে সেগুলো কি সত্যি?”
রাজেশ বলল, “আমারও শোনা কথা ভাই। আমিও নিজের চোখে দেখিনি। তবে পরে নাকি তান্ত্রিক দেখিয়ে সেটার নিবারণ করা হয়।তাই এখন আর ওই উপদ্রব হয়না”।
সমরেশের এবার সম্পূর্ণ বিশ্বাস হয়ে গেলো যে এটা নিছক গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। সে মহিলা আত্মহত্যা করে নিজের প্রান দিয়েছে ঠিকই কিন্তু ভূত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এটা মানা নিরর্থক। মানুষ মরার পর আবার তার কোন জীবন হয় নাকি!! ইহলোক পরলোক বলে কিছুই হয়না। ভূত প্রেত বলেও কিছু হয়না।
এই ঘটনার ব্যাখ্যা কেবলমাত্র কিছু সংখ্যক বেকার যুবক লোকের কর্মকাণ্ড। যাদের এই সব করে লোককে ভয় দেখিয়ে হয়তো মোটা টাকা ইনকাম। আর ওই তান্ত্রিকও হয়তো এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার।
তারা হাঁটতে থাকে। গ্রামের পূর্ব দিকের ওই ক্লাবের সামনেই তারা বসে মদপান করবে।
যাওয়ার পথে অনিলের আবার বাধা দেয়, “এই যাসনা ভাই। বললাম না যে ওখানে প্রেত্নির ভয় আছে”।
রাজেশ বলল, “ধুর ছাই! তান্ত্রিক দেখিয়েছে তো। ভূত টুত আর নেই ওখানে। আর তাছাড়া কালী পুজোর দিন আজকে। মা কালী সঙ্গে থাকতে ভয় কিসের রে?”
প্রহ্লাদ বলল, “ভয় তো ওইখানেই ভাই। অমাবস্যার রাত আজকে। মায়ের আহ্বানে সব ভূত প্রেত একত্রিত হয়। নানা রকম অপদেবতা, অপশক্তির উদয় হয় আজ। তান্ত্রিক রা আজ সাধন করে তারাপীঠে। জানিস না”।
তা শুনে সমরেশ বলল, “ ধুর চলো না ভাই। আমি ভূতে ভয় পাই না। কিছু হলে আমি আছি তোমাদের সঙ্গে। চলো তো”।
সমরেশের কথা শুনে তারা সাহস জুগিয়ে সেখানে এগিয়ে যায়।
চারজন মিলে গিয়ে বসে ক্লাবের সামনে চাতালের উপরে। ক্লাবের বাইরে ফিলামেন্ট বাতির আলো আসছিল তাদের সামনে। সেহেতু মদ খেতে কোন অসুবিধা হচ্ছিলো না।
সারা গ্রাম এখন মন্দিরের সামনে। নির্জন গ্রাম এখন। নিস্তব্ধ। শুধু কালী মন্দিরের হই হুল্লোড় দূর থেকে কানে আসছে তাদের।
মদ খেতে খেতে রাজেশ সমরেশ কে বলল, “ভাই তুমি মদ না খাও, ছোলা ভাজা তো খেতে পারো। আমরা খাচ্ছি আর তুমি বসে রয়েছ”।
“না দাদা সে ঠিক আছে। তোমাদের মদ খাওয়া হয়ে গেলে আমরা আবার মন্দিরে যাবো তো?”
“হ্যাঁ ভাই নিশ্চয়ই”।
রাজেশ এবার প্রহ্লাদের দিকে তাকিয়ে বলল, “পুকুর পাড়ের দিকে তাকাস না ভাই। ওদিকে কিছুই নেই। ভূত আসবে না তোকে ধরতে”।
প্রহ্লাদ মুখে মদের গ্লাস তুলে বলল, “ না রে ভাই আমি ওই পুকুর পাড়ের বাড়িটার দিকে তাকিয়ে আছি। ঘরের সামনে বাল্বটা কেমন জ্বলছে আবার নিভছে দ্যাখ”।
“ধুর ওদিকে তাকিয়ে কাজ নেই। কালীপুজোর সঙ্গে দীপাবলিও আজকে। তাই ওইরকম লাইট লাগিয়েছে”।
“না রে ভাই। বাল্ব লাইট এমন করে জ্বলে না”।
“লাইট খারাপ হয়েছে তাহলে! সাফ কথা। তুই এদিকে নজর দে”।
জ্বলন্ত নিভন্ত লাইটের বাড়ি তাদের থেকে কেবলমাত্র পঞ্চাশ ফুট দূরে। খুব একটা অন্ধকার নেই সেখানে।
রাজেশের কথা শুনে প্রহ্লাদ সেদিকে তাকানো বন্ধ করে দেয়। তারা আবার নতুন গল্পে মশগুল হয়। সমরেশ কলকাতার গল্প শোনাতে থাকে।
কিন্তু তার চোখ মাঝে মধ্যেই বাকী তিনজনের দিকে চলে যাচ্ছিলো। মদের নেশায় তাদের চোখ এবং গলা কেমন জড়িয়ে আসছিলো।
সমরেশ দেখে অনিলের স্থির নজর এবার পুকুর পাড়ের ওই বাড়িটার ওপর। সে একটু অবাক হল। তারপর আচমকায় অনিল সেদিকে আঙ্গুল দেখিয়ে থতমত খেয়ে প্যাঁচানো গলায় বলে উঠল, “ভাই…ভু ভু ভু ভূত ভূত!!!!!!!!!!”
সঙ্গে সঙ্গে তারাও সেদিকে চোখ তুলে তাকাল।
সমরেশও দেখল, “একটা কুচকুচে কালো নারী অবয়ব। সম্পূর্ণ উলঙ্গ। চুল খোলা তার। সেই বাড়ির দরজার সামনে উঁকি দিচ্ছে”।
ক্ষণিকের জন্য চোখকে বিশ্বাস হলনা তার। একি দেখছে সে!
কিছু বুঝবার আগেই রাজেশ এবং প্রহ্লাদ হই হই করে চেঁচিয়ে উঠল। এবং দৌড়ে সেদিকে চলে গেলো।
“হেই হেই ধর ধর কে তুই কে তুই। আসছি আমরা দাঁড়া।দাঁড়া” বলতে বলতে।
সেটা শুনতে পেয়েই সেই নিগূঢ় কালো নগ্ন নারী তাদের দিকে চোখ দেখিয়ে ঘরের পেছন দিকে দৌড়ে পালাল।
আলোর গতিতে তারাও ছুটে গেলো ওর পেছনে ধাওয়া করতে।
নিমেষের মধ্যেই সেই অজ্ঞাত নারী মূর্তি পুকুর ওপারের ঝোপ জঙ্গলে অদৃশ্য হয়ে গেলো।
তা দেখে সমরেশের রক্ত হীম হয়ে আসল। মাথা শূন্য হয়ে গেলো তার। শরীর অসাড়। যা দেখল তাতে বিশ্বাস করবে কি করবে না বুঝে উঠতে পারল না সে। সারা গা নিজের থেকেই থরথর করে কাঁপতে শুরু করলো। জিভ অসাড় হয়ে গেলো।বুক ধড়ফড় করতে লাগলো। এই যেন সে অজ্ঞান হয়ে পড়বে। তার চোখের সামনে সে সেই বস্ত্রহীন কালো নারী কে দেখতে পাচ্ছে। তার খোলা চুল, তার উন্মুক্ত বক্ষ। তার উজ্জ্বল চোখ দুটো কেমন রাতের অন্ধকারে জ্বল জ্বল করছিলো। কি ভয়ঙ্কর তার অভিব্যাক্তি।
সে ভাবল। হয়তো এটা কোন লোকের দুষ্টুমি। অথবা চোর। কিন্তু! কিন্তু এভাবে নিমেষের মধ্যে কি কেউ এতো বড় পুকুর লাফ দিয়ে যেতে পারে?
আর এই পুকুর পাড়ে কেমন একটা বিচিত্র গন্ধ পাচ্ছে সে তখন থেকে। কেমন পোড়া মাংসের মতো গন্ধ। আঙ্গুনে পুড়লে মাংসের যেমন গন্ধ হয় ঠিক সেই রকম।
মন প্রশ্ন করলেও তার উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলো না সে।
এই ঘটনার পর রাজেশ এবং অনিলের সহায়তায় রাস্তার মধ্যে দাঁড়াতে পারে সে। তাদেরকে ছাড়িয়ে রাজেশের দিকে তাকিয়ে ভীত গলায় বলে, “দাদা তুমি আজ রাতে আমার সঙ্গে শুতে পারবে তো?”
এখন পড়লাম , ভালো লাগলো .... :)
Posts: 1,544
Threads: 4
Likes Received: 11,710 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,927
(08-11-2021, 09:59 AM)ddey333 Wrote: এখন পড়লাম , ভালো লাগলো .... :)
যাক! দে বাবুর পছন্দ হয়েছে যখন, তখন এবার আমি নিশ্চিন্তে দে বাবুর পরকীয়ার গল্প লিখতে পারবো।
•
Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,972 in 27,778 posts
Likes Given: 23,869
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
(08-11-2021, 12:08 PM)Jupiter10 Wrote: যাক! দে বাবুর পছন্দ হয়েছে যখন, তখন এবার আমি নিশ্চিন্তে দে বাবুর পরকীয়ার গল্প লিখতে পারবো। 
আমার ঠিক কোন পরকীয়াটা নিয়ে লিখতে চান ভাই আপনি !!!
অগুনতি আছে তো ....
Posts: 1,544
Threads: 4
Likes Received: 11,710 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,927
•
Posts: 18,225
Threads: 471
Likes Received: 65,972 in 27,778 posts
Likes Given: 23,869
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,275
(08-11-2021, 01:01 PM)Jupiter10 Wrote: সব গুলোই একটু একটু করে থাকবে। আর কীভাবে দে বাবু, আপন স্ত্রীর চোখে ধুলো দিয়ে পরকীয়ায় মেতে উঠেছেন তার বর্ণনা থাকবে। গল্পের নাম হবে, "পরকীয়া অভিযান!!!" 
পিনুদা এখন থাকলে প্রচুর হাসাহাসি গালিগালাজ হতো এসব নিয়ে , কিন্তু বোকাচোদা কোনোদিন আর আসবে বলে মনে হয় না !!!
Posts: 3,689
Threads: 14
Likes Received: 2,573 in 1,404 posts
Likes Given: 2,044
Joined: Apr 2021
Reputation:
530
08-11-2021, 01:09 PM
(This post was last modified: 08-11-2021, 01:10 PM by Bichitro. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(08-11-2021, 09:00 AM)Bumba_1 Wrote: আমার মামার বাড়ি অর্থাৎ আমার দাদু এবং দিদু থাকতেন কুন্ডু বাগান নামক একটি জায়গায়। আমি খুব ছোটবেলায় সেই জায়গাটাকে বলতাম তুতু বাদান।
এরকম অনেক unique ডাক ছিলো আমার। যা নিয়ে এখনও লোকজন আমার leg pull করে।
আপনি একটা শব্দ মনে করিয়ে দিলেন.... শুঁয়োপোকা কে গ্রামের দিকে অনেকে জোরালি বলে.... ছোটবেলার বেশিরভাগ সময় আমি গ্রামেই কাটিয়েছিলাম.... তো সেখান থেকে ওই শব্দটা শিখেছিলাম.... আর তোতলানোর জন্য জোরালি হয়ে যেত জোলালি.... এটা নিয়ে এখনও একজন আমাকে ক্ষ্যাপায়
গ্রামে কেন থাকতাম সেটা আজকেই রাতে pm করে বলবো আপনাদের তিনজনকে
❤❤❤
•
Posts: 6,161
Threads: 42
Likes Received: 12,438 in 4,169 posts
Likes Given: 5,340
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,799
(08-11-2021, 01:09 PM)Bichitravirya Wrote:
আপনি একটা শব্দ মনে করিয়ে দিলেন.... শুঁয়োপোকা কে গ্রামের দিকে অনেকে জোরালি বলে.... ছোটবেলার বেশিরভাগ সময় আমি গ্রামেই কাটিয়েছিলাম.... তো সেখান থেকে ওই শব্দটা শিখেছিলাম.... আর তোতলানোর জন্য জোরালি হয়ে যেত জোলালি.... এটা নিয়ে এখনও একজন আমাকে ক্ষ্যাপায়
গ্রামে কেন থাকতাম সেটা আজকেই রাতে pm করে বলবো আপনাদের তিনজনকে
❤❤❤
তোমার ওই ভুতুড়ে অভিজ্ঞতাটা বলা ডিউ আছে কিন্তু
এটাই কি সেটা?
•
Posts: 1,544
Threads: 4
Likes Received: 11,710 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,927
(08-11-2021, 01:05 PM)ddey333 Wrote: পিনুদা এখন থাকলে প্রচুর হাসাহাসি গালিগালাজ হতো এসব নিয়ে , কিন্তু বোকাচোদা কোনোদিন আর আসবে বলে মনে হয় না !!!
হ্যাঁ। বন্ধু মহলে আপনার মতো রসিক মানুষ থাকলে হাসি ইয়ার্কি। গালাগালি তো অবশ্যই হবে। পিনু বাবু যখন ছিলেন তখন থ্রেড টা কে মেলার মতো মনে হতো। আমি বলতাম। "পিনুরাম ফেস্টিভ্যাল"। তিনি ফিরে এলে পাঠকগন আবার সেই ফেস্টিভ্যালে মেতে উঠবেন।
•
Posts: 3,689
Threads: 14
Likes Received: 2,573 in 1,404 posts
Likes Given: 2,044
Joined: Apr 2021
Reputation:
530
(08-11-2021, 01:27 PM)Baban Wrote: তোমার ওই ভুতুড়ে অভিজ্ঞতাটা বলা ডিউ আছে কিন্তু
এটাই কি সেটা?
হ্যাঁ এটাই সেটা.... :)
তবে একটা অভিজ্ঞতা না... বেশ কয়েকটা আছে... :shy:
শোনার পর এটাকে ভৌতিক বলবেন কি অন্য কিছু বলবেন আমি জানি না.... কিন্তু মজা পাবেন খুব...
আর যেহেতু সত্য ঘটনা তাই রঙচঙ মিশিয়ে বলবো না
❤❤❤
•
Posts: 837
Threads: 0
Likes Received: 858 in 546 posts
Likes Given: 1,241
Joined: Mar 2021
Reputation:
87
কিছু বলার নেই আপনার লেখার আগাগোড়াই ফ্যান আমি।কিন্তু ইরোটিকের বাইরেও যে এমনটা লেখার স্বাদ পাবো সেটা ভাবিনি।ভুতের গল্পের প্রধান বিষয়বস্তু হলো ভৌতিক পরিবেশ তৈরী করা,যেটা এক্ষেত্রে অসাধারণ।লাইক আর রেপু দিলাম দাদা।
Posts: 837
Threads: 0
Likes Received: 858 in 546 posts
Likes Given: 1,241
Joined: Mar 2021
Reputation:
87
(08-11-2021, 01:43 PM)Jupiter10 Wrote: হ্যাঁ। বন্ধু মহলে আপনার মতো রসিক মানুষ থাকলে হাসি ইয়ার্কি। গালাগালি তো অবশ্যই হবে। পিনু বাবু যখন ছিলেন তখন থ্রেড টা কে মেলার মতো মনে হতো। আমি বলতাম। "পিনুরাম ফেস্টিভ্যাল"। তিনি ফিরে এলে পাঠকগন আবার সেই ফেস্টিভ্যালে মেতে উঠবেন। 
পিনুরামদার লেখা ভুতের গল্পও পড়েছি...আপনারটাও পড়লাম।তবে গা শিড়শিড়ানির কথা উঠলে আপনারটাই প্রাধান্য পাবে।
Posts: 1,544
Threads: 4
Likes Received: 11,710 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,927
(09-11-2021, 07:40 AM)Ankit Roy Wrote: কিছু বলার নেই আপনার লেখার আগাগোড়াই ফ্যান আমি।কিন্তু ইরোটিকের বাইরেও যে এমনটা লেখার স্বাদ পাবো সেটা ভাবিনি।ভুতের গল্পের প্রধান বিষয়বস্তু হলো ভৌতিক পরিবেশ তৈরী করা,যেটা এক্ষেত্রে অসাধারণ।লাইক আর রেপু দিলাম দাদা।
অসংখ্য ধন্যবাদ অঙ্কিত ভাই। পাশে থাকার জন্য।
•
Posts: 1,544
Threads: 4
Likes Received: 11,710 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,927
(09-11-2021, 07:43 AM)Ankit Roy Wrote: পিনুরামদার লেখা ভুতের গল্পও পড়েছি...আপনারটাও পড়লাম।তবে গা শিড়শিড়ানির কথা উঠলে আপনারটাই প্রাধান্য পাবে।
হ্যাঁ, ওনার টা ভৌতিক রোম্যান্টিক গল্প ছিল।
•
Posts: 6,161
Threads: 42
Likes Received: 12,438 in 4,169 posts
Likes Given: 5,340
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,799
09-11-2021, 12:39 PM
(This post was last modified: 09-11-2021, 01:14 PM by Baban. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
•
|