Thread Rating:
  • 114 Vote(s) - 2.66 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
কিছু মনের সত্যি কথা
# ফোরলাইনার

 
কজন স্বজন জানে
"ভালো আছি" মানে,
ভালো থাকা বদলে গেছে
আড়ম্বরের বিজ্ঞাপনে...
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
(27-09-2021, 07:28 AM)dada_of_india Wrote: *সুশোভন মাস্টার*
==========                           
জাঁদরেল লেডি Lawyer মিস গাঙ্গুলি বললেন – “Your Honour! এবার আমি আমার Client মিস প্রকৃতি মজুমদার কে Witness Box এ ডাকতে চাই। 
কোর্টের এজলাসে তখন থিক থিক করছে মানুষ – সবাই কয়েক মুহূর্ত চুপ। সবারই চোখ আটকে আছে সামনের দিকের চেয়ারে বসা জিন্স আর কুর্তি পরা তন্বী মেয়েটির দিকে। একটু যেন বেশীই সময় নিয়ে উঠে দাঁড়ালো মেয়েটি। কোর্টের ওই তিনদিক ঘেরা কাঠের বাক্সটার দিকে যেতে যেতে কত কথা মনে পরতে লাগল ওর। আজ সকালেই পাশের বাড়ির ছাদ থেকে মিলিদি বলছিল – “অ্যাই পিকু, তোদের তো কেস উঠেছে কোর্টে। আজ নাকি তোকে ডেকেছে, আর তোর ওই মাষ্টারকেও তো আজই তুলবে কোর্টে। একদম ছাড়বি না এই সব লোককে। মনের মধ্যে যা আছে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিবি”।
মিলিদির কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ওই কাঠের বাক্সটায় উঠে দাঁড়ালো মেয়েটি।
বিচারক শান্ত নরম গলায় জিজ্ঞেস  করলেন- “মিস প্রকৃতি, আপনি আসামি সুশোভন মিত্রকে চেনেন?”
“না”- দৃঢ় আর সংক্ষেপ জবাব প্রকৃতির।
সভায় মৃদু গুঞ্জন – উঠে এলেন প্রকৃতির solicitor শ্রীমতী গাঙ্গুলি।
“মিস প্রকৃতি – ভাল করে তাকিয়ে দেখুন আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ওই লোকটিকে আপনি চেনেন কি না”
উলটো দিকে দাঁড়ানো খোঁচা খোঁচা দাড়ি ভর্তি, অপমানে, লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া মুখটার দিকে তাকিয়ে প্রকৃতি বলল – “ওই লোকটিকে আমি নিশ্চয় চিনি। ওনার নাম শ্রী সুশভন মিত্র। আমাদের সুশোভন স্যার। তবে ‘আসামি সুশোভন’ বলে আমি কাউকে চিনি না”।
“ব্যাপার একই” – বললেন Lawyer গাঙ্গুলি, “তার মানে আপনি ওনাকে চেনেন। এবার আমি আপনাকে যা যা প্রশ্ন করব, তার সঠিক উত্তর দেবেন। আমার প্রথম প্রশ্ন ---- 
হাত তুলে ইশারায় তার Lawyer কে থামতে বলল প্রকৃতি। বিচারকের দিকে ফিরে প্রশ্ন করল – “Your Honour! সকাল থেকে অনেক প্রশ্ন করেছেন আপনারা সবাইকে। আমার মা, প্রতিবেশী, কলেজের বিভিন্ন কর্মী – অনেককে। আমি কি আমার মতো করে নিজের কথা বলতে পারি? তারপর না হয় আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেবো”।
বিচারক বললেন – “অবশ্যই! আমরা তো তোমার কথাই শুনতে চাই” – আপনি থেকে তুমি তে এসে পরিবেশকে আরও সহজ করে তুলতে চাইলেন বিচারক মশাই।  “শুধু একটা কথা বল – সুশোভন বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে – উনি তোমাকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করেছেন এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছেন – যাকে আমরা “Bad Touch” বলে জানি – কথাটা সত্যি?” 
প্রকৃতি - Touch তো উনি অবশ্যই করেছেন, [থামল প্রকৃতি। সভায় গুঞ্জন বাড়ল। সুশোভন মাষ্টার একবার প্রকৃতির দিকে তাকিয়েই আবার মাথাটা আরও নিচু করে দাঁড়ালেন] আবার বলল প্রকৃতি – Touch করেছেন উনি, আর করেছেন আমাকে। তাহলে সেটা Good না Bad সেটা আমার থেকেও ভাল করে এতগুলো মানুষ বুঝে ফেলল কি করে?
শ্রীমতী গাঙ্গুলি case-এর হাল ধরবেন বলে উঠে আসছিলেন চেয়ার ছেড়ে। বিচারক তাঁকে ইঙ্গিতে বসতে বলে নিজেই প্রশ্ন শুরু করলেন। - “তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে মাষ্টার মশায়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুমি মানতে চাইছ না”।
প্রকৃতি - অভিযোগ তো আমি করিনি, করেছেন আমার মা, মাকে সাহায্য করেছেন পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন আর দু-তিনটে  TV Channel.
- কি ঘটেছিল সেটা বরং তুমিই খুলে বল। [বিচারক জিজ্ঞেস করলেন] মাষ্টার মশায় কে তুমি কি ভাবে চেন? কেমন ধারনা তোমার এই মানুষটির সম্বন্ধে?
-“প্রথম দিকে অতি সাধারন বলে মনে হত। আমাদের ক্লাস নিতেন না, দেখতেও আহামরি কিছু নয়, তাই নজর দেওয়ার প্রয়োজনই পড়েনি। শুধু উঁচু ক্লাসের দাদা দিদিদের মুখে ওনার কথা খুব শুনতাম। ক্লাস নাইন-এ যখন উঠলাম, রেসাল্ট খারাপ করাতে একদিন ডেকে আমায় বললেন– “শোন! তোমার এই প্রকৃতি নামের গুরুত্ব বোঝো তো? সৃষ্টি আর ধ্বংস দুটোর ক্ষমতাই তোমার আছে। যদি ঝড় তুলতে চাও তবে এটাই সেরা সময়। একবার শুধু দাঁতে দাঁত চেপে ঝাঁপিয়ে পড়, দেখবে কোন বাঁধাই তোমার সামনে দাঁড়াতে পারবে না” – সেদিন নতুন করে চিনেছিলাম মানুষটাকে। সেদিন অন্যভাবে চিনেছিলাম নিজেকে। আত্মবিশ্বাসী লাগছিল অনেক। এতদিন তো শুধুই শুনতাম সব জায়গায় – “তোর দ্বারা কিস্যু হবে না”। বলতে বলতে গলা ধরে আসে প্রকৃতির।
বিচারক - যে ঘটনার কারণে এত তোলপাড়, সে ব্যাপারে সত্যিটা শুনতে চাই তোমার মুখ থেকে।
প্রকৃতি - সত্যিটা খুব ছোট্ট আর অতি সাধারন। এবার Inter-House Drama Competition এ আমাদের House চ্যাম্পিয়ন হয়। উনি ছিলেন আমাদের Trainer. যা হয়, জয়ের উল্লাসে ছুটে গেছিলাম ওনার কাছে। প্রণাম করলাম। উনি আশীর্বাদ করলেন। গাল টিপে দিলেন। তারপর আনন্দে সবার মতোই আমাকেও বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। পরিচ্ছন্ন পিতৃ সুলভ আলিঙ্গন। এক ফোঁটা দুরভিসন্ধি বা খারাপ চিন্তা ছিল না সেই ছোঁয়ায়। অথচ যারা এই ঘটনাটা দেখলেন তাদের চোখ বোধহয় অন্য কিছু অনুভব করেছিল। খানিক পর থেকেই গুঞ্জন শুনলাম – Back Stage-এ Bad Touch. সেই গুঞ্জন আলোড়নে পরিনত হয়ে আজ এই Court room এ এসে হাজির।
বিচারক - প্রকৃতি, তোমার কথাই আমরা সত্যি বলে মেনে নেব, কারন, প্রথমত – অভিযোগ মুলত তোমাকে ঘিরে আর দ্বিতীয়ত – যে জায়গায় ঘটনাটা ঘটে সেখানে কোন CC-TV ক্যামেরা ছিল না।
প্রকৃতি - ঠিক কথা,স্যার, এই CC-TV Camera ই আজকাল সব থেকে বড় গোয়েন্দা, সব থেকে বড় বিচারক। জানেন স্যার, আমাদের বাড়ির ছাদের চিলেকোঠার ঘরটাতেও কোন CC-TV Camera নেই, আর তাইজন্যই তো কোনও শাস্তি হল না বিল্টু মামার। আমার নিজের মামা স্যার। ক্লাস সেভেনে যখন পড়ি তখন একবার বিল্টু মামা এসে চিলেকোঠার ঘরে পড়া বোঝাবার নাম করে বেশ করে বুঝিয়ে দিয়েছিল – পুরুষের লোভী স্পর্শ কেমন হয় আর এখনকার ভাষায় কাকে বলে Bad Touch. মাকে জানালাম। সাথে সাথে ধমক খেলাম – “তোমার সবেতেই বাড়াবাড়ি। তোমার মামা বিদেশে পড়াশুনো করে। Adjust করতে না পারলে Avoid কর, কিন্তু এই নিয়ে আর কোনও কথা যেন উচ্চারণ করতে না শুনি”। ভেবে দেখুন স্যার একজন নারী তার কন্যাসন্তানের অসন্মান উপেক্ষা করছেন কেন? না যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে তার নিজের ভাই, সে আমেরিকা থেকে এসেছে, তার বিরুদ্ধে কি কিছু বলা যায়? না উচিৎ? স্যার, আজ আমি ক্লাস ইলেভেনে। এই চার বছরেও কিন্তু আমাদের বাড়িতে CC-TV বসেনি। আজও কিন্তু বিল্টু মামা নিয়ম করে বছরে দুবার আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসেন। প্রচুর আমোদ আলহাদ হয়। কিন্তু ওই যে দাঁড়িয়ে আছে লোকটা (সুশোভন মাস্টারের দিকে আঙ্গুল দেখায়), বিচারের রায় যেমনই হোক, তার কিন্তু কলেজে আসা চিরকালের মতো ঘুচে গেল।
স্যার! আমার বাবার অফিসের করিডরেও কোনো CC-TV নেই। তাই বাবার অফিসের Boss পরেশ কাকু যখন তাদের Annual Programme এ  আমার নাচের প্রশংসা করতে করতে আমার সারা গায়ে হাত বোলাচ্ছিলেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে বাবা অন্যদিকে তাকিয়েছিলেন। আহা! বড়বাবু বলে কথা। পরেশ কাকু কিন্তু প্রায় রোববারই আমাদের বাড়ি আসেন। লুচি-তরকারি খান। অথচ সুশোভন মাষ্টারকে কলেজ কিন্তু আর রাখবে না।
স্যার! আজকাল কলেজে ক্লাসে ক্লাসে যখন Good Touch/Bad Touch কি তা বোঝানো হয়, তখন মেয়েরা মুখে হাত রেখে হাসি চাপার চেষ্টা করে। আচ্ছা বলুন তো, এই বিল্টু মামা, পরেশ কাকুদের স্পর্শ বুঝতে আমাদের বই থেকে কায়দা শিখতে হবে? এটা হাস্যকর নয় আমাদের মেয়েদের কাছে? 
বিচারক - বেশ, আমার তাহলে তোমার বক্তব্যকেই বিশ্লেষণ করে তোমাকে শেষ প্রশ্ন করছি – খুব সংক্ষেপে বল – তোমার বিচারে সুশোভন মাষ্টার কি অপরাধী?
প্রকৃতি - বাবা মায়ের ভালবাসা আর সময়ের অভাবে আমরা যখন দিশেহারা, তখন ছাত্রছাত্রীদের বন্ধু হয়ে ওঠা যদি অপরাধ হয় তবে উনি অপরাধী, আর বিলটু মামা, পরেশ কাকুদের মতো, বিলেত ফেরত বা অফিসের Boss না হয়ে সাধারন নিরীহ শিক্ষক হওয়াটা যদি অপরাধ হয়, তাহলেও উনি অপরাধী। Teacher হয়ে উনি যখন উনি জন্মেছেন তখন অপরাধী হওয়ার একচেটিয়া অধিকার তো ওনারই।
পরীক্ষায় প্রশ্ন Common না এলে Teacher অপরাধী, Result খারাপ হলে Teacher অপরাধী, ক্লাসে মারামারি হলে Teacher অপরাধি। মিডিয়া প্রচার করে – কলেজে দুষ্টু লোকেরা থাকে। বাবা মায়েদের দাবির জোরে আমাদের কলেজে 75টা CC-TV Camera. এবার খেলার মাঠে গাছের ডালেও Camera বসানো হবে। আচরণ দেখলেই মনে হয় – যেন কলেজের বাইরেটা পবিত্রতায় ভরা আর ভেতরেই যত দুষ্টু লোকদের আনাগনা। বাড়িতে শেখানো হয় শিক্ষকরা বাবা-মায়ের মতো। অথচ ওই লোকটাকে দেখুন কেমন হাত পা বাঁধা। বাবার মতো শাসন করতে গেলেও মুশকিল, বাবার মতো ভালবাসতে গেলেও বদনাম।
Sir, আপনি আপনার ছাত্রজীবনে কতজন শিক্ষককে আসামীর কাঠগড়ায় উঠতে দেখেছেন বা শুনেছেন স্যর? তাঁরা কি রাতারাতি সবাই বদলে যাচ্ছেন? সবাই “দুষ্টু লোক” হয়ে পড়ছেন? সারা বছর ধরে আমাদের বাবা-মায়েরা হোম-ওয়ার্ক কপি থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে টিচার এর ভুল ধরেন, আর 4Th September আমাদের Gift কিনে দেন পরের দিন Teachers’ Day বলে। আসলে আমরা পিছিয়ে পড়ছি স্যর। রাজা রামমোহন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নারীদের যে উচ্চতায় তুলে এনেছিলেন, আমরা আইনের অপব্যবহার করে করে নিজেদেরকে সেই সম্মানের আসন থেকে নামিয়ে আনছি দিনে দিনে। অবাক হবেন না স্যর – যদি আজ থেকে কয়েক বছর পর আপনি এই এজলাসেই আবারও কোন “সতীদাহ”র মামলা পেয়ে যান। সেই দিন আবার ফিরে আসতে খুব বেশি দেরি নেই হয়ত।
বিচারক এতক্ষন অপলক দৃষ্টিতে প্রকৃতির কথা শুনছিলেন। কয়েকটা নিয়মমাফিক কাজকর্মের পর তিনি রায় ঘোষণা করলেন। নির্দোষ প্রমান হলেন সুশোভন মাস্টার। তাঁর বুক হাল্কা করে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল। রুমাল দিয়ে চোখ মুছলেন তিনি। বিজয়িনীর গর্বে প্রকৃতি এগিয়ে গেল তাঁর দিকে। পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করল। স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন সুশোভন বাবু। 
“আশির্বাদ করলেন না স্যর!” – প্রশ্ন করল প্রকৃতি। আরও জড়সড় হয়ে খালি হাতটা যেন কোথাও লুকিয়ে ফেলতে চাইছেন মাস্টার-মশাই। তারপর কাঁপা কাঁপা ধরা গলায় বললেন – “ভয় করে রে মা! সবই তো বুঝিস, আবার যদি Bad Touch হয়ে যায়!”

যা বলার সেটা বাবান দা আগেই বলে দিয়েছেন.... আমার আর কিছু বলার রইলো না। আপনাকে ধন্যবাদ.... আপনি এখানে এত সুন্দর একটা গল্প ছেড়েছেন.... এখন প্রশ্ন জাগছে এটা কি গল্প নাকি সত্যি! কতো সুশোভন মাস্টার প্রকৃতির মত ছাত্রী পায়? আর যারা পায় না তাদের তো হয়ে গেল যাবজ্জীবন

এটা খুব জানার ইচ্ছা জাগলো যে প্রকৃতির বাবা মা এবার কি করবে? কি করা উচিত ওদের? 

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
আমার দূর্গা - ❤❤❤❤❤❤

আবারো একটা অসাধারণ কাহিনী. মা দূর্গা এক শক্তি যে শক্তি সকলের মধ্যেই বিরাজমান. শুধু তাকে উপলব্ধি করতে হয়. এই শক্তি কে এক মা হারা কন্যা তার পিতার মধ্যে খুঁজে পেয়েছে. তার পিতার এই দায়িত্ব কর্তব্য ও ভালোবাসাই তো হলো মা দূর্গা. সব বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে সেই পিতা রোজ এগিয়ে চলেছেন. যাতে তার কন্যা একদিন উঠে দাঁড়ায় মাথায় উচিয়ে. সেই পবিত্র শক্তিকে প্রণাম ❤

আর লেখক বা লেখিকা কেও ❤
Like Reply
# অন্য_রূপকথা
 
বেশ কয়েকবছর ধরেই পুজোয় কয়েকজনকে সামান্য কিছু উপহার দিই আমি। বিশেষ কিছু না, জামা কাপড়, আর হেয়ারব্যান্ড, ক্লিপ, লিপস্টিক, কানের দুল...এইসব। কিন্তু সেকথা থাক...
তা সেসব কিনতে কাল একটু সকাল সকাল গেছিলাম হাতিবাগান। আর হাতিবাগানে গেলে তো কচুরি না খেলে তো স্বয়ং আমার 'ভুঁড়িদেব' পাপ দেবেন! তাই বাগবাজার বাটা থেকে একটু এগিয়ে, অটোস্ট্যান্ডের কাছে একটি ছোট্ট দোকান থেকে দুটি কচুরির ফরমায়েশ দিয়েছিলাম। সদ্য ভাজা, ধোঁয়া ওঠা কচুরি আর আলুর তরকারি খাচ্ছি, হঠাৎ চোখে পড়ল একজন ভদ্রলোক রাস্তার ওপরেই শালপাতার বাটিটা ফেলে দিয়ে দোকানদার দাদাকে "চারটে কচুরি... কত?" বলে উঠলেন।
দোকানদার ভদ্রলোক একটু ভুরু কুঁচকে বলে উঠলেন "ষোল টাকা.. দাদা, এখানে ডাস্টবিন রাখা আছে, তাও ওটা রাস্তায় ফেললেন?" বলে সেই ক্রেতা ভদ্রলোককে ফিরতি পয়সা দিয়ে নিজে রাস্তায় বেরিয়ে, তরকারি মাখা শালপাতার বাটিটা তুলে, দোকানের সামনে রাখা একটা বালতি, যেটি ডাস্টবিনের মতো ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেখানে ফেলে দিলেন। তারপর একটি প্লাস্টিকের জগ থেকে হাত ধুয়ে আবার দোকান ঢুকে গেলেন।
ততক্ষণে আমার খাওয়াও শেষ। তবে হাতের ব্যাগগুলোকে সামলে আমার কাঁধের ঢাউস ব্যাগ থেকে পার্স বের করে টাকা দিতে একটু সময় লাগছিল। তারমধ্যেই দেখলাম আরেকজন কোনো একটা রোল খেতে খেতে যেতে গিয়ে রাস্তায় রোলের যে পাতলা কাগজটা হয় না? সেটা ফেলে চলে গেলেন।
দোকানের দাদা ভুরু কুঁচকে তাকালেন একবার। মনে হল গজগজ করে কিছু বললেন! তারপর আবার দোকান থেকে বেরিয়ে, কাগজটি তুলে, ডাস্টবিনে ফেলে, হাত ধুয়ে ঢুকে গেলেন দোকানে।
আমার কেন জানি না গায়ে কাঁটা দিল!
কত সাধারণ... এক্কেবারে অকিঞ্চিৎকর একটি ঘটনা, তাই না? কিন্তু... যদি সবাই আমরা একটু সচেতন হতাম... তাহলে হয়ত দেশের স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হত না সরকারকে। হাজার হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিতে হত না... সেই টাকায় কল্যাণকর কাজ হতে পারত। আমরা আরও একটু এগোতে পারতাম... আর, সেইসঙ্গে বাঁচতে পারতাম দূষন এবং, বছর বছর বানভাসি হবার হাত থেকেও।
আর, রাস্তাঘাটের নান্দনিকতা যে বাড়ত, সে তো বলাই বাহুল্য!
অথচ, সেই শক্তি আমাদের সবার মধ্যেই আছে। বিন্দু বিন্দু করেই তো সিন্ধু হয়... আর আমাদের বিন্দুসম উদ্যোগেই কিন্তু সবকিছু সম্ভব হতে পারে...
যেমন এই নাম না জানা দোকানের দাদাটি করে দেখালেন।
হয়ত আমার মতোই আরও কয়েকজন ক্রেতা, যাঁরা ওখানে ছিলেন, অনুপ্রাণিত হলেন। হয়ত এবার থেকেও ওঁরাও... তারপর ওঁদের দেখে অন্যরাও...তারপর তাঁদের দেখে...তারপর তাঁদের দেখে... তারপর...তারপর...
এভাবেই সত্যিকারের ভাল দিন আসবে...
আসবেই...
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
স্ত্রী -ওগো শুনছো? কিগো শুনছো

        - যায়না  কানে কথা
     সকাল থেকে বলছি আমার ভীষণ  কোমর  ব্যথা৷ 
কী আক্কেলের মানুষ তুমিসিমপ্যাথি নেই মোটে!
টেরটি পাবে আমার যদি তেমন কিছু ঘটে৷ 
স্বামী - সবই শুনছি, সবই দেখছি, সাধে কী আর বলি-
     কুড়িটি বছর  আসছি শুনে  -এই  ব্যথার পাঁচালী৷ 
    কখনও হাতে, কখনো পায়ে গোড়ালি থেকে মাথা 
     চিনচিন, টনটন নানান রকম ব্যথা!
স্ত্রী - এমনটাই বলবে তুমি, এটা আমি জানি,
      বিয়ের আগে তো বলেছিলে- বানিয়ে রাখবে রাণী৷ 
     ঘরে তুলে দাসীর মত উনুনে দিলে গুঁজে
      কুড়িটা বছর জ্বলেপুড়ে আছি মুখটি বুজে৷ 
স্বামী -- মুখ বুজে আছ তুমি! হোয়াট অ্যা ফানি টক!
        কাক পক্ষী পালায় শুনে তোমার  বকবক৷ 
         তোমার চোপায়, তোমার ঝালে, তোমার বাক্যবাণে-
        আমি কেন! পাড়াপড়সিও তুলো গুঁজে রাখে কানে৷ 
স্ত্রী - এখন আমার কথা শুনলেই ফোস্কা পড়ে গায়ে
       মুখে তো আমার ফুটিয়েছ কথা তোমারাই  মায়ে পোয়ে৷ 
      বিয়ের আগে ছিলাম আমি কেমন মৃদু ভাষী
      বলতো সবাই - লক্ষী মেয়ে, কী মিষ্টি হাসি৷ 
স্বামী - হয়েছে হয়েছে, খুব হয়েছে, কী বলব আর-
            বিয়ের পর বলল সবাই - বউ তো নয়,
            যেন  এক  জ্যান্ত লাউডস্পিকার
       স্বভাব খানিও তোমার ছিল ছুরির মতই ধার,
     কুড়িটা বছর ডিসেকসনে , জীবনটা জেরবার
স্ত্রী আমাকেও  তো বিয়ের আগে বলেছিল সবাই -
      কেমন ছেলে বাছলি মিনু- গবেট, ভ্যাবলা, ভোঁদাই৷ 
    প্রেমে অন্ধ আমি তবুও  তোমায় দিলাম মালা 
     নিজের পায়ে কুড়ুল মেরে সইছি এখনও জ্বালা৷ 
স্বামী - জ্বালার কথা আমায় বলে  নুন দিলে কাটা ঘায়ে
       ছিলাম কেমন পুরুষ সিংহ, তোমার হাতে পড়ে 
      বেড়াল হয়ে ঘুরছি এখন তোমার   পায়ে পায়ে৷ 
      খাটিয়ে মারলে গাধার মত, নাচালে বাঁদর নাচ,
       বটির পাশে উল্টে  আছি যেন মরা মাছ
স্ত্রী - কী অলক্ষুণে কথার ছিড়ি, কীসব আসে মুখে-
         একেই বলে ভূতে কিলোয় থাকলে পরে সুখে৷ 
       মান অভিমান, ঝগড়া ঝাটি, যত কিছুই হোক-
       প্রার্থনা করি- আয়ু তোমার একশ বছর হোক৷ 
স্বামী --আরে আরে! কাঁদছো কেন! এসো আমার বুকে,
           যতই করি হম্বিতম্বি, যতই বলি মুখে,-
           তুমিই শুধু সঙ্গী আমার সকল দুঃখ সুখে৷ 
          স্ত্রীরা সঙ্গে আছ বলেই পুরুষ দেখায় বাহাদুরি

[+] 3 users Like ddey333's post
Like Reply
দারুন তো এই কবিতাটা হাস্যরসে ভরপুর
যতই করুক ঝগড়াঝাটি তবু তারা থাকতে পারেনা দূর
হোক সে যতই কথা কাটাকাটি আর ছাড়ুক বাক্যবান
কঠিন সময় থাকবে পাশে ভুলে সব মান অভিমান.❤
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
(30-09-2021, 12:03 AM)Baban Wrote: দারুন তো এই কবিতাটা হাস্যরসে ভরপুর
যতই করুক ঝগড়াঝাটি তবু তারা থাকতে পারেনা দূর
হোক সে যতই কথা কাটাকাটি আর ছাড়ুক বাক্যবান
কঠিন সময় থাকবে পাশে ভুলে সব মান অভিমান.❤

ভারতীয় দাদা লিখে পাঠিয়েছে এটা ...

Namaskar Smile
Like Reply
এই ধরনের ঝগড়া শুনলে একই সাথে হাসি পায় আবার মনটা প্রফুল্ল মন্ডিত হয়ে ওঠে...... স্বামী স্ত্রীর এই ধরনের ঝগড়া শুনতে খুব মিষ্টি লাগে...

ভরতীয় দাদা আর সবকিছুই করছেন শুধু গল্প লেখা ছাড়া.....

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(30-09-2021, 12:03 AM)Baban Wrote: দারুন তো এই কবিতাটা হাস্যরসে ভরপুর
যতই করুক ঝগড়াঝাটি তবু তারা থাকতে পারেনা দূর
হোক সে যতই কথা কাটাকাটি আর ছাড়ুক বাক্যবান
কঠিন সময় থাকবে পাশে ভুলে সব মান অভিমান.❤

কবিতার জবাব কবিতা দিয়ে !!!


আসর তো জমে উঠেছে ..... happy
Like Reply
সল্টলেক মাত্র এক টাকায় কেনা হয়েছিল !

    ******************************
মাত্র এক টাকায় কেনা হয়েছিল সল্টলেক? কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন বিধানচন্দ্র রায়? সেই কাহিনী তুলে আনলেন প্রবীণ সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত।।
 
সল্টলেকে জমির দাম কত ? কত হতে পারে, অনুমান করুন তাহলে, গোটা সল্টলেকের দাম কত ? মাথা ঘুরে যাওয়ারই কথা অথচ, গোটা সল্টলেকের দাম ধার্য হয়েছিল মাত্র এক টাকা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি আর এই কান্ডটাই করে দেখিয়েছিলেন বিধানচন্দ্র রায়
 
স্বাধীনতার পর তখন পিলপিল করে ওপার বাংলা থেকে আসছে উদ্বাস্তুরা ছড়িয়ে গেল বাংলার নানা জায়গায় এত এত মানুষ থাকবে কোথায় ? খাবে কী ? কর্মসংস্থানই বা হবে কোথায় ? সমস্যা বেশ গুরুতর মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের সামনে বড় এক চ্যালেঞ্জ একদিন ডেকে পাঠালেন প্রফুল্ল সেনকে
 
মন্ত্রীসভার কাজ চালানোর ব্যাপারে প্রফুল্লবাবুর উপর অনেকটাই নির্ভর করতেন প্রফুল্লবাবুকে নিজের ঘরে ডেকে বললেন, পূর্ব কলকাতায় অনেক জলা জমি আছে অনেক ভেড়ি আছে সেগুলি বুজিয়ে ফেলতে হবে এবং এই কাজটা তোমাকেই করতে হবে শুনেই মাথায় হাত প্রফুল্ল সেনের তিনি বললেন, ‘সেটা কী করে সম্ভব ? পুরো জায়গাটাই তো আমাদের হেমদারহেমদা মানে, হেমচন্দ্র নস্কর, বিধান রায়ের ক্যাবিনেটে তিনিও একজন মন্ত্রী বয়সে বিধানবাবুর থেকেও বড় তাঁর জায়গা নিয়ে নেওয়া হবে! বিধানচন্দ্র বললেন, ‘যেভাবে হোক হেমদাকে বুঝিয়ে রাজি করাও
 
প্রফুল্ল সেন পড়লেন মহা সমস্যায় খোঁজ নিলেন সেচমন্ত্রী হেমচন্দ্র নস্করের তখনও তিনি মহাকরণে ঢোকেননি আধঘণ্টা পর পর ফোন হেম নস্করের ঘরে এবার হেম নস্কর বললেন, কী ব্যাপার বলো তো তোমরা তো আমাকে মন্ত্রী বলে মনেই করো না আমাকে কোনও গুরুত্বই দাও না আজ হঠাৎ এতবার খোঁজ কেন ? ঠিক আছে, তোমার ঘরে যাচ্ছিপ্রফুল্ল সেন বললেন, ‘আপনাকে আসতে হবে না, আমি আপনার ঘরে আসছি ডাক্তার রায়ের আপনাকে দরকারহেম নস্করকে একরকম পাকড়াও করেই নিয়ে গেলেন বিধান রায়ের কাছে হেম নস্কর ভাবলেন অন্য কথা বললেন, ‘বুঝতে পেরেছি মাছ লাগবে তো! ঠিক আছে, আপনাকে বড় মাছ পাঠিয়ে দেব আর প্রফুল্ল, তমিও তো মাছ খেতে ভালবাসো তোমাকেও মাছ পাঠিয়ে দেবতখন বিধান রায় বললেন, ‘না না, মাছের কথা বলছি না প্রফুল্ল, হেমদাকে বুঝিয়ে দাও আমরা কী করতে চাইছি
 
প্রফুল্লবাবু আমতা আমতা করে বললেন, ‘হেমদা, আমরা পূর্ব কলকাতায় একটা নতুন উপনগরী করতে চাইছি তার জন্য আপনার ওই ভেঁড়িগুলো বুজিয়ে ফেলতে চাইশুনেই আঁতকে উঠলেন হেম নস্কর ওগুলো দিয়ে দিলে আমি খাব কী ?’ বিধানবাবুও ছাড়ার পাত্র নন তিনি বললেন, ‘আপনার অনেক টাকা আছে ওগুলো না থাকলেও আপনার দিব্যি চলে যাবে সরকারের হাতে টাকা নেই, তাই আপনার যা প্রাপ্য, সেই দাম দিতে পারব না তবে একেবারে বিনামূল্যে নেব না এক টাকা দেব
 
পরিকল্পনা সাজানোই ছিল ঘরে ঢুকে পড়লেন চিফ সেক্রেটারি হাতে নকশা আর জমি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওই ঘরে বসিয়েই সই করিয়ে নেওয়া হল হেম নস্করকে বেচারা মন্ত্রী! ঠিকমতো বুঝে ওঠার আগেই বিধানবাবুর কথায় সই করে ফেলতে হল
 
আগে থেকেই সল্টলেকের নকশা তৈরি করে রেখেছিলেন বিধান রায় ফলে, কাজ শুরু হতে সময় লাগল না দ্রুত শুরু হয়ে গেল সল্টলেক তৈরির কাজ পুরো কাজটা বিধানবাবু দেখে যেতে পারেননি আজকে আমরা যে সল্টলেক দেখছি, তার প্রায় পুরোটাই ছিল বিধান রায়ের পরিকল্পনা দূরদৃষ্টির ফসল আর হৃদয়বান হেম চন্দ্র নস্করের স্বার্থত্যাগ তুলনাহীন
কিন্তু সেই সল্টলেক যে মাত্র এক টাকায় কেনা হয়েছিল, এটা কজন জানেন!!!
 
বেলেঘাটার  বিখ্যাত "জোড়ামন্দির", হেম বাবুদের 'নস্কর লজ' চৌহদ্দির মধ্যেই অবস্থিত
বেলেঘাটা থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত বিশেষ চওড়া রাস্তাটার নামকরণ  হয়েছে "হেম চন্দ্র নস্কর রোড"
---------------------------------------
**সংগৃহীত লেখাটা হোয়াটসঅ্যাপে এক বন্ধুর পাঠানো লেখকের নাম জানা নেই ঘটনা টা আমার জানা ছিল না
---------------------

[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
(30-09-2021, 10:01 AM)ddey333 Wrote: কবিতার জবাব কবিতা দিয়ে !!!


আসর তো জমে উঠেছে ..... happy

একদম  Big Grin

ভারতীয় দাদাও তো ছুপা রুস্তম দেখছি  happy

সল্টলেকের ব্যাপারটা অনেক ছোটবেলায় একজনের থেকে শুনেছিলাম. তখন অবশ্য অতটা মাথায় ঢোকেনি... আজ এসব অতীতের গুরুত্ব বুঝি. এসব মনিমুক্ত আমাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য  Namaskar Namaskar
Like Reply
নতুন তথ্য পেলাম। বেশ বিস্ময়করভাবে ঘটনা..... যতোই মুখ্যমন্ত্রী আসুক! বিধানচন্দ্র রায় পশ্চিমবাংলার সেরা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আছেন।

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(30-09-2021, 10:51 AM)Bichitravirya Wrote: নতুন তথ্য পেলাম। বেশ বিস্ময়করভাবে ঘটনা..... যতোই মুখ্যমন্ত্রী আসুক! বিধানচন্দ্র রায় পশ্চিমবাংলার সেরা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আছেন।

❤❤❤

বিধান শিশু উদ্যান


ছোটবেলায় প্রায়ই যেতাম , আমার জন্ম আর ছোট থেকেই বড়ো হওয়া ... ওই এলাকাতেই ....
ওখানকার ছোটদের বইয়ের লাইব্রেরির মেম্বার ও ছিলাম ...
Like Reply
বই নিয়ে মজার কিছু তথ্য  

 

.হার্ভার্ড 
   বিশ্ববিদ্যালয়ের 
   লাইব্রেরীতে খানা 
   বই আছে যা মানুষের 
   চামড়া দিয়ে বাঁধাই 
   করা

.মাথা পিছু বই পাঠের 
   দিকে শীর্ষে হলো 
   আইসল্যান্ড

.বইপড়া মানুষের 
   অ্যালজাইমার রোগে 
   আক্রান্ত হবার 
   সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত 
   কম

.ব্রাজিলের কারাগারে 
   প্রতি একটি বই 
   পাঠের জন্য দিনের 
   সাজা মাফ হয়

.ভার্জিনিয়া উলফ 
   তাঁর সব বই দাঁড়িয়ে 
   লিখেছিলেন

.সবচেয়ে চুরি হয় যে 
   বইটি, সেটা হলো 
   বাইবেল

.রুজভেল্ট প্রতিদিন 
   গড়ে টি বই 
   পড়তেন

.শুধুমাত্র দাবা খেলার 
   উপরই ২০০০০+ বই 
   আছে

.ভিক্টর হুগোর লা 
   মিজারেবল বইয়ে 
   একটি বাক্য আছে 
   যেখানে ৮২৩টি শব্দ

১০.হারি (Hurry), 
     এডিকশন 
     (Addiction) এসব 
     শব্দ শেক্সপিয়ারের      
     আবিস্কার

১১.নিউইয়র্ক পাবলিক 
      লাইব্রেরীর সব বই 
      একসাথে লাইন 
      করে রাখলে  
      মাইল লম্বা হবে

১২.লেভ তলস্টয়ের 
      বিশাল উপন্যাস 
      ওয়ার এন্ড পিসের 
      পান্ডুলিপি তাঁর স্ত্রী 
      হাতে লিখে বার 
      কপি করেছিলেন

১৩.নোয়াহ ওয়েবস্টার 
      তাঁর প্রথম 
      ডিকশনারী লিখতে 
      সময় নিয়েছিলেন 
      মাত্র ৩৬ বছর

১৪.আর 'বঙ্গীয় 
      শব্দকোষ' নামক 
      অভিধানটি তৈরি 
      করতে হরিচরণ 
      বন্দ্যোপাধ্যায়ের 
      কতদিন লেগেছিল
      প্রায় গোটা জীবন 
      সেইসঙ্গে ছিল 
      প্রতিকূলতার 
      বিরুদ্ধে লড়াই

১৫ . মহাভারত পৃথিবীর 
        মধ্যে এক মাত্র বই 
        বা মহাকাব্য যার 
       মধ্যে ১২০০ 
       বেশি চরিত্র আছে

*১৬. পৃথিবীতে
        *একটি মাত্র বই
        *আছে যেটা
       *কোনো ভাষাতে
       *অনুবাদ করা
       *যায়নি বহু চেষ্টা
       *করেও, বইটির
       *নাম - সুকুমার
       *রায় এর "* 
       *আবোল*
       *তাবোল"*
[+] 3 users Like ddey333's post
Like Reply
(30-09-2021, 05:40 PM)ddey333 Wrote: *১৬. পৃথিবীতে
        *একটি মাত্র বই
        *আছে যেটা
       *কোনো ভাষাতে
       *অনুবাদ করা
       *যায়নি বহু চেষ্টা
       *করেও, বইটির
       *নাম - সুকুমার
       *রায় এর "* 
       *আবোল*
       *তাবোল"*

আয়রে ভোলা খেয়াল খোলা
স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়

আয়রে পাগল আবোল তাবোল
মত্ত মাদল বাজিয়ে আয় ❤

ওই লেখা অনুবাদ করে... Aisa kisime dum nahi Big Grin
Like Reply
(30-09-2021, 05:40 PM)ddey333 Wrote:

১৪.আর 'বঙ্গীয় 
      শব্দকোষ' নামক 
      অভিধানটি তৈরি 
      করতে হরিচরণ 
      বন্দ্যোপাধ্যায়ের 
      কতদিন লেগেছিল
      প্রায় গোটা জীবন 
      সেইসঙ্গে ছিল 
      প্রতিকূলতার 
      বিরুদ্ধে লড়াই

"*

এটা নিয়ে একটা সিনেমা আছে। সৌমিত্র চট্টপাধ্যায় এর। সিনেমার নাম --- একটি জীবন

(30-09-2021, 05:40 PM)ddey333 Wrote: *১৬. পৃথিবীতে
        *একটি মাত্র বই
        *আছে যেটা
       *কোনো ভাষাতে
       *অনুবাদ করা
       *যায়নি বহু চেষ্টা
       *করেও, বইটির
       *নাম - সুকুমার
       *রায় এর "* 
       *আবোল*
       *তাবোল"*

এটার তুলনা অন্য কোন সাহিত্যের লেখার সাথে হয়নি। আর ভবিষ্যতে হবেও না

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(30-09-2021, 10:37 AM)Baban Wrote: একদম  Big Grin

ভারতীয় দাদাও তো ছুপা রুস্তম দেখছি  happy

সল্টলেকের ব্যাপারটা অনেক ছোটবেলায় একজনের থেকে শুনেছিলাম. তখন অবশ্য অতটা মাথায় ঢোকেনি... আজ এসব অতীতের গুরুত্ব বুঝি. এসব মনিমুক্ত আমাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য  Namaskar Namaskar

অনেক কাল আগে খুব লিখতাম ! আমার অনেক কবিতা তৎকালীন য়ুগান্তর পত্রিকায় ছাপা হতো ! তারপর জরিয়ে পরি জীবন য়ুদ্ধে ! তখনকার বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রবির সেনগুপ্ত কে হাফ মার্ডার করে পালিয়ে আসি দিল্লিতে ...... সব চুলয় গেলো ! হারিয়ে গেলো বিদ্রোহী কবি স্টেইনগান !
Like Reply
(30-09-2021, 08:06 PM)dada_of_india Wrote: অনেক কাল আগে খুব লিখতাম ! আমার অনেক কবিতা তৎকালীন য়ুগান্তর পত্রিকায় ছাপা হতো ! তারপর জরিয়ে পরি জীবন য়ুদ্ধে ! তখনকার বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রবির সেনগুপ্ত কে হাফ মার্ডার করে পালিয়ে আসি দিল্লিতে ...... সব চুলয় গেলো ! হারিয়ে গেলো বিদ্রোহী কবি স্টেইনগান !

এসব কথা কি সোজাসুজি বলতে আছে?  Tongue Tongue Tongue আমাকে দেখুন। আমিও বলিনি সোজাসুজি  Big Grin Big Grin Big Grin

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(30-09-2021, 08:06 PM)dada_of_india Wrote: অনেক কাল আগে খুব লিখতাম ! আমার অনেক কবিতা তৎকালীন য়ুগান্তর পত্রিকায় ছাপা হতো ! তারপর জরিয়ে পরি জীবন য়ুদ্ধে ! তখনকার বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রবির সেনগুপ্ত কে হাফ মার্ডার করে পালিয়ে আসি দিল্লিতে ...... সব চুলয় গেলো ! হারিয়ে গেলো বিদ্রোহী 


দাদার স্টেইনগান এখন ঝুলে নেতিয়ে পড়েছে ... বুলেট আর বের হয় না l

Lotpot
Like Reply
(30-09-2021, 10:56 PM)ddey333 Wrote: দাদার স্টেইনগান এখন ঝুলে নেতিয়ে পড়েছে ... বুলেট আর বের হয় না l

Lotpot

আমাকে একদিন দাদা বলেছিলেন যে উনি এখনও তৃপ্তি দিতে পারেন। আর আপনি বলছেন ঝুলে গেছে। কোনটা আসল  Lotpot

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply




Users browsing this thread: 9 Guest(s)