01-09-2021, 08:20 PM
আজকের আপডেট এলো না তো ...;...।
Romance ছাইচাপা আগুন ।।কামদেব
|
01-09-2021, 08:20 PM
আজকের আপডেট এলো না তো ...;...।
03-09-2021, 10:51 AM
এমনটাই চাই, এলিনা গাভীন হয়ে আরও ভালোবাসুক
03-09-2021, 01:16 PM
আপডেটের অপেক্ষায়..............
03-09-2021, 09:22 PM
04-09-2021, 09:09 AM
keep updating
04-09-2021, 10:26 AM
04-09-2021, 02:56 PM
04-09-2021, 05:15 PM
(This post was last modified: 24-12-2021, 06:54 PM by kumdev. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
।।২৫।। দেখতে দেখতে সময় কাটতে থাকে।সামনে পরীক্ষার প্রস্তুতি রোববার উশ্রীকে পড়ানো।দিলীপের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে,আড্ডায় আসেনা।দিলীপ পিসির বাড়ি গেছে দিন দশেকের জন্য সবাই এরকম জানে।মানুষ দেখে চোখের দৃষ্টি যতদূর যায়,দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা থাকে।একদিন মীনাক্ষীর সঙ্গে দেখা হতে মনোসিজ জিজ্ঞেস করে,তুমি আমার খোজ করছিলে? --হ্যা পরে একদিন ওর পরীক্ষা হয়ে যাক বলব। --আমার চিন্তা থাকবে। মীনাক্ষী হাসল বলল,খুব চিন্তা করো তুমি? --তুমি চিন্তা করোনা? --দিলুকে নিয়ে আমার চিন্তা। --কি করেছে দিলীপ? মীনাক্ষী চুপ হয়ে কি ভাবে তারপর তাকিয়ে বলে,পরীক্ষায় দু-বার ফেল করার পর বাবা ওর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করেছে।দিলু কথা বলতে গেলে বলেছে তুমি আমাকে বাবা ডাকবে না।আগে বাবা বলার যোগ্য হও।সেজন্য মাও কথা বলে না লুকিয়ে কাদে।বাড়ীতে শুধু আমার সঙ্গেই ওর সম্পর্ক। এত কথা মনোসিজ জানতো না।মনটা খারাপ হয়ে গেল।বাইরে থেকে দেখে সবাইকে বিচার করতে যাওয়া ঠিক নয়।কেন এত উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতি দিলীপ এখন কিছুটা বুঝতে পারে। --আমার ভাই বলে বলছি না।বাইরে ও যতই হম্বি তম্বি করুক ওর মনটা খুব সরল।মীনাক্ষী বলল,তুমি এসব কাউকে বলতে যেওনা। --ও পরীক্ষা দিচ্ছে মেশোমশায় জানেন না? --তুমি আমি বঙ্কা ছাড়া কেউ জানে না।যেদিন শুনলাম তুমি ওকে পড়াবে সেদিন তোমাকে মনে হয়েছিল ঈশ্বরের আশির্বাদ।এখন আসি ওর পরীক্ষা শেষ হবার সময় হয়ে এল। --তুমি রোজ যাও? --রোজ পৌছে দিয়ে আসি একা-একাই ফেরে।আজ শেষ দিন তাই যাচ্ছি। --আমি কি তোমার সঙ্গে আসতে পারি? --ও খুব খুশী হবে। দিলীপের পরীক্ষার সিট পড়েছে গোপাল বিদ্যা মন্দিরে।দুজনে সেদিকে যাবার জন্য রিক্সা নিল।বাপুজী কলোনী পেরিয়ে যেতে হয়ে।রিক্সা চলতে থাকে হঠাৎ মীনাক্ষী রিক্সাওয়ালাকে দাড়াতে বলে একটু দূরে একটি ছেলেকে দেখিয়ে বলল,ওই যে ছেলেটাকে দেখছো অতি বাদর কলেজ যাবার পথে বিরক্ত করে। ছেলেটিকে কেমন চেনা চেনা মনে হয় মনোসিজ মনে করার চেষ্টা করে।ভজুয়ার সঙ্গে এসেছিল কল্পনার প্রেমিক মনে পড়েছে।মনোসিজ হাত নেড়ে ছেলেটাকে ডাকে।ছেলেটি কাছে আসতে মনোসিজ বলল,তোমার নাম--? --সোমনাথ।আচমকা ছেলেটি মনোসিজের পা চেপে ধরে বলল,আমাকে মাপ করে দিন আমি আর কখনো এরকম করব না। মীনাক্ষী বিস্মিত ছেলেটি এত ভয় পেয়ে গেল কেন।রাস্তার লোকজনকে তোয়াক্কা করত না সবার সামনেই তার নাম ধরে ডাকত। --ঠিক আছে পা ছাড়ো-- পা ছাড়ো। --আপনি গুরুকে কিছু বলবেন না আমার ভুল হয়ে গেছে। মনোসিজ বলল,এই রিক্সা চল। সব কেমন ম্যাজিকের মত মনে হয়।ভাগ্যিস মনোসিজ সঙ্গে এসেছিল।মীনাক্ষী বলল,তোমাকে এই কথাটা বলব ভেবেছিলাম। --দিলীপকে বলতে পারতে। --ও গোয়ার কি করতে কি করে সেজন্য ওকে বলিনি।তুমি ওকে চিনতে? --মুখ চিনি ভজুয়ার দলের ছেলে।আমাদের পাড়ার একটি মেয়ে কল্পনা ও তার প্রেমিক।মীনাক্ষীকে হাসতে দেখে জিজ্ঞেস করল,তুমি হাসছো? --ব্রেক আপ হয়ে গেছে।কল্পনা এখন ওকে পাত্তা দেয়না। --তুমি কল্পনাকে চেনো? --পাড়ার মেয়ে চিনবো না কেন? মনোসিজ মুখ ঘুরিয়ে মীনাক্ষী দেখে বলে,ঘরে বসে তোমরা এত খবর পাও কি করে? --চোখ কান থাকলে খবরের পিছনে ছুটতে হয়না খবর এসে ধরা দেয়। কথাটা হেয়ালীর মত মনে হয়।মীনাক্ষীকে বেশ ম্যাচিওর মনে হয়।উশ্রী তাকে বলছিল ইমম্যাচিওর।তবু মেয়েটাকে খারাপ লাগে না।কাউকে ভাল লাগলে বারবার তাকে দেখতে ইচ্ছে করে।সেজন্য অধীর আগ্রহে রবিবারের জন্য অপেক্ষা করে।শুনেছে প্রেমে পড়লে মনে এমন আকুলতা জন্মে।উশ্রীর কথা ভেবে মজা লাগে।মানুষ কিভাবে প্রেমে পড়ে আবার কেনই বা প্রেম ভেঙ্গে যায় এই নিয়ে তার কৌতূহলের সীমা নেই।কল্পনার ব্যাপারটা এমনভাবে বলল,তাতে মনে হল প্রেম যেন একটা মজার ব্যাপার।এলিনা বৌদি বলছিল প্রেম অনেক সময় বোঝা যায়না সবুজ পাতায় ঢাকা কুড়ির মত।যখন ফুল হয়ে ফোটে সৌরভে আমোদিত করে চরাচর তখন স্পষ্ট হয়।এলিনা বোউদি সুন্দর কথা বলে।গত শনিবার এমন ব্যবহার করল যেন অবাঞ্ছিত কেউ।চোখে জল চলে এসেছিল। --কি হল কথা বলছো না। --না এমনি।ভাবছি দুটো মানুষ একরকম দেখতে হয়না তেমনি প্রতিটি মানুষের মনও আলাদা। --বুঝলাম না। --কেউ প্রেমে পড়তে পাগল আবার তোমার প্রেম সম্পর্কে অনীহা। --সেকথা আমি কখন বললাম? --বলোনি।কলেজ পেরিয়ে গেল কয়েকমাস পরে কলেজ পেরিয়ে হয়তো ইউনিভার্সিটীতে ঢুকবে তাহলে এতদিনে তোমার প্রেম হলনা কেন? --ক্ষিধে পেলেই অখাদ্য কু-খাদ্য খেতে হবে?এই রিক্সা থামো--থামো।ঐতো দিলীপ বেরিয়ে পড়েছে।মুখটা কেমন প্যাচার মত, কি ব্যাপার পরীক্ষা কি ভাল হয়নি? রিক্সা থামতে দুজনে নেমে পড়ল।দিলীপ ওদের দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসে। --তুই আসবি ভাবিনি। --পরীক্ষা কেমন হল? --শালা কেলো হয়ে গেছে।আশিসদা এসেছিল সঙ্গে মাগীটাও ছিল--। --দিলীপ ভদ্রভাষায় কথা বলতে পারিস না?মনোসিজ বিরক্ত হয়।মীনাক্ষী মুখ ঘুরিয়ে মুখ টিপে হাসে। --স্যরি মাইরি। এই মিনু তুই এসেছিস কেন? --আজ শেষ দিন তাই এলাম। দিলীপ সন্দেহের চোখে দিদিকে দেখে।এই রিক্সায় মনার সঙ্গে এসেছে,সব কি আগে থেকে প্লান করা ছিল?তার দিদিটা কি ডুবে ডুবে জল খাচ্ছে। --কেলো হবার কথা কি বলছিলি? --আশিসদা জানা মানে দুনিয়া শুদ্ধু জেনে যাবে। --জানল তো কি হয়েছে?তুই কি চুরি করছিস? --গাড্ডু খেলে সবাই বলবে দিলীপ হ্যাট্রিক করেছে।একেবারে বেইজ্জৎ কাণ্ড হবে। দিলিপের মনে অকৃতকার্যতার ভীতি চেপে বসে আছে।মনোসিজ সান্ত্বনা দেবার জন্য বলল,উল্টোটাও তো হতে পারে।তুই কেন ভাবছিস ফেল করবি?তোর পরীক্ষা কি ভাল হয়নি? --সেটা বুঝলে তো হয়েই যেতো।যা পেরেছি লিখেছি। --ঠিক আছে বাসায় চল আমি পরীক্ষা নিয়ে দেখব--। এমন সময় বাইক নিয়ে একটি ছেলে পাশে এসে বলল,দাদা ভাল আছেন? মনোসিজ বলল,হ্যা ভাই ভালো। --তুই তো শালা হেভি পপুলার হয়ে যাচ্ছিস।দিলীপ চেনে ছেলেটাকে,ভজার দলের ছেলে।বলল,রবি আমাকে একটু এগিয়ে দিবি? --পিছনে ওঠ। দিলীপ বাইকের পিছনে উঠে বলল,তোরা রিক্সায় চলে যা। রিক্সা চলতে শুরু করে।মনোসিজ ভাবে আশিসদা তার প্রেমিকাকে নিয়ে এদিকে এসেছিল।মীনাক্ষী বলল,দিলু মনে হয় সন্দেহ করে। --কি সন্দেহ করে? মীনাক্ষী বলল,না কিছু না।মনে মনে ভাবে বোঝেনা নাকি বুঝেও না-বোঝার ভান করে।কিছুক্ষন চলার পর মীনাক্ষী জিজ্ঞেস করল,তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করব? --অবশ্যই করবে। --তোমার কোনো মেয়েকে ভালো লাগেনি? --মেয়েরা খুব নরম হৃদয়ের মানুষ।তারা যত করে মুখে বলে কম।জানো মেয়েরা ঈশ্বরের এক অপূর্ব সৃষ্টি।যত মিশেছি তত জেনেছি। --তুমি কাদের কথা বলছো? --তুমি উশ্রী মিসেস পাকড়াশী এলিনা বৌদি--।এক মুহূর্ত থামে তারপর বলে,ভাল মন্দ মিশিয়ে মানুষ।কেউ একেবারে নিঁখুত হয়না। --আগে যেখানে থাকতে সেখানে? মনোসিজের পুরনো পাড়ার কথা মনে পড়ল।কেমন আছে কেলো বিশে?হঠাৎ বলল,জানো একজন ছিল খালি আমাকে শাসন করত। --তোমার চেয়ে বয়স্ক? --ধুস আমার চেয়ে এক-দু-বছরের হলেও ছোটো হবে।ওর বাবা নাম করা উকিল সেজন্য কেউ ওকে কিছু বলতো না। --তোমার ওকে খুব পছন্দ? --পাগল।আমি ওকে দেখলে এড়িয়ে যেতাম ঐ বরং গায়ে পড়ে আমাকে শাসন করতে আসতো। --কেমন দেখতে? মনোসিজ মনে করার চেষ্টা করে।তারপর হেসে বলল,দেখলে মনে হবে সকালের এক ঝলক রোদ্দুর। --তারমানে খুব সুন্দরী? --সুন্দরী না ছাই।সাজগোজ করে না চুল বাধে না সারাদিন টো-টো ঘুরে বেড়ায়।বলো মেয়েদের এসব মানায়? যা শুনছে তাতে ওকে বোঝা দূর মীনাক্ষীর মনে একরাশ ধোয়াশা সৃষ্টি হয়।এতে আকর্ষণ আরো বাড়তে থাকে।দিলীপ আগেই পৌছে গেছে।রিক্সা থেকে নেমে দেখল দরজায় দাঁড়িয়ে দিলীপ।ওরা ভেতরে যেতে দিলীপ বলল,মিনু একটু চা কর। মনোসিজের মুখোমুখী বসে বলল,এবার বল কি পরীক্ষা নিবি? --সব প্রশ্নগুলো নিয়ে আয়। দিলীপ প্রশ্ন গুলো এগিয়ে দিতে মনোসিজ মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকে।মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।দিলীপ কোনরকমে তার উত্তর দেয়।মীনাক্ষী চা নিয়ে ঢোকে।দিলীপ বলল,রবি তোর খুব সুখ্যাতি করছিল। চোখ না তুলে মনোসিজ বলল,পরীক্ষক যত কড়াই হোক অঙ্কে তোকে পাস মার্ক দিতে বাধ্য। --তাহলে গুরু দেখতে হবেনা দিলীপ ব্যানার্জী এবার পাস করবেই। মিনাক্ষী মজা করে বলে,গুরু মশাই বল।গুরু বললে কেমন মস্তান-মস্তান মনে হয়। মনসিজ মুখ ঘুরিয়ে মীনাক্ষীর দিকে তাকায় বলে,বেলিও আমার নাম ধরে ডাকতো না,বলতো মস্তান। --তোমার খারাপ লাগতো না? --কি জানি।সেসব কি মনে আছে।
04-09-2021, 06:05 PM
ধোয়াশা শুধু মীনাক্ষীর মনে নয়, আমাদের মনেও জমেছে।।। আশা করছি ধ্রুত ধোয়াশা কাটবে।।
04-09-2021, 08:08 PM
ব্যাপারটা ঠিক কোনদিকে যাচ্ছে বুঝা যাচ্ছেনা........
04-09-2021, 08:23 PM
(04-09-2021, 05:15 PM)kumdev Wrote: গুরু একি করলে তুমি শুরু
04-09-2021, 08:41 PM
শুরুর ঘটনা পড়ে মনে হয়েছিলো গতানুগতিক একটা গল্প হবে কিন্তু কামদেভের লেখার গুনে গল্প যে কোথায় মোর নেবে সেটাই বোঝা যাচ্ছে না ! অধীর হয়ে বসে আছি ......
04-09-2021, 09:53 PM
হয়তো মীনাক্ষীই মনোসিজের মনে জায়গা করে নেবে ।
একটু বয়সে বড় । ক্ষতি কি ? অপেক্ষায় রইলাম ।
05-09-2021, 02:31 PM
(04-09-2021, 09:53 PM)buddy12 Wrote: হয়তো মীনাক্ষীই মনোসিজের মনে জায়গা করে নেবে । দেখা যাক কামদেব দাদা আবার কি চমক দেয় পাঠকদের। মনে তো করেছিলাম পূর্ণিমা কোনোভাবে মনের মনে জায়গা করে নেবে কিন্তু অকালেই চলে গেলো পূর্ণিমা। দেখা যাক মিনাক্ষীর ভূমিকাটা কি হয় মনের সাথে এখন..........
05-09-2021, 03:46 PM
গল্পের মাঝে মাঝেই কথা মন ছুয়ে যাচ্ছে।
05-09-2021, 10:00 PM
খিদে তো পাবেই , তাই বলে অখাদ্য কুখাদ্য খেতে হবে ...
এরকম লেখা একজনই লিখতে পারে এখানে
05-09-2021, 10:33 PM
06-09-2021, 09:23 PM
(This post was last modified: 25-12-2021, 05:46 PM by kumdev. Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
।।২৬।।
অনেক কাল পর বেলির কথা মনে পড়ল।তালপুকুর ছেড়ে চলে আসার সময় বারান্দায় বিষণ্ণ করুণ মুখে দাঁড়িয়ে ছিল বেলি।যেন একরাশ জমাট মেঘ বেলিকে এই চেহারায় আগে দেখেনি।ঘুম ভাঙ্গলেও শুয়ে শুয়ে কথা গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকে।মীনাক্ষী খুচিয়ে না তুললে হয়তো মনে পড়তো না। নিজেকে ভীষণ স্বার্থপর মনে হল।কি করছে এখন পাস করে কল্যাণী বা কোথাও কোনো কলেজে ভর্তি হয়ে থাকবে।একটু আগে ঘুম ভেঙ্গেছে ভাবছে আরেকটু ঘুমোবে নাকি?এক গেলাস হরলিক্স নিয়ে মা ঢূকলো।হাত বাড়িয়ে গেলাসটা নিল।দৈনন্দিন জীবনে কেরাণীর ছেলের এটুকু বিলাসিতা।হরলিকস খেলে কোনো উপকার হয় কিনা না জানলেও মাকে খুশি করতে মনোসিজ আপত্তি করেনা।জানলার পাল্লায় একটা কাক এসে বসে বার কয়েক কা-কা করে আবার উড়ে গেল।এই কা-কার একটা অর্থ আছে হয়তো।অকারণ কা-কা করবে কেন? বেরোবার আগে মা বলল,তাড়াতাড়ি ফিরিস সেদিনের মত বেলা করিস নে। দিলীপের ব্যবহার কেন এত রাফ মীনাক্ষীর কাছে শোনার পর মনোসিজ কিছুটা বুঝতে পারে।সারাদিনের খাটাখাটনির পর মানুষ বাসায় ফেরার তাগিদ বোধ করে কিছুটা শান্তির আশায়।দিলীপ বাসায় ফিরেও সেই পরিবেশ পায় না।ওর বাবার আচরণ মনসিজ মেনে নিতে পারে না।অবশ্য কোনটা সঠিক সেই সিদ্ধান্ত করার সেইবা কে?এবার দিলীপ চেষ্টা করেছে যথেষ্ট কি হবে রেজাল্ট বেরোলে জানা যাবে।এবারো যদি ব্যর্থ্য হয় তাহলে কি হবে ভেবে মনোসিজের কপালে ঘাম জমে। রেজাল্টের চেয়ে বেশী আতঙ্ক আশিসদা ব্যাপারটা জেনে গেছে।হাটতে হাটতে মনোসিজ প্রায় স্টেশন অবধি চলে এসেছে।দশ-বারো মিনিটের পথ।বাসায় ফিরলে মোটামুটি আধ ঘণ্টা হাটা হবে।আজ আবার উশ্রীকে পড়ানো আছে।বিকেলের আড্ডা ক্রমশ পাতলা হয়ে আসছে সবাই নিজের নিজের পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। পাড়ায় ঢোকার মুখে হঠাৎ বঙ্কিমের সঙ্গে দেখা।বঙ্কিম মর্নিং ওয়াক করে জানা ছিল না।মনোসিজ জিজ্ঞেস করল,প্রাতঃ ভ্রমণে বেরিয়েছিস? --না,দেখা করতে বলেছিল তাই।এ্যাই কোনি এদিকে এসো না। দূরে দাঁড়ানো একটি মেয়েকে ডাকছে বঙ্কিম।'আরে আমার বন্ধু' বঙ্কা এগিয়ে গিয়ে মেয়েটির হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে এল। --মনা এর নাম কল্পনা।তোর সঙ্গে তো দেখাই হয়না--। --কল্পনা মানে--। বঙ্কা হেসে বলল,তুই যা ভাবছিস তাই।আমি অনেক বলেছি দ্যাখো দেখতে আমি ভালো না,বাপের অনেক সম্পত্তি নেই--। --খুব হয়েছে এখন তোমার পড়ার ক্ষতি হচ্ছে না?কল্পনা বলল। মনোসিজ মনে মনে হিসেব মেলাতে চেষ্টা করে।বঙ্কিম বলল,সব তোকে বলব পরে।সে অনেক ব্যাপার।এই মনা সেদিন ভজাকে টাইট করে দিয়েছিল। --আমি জানি।মুখ নীচু করে কল্পনা বলল। --যাই দোস্ত পরে কথা হবে।এত সকালে আমি বেরোই না কোনি ডেকেছিল কি দরকার আছে তাই--। ওরা চলে যায় মনোসিজ বিস্মিত চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে।সত্যি মানুষের মনের হদিশ পাওয়া সহজ নয়।এই মেয়ে বঙ্কাকে আচড়ে কামড়ে দিয়েছিল এখন সেই কল্পনা এখন বঙ্কিমের পরম হিতাকাঙ্খী।মিনাক্ষী বলছিল বটে আগেরজনের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। কেনই বা ব্রেক আপ হল আবার বঙ্কিমের সঙ্গে কিভাবে জুড়লো ভেবে মজা পায়।মেয়েটি দেখতে শুনতে মন্দ নয় বঙ্কিমের চেয়ে বেশ শার্প চেহারা। উশতী একা খেতে বসেছেন আজ উশ্রী বাড়িতে নেই।কাল ওর মামা এসে নিয়ে গেছেন। টেলিফোন বেজে উঠতে উশতী উঠে টেলিফোন ধরতে গেলেন।গীতা বসে টেবিল পাহারা দিচ্ছে।কিছুক্ষন পর ফিরে এসে বললেন,আচ্ছা গীতা তুই ঐ মাস্টারের বাড়ী চিনিস? --ক্যান গেট আউট বলতি হবে? --বড্ড বেশী কথা বলিস। --ছ্যরি ম্যাডাম কিছু বলতি হবে সন্ধ্যে বেলা বোসবাবুদের রকে বসে। --বিকেলে তো এখানেই আসছে,তোকে আর বলতে হবে না।মহী ফোন করেছিল ওরা আজ জু গার্ডেনে যাচ্ছে কাল ভোরে ওকে দিয়ে যাবে।মেয়েটাকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়না, তাই আপত্তি করলাম না। --ঠীক আছে মাস্টার মসায় আসলি বলে দেবানি আজ পড়াতি হবে না। --এতকথা বলিস কেন।মাস্টার মশায় এলে বসতে বলে আমাকে খবর দিবি।একটা কনট্যাক্ট নম্বর নেই যে জানিয়ে দেব,ছাত্রী আজ পড়বে না। খাওয়া শেষ হলে উশতী ম্যাম নিজের ঘরে চলে গেলেন।দুটো খাট একটা কোমর সমান প্রায় উচু আরেকটা মেঝে থেকে বিঘৎখানেক উচু হবে।নীচু খাটটি উশতীর অন্যটি উশ্রীর।উচুতে শুতে অসুবিধে হয় তাই এরকম খাট বানিয়ে নিয়েছেন।ছেলেটির কথা উঠলে ডিকের দৃশ্যটা ভেসে ওঠে।উশতী শুয়ে পড়লেন। এটা সেটা করতে করতে দুপুরে ঘুম হল না।মনোসিজ বেরোবার জন্য তৈরী হয়।ম্যাম পাঙ্কচুয়ালিটি পছন্দ করেন।সময় মতো টাকা দিচ্ছেন চাইতে হয়না।কথা শোনার কি দরকার। উশতীর চোখের পাতা সবে লেগে গেছিল এমন সময় গীতা এসে ডেকে তুলে ফিস ফিস করে বলল,ম্যাডাম মাস্টার কাম। উশতী উঠে বসে কথাটা বোঝার চেষ্টা করেন।এই ইংরেজী বলার প্রবণতা তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ইচ্ছে থেকে এসেছে।ব্যাপারটা বুঝতে পেরে জিজ্ঞেস করেন,কোথায়? --বসিয়ে রেখেছি। --ঠিক আছে তুই যা।একটু চা কর। আজ কিভাবে শুরু করবে মনোসিজ মনে মনে একটা পরিকল্পনা ছকতে থাকে।বাংলা শিখেছে মোটামুটি উচ্চারণে একটু দোষ আছে।ভাবতে ভাবতে চোখ জড়িয়ে আসে। উশতী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাথায় ব্রাশ করেন।চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই ডিক।পিছন ফিরে নিজের পাছার দিকে তাকান।ডেওডর্যাণ্ট স্প্রে করেন বগলে লুঙ্গি তুলে নীচে।ধীর পায়ে স্টাডির দরজায় গিয়ে দাড়াতে মনটা আর্দ্র হয়। চোখ বন্ধ,সোফার পিছনে হেলে পড়েছে মাথা।বেচারী বড় ক্লান্ত।সন্তর্পনে পাশে গিয়ে বসলেন।ঢুলতে ঢুলতে মাথাটা তার বুকের উপর পড়তেই চমকে তাকায়,ম্যাম আপনি। উশতী সময়ক্ষেপ না করে দু-গাল ধরে ঠোটজোড়া মুখে পুরে নিল।মাস্টার দু-হাতে জড়িয়ে ধরে জিভটা মুখের ভিতর সঞ্চালিত করতে থাকে। --ম্যাডাম ছা।গীতা অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে ট্রে হাতে দাঁড়িয়ে। উশতী হাত বাড়িয়ে ট্রে-টা নিয়ে বললেন,তুই যা আর না ডাকলে এদিকে আসবিনা।চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে বললেন,চা খাও। --উশ্রী নেই? --কেন আমাকে ভাল লাগছে না? --তোমাকেও স্যরি আপনাকেও ভাল লাগছে। --থাক আর স্যরি বলতে হবে না,আমাকে আজ তুমি বলতে পারো। --একটা কথা জিজ্ঞেস করব? --সব কথা শুনবো আগে চা-টা শেষ করো। আগের থেকে অনেক বদলেছে মনোসিজ।আগে যেমন আড়ষ্ট বোধ করতো এখন বুঝতে পারছে তার শরীর চনমন করছে।উশতী চায়ের কাপ নিয়ে পাশের ঘরে চলে গেলেন।চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মনোসিজ অনুমান করার চেষ্টা করে আজ কতদূর কি হতে পারে।উশ্রী কি ঘুমোচ্ছে নাকি সে বাড়ি নেই? কিছুক্ষন পর উশতী ফিরে এসে বললেন,চা খাওয়া হয়েছে?বলো কি বলছিলে? --না কিছু না। --শোনো খোলামেলা কথা পছন্দ করি। --না মানে বলছিলাম--। --তার আগে দাড়ীয়ে আমাকে একবার কিস করতো। কাল বিলম্ব না করে মনোসিজ দু-হাতে গলা জড়িয়ে উশতী পুরু ঠোটজোড়া মুখে জিভে জিভ স্পর্শ করে।উশতী বুঝতে পারে ছেলেটি আনকোরা নয়।জিজ্ঞেস করেন,তুমি আগে কাউকে করেছো? --না ম্যাম। --থ্যাঙ্কস ফর লাইং। --মানে? --মিথ্যে বলার জন্য ধন্যবাদ।এসব ব্যাপারে সিক্রেসি ইজ মোস্ট ইম্পোরট্যাণ্ট।বলো কি বলছিলে? --ম্যাম ঠোট তো যৌনাঙ্গ নয় তাহলে যখন কিস করলে আমার সারা শরীরের রোম খাড়া হয়ে উঠেছিল কেন? --শুধু রোম?আর কিছু খাড়া হয়নি? মনোসিজ লাজুক হাসে।উশতী বললেন চলো ও ঘরে। মনোসিজের কোমর জড়িয়ে ধরে নিজের শয়ন কক্ষে নিয়ে গেলেন।ঘরে এসি চলছে।নীচু খাটে বসতে বললেন।
06-09-2021, 11:25 PM
মনোসিজের দুই নাম্বার শুরু হলো।
পরের আপডেট এর অপেক্ষায় রইলাম। |
« Next Oldest | Next Newest »
|