Thread Rating:
  • 29 Vote(s) - 3.24 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance এক ফালি রোদ আর তার নাম আশা by nandanadas1975
#81
Nice plot.... eagerly waiting for next
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#82
আর খুব একটা বেশি নেই , কিন্তু যতটা অবধি লেখা হয়েছিল দিয়ে দেব ....
Like Reply
#83
চমৎকার বর্ণনা দাদা। সত্যি শক্তিশালী লেখিকা
Like Reply
#84
ঠিক সেই সময়ে জিষ্ণু খেলতে খেলতে গাছে ঘুড়ি আটকে যাচ্ছে বলে ঘর থেকে একটা ভারি ধারাল ভোজালি নিয়ে বেড়িয়ে এলো সামনের লন যে গাছ গুলো ডালপালা ছড়িয়ে আছে সেই গুলো কে কাটবে ছেলেটা কে দেখে ভাবলমুখ টা কেমন গোপেশের মতন লাগছে না ছেলেটার” ? উফফফফফ কেন যে মদ খেয়েছিলাম সেদিন মাথা ঠুকতেন মতিবাবু রিতিমতন এই কথা টা ভেবে ঘরে ঢুকেই সোজা চলে গেল ভিতরে গোপেশের সাথে সৌজন্য বিনিময় করার মতন ভদ্রতা দেখানোর প্রয়োজন মনে করে নি নীলিমা ওই ভাবে ঘরে ঢুকে যেতে কিছু একটা আঁচ করে ঘরে ঢুকতেই লাগলো তুমুল ঝগড়া দুজনায় ভিতরে ঝগড়া আর জিনিসপত্র ছোঁড়ার আওয়াজ পেয়ে গোপেশ একপেশে হয়ে চম্পট দিয়েছিল মুহূর্তেই জিষ্ণু হাতে ভোজালি টা নিয়ে ঢুকে এলো ঘরে দেখল মা আর বাবা মিলে প্রায় যুদ্ধ করছে কারন মতি তখন বলে দিয়েছে নীলিমা কে সেই কথাটা যেটা বলে একশর মধ্যে একশ দশ জন মা, ছেলের বাবাকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করবে না নীলিমা করে নি মতি জেই মুহূর্তে জিষ্ণুর ব্যাপারে গোপেশ কে নিয়ে কথা টা বলেছিল নীলিমা সজোরে একটা থাপ্পড় মেরেছিল মতি কে সারা জীবন ভালবাসার মানুষের সাথে কাটিয়ে, সেই মানুষ টার দু দুটো অংশ কে নিজের মধ্যে বড় করে শত কষ্ট সহ্য করে এই অপবাদ যেকোনো মেয়েকেই মা চণ্ডীর রূপ নিতে বাধ্য করবে কিন্তু মতির মধ্যেও তখন আগুন জ্বলে গেছে প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর হাতে থাপ্পড় টা খেয়ে দুজনায় জোরাজোরি করতে করতে মতিবাবু নীলিমা কে ধরে এমন একটা ধাক্কা দিলেন যে নীলিমা প্রচণ্ড বেগে ঘুরতে ঘুরতে এসে জিষ্ণুর ওপরে পড়ল নীলিমা জিষ্ণু কে নিয়ে ঘরের ভিতরে কিন্তু দরজার সামনে দড়াম করে পড়ে গেল পড়েই রইল মা ব্যাটা তে ওখানেই মতিবাবু দেখলেন আসতে আসতে রক্ত বেড়িয়ে আসছে যেখানে জিষ্ণু আর নীলিমা বুক দুটো মিশে গেছে জিষ্ণু মায়ের তলায় পড়ে রয়েছে আর নীলিমা ওপরে মতির নেশা ছুটে গেল লাল রক্ত দেখে নীলিমা উপুর করে দেখলেন জিষ্ণুর হাতের ভোজালি টা সোজা ঢুকে গেছে নীলিমার পেট আর বুকের ঠিক মাঝখানটায়নীলিমা কে সোজা করে দিতেই মৃত নীলিমা পড়ে রইল মেঝেতে জিষ্ণুর হাতে বড় ভোজালি টা জিষ্ণুর জামা টা রক্তে মাখামাখি হয়ে গেছে থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে মাথায় এটাই এসেছিল মতিবাবুর যে নিজেকেই নিতে হবে এই দায় ছুরি টা জিষ্ণুর হাত থেকে নিতেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠল মতি আর সাথে সাথেই শিবা ঢুকল ঘরে.........
[+] 5 users Like ddey333's post
Like Reply
#85
ঘুমের ঘোরে চমকে উঠল শিবা ভেঙ্গে গেল ঘুম টা একদম উঠে বসল তড়াক করে পাশে রাখা জলের বোতল টা থেকে ঢকঢক করে পুরো জল টা খেয়ে নিল শিবা সারা শরীর টা ঘামে ভিজে গেছে বুক টা কেমন খালি খালি লাগছে শিবার ছোট থেকেই বাজে স্বপ্ন দেখে এমনি করে উঠে বসত আর ওর মায়ের কাছে চলে এসে ভীষণ জোরে জড়িয়ে ধরত শিবা ঠিক যেমন পাপি ওকে ধরে ঘুমত মোবাইল টা খুলে দেখল দেড়টা বাজে কি স্বপ্ন দেখছিল ওর মনে নেই কিন্তু ভয় খুব পেয়েছিল বেড়িয়ে এলো ঘর থেকে ম্যাম এর ঘর অন্ধকার ম্যাম ভয় পায় বলে খুলেই রাখে দরজা টা আর শিবাও সেই জন্য খুলে রাখে নিজের শোবার ঘরের দরজা টা বেড়িয়ে এসে ব্যাল্কনি তে দাঁড়াল চার তলার ওপর থেকে যতটা চোখ যায় দেখতে থাকলমুম্বাই কখন মনে হয় শুয়ে পড়ে নাদূরে রাস্তায় তীব্র গতিবেগে ছুটে যাওয়া গাড়ি গুলো দেখছিল শিবা রাতের একটা অদ্ভুত হিম হাওয়া যেন মাঝে মাঝেই ঘামে ভিজে যাওয়া শিবার শরীরে কাঁটা তুলে দিচ্ছে ভয় টা এখন যাচ্ছে না খুব খালি খালি লাগছে মন টা

জিনিয়ার ঘুম টা খুব পাতলা সেটা চিরকাল এখন তো পাপি ওকে স্পর্শ না করে ঘুময় না ঘুমবে, কিন্তু হাত টা নয় পেটে না হলে বুকে একটা দোদো ধরে ঘুমবে তাই সারারাত জিনি উঠতেই থাকে মেয়েটার ঢাকা টা নাকে পড়ে গেছে কিনা পায়ের ঢাকা টা উঠে গেছে কিনা পিছন দিক টা খুলে ফেলেছে কিনা বাপ বাইরে যুদ্ধ করে আর মেয়ে বিছানায় যুদ্ধ করতে থাকে মাঝে মাঝেই মেয়েটা জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিলে ভয় পেয়ে জেগে ওঠে জিনি পাপি কে কোলে তুলে নেয় তাই জিনি প্রায় সারারাত পাপির পিছনে এটা সেটা করে সময় কাটিয়ে দেয় ভোরে উঠে পড়ে শিবা বেরয় ওকে চা করে দেয় ফিরে আসতে আসতে রুটি বানিয়ে রাখে জিনি ঘুময় দুপুরে একটু তখন পাপি যত আজগুবি ড্রইং আছে করতে বসে বিছানার ওপরে পুরো সংসার পেতে সেই সময়ে জিনি একটু ঘুময় শিবা যখন বেরোল তখন জিনি সবে মাত্র উঠে পাপির ঢাকাটা ঠিক করে দিচ্ছিল শিবা বেড়িয়ে আসতেই পাশের বালিশ টাকে পাপির পাশে দিয়ে বেড়িয়ে এলো দেখল ব্যাল্কনি তে শিবা দাঁড়িয়ে
[+] 8 users Like ddey333's post
Like Reply
#86
Ato bhalo ekta lekha....... incomplete......dada apni bhabun r ekbar.....bhalo plot.....apni bhalo likhben
Like Reply
#87
অপেক্ষায় রইলাম......
Like Reply
#88
জিনি চুপচাপ বেড়িয়ে এসে দাঁড়াল ঠিক শিবার পাশেই কিন্তু একটু দূরে জিনি কে দেখা মাত্র শিবা যেন একটু স্বাভাবিক হল কিন্তু সেটা বাইরে প্রকাশ করতে দিল না জিনি দাঁড়িয়ে আছে একটা লং স্কার্ট আর একটা টপ পড়ে চুল টা খোলা উড়ছে জিনির চুল টা বুনো হাওয়ায় শিবা সেই চুলের সুঘ্রান পাচ্ছে খুব ইচ্ছে করছে ম্যাম এর কোলে মাথা রাখতে বা জড়িয়ে ধরে একটা নিশ্চিত ঘুম ঘুমোতে কিন্তু শিবা মরে যাবে তবু এই ইচ্ছা ম্যাম কে বলতে পারবে না আসলে ছোট বেলাতে কাউকে ভয় পেলে সেই ভয় টা কিন্তু বড় বয়েস অব্দি রয়ে যায় এটা আমার হয় ছোট বেলায় একজন আমাকে ইঞ্জেকশন দিতেন তিনি আমার দাদুর বন্ধু ছিলেন আমাকে ভালবাসতেন খুব কিন্তু বড় হবার পরেও, মানে বিয়ের পরেও স্বামীর সাথে রিক্সা করে বাড়ি আসতে আসতে যদি ওই লোকটি কে দেখতে পেতাম তাহলে কেমন একটা অজানা ভয়ে বুক টা কেঁপে উঠত শিবার তেমনি হত জিনিয়া কে দেখলে সেই ছোট বেলায় পড়া না পারলে বা বদমাইশি করলে জিনি যে বেদম মার টা মারত, সেইটা মনে করে শিবা একটু দমে যায় মুখ ফুটে কিছুই বলতে পারে না ঠাণ্ডা হাওয়া দুজন কেই কাঁপিয়ে দিচ্ছে দুজনেই চাইছে একটু এগিয়ে গিয়ে একে ওপর কে টেনে নিতে নিজের কাছে কিন্তু একটা অর্গল দুজন কেই দূরে রেখে দিয়েছে একে অপরের কেউ কোনও কথা বলতে পারছে না শিবা কে এই ভাবে দেখে জিনি তো অনেক কিছু ভেবে ফেলেছে সেটা জিনির ভীষণ রকমের কল্পনার দৌড়ের জন্যেই সম্ভব হয়েছে আসলে জিনির মধ্যে ভীষণ রকমের বাচ্চা একটা মেয়ে রয়েছে যে অতি মাত্রায় রোম্যান্টিক আর সেটার সাথে সাথে ওর শিক্ষার একটা আভিজাত্য আছে যেটা ওর ব্যক্তিত্ব কে এতটাই মোহময়ি করে তুলেছে যে অতি বড় জিতেন্দ্রিয় নিজের ইন্দ্রিয় বিসর্জন দিতে পিছুপা হবে না জিনির ঘন চুল শিবার শরীরে স্পর্শ করছে জিনি আর শিবা দুজনই মনে মনে হাওয়া কে ধন্যবাদ দিচ্ছে শিবা প্রানপনে ঘ্রান নিচ্ছে ম্যাম এর সুন্দর চুলের জিনিয়া নিজেকে আসতে আসতে এলিয়ে দিল শিবার ঘামে ভিজে হাওয়ায় শুকিয়ে যাওয়া ঠাণ্ডা শরীরের ওপরে ইসসসস কি ঠাণ্ডা!!!! শিবা নড়ছে না দেখে জিনি নিজেকে পুরোপুরি শিবার শরীরে এলিয়ে দিল এখন যেন শিবার সপ্নের ভয় টা সম্পূর্ণ হাওয়া হয়ে গেছে যাতে ম্যাম আর ভাল করে নিজেকে শিথিল করে শিবার ওপরে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারে সেই জন্য একটু ঘুরিয়ে নিজের বুকে ম্যাম এর মাথাটা নিল জিনি তো স্বর্গ পেল যেন বেশ করে নিজেকে সঁপে দিল শিবার বুকে
[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#89
জিনির ঘুম টা যখন ভাঙল তখন বেশ সকাল হয়ে গেছে ইসসস শিবা টা হয়ত বেড়িয়ে গেছে কিছু না খেয়েই ধড়মড় করে উঠতে গিয়ে দেখল উঠতে পারছে না ঘুমের ঘোরে কিছুই বুঝতেও পারছে না হঠাৎ খেয়াল পড়ল যে একটা হাত ওর কোমর আর পেটের ঠিক মাঝে ওকে জড়িয়ে আছে আর সাথে সাথেই মনে পরে গেল রাতে শিবা কে এখানেই শুইয়েছিল আর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল তারপরে দুজনাই ঘুমিয়ে গেছে কখন যেন জিনির খোলা চুলের প্রায় ওপরেই শিবা শুয়ে আছে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে সি টা বন্ধ করতে ভুলে গেছে জিনি ঘর টা বেশ ঠাণ্ডা শিবা কে তুলল না তুললেই শিবা লজ্জায় আর অপ্রস্তুতে পরে যাবে জিনি শুয়ে শুয়েই পাপির ঢাকাটা ভাল করে দিয়ে নিজেকে আর শিবার ভিতরে ঢুকিয়ে নিল হাত বাড়িয়ে টেনে নিল পাপি কে নিজের বুকের মধ্যে আর যে জিনির বড্ড খুশীর দিনবড্ড নিশ্চিন্তে ঘুমবে জিনি এখন সব পাওয়ার দলে এখন জিনি চোখ টা বুজে এলো জিনির আবেশে...

-----------------------------


[+] 8 users Like ddey333's post
Like Reply
#90
Simply just awesome ...kichu na holeo j relation ato sundar hote pare seta ei lekha porle bojha jai......gr8
Like Reply
#91
বেশ সুন্দর রোমান্টিক একটা গল্প। যদি এখানেই অসমাপ্ত থেকে থাকে তাহলে আমি অনুরোধ করবো যেন নিজদায়িত্বে কোনো লেখক গল্পটার একটা সুন্দর পরিসমাপ্তি টানতে পারেন.....
Like Reply
#92
(20-08-2021, 07:52 PM)a-man Wrote: বেশ সুন্দর রোমান্টিক একটা গল্প। যদি এখানেই অসমাপ্ত থেকে থাকে তাহলে আমি অনুরোধ করবো যেন নিজদায়িত্বে কোনো লেখক গল্পটার একটা সুন্দর পরিসমাপ্তি টানতে পারেন.....

Arektu ache
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#93
(20-08-2021, 10:41 PM)ddey333 Wrote: Arektu ache

অপেক্ষায়............
Like Reply
#94
চারিদিকে হই হই শব্দ পাগলের মতন চিৎকার করে চলেছে পুরো গ্যালারী রিঙের এক ধারে দাঁড়িয়ে আছে সে ছোট্ট একটা লাল রঙের শর্টস খালি পা হাতে হাফ গ্লাভস যত সময় এগিয়ে আসছে ততই যেন উত্তেজনার পারদ টা চড়ে বসছে মাথায় উতলা হচ্ছে মন টা হাড়ের সাথে হাড়ের ঠোকাঠুকির আওয়াজের জন্য রক্তের কনা গুলো যেন ভেঙ্গে নতুন উৎসাহে দ্বিগুন হয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে শরীর ময় মাথা টা নিচু করে শরীর টা কে লাফিয়ে, ঘাড় টা এদিক ওদিক করে নিয়ে নিজের হাত পা আর পিঠের পেশী গুলো কে খেলিয়ে নিচ্ছে কিছু পরেই অপনেনট চলে আসবে সামনে তারপরেই শুরু হবে সেই বহু প্রতীক্ষিত লড়াই নিজেকে স্থির করে মনযোগী করল চোখ টা বুজল ধিরে ধিরে গ্যালারীর আওয়াজ টা যেন কমে যাচ্ছে কমে যাচ্ছে কি, নাকি মনে হচ্ছে দূর থেকে আসছে এবারে কিছুক্ষনের মধ্যেই যেন সব নিস্তব্ধ চোখটা খুলেই সামনে দেখতে পেল শিনা ওকে তুলছে ঘুম থেকে উফফ স্বপ্ন ছিলকবে যে মুক্তি পাবে এই স্বপ্ন থেকে কে জানে কি করেই বা পাবে এই স্বপ্ন টাই তো জিষ্ণু কে ঘুমোতে দেয় না ঘুমলে জাগিয়ে দেয় নৃশংসের মতন উঠে বসল জিষ্ণু

শিনা দেখছে যে জিষ্ণু বেশ কিছুদিন ধরেই অন্যমনস্ক কেন বুঝতে পারছে না জানে যে স্বপ্ন জিষ্ণু দেখে সেটা পূর্ণ করার সামর্থ্যে কুলচ্ছে না বলেই জিষ্ণু একটু উদাসীন এখন শিনার ব্যাপারে শিনা সেটা বোঝে আর তাই ওর বুকের ভিতরে একটা চাপ বেড়েই চলেছে বেশ কয়েকদিন ধরে জিষ্ণুর মুখে ওর মায়ের মৃত্যুর কাহিনী শোনার পর থেকে ওই বুড়ো মানুষটার ওপরেও মায়া কেমন যেন বেড়ে গেছে মানতে পারছে না একটা ভুল নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়া জিষ্ণুর দাদার শিবা ওর দাদার নাম সেটা জিষ্ণু বলেছে জিষ্ণুর চোখে দাদার জন্য অপিরিসিম ভালবাসা দেখেছে দেখেছে সেই বিশাল অভিমান, যেটা পুষে রেখেছে নিজের ভিতরেই বের করে না মনে ভিতর থেকে কোনদিন আর বাবার সামনে তো নয় আর সত্যি তো বুড়ো মানুষ টাও তো কষ্টই পাচ্ছে না জানি সে কত কষ্টে আছে যে এক সেকেন্ডের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছিলো কত ভালই না বাসত তার মা কে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে শিনা ভেবেই চলেছে এই পরিবারের মান অভিমানের ব্যাপার গুলো কত সহজেই ভেঙ্গে যায় এত দিনের পুরনো একটা বিশ্বাস একটা সম্পর্ক কিন্তু সত্যি কি ভাঙ্গে? কি জানি মনে তো হয় অন্তঃসলিলা হয়ে বয়ে চলে অনন্তকাল, যতদিন না একে অপরের বুকে মাথা রেখে কেঁদে সব গ্লানি বের হয়ে যাচ্ছে শিনার খুব ইচ্ছা জিষ্ণুর দাদার সাথে দেখা করার জিজ্ঞাসা করার খুব ইচ্ছে, যে একদিন কি দেখতে ইচ্ছে করেনি ওর ভাই কে? একদিন কি দেখতে ইচ্ছে করেনি ওর বাবাকে মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে কি করে? একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে, ছেলেকে ধীরে শুইয়ে দিয়ে বাইরে বেড়িয়ে এলো অফিসের সময় হয়ে আসছে বেরতে হবে ওকে বাইরে ব্যাল্কনি তে দাঁড়িয়ে জিষ্ণুর বারমুডা টা শুকিয়ে গেছিলো, তুলে নিয়ে ফের ঢুকতে যাবে ঠিক সেই সময়ে রাস্তায় ওদের বাড়ীর দিকে চেয়ে থাকা ছেলেটা কে আবার দেখল এবারে যেন সরে গেল শিনা দেখেই একটা লাইট পোস্টের আড়ালে জিষ্ণু কে কথা টা বলবে বলবে করে ভুলেই গেছিলো কিন্তু আজকে বলতেই হবে একটা অজানা ভয়ে শিনা কেমন গুম হয়ে গেল কেমন যেন একটা দম ধরা ভয় নাআহ আর না এবারে বলতেই হবে দাদা কে ওর মাসতুত দাদা, কলকাতা পুলিশের বেশ বড় কর্তা জিষ্ণু কে বিয়ে করলেও দাদা বাড়িতে প্রায় আসে আর সম্পর্ক ভালই আছে দাদার সাথে আজকেই বলবে ফোন করে...

[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#95
সুখ দুঃখ বড্ড আপেক্ষিক প্রতি নিয়ত দুটিতে যুদ্ধ চলে বলে তো আমায় দ্যাখ তো বলে আমায় দ্যাখ আমরা সাধারন মানুষ রা এর মাঝের জাঁতাকলে পরে বড় পিষ্ট হই না না এটা আমার কথা না , আমার বিশ্বাস সবার মনে কথা নিজেকে সুখী ভাবার উপায় নেই হি হি দুঃখ তখন বড্ড দুঃখ পেয়ে যায় সাথে সাথেই চলে আসে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে বলে ওরে আমিও আছি আর সত্যি তো দুঃখ না থাকলে আমরা সুখ কে জানবই বা কি ভাবে ঠিক যেমন অন্ধকার বলে কিছু হয় না বিজ্ঞানী রা বলেন অন্ধকার বলে কিছু নেই আছে আলোর অনুপস্থিতি জীবনে তাই সুখ বলে কিছু নেই আছে দুঃখ না থাকার করুনা তাই মাঝে মাঝে ওই দুঃখ না থাকার করুনা কে সুখ বলে ভুল করি জিনির সেটাই হল শুয়েছিল বেশ ঘুমচ্ছিল খুব শান্তি তেই কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই শিবার ফোন টা বেজে উঠল বেয়ারা রকম ভাবে জিনির মনে হচ্ছিল ভেঙ্গে ফেলতে ফোন টা কে কিন্তু নিজেকে ছাড়িয়ে কোনও রকমে উঠে শিবার ঘর থেকে ফোন টা তুলেই দেখল মুস্তাফা দার ফোন অনেকক্ষণ বাজছে তাই সময় নষ্ট না করে হ্যালো বলতেই প্রান্ত থেকে মুস্তাফা দার চিন্তিত অথচ একটু ভয়ার্ত গলায়শিবা কোথায়শুনেই জিনি দেরি করল না
-
শিবা অ্যাই শিবা, মুস্তাফার ফোনজোরে জোরে শিবা কে নড়াচ্ছিল জিনিয়াকিন্তু আহা রে ছেলেটা মনে এত ডিপ অনেকদিন পরে ঘুমল কিন্তু তুলতেই হবেঅ্যাই শিবা শুনছিস, অ্যাই ওঠ না দাদা ফোন করেছে তো” !!!!!
জিনিয়ার আওয়াজে শিবা পাপি দুজনাই উঠে পড়ল শিবা ধড়মড় করে উঠে নিজেকে জিনিয়ার বিছানায় আবিষ্কার করে অবাক হলেও মুস্তাফা দার ফোন শুনে নিজের অবাক হওয়া টা বেশিক্ষন ধরে মানাতে পারল না

হ্যালো জিনিয়া শুধু শিবার কথা টা শুনতে পাচ্ছে পাপি কে নিয়ে বাথরুম করিয়ে সি টা বন্ধ করল আর শিবা মাঝে একবার বলে উঠল শুধুসে কি!!!!!! আর বাকি কথা গুলো শুধু হু আর না জবাব দিল প্রায় মিনিট দশ কথা বলে ফোন টা কাটার আগে বলল- আমি আসছি...


[+] 6 users Like ddey333's post
Like Reply
#96
শিবা যখন নামল দমদমে আর পিছনে জিনিয়া পাপি কে কোলে নিয়ে তখন দুপুর গড়িয়ে বিকাল প্রায় বাইরের লবি তে পাপি আর জিনিয়া কে দাঁড় করিয়ে সুটকেস টা নিয়ে বেড়িয়ে এসেই দেখল মুস্তাফা দা দাঁড়িয়ে আছে ওরা একটা ইনোভা তে চড়ে ছুটতে শুরু করল

-
মুস্তাফা দা কি হয়েছে একটু বলবে? জিনি থাকতে না পেরে জিজ্ঞাসা করে ফেলল মুস্তাফা কেআমাকে শিবা কিছু বলছে না মুস্তাফা শিবার দিকে তাকিয়ে দেখল শিবা থম মেরে গেছে ঠিক সেই রকম যেদিন মিলির মৃতদেহ টা পুড়িয়ে এসেছিল বাড়িতে সেদিন গাড়িতে করে ফেরার সময়ে থম মেরে গেছিলো এমনি ভাবেই মুস্তাফা একবার শিবা কে দেখে নিয়ে জিনিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
-
তোকে না পেয়ে মহেশ জিষ্ণু বউ কে তুলে নিয়ে যাবার প্ল্যান করেছে নিজের ডেরায়...
-
সে কি? জিনিয়া প্রায় আঁতকে উঠল যদিও জানত যে জিষ্ণু জিনিয়া কে মহেশের কাছে পৌঁছনর দায়িত্বে ছিল কিন্তু পারে নি একটা মেয়ে যার সর্বনাশ করতে চলেছে মহেশ, জিনিয়া নিজে মেয়ে হয়ে সেটা কি করে মেনে নেয় জিনিয়া কেমন যেন অস্থির হয়ে গেল কিন্তু এই টা শুনে শিবা চলে এলো কেন সেটাই বুঝতে পারছে না জিনিয়া নাকি এটা আসল কারন নয় ঘটনা টা মানতে পারছে না জিনি একটা মেয়েকে এই সভ্য সমাজে কেউ কামুক তুলে নিয়ে যাবে এটা কে মানা যায় না কিন্তু যে লোকটা জিনিয়া কে তুলে যেতে চেয়েছিল, তার বউ কে মহেশ তুলে নিয়ে যাবে শুনে শিবা এত দূর থেকে নিজের মেয়েকে আর জিনিয়া কে নিয়ে চলে এলো কেন শিবা তখন বাইরের দিকে তাকিয়ে ম্যাম এর মনের মধ্যে চলা এই প্রশ্ন টা পরে নিয়েছে ততক্ষনে ম্যাম কে না দেখেই ঠিক তেমনি ভাবেই বাইরের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থেকে জবাব দিল- “জিষ্ণু আমার ভাই

চমকে উঠেছিল জিনিয়া শিবার কথা টা শুনে মানে শিবা জানত আগে থেকেই জিষ্ণু বলে ছেলেটা শিবার ভাই সেই কথা টা জিনিয়া জানতই না! সেই জন্য জিনিয়া আর পাপি কে নিয়ে চলে গেছিলো দূরে নিজে কেমন ভেঙ্গে পড়ল জিনিয়া বার বার মনে হতে থাকল যে জিনিয়ার জন্যেই আজকে শিবার পরিবারে এই বিপদ নিজেকে ক্ষমা করবে কি ভাবে? ঘরের মধ্যে চুপ মেরে ছিল জিনিয়া হাস্নু ওকে অনেক বার বুঝিয়েছে ফল হয় নি
শিনা অফিস থেকে বেড়িয়ে এলো বাইরে ঝাঁ ঝাঁ করছে রোদ্দুর পূজা এসে গেল কিন্তু রোদের তেজ এখন কমল না দেখল দাদা দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার উল্টো দিকেই সোজা এসে দাদার গাড়িতে চেপে পড়ল কিন্তু যেন দেখল আবার সেই ছেলেটাকে এক ঝলক গাড়ি তে ওঠার আগে ছেলেটা কে বুঝতে দিল না চেপে পড়ল গাড়িতে সোজা দাদার সাথে চলে এলো মাসীর বাড়ি
[+] 6 users Like ddey333's post
Like Reply
#97
Gr8 twist......one of the best suspence triller
Like Reply
#98
মিষ্টি দুটো ডিশে নিয়ে চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে পুরো ব্যাপার টাই বলল ওর দাদাকে বৌদি ছিল পাশেই শিনার রসগোল্লা দুটো খেয়ে ডিশ টা রাখতে যেতেই বৌদি হাত থেকে ডিশ টা নিয়ে জলের গ্লাস টা শিনার হাতে দিয়ে ডিশ টা রাখতে রান্না ঘরে গেল সেই সময়ে মুখ খুলল তিমির তিমির শিনার দাদার নাম বললমহেশের সাথে না গেলেই পারত জিষ্ণু এখন মহেশ ছেড়ে কথা বলবে না জিষ্ণু কেকারন যতদূর আমি জানি জিষ্ণু কে একটি কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল মহেশ প্রথমে সে দায়িত্ব পুলিশের কাছেই এসেছিল কিন্তু আমরা হাল ছেড়ে দিতে ওই দায়িত্ব জিষ্ণুর ওপরে দেয় স্পন্সর করার লোভ দেখিয়ে জিষ্ণু সেই দায়িত্ব নিয়েছিল, কিন্তু করতে পারে নি দাদার কথাটা শুনে শিনা একটু ঘাবড়েই গেল যেন পুলিশ হয়েও দাদার এই রকম কথা ঠিক মানতে পারছে না শিনা বা মানতে চাইছে না ওর শেষ ভরসাই ছিল দাদা ওদিকে তিমির বলল আবারদ্যাখ উপায় দুটো, এক তোরা এখানে চলে আয়, আমার বাড়িতে তুই নিরাপদ, মহেশ যত বড় গুণ্ডাই হোক না কেন পুলিশের বাড়িতে এসে কিছু করবে না, আর দ্বিতীয় তোরা আমাদের গ্রামের বাড়ি তে চলে যা , ওখানেই আত্ম গোপন করে থাক কিছুদিন শিনা মাথা নিচু করে চুপ করে রইল ভাবতেই পারছে না ওর ধারনায় ছিল না যে মহেশ বলে লোকটা এতটাই ভয়ংকর শিনার বুক টা যেন কেঁপে কেঁপে উঠছে জিষ্ণুর কথা ভেবে ইসসস কত টা নীচে নেমে গেছিলো ছেলেটা নিজের স্বপ্ন টা কে সাকার করবে বলে চুপ করে রইল শিনা জিষ্ণুর ওপরে রাগ হবার থেকে বেশি মায়া হচ্ছিল শিনারতিমির শিনা কে আশ্বস্ত করে বললদ্যাখ এখন মহেশ পুজার কাজে ব্যস্ত থাকবে মাস খানেক, সেই অবসরে তোরা যদি সরে পড়তে পারিস
[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#99
দাদা ওকে ব্যাঙ্ক ছেড়ে দিয়ে চলে গেল ব্যাঙ্ক ঢোকার আগে আবার সেই ছেলেটা কে দেখল যেন দাদার আত্মসমর্পণের পরে এতটাই অসহায় লাগছে নিজেকে যে শিনা এবারে ওই ছেলে টা কে দেখে আর চলতে পারবে না এমন মনে হল মনে হচ্ছিল আর বেশিক্ষন নেই তারপরেই শেষ হয়ে যাবে সব কিছু ওর হার্ট ফেল করবে মনে হচ্ছে এবারে এত টেনশন আর নিতে পারছে না শিনা ভিতরে ঢুকে নিজের চেয়ার বসে পড়ল ঢাকা দেওয়া গ্লাসের জল টা পুরো টা শেষ করে মাথায় হাত টা দিয়ে বসে বসে ভাবতে লাগলো খারাপ ভাল অনেক কিছু............


সেদিন রাতে শিনা পুরো ব্যাপার টা খেতে বসে টেবিল সবাই কে বলেই ফেলল জিষ্ণু মাথা নিচু করে রইল চায় নি কোনদিন কাজ টা করতে আর করেও নি কিন্তু অপরাধ বোধ তো একটা আছেই শিনা একজন মেয়ে হয়ে জিষ্ণুর করতে যাওয়া কাজ টা কে সমর্থন করবে না এটা জিষ্ণু জানত আর সেইজন্যেই লুকিয়েছিল পুরো ব্যাপার টাই শিনার কাছ থেকে আর সেই ভয় টাই পেয়েছিল যেটা আজকে ঘটছে শিনা জিষ্ণু কে কিছু বলার জন্য কথাটা বলেনি শিনা শ্বশুর আর জিষ্ণু এই বোঝানোর জন্য কথা টা বলল যে কত বড় বিপদে ওরা আছে সত্যি এটা ভেবে দেখেনি জিষ্ণু এতক্ষন অব্দি কোনও ভয় ওর মধ্যে ছিল না কিন্তু এখন যেন ভয় পেতে শুরু করল জিষ্ণু ভয় নিজেকে নিয়ে নয় ভয় শিনা কে নিয়ে ভয় বাচ্চা টা কে নিয়ে ওদের কিছু হয়ে গেলে জিষ্ণু বাঁচবে না কিন্তু কি করবে এখন ? কেন যে মরতে মহেশের কাছে গেছিলো কে জানে এখন আফসোস ছাড়া আর কোনও গতি নেই
[+] 6 users Like ddey333's post
Like Reply
মুস্তাফা আর হাস্নু অনেক বুঝিয়েও কোনও ফল হয় নি জিনিয়া কে জিনিয়া কেঁদেই চলেছে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কষ্ট এই জন্য পায় নি যে শিবা ওকে বলেনি যে জিষ্ণু ওর ভাই ওর কষ্ট এই ভেবে হচ্ছে যে শিবা হয়ত ভাবছে এখন জিনিয়া কে না বাঁচালেই হত শিবার পরিবারে দুর্ঘটনা তো নেমে আসত না হাস্নু বুঝেছে যতক্ষণ না শিবা কথা বলবে জিনিয়ার সাথে ততক্ষন জিনিয়া শান্ত হবে না আর জিনিয়া শান্ত হতেও চায় না আসলে মাচ্যুরিটি জিনিস টা নিজের মনের সাথেই খাপ খাওয়াতে পারে না জিনিয়া স্বাভাবিক জীবন এবং তার পারিপার্শ্বিকের সাথে যথেষ্ট পরিচয় রাখে হয়ত ঠাণ্ডা মাথায় শিবার চরিত্র এর কথা চিন্তা করলেই বুঝতে পারত যে যেটা ভাবছে সেটা খুব ভুল, কিন্তু মেয়েদের মনে একবার এই সহানুভুতির ভুত চেপে গেলে বের করা খুব মুশকিল সেখানে কোনও যুক্তি কোনও মাচ্যুরিটি কাজে আসে না শুধু সেই মানুষটাকেই মন টা খোঁজে যে পারবে এই ভুত টা মাথা থেকে নামাতে জিনিয়ার ইচ্ছে করছে এখন ছুটে মহেশের কাছে চলে যেতে আর বলতে, শিবার ভাই এর বউ কে নয় আমাকে নাও আমার জন্যেই তো তুমি এত কিছু করছ শিবা বাইরে বসে আছে থম মেরে হয়ত এটাই ভাবছে, যে জিনিয়ার বদলে ওর ভাই এর বউ কে ছাড়িয়ে নিয়ে আসবে জিনিয়া যেন আর ভাবতে পারল না দলা হয়ে যে কান্না টা বুকের মধ্যে চেপে বসে আছে সেটা কে চেপে রেখে সিদ্ধান্তই নিল যে সে নিজের বদলেই ছাড়িয়ে আনবে শিনা কে যে শিবা টাকে এত সুন্দর একটা জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছে তার পরিবারের জন্য এতটুকু করতে পারবে না? নিশ্চয়ই পারবে পারতে থাকে হবেই জগতের শিবার এই ঋণ টা এই ভাবেই শোধ করে দিয়ে যাবে কিন্তু পাপি? ছেড়ে থাকবে কি করে ওকে জিনি? নাহ শিবা নিজেই সেটা ভাবে না তো জিনি ভেবে কি করবে? কষ্ট হলেও এটাই সত্য যে শিবা জিনি কে ভালবাসে না কম সে কম নিজের পরিবারের মধ্যে তো রাখেই না ঠিক করে নিল ওকে কি করতে হবে
[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply




Users browsing this thread: 3 Guest(s)