Thread Rating:
  • 29 Vote(s) - 3.24 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance এক ফালি রোদ আর তার নাম আশা by nandanadas1975
#41
ম্যাম এর সাথে শিবার সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট হওয়ার অপেক্ষায় আছি
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#42
খাবার বাড়ছিল জিনিয়া শিবা বাথরুম থেকে বেড়িয়ে গা মুছছিল সফট অথচ বেশ বলশালী পেশী গুলো যেন কিলবিল করছিল দেহ জুড়ে শিবার , হাত দুটো কে মোছার কাজে ব্যবহার করার জন্য জিনিয়া হাঁ করে দেখছিল শিবা কে চোখ ফেরাতে পারছিল না ইচ্ছে করছিল ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে শিবা কে পিছন থেকেকিন্তু পোড়া কপাল ওই জন্যেই মেয়েরা খুব ভাল ছেলে পছন্দ করে না রাগ ধরছিল শিবা কে কি ছেলেরে বাবা, একটা সুন্দরী মেয়ে থাকতে একবার দেখে না একটু তো খারাপ নজরে দেখতেই পারে সব তো আছে ওর শিবা তাকাতেই জিনিয়া নজর সরিয়ে নিল খাবার বেড়ে রেডি করে ডাকতেই শিবা চলে এলো টেবিল

-
এই নে এই সাত হাজার টাকা উসমান আঙ্কেল কে দিবিবাড়ীর ভাড়া আর এই পাঁচ হাজার মেয়ের ডাক্তার জিনিয়া শিবা কে টাকা টা দিতেই শিবা বলে উঠল
-
তবে বাঁচল কি? খাব কি এই মাসে?
-
হি হি আছে তো এই যে সাত হাজার টাকা রয়েছে এখানে পাপির খাবার দাবার তিন হাজার বাকি তে আমাদের চলে যাবে
শিবা কিছু বলল না, বুঝে গেল ম্যাম নিজের সামান্য খরচ করে না দুঃখ পেল জিনিয়া সেটা বুঝে বললকি হল শিবা”?
-
আপনার খুব কষ্ট আমি বুঝি
-
খবরদার কথা বলবি না আর কষ্ট বলছিস? যে কষ্ট আমি পেয়ে এসেছি এখানে আমি অনেক সুখে আছি
শিবা বেড়িয়ে এলো বাইরে মন টা ভারি শিবা এমন একটা ছেলে যে সবাই কে নিয়েই থাকতে চেয়েছিল কিন্তু পারে নি চোখের সামনে সেই রাত ভেসে ওঠে ভেসে ওঠে মায়ের রক্ত মাখা শরীর টা উফফফফফ কি যে ব্যাথা বুকের মাঝে!!!! কাঁধে হাত টা পরতেই চমকে তাকিয়ে দেখল ম্যাম ওর কাঁধে হাত দিয়ে বসে আছেবিশ্বাস কর শিবা আমার কোন কষ্ট নেই আমি এতো আনন্দে কোনদিন কাটাই নিশিবা উত্তর দিল না সামনের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলজানেন ম্যাম সেই দিন যেদিন আমাকে আপনি খুব মারলেন, আমি পালিয়ে এসেছিলাম আপনার ক্লাস থেকে এসে বাড়িতে দেখলাম আমার বাবা দাঁড়িয়ে আছে হাতে রক্ত মাখা ছুরি টা নিয়ে আর আমার মা মেঝে তে লুটিয়ে আছে রক্ত মাখা শরীর টা নিয়ে আমার ভাই তখন চার বছরের বাবা চেঁচিয়ে চলেছে আমার মায়ের ওপরে মা তখন নেই আর এই জগতেশিবা কাঁদতে কাঁদতে জিনিয়ার কোলে মাথা রাখল জিনিয়া টেনে নিল শিবা কে বুকেআমার বাবা সন্দেহ করত আমার মা কে ম্যামবলে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল শিবা জিনিয়া টেনে নিল আর কাছে শিবা কে ভাবল কেঁদে বের করে দিক মনের যত গ্লানি পুষে রেখেছে এই আঠেরো বছর…………………………………………………………………

-----------------------------

[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#43
শালা নেমক হারামের দল, একটা টাকা কাউকে দেব না একটা মাগী কে আনতে বললাম সেটাও তুই পারলি না আর তুই এই শহর কাঁপাবি? কিসসু পারবি না যা বেড়িয়ে যা এখান থেকেজিষ্ণু কথা টা শুনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল চ্যাম্পিয়নশিপ এর জন্য টাকার দরকার নেহাত তাই এতো গালাগাল শুনছে না হলে এখনি যে মুখ দিয়ে কথা বলছে মহেশ মুখ টা ফাটিয়ে দিত এক ঘুষি তে আর রাগ গিয়ে পড়ছে ওই মহিলা টির ওপরে কে জানত যে শালা দু টাকার একটা পার্সি মেয়ে দুম করে শহর ছেড়ে চলে যাবে হাতের গ্রাস কেড়ে নিয়েউফফফ শালা একদিন দেরি হল না হলে ওই মেয়েছেলে টাকে এতক্ষনে মহেশের কাছে এনে ফেলত রাগে ফুঁসতে লাগলো জিষ্ণু বেড়িয়ে এলো ধিরে ধিরে মহেশের আড্ডা থেকে
জিষ্ণু বেড়িয়ে যেতেই মহেশের এক শাগরেদ মহেশ কে বলল, “ ভাই, জিষ্ণুর বউ কিন্তু হেব্বি দেখতে একটা অদ্ভুত হাসি হেসে মহেশ বলে উঠলতাই নাকি? দেখি শালা ওই মাগী টা কে আনতে পারে তবে ভাল ,না হলে ওর বউ কে দিয়েই ভোজ সারব

শিনা জিষ্ণুর বাহু মধ্যে শুয়ে জিষ্ণু কে আদর করছে কিন্তু জিষ্ণুর মন নেই জিষ্ণু ভেবে চলেছে তার স্পন্সরশিপ - কি হল হানি? তুমি আজ এতো চুপচাপ কেন? শিনার কথায় জিষ্ণু বিরক্ত হল একটু একা থাকতে চায় আসলে একটু এমনি মাঝে মাঝে হারিয়ে যায় বা হারিয়ে যেতে চায় হয়ত তখন কিছুই ভাল লাগে না মানুষ হয়েছে খুব অনাদরে যতদিন দাদা ছিল বুকে করে আগলে রাখত ওকে নাহ আর ভাববে না দাদার কথা এতো স্বার্থপর একটা মানুষের কথা ভাববে না আর - সোনা? কি হল? শিনা ভয় পায় জিষ্ণুর এই মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়া টা জিষ্ণু কে চেনে ছোট থেকেই জিষ্ণু মানুষ হয়েছে মামার বাড়ি তে শিনা দেড় বাড়ি ছিল জিষ্ণুর মামার বাড়ীর পাশেই শিনা জিষ্ণুর থেকে বয়সে বড় কিন্তু জানিনা কেন মামির বকুনি খেয়ে যখন জিষ্ণু চুপ করে বসে থাকত বাইরে বারান্দায় তখন শিনা ওকে দেখত এবং সেটা প্রায় রোজ হত এই ভাবেই কেটে গেছিল দশ টা বছর যে বছর শিনা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করল সেই বছর জিষ্ণু কে দেখেছিল একটা বক্সিং রিং কথা কম বলা ছেলে জিষ্ণু জিতে গেছিল জিষ্ণু প্রথম রাউনড এই নক আউট করেছিল শিনা দের কলেজের বেস্ট বক্সার কে রাগ ধরেছিল কিন্তু উল্টো দিকে জিষ্ণু কে দেখে আর রাগ করতে পারে নি অবাক হয়েছিল ওদের কলেজের বক্সার হেরে গিয়েও হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীর চোখের মনি কিন্তু ছেলেটা একা এসেছিল জিতে গিয়েও চুপ করে নিজের কিট গুছিয়ে হাঁটা দিয়েছিল শিনা দৌড়ে এসে ওকে ধরেছিলতুমি জিষ্ণু না? জিষ্ণু একবার দেখেই কাঁধে কিট টা ফেলে সামনে এগিয়েছিল - হ্যাঁ কেন?
-
না তোমাকে আমি দেখি রোজ আমাদের সামনের বাড়িতে থাক তুমি তাই না? জিষ্ণু সাড়া দেয় নি এই কথায় এগিয়ে চলছিল সামনেইবক্সার একা লড়তে আসে জানতাম নাশিনা কথাটা বিঁধিয়ে বলার উদ্দেশ্যেই ছুঁড়ে দিয়েছিল জিষ্ণুর উদ্দেশ্যেযদি তুমি নক আউট হতে কে তোমাকে হাসপাতাল নিয়ে যেত” ? জিষ্ণু থেমে গেছিল ফর্সা মুখ টা লাল হয়ে গেছিল বলেছিলমার খেয়েই বড় হয়েছি আমি থমকে গেছিল শিনা জিষ্ণু এগিয়ে চলে গেছিল সামনে শিনা কে তোয়াক্কা না করেই শিনার মনে পরছিল তখন দুয়ারে ছলছল চোখে বসে থাকা একটা মিষ্টি মুখ
শিনা ফিরে এলো ভাবনার জগত থেকে জিষ্ণুর বুকে চোখ দিয়ে টপটপ করে উত্তপ্ত জল জিষ্ণুর নির্লোম বুক টা ভিজিয়ে দিচ্ছিল আগেব প্রবন জিষ্ণু কেঁদে চলেছিল তার স্বপ্ন শেষ এই ভেবে, আর তার বুকে কাঁদছিল শিনা এই ভেবে যে এতো কষ্ট করে বড় হবার কোন দাম ভগবান দিল না তার মনের মানুষ টা কে
[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#44
Jishnu Shiba r kichu connection ache mone hoche.....dujonei fortunate amon sathi pabar jonyo.....jishnu to peye gache.....ebar shiba ki korbe k jane......waiting for next
Like Reply
#45
দেখা যাক শিবা জিষ্ণুর সংঘর্ষ কোন দিকে মোড় নেয়
Like Reply
#46
একটা কথা আগেই বলে রাখা দরকার মনে হয় ...


যদিও এই গল্পটা পুরোনো Xossip  এ প্রচুর আলোড়ন তুলেছিল এবং সবার প্রশংসা পেয়েছিলো ..., কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে লেখিকা সমাপ্ত না করেই অন্তর্ধান করেছিলেন ...


কিন্তু যতটা অবধি লেখা হয়েছিল পুরোটাই উদ্ধার করতে পেরেছি এবং দিয়ে দেব এখানে ....
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
#47
(09-08-2021, 02:19 PM)ddey333 Wrote: একটা কথা আগেই বলে রাখা দরকার মনে হয় ...


যদিও এই গল্পটা পুরোনো Xossip  এ প্রচুর আলোড়ন তুলেছিল এবং সবার প্রশংসা পেয়েছিলো ..., কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে লেখিকা সমাপ্ত না করেই অন্তর্ধান করেছিলেন ...


কিন্তু যতটা অবধি লেখা হয়েছিল পুরোটাই উদ্ধার করতে পেরেছি এবং দিয়ে দেব এখানে ....

Apni baki ta sesh korun tobe......golpo ta khub bhalo
Like Reply
#48
কি হল তুমি ওকে দুধ খাওয়াচ্ছ কেন? জিষ্ণুর কথায় শিনা বলে উঠলদুধ তো ভাল, আমি তুমি বড় হয়েছি দুধ খেয়েই জিষ্ণু রেগে গেল, উঠে এসে শিনার হাত টা ধরে বললছেলের ল্যাকটোজেন কথায় গেল” ? শিনা উত্তর না দিয়ে চুপচাপ খাওয়াতে লাগলো ছেলেকে জিষ্ণু অধৈর্য হয়ে একটু জোড় গলায় বললকি হল কথা কানে যাচ্ছে না তোমার”? শিনা তাকাতেই জিষ্ণু দেখল শিনা কাঁদছে শিনা কেও জিষ্ণু চেনে বুঝে গেল ছেলের খাবারে কোপ বসিয়েছে শিনা জিষ্ণুর লড়াই এর টাকা জোগাড় করতে শিনা কে বুকে টেনে নিল দুজনাই কেঁদে উঠল একে অপর কে জড়িয়ে ধরে আর শিনার কোলে থাকা বাচ্চা টা না জানি কেন খিলখিলিয়ে হেসে উঠল ওদের কান্না কে উপহাস করে
[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#49
যতই হোক পুরুষ তো হোটেলে রান্না করতে করতে কালকে রাতে ম্যাম এর বুকে কাঁদা টা ভেবে লজ্জা পেলেও, ম্যাম এর শরীর থেকে যে মিষ্টি গন্ধ টা আসছিল সেটা ভেবে কেমন যেন একটু হয়ে গেল টলে গেল বেশ ভালরকম কেমন যেন সব সময় দেখতে ইচ্ছে করে কি রে বাবা এমনি কেন হচ্ছে কে জানে বার বার মনে পড়ছিল রাতে পাপির পাশে শুয়ে থাকা ম্যাম এর ভীষণ সুন্দর মুখটার কথা ধুস কোন তুলনাতেই আসে না নেহাত ম্যাম এর এখন খারাপ সময় চলছে তাই না শিবার মতন একজন এর সাথে বাধ্য হয়ে আছেন নাহ শিবা আর এসব ভাববে না সুধু ভয় পাপি কে নিয়ে ম্যাম যদি চলে যান শিবার যন্ত্রণা শিবা ম্যানেজ করে নেবে কিন্তু পাপি কি নিতে পারবে ওই ছোট্ট দুর্বল হৃদয়ে এতো বড় যন্ত্রণা নিতে?

ধুর ভাল লাগে না। কি যে করে না ছেলেটা? একটু তাড়াতাড়ি আস্তেও পারে না। পুরুষ গুলই এমনি হয়। নাই বা হলাম তোর বউ রে বাবা তা বলে তাড়াতাড়ি বাড়ি আসবি না? সারাদিন কাজ করতে দাও করবে। বাড়িতে একটু সময় কাটাতে বল কাটাবে না। নাই বা দিলি ভাও। তা বলে একটু দেখে মনের আশ মেটাই সেটাতেও তোর আপত্তি? কালকে রাতে বেশ কি সুন্দর লাগছিল অম্নি একটা দুর্দান্ত লড়ুয়ে কে নিজের বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে ধরে রাখতে।নিজের বাহুর দিকে তাকিয়ে দেখল শিবার শক্ত করে ধরে থাকার ছিহ্ন রয়েছে হালকা নিজের দুধ সাদা দুই বাহুর ওপরে। ঘুমন্ত মেয়েটাকে কে নিজের বুকের কাছে টেনে নিয়ে জিনিয়া ভাবতে লাগলো এই সব সাত পাঁচ ভুল ভাল জিনিস। মাঝে মাঝেই মেয়েটা কে দেখছে আর ভাবছেএই দুষ্টু টা আমার অংশ জাত না হয়ে হতেই পারে না, আমারিবলে আর টেনে নিচ্ছে কাছে নিজের। যেন ছাড়বে না। আর দুষ্টু টা কেমন মিশে যাচ্ছে জিনির বুকের সাথে। যেন খেলাসাথির সব থেকে প্রিয় খেলনা টা। মাঝে মাঝেই পাপি হেসে উঠছে। মুখের মিষ্টি হাসি টা জেগে উঠেই মিলিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝেই কান্না মতন মুখ টা হয়ে যাচ্ছে পাপির। তখন যেন আর কাছে আসছে সরে জিনিয়ার। হি হি, দুষ্টু টা স্বপ্ন দেখছে। কলিং বেল বাজতেই পাপির কপালে চুমু খেয়ে তড়াক করে উঠে পড়ল জিনি। এক ছুটে গিয়ে দরজা খুলেই দেখে নিল ঘামে ভেজা শিবার মুখ খানা শিবা যেন অপেক্ষা করছিল চাঁদের মতন মুখ টা দেখার জন্য। জিনি হেসে দরজা বন্ধ করে রোজকার মতন ওকে গ্লুকোজ দিয়ে গ্লাস টা নিয়ে খাবার বাড়তে থাকল। অপেক্ষা করছিল কখন শিবা খালি গায়ে এসে গা মুছবে।
[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#50
খেয়ে দেয়ে জিনিয়া চুল আঁচড়াচ্ছিল বড় আয়নাটার সামনে। শিবা সোফা তে বসেছিল। আর ভাবছিল কতদিন এই রকম জীবন আর চলতে পারে। এবারে এসবের একটা সেশ হওয়া প্রয়োজন। নিজের জায়গা ছেড়ে সব ছেড়ে এই বিভূঁই পড়ে থাকা ওর ভাল লাগে না।ঠিক সেই সময়েই দেখল ম্যাম আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের রেশমের মতন ঘন লাল চুল আঁচড়াচ্ছে। চোখ টা যেন আটকে গেল। এতো সুন্দর কি কেউ হতে পারে? কেমন একটা অপরাধ বোধ কাজ করছে শিবার মনে। দেখতে চাইছে না কিন্তু না দেখে থাকতেও পারছে না শিবা। শরীরের উত্তেজনা টা টের পেল শিবা সহসা। বুঝতে পারল বড় ভয়ঙ্কর টান। কোন সুন্দরী মহিলা নিজের লম্বা চুল আয়নার সামনে আঁচড়াচ্ছে আর সেটা দেখে কোন পুরুষ বিভ্রান্ত হয় নি ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। শিবার ক্ষেত্রেও ব্যেতিক্রম হল না।বড় অস্বস্তি হচ্ছে শিবার। একে তো ম্যাম। তারপরে শিবার কাছে বিপদে পড়ে আশ্রয় নিয়েছে। শিবা কেমন করে এই সব খারাপ ভাবতে পারে? শিবা যতই নিজেকে সরিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে ততই যেন আর পাকের দলদলে ঢুকে চলেছে। জিনিয়ার মনে হয় সেই রূপ যে রূপ দিয়ে পুরাকালে অপ্সরী রা মুনি ঋষি দেড় ধ্যান ভাঙ্গাত। আর শিবা তো একজন জীবন যুদ্ধে ঘা খাওয়া একজন পুরুষ মাত্র। এদিক ওদিক করে শিবা ঘরে ঢুকেই পড়ল। জিনিয়া দেখেই বুঝল যে কিছু তো একটা ব্যাপার যার জন্য শিবার ঘরে আগমন। জিনিয়ার শিবা কে দেখলেই মনে পড়ে যায় ছোটবেলায় শিবা কে মার দেওয়া টা। লজ্জা লাগে। মাঝে মাঝে ভয় পায়। কি জানি মানুষের মন কোনদিন হয়ত বলল অনেক মেরেছেন আপনি আমাকে আজকে আমি দি দুই ঘা। যা নমুনা দেখেছে জিনিয়া শিবার মার দেবার, বড় বড় লড়ুয়েও ভয় পাবে। জিনিয়ার চুল আঁচড়ানো হয়েই গেছিল। সুন্দর ঘন লম্বা চুল টা একটা ক্লিপ দিয়ে পিছনে বেঁধে শিবার দিকে তাকাল।
-
কি রে কিছু বলবি? তুই কিন্তু রেস্ট কম নিচ্ছিস শিবাশিবা হাসল। উত্তর তো পাওয়া যায় না বললেই চলে। বসল ঘরের মধ্যে রাখা একটা সোফা তে।তোকে কতবার বলেছি এই ঘরে সি আছে এইখানে তুই ঘুমস। তুই তো শুনিস না আমার কথাজিনিয়ার কথায় শিবা তাকিয়ে হেসে ফেলল। বললযবে থেকে আপনি এসেছেন ম্যাম তবে থেকে আমি ঘুমই, না হলে ঘুমতাম কোথায়? একটা বোঝা বয়ে বেরাতাম অনবরত। মেয়েটা আমার কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যেত আমার কোলে
-
মেয়েটা তোর একার না আমার পাপির কপালে হাত রেখে কথা টা বলেই জিনিয়া শিবার দিকে তাকাল। বুঝিয়ে দিল শিবা কে যে মেয়ের ব্যাপারে ততটাই পসেসিভ যতটা শিবা। ওই মেয়ের জন্য যতটা শিবা করতে পারে জিনিয়াও পারবে করতে। শিবা আর কিছু বলতে সাহস পেল না জিনিয়া কে। কারন ম্যাম এর চোখে পাপির জন্য সেই মাতৃ সুলভ বুনো অথচ ভীষণ আদ্র ব্যাপার টা দেখতেই পেল। শিবা কোন কথা না বলে চলে যেতে পিছন ফিরতেই জিনিয়া শিবার হাত টা ধরে বলল- “ কি হয়েছে? আমাকে বল? জানি আমার ওপরে তুই রেগে আছিস। আমি এই ভাবে তোর সাথে আছি বলেজিনিয়া ইচ্ছে করেই শিবা কে আঘাত করল। শুনতে চাইছিল শিবার সেই কথাটা। দেখতে চাইছিল একটা বাজে কথাতে শিবার রেগে যাওয়া। শিবা চেয়ে রইল জিনিয়ার দিকে। কত বড় কথা বলল ম্যাম নিজের জানেন না হয়ত। শিবা যে কি পরিমান নিশ্চিন্ত সেটা যদি ম্যাম কে বঝাতে পারত ও। কোন কথাই বলল না শিবা। জিনিয়া শিবার চোখ দেখে বুঝে গেল কত টা আঘাত শিবা কে দিল। শিবার হাত ধরে বিছানায় বসাল।
[+] 9 users Like ddey333's post
Like Reply
#51
Dada apni baki ta post kore nijer moto kore eta k lekha suru korun.....apni jakhon post korchen takhon eta apanar o khub pachonder lekha....plz think abt it
Like Reply
#52
তাদের ভেতরে ঘনিষ্টতার অপেক্ষায় আছি, বেশ ভালোই চলছে...........
Like Reply
#53
"মুহূর্তএই শরীর টা যেন ছেড়ে দিল শিবা ঠিক করে নিয়েছে ওকে কি করতে হবে পেশি গুলো কে খেলতে দিল শিবা কেউ জান্তেই পারল না ঢিলে জামার ভিতরে কিলবিল করতে থাকা পেশি গুলো যেন নিজেদের মধ্যে জায়গা ঠিক করে নিয়ে বসে গেল শরীরের মধ্যে
-
কি রে লড়বি নাকি? হা হা হা ওরে হাবলা, দেখে যা এই বাঞ্চত কথা বুঝছে না ওকে বলে দে লাকি কি মাল!! কথা টা সেশ হল না লাকির, জিনিয়া দেখল চোখের পলক পড়ার আগেই একটা ঘুষি লাকির চোয়ালে বসে গেল এমন ভাবে যে শব্দ টা এলো অনেক পরে ততক্ষনে লাকি যেন একটু উড়ে গিয়ে দরজায় শব্দ করে ধাক্কা খেল জোরে, আর কাটা কলাগাছের মতন পরে গেল জিনিয়ার পায়ের কাছে জিনিয়া হাঁ করে চেয়ে রইল কাঁপতে থাকল জিনিয়া, এই ভেবে যে শিবা কে মনে হয় আর বাঁচানো যাবে বাইরে কম করে সাত আট জন আছে প্রায় দু বছর বাদে হাড়ে হাড়ে ঠোকাঠুকির আওয়াজ পেয়ে যেন ভিতরের বাঘ টা জেগে উঠছে শিবার শরীরের পেশি গুলো যেন জানান দিচ্ছে তারা তৈরি পা দুটো কে অদ্ভুত ভঙ্গি তে নাচাতে থাকল শিবা ততক্ষনে দুজন এসে গেছে ঘরের ভিতরে শিবা জানে বেশি সময় পাওয়া যাবে না যে ঘুষি টা মারবে সেটাই ফাইনাল হতে হবে গেম প্ল্যানের জন্য ছিল বিখ্যাত সামনের ছেলে টার থেকে পিছনের টাকে আগে বেছে নিল সামনের ছেলেটার দুর্বার ঘুষি টা মাথাটা সামান্য কাট করে এরিয়ে গেল ছেলেটা ঝুকে পড়ল সামনে অনেক টা শিবা জানে এই ফুল সুইং ঘুষি গুলতে অনেক শক্তি ক্ষয় হয় ওকে দেখল না ওর টাইম জ্ঞান অসাধারন জানে ওই ভাবে ফলস খাবার পরে একজন বিশেষজ্ঞের কত টাইম লাগতে পারে উঠতে কিন্তু সামনেই পেয়ে গেল পরের মোটা মাল টাকে ওকে চোয়ালে না মেরে ঘুষি টা বাম হাতে নিল হালকা পিছনে ভাসিয়ে সোজা হিট করল ছেলেটার কানের পিছনের ঘাড়ের ডান দিকে দরজার পাশেই যে কোন টা ছিল সেখানে ছেলেটা ধাক্কা খেয়ে গড়িয়ে পড়ল মেঝেতে ঠিক পরের ছেলেটা বুক চিতিয়ে রাজার মত লড়তে এসেই কাল করল শিবার বহু বিখ্যাত বাম পায়ের মোক্ষম লাথি টা বসে গেল ছেলেটার বুকের মাঝে পিছনের দুটো ছেলেকে কে নিয়ে পড়ল পাশের নর্দমায় শিবার ফাইনাল শট গুলো যেন মুখ থেকে আওয়াজ করতে দিচ্ছে না প্রতিপক্ষ কে সেশের ছেলেটা একটা লাঠি হাতে ঘরে ঢুকেই সপাটে চালাল শিবার মুণ্ডু লক্ষ্য করে কি আশ্চর্য শিক্ষা শিবার আওয়াজেই বুঝে গেল লাঠিটা কথা দিয়ে আসছে শক্ত করে নিল নিজের বাইসেপ্স টা লাঠি টা যেন রাবার ধাক্কা খেয়ে ফিরে গেল ফুল সুইং ততক্ষনে সময় হয়ে গিয়েছে সেই ছেলেটার নিজেকে সাম্লে উঠে আক্রমন করার পিছন ফিরে চালাল ডান হাতের একটা পাঞ্চ ছেলেটা ঘুষি টা মেরে টাল সাম্লাতে না পেরে পরে গিয়েছিল বেচারি উঠে সবে ঘুরেছে সেই সময়ে পাঞ্চ টা ল্যান্ড করল চোয়ালেওর দিকে তাকিয়েও দেখল না শিবা, পিছনে ঘুরে লাঠি হাতে ছেলেটা কে দ্বিতীয় বার লাঠি তোলার সুযোগ না দিয়ে ডান পা দিয়ে ছেলেটার পাঁজরে মারতেই ছেলেটা পাঁজর চেপে ধরে ঝুঁকল ততক্ষনে খেল খতম শিবার বাম পা টা ছেলেটার ঘাড়ে টাচ করেই নেমে এলো মেঝেতে খুব বেশি হলে তিন সেকেন্ড টার মধ্যেই সাতটা ছেলে কে শুইয়ে দিয়ে জিনিয়ার হাত টা ধরে বেড়িয়ে এসেছে শিবা" -
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
#54
তারপর থেকে শিবার উত্তরনের কাহিনী সেদিন রাতে জ্যাক কে নক আউট করার পর শিবা কে থামতে হয় নি আর টাকা!! সে বোধহয় শিবা কোনদিন ভাবতে পারে নি যে এত টাকা কোনদিন রোজগার করতে পারবে কিন্তু সব কিছু ভালর একটা সীমা থাকা প্রয়োজন ভগবান ওপর থেকে দেখেন আর হাসেন বলেনবাবু রে আর এগোস না সামলাতে পারবি না হি হি কিন্তু মানুষের দুর্ভাগ্য সেটা মানুষ শুনতেও পায় না আর বুঝতেও পারে না আর শিবা তো লেখাপড়া না শেখা একজন লড়ুয়ে মাত্র এত টাকার হাতছানি উপেক্ষা করবে কি ভাবেছোট বেলায় মাকে খুন হতে দেখা একটা ছেলে যে তারপর থেকে দু বেলা ঠিক করে না খেতে পেয়েই বড় হয়েছে তার পক্ষে এত টাকার লোভ সামলান মুশকিল কিন্তু বড় কঠিন এই জীবন কখনও মনে হয় বেশ শক্ত পায়ের জমি টা কিন্তু কোথা থেকে ভুমিকম্প এসে বুঝিয়ে দিয়ে যায় যে আসলেই নড়বড়ে সে জমি টাঅনেকেই বোঝে না সুখ দুঃখ বড়ই পাশাপাশি চলে আর এটা নির্ভর করে সেই মানুষটার ওপরে যে সুখ দুঃখ কে এই মুহূর্তে উপলব্ধি করছে কোথাও পাল্লা এদিক ওদিক হয় না বড় হেঁয়ালি ওপরওয়ালার যে এটা জানে না যে দুঃখ না থাকলে সুখের কোন অস্তিত্বই নেই তাকে তিনি এই উপলব্ধি টাই দেন নি বোঝার সে সারা জীবন সুখের পিছনে ছোটে আর যে জানে এই সত্য টা তার জীবনে দুঃখই আসে না কারন সে তো জানে এটা ক্ষণস্থায়ী সেটা দুঃখই বল বা সুখ সেই মানুষ টি সুখের দিনে দুঃখের জন্য তৈরি হয় আর দুঃখের দিনে দুঃখ কে গলায় ঝুলিয়ে নিয়ে এগিয়ে চলে কিন্তু একজন ২২ বছরের ছেলে এগুল বুঝবে কি ভাবে? আজ শিবা সামান্য সুখ পেলে তাকে বড় সমাদরে মাথার ওপরে বসায় এখন জানে এর মুল্য কত টা!! কিন্তু সেইদিনের শিবা তো জানতই না দুঃখ কত ভাবে আসতে পারে জীবনে যত জিতেছে শিবা, ততই বন্ধু বৃদ্ধির সাথে সাথে শত্রু বেড়েছে গোটা দেশে শত্রু ছড়িয়ে গেছিল শিবার তার মানে এই নয় যে শিবা সেটা জানত না কিন্তু শিবা কোনদিন হারতে পারত না সেটাই ছিল শিবার সমস্যা বিয়ে করেছিল মিলি কে বড্ড মিষ্টি একটা মেয়ে ভালবেসেছে তাকে প্রান দিয়ে মুস্তাফা দা সম্পর্ক টা করিয়েছিল শিবা না করে নি দেখতে হয়ত খুব ভাল ছিল না মিলি কিন্তু অম্নি মিষ্টি মেয়ে হয়ত শিবা পেত না সাড়া দিনের ক্লান্তি ঘরে এসে দূর হয়ে যেত মিলির আদরে এক বছরের মাথায় মিলির কোল আলো করে এসেছিল প্রাপ্তি প্রাপ্তি আসার পড়ে যেন শিবার খ্যাতি বেড়ে গেছিল দশগুন প্রাপ্তি তখন এক বছরের মেয়ে সবে দুই একটা আধো আধো কথা বলতে শিখেছে হাঁটতে শিখছে পড়তে পড়তে সে এক ভারি সুন্দর সময় এক সাথে হাসান, মুস্তাফা দা, হাস্নু , মিলির আর প্রাপ্তির সংসার সিঙ্গাপুর লড়াই এর ডেট ফিক্স হল বাড়ীর সবাই খুব খুশী শিবা ভাবে নি পেটে এক এক দিন দানা পানি না পড়া শিবা আজকে সিঙ্গাপুরে লড়তে যাচ্ছে যেদিন সিঙ্গাপুর যাবে তার আগের দিন ডাক্তারের কাছে পরীক্ষা করাচ্ছিল শিবা মুস্তাফা দা আর গেছিল হাস্নু গেছিল একটু দুরেই নিজের বাপের বাড়ি তে ডাক্তারের সাথে কথা বলে বাড়ি তে ঢোকার আগে বাড়ীর সামনে অ্যাম্বুলেন্স দেখে বাড়ি ঢুকে যা দেখেছিল শিবা তাতে চিৎকার করে কেঁদে উঠেছিল ফুলের মতন মিষ্টি মেয়ে মিলি রক্তাক্ত হয়ে পড়েছিল মেঝেতে আর হাসান দরজার সামনে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল চারিদিক প্রাপ্তি হাস্নুর কোলে রক্ত মাখা অবস্থায়…………………………………………জেনেছিল কিছু লোকজন এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিল বাড়ি লক্ষ্য করে সোজাসুজি মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছিল মিলির মেয়েটাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলি খেয়েছিল হাসান পিছনের স্পাইনাল কর্ড মেয়েটা বেঁচে যায় হাসানের জন্য
[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#55
Ekta paragraph ager theke copy paste hoieche
Like Reply
#56
(10-08-2021, 01:30 PM)raja05 Wrote: Ekta paragraph ager theke copy paste hoieche

হ্যাঁ , একটু উল্টো পাল্টা হয়ে গেছে ...

এখন আর ঠিক করা যাবেনা ... পরে দেখবো ...
Like Reply
#57
No issues.....apni amar katha ta bhabchen to again ei goplo ta start korar ?
Like Reply
#58
(10-08-2021, 02:57 PM)raja05 Wrote: No issues.....apni amar katha ta bhabchen to again ei goplo ta start korar ?

এই ধরণের গল্পের একটা পূর্ব-পরিকল্পিত প্লট বানানো হয় , যেটা শুধু মূল লেখক বা লেখিকার মনের ভেতরেই থাকে ...


তাই অন্য কারো পক্ষে অসমাপ্ত গল্পকে সমাপ্ত করা প্রায় অসম্ভব , করলেও সেটা জোর জবরদস্তি হয়ে যায় এবং গল্পের খেই হারিয়ে যায় , আসল এসেন্স আর বজায় থাকে না !!

দেখা যাক অপেক্ষা করে , যদি কোনোদিন লেখিকা ফিরে আসেন ... আর সম্পূর্ণ করেন ....  Namaskar Smile
[+] 3 users Like ddey333's post
Like Reply
#59
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছিল মহেশের লোক গুলি চালিয়েছিল শিবা কে মেরে ফেলবার জন্য একটা বাঙ্গালী লড়ুয়ে এত উন্নতি করছে সেটা সহ্য হয় নি মহেশের শিবা পাথর হয়ে গেছিল এই নির্মমতায় এত বর্বরতা? চায় না এই জীবন, এই অর্থ, এই ঐশ্বর্য ওর প্রাণপ্রিয় বন্ধু হাসান আধ পাগল মেরুদণ্ড হীন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি!!! ওর মিলি!!উফফফ ভগবান কেন দিয়েছিলে এই জীবন? শিবার মনে হত তখন মরে যাওয়াই ভাল কিন্তু ছোট্ট কাঁদতে থাকা মেয়েটা কে কোলে নিয়ে রাতে ঘুম পাড়ানোর সময়ে মেয়েটা কে দেখে মরতে ইচ্ছে করে নি কিন্তু ওর মেয়েকে আর এই নরকে রাখতে ইচ্ছেও করেনি শিবার হাসানের নামে নিজের যা ছিল সব দিয়ে মেয়েকে নিয়ে একদিন অন্ধকারে বেড়িয়ে এসেছিল কলকাতার রাস্তায় এই ভেবে যে আর মারামারি না মেয়েকে নিজের যত কষ্টই হোক, একটা সুস্থ স্বাভাবিক কাজ করে মানুষ করবে...............নিস্তব্ধ ঘর বাইরে দুরের কোন ল্যাম্প এর আলো কাঁচের জানালা দিয়ে ঢুকেছে ঘরে শিবা আর জিনিয়া দুজনাই চুপ সি চলছে কিন্তু তাতেও শিবার পেশীবহুল শরীরে বিন্দু বিন্দু ঘাম জিনিয়া শক্ত করে ধরে আছে শিবার বলিষ্ঠ বাহু দুটো কে সব কিছু শুনে জিনিয়া হয়ে গেছে যেন কেন তো দুঃখ, এত কষ্ট জীবনে কেন নিজের আপন মানুষ গুলো কে হারিয়ে ফেলে মানুষ কি দোষ ছিল শিবার যে গড ওকে এত বড় শাস্তি দিলেন? নিজে চূড়ান্ত রকম ভাবে ভয় পেয়ে দেখে নিল একবার পাপি কেনিশ্চিন্ত হল ওকে হাত দিয়ে দেখে, যে না ঠিক আছে তারপরেই থাকতে না পেরে জড়িয়ে ধরল শিবা কে পিছন থেকে কেমন একটা হারিয়ে যাবার ভয়ে আঁকড়ে ধরল শিবার ভেজা শরীর টা কে জিনিয়ার মনে হতে থাকল কি করবে যদি এদের একজন কেও হারিয়ে ফেলে কোনদিনও? উফফ আর ভাবতে পারছে না শরীরের যত জোড় ছিল আঁকড়ে ধরে রইল শিবা কে.........

----------------------


[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#60
তারপর থেকে শিনা জিষ্ণুর সাথে একটু বেশি করেই কথা বলতে চাইত এখন আর জিষ্ণু বাইরে ছল ছল চোখে বসে থাকে না আগে জিষ্ণু বসে থাকত দুয়ারে এখন শিনা বসে থাকে দুয়ারে জিষ্ণু কে দেখতে পাবে বলে কিন্তু অদ্ভুত খেঁচা এই ছেলেটা দেখতে কিন্তু রোজ পায় শিনা কে যে শিনা দুয়ারে বসে আছে আর কুড়ি বছরের ছেলে এটাও নিশ্চয়ই বোঝে যে শিনা ওর জন্যেই বসে আছে একবার তো হাসতে পারে? হাসবে না শিনা ছাড়বার পাত্রি নয় জানিনা কেন জিষ্ণুর মধ্যে কেমন যেন একটা অদ্ভুত সরলতা দেখেছে কি করে যেন বুঝেও গেছে যে, যে ছেলে এত নিজের কাছে এত টা সৎ সে অন্যের কাছে অসৎ হতেই পারে না সেইজন্য জিষ্ণু ওর থেকে পাক্কা দুই বছরের ছোট হলেও জিষ্ণুর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে কিন্তু ছেলেটা পাত্তাই দেয় না দেখতে মোটেই খারাপ নয় শিনা ফর্সা, সুন্দরী, বেশ ভাল লেখাপড়া তেছেলেরা পাগল শিনার জন্য আর এই ছেলেটা পাত্তাই দেয় না কি জানি কি ভাবে নিজেকে তাই একদিন ধরেই ফেলল জিষ্ণু কে একদম রাস্তার মাঝে সন্ধ্যে হব হব তখন
-
এই যে বক্সার!! জিষ্ণু পিছন ফিরে একবার দেখেই সামনে হাঁটা লাগাল শিনা কে চেনে খুব ভাল করে যখন মামির হাতে মার খেয়ে অনাদরে বাইরে বসে কাঁদত এই মেয়েটি যেন ওদের দুয়ার থেকে ওকে দেখে বলতে চাইত, “ কেঁদো না কিম্বা হয়ত চাইত না ঠিক ওই কথাটাই বলতে, কিন্তু জিষ্ণু এটা ভেবেই নিজেকে সান্ত্বনা দিত ওর ইচ্ছে করে মেয়েটির সাথে কথা বলতে কিন্তু ভয় পায় ভয় পায় ওর অতীত কে ভয় পায় সেই রাত কে জেই রাতে ওর বাবা ওর মা কে মেরে ফেলেছিল কেউ কি ওকে মেনে নেবে যে এই অতীত টা জানবে? কেউ না তাই যত টা পারত উপেক্ষা করত মেয়েটি কে
-
এই যে কি হল ডাকছি শুনতে পাচ্ছ না? শিনা একদম সামনে এসে দুটো হাত ছড়িয়ে পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়েছিল জিষ্ণুর সামনেখুব দেমাক তো তোমার! ভাল বক্সার তুমি আমি মানছি কিন্তু তাই বলে এই ভর সন্ধ্যে বেলায় একটি সুন্দরী মেয়ে তোমাকে ডাকছে তুমি সাড়া দেবে না? বিপদে পড়েও তো ডাকতে পারি”? জিষ্ণু চারিপাশ টা একবার দেখে নিল কাউকেই না দেখে বললকিন্তু তুমি তো বিপদে পড় নি
-
সে না পরলেই বা, তোমার সাড়া দিলে কি আয়ু কমে যাবে নাকি ঘুষির জোর কমে যাবে এইবারে জিষ্ণু হেসে ফেলল বললবেশ এই ভাবে হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে না থেকেও কথা বলা যায় আর আমাদের বাড়ি এখান থেকে অনেক টা হাঁটতে হাঁটতে কথা সেরে ফেললে হয় না”?
-
সেটা তো হয় কিন্তু তুমি কি বোকা? আমি এত তোমাকে ইঙ্গিত দিচ্ছি আর তুমি বুঝছ না আর এত ভিতু একটা মেয়েকে একসেপ্ট করতে”? পাশে হাঁটতে হাঁটতে শিনা বলেই ফেলল কথাটা
-
না বুঝছি না, আর হ্যাঁ অবশ্যই আমি ভিতুতারপরেই জিষ্ণু দাঁড়িয়ে পরে শিনার দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলেছিলআমার বাবা আমার মা কে খুন করে জেলে আছে এখনসন্ধ্যে বেলায় রাস্তার নিয়ন লাইটের আলোয় জিষ্ণুর ঘামে ভেজা মুখ টা তখন দেখে চমকে উঠেছিল শিনা কি বলছে ছেলেটা? “ কষ্ট, ঠিক এই খানটায়বলে নিজের বুকের বাম দিক নিজের হাত টা মুঠো করে দুবার ঠুকেছিল জিষ্ণুকষ্ট হয়, যখন কেউ সব ছেড়ে চলে যায় যে ছাড়া কিছু জানতাম না একদিন সকালে দেখলাম সে নেই যে আমাকে কোলে করে নিয়ে সাড়া পৃথিবী চিনিয়েছে ওই চার বছর বয়সে তাকে হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি আমি আমি ভিতু, সত্যি ভীতু, আমার বাবা জেলে ছিল, আমার জীবনের সব আমার দাদা আমাকে এই পৃথিবীতে একা ফেলে চলে গেছে ওই আলোয় শিনা দেখেছিল জিষ্ণুর চোখে টলটল করছে জল জিষ্ণু আর অপেক্ষা করেনি বেরতে যাওয়া চোখের জল টা হাতের উল্টো পিঠে মুছে দৌড় লাগিয়েছিল সামনের দিকে
[+] 8 users Like ddey333's post
Like Reply




Users browsing this thread: 3 Guest(s)