Thread Rating:
  • 29 Vote(s) - 3.24 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance এক ফালি রোদ আর তার নাম আশা by nandanadas1975
#21
- শিবা যে ছেলেটার সাথে তোর প্রথম লড়াই, কিন্তু মনিপুর থেকে এসেছে ওখানে প্রায় তিন লাখ জিতে এসেছে
-
এই চুপ কর!!!!! মুস্তাফার ধমকে হাসান চুপ করে গেল মুস্তাফা বলেই চলললড়াই এর আগে এই সব বলবি না ওকে
-
ঠাণ্ডা মাথায় লড়বি

রিং যখন ঢুকল আর পিছনের দরজা টা বন্ধ হয়ে গেল শিবার সামনে দাঁড়িয়ে জেমস মনিপুরের ছেলে নামি লড়ুয়ে শুরুর আগে হ্যান্ড শেকের সময়ে যেইমাত্র লড়াই এর ঘণ্টা বেজেছে, সেই মুহূর্তেই জেমস বাম হাতের একটা ফুল সুইং পাঞ্চ করল একসাথে চার পাঁচ জনের সাথে লড়াই টা কাজে দিল শিবার প্রথম দিনেই ওর সৎবিত আগেই ওকে জানিয়ে দিয়েছিল অনেক সময় পেল ওর ঘুষি টা কে এড়িয়ে যাবার চাইলে ওই ঘুষি টা আটকে ওর খোলা মুখে পাঞ্চ বসাতে পারত কিন্তু করল না ঘুষি টা এড়িয়ে গেল জেমস আশাই করেনি একজন আনকোরা নতুন লড়ুয়ে ওর এই মোক্ষম চাল টা ধরে ফেলবে কিন্তু অবাক হল সাথে একটা ভয় ঢুকল ওর মনে বুঝে গেল সামনের প্রতিপক্ষ অনেক অনেক দ্রতগতির পাঞ্চ টা চালানর সময়ে মুস্তাফা চোখ বুজে ফেলেছিল ভেবেছিল ইসস ছেলেটা কে বলে দিলে হত যে এই রকম কেউ কেউ করে থাকে সময় দেয় না প্রতিপক্ষ কে লড়াই করার তার আগেই নক আউট করার জন্য মুখিয়ে থাকে মুস্তাফা নিশ্চিত ছিল জেমস প্রথম ঘুষি তেই শিবা কে নক আউট করে দিয়েছে কিন্তু চোখ খুলেই দেখল জেমস ঝুকে পড়েছে ঘুষি টা মিস হয়ে যাওয়ায় আর শিবা ওর মুখে পাঞ্চ টা মারতে গিয়েও মারল না মুস্তাফার ঠোঁটে এক চিলতে হাসি প্রকাশিত হল মুখে চিলতে হাসি টা অনেকক্ষণ ধরে রইল ওদিকে শিবা মাঝে মাঝেই জেমস কে বাজিয়ে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে কখন ডান পায়ের প্রচণ্ড দ্রুত গতির কিক টা হালকা করে পাঁজরে বসিয়ে দিচ্ছে জেমস এর জেমস ঝুঁকে পড়লেও নকআউট করতে গিয়েও করছে না প্রথম রাউনড সেশ হবার পরে হাসান মুখ থেকে গার্ড টা খুলে নিল শিবার - কি রে পাঞ্চ গুলো মারতে গিয়েও মারছিস না কেন? – থাক না শিবার ছোট্ট উত্তর

কম করে দশবার সুযোগ পেল শিবা জেমস এর মতন পাকা খেলোয়াড় কে নাকাল করবার কিন্তু করল না টানা সাত রাউন্ড চলার পরে জেমস হাল ছেড়ে দিল জিতে গেল শিবা জেমস মুস্তাফা আর হাসান মিলে সেই রাতে প্রায় তিরিশ হাজার টাকা কামাল
[+] 4 users Like ddey333's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#22
হ্যালো?
-
কে শিবা? বল
-
তুমি এখনি এস একবার গাড়ি নিয়ে আসবে
-
কেন কি হল? আগে এস পরে বলছি

রাত তখন তিনটে পাপি ঘুমোচ্ছে জিনিয়ার কোলেমুস্তাফা সব শুনে জিনিয়া কে বলল-
-
ম্যাম আপনি আমার বাড়িতে চলুন মেয়ে টা কে নিয়ে
-
মহেশ চুপ বসবে না চল ওদের কে আগে রেখে দিয়ে আসি আর পুরনো হিসাব টা মিটিয়ে আসি

মুস্তাফার বাড়িতে জিনিয়া পাপি কে কোলে নিয়ে শুয়ে আছে পাপি ভয় পেয়েছে কোন কারনে জিনিয়া আর শিবা ছাড়া কারোর কোলে যাচ্ছে না বিছানার পায়ের দিকে বসে বসে আছে মুস্তাফার বউ হাস্নু ভোর হতে চলল প্রায় বাইরে হালকা আলোর আভাস শিবা ফিরে গেছে ওর স্থির বিশ্বাস যে ওকে কেউ চিনতে পারে নি কিন্তু জিনিয়ার কেমন ভয় লাগছে এতো ঘটনার পরে এই মানে দাঁড়াল যে ওকে লুকিয়েই থাকতে হবে যেন প্রাপ্তি কে আর বুকে টেনে নিল মেয়েটা ঘুমিয়ে গেছে সি টা অফ করে দিল হাস্নু মেয়ে টা কে ঢাকা দিয়ে বাইরে বেড়িয়ে এলো দুজনায় ভোরের নরম আলোয় হাস্নু শুনতে লাগলো শিবার সাথে জিনিয়ার কি ভাবে কি সম্পর্ক সব শুনে বলল হাস্নু,
-
কিছু মনে কোর না বোন, শিবা তোমাকে ভাল বেসে ফেলেছে মন টা কেমন নেচে উঠল জিনিয়ার কিন্তু মন মানছে না সেদিনের প্রনামের কথা টাও বাদ দেয় নি ওরা দুজন মেয়েই ভিন্ন ধর্মের কিন্তু আরেক টি ভিন্ন ধর্মের পুরুশের মন পড়তে ওদের অসুবিধা হল না -“ আর তুমিও ওকে ভালবাস খুববয়সে বড় তো কি হয়েছে? পুরুষ রা পুরুষ আর আমরা নারি ভালবাসলে কোন ক্ষতি তো নেই
-
কিন্তু ভাই ওকে বোল না যেন লজ্জায় মরে যাব আমি যেদিন বলবে আমি মেনে নেবনা হলে থাক আমার ভালবাসা আমার মনে... জিনিয়ার কথা আর কেউ না বুঝুক মেয়ে হয়ে হাস্নু ঠিক বুঝল হেসে বললপোড়ারমুখী
জিনি হাস্নুর থেকে বছর তিনেকের বড়ই হবে কিন্তু মেয়ে টিকে বেশ পরিনত লেগেছে জিনিয়ার
[+] 6 users Like ddey333's post
Like Reply
#23
শহরে এসেছে ব্রাজিলের সব থেকে বিপদজনক ফাইটার জ্যাক দিসুজাএখন অব্দি ১৭ টা লড়েছে সব গুলো কেই পাঠিয়েছে হাসপাতাল একজন মৃত ওর সাথে লড়লে প্রায় ৩০ লাখ টাকা পাওয়া যাবে হাসানের ইচ্ছে নেই কারন অতো টাকা সে চায় না মুস্তাফা ছেড়ে দিয়েছে ওটা শিবার হাতে শিবার ইচ্ছে ভীষণ জ্যাক এর সাথে লড়ার অতো গুলো টাকা সে মুস্তাফা কে বলল যে ওর নাম টা যেন পাঠিয়ে দেয় ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই খবর এলো প্রিন্সেপ ঘাটে রাত আড়াইটা তে লড়াই হবে
শিবা যখন ঢুকল রিং তখন দুটো পঁচিশ একটা লাল গেঞ্জি পড়ে ছিল ঠিক আড়াই টা তে এলো জ্যাক কাল মাথা নেড়া করা জ্যাক নেমেই রেফারী সাথে হ্যান্ড শেক করে তাছিল্য ভরে শিবা কে দেখল শিবার চোয়াল টা আপনা থেকেই শক্ত হয়ে গেল শিবা ছয় ফুট লম্বা হলে জ্যাক কিছু না হলেও ফুট লম্বা রেফারী অনুমতি দিতেই জ্যাক ভয়ঙ্কর আগ্রাসন লেগে পড়ল শিবাকে নক আউট ঘুষির পর ঘুষি গুলো আছড়ে পড়তে থাকল শিবার দুই পাঁজরে শিবা কনুই দিয়ে গার্ড দিয়ে জড়িয়ে ধরল জ্যাক কে জ্যাক শারীরিক ভাবে অনেক বিশাল আর শক্তিধর সেটা শিবা বিলক্ষন জানে কিন্তু এতো বড় শরীর কে নিয়ে এতো খিপ্রতায় নরাছরা করতে শক্তিক্ষয়ের পরিমান শিবার থেকে অনেক বেশি জ্যাক এর শিবা জানে যে জ্যাক সেই জন্যেই অতো ভয়ংকর বন্যতায় আক্রমন করছে তাড়াতাড়ি সেশ করে দেবে লড়াই টা এই আশায় আর আক্রমন করছেও সেই ভাবেই রেফারী ততক্ষনে ছাড়িয়ে নিয়েছে দুজন কে কিন্তু পুরোপুরি ছেড়ে দেবার আগেই শিবার পাঁজরে আছড়ে পড়ল জ্যাকের একটা শক্তিশালি পাঞ্চ অন্য কেউ হলে শুয়ে পড়ত ওখানেই কিন্তু শিবার আছে অসম্ভব মার খাবার ক্ষমতা দারিদ্র, অপমান সয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার অদ্ভুত আকিঞ্চন ভারতীয় বলেই হয়ত এটা সম্ভব শিবার অভূতপূর্ব মার খাবার ক্ষমতার জন্য সয়ে নিল জ্যাকের ওই ভয়ংকর পাঞ্চ জ্যাক হয়ত ভেবেছিল ওই পাঞ্চ টা তেই শুয়ে পড়বে এই ভারতীয় ছেলেটা কিন্তু শিবা একটু নড়ে উঠেই আবার আগের মতন নড়তে চড়তে লাগলো রিং একটা চিনচিনে ব্যাথা পাঁজর বরাবর শুরু হল শিবার সত্যি পাঞ্চ টা জোরে ছিল মাথা টা নিচু করে নেচে চলেছিল শিবা প্রথম রাউনড এর ঘণ্টা পড়তে হয়ত আর কিছু সেকেন্ড বাকি শিবার নাগালে জ্যাক অসম্ভব বিদ্যুৎ গতির ফুল সুইং পাঞ্চ টা বসিয়ে দিল জ্যাক এর চোয়ালে জ্যাক যেন থতমত খেয়ে নড়ে উঠল একবার আবার মুখ থেকে সরে গেছে আড়াল শিবা ফাইনাল পাঞ্চ টা ডান হাতে নিতে যাবে সেই সময়ে বেজে উঠল ঘণ্টা
[+] 8 users Like ddey333's post
Like Reply
#24
দেখার অপেক্ষায় যে শিবা তার আশার জন্যে আর কি কি করতে পারে..........
Like Reply
#25
Wating for next update
[+] 1 user Likes কুয়াশা's post
Like Reply
#26
great story ........khub bhalo .....lets see what happens next
Like Reply
#27
(24-07-2021, 07:55 PM)ddey333 Wrote: এই গল্পটা খুব জনপ্রিয় হয়েছিল Xossip  এ ...

আমাদের মতো সাধারণ পাঠকদের কথা তো ছেড়েই দিলাম , মস্ত মস্ত বড়ো লেখকেরাও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন এটাকে

পিনুরাম , রৌনক , অভি ,বোরসেস , তুমি যে আমার .... এনারা সবাই ... আরো অনেকেই ....
Smile


Ami oi site chilam na.....akhon to offline hoie gache ota.....plz.post dada.....khub bhalo golpo mone hoche.....
Like Reply
#28
Dada aj dilen na ?
Like Reply
#29
সেদিন রাতে দক্ষিন কলকাতার একটি পাড়ায় বেশ কিছু ছেলে দের ভিড় আট আটটা ছেলেকে ধরাশায়ী করে ওই মাগী টা কে নিয়ে পালিয়েছে কোন শালা সেটাই এখন বের করতে পারে নি মহেশের লোকজন মহেশ নন্দী প্রায় ছয় ফুট ইঞ্চি লম্বা একটি দানব বলা চলে এক কালে বক্সিং রিং কাঁপানো বক্সার ঘরের মধ্যে অসহায় হয়ে বসে আছে সোফা তে মুখ নামিয়ে বোঝাই যাচ্ছে ভয়ংকর কিছু একটা চলছে মনের ভিতরে আশ্চর্য লাগছে যে সেই বেজন্মা টা এতো বড় সাহস কোথা থেকে পেল আর ওই মাগী টা মানে জিনি না জিনিয়ার ওপর থেকে রাগ যাচ্ছেই না ভেবেছিল ভালবেসে পোষ মানাবে কিন্তু আর না ওকে রক্ষিতা বানিয়ে রোজ পা চাটাবে মহেশ জাক দেখা যাবে কত দূর পালাতে পারে মাগী দুঃখ কিছুর নেই কিন্তু শালা লাকি টা কে তিন মাসের জন্য হাসপাতালে দিয়ে গেল এটা একটা ছিন্তার ব্যাপার হয়ে গেল মহেশের কাছে বড্ড কাজের ছেলে ছিল কিন্তু ভেবে পাচ্ছে না যে একা অতো গুলো মার মুখী ছেলেকে ওই ভাবে মারল কে? উজবুক গুলো মার খেয়ে কিছু বলতে পারছে না আর মহেশ খুব নিশ্চিত যে অন্তত চারজন ছিল কিন্তু শালা হারামি গুলো বলতেই পারছে না ঠিক করে ইসস অনেক খোঁজ খবর করে মাগী টার সন্ধান পেল দমে যাবার পাত্র নয় নিজের আর কিছু পেটোয়া কে দায়িত্ব দিয়েছে মাগী টা কে খুঁজে বের করার আর এবারে যাকে দিয়েছে সে নাম করা গুন্ডা জিষ্ণু ওই মাগী কে ওর চাই মহেশ সব সহ্য করতে পারে কিন্তু সুন্দরী লম্বা চুলওয়ালী মেয়েছেলে দেখলে ঠিক থাকতে পারে না আর রোজ ওর চাই বিছানায় মাগী না থাকলে ওর ঘুম আসে না
দুপুরে শিবা এলো মুস্তাফার বাড়িতে পাপি ওকে দেখতে পেয়ে, পাপা পাপা বলে একেবারে ওর কোলে শিবা পাপি কে কোলে নিয়ে জিনিয়া কে খুঁজতে লাগলো জিজ্ঞাসা করতে পারছে না হাস্নু বৌদি কে কারন সকালেই হাস্নু বৌদি জিনিয়া ম্যাম কে নিয়ে একটা তির্যক হাসি হেসেছে মুস্তাফা দা আর হাস্নু বৌদি চুপ করে আছে শিবার চোখ খুঁজে বেড়াচ্ছে জিনিয়া ম্যাম কে পাগলের মতন মেয়েকে কোলে নিয়ে এটা সেটা দেখানোর অছিলায় শিবার মনের ভিতরে যে ব্যাপার টা চলছে সেটা হাস্নু বুঝতেই পেরেছে হাস্নু বুঝতে পেরেছে শিবা মেয়েকে কোলে নিয়ে এঘর সেঘর ঘুরে বেরাছে কি জন্য মুস্তাফার কাধে হাত দিয়ে ইশারা করল শিবার এই অবস্থা টা দেখানোর জন্য ঠিক সেই সময়ে জিনিয়া বেড়িয়ে এলো বাথরুম থেকে স্নান করে আর শিবা সেটা দেখেই কেমন শান্ত হয়ে গেল হাস্নুর দৃষ্টি এরাল না সেটা হাস্নু খুব নিশ্চিত ছিল যে শিবা জিনিয়া কে ভালবাসে কিন্তু আজকে যেন ব্যাপার টা খোলা আকাশের মতন পরিস্কার হয়ে গেল শিবা ঘরের মধ্যে বসে পড়ল সোফা তে মেয়েকে কোলে নিয়ে একটা যে খুব খুব অদ্ভুত অনুভুতি হচ্ছিল জিনিয়া ম্যাম কে দেখতে না পেয়ে সেটা কেটে গেল মুহূর্তেই একটা অস্বাভাবিক দম ধরা হয়েছিল বুকের বাম দিকে সেটা কেটে গেলহাস্নু উঠে এসে শিবার পাশে দাঁড়িয়ে বলল ঠিক সেদিকেই চোখ রেখে যেদিকে জিনিয়া ভিজে চুল ঝাড়ছিলভাই রে? একবার দেখেই সব টেনশন মিটে গেল তো? শিবা জিনিয়া কেই দেখছিল কি সফট বাদামি লম্বা চুল ম্যাম এর কি সুন্দর ম্যাম অনেক ভাল মানুষের ঘরের বউ হওয়া উচিৎ ছিল ম্যাম এর ভাগ্য একেই বলেঠিক সেই সময়ে হঠাৎ করে হাস্নুর কথা টা কানে যেতেই শিবা ঘুরে তাকিয়ে দেখল হাস্নু বৌদি মিটিমিটি হাসছে প্রচণ্ড লজ্জা পেলেও শিবা চোখ নামিয়ে উঠে গেল মেয়েকে কোলে নিয়ে মুস্তাফা দার কাছে
খেতে খেতে মাঝে মাঝেই জিনিয়া শিবার দিকে তাকাচ্ছিল পাপি জিনিয়ার কাছে বসে খাচ্ছে জিনিয়া ওকে নিজের হাতে করে খাওয়ানো শেখাচ্ছে জিনিয়া একদিনেই মুস্তাফা আর হাস্নু কে দাদা বৌদি বানিয়ে নিয়েছে জিনিয়াই পরিবেশন করছে
[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#30
- দাদা তোমার ভাই ভাল রান্না করে জানতাম, কিন্তু কাল রাতে যা রূপ দেখলাম বিশ্বাস করতে পারছি না এখন জিনিয়া বলেই শিবার দিকে তাকাল
মাছের কাঁটা টা ছাড়িয়ে পুরো মাছ টাকে মুখে পুরে নিয়ে মুস্তাফা , জিনিয়ার কথায় শিবার লজ্জা পেয়ে যাওয়া মুখটার দিকে তাকিয়ে বলল- জানিস জিনি, চাইলে বিশ্বের সেরা বক্সার হতে পারে এখন কি রে শিবা, রিং এর বাইরে একসাথে আট টা কে ঘায়েল করতে পারিস আর রিং এর ভিতরে একটা কে পারবি না? মুহূর্তেই শিবার চোয়াল টা শক্ত হয়ে উঠল চিবোতে থাকা চোয়াল টা থেমে গেল অল্প পেকে যাওয়া দাড়ির মাঝখান থেকে লজ্জা পাওয়া মুখ টা বদলে একটা কঠিন মুখ হয়ে গেল নিমিষেই
-
তোমার খালি এক কথা উফফ আর পাড়া যায় না ছেলেটা খাচ্ছে দুটো খেতে দাও না বাপুহাস্নু এক রকম জোরেই বলে উঠল মুস্তাফা কে কথাটা
-
তোমার ভাই কে কে খেতে মানা করেছে? আমার সব তো ওর জন্যই কথাটা আস্তে করে বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুস্তাফা খাবারে মন দিল হাস্নু হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কারন আজ থেকে তিন বছর আগের সেই রাত তার কথা ভুলবে না কোনদিন ভুলবে না তার হেসে খেলে কাটিয়ে দেওয়া সংসার টা কি ভাবে এক রাতেই তছনছ হয়ে গেছিল জিনিয়া হাঁফ ছেড়ে বাঁচল শিবা ওর ছাত্র হলেও কালকের পর থেকে শিবা কে সমীহ করছে ভাল মতন সেটা এই জন্য নয় যে কালকে যা করেছে সেটার ভয়ে এই জন্য যে কালকে নিজের চোখে দেখেছে শিবার শিক্ষার দৌড় কতটা কেমন যেন একটা অদ্ভুত নিশ্চিন্ততা পায় জিনিয়া শিবা পাশে থাকলেপরশু রাত অব্দি শিবার ঘরে থেকেছে পাপি কে খাইয়েছে শুইয়েছে কিন্তু আজ থেকে কেন জানিনা একটা লজ্জা পাচ্ছে শিবা কে দেখলেই দেখতে না পেলে কেমন একটা দেখব দেখব ভাব, আর কাছে থাকলে মনে হচ্ছে ইসস যদি সব সময়েই থাকত পাশে পাপি কে মাছের কাঁটা বেছে দিতে দিতে প্রায় দেখছে শিবা কে হাস্নুর কথায় শিবার বদলে যাওয়া মুখের ছবি সরল একটা ছেলে কিন্তু বোকা নয় বুদ্ধিমান আবার কেমন একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো জিনিয়ার বুকের থেকে এটা এমন একজন পুরুষ কে না পেতে পারার জন্ত্রনা থেকে উঠে আসা দীর্ঘশ্বাস জীবনে প্রথম ভালবাসল কাউকে সেটাও এই বয়সে এসে যখন মেয়েদের মেয়ের বিয়ে দেবার বয়েস হয়ে যায় কিন্তু সেই ভালবাসা কোনদিন পূর্ণতা পাবে না এটা সেটার দীর্ঘশ্বাস যাক আর পারে না ভাবতে ওর মা বলত জিনি, ভালবাসার অনেক ক্ষমতা মানুষ যেটা বাহুবলে করতে পারে না, ভালবাসা সেটা পারে করতে চায় না শিবা কে কোন ভাবেই বিব্রত করতে নাই বা পেল ভালবাসা কে তো ভালবাসতেই পারে
-
বৌদি জিজ্ঞাসা কোর তোমার ভাই কে, যদি আমার রান্না ভাল লেগে থাকে তবে কিছু দেব নাকি?
-
হি হি, শিবা জানিস আজকে রান্না তোর ম্যাম করেছে
-
তাই নাকি? তাই তো বলি এতো সুন্দর রান্না তো বাড়িতে হয় না আমাদেরমুস্তাফা হাস্নুর পিছনে লাগতেই হাস্নু মুখ ঝামটা দিল, - এতদিন খারাপ রান্না খেয়েছ তাই তো?
-
হা হা বৌদি প্লিস মুস্তাফা দা তোমার লেগ পুল করছেশিবা হাস্নু কে বলতেই,
-
করাচ্ছি দাঁড়া হাস্নু কড়া চোখে মুস্তাফা কে দেখতেই মুস্তাফা গুটিয়ে হয়ে গেল শিবা জিনিয়ার দিকে তাকাতেই জিনিয়া ভীষণ লজ্জা পেয়ে গেল হাস্নু সেটা দেখে বললতোর রাঁধা মাছের তরকারি টা কেমন চেটেপুটে খেয়েছে দেখেও বুঝছিস না! দে আর একটু….
----------

[+] 9 users Like ddey333's post
Like Reply
#31
Waiting for next
Like Reply
#32
বেশ সুন্দরভাবে এগুচ্ছে Smile
Like Reply
#33
সেকেন্ড রাউনড শুরু হতেই জ্যাক আগের থেকেও দ্বিগুণ গতি তে পাঞ্চ নেওয়া শুরু করল। কিন্তু যেন একটু দূরে দূরে থেকে। আগের রাউনড এর শেষে যে পাঞ্চ টা খেয়েছিল শিবার কাছে তার এখন জের চলছে এটা। শিবার কাজ এখন শুধু নেচে যাওয়া। জ্যাক ঘুষি গুলো মারছে বটে কিন্তু পোড় খাওয়া ফাইটার জ্যাক। বুঝে গেছে নক আউট কড়া যাবে না এই ছেলেটা কে। তাই ফুল সুইং পাঞ্চ কোনটাই নিচ্ছে না। কারন জানে মিস হলেই শিবার পাঞ্চ ওয়েট করে আছে জ্যাক এর চোয়ালে চুমু খাবার জন্য। জ্যাক এর চোয়াল সেটা ভাল ভাবেই বুঝে গেছে শিবার পাঞ্চ কি জিনিস। লড়াই এর প্ল্যানিং বদলে ফেলল জ্যাক। প্রথম রাউনড পয়েন্ট এগিয়ে আছে জ্যাক। তাই আর দুটো রাউনড কাটাতে পারলেই জিতে যাবে এটা জ্যাক জানে। শিবা সেকেন্ড কুড়ি লড়ার পরেই বুঝে গেল জ্যাক এর গেম প্ল্যান কি। নিজেকে জ্যাক এর নাগালে নিয়ে গেল। ছোট ছোট জ্যাব( হালকা ঘুষি) গুলো জ্যাক এর থাবা এড়িয়ে বসাতে লাগলো জ্যাকের পাঁজরে। জ্যাক কে উত্যক্ত কড়া আর কি! কিছুক্ষন জ্যাক পয়েন্টের লড়াই লড়ে একটা ভারতীয়র কাছে এমন অপমান জনক জ্যাব এর জবাব দিতে গিয়ে বা হাতের একটা সপাট ঘুষি শিবার পাঁজরের পিছনে বসিয়ে দিল। শিবা একটু নিচু হয়ে ঘুষি টা পিঠে নিয়েই বা হাত দিয়ে তলা থেকে ঘুষিটা তুলে আবার জ্যাক এর চোয়ালের নিচে বসিয়ে দিল। আর সাথে সাথেই ডান পায়ের কিক টা জ্যাক এর বাম দিকের পাঁজরে। দুটো কথা লিখলাম বটে কিন্তু দুটো আঘাত প্রায় এক সাথেই করল শিবা।শিবার পাঞ্চ টার জন্য জ্যাক তৈরি থাকলেও কিক টার জবাব ছিল না জ্যাক এর কাছে। পাঁজরে কিক টা বসে যেতেই জ্যাক বাম দিকে ঝুঁকে পড়ল। শিবা তৎক্ষণাৎ নিজেকে মাটি থেকে স্প্রিং এর মতন তুলে বাম হাতের মোক্ষম পাঞ্চ টা নিল। রাম ধনু হয়ে উঠে এলো পাঞ্চ টা লাফিয়ে ওঠা শিবার কোমরের নিচের থেকে। বসে গেল জ্যাক এর কানের ঠিক পিছনে ঘাড়ের কাছে………
কাটা কলাগাছের মতন পড়েছিল জ্যাক এর শরীর টা রিং এর মাঝে। কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না যে একজন ভারতীয় লড়ুয়ে এই কাজ টা করে তিরিশ লাখ টাকা গাড়িতে ভরে নিয়ে চলে গেছে। শিবা গাড়িতে বসে ততক্ষন দেখল জ্যাকের পড়ে থাকা শরীর টা যতক্ষণ দেখা গেল।
-------------
[+] 6 users Like ddey333's post
Like Reply
#34
- তোকে না বলেছি, তুই ওই মহেশের সাথে মিশবি না।
-
কেন কি হয়েছে?
দক্ষিন কলকাতার একটা ছোট ফ্ল্যাট কথা হচ্ছে বাবা আর ছেলের। রান্না ঘরে রান্না করছে একটি মেয়ে। স্বভাবতই ছেলেটির স্ত্রী মেয়েটি। ডাইনিং শুয়ে আছে একটি কচি বাচ্চা। খুব বেশি হলে হয়ত ছয় মাস বয়েস হবে।
-
কি হয়েছে? জানিস না কি?
-
সেটার সাথে আমার কি সম্পর্ক? আমার স্পন্সর। আমি চ্যাম্পিয়নশিপ যাব। লক্ষ লক্ষ টাকার দরকার সেটা আমাকে সরকার দেবে না। দিচ্ছে। আর হ্যাঁ আমি যা টাকা পাব তার অর্ধেক নেবে। বাস
কথা টা শুনে বাবা চুপ করে গেলেও রান্না ঘর থেকে বউ বেড়িয়ে এলো। বলল- আমি তো বলেইছিলাম তোমাকে আমার যা গয়না আছে তাই দিয়ে হয়ে যাবেকথা টা শুনে ছেলেটি যেন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলতাই দিয়ে হয়ে যাবে? এই ফ্ল্যাট এর এম আই, বাচ্চার সব খরচ, বাবার চিকিৎসা, সব হয়ে যাবে? শিনা তুমি জাননা আমার প্র্যাকটিস কি পরিমান খরচএগিয়ে এসে শিনার কাঁধে হাত রেখে বললপ্লিস আমার ওপরে ভরসা রাখ, প্লিস বাবা ছেলেটি বাবার দিকে তাকিয়ে প্লিস বলতেই বৃদ্ধ মানুষ টি এসে জড়িয়ে ধরল ছেলেটি কে।
-
হ্যাঁ রে আমি এসে পড়ায় তোদের খুব অসুবিধায় ফেলেছি না? ছেলেটি কিছু বলার আগেই মেয়েটি বলে উঠল
-
কি বলছেন বাবা আপনি? প্লিস আমরা আপনাকে ভালবাসি।
তিনজনের পরিচয় করানো প্রয়োজন। বৃদ্ধ অথচ লম্বা মানুষ টির নাম মতি ব্যানারজি। এক কালের ডাকসাইটে বক্সার। ইংরেজ আমলে ইংরেজ দের সাথে পাঙ্গা নিয়ে লড়াই এই মানুষ টি করে এসেছেন রিং এর ভিতরে। রিং এর বাইরের অত্যাচারের জবাব যেন এই মানুষ টি রিং এর ভিতরে নিতেন। অলিম্পিক খেলতে গিয়ে কোন এক ইংরেজ সতীর্থের বিশ্বাসঘাতকতায় অসুস্থ হয়ে ফিরে আসেন দেশে। যাই হোক সেই কাহিনি বলার সময় এটা নয়। হয়ত সেটাও আমরা জানব পরে। ছেলেটির নাম জিষ্ণু। এখনকার বেশ নামি বক্সার। ন্যাশানাল চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু যে খেলায় দেশের কোন ইন্টারেস্ট নেই সেই খেলায় স্পন্সরও নেই। তাই এই তাগড়া বক্সার গুলো হয় না খেতে পেয়ে মারা যায় না হলে গুণ্ডামি করে পেট চালায়। মেয়েটি শিনা। জিষ্ণুর স্ত্রী। জিষ্ণুর থেকে বয়সে বড়। ভালবেসে বিয়ে। একটি পুত্র সন্তানের জননী।
জিষ্ণু শিনা আর বাবার কাছে যেটা এড়িয়ে গেল সেটা হল অর্ধেক টাকা ছাড়াও যেটা মহেশের শর্তে আছে সেটা হল জিনিয়া নামে একটি মেয়েকে খুঁজে মহেশের হাতে তুলে দেওয়া। নিজের স্বপ্ন পুরনের জন্য এটুকু তো করবেই জিষ্ণু। মহেশ কে জানে। জানে কোন ভাল উদ্দেশ্যে মেয়েটি কে চাইছে না মহেশ। কিন্তু জিষ্ণু এই নিয়ে ইন্টারেস্টেড নয়। ওর চাই ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ যাবার জন্য টাকা।চিন্তায় ছেদ পড়ল যখন শিনা ঢাকা টা নিজের নগ্ন শরীরে চাপিয়ে জিষ্ণুর বিশাল বুকে উঠে এলো।
-
কি ভাবছ এতো?
-
কই কিছু না তো।
-
উহু আমি আমার শুনু কে চিনি।
-
না সত্যি কিছু ভাবিনি।বাস তোমাকে এই ভাবে দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না।
-
ইসস দুষ্টু। একবার আমাকে খেয়েও আশ মিটল না?এক ছেলের বাবা তুমি লজ্জা করে না হি হি।
-
না মিটল না। সব সময়েই তোমাকে আমার চাই………… শিনাকে নিজের বুকের নীচে নিয়ে জিষ্ণু মুখ দিল শিনার গলায়………
 
[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
#35
khub bhalo lekha eta
Like Reply
#36
দেখার বিষয় যে শিবা কিভাবে তার আশা কে রক্ষা করে
Like Reply
#37
বাব্বাহ কত বড় ফ্ল্যাট রে শিবা??? জিনিয়া শিবা কেই প্রশ্ন টা করল শিবা নিজেও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে মুম্বাই এর মতন জায়গায় এতো বড় ঘর বাস করা কি মুখের কথা? মুস্তাফা দার চাচা সামনেই আছে জিনিয়ার বাংলা কথা গুলো বুঝতে না পারলেও ফ্ল্যাট নিয়েই কথা হচ্ছে সেটা বুঝতেই পারল পাপি বড় জায়গা পেয়ে দৌড়তে শুরু করেছে একটা ঘরে যা যা থাকা দরকার সব আছে এই ঘরে শিবা বুঝতে পারল না মুস্তাফা দা এতো লাক্সারির ব্যবস্থা কেন করল উসমান চাচা বলল- “ বেটা ইয়ে হামারা সবসে মেহফুজ জাগাহ হ্যায় বহু অউর বিটি রানি আছছে রেহেগি ইধার পুরে কে পুরে মহল্লে মেরা হি আদমি হ্যায় কই চিন্তা নেহি চাচার মুখেবহুকথাটা শুনে জিনিয়া শিবার দিকে তাকাতেই শিবা লজ্জা পেল জিনিয়া ভাবলউফফ কার পাল্লায় পড়লামজিনিয়ার শিবার এই লজ্জা পাওয়া অসহায় মুখ টা দেখতে বেশ লাগে শিবা চাচার প্রতি কৃতজ্ঞে চাচার হাত ধরে বলল- “ বহত বহত সুক্রিয়া চাচাজান

সুক্রিয়া কিস বাত কা বেটা, তুম ভি তো মেরা বেটা হি হ্যায় তুমহারে লিয়ে মেরা হোটেল মাই বাওরচি কি নোকরি পাক্কি হ্যায় দো দিন বিশ্রাম করো উসকে বাদ মেরে ঘর পে জানাবলে উসমান চলে যাচ্ছিল কিন্তু কি মনে করে পিছিয়ে এসে শিবার দিকে তাকিয়ে বলল – “ মুস্তাফা নে বাতায়া থা, এক হার্ট স্পেশালিষ্ট কে লিয়ে হ্যায় বরিভেলি মে তুম জিসদিন বোল গে মাই অ্যাপয়েন্টমেন্ট কর লুঙ্গা দোস্ত হ্যায় মেরিবলে শিবা কে হ্যান্ড শেক করে চলে গেল
[+] 6 users Like ddey333's post
Like Reply
#38
হ্যাঁ রে শিবা এতো বড় ফ্ল্যাট? আমার জন্য তোকে অনেক কিছু সইতে হচ্ছে বল
হুম্মমশিবার ওই ছোট্ট উত্তর যদিও জিনিয়া আশা করে নি যে শিবা এর থেকে বেশি কিছু বলবে হয়ত বললে বলতছি ছি কি বলছেন ম্যামকিন্তু আবার এত্ত কথা বলবে?? সেই জন্য ছোট্ট উত্তরহুম্ম রান্না ঘর দেখতে চলে গেল জিনিয়া পাপি কে কোলে নিয়ে গিয়ে দেখল রান্না ঘরে প্রতিটা জিনিস সুন্দর করে রাখা মায় পাপির কমপ্লান থেকে শুরু করে করনফ্লেক্স অব্দি শিবার ওপরে আবার সমীহ জাগল জিনিয়ার কি রকম নিজের রেপু বানিয়ে রেখেছে শিবা যে ২০০০ কিমি দুরেও ওর কদর সামান্যও কমেনি শুরু হল ওদের দূরে গিয়ে লুকিয়ে থাকার জীবন জিনিয়ার মাঝে মাঝে কষ্ট হয় যে নিজের বাবা মা কেউ খবর নেয় না আর যাকে চেনে না জানে না, মানে এতো দিন চিনত না জানত না আজ তার সাথে নিশ্চিন্তে থাকছে কত অদ্ভুত এই জীবন টা কোন দিকে যে মোড় নেবে সেটা মনে হয় গড জানেন শিবা আর পাপির সাথে থাকতে থাকতে * গড দের ব্যাপারে জানছে চেষ্টা করে ওদের মতন থাকবার কিন্তু শিবার ব্যাপারে ভ্রূক্ষেপ নেই ওকে একদিন জিজ্ঞাসা করেছিল জিনি এই যে ভিন্ন ধর্মের এক মহিলা কে নিয়ে যে থাকছে এতে কোন অসুবিধা হয় কিনা হি হি যে কোনদিন একটা কথা বলে না সেইদিন জিনি কে অবাক করে দিয়ে বলে উঠেছিলনারীর কোন ধর্ম হয় না ম্যাম হি হি কথাটা বড়ই আগছালো কিন্তু বড় সুন্দর কথা যাক আর জিজ্ঞাসা করে না হাস্নুর সাথে প্রতিদিন কথা হয় ওর হাস্নু জিনির প্রেমের প্রোগ্রেস জিজ্ঞাসা করে কিন্তু প্রতিবার জিনি দীর্ঘশ্বাস উত্তর দেয় হাস্নু বলেপোড়ারমুখী তোর দ্বারা কিসসু হবে নাহি হি সে তো জানা কথাই হাস্নু উপদেশ দেয় মাঝে মাঝে, যেএতো রূপ নিয়ে একটা পুরুষ কে কাছে আনতে পারলি না সত্যি কথা জীবনে কিছু না পেয়েও যেন সব পেয়েছে পাপি কে বুকে পেয়ে মেয়েটা যে বড় নেওটা ওর ঘুম টি অব্দিও জিনির বুকে না হলে ওর হবে না নাই বা হল পাপি ওর নিজের মেয়ে! শিবার শুনে জিনি কে ম্যাম বলে জিনি চায় পাপি ওকে মা বলুক কিন্তু শিবা কি ভাববে ভেবে আর এগোয় না আর শিবার মতন একজন সঙ্গী মনে তো কত কিছুই চলে কিন্তু সব কি বাইরে আসে? নদীর সাথে কত পাথর ভারি বলে নদীর জলের তলা দিয়ে বয়ে চলে, ভেঙ্গে যায়, গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যায় কেউ তো জানতেও পারে না বুঝতেও পারে না হয়ত নদি নিজেও জানে না ঠিক তেমনি জিনির ভালবাসা আমৃত্যু অন্তঃসলিলা হয়ে থাকবে কলিং বেল টা বাজতেই ঘুমিয়ে যাওয়া পাপি কে ভাল করে শুইয়ে দিয়ে দরজা খুলতেই শিবা এলো উফফ সত্যি ছেলেটা পারে ,সেই সকাল আটটায় যায় আর এই রাত দশটায় বাড়ি ফেরে জিনি দরজা টা বন্ধ করে রান্না ঘরে এসে শিবার জন্য গ্লুকোজ বানাতে লাগলোউসমান চাচা ওকে কিছুই বলে না কিন্তু তা সত্বেও শিবা বসে খাওয়ার ছেলে নয় বলেই দেড় খানা শিফট করেউসমান চাচা তো প্রায় আসে চাচি কে নিয়ে আর শিবার কথা বলে
উসমান চাচার ডান হাত হোটেলেএই নে এটা খেয়ে নে শিবা” – শিবা হাত বাড়িয়ে গ্লাস তা নিয়ে এক চুমুকে পুরো টা খেয়ে গ্লাস টা উঠে রাখতে যেতেই জিনিয়া শিবার হাত থেকে গ্লাস টা নিয়ে নিলবলেছি না এটা আমার হাতে দিবি, তুই স্নান করে নে আমি খাবার গরম করছি শিবা একবার শবার ঘরে পাপি কে দেখে নিল ঠাণ্ডা ঘরে বড় নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে মেয়ে টা তোয়ালে টা নিয়ে বাথরুম চলে গেল শিবা এই একমাস এসেছে শিবা এখানে একদিনের জন্য পাপি কে কাঁদতে দেখে নি কি অদ্ভুত এই জীবন কত সহজেই ম্যাম এর সাথে পাপি মিশে গেল শাওয়ার টা চালিয়ে দিল শিবা আআআআআহহহহহহহহ কি আরাম!!!!!!!!!!

[+] 6 users Like ddey333's post
Like Reply
#39
Bhalo golo.....let's see what happens next
Like Reply
#40
Khub bhalo lekha eta......eagerly waiting for next...dada ektu joldi post din
Like Reply




Users browsing this thread: 5 Guest(s)