Thread Rating:
  • 97 Vote(s) - 3.41 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica সুখী খান পরিবারের গোপন কথা।
অন্যান্য অনেক গল্পের মতো এটাও কি শেষ হওয়ার আগেই হারিয়ে যাবে?
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
(03-06-2021, 08:34 AM)prema6969 Wrote: অন্যান্য অনেক গল্পের মতো এটাও কি শেষ হওয়ার আগেই হারিয়ে যাবে?

গল্পটি অবশ্যই শেষ করব। তবে একটু ধৈর্য ধরুন। কর্মব্যস্ত মানুষ তো। সময় বের করা একটু কঠিন কাজ।
[+] 1 user Likes The Pervert's post
Like Reply
(03-06-2021, 10:21 AM)The Pervert Wrote: গল্পটি অবশ্যই শেষ করব। তবে একটু ধৈর্য ধরুন। কর্মব্যস্ত মানুষ তো। সময় বের করা একটু কঠিন কাজ।
waiting
Like Reply
(03-06-2021, 10:21 AM)The Pervert Wrote: গল্পটি অবশ্যই শেষ করব। তবে একটু ধৈর্য ধরুন। কর্মব্যস্ত মানুষ তো। সময় বের করা একটু কঠিন কাজ।

Waiting
Like Reply
waiting for your update
Like Reply
Dada, please update.
Like Reply
waiting
Like Reply
Waiting
Like Reply
Please update.
Like Reply
লেখক খুব ব্যস্ত, এতো ব্যস্ত থাকলে গল্প দেয়ার কি দরকার ছিল, একটা আপডেট দিতে যদি এতদিন লাগে, তাহলে গল্প শেষ করবেন কতদিনে?
Like Reply
(06-06-2021, 02:14 PM)prema6969 Wrote: লেখক খুব ব্যস্ত, এতো ব্যস্ত থাকলে গল্প দেয়ার কি দরকার ছিল, একটা আপডেট দিতে যদি এতদিন লাগে, তাহলে গল্প শেষ করবেন কতদিনে?

তাহলে আপনি একটা গল্প শুরু করে দেন দেখি কেমন করে প্রতিদিন আপডেট দিতে পারেন।
Like Reply
(06-06-2021, 02:14 PM)prema6969 Wrote: লেখক খুব ব্যস্ত, এতো ব্যস্ত থাকলে গল্প দেয়ার কি দরকার ছিল, একটা আপডেট দিতে যদি এতদিন লাগে, তাহলে গল্প শেষ করবেন কতদিনে?

গল্পের শুরুতেই বলে দিয়েছি যে আমি কোনো পেশাদার লেখক নয় এবং একজন কর্মব্যস্ত মানুষ। তাই পাঠকদেরকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম।
Like Reply
[Image: 1625617-709704642464645-2366766804623647841-n.jpg]


এই হলো সাদেক খানের প্রাণের চেয়ে প্রিয় ধর্মপত্নী অর্থাৎ প্রিয়সী বেগম, শাকিল খান ও সারা খানের অত্যন্ত পূজনীয়,সম্মানীয় ও স্নেহময়ী আম্মু,সাজিদ খান ও শাবানা খানের একমাত্র গুণবতী পুত্রবধূ, শবনম খানের অতিশয় প্রিয় ভাবি, সাঈদ খান ও শাহানা খানের কলিজার টুকরা একমাত্র শাহাজাদী, খান বংশের সবচাইতে সুন্দরী,রক্ষণশীল, সতীলক্ষী,গৃহলক্ষী, প্রতিব্রতা ,বিশ্বস্ত,পবিত্র,নিষ্পাপ বধূ, ট্রয় নগরীর হেলেন,প্রাচীন মিশরের ক্লিওপেট্রা,অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানা হুররাম, গ্রিক মিথোলজির কামদেবী আফ্রোদিতি।সুতরাং বুঝতেই পারছেন তিনি কে। হাঁ তিনিও হলেন সুখী খান পরিবারের গোপন কথার কেন্দ্রীয় চরিত্র অর্থাৎ প্রধান নায়িকা শায়লা খান।
[+] 12 users Like The Pervert's post
Like Reply
সাদেক খানকে বহনকারী বিমান সময় মতই বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এয়ারপোর্ট Dubai International Airport এ অবতরণ করে।সাদেক খান Al Majlis VIP Pavilion and Dubai Executive Flight Terminal দিয়ে বের হয়ে পার্কিং এরিয়া আসে।সেখানে আগে থেকেই তার জন্য BMW’s New Electric Car Concept I4 নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন খান কনস্ট্রাকশন ফার্ম এর দুবাই অফিসের chief executive অফিসার মারুফ মল্লিক। সাদেক খান পিছনের সিটে বসেন এবং মারুফ মল্লিক নিজেই ড্রাইভ করতে থাকে। এদিকে সাদেক খানকে অনুসরণকারী লোকটি সাধারণ vip টার্মিনাল দিয়ে বের হয়ে পার্কিং এরিয়া আসলে তার জন্যও একটা car আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল। লোকটি দ্রুত গাড়িতে ওঠে পরে এবং সাদেক খানকে বহনকারী গাড়িটিকে ফোলো করতে থাকে। ফোলোকারী car টি সাদেক খানের কার এর কাছাকাছি আসতেই সাদেক খানকে বহনকারী কারটি ডান দিকের মোড় নিয়ে vvip রোডে প্রবেশ করে।এই রোডে শুধু বিশেষ নম্বর সম্বলিত গাড়ি চলারই অনুমতি আছে। আর সাদেক খানাকে বহনকারী গাড়িটি সেই বিশেষ নম্বরধারী গাড়ির একটি।তাকে অনুসরণকারী কারটি আর সেই vvip রোডে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে তাদের মিশন ব্যর্থ হওয়ায় অনুসরণকারী কারটি সোজা রোড দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়।সাদেক খানকে বহনকারী কারটি সোজা বিশ্বের সর্বোচ্চ বিল্ডিং Burj Khalifa এর vvip পার্কিং এরিয়ায় প্রবেশ করে এবং সাদেক খান কার থেকে নেমে সোজা vvip লিফটে এন্টার করে ৭৫তম তলার বাটনে চাপ দেয়।এই বিল্ডিং এর ৭৫তম তলায় খান কনস্ট্রাকশন ফার্ম এর দুবাই অফিস অবস্থিত।অফিসে প্রবেশ করার সাথে সাথে সকল স্টাফ এসে সাদেক খানকে অভিবাদন জানায়।সাদেক খান অফিসে পৌঁছেই তার প্রানপ্রিয় বেগম শায়লা খানকে ফোন করে জানায় যে সে নিরাপদেই অফিসে পৌঁছে গেছে।সাদেক খান কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে অফিসের সিনিয়র কয়েকজন স্টাফকে নিয়ে একান্তে মিটিং এ বসলেন এবং সিনিয়র অভিজ্ঞ কয়েকজন স্টাফকে কাগজপত্র রেডি করতে বললেন।কারণ আজ বিকাল ৪ টায় অপর দুই ফার্মের সাথে তার ফার্মের চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে একই বিলডিং এর ১৫০তম ফ্লোরে এবং রাতে এই মাল্টি বিলিয়ন ডলারের চুক্তি উপলক্ষে বিশ্বের একমাত্র ৭ষ্টার হোটেল Burj Al Arab এ বিশেষ এক পার্টির আয়োজন করা হয়েছে।
সকল ডকুমেন্ট রেডি করে সাদেক খান তার আব্বুকে কল করে জানতে চায় যে শেখের সাথে তার কথা হয়েছিল তাকে ফোন করবে কিনা।সাজিদ খান ছেলেকে জানালো যে তার বন্ধু সময়মতো সেখানে অবস্থিত থাকবে।সাদেক খান দুবাই অফিসের CEO কে নিয়ে ঠিক সময়ে ১৫০ তলায় চলে যায়।সেখানে আগেই থেকেই অন্য দুই ফার্মের CEO অবস্থান করছিলেন।সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর যথা সময়েই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে যায়।অন্য দুই ফার্মের দুই সিইও সাদেক খানকে অভিনন্দন জানায় তাদের ফার্মের সাথে সফল চুক্তি সম্পাদন করার জন্য।কিছুক্ষণ পরেই সবাই একসাথে বুর্জ আল আরব হোটেলে চলে যায়।হোটেলে যাওয়ার সময়ও সেই কারটি সাদেক খানের গাড়িকে সন্দেহজনকভাবে অনুসরণ করতে থাকে।কিন্তু হাই সিকিউরিটি নিয়ে তাদের গাড়ির বহর vip রোড দিয়ে হোটেল বুর্জ আল আরব হোটেলে নিরাপদে পৌঁছে যায়।
হোটেলে পৌঁছে কোম্পানির বসরা যার যার স্যুট এ গিয়ে রেস্ট নিতে থাকলেন।কারণ রাতে রয়েছে বিশাল হট পার্টি যেখানে পানাহার চলবে অবাধে আর তারপর পার্সোনাল সুন্দরী লেডি সেক্রেটারীদের সাথে উন্মত্ত যৌন খেলা।একমাত্র সাদেক খানই তার সাথে কোনো পার্সোনাল লেডি সেক্রেটারি রাখেনি।অন্য বসরাও জানে যে সাদেক খান খুবই রক্ষণশীল এবং তার বিবির প্রতি ১০০% বিশ্বস্ত।যদিও সাদেক খান অন্যান্য কোম্পানির বসদের এই ধরনের অনৈতিক ও অবৈধ যৌনাচারের তীব্র বিরুধী কিন্তু সে এটাও জানে যে তাদের পার্সোনাল ব্যাপারে নাক গলাবার কোনো অধিকার তার নেই।তাই সে এই ধরনের পার্টিতে তেমন একটা অংশ গ্রহণ করে না।আবার ভদ্রতার কারণে অংশগ্রহণ করলেও তিনি নীরব দর্শকের মতো কোনো নির্জন একটা টিবেলে বসে এটা সেটা খেয়ে বা কোল্ড ড্রিকংস পান করে সময় অতিবাহিত করেন।আর এভাবে সময় অতিবাহিত করা তার জন্য চরম বিরক্তিকর মনে হয়।কিন্তু ব্যবসায়িক কারণে তাকে অনেক সময় অনেক কিছু হজম করতে হয়।সুন্দরী স্ত্রী বাসায় রেখে মেয়ের বয়সী কচি পার্সোনাল সেক্রেটারীদের সাথে এই ধরনের অবাধ যৌন অনাচারকে তিনি চরমভাৱে ঘৃণা করেন।আর আজকেও তাকে এমনই আরেকটি বোরিং পার্টিতে অংশ করতে হবে। সন্ধ্যার সময় তারা Palm Islands এ ঘুরতে যায়।সেখান থেকে রাত নয়টায় ফিরে সাড়ে নয়টায় তারা হালকা ডিনার করে নেয় কারণ রাতে পার্টিতে ব্যাপক পানাহার চলবে।কিন্তু সাদেক খান ৭ ষ্টার হোটেলের সুস্বাদু খাবার পেটপুরেই খেয়ে নিলেন।রাত দশটায় শুরু হয় উদ্যম সেই পার্টি।বলিউডের বেশ কয়েকজন নামকরা সুন্দরী নায়িকাও অংশ নেয় সে পার্টিতে।চলতে থাকে বল্গাহীন উদ্যম নাচ আর পানাহার।বাবার বয়সী বসরা মেয়ের বয়সী স্বল্প বসনা ললনাদের নিয়ে স্টেজে গিয়ে অত্যন্ত অশ্লীল ভঙ্গিমায় নাচানাচি করছে।সাদেক একদম কর্নারের একটা চেয়ারে বসে কুটকুট করে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাচ্ছে আর কোল্ড ড্রিংসের গ্লাসে চুমুক দিচ্ছে।নাচানাচির ফাঁকে ফাঁকে তারা কিছুক্ষণের জন্য নিজ নিজ টেবিলে এসে বসছে এবং বিশ্বের সবচাইতে expensive ওয়াইন Domaine de la Romanee-Conti ব্রান্ডের ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দিচ্ছে।সাদেক খান তার এই ৩৯ বছর বয়সে মদ পান করা তো দূরের কথা তিনি কখনও মদের গ্লাসে স্পর্শও করেন নি।সে প্রায় ওঠেই যাচ্ছিল।আর ঠিক তখনই এক কপোত কপোতী তার চোখে এসে ধরা পড়লো এবং অজানা কোনো এক অপ্রতিরুদ্ধ আকর্ষণ যেন তাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে চুম্বকের মতো আটকে রাখে।



আর তারা দুইজনের একজন হলো দেখতে জানোয়ারের মতো এক কুৎসিত হাবশী নিগ্রো আর আরেকজন হলো অনিন্দ্য সুন্দরী এক শ্বেতাঙ্গ মহিলা। মহিলাটি যে বিবাহিত সেই ব্যাপারে সাদেক খান নিশ্চিত।কারণ
মহিলা টির বাম হাতের অনামিকায় অত্যন্ত দামি ডায়মন্ডের বিয়ের আংটি ঝলমল করছে।আর মহিলাটা যে ঐ কুৎসিত নিগ্রোর স্ত্রী নয় সে ব্যাপারেও সাদেক খান নিশ্চিত হয়ে যায় একসময় যখন মহিলাটি তার বিবাহের আংটিটি খুলে রাখতে চেয়েছিল কিন্ত ঐ বদমাশ শয়তান নিগ্রোটা মহিলাটির কানে কানে কি যেন বলল এবং মহিলাটি তার wedding ring এর দিকে তাকিয়ে একটা কামুক মুচকি হাসি দিয়ে নিগ্রোটার মোটা লাল ঠোটে একটা কিস দিয়ে তার কানে কানে মহিলাটিও কি যেন বলল আর এতে করে দুজনেই খিল খিল করে হেসে উঠল।মহিলাটিকে দেখতে খুবই স্মার্ট মনে হচ্ছে এবং তার বয়সও শায়লা খানের মতো হবে।শায়লা খানের মতই এই মহিলার বয়স বুঝা কুশকিল।কারণ শায়লা খানের বয়স ৩৭ হলেও দেখে মনে হবে ৩০ বছরের যুবতী।এই মহিলাকেও দেখে মনে হচ্ছে ৩০বছরের যুবতী।অথচ এই মহিলারও শায়লা খানের মতো দুইটা টিনএজ ছেলে মেয়ে রয়েছে।যদিও তাদের কথা শুনা যায়নি,তবে তার অর্থ এই হতে পারে যে,``থাক না বিয়ের আংটিটি আঙুলে,এটিকে তোমার আঙুলে ঝলমল করতে দাও,যাতে করে তোমার বোকা স্বামীর চেহেরা তোমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে, এতে করে পরকীয়া করার অবৈধ ও নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজনা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।``আর মহিলাটির স্বামীও যে অত্যন্ত ধনী এবং অভিজাত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত সেটি এই এক্সপেন্সিভ বিয়ের আংটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে।আর যে বিষয়টি সাদেক খানকে বিস্মিত করছে তা হল,আশপাশের এতো হ্যান্ডসাম ইয়ং ও মধ্য বয়সী পুরুষ থাকতে এই অনিন্দ্য সুন্দরী শ্বেতাঙ্গ মহিলাটি এই কুৎসিত নিগ্রো জানোয়ারকে পার্টনার হিসেবে বেছে নিল কেন।সে আরো মনে মনে ভাবতে লাগল,``মহিলাটির বয়স যেমন আমার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী শায়লার মতোই হবে তেমনি দেখতেও কত ইনোসেন্ট ও স্নেহশীল মায়ের প্রতিচ্ছবি মনে হচ্ছে ঠিক যেন শায়লা খানের কার্বন কপি।কিন্তু আমার শায়লা তো এমন কুৎসিত জানোয়ারের শরীরে তুতুও ফেলবে না।``শায়লার সাথে এই মহিলার তুলনা করতেই সাদেক খানের মাঝে কেমন যেন একটা অস্বস্তিবোধ সৃষ্টি হয় কিন্তু সাথে সাথে তার শরীরের মাঝে অনিচ্ছাকৃত একটা নিষিদ্ধ শিহরণও সে অনুভব করে যা তার কাছে সম্পূর্ণ অজানা বিষয়।সবাই যার যার পার্টনার নিয়ে ব্যস্ত।আশেপাশে কে কি করছে সে দিকে কারোই কোনো খেয়াল নেই।অনেক হ্যান্ডসাম ও সুদর্শন পুরুষ তাদের পার্টনাদের সাথেও ঐ নিগ্রোর লোকটির মতই চুমাচুমি করছে ,তাদের পাছা টিপছে,গোলাপি ঠোট চুষছে,শক্তভাবে নিজেদের শরীরের সাথে চেপে ধরছে আরো কত কি অশ্লীল ক্রিয়াকলাপ করছে তার কোনো শেষ নেই।সাদেক খান তাদের দিকে তাকাচ্ছেও না।কিন্তু অনিচ্ছা সত্বেও সাদেক খানের দৃষ্টি বারবার ঐ কুৎসিত হাবশী নিগ্রো ও শ্বেতাঙ্গ মহিলাটির দিকে চলে যাচ্ছে।সাদেক খান জীবনে কখনও পরিবারের বাইরে কোনো মেয়ের দিকে এমন করে গভীর দৃষ্টি দিয়ে তাকাইনি।কি এক অপ্রতিরুদ্ধ আকর্ষণ যেন তার দৃষ্টিকে বারবার ঐ দম্পত্তির দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।কুৎসিত নিগ্রো লোকটি অনিন্দ্য সুন্দরী এই শ্বেতাঙ্গ পরীকে খুব শক্ত ভাবে নিজের সাথে জড়িয়ে রাখছে আবার কখনও কখনও তার দুইটি বড় হাত দিয়ে মহিলাটির পাছার দাবনা দুইটিকে শক্তভাবে ধরে একটু উপরে তোলে তাম্বুর উঁচু হয়ে থাকা প্যান্টের উপর মহিল টির তলপেটের নিচের অংশকে শক্তভাবে চেপে ধরছে।দুজনেই আবার ডিপ কিস করছে।কখনো নিগ্রোটা তার মোটা ঠোঁট দিয়ে মহিল টির পাতলা গোলাপি ঠোট চুষে চুষে ঠোট দুটিকে আরো গোলাপি বানিয়ে দিচ্ছে।আবার কখনও তার খসখসে মোটা জিবটা মেয়েটির মুখের বিতর সম্পূর্ণ ঢুকিয়ে দিয়ে মুখের লালা চুষে খাচ্ছে। অত্যন্ত গরম ও কামুক এই দৃশ্য দেখে সাদেক খানের শরিরের মধ্য দিয়েও যেন একটা উত্তেজনার ঢেউ বৈদ্যুতিক তরঙ্গের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। আশপাশের অত্যন্ত সুদর্শন পুরুষরা তাদের সুন্দরী মেয়ে পার্টনার নিয়েও একই ধরনের ক্রিয়াকলাপ করছে। কিন্তু তাদের দেখে সাদেক খানের তেমন কোনো ফীলিংসই আসছে না।অথচ এই কুৎসিত নিগ্রো জানোয়ারটার সাথে এই অনিন্দ্য সুন্দরী শ্বেতাঙ্গ মহিলাটিকে দেখে তার মধ্যে কেমন জানি অত্যন্ত অনাকাঙ্খিত কিন্তু জোরালো একটা উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে।সেটা বুঝতে পেরে সাদেক খান নিজেই নিজেকে তিরস্কার করতে শুরু করলো।অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হ'ল এই যে, একটা অনিন্দ্য সুন্দরী বিবাহিতা মহিলা তার স্বামীকে ফাঁকি দিয়ে একটা কুৎসিত জানোয়ারের মতো চেহেরার নিগ্রো লোকের সাথে পরকীয়া করছে।এটা ভেবে সাদেক খান একদিকে যেমন ভীষণভাবে ক্রোধান্বিত হচ্ছে আবার একটা অবাধ্য ও নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজনাও অনুভব সাদেক খান এর কোনো ব্যাখ্যাই খোঁজে পাচ্ছেন না।সে জীবনে কোনোদিন এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি।হঠাৎ করে মহিলাটির iphone এর রিংটোন বেজে ওঠে এবং মহিলাটি তার লাভারের কানে কানে কিছু একটা বলে নিগ্রোটাকে স্টেজে রেখে পার্টি হল থেকে বের হয়ে আসল।এদিকে সাদেক খানও মানসিক দ্বিধা দ্বন্দে ভুগে এবং বিবেকের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে রিপুর কাছে পরাজিত হয়ে বিষয়টি ভালোভাবে জানার জন্য চুপি চুপি মহিলাটির পিছনে পিছনে এসে একটু আড়াল থেকে তার কথা শুনতে লাগল।সে নিজেই বিস্মিত হয়ে গেল এ কথা ভেবে যে তার মত নীতি নৈতিকতার একজন কঠোর ধারক, সমর্থক ও সংরক্ষক ব্যক্তি কিভাবে অপরিচিত একজন মহিলার একান্ত ব্যক্তিগত ও গোপন কথা বিকৃত রুচির মানুষের মতো লুকিয়ে লুকিয়ে শুনতে চাচ্ছে।সাদেক খানের ভিতরের পশুটা যেন এই প্রথবারের মতো জেগে উঠল।সাদেক খানের মতো একজন নীতি নৈতিকতা সম্পূর্ণ মানুষের কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ অকল্পনীয় ব্যাপার।একজন বিকৃত রুচির লম্পট ব্যক্তির মতো অন্যের গোপনীয় পার্সোনাল কথা লুকিয়ে লুকিয়ে শুনা সাদেক খানের মতো এমন আদর্শবান ও নীতিবান ব্যক্তির কাছ থেকে আশা করা যায় না।সাদেক খানের ভিতরের পশুটা আজ যেন প্রথমবারের মতো জিতে গেল এবং তার নীতি নৈতিকতাকে পরাজিত করে ফেলল।এমনটি এর আগে কখনই হয়নি। পার্টি হলের বাইরে আসতে আসতে কল কেটে যায়। মহিলাটি একটু দূরে গিয়ে একটা নির্জন বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিজেই তখন আবার কল করে।পার্টি হলটি সম্পূর্ণরূপে সাউন্ড soundproof।তাই পার্টি হলের ভিতরের চরম কোলাহল বাইরে থেকে বিন্দুমাত্র শুনা যায় না।কলারের সাথে মহিলাটির কথাবার্তা শুনে সাদেক খান নিশ্চিত হলো যে লোকটি মহিলাটির স্বামী।শ্বেতাঙ্গ মহিলা তার স্বামীর সাথে ইংরেজিতে কথা বলছিল।সাদেক খান মহিলাটির স্বামীর কন্ঠ শুনতে পায়নি।আর তাদের কথোপকথনের বাংলা অর্থ যা দাঁড়ায় তাহলো:-
হাসব্যান্ড :..........
স্ত্রী :`` হেলো জান, কেমন আছ? কখন আসছ ?``
হাসব্যান্ড :.........
স্ত্রী :`` কি? রাত দুইটা বাজবে ? সিডনি থেকে ফ্লাইট সরাসরি আসবে না ?``
হাসব্যান্ড :.........
স্ত্রী :`` সিঙ্গাপুর বিরতি দিবে ?``
হাসব্যান্ড :.........
স্ত্রী:`` তাড়াতাড়ি এসোনা জান।তোমাকে খুব মিস করছি। ``
হাসব্যান্ড :.......
স্ত্রী :`` স্যুট এর বারান্দায় বসে বসে পারস্য উপসাগরের ঢেউ দেখছি আর বাতাস খাচ্ছি। ``
হাসব্যান্ড :..........
স্ত্রী :``খুবই গরম হয়ে আছি। তাড়াতাড়ি এসে ঠান্ডা কর। ``
হাসব্যান্ড :.........
স্ত্রী :`` যা,অসভ্য।তুমি দিন দিন শয়তান আর বদমাশ হয়ে যাচ্ছ। ``
সাদেক খান বুঝতে পারলো স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে গরম যৌন কৌতুক হচ্ছে। আর ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশ রসালো ও রগরগে যৌন উত্তেজনাকর কথবার্তা, কৌতুক এমনকি অনেক সময় রোলপ্লেও হয়ে থাকে। যার মধ্যে তাদের কাজে পরকীয়া রোলপ্লে বেশ কমন ও উত্তেজনাকর বিষয়।যদিও সাদেক খান সে ব্যাপার সম্পূর্ণ অজ্ঞ।
হাসব্যান্ড :..........
স্ত্রী:``একদম খুন করে ফেলব তোমাকে আবার যদি একথা বল।খুব বদমাশ হচ্ছ দিনে দিনে শয়তান কোথাকার। ``
একথা বলে মেয়েটি খিল খিল করে হাসতে লাগল।
হাসব্যান্ড:.....
স্ত্রী:`` আমার এই রূপ, যৌবন, যৌন আবেদনময়ী দেহ শুধু তোমার সম্পত্তি। তোমার যেভাবে ইচ্ছা হবে সেই ভাবে ভোগ করবে।মরে যাব তবু তোমাকে ছাড়া আর কাউকে কাছে ভিড়তে দিব না। ``
হাসব্যান্ড:........
স্ত্রী:`` আমি শুধুই তোমার এবং সারা জীবন তোমারই থাকব। ``
হাসব্যান্ড :.......
স্ত্রী:`` আমিও তোমার মতো স্বামী পেয়ে ধন্য ও সৌভাগ্যবতী ``
হাসব্যান্ড :..........
স্ত্রী :``আমি তোমাকে, আমার মেয়ে জেসিকে এবং ছেলে জনকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। ``
হাসব্যান্ড :.......
স্ত্রী:`` love you too জান।take care .bye .
কল শেষ হওয়ার সাথে সাথে সাদেক খান দ্রুত নিজের টেবিলে এসে বসে পড়ল।একটু পরে মহিলাটি এসেই আবার তার লাভারের বুকে ঝাপিয়ে পড়ল এবং তার গোলাপি জিবটা বের করে ঐ কুৎসিত নিগ্রোটার মুখের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে তার লালা খেতে লাগল।এদিকে সাদেক খানের মাথার তালু দিয়ে ধুঁয়া বের হতে লাগল মহিলাটির কর্মকান্ড দেখে।একদিকে স্বামীর সাথে কি সতীপনাই না করল।আর অন্য দিকে স্বামী সন্তানদের সাথে বেঈমানি করে,তাদেরকে ফাঁকি দিয়ে একটা জঘন্য নিগ্রোর সাথে পরকীয়া করছে।আরো কিছুক্ষণ নাচানাচি, চুমাচুমি আর ঘষাঘষি করে মহিলাটি তার নিগ্রো নাগরকে নিয়ে চুপিসারে পার্টি হল থেকে বেড়িয়ে গেল।সাদেক খানও তাদের পিছনে পিছনে চোরের মতো যেতে লাগল।শ্বেতাঙ্গ মহিলা তার নিগ্রো লাভারকে নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং বিলাসবহুল হোটেল Burj Al Arab এর একটা রয়্যাল স্যুট এ প্রবেশ করে।যে রয়্যাল স্যুট এর প্রতি রাতের ভাড়া ২৪ হাজার মার্কিন ডলার।বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৯,২০০০০ টাকা।সাদেক খানের মাথা আবারও ঘুরতে লাগল এই ভেবে যে মহিলার বিলিওনিয়ার স্বামী তার স্ত্রীর সুখের জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করছে আর তার স্ত্রী তাকে ফাঁকি দিয়ে,তার ছেলে মেয়ের সাথে বেঈমানী করে এক নিগ্রো জানোয়ারের সাথে পরকীয়া করছে।তারা রুমে ঢুকেই দরজা লক করে দেয়।সাদেক খান তার মোবাইল এর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত ১২টা বাজে।অর্থাৎ তাদের হাথে এখনো দুই ঘণ্টা সময় আছে আদিম খেলায় হারিয়ে যাওয়ার জন্য।সাদেক খান ভালোভাবেই জানে রুমের মধ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে। সে রুমে পাশে একটু দাঁড়ালো কিন্তু কোনো শব্দ শুনতে পেলোনা।কারণ হোটেলের সব রুমই সাউন্ড proof ।সাদেক খান ঐ ব্যভিচারিণী শ্বেতাঙ্গ মহিলাকে ধিক্কার দিতে দিতে নিজের রুমের দিকে যেতে লাগল। একদিকে সে ঐ মহিলাকে ধিক্কার দিচ্ছে অন্যদিকে সে অবাক হয়ে অনুভব করতে লাগল যে তার নুনুটাও অবাধ্য জানোয়ারের মতো শক্ত হয়ে পড়ছে।যার ফলে সে নিজেকেও ধিক্কার দিতে শুরু করে।সাদেক খান রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে আরামদায়ক বিছানায় শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগল।সাদেক খান সাধারণত রাতে বিছানায় শোয়ার পর ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ে।আর সে ৬থেকে ৭ঘণ্টা পর্যন্ত এমন ঘুম ঘুমাই যে তার পাশে কেউ চেঁচামেচি করলেও তার ঘুম ভাঙবে না।কিন্তু তার সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি মাথা থেকে কিছুতেই সরাতে পারছে না।বারবার ঐ অনিন্দ্য সুন্দরী শ্বেতাঙ্গ মেয়ে ও কুৎসিত নিগ্রো লোকটির মধ্যে যে চরম অশ্লীল ক্রিয়াকলাপ চলছিল তা তার চোখের মধ্যে ভেসে উঠতে লাগল।ফলে সে বিছানায় এপাশ ওপাশ করছে,কিছুক্ষন পরপর ওঠে বারান্দায় গিয়ে বসছে,পানি পান করছে আবার বিছানায় গিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছে।এভাবে ছটফট করতে করতে রাত প্রায় তিনটার সময় তার ঘুম আসে।
[+] 14 users Like The Pervert's post
Like Reply
পরদিন ৯টায় ঘুম থেকে ওঠে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে সাদেক খান তার vip স্যুট এর বারান্দায় এসে বসল।তারপর শায়লাকে কল করল।শায়লাকে কল করার সাথে সাথেই গত রাতের ঘটনাটি মনে পরে যায়।সে মনে মনে আবার নিজের সাথে নিজেই কথা বলতে শুরু,``মহিলাটা তো শায়লার মতোই অনিন্দ্য সুন্দরী এবং তার বয়সী।নিশ্চই তারও শাকিল ও সারার মতো ছেলে মেয়ে রয়েছে।সে কেমন স্ত্রী?কেমন মা?স্বামী সন্তাদের সাথে বেইমানি করে একটা ঘৃণ্য ও কুৎসিত নিগ্রোর সাথে পরকীয়া করছে।ধিক্কার জানাই এই ব্যভিচারিণীকে।আমার শায়লা তো মরে গেলেও ব্যভিচার করা তো দূরের কথা সে ব্যভিচারের কল্পনাই করবে না।আর এই ধরনের ঘৃণ্য,জঘন্য ও কুৎসিত নিগ্রোর মতো কোনো জানোয়ার যদি খারাপ কোনো উদ্দেশ্যে শায়লার ধারে কাছেও যাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে আমার শায়লা তাকে গুলি মেরে তার মাথার খুলি উড়িয়ে দেবে।আমি সত্যিই একজন ভাগ্যবান স্বামী যে শায়লার মতো এমন একজন অনিন্দ্য সুন্দরী,বিশ্বস্ত,সতীলক্ষী,পতিব্রতা,নিষ্পাপ স্ত্রী পেয়েছি। I love you my shaila, my darling wife,my janu.তোমার সুখের জন্য আমি আমার জীবন বাজি রাখতেও রাজি। আমার এই খান সাম্রাজ্য তোমার পদতলে বিলিয়ে দিতেও আমার কোনো আফসোস নেই। ``
একদিকে সাদেক খান মনে মনে এইসব চিন্তা করছে অন্য দিকে তার অবচেতন মনে সেই কুৎসিত নিগ্রোর সাথে অনিন্দ্য সুন্দরী মহিলাটির রগরগে যৌন দৃশ্যগুলো তার চোখের সামনে ভেসে উঠছে এবং খুবই অসস্থিকর অথচ অত্যন্ত তীব্র,অবৈধ ও নিষিদ্ধ একটা ভালো লাগার যৌন উত্তেজনার শিহরণ তার শরীরের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক তড়ঙ্গের মতো প্রবাহিত হচ্ছে।আর সে যখন ঐ মহিলার সাথে শায়লার তুলনা করছে তখন এই নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজনার তীব্রতা যেন কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে।যৌন অনভিজ্ঞ সাদেক খানের কাছে এই ধরনের যৌন অনুভূতি সম্পূর্ণ নতুন এবং অপরিচিত।এর কোনো ব্যাখ্যা নেই তার কাছে।যার ফলে সাদেক খান অত্যন্ত অস্বস্তিকর ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়।সে যখন এই ভাবনার মধ্যে ডুবে ছিল তখনই অফিস থেকে কল আসে যে মাল্টার রাজধানী ভেলাটায় খান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি যে দুইটি ৫স্টার হোটেল নির্মাণ করতে যাচ্ছে তাতে স্থানীয় দুইটি ফার্ম সাবকন্ট্রাক্টর হিসেবে কাছ করতে আগ্রহী।তাই তাকে আজ বিকালেই বেলাটায় যেতে হবে।সাদেক খান দুবাই অফিসের সিইও মারুফ মল্লিককে গাড়ি নিয়ে আসতে বললেন এবং বসের কল পেয়ে মারুফ মল্লিক ১৫ মিনিটের মধ্যেই গাড়ি নিয়ে Burj Al Arab Jumeirah হোটেলের vip এক্সিস্ট গেইটে হাজির হয়ে যায়।সাদেক খান সবসময়ই নিজে গাড়ি চালান।আর তা না হলে তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত কোনো কর্মকর্তাকে তাকে বহনকারী গাড়ি চালানোর অনুমতি দেন।আর দুবাই এলে এই দায়িত্ব পড়ে তার অন্যতম বিশ্বস্ত কর্মকর্তা মারুফ মল্লিকের উপর।সাদেক খান গাড়িতে ওঠলে মারুফ মল্লিক হাই সিকিউরিটির vip রোড দিয়ে ড্রাইভ করে Burj Khalifa টাওয়ারে পৌঁছে যায়।সাদেক খান দুবাই অফিসের সিনিয়র স্টাফদের নিয়ে আবার একটা মিটিং করলেন এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দিয়ে Burj Al Arab Jumeirah হোটেলে ফিরে এসে লাঞ্চ করে একটা ঘুম দিলেন।কারণ গত রাতে তার তেমন ভালো ঘুম হয়নি।বিকেল সাড়ে চারটায় ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে সাদেক খান আবার মারুফ মল্লিককে কল করেন।মারুফ মল্লিক গাড়ি নিয়ে আসল এবং তারা আবার হাই সিকিউরিটি vip রোড দিয়ে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের vvip টার্মিনালে পৌঁছে যায়।এদিকে যে গাড়িটি সাদেক খানকে বহনকারী গাড়িটিকে ছায়ার মতো অনুসরণ করতেছিল সেটি সাদেক খানের গাড়ির ধারে কাছে ভিড়তে পারেনি।কারণ সাদেক খানকে বহনকারী গাড়িটি সবসময় হাই সিকিউরিটির vip রোড ব্যবহার করছে।আর এই হাই সিকিউরিটির vipরোড কেবল হাই প্রোফাইল ব্যক্তিরাই ব্যবহার করতে পারে।এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে সাদেক খান সন্ধ্যা ৭টায় মাল্টার রাজধানী ভেলাটায় পৌঁছে যায়।সেখানে Rosselli হোটেলের vip স্যুট এ ওঠেন।রাতে হোটেলে স্থানীয় দুইটি ফার্মের কর্মকর্তারা এসে তার সাথে দেখা করে এবং পরের দিন হোটেলে নির্মাণের স্থান পরিদর্শনের জন্য সাদেক খানকে অনুরোধ করে।পরের দিন সাদেক খান হোটেল নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেন এবং তিনি খুবই খুশি হলেন এমন সুন্দর জায়গা পাওয়ার জন্য।ভূমধ্যসাগরের এই দ্বীপ রাষ্ট্রে পর্যটকদের ভিড় দিন দিন বেড়েই চলছে।তাই ৫ স্টার হোটেলের চাহিদাও দ্রুত গতিতে বাড়ছে।সাইট পরিদর্শন শেষে সাদেক খান একটা রিসোর্টে দুপুরের লাঞ্চ করে একটু রেস্ট নিলেন।তারপর বিকালে দ্বীপের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত আরেকটি পর্যটন এলাকায় যাওয়ার সিদ্বান্ত নিলেন।স্থানীয় ফার্মের সিইও তাদের একটা বিলাসবহুল গাড়ি এবং অত্যন্ত অভিজ্ঞ একজন ড্রাইভার দিলেন সাদেক খানকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখানোর জন্য।বিকেল৫টার দিকে সাদেক খানকে বহনকারী একটা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।গাড়িটি যখন একটা মোড়ের মধ্যে ডান দিকে ইউ টার্ন দেয় তখনই হঠাৎ করে গাড়িটির সামনের একটা চাকা ফেটে যায়।সাথে সাথে গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায়।গাড়িটি প্রথমে রাস্তার একটু নিচে বড় একটা পাথরের উপর পরে এবং সৌভাগ্যক্রমে সেখান থেকে আবার ছিটকে গিয়ে প্রায় ৩০০ ফিট নিচে বড় একটা গাছের উপর পড়ে।এদিকে গাড়িটি যখন প্রথমে পাথরে আঘাত করে তখনি গাড়ির সেফটি এয়ার বেলুন ফুলে ওঠে ফলে সাদেক খান ও গাড়ির ড্রাইভার কেউ ই তেমন কোনো আঘাত পায়নি।আবার সেখান থেকে গাড়িটি ঘন ডালপালায় ভরা বড় গাছের উপর পড়ায় এবং সেফটি এয়ার বেলুন ফুলে ওঠার কারণে তারা দুজনেই সুরক্ষিত থেকে যায়।কিছুক্ষণ পর তারা যখন দেখলো যে গাড়িটি গাছের উপর অত্যন্ত সুরক্ষিতভাবে আটকে আছে,তখন তারা লাথিদিয়ে গাড়ির দরজা খোলে বেরিয়ে এসে গাছ বেয়ে নিরাপদে নিচে নেমে এলো।





সাদেক খান ও গাড়ির ড্রাইভার পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উপরে রাস্তায় ওঠে এলো।তারপর সেখানে থেকে প্রায় ২০ মিনিটের পথ হেটে এসে একটা পেট্রোল পাম্পে আসল।সাদেক খান ও গাড়ির ড্রাইভার বুঝতে পারছে না কি করে এবং কেন নিউ মডেলের গাড়িটির চাকা ফেটে গেল।ড্রাইভার ফোন করে তাদের সিইও কে তাদের দুর্ঘটনার কথা জানালো।কিছুক্ষণ পরেই আরেকটা গাড়ি এসে তাদেরকে আবার হোটেলে নিয়ে গেল।সাদেক খান লোকাল ফার্মের সিইও কে দুর্ঘটনার বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে।আর যেহেতু দুর্ঘটনায় কেউ মারা যায়নি তাই মিডিয়াও কোনো নিউজ করেনি।সাদেক খান হোটেলে তার স্যুট এর বারান্দায় বসে উপরওয়ালার কাছে বারবার শুকরিয়া আদায় করতে লাগল এমন একটা ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে অক্ষত অবস্থায় বাঁচিয়ে দেয়ার জন্য।সাদেক খান দুর্ঘটনার বিষয়টি শায়লাকে জানাবে কিনা সে নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলেন।শেষে সিদ্ধান্ত নিলেন শায়লাকে জানালে হিতে বিপরীত হতে পারে।কারণ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা শায়লা খান যদি জানতে পারে তাহলে শায়লা সাদেক খানকে বিদেশে ট্যুর করতে আর দিবে না।মাল্টি বিলিয়ন ডলারের ছুটি বাতিল করে দিতে বলবে।এমনকি দুবাই এর অফিসও বন্ধ করে দিয়ে দুবাইএ রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বাতিল করে শায়লা খানের আঁচল ধরে সারাদিন বসে থাকতে বলবে।আর শায়লা খান যদি তেমন আদেশ দেন তাহলে সাদেক খানের বাবারও ক্ষমতা নেই তা অবজ্ঞা করার।কারণ সাদেক খান যে শায়লা খানকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে।সাদেক খান এই দুর্ঘটনার কথা অফিসকেও জানায় নি।কারণ অফসি যদি সেটা জানে তবে কোনো না কোনো ভাবে শায়লার কানেও খবরটি চলে যেতে পারে।

সাদেক খান যখন এই নিয়ে সাত পাঁচ ভাবছিলেন ঠিক সেই সময় মাল্টার পশ্চিম উপকূলে সমুদ্রের তীরে নির্জন একটা স্থানে বসে ভয়ঙ্করদর্শী একটা লোক বিয়ার পান করছে।পাথরের উপর বসে স্নাইপার রাইফেলের বিভিন্ন অংশ খোলে একটা পলিথিনে ভরে জোরে একটা ডিল দিয়ে সেটাকে ভূমধ্য-সাগরের গভীর জলে ফেলে দেয়।এই ভয়ঙ্কর,নির্মম আততায়ী খুনি,সাদেক খানের একনম্বর গোপন দুশমন।এই আততায়ী নিশ্চিত ছিল যে সাদেক খান মারা গেছে।তাই সাদেক খানকে দুনিয়া থেকে সড়িয়ে দিতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে।সে মনে মনে সাদেক খানকে গালিগালাজ করতে করতে বলতে লাগল,
`` সালা মাদারচোদ,তোর জন্য আমার অবৈধ মাদক ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে,তোর জন্য আমার অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও কাছের দুইজন প্রাণের চেয়েও প্রিয় বন্ধুকে পুলিশের এনকাউন্টারে প্রাণ দিতে হলো।প্রায় দশ বছর প্রতিশোধের এই আগুন বুকে নিয়ে ঘুরেছি।শালা এর আগে ভাগ্যক্রমে আমার হাত থেকে তুই দুইবার বেঁচে গেছিস।আমি যাকে টার্গেট করি সে কোনোদিনই বাঁচতে পারেনা।তুইও বাঁচতে পারলে না। অথচ সবাই জানবে তুই দুর্ঘটনায় মারা গেছিস।শালা তুই দুর্ঘটনায় মরিস নি।আমি তোকে হত্যা করেছি খানকির পোলা।


আজ আমার প্রতিশোধের আগুন নিভেছে।শালা মাদারচোদ,খানকির পোলা এখন তোর ছেলেকেও শেষ করে দিব।এই ঘৃণ্য ও ভয়ঙ্কর খুনি মনে মনে এইসব কথা বলতে বলতে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছে। এমন সময় তার মোবাইল ফোনের রিংটোন বেজে ওঠে।
কলার:`` মিশনের খবর কি ?
লোক:`` মিশন ১০০% successful boss .``
কলার:`` কিভাবে নিশ্চিত হলে?``
লোক:`` বস, প্রায় চারশ ফিট গভীর খাঁদে গাড়িটি পড়ে গেছে। সতরাং বেঁচে থাকার আশা জিরো পার্সেন্ট। `
কলার:`` কাছে গিয়ে দেখেছিস ?``
লোক:`` না BOSS , কারণ এসময় সেখানে আমাকে কেউ দেখলে সন্দেহ করতে পারে তাই কাছে যায়নি। ``
কলার:Good! শুন,আজই মালটা ছেড়ে চলে যা ,এখানে থাকা আর টিক হবে না। ``
লোক:`` কোথায় যাবো বস ?``
কলার:`` সিসিলি চলে যা। তবে শুন বিমানে না গিয়ে ফেরিতে করে যাবি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবি। ``
লোক:``ওকে বস ,``
সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে লোকটি সিসিলি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল।

আসলে সাদেক খান যখন মাল্টায় পৌঁছায় তার পরের ফ্লাইটেই সেখানে তার আততায়ী পৌঁছে গিয়েছিল এবং মাল্টায় অবস্থিত তাদের গুপ্ত এজেন্টের মাধ্যমে সাদেক খানের সিডিউল জেনে যায়।সাদেক খানকে হত্যার জন্য তারা দুর্ঘটনা থিওরি প্রয়োগ করে যাতে করে কেউ কোনো সন্দেহ করতে না পারে।কারণ সাদেক খানের মতো এমন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিকে হত্যা করলে দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোরণ সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়ে যাবে।যার ফলে হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ ও এর পিছনে কে কে জড়িত তাও বেরিয়ে আসবে।তাই সাদেক খানকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এমনভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে যাতে করে কেউ কোনো দিন জানতে না পারে কেন তাকে হত্যা করা হলো এবং কে এর পিছনে কে জড়িত।
সাদেক খানকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্ডার ওয়ার্ল্ডের অদৃশ্য এক শক্তি অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।তারা সাদেক খানকে এমনভাবে হত্যা করার পরিকল্পনা করছে যাতে করে কেউ কোনোদিন তার হত্যা কাণ্ডের কারণ ও হত্যাকারী হোতাদের খুঁজে বের করতে না পারে।তাই তারা অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে এবং সঠিক সময় ও সুযোগের অপেক্ষা করে থাকে।ইতিমধ্যে তারা তিনবার সেই সুযোগ পেয়েছিল সাদেক খানকে শেষ করে দেওয়ার।কিন্তু তাদের দূর্ভাগ্য এবং সাদেক খানের সৌভাগ্যের কারণে তারা সাদেক খানকে হত্যা করতে পারেনি।এটা তাদের চতুর্থ ষড়যন্ত্র ছিল সাদেক খানকে হত্যা করার।সাদেক খানকে হত্যা করার জন্য তারা অসংখ্য খুনের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ দুর্ধর্ষ, ভয়ংকর, নির্মম এক ভাড়াটিয়া খুনি নিয়োগ করে।আবার সাদেক খান এই ভাড়াটিয়া খুনিরও একনম্বর শত্রু।ফলে ভাড়াটিয়া খুনি এক ঢিলে দুই পাখি মারার সুযোগ পেয়ে যায়।একদিকে এই জঘন্য খুনি তার চির দুশমন সাদেক খানকে খুন করে তার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়।আর অন্যদিকে সাদেক খানকে খুনের বিনিময়ে সে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের মাফিয়া বসের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা কামানোর সুযোগও পেয়ে যায়।যতই ভয়ঙ্কর হোক না কেন এই দুর্ধর্ষ খুনি একা একা তার চরম দুশমন সাদেক খানের মতো এমন একজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিকে হত্যা করা তার পক্ষে সম্পূর্ণ অসম্ভব ব্যাপার।তাই অদৃশ্য এক মাফিয়া ডনের কাছ থেকে যখন সাদেক খানকে হত্যা করা এবং হত্যার বিনিময়ে ১০কোটি টাকা ও নিরাপদ শেল্টারের অপার আসে তখন সাথে সাথে এই নির্মম ও ভয়ঙ্কর খুনি এই অপার লুফে নেয়।এতে করে এই খুনি তার চরম দুশমন সাদেক খানকে মাফিয়া ডনের ছত্রছায়ায় হত্যা করে দীর্ঘদিন ধরে জ্বলা প্রতিশোধের আগুন নিভাবে আর সাথে সাথে ১০কোটি টাকাও পেয়ে যাবে।একেবারে সোনায় সোহাগা।





সাদেক খানকে হত্যা করার জন্য তারা দুর্ঘটনা থিওরির উপর বেশি জোর দেয়।কারণ সুপরিকল্পিতভাবে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যদি সাদেক খানকে হত্যা করা যায় তবে সেটা হবে তাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ।তবে অন্যান্য উপায়ও তারা হাতে রাখে।তবে যে উপায়েই সাদেক খানকে হত্যা করা হোক না কেন তা যেন ১০০% নির্ভুল ও নিরাপদ হয় সে ব্যাপারে এই অদৃশ্য মাফিয়া শক্তি অত্যন্ত সতর্ক।
এক অদৃশ্য মাফিয়া ডন এবং আরেক ভয়ঙ্কর খুনি যে তার চরম দুশমন হয়ে আছে ,তারা যে তাকে হত্যা করার জন্য ভয়ঙ্কর ও ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এই ব্যাপারে সাদেক খান কিন্তু সম্পূর্ণভাবে অন্ধকারে আছে। সাদেক খান কোনো দিন কল্পনাও করেনি যে তার কোনো শত্রু থাকতে পারে।কারণ খান পরিবারের কোনো সদস্যই কোনোদিন কারো কোনো ক্ষতি করেনি।বর্তমানে তাদের রিয়েল এস্টেটের যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে তা কিন্তু সাদেক খানের দাদা পাকিস্তান আমলে সস্তায় ও ন্যায্য মূল্যে কেনা ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত।খান পরিবার অন্যায়ভাবে কোনো দিন কারো ভূমি জবরদখল করেনি যেমনটা করে থাকে বর্তমান কালের ভূমিদূস্য রিয়েল এস্টেটের মালিকেরা।খান কনস্ট্রাকশন ফার্ম যখন কোনো জমি ক্রয় করে তখন তারা বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামেই ক্রয় করে।ফলে জমির মালিকেরা খান কনস্ট্রাকশন ফার্মের বিরুদ্ধে কোনোদিন কোনো অভিযোগ করেনি।আবার অন্যান্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকেও কিন্তু খান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ভূমি দিয়ে ,আর্থিক সাহায্য দিয়ে এমনকি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে।যে কারণে অন্যান্য রিয়েল এস্টেট ফার্মের সাথে খান ফার্মের খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে।আবার সরকার ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে খান ফ্যামিলির ঘনিষ্ট সম্পর্কের কথা সবাই জানে।এমনকি মধ্য প্রাচ্যের আরব দেশগুলোর অনেক প্রভাবশালী শাসকদের সাথেও যে খান পরিবারের ঘনিষ্ট যোগাযোগ আছে এই ব্যাপারেও সবাই ওয়াকিবহাল।আর এই জন্যই খান ফ্যামিলির কেউ কোনোদিন বিশ্বাস বা কল্পনাও করেনি যে খান ফ্যামিলিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য কেউ কোনোদিন ষড়যন্ত্র করার সাহস পাবে।আর এই জন্য খান পরিবারের কেউ তাদের গোপন শত্রু সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সতর্ক ছিল না কোনোদিন।আর গোপন এই দুই ষড়যন্ত্রকারী সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে।
এদিকে আল্লাহর অশেষ রহমতে সাদেক খান আবারও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়।আগেও সৌদি আরবের পাহাড়ি এলাকায় এমনি একটা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিল সে।কিন্তু সেটাও দুর্ঘটনা ছিল না।ছিল সাদেক খানকে হত্যা করার গভীর চক্রান্ত।আর এই চক্রান্তের পিছনে কলকাঠি নাড়ছে এক অদৃশ্য মাফিয়া ডন আর তা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রাণপনে চেষ্টা করছে এই ভয়ঙ্কর,ঘৃণ্য ও নির্মম ভাড়াটিয়া খুনি।



মানবদরদী, নিষ্পাপ ও দানশীল সাদেক খান বারবার উপরওয়ালার অশেষ রহমতে বেঁচে যাচ্ছে।সাদেক খান এই দুইটি ঘটনাকেই নিছক দুর্ঘটনা হিসেবেই মনে করছে।কিন্তু সে কল্পনাও করতে পাচ্ছে না যে, এসব দুর্ঘটনা নয়। এসব ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র।
সাদেক খান প্রথমে যদিও বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এই দুর্ঘটনার কারণে কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সামলে নেন।সে উপরওয়ালার উপর পূর্ণ ভরসা রাখেন এই ভেবে যে উপরওয়ালা যদি কাওকে রক্ষা করে তবে যেকোন বিপদ আপদ তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।আর জন্ম নিলে একদিন সবাইকেই মরতে হবে।সতরাং মরনের কথা চিন্তা করে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী হয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয়না।মরনের সময় হলে সবাইকে মরতে হবে।সে যতই সুরক্ষিত স্থানে নিজেকে লুকিয়ে রাখুক না কেন।তাই সাদেক খান বিন্দুমাত্র আতঙ্কিত না হয়ে নিজেকে একদম স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসলেন।কেউ বুঝতেও পারছে না যে সে ভয়ঙ্কর একটা দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে।সাদেক খান পরদিনই দুবাই ফিরে যাওয়ার সিদ্বান্ত নেয়।তারপর দুইদিন দুবাই অবস্থান করে mauritius এ ট্যুর দেওয়ারও সিদ্বান্ত নীল।
এদিকে দুবাই এর আরেকটা হাই রাইজ বিল্ডিং Cayan Tower এর ৫০ তম তলায় অবস্থিত বিশাল এক বিলাসবহুল অফিস বসে আছে আরেকজন রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্যের বস।তার কাছে এই দুর্ঘটনার খবর আসতেই সে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়।সে যখন সংবাদ পেলো যে সাদেক খান আর বেঁচে নেই তখন সে তৃপ্তির একটা ফোকলা হাসি দিয়ে মনে মনে বলল,
``এতদিন পর আমার পথের কাঁটা সরে গেল।বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেটের একচেটিয়া ব্যবসা এখন আমার হাথে এসে যাবে।আমি হব রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্যের একমাত্র সম্রাট।ঘুণাক্ষরেও কেউ জানতে পারবে সাদেক খানের মৃত্যুর আসল কারণ।সবাই সেটাকে দুর্ঘটনা হিসেবেই মনে করবে। ``
আর এই মাফিয়া কিন্তু খান পরিবারের একজন ঘনিষ্ট বন্ধু।এই ছায়া শত্রু সাদেক খানের কাছ থেকে অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়েছে বিভিন্ন সময়।এখনও খান ফ্যামিলির সাথে এই বর্ণচোরা বেঈমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।কিন্তু বড় আফসোসের বিষয় হলো এই খান ফ্যামিলি যে অত্যন্ত মারাত্মক বিষধর সাপের মতো এক ভয়ঙ্কর মাফিয়ার সাথে বন্ধুত্ব করেছে তা সহজ সরল সাদেক খান কল্পনাও করতে পারছে না।আসলে মুনাফেক মানুষের কাছ থেকে আত্মরক্ষা করা বেশ কঠিন
কাজ।
এই অদৃশ্য মাফিয়া ডন তার অফিসের সকল স্টাফকে জানায় যে আগামীকাল তাদের সবার জন্য এক বিশেষ বোনাস ঘোষণা করা হবে এবং সাথে সাথে জাঁকজমকপূর্ণ এক বিশাল পার্টিরও আয়োজন করা হবে। অফিসের সবাই অবাক হয়ে যায় হঠাৎ করে এমন খুশীর সংবাদ শুনে।কিন্তু কি কারণে তাদের জন্য বোনাস ও পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে সেটা তার বুঝতে পারছে না।তবে সাহস করে কেউ এর কারণ সম্পর্কে তাদের বসকে কোনো প্রশ্নও করতে পারছে না।
কারণ তারা জানে তাদের বস খুবই খেয়ালি প্রকৃতির মানুষ।কোন সময় কি করে ফেলে তার কোনো ঠিক নেই।অফিসের সকল স্টাফদের বিশেষ বোনাস ও পার্টির আয়োজনের জন্য কয়েক কোটি টাকার বাজেটও করে ফেলে তাৎক্ষণিকভাবে।
Like Reply
এতদিন যে আপডেট দাও নি .. আজকে তার সমস্ত হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে দিলে ভাই .. 

অসাধারণ আপডেট .. সর্বোপরি চরিত্রের বর্ণনা এবং গল্পের বুনট বা গঠনশৈলী অপূর্ব।

Like and reputation added

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
(06-06-2021, 06:13 PM)Bumba_1 Wrote: এতদিন যে আপডেট দাও নি .. আজকে তার সমস্ত হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে দিলে ভাই .. 

অসাধারণ আপডেট .. সর্বোপরি চরিত্রের বর্ণনা এবং গল্পের বুনট বা গঠনশৈলী অপূর্ব।

Like and reputation added

আপনার একটি কমেন্টই পড়লেই লেখার সার্থকতা খুঁজে পায় এবং সমস্ত পরিশ্রমের কথা ভুলে যায়।এভাবেই কমেন্ট করে উৎসাহিত করবেন গুরু।  Namaskar Namaskar Namaskar
Like Reply
দুর্দান্ত পর্ব ছিল এটি. Der aye par durust aye.
Opposite attract ব্যাপারটা যে ভাবে ফুটিয়ে তুললেন আর ভদ্র সভ্য মানুষ হয়েও রিপুর শক্তি যে কতটা সেটার যে একটা নমুনা দিলেন আর শেষের থ্রিল!! উফফফ অসাধারণ ❤

বিদেশি ওই কামুকি নারী সারারাত ওই বিশ্রী লোকটার সাথে নিশ্চই খুব নোংরামি করেছে. হয়তো ওই বিশাল দেহের নিগ্রো ভয়ঙ্কর সুখ দিচ্ছে সেই সুন্দরীকে. সেই বিদেশিনী ভুলেও গেছে স্বামী সন্তানের কথা. বিয়ের আংটি পড়েই নিশ্চই খাট কাঁপিয়ে লাফিয়েছে ওই কুৎসিত নিগ্রোর ওপর. আরও কত কি..... এসব ভেবেই হয়তো খান সাহেবের ঘুমোতে অসুবিধা হচ্ছিলো.
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
(06-06-2021, 06:27 PM)Baban Wrote: দুর্দান্ত পর্ব ছিল এটি. Der aye par durust aye.
Opposite attract ব্যাপারটা যে ভাবে ফুটিয়ে তুললেন আর ভদ্র সভ্য মানুষ হয়েও রিপুর শক্তি যে কতটা সেটার যে একটা নমুনা দিলেন আর শেষের থ্রিল!! উফফফ অসাধারণ ❤

বিদেশি ওই কামুকি নারী সারারাত ওই বিশ্রী লোকটার সাথে নিশ্চই খুব নোংরামি করেছে. হয়তো ওই বিশাল দেহের নিগ্রো ভয়ঙ্কর সুখ দিচ্ছে সেই সুন্দরীকে. সেই বিদেশিনী ভুলেও গেছে স্বামী সন্তানের কথা. বিয়ের আংটি পড়েই নিশ্চই খাট কাঁপিয়ে লাফিয়েছে ওই কুৎসিত নিগ্রোর ওপর. আরও কত কি..... এসব ভেবেই হয়তো খান সাহেবের ঘুমোতে অসুবিধা হচ্ছিলো.

দাদা আপনার ভাবনার সাথে আমার মনের বেশ মিল আছে কিন্তু। আর এই ধরনের থিম নিয়ে একটা গল্প লেখার স্বপ্ন কিন্তু আমি আপনার কাছ থেকে এবং interracial adultery থেকে পেয়েছি।   Namaskar Namaskar Namaskar
[+] 1 user Likes The Pervert's post
Like Reply
অসাধারণ আপডেট! দারুণ ধারা বর্ণনা। যেন হলিউডের কোনো ক্রাইম থ্রিলার পড়ছি।  clps clps clps
Like Reply




Users browsing this thread: 12 Guest(s)