Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
** গাধার গপ্পো **
নিশিকান্ত পাকড়াশিকে অনেকে ডাকে ‘গাধা পাকড়াশি’। এর কারণ সে এক জন সৎ মানুষ। ছোটবেলা থেকেই তার এই স্বভাব। বড় হয়েও এক কাণ্ড! নগদ টাকা নিয়ে কাজ কারবার, কিন্তু হিসেব ঠিক রাখে। সম্ভবত এই কারণেও তাকে ‘গাধা’ ডাকা হয়। সৎ মানুষকে ‘গাধা’ ডাকা হবে কেন? গাধারা কি সৎ হয়? পশুবিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন কি না, কারও জানা নেই। তবে ভবিষ্যতে যদি এমন কোনও গবেষণা হয়, তা হলে নিশিকান্ত পাকড়াশির এই গল্প কাজে লাগতে পারে। গল্পটা এ রকম—
অনেক ভাবনাচিন্তার পর নিশিকান্ত সিদ্ধান্ত নিল, সে আত্মহত্যাই করবে।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বালিশের তলা হাতড়ে হাতঘড়ি বের করে চোখের সামনে ধরল নিশি। জানলা থেকে আসা ল্যাম্পপোস্টের ফ্যাকাসে আলোয় সময় দেখল। রাত দেড়টা। তার ভুরু সামান্য কুঁচকোল। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাত দেড়টা কি শুভক্ষণ? মা বলতেন, 'বাবা নিশি, বড় কাজ করার আগে সময় বিচার করবি। বড় কাজের জন্য আলাদা সময় থাকে। সেই সময় জানতে হয়।’
আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত অবশ্যই একটা ‘বড় কাজ’। সেই কাজ শুভক্ষণে করা গেল কি না কে জানে। তবে সিদ্ধান্ত নিতে বাবাও খানিকটা সাহায্য করেছে। শুয়ে শুয়ে বাবার সঙ্গে কথা বলেছিল নিশিকান্ত। মনে মনে কথা। মনে মনে কথা কেউ শুনতে পায় না, বাঁচোয়া। নইলে লজ্জার ব্যাপার হত। কেউ শুনলে ভাবত, পাশাপাশি শুয়ে পিতা পুত্র কথা বলছে। আসল ঘটনা তা না। বাবা সাড়ে চার বছর আগে মারা গিয়েছেন।
--‘বাবা, আমি তো বিরাট সমস্যায় পড়েছি। সমস্যা থেকে বেরোতে গিয়ে সব জট পাকিয়েও ফেলছি।’
বাবা বললেন, ‘নিশি, সমস্যার পিছনে কি রহস্য আছে?’
গণেশ বলল, ‘তাই তো মনে হচ্ছে।’
বাবা বললেন, ‘অনেকটা আমার মতো কেস। অবশ্য এমনটা হওয়ারই কথা। উত্তরাধিকার বলে একটা ব্যাপার আছে না?’
নিশিকান্ত বলল, ‘এখন ও সব জ্ঞানের কথা ছাড়ো। সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনও উপায় আছে কি না বলো।’
বাবা হেসে বললেন, ‘সমস্যা নিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছিস নিশি! তুই কি আমার ছেলে? আমার হাল মনে নেই তোর? একে ওই কাণ্ড, তার ওপর ঘাড়ে অত বড় সংসার, তোর মায়ের অসুখ, তোর পরীক্ষা, পাড়ার গুন্ডা বিয়ে না করলে রিম্পাকে অ্যাসিড মারবে বলে হুমকি দিয়েছে। পুলিশ ডায়রি নিচ্ছে না। কী ভয়ংকর সে-সব দিন গেছে! ভুলে গেলি?’
নিশিকান্ত বলল, ‘উফ, আবার পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে শুরু করলে।’
বাবা একটু চুপ করে থেকে বললেন, ‘হ্যাঁ রে, পজিশন কি সত্যি খুব ঢিলা হয়ে পড়েছে?’
নিশিকান্ত বলল, ‘তবে আর বলছি কী? নিজের ওপর কোনও জোর নেই। সে দিন তো পথে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার জোগাড়। একটা চায়ের দোকানে বসে জলটল খেয়ে সামলালাম। দরজায় ঠকঠক শুনলেই ভাবি পুলিশ এসেছে।’
বাবা বললেন, ‘তা হলে এক কাজ কর, যখন সমাধান কিছু পাচ্ছিস না, এক্সট্রিম পথ বেছে নে। এত দুশ্চিন্তা ভাল না। শরীর খারাপ হয়। প্রেশার, সুগার বাড়ে। এক্সট্রিম কিছু করে ফেললে সব টেনশন থেকে মুক্তি। মনে রাখবি, মুক্তিই আসল। বড় বড় মনীষীরাও তা-ই করেছেন। মুক্তির পথ খুঁজেছেন। কলেজে ওনাদের জীবনী পড়িসনি?’
নিশিকান্ত বলল, ‘চূড়ান্ত পথটা কী বাবা?’
বাবা ফের মৃদু হাসলেন। খুকখুক কাশলেনও যেন। ‘পথ কী, তুমি নিজেই ঠিক করো। ঠান্ডা মাথায় ভাবলে পথ ঠিক পাওয়া যাবে।’
বাবার সঙ্গে কথা শেষ করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই নিশি ‘মুক্তির পথ’ খুঁজে পায়। আত্মহত্যা। একমাত্র উপায়। সব টেনশনের অবসান। তখন দরজায় পুলিশ কড়া নাড়লেই বা কী, পথে মাথা ঘুরলেই বা কী? সব সমান। সব মায়া। নিশির নিশ্চিন্ত লাগে। নিজের ওপর হালকা রাগও হয়। এমন সহজ একটা পথ খুঁজে বের করতে এত সময় লাগল! ছিঃ। সত্যি সে বোকা।
নিশিকান্ত পাকড়াশি শুনলে মনে হয়, বয়স্ক মানুষ। আসলে নিশির বয়স মাত্র তিরিশ। বড়বাজারে ছোটখাটো একটা প্রাইভেট অফিসে চাকরি করে। কাজ ঝামেলার এবং অপমানের। কিন্তু ও নিয়ে ভাবলে চলে না। বাবার মৃত্যুর পর ছোট মফস্সল শহর থেকে কলকাতায় চলে আসতে হয়েছিল। কাজ চাই। নিশির বাড়িতে বাবা-ই ছিলেন একমাত্র রোজগেরে মেম্বার। বিডিও অফিসে সামান্য করণিক পদে কাজ করতেন। জীবনের শেষ তিনটে বছর ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চাকরি থেকে সাসপেন্ড হয়ে ছিলেন। বন্যার সময় ত্রিপল কেনায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। সাসপেন্ড অবস্থাতেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয় মানুষটার। রেখে যান দেড় কামরার একটি বাড়ি, কঠিন অসুখে শয্যাশায়ী স্ত্রী, পাড়ার গুন্ডার ভয়ে কলেজ বন্ধ করে দেওয়া অষ্টাদশী কন্যা এবং কোনও ক্রমে কলেজ পাশ করা যুবক পুত্র নিশিকান্তকে। নিশির তখন কাজ খোঁজা ছাড়া উপায় কী? কলকাতায় দূর সম্পর্কের মামা এই অফিসে ঢুকিয়ে দিলেন।
বাবার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হয়েছিল। কঠোর তদন্ত কমিটি। কমিটি মেম্বাররা প্রথম বার বসেই অতি তৎপরতার সঙ্গে সাসপেনশনের হুকুম দিলেন। তার পর শুরু হল মূল তদন্ত। মূল তদন্তে অনেক হ্যাপা। দোষ প্রমাণ করতে হয়। তার পর বিচার। সব শেষে শাস্তি। দোষ প্রমাণ জটিল বিষয়। সাক্ষী লাগে, প্রমাণ। তদন্ত কমিটির মেম্বারদের সাবধানে চলতে হয়। কান টানতে মাথা না এসে পড়ে। দলাদলিও আছে। হুটপাট কিছু করা ঠিক না। এর মধ্যে আবার নিশির বাবা কমিটির কাছে চিঠি লিখলেন। যে দিন অফিসে বসে ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, সে দিন তিনি অফিসেই আসেননি। বন্যার জল ঘেঁটে জ্বরে কাবু হয়ে বাড়িতে কুঁইকুঁই করছিলেন। সুতরাং তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হোক। আবেদনের সঙ্গে স্থানীয় বিশিষ্ট হাতুড়ে চিকিৎসক উমাপদ মান্নার সার্টিফিকেট। এতে অবস্থা জটিল হল। কোনটা সত্য? অভিযোগ না আবেদন? মাসের পর মাস, বছর কেটে যেতে লাগল। তদন্ত আর এগোয় না। কমিটি মিটিঙেই বসে না। মেম্বাররা বদলি হয়ে যান, রিটায়ার করেন, কেউ চাকরি ছেড়েও দেন। এক জন তো মারাও গেলেন। এ দিকে সংসারে টাকাপয়সার অবস্থা ভয়ংকর। সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মানুষটা অফিসে অফিসে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। তদন্তে যদি গতি আসে। কোথায় গতি!
বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর নিশিকান্তও ক’দিন কলেজ কামাই করে ছোটাছুটি করেছে। অফিসারদের ধরাধরি করেছে। কাঁচুমাচু মুখে বলত, ‘স্যর, কিছু কি করা যায় না?’
অফিসার মুখ দিয়ে চুকচুক আওয়াজ করে বলত, ‘কী করি বলো তো ভাইটি? আমাদের হাত-পা বাঁধা। তোমার বাবার কেস তো বিচ্ছিরি ভাবে ঝুলে আছে দেখছি। ফাইল আছে, কিন্তু মানুষ নেই। কমিটি আছে কিন্তু মেম্বার নেই।’
নিশি বলে, ‘তা হলে স্যর, তদন্ত কমিটির ফাইলটাই তুলে দিন না!’
অফিসার দার্শনিক ধরনের মুখ করে বলেন, ‘ওটি হওয়ার নয় ভাইটি। সরকারের ঘরে সব তোলা যায়, ফাইল তোলা যায় না।
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
নিশিকান্ত তার অফিসে ক্যাশিয়ার রজনী চক্রবর্তীর অ্যাসিসট্যান্ট। সকালবেলা রজনী চক্রবর্তী হাতে লম্বা লিস্ট ধরিয়ে দেন। কোন কোন পার্টির কাছে টাকা পাওনা, তার লিস্ট। সঙ্গে বিল, ক্যাশবুক। ক্যান্টিনে হাফ গ্লাস জল, এক কাপ তিতকুটে চা খেয়ে লিস্ট হাতে বেরিয়ে পড়ে নিশিকান্ত। লিস্টে তিনটি ভাগ। প্রথম ভাগে যারা সে দিন পাওনা টাকা দেবে, তাদের নাম। দ্বিতীয় ভাগে থাকে যারা কবে টাকা দেবে শুধু সেটুকু। আর তিন নম্বর ভাগে তাদের নাম যারা টাকা দেবে না, আবার কবে দেবে সে কথাও জানাবে না। শুধু বসিয়ে রাখবে।
তার পর এক সময় খবর পাঠাবে, আজ দেখা হবে না, চলে যান। ঘটনা অপমানের। নিশিকান্ত অবশ্য অপমান নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছে। কোথাও চুপ করে বসে থাকে। কোথাও দেয়ালে পিঠ রেখে ঘুমিয়ে পড়ে।
সব থেকে ভাল জায়গা ‘ঘোষ অ্যান্ড সন্স’-এর অফিস। রিসেপশনের মেয়েটি কোনও এক রহস্যময় কারণে তাকে পছন্দ করে। পছন্দ না হয়ে মায়াও হতে পারে। খাটাখাটনি দেখে মায়া। বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার নাতিদীর্ঘ স্বাস্থ্যবতী মেয়ে। নাম মিলি। বয়স তেইশ চব্বিশের বেশি না। মিলি নিশিকান্তের মাথার ওপর ফ্যান চালিয়ে দেয়, চা দিতে বলে। টুকটাক কথাও হয়। গায়ের রং চাপা হলে কী হবে, মিলিকে দেখতে মিষ্টি। মেয়েরা হাসলে সুন্দর দেখায়। কিন্তু নিশি খেয়াল করে দেখেছে, গম্ভীর হলে মিলিকে বেশি সুন্দর লাগে।
লিস্টে টিক দিয়ে অফিসে ফেরে নিশিকান্ত। রজনী চক্রবর্তী টিক মিলিয়ে হিসেব দেখেন। খোদ মালিকের লোক। কথায় কথায় বলেন, এখানে কম্পিউটারের বালাই নেই। খাতা-কলমের সিস্টেম। টাকা জমা দেওয়ার আগে দু’বার যোগ-বিয়োগ করে নিতে হয়। এক বার ক্যালকুলেটরে, এক বার আঙুলে কর গুনে। সতর্ক থাকার আসল কারণ, মুখে কড়া হলেও রজনী চক্রবর্তী নিজে প্রায়ই হিসেবে গোলমাল করে ফেলেন। নয়কে ছয় লেখেন। শেষে শূন্য বসাতে ভুলে যান। বয়স হয়েছে। নিশিকান্ত ঠিক করে দেয়। রজনী চক্রবর্তী ভুল ঠিক করে নিতে নিতে ধমক দেন, ‘গাধা কোথাকারে। আমার ভুল ধরে। চশমার পাওয়ারে যে গোলমাল সেটা বোঝে না। তোমার ভুল যে দিন পাব, একেবারে দূর করে দেব।’
অতঃপর ভুল হয়েছে। বড় ভুল হয়েছে নিশিকান্তের।
দু’দিন আগে বিকেলে কাজ সেরে অফিসে ফিরে দেখে, সাড়ে সতেরো হাজার টাকার হিসেব মিলছে না। যে ব্যাগে টাকা, চেক, ক্যাশবুক থাকে, সেখানে সবই আছে, নেই শুধু প্লাস্টিকে মোড়া সাড়ে সতেরো হাজারের একটি বান্ডিল। সে দিনই এক পার্টি পেমেন্ট দিয়েছিল। টাকা নিয়ে সাবধানেই ছিল নিশি। লিস্টের এক নম্বর, দু’নম্বর পর্যায় শেষ করে, ‘শুধু অপেক্ষা করে চলে আসা’র পর্যায়ে ঢুকেছিল বিকেলে। তিন জায়গায় ঢুঁ মেরেছে। এক জায়গায় অফিসের বাইরে পায়চারি করেছে, এক জায়গায় হালকা ঝিমিয়েছে। মিলির অফিসে ব্যাগ থেকে কাগজ-টাগজ বের করে কাজকর্ম ঝালিয়েও নিয়েছে। মিলি রিসেপশনের টেবিলে কাগজ ছড়িয়ে কাজ করলে কিছু বলে না। অফিসে ফিরে টাকা, চেক, বিল সব রজনী চক্রবর্তীর কাছে জমা রেখে বাথরুমে যায় নিশিকান্ত। চোখেমুখে জল দিয়ে আসে। ঠান্ডা মাথায় হিসেব নিয়ে বসে, আর তখনই জানা যায়, টাকার বান্ডিল ভ্যানিশ। রজনী চক্রবর্তী চাপা হুংকার দিয়ে ওঠেন।
এই দু’দিনে অফিসে সবাই জেনে গেছে। ‘গাধা পাকড়াশি’ টাকা সরিয়েছে। কেউ বলছে, ‘এত দিনে মানুষ হল।’ কেউ বলছে, ‘মিটমিটে শয়তান’। কেউ বলছে, ‘এখন শুনছি গাধাটার বাবাও এমন ছিল। ঘুষ নিয়ে ফেঁসেছিল।’ কোম্পানির মালিক নিশিকান্তকে ডেকে পাঠালেন।
--‘এক সপ্তাহ সময়। টাকা ফেরত না দিলে থানায় কমপ্লেন হবে। থানা কী জিনিস জানো তো? ওখানে গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করা হয়। এই যে থম মেরে দাঁড়িয়ে আছ, পুলিশের ডান্ডা খাওয়ার পর দেখবে ছুটছ। যাও, আপাতত সাসপেন্ড। অফিসে আসবে না।’
তিন দিন হল নিশিকান্ত নিজের ঘরে বন্দি। ভাড়াবাড়ির এক কামরার ঘর। অনেক ভেবেও কূলকিনারা পায়নি। টাকা কোথায় গেল? টেনশন হচ্ছে। পুলিশের মার তো আসছেই, তার আগে মানসম্মান সবই গেল। মিলিও নিশ্চয়ই খবর পাবে। সব থেকে বড় সমস্যা, কাজটা গেল। বাড়িতে অসুস্থ মা, গুন্ডার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া এবং বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবার ফিরে আসা বোন। তাদের কে খাওয়াবে? শুধু একটাই ভাল লাগা। বাবার সঙ্গে একটা মিল হল। বাবা সাসপেন্ড, ছেলেও সাসপেন্ড। যাঃ, বাবাকে এই মজার কথাটা বলা হল না। মনে মনে হাসল নিশি। পাশ ফিরে শুল। কালই আত্মহত্যার কাজটা সেরে নিতে হবে।
সকালবেলা দরজায় ধাক্কা। ধড়ফড় করে উঠে বসল নিশিকান্ত। কে? নিশ্চয়ই পুলিশ। দরজা খুলে নিশি থ। মিলি! মিলি কেন? সে কী করে এ বাড়ির ঠিকানা জানল?
মিলি ঘরে ঢুকে গম্ভীর গলায় বলল, ‘এত দিন দেখিনি কেন ? কী হয়েছে ? শরীর খারাপ ?’
নিশিকান্তর কী যেন হল! মিলিকে খাটে বসিয়ে, চা বানিয়ে কাপ হাতে দিয়ে হড়বড়িয়ে সব ঘটনা বলে ফেলল। বলে লজ্জাও পেল খুব। লোকে কি তাকে এমনি ‘গাধা’ বলে ? একটা প্রায় অচেনা মেয়েকে এত কথা বলার মানে কী ? মিলি পুরো ঘটনা আরও দু’বার শুনল। তার পর বলল, ‘আমি আগেই সব খবর পেয়েছি। আপনার অফিস থেকে অন্য লোক এসেছিল, তার কাছে। শুনেই খটকা হল। এখন আপনার কাছে ঘটনা জেনে বুঝতে পারছি, ওই রজনী চক্রবর্তীই টাকা সরিয়েছে। আপনি যখন বাথরুমে গিয়েছিলেন, তখনই করেছে। ওর বাড়ির ঠিকানা জানেন?’
নিশিকান্ত ভয়ে কুঁকড়ে যায়। মেয়েটা বলছে কী! মাথা খারাপ হল না কি ?
মিলি তড়াক করে উঠে দাঁড়াল। তার চোখমুখ রাগে থমথম করছে। বলল, ‘চলুন। ঠিকানা খুঁজে নেব। এই সব লোককে কী ভাবে শায়েস্তা করতে হয়, মিলি সেনের খুব ভাল জানা আছে। ঘাড় ধরে টাকা আদায় করব। মনে রাখবেন, আমার দাদু দারোগা ছিলেন।
নিশিকান্ত মিনমিন করে বলল, ‘মিলি... মিলি... এক বার শুনুন...’
মিলি এ বার ধমক দিল এবং সম্বোধন বদল করল। বলল, ‘চুপ করো। আমার সঙ্গে তোমাকে যেতে বলছি না ?’
রজনী চক্রবর্তীর কাছ থেকে সব টাকা পাওয়া গেল না। কিছু খরচ করে ফেলেছেন।
হাঁটুর বয়সী একটা মেয়ের তেজ দেখে যে পোড় খাওয়া রজনী চক্রবর্তী ওমন ঘাবড়ে যাবেন, নিশিকান্ত ভাবতেও পারেনি, নিজেও সে ভয় পেয়ে গিয়েছিল।
একদিন নিশিকান্তের বিয়ে হল। মিলিকে বিয়ে করেছে। ফুলশয্যার রাতে মিলিকে বলল, ‘ভাগ্যিস আত্মহত্যা করিনি! তা হলে বিয়েটাই করা হত না!’
মিলি বরের কানে ফিসফিস করে গাঢ় স্বরে বলল, ‘আমার গাধা পাকড়াশি!’
(সমাপ্ত)
Posts: 1,886
Threads: 6
Likes Received: 6,325 in 1,869 posts
Likes Given: 2,644
Joined: Jun 2019
Reputation:
739
Porlam  fultu comment pore dichii
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(23-01-2021, 09:51 PM)pinuram Wrote: Porlam fultu comment pore dichii
•
Posts: 6,108
Threads: 41
Likes Received: 12,106 in 4,138 posts
Likes Given: 5,306
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,736
এটা কিন্তু সত্যি ভিন্ন স্বাদের গপ্পো ছিল. একটা অন্যরকম ব্যাপার ছিল গল্পটায়. ❤
Posts: 1,886
Threads: 6
Likes Received: 6,325 in 1,869 posts
Likes Given: 2,644
Joined: Jun 2019
Reputation:
739
গল্পটা বোকা বোকা মনে হলেও একটা গভীর বার্তা বহন করে! এই দেশের আইন কানুন ব্যাবস্থার করুন চিত্র ভীষণ ভাবেই বহন করে! নিরীহ মানুষ, নিরীহ পশু সবাই এই জগতে পেশে, মাথা উঁচু করে তারা দাঁড়াতে পারে না কখন, তবে তাদের হাত ধরতে মাঝে মধ্যে এই মিলিদের আগমন ঘটে! তোমার সব গল্পে একটা সামাজিক বার্তার সাথে সাথে কোথাও মিলি, কোথাও শিখা এদের দেখা পেয়েই বড় ভালো লাগে, আর সেটাই বড় কথা! দিনের শেষে সন্ধ্যে বেলায় সারাদিনের ক্লেদ ক্লান্তি এক নিমেষে এই মিলি আর শিখারাই পারে মিষ্টি হেসে মুছে দিতে! তখন মনে হয় আত্মহত্যা করা বড় পাপ! তবে এই মিলির পরেও যখন আরো একটা ছোট্ট নিমি (নিশিকান্তের - নি এবং মিলি - মি ) আসবে তখন জীবন আরও বদলে যাবে !!!!!!!
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(24-01-2021, 12:51 AM)Baban Wrote: এটা কিন্তু সত্যি ভিন্ন স্বাদের গপ্পো ছিল. একটা অন্যরকম ব্যাপার ছিল গল্পটায়. ❤
হেঁ হেঁ হেঁ, চেনা ছকের বাইরে বিভিন্ন স্বাদের কিছু গল্প এই আস্তানায় পাওয়া যাবে বলেই তো ঠিকানার এই নাম ! তবে আগের গল্প গুলো ভিন্ন স্বাদের ছিল না ?
Posts: 446
Threads: 3
Likes Received: 11,696 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,925
চমৎকার গল্প। অসাধারণ লেখা। দিন দিন তোমার লেখার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি ।আসলে নিশিকান্তের মতো মানুষকে লোক তাকিয়েও দেখে না। সমাজ মাড়িয়ে চলে যায় তাদেরকে। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে কেউ দেখতে চায়না। সত্যি সভ্য সমাজ সৎ মানুষকে গাধা,মেরুদণ্ডহীন প্রাণী বলে আখ্যা দেয়।
কিন্তু নিশিকান্তের মতো মানুষ যারা সব বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করে। সব সময় পরবর্তী পরিণামের কথা মাথায় আসে ওদের সব সময়। ওরা নিজের বদলে অপরের দিকটা বেশি ভাবে ,তাদের কোন সম্মান নেই এই সমাজে।
খুব ভালো লাগে তোমার কলমে এই ধরনের মানুষের জীবন ধারা লেখা হয়।
আশাকরি আরও এমন ধরনের গল্প তুমি উপহার দেবে আমাদের।
ভাবতে অবাক লাগে এমন বিষয় নিয়ে লেখা গদ্য কাহিনীও "রবিবাসরীও" তে স্থান পায়না।
Posts: 6,108
Threads: 41
Likes Received: 12,106 in 4,138 posts
Likes Given: 5,306
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,736
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(24-01-2021, 12:52 AM)pinuram Wrote: গল্পটা বোকা বোকা মনে হলেও একটা গভীর বার্তা বহন করে! এই দেশের আইন কানুন ব্যাবস্থার করুন চিত্র ভীষণ ভাবেই বহন করে! নিরীহ মানুষ, নিরীহ পশু সবাই এই জগতে পেশে, মাথা উঁচু করে তারা দাঁড়াতে পারে না কখন, তবে তাদের হাত ধরতে মাঝে মধ্যে এই মিলিদের আগমন ঘটে! তোমার সব গল্পে একটা সামাজিক বার্তার সাথে সাথে কোথাও মিলি, কোথাও শিখা এদের দেখা পেয়েই বড় ভালো লাগে, আর সেটাই বড় কথা! দিনের শেষে সন্ধ্যে বেলায় সারাদিনের ক্লেদ ক্লান্তি এক নিমেষে এই মিলি আর শিখারাই পারে মিষ্টি হেসে মুছে দিতে! তখন মনে হয় আত্মহত্যা করা বড় পাপ! তবে এই মিলির পরেও যখন আরো একটা ছোট্ট নিমি (নিশিকান্তের - নি এবং মিলি - মি ) আসবে তখন জীবন আরও বদলে যাবে !!!!!!!
একদম ঠিক জায়গায় ধরেছ আসলে আমি চেষ্টা করি গল্পে সবসময় একটা সামাজিক বার্তা তুলে ধরতে। প্রতিটা ছোটো গল্পেই এই জিনিসটা লক্ষ্য করতে পারবে। মিলি এখানে বলিষ্ঠ দৃঢ়চেতা এক নারী যে নিশিকান্তের বেরঙিন বেসুরো লাঞ্ছিত জীবনে দেবদূতীর মতো হয়ে আসে আর শিখাকে আমি দেশমাতৃকার সঙ্গে তুলনা করেছিলাম, শিখা ভালো থাকলে দেশও ভালো থাকবে আর শিখার মন খারাপ, শরীর খারাপ হলে দেশেও তার প্রতিফলন হবে
বিভিন্ন স্বাদের গল্প হলেও প্রেমের উপাদান প্রতিটা গল্প জুড়েই থাকবে প্রেমিক মানুষ তো, তাই ওটি ছাড়তে পারি না
আর নিশিকান্তের 'নি' এবং মিলির 'মি' মিলে নিমি নামটা খুব মিষ্টি, দারুন লাগলো
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(24-01-2021, 08:11 PM)Jupiter10 Wrote:
চমৎকার গল্প। অসাধারণ লেখা। দিন দিন তোমার লেখার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি ।আসলে নিশিকান্তের মতো মানুষকে লোক তাকিয়েও দেখে না। সমাজ মাড়িয়ে চলে যায় তাদেরকে। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে কেউ দেখতে চায়না। সত্যি সভ্য সমাজ সৎ মানুষকে গাধা,মেরুদণ্ডহীন প্রাণী বলে আখ্যা দেয়।
কিন্তু নিশিকান্তের মতো মানুষ যারা সব বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করে। সব সময় পরবর্তী পরিণামের কথা মাথায় আসে ওদের সব সময়। ওরা নিজের বদলে অপরের দিকটা বেশি ভাবে ,তাদের কোন সম্মান নেই এই সমাজে।
খুব ভালো লাগে তোমার কলমে এই ধরনের মানুষের জীবন ধারা লেখা হয়।
আশাকরি আরও এমন ধরনের গল্প তুমি উপহার দেবে আমাদের।
ভাবতে অবাক লাগে এমন বিষয় নিয়ে লেখা গদ্য কাহিনীও "রবিবাসরীও" তে স্থান পায়না।
জুপিটার তুমি গল্পের গভীরে গিয়ে যেভাবে খুঁটিয়ে অনুভব করো, বিশ্লেষণ করো -এই ব্যাপারটা দারুন লাগে
আসলে ভদ্র, সৎ, সহজ সরল মানুষের কোনো কদর নেই আজকের সমাজে। কিন্তু ওই যে বলে না, জহুরীতে রত্ন চেনে, তাই এদের জীবনে ভালোবাসা হয়ে আগমন ঘটে মিলির মতো ব্যক্তিত্বময়ি নারীদের, যাদের ছোঁয়ায় তথাকথিত গাধাদের সব সমস্যার মুস্কিল আসান হয়ে যায় !
( কাছের এক বন্ধু ও তার প্রেমিকাকে দেখে এই গল্পের ভাবনা মাথায় আসে ) যতটা সম্ভব চেষ্টা করি সমাজের বিভিন্ন ধরনের মানসিকতার মানুষদের নিয়ে গল্প লিখতে, তাই নিজের চরিত্রের বাইরে পড়ে এমন ধরনের চরিত্র নিয়েও গল্প লিখি, যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ওতে আর রবিবাসরীয়তে "নীল বিড়াল" গল্পটা পাঠিয়ে ছিলাম, ওটা নিজেরই ভালো লেগেছিল সবচেয়ে বেশি
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(24-01-2021, 08:17 PM)Baban Wrote: অবশ্যই ছিল... কিন্তু ওই গল্পগুলোর মধ্যে বাস্তব জগতের রূপটা যতটা আর্টিস্টিক ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলে এটার মধ্যে সেই ব্যাপারটা আরো জটিল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছো. সেই হিসেবে দেখতে গেলে কোনো গল্পই ভিন্ন স্বাদের নয় কারণ সব স্বাদের সাথেই ভালোবাসা জড়িত. আবার আরেকদিকে সব গল্পই ভিন্ন স্বাদের কারণ ভালোবাসা কে কিভাবে ফুটিয়ে তুলছো সেটাও তো দেখতে হবে. একদমই আলাদা... নতুন ভাবে.
আসলে কিরকম বলতো ব্যাপারটা? ওই ছোটবেলায় আর্ট ফিল্ম দেখে যেমন চ্যানেল পাল্টে দিতাম কারণ কিসুই বুঝতাম না... আর আজ যখন সেগুলোই দেখি মাস্টারপিস মনে হয়...এখানেও অনেকে হয়তো পড়েও বুঝছেনা বা বুঝেও একটা মতামত দেওয়া প্রয়োজন মনে করছেনা কিন্তু একদিন এই গল্প গুলো সকলের মন জয় করবে. ❤
ঠিক বলেছ, কোনোটাই সেই অর্থে ভিন্ন স্বাদের নয়। সবই আমাদের বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যার বেড়াজাল, নর-নারীর সম্পর্কের জটিলতা ইত্যাদি নিয়ে লেখা। ভালো লাগে বাস্তবকেন্দ্রিক গল্প লিখতে, সাইন্স ফিকশনের গল্পটাতেও বাস্তবতার ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করেছি । তবে প্রতিটা গল্পেই প্রেম-ভালোবাসার উপাদান থাকবেই, হয়তো প্রকারভেদ আলাদা।
"এখানেও অনেকে হয়তো পড়েও বুঝছেনা বা বুঝেও একটা মতামত দেওয়া প্রয়োজন মনে করছেনা" -- হয়তো কিছু সময় পর তারা বুঝতে পারবে, যেমন আমরা ছোটবেলায় টিভিতে আর্ট ফিল্ম দেখলেই চ্যানেল পাল্টে দিতাম, অথচ এখন আর্ট ফিল্ম দেখবার জন্যই চ্যানেল পাল্টাই
যতদূর বুঝেছি এখানে যারা আসে তাদের অনেকেই মেইন স্ট্রিম গল্প পড়ে না, তাই তাদের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই এই গল্পগুলো নিয়ে
Posts: 446
Threads: 3
Likes Received: 11,696 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,925
(24-01-2021, 08:45 PM)Mr Fantastic Wrote: জুপিটার তুমি গল্পের গভীরে গিয়ে যেভাবে খুঁটিয়ে অনুভব করো, বিশ্লেষণ করো -এই ব্যাপারটা দারুন লাগে
আসলে ভদ্র, সৎ, সহজ সরল মানুষের কোনো কদর নেই আজকের সমাজে। কিন্তু ওই যে বলে না, জহুরীতে রত্ন চেনে, তাই এদের জীবনে ভালোবাসা হয়ে আগমন ঘটে মিলির মতো ব্যক্তিত্বময়ি নারীদের, যাদের ছোঁয়ায় তথাকথিত গাধাদের সব সমস্যার মুস্কিল আসান হয়ে যায় !
( কাছের এক বন্ধু ও তার প্রেমিকাকে দেখে এই গল্পের ভাবনা মাথায় আসে ) যতটা সম্ভব চেষ্টা করি সমাজের বিভিন্ন ধরনের মানসিকতার মানুষদের নিয়ে গল্প লিখতে, তাই নিজের চরিত্রের বাইরে পড়ে এমন ধরনের চরিত্র নিয়েও গল্প লিখি, যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ওতে আর রবিবাসরীয়তে "নীল বিড়াল" গল্পটা পাঠিয়ে ছিলাম, ওটা নিজেরই ভালো লেগেছিল সবচেয়ে বেশি
হ্যাঁ ভগবান অনেক সময় মানুষকে মিলির মত কেউ একজনকে উপহার দিয়ে পরিপূরণ করে দেয়। আর এই ধরনের ঐকান্তিক গল্প লেখার জন্য তো বেগ পেতেই হবে। চাইলে একবার রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপিই দেখে নিও। তবে এটা আনন্দবাজারে পাঠাতে পারো।
Posts: 446
Threads: 3
Likes Received: 11,696 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,925
Posts: 6,108
Threads: 41
Likes Received: 12,106 in 4,138 posts
Likes Given: 5,306
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,736
24-01-2021, 09:36 PM
(This post was last modified: 24-01-2021, 09:37 PM by Baban. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(24-01-2021, 09:22 PM)Jupiter10 Wrote:
হ্যাঁ মুলত এই খানে একটা বিশেষ ধরনের বয়সের মানুষ দের আসা যাওয়া। অল্প বয়সের। আর তাছাড়া গসিপ এখন পাবলিক হয়ে গেছে, উপরি উপরি পড়া যায়। সেহেতু কেউ লগইন করে গল্পে কমেন্ট করবে সেটা ভাবা এবার থেকে বন্ধ করতে হবে। অতিথি পাঠকের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।
আর আমার মনে হয়। পাঠকের মান ও এই নতুন গসিপে বেড়েছে। সেহেতু উদ্ভট নামের গল্প গুলো দিন দিন কমে আসছে। বুঝতেই পারছ আমি কোন ধরনের গল্পের কথা বলছি। আর কয়েকবছর আগে গসিপে নন এরটিক গল্প কেউ পড়তে পারবে সেটাও কেউ ভেবে ওঠেনি। সেটা তোমার মতো লেখকের দয়ায় সম্ভব। আর গসিপে কোথাও লেখা নেই যে মুখ্য ধারার গল্প এখানে লেখা যাবেনা। সুতরাং লিখে যাও পাঠক অবশ্যই পেয়ে যাবে। 
একদমই ঠিক কথা....... কিন্তু কি বলুন তো এখানে আমাদের মানে লেখকদেরও তো কিছু পেতে ইচ্ছে করে. সময় বার করে আমরা লেখকরা গল্প লিখি.... পাঠক পড়ে যদি একটা মতামত না দিয়ে ফ্রি তে পড়ে চলে যায় কেমন লাগে যেন. একটু লিখে জানাতে কি হয় তাদের কে জানে. এগুলোর আমি তাদের বলছি যারা কমেন্ট করা পছন্দ করেনা. বাকি অনেকেই কমেন্ট করতে পছন্দ করে... তাদের সকলকে ধন্যবাদ. তা সে আমার গল্পের হোক বা অন্যকারো গল্পের. তবে হ্যা.... সময় পাল্টাচ্ছে.... শুধুই পকাৎ পকাৎ পড়তে এখানে সবাই আসেনা.... নতুনত্ব চায় অনেকেই.
আপনি পারলে আমার নতুন গল্প বন্ধু পড়ে দেখবেন. ওটিও বলতে গেলে একটু ভিন্ন স্বাদের. ❤
Posts: 18,204
Threads: 471
Likes Received: 65,484 in 27,686 posts
Likes Given: 23,762
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,264
আমিও যে আসলে একটা গাধা , বুজলাম .... বেশি কিছু আর কি বলবো ... তুমি অনেক কিছু জানো
Posts: 446
Threads: 3
Likes Received: 11,696 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,925
(24-01-2021, 09:36 PM)Baban Wrote: একদমই ঠিক কথা....... কিন্তু কি বলুন তো এখানে আমাদের মানে লেখকদেরও তো কিছু পেতে ইচ্ছে করে. সময় বার করে আমরা লেখকরা গল্প লিখি.... পাঠক পড়ে যদি একটা মতামত না দিয়ে ফ্রি তে পড়ে চলে যায় কেমন লাগে যেন. একটু লিখে জানাতে কি হয় তাদের কে জানে. এগুলোর আমি তাদের বলছি যারা কমেন্ট করা পছন্দ করেনা. বাকি অনেকেই কমেন্ট করতে পছন্দ করে... তাদের সকলকে ধন্যবাদ. তা সে আমার গল্পের হোক বা অন্যকারো গল্পের. তবে হ্যা.... সময় পাল্টাচ্ছে.... শুধুই পকাৎ পকাৎ পড়তে এখানে সবাই আসেনা.... নতুনত্ব চায় অনেকেই.
আপনি পারলে আমার নতুন গল্প বন্ধু পড়ে দেখবেন. ওটিও বলতে গেলে একটু ভিন্ন স্বাদের. ❤
গসিপের অন্যতম সেরা লেখক আমাকে নিজের গল্প পড়ার জন্য নিমন্ত্রণ করছেন ।এর থেকে বড় পাওনা আর কি হতে পারে। হ্যাঁ দাদা আমি অবশ্যই আপনার গল্প পড়বো। তবে কি জানেন তো সময়ের অভাবে অনেক সময় গল্প ঠিক মতো পড়া হয়ে ওঠে না। রাজদীপ দার গল্পটার অনেক গুলো আপডেট না পড়া অবস্থায় রয়ে গেছে। সময় বের করে অবশ্যই পড়বো। আর পিনুরাম দার তো কি বলব ওনার গল্প পড়ে তো মনে হয় ভারি শব্দ গুলো নোট ডাউন করে রাখি। আপনার গল্প অবশ্যই পড়বো বাবান দা।
Posts: 1,886
Threads: 6
Likes Received: 6,325 in 1,869 posts
Likes Given: 2,644
Joined: Jun 2019
Reputation:
739
(24-01-2021, 08:20 PM)Mr Fantastic Wrote: একদম ঠিক জায়গায় ধরেছ আসলে আমি চেষ্টা করি গল্পে সবসময় একটা সামাজিক বার্তা তুলে ধরতে। প্রতিটা ছোটো গল্পেই এই জিনিসটা লক্ষ্য করতে পারবে। মিলি এখানে বলিষ্ঠ দৃঢ়চেতা এক নারী যে নিশিকান্তের বেরঙিন বেসুরো লাঞ্ছিত জীবনে দেবদূতীর মতো হয়ে আসে আর শিখাকে আমি দেশমাতৃকার সঙ্গে তুলনা করেছিলাম, শিখা ভালো থাকলে দেশও ভালো থাকবে আর শিখার মন খারাপ, শরীর খারাপ হলে দেশেও তার প্রতিফলন হবে
বিভিন্ন স্বাদের গল্প হলেও প্রেমের উপাদান প্রতিটা গল্প জুড়েই থাকবে প্রেমিক মানুষ তো, তাই ওটি ছাড়তে পারি না
আর নিশিকান্তের 'নি' এবং মিলির 'মি' মিলে নিমি নামটা খুব মিষ্টি, দারুন লাগলো
Reps Added +1
Posts: 1,886
Threads: 6
Likes Received: 6,325 in 1,869 posts
Likes Given: 2,644
Joined: Jun 2019
Reputation:
739
(24-01-2021, 09:44 PM)ddey333 Wrote: আমিও যে আসলে একটা গাধা , বুজলাম .... বেশি কিছু আর কি বলবো ... তুমি অনেক কিছু জানো
অবশেষে তোমার বোধোদয় হল দেখে বেশ আনন্দ পেলাম, অন্তত এতদিন পরে নিজের চেহারা আয়নায় ঠিক করে দেখেছ !!!!!!
Posts: 1,886
Threads: 6
Likes Received: 6,325 in 1,869 posts
Likes Given: 2,644
Joined: Jun 2019
Reputation:
739
(24-01-2021, 10:07 PM)Jupiter10 Wrote: গসিপের অন্যতম সেরা লেখক আমাকে নিজের গল্প পড়ার জন্য নিমন্ত্রণ করছেন ।এর থেকে বড় পাওনা আর কি হতে পারে। হ্যাঁ দাদা আমি অবশ্যই আপনার গল্প পড়বো। তবে কি জানেন তো সময়ের অভাবে অনেক সময় গল্প ঠিক মতো পড়া হয়ে ওঠে না। রাজদীপ দার গল্পটার অনেক গুলো আপডেট না পড়া অবস্থায় রয়ে গেছে। সময় বের করে অবশ্যই পড়বো। আর পিনুরাম দার তো কি বলব ওনার গল্প পড়ে তো মনে হয় ভারি শব্দ গুলো নোট ডাউন করে রাখি। আপনার গল্প অবশ্যই পড়বো বাবান দা।
আপনি আমার গল্প পড়েন, সত্যি জানতাম না! তবে হ্যাঁ, এই বর্তমান গল্পে আপনার বেশ কয়েকটা কমেন্ট অবশ্য দেখেছি !!!!!!
|