Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(12-01-2021, 03:35 PM)Jupiter10 Wrote: সত্যিই গল্পটা পড়বার সময় একবার মনে হলো ধাক্কা টা আমার নিজের নাকে লাগেনি তো?
নায়কের ব্যাথা পাঠক ও অনুভব করছে । বুঝতে পারছো?
এতো সংক্ষেপে এতো সুক্ষ অনুভূতি তুমি দিতে পারো কি করে? আশ্চর্য হই । লেখা কি এমনই হওয়া উচিৎ?
মনে প্রশ্ন জাগে এই অফবিট প্লট তোমার মাথায় আসে কি করে? অথবা এগুলো কি তোমার জীবনের অভিজ্ঞতা?
আর মৌমিতার সুক্ষ অভিব্যাক্তি? অসাধারণ ।
জীবনে প্রায় সব পুরুষ এমনি স্ত্রীর কাঙ্খা রাখে । কিন্তু জোটেনা ।
যাইহোক তুমি একটা প্রশ্ন পাঠক দের মনে রেখে গেলে, সেটা হলো ঘুষি মারলো কি করে?
আর উত্তর কলকাতায় মাল দার পার্টি আছে দাদা তবে ওরা শো অফ করে না ?
গল্পের নায়কের ব্যথা, তার অনুভূতি যদি পাঠকও বুঝতে পারে তাহলে একজন সামান্য গল্প লিখিয়ের কাছে এর থেকে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না ভায়া !
আর গল্প গুলো সংক্ষিপ্ত হচ্ছে কারণ বিশদে বড়ো গল্প বা উপন্যাস লিখতে পারি না ( চিত্তাকর্ষক উপন্যাস লিখতে হলে চাই জমজমাট ঘটনাক্রমের সমাহার, যেটা আমার মাথায় আসে না )।
এবার আসি গল্পের প্লট প্রসঙ্গে। গল্পটা লেখার পর তোমার মতো অনেকেই জিজ্ঞেস করেছিল এই পটভূমিকা আমার কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া কিনা - আসলে এটা কল্পনাপ্রসূত গল্প, তবে মৌমিতা চরিত্রটাকে আমার পুচ্চির কথা মাথায় রেখে বানিয়েছিলাম। পুচ্চিও ঠিক এরকম দয়ালু, কারোর দুঃখ-কষ্ট দেখতে পারে না, খুব ভালো মনের মেয়ে তাই চেয়েছিলাম গল্পের মাধ্যমে যদি দয়া-স্নেহ-সেবা ইত্যাদি মানবিক গুণগুলি পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে পারি কিছুটা।
আর ঘুষি কে মারল ওটা অতো দরকারি নয় এখানে, তাই না বলাই থাক
উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির মানুষরা ধনী হলেও লোক দেখানো বা অপরকে তাচ্ছিল্য করার স্বভাব নেই, এটা ঠিক বলেছ একদম
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(12-01-2021, 07:07 PM)pinuram Wrote: তুমি বাবা ফ্যান্টাস্টিক, বাবানের কমেন্ট কোট করলে কিন্তু উত্তর ঠিক ভাবে দিলে না! তুমি লেখো কি করে এমন গল্প? এই ছোট ছোট মুহূর্ত গুলো কি করে তুলে আনো আর সত্যি বলতে এখানে দিচ্ছ ঠিক আছে, তুমি কোন পত্রিকায় লিখতে পারো তো !!!!!
প্রাত্যহিক জীবনের ছোট ছোট মুহূর্ত গুলো কেন্দ্র করে কিভাবে ভিন্ন রূপ দেওয়া যায় সেটা তো তোমার গল্প পড়েই শিখেছি এছাড়া গল্প লেখার সময় সরাসরি টাইপ না করে আগে একটা ডাইরিতে পেন দিয়ে লিখি, তাই অনেক কিছু ভাবা যায়
পত্রিকায় পাঠিয়েছিলাম, রবিবাসরীয়তে। কিন্তু লেখা বাতিল হয়েছে
Posts: 1,886
Threads: 6
Likes Received: 6,325 in 1,869 posts
Likes Given: 2,644
Joined: Jun 2019
Reputation:
739
(12-01-2021, 07:15 PM)Mr Fantastic Wrote: গল্পের নায়কের ব্যথা, তার অনুভূতি যদি পাঠকও বুঝতে পারে তাহলে একজন সামান্য গল্প লিখিয়ের কাছে এর থেকে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না ভায়া !
আর গল্প গুলো সংক্ষিপ্ত হচ্ছে কারণ বিশদে বড়ো গল্প বা উপন্যাস লিখতে পারি না ( চিত্তাকর্ষক উপন্যাস লিখতে হলে চাই জমজমাট ঘটনাক্রমের সমাহার, যেটা আমার মাথায় আসে না )।
এবার আসি গল্পের প্লট প্রসঙ্গে। গল্পটা লেখার পর তোমার মতো অনেকেই জিজ্ঞেস করেছিল এই পটভূমিকা আমার কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া কিনা - আসলে এটা কল্পনাপ্রসূত গল্প, তবে মৌমিতা চরিত্রটাকে আমার পুচ্চির কথা মাথায় রেখে বানিয়েছিলাম। পুচ্চিও ঠিক এরকম দয়ালু, কারোর দুঃখ-কষ্ট দেখতে পারে না, খুব ভালো মনের মেয়ে তাই চেয়েছিলাম গল্পের মাধ্যমে যদি দয়া-স্নেহ-সেবা ইত্যাদি মানবিক গুণগুলি পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে পারি কিছুটা।
আর ঘুষি কে মারল ওটা অতো দরকারি নয় এখানে, তাই না বলাই থাক
উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির মানুষরা ধনী হলেও লোক দেখানো বা অপরকে তাচ্ছিল্য করার স্বভাব নেই, এটা ঠিক বলেছ একদম
পিরেম টিরেন গাড়ি কইরে ঝুকঝুক কইরে আইসছে দেকচি! এইবারে পুচ্চিরে নিয়া একখান গপ্প লেকো দিকি !!!!!
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
12-01-2021, 11:15 PM
(This post was last modified: 12-01-2021, 11:17 PM by Mr Fantastic. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(12-01-2021, 07:43 PM)pinuram Wrote: পিরেম টিরেন গাড়ি কইরে ঝুকঝুক কইরে আইসছে দেকচি! এইবারে পুচ্চিরে নিয়া একখান গপ্প লেকো দিকি !!!!!
আইবে গো দাদাবাবু, পুচ্চি আর পুচ্চুরে লইয়া গপ্পো লিচ্চয়ই আইবে তুমি কইসো যখন !!!!
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
13-01-2021, 07:12 PM
(This post was last modified: 13-01-2021, 08:51 PM by Mr Fantastic. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
" নীল বিড়াল “
নীল বিড়ালটা যখন লাফিয়ে জানালার তাকে নেমে এসে দুই জ্বলন্ত চোখে আমার দিকে তাকাল, ঠিক তখনই বিদিশা দরজা খুলে ঘরে আসে। কোনটা আমার নিয়তি তা আমি ঠিক জানি না, কিন্তু আমার শরীরে সূক্ষ্ম বিদ্যুৎ-তরঙ্গ বয়ে গেল।
বিদিশা দরজার চৌকাঠে থমকে স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল জানলার দিকে। হ্যাঁ, নীল বিড়ালের কথা ও জানে। বিড়ালটা অবশ্য বিদিশাকে লক্ষ্য করছিল না, সে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমার দিকে। বিদিশা ধীরে ধীরে মুখ ফেরাল আমার দিকে। তার চোখের দৃষ্টি ঝাপসা। বিদিশা পৃথিবীর মেয়ে, তাকে আমার কিছু বলার নেই। আমার চুলের ভিতর আঙুল দিয়ে আমার ফাইবার এন্টেনা ক্রিয়াশীল করে তুললাম। হঠাৎ এক অদ্ভুত গমগমে যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর জিজ্ঞেস করে, " তুমি সুস্থ আছো তো? কোনো জীবাণু, খাদ্যে বিষক্রিয়া, জলের বিষ তোমাকে আক্রমণ করে নি তো? বা তেজস্ক্রিয়তা? যুদ্ধ? প্রেম? "
আমি আমার ঘড়িসুদ্ধ হাত মুখের কাছে তুলে এনে মৃদুস্বরে বললাম, আমি ভালো আছি। সুস্থ, সবল ও দ্বিধাহীন।
-- চমৎকার, আমরা চারশো মাইল ওপরে আমাদের মহাকাশযান তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। সংকেত পাঠানো মাত্র চৌম্বকীয় রশ্মি তোমাকে টেনে আনবে ওপরে, স্পেসসুট নিতে ভুলো না।
-- না ভুলব না।
আমি হাত নামিয়ে বিদিশার দিকে তাকাই। বিদিশা সুশ্রী মেয়ে, তার চোখ দুখানা বড় গভীর। আমি গভীর চোখের কোনো মর্ম জানি না। যে ইউনিভার্সে এক ভিন্ন পরিমণ্ডলে আমার বাস সেখানে এরকম কোনো চোখ নেই, তবে উর্বশীর মতো সুন্দরীরা আছে।
বিদিশা দুই অস্থির চোখ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, তোমার সেই নীল বিড়াল?
আমি মাথা নাড়লাম। এ বিড়াল আমার গতিবিধির নিয়ন্ত্রক, সুদূর যাত্রাপথের সঙ্গী হতে চলেছে।
বিদিশা দুহাতে মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। আমি নানা ঘটনায় বিদিশাকে কাঁদতে দেখেছি। যখন তার মন খারাপ হয়, কেউ অপমান করে বা অভিমান হয় তখন সে কাঁদে। পৃথিবীতে কান্না, মন খারাপ, দুঃখ এসবের একটা মাহাত্ম্য আছে যা আমার বোধগম্য হয় নি। এই ক'বছরে আমি পৃথিবীর মানুষদের বিশেষ করে বিদিশাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পযবেক্ষণ করেছি। আমার চোখের ইনফরমেশন রে দিয়ে ওর মস্তিষ্কের অভ্যন্তর থেকে সব তথ্য টেনে বের করেছি। রাতের পর রাত জেগে বিশ্লেষণ করেছি কিন্তু তাও অনেক কিছু দুর্বোধ্য থেকে গেছে। বিদিশা ভালোবাসা নামক অদ্ভুত এক শব্দে বিশ্বাস করে। আমার গ্রহের বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারে আমাকে আগে থেকে সাবধান করে দিয়েছিল। পৃথিবীতে নাকি একজন মানুষকে ছাড়া একজন মহিলার জীবন বৃথা বলে মনে করা হয়, এ কেমন নিয়ম? বা সেই মহিলাটিকে দেখলে পুরুষটির হৃদয়ে ঝড় উঠবে এটাই বা কেমন নিয়ম? আমাদের গ্রহে এরকম হয় না।
আমি আড়ষ্ট গলায় জিজ্ঞেস করলাম, বিদিশা কাঁদছো কেন?
বিদিশা তার সজল তীব্র দুখানি চোখে আমার দিকে চেয়ে বলে, কেন জানো না?
-- আমার তো একদিন চলে যাওয়ারই কথা বিদিশা।
-- কেন চলে যাবে? তুমি আমার স্বামী নও? আমি তোমার স্ত্রী নই?
এসবই সত্য, বিদিশার মতানুসারে বাস্তবিকই আমি ওর স্বামী। পৃথিবীর এক মানবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করে এখানকার সব তথ্য সংগ্রহ করার জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে। হ্যাঁ পৃথিবীর নিয়মানুযায়ী ও আমার স্ত্রী, কিন্তু মহাকাশে তো এই নিয়ম নেই। দীর্ঘশ্বাস ফেলি আমি।
বিদিশা ধীর পায়ে এগিয়ে আসে আমার দিকে। ওদিকে আমার মাথার ভেতর থাকা এন্টেনায় বাজতে থাকা ধাতব শব্দ জানান দিচ্ছে সময় বেশি নেই, একটু পরেই চারশো মাইল ওপরে থাকা মহাকাশযান থেকে আমাকে নেওয়ার আয়োজন শুরু হবে। বিদিশাকে আলিঙ্গন করে আমি এই গ্রহে শেখা কিছু কথা বলতে থাকি, সবই ভালোবাসার কথা। নীল বিড়ালটা জানলা থেকে একটু সরে এসে জ্বলন্ত দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে আমার দিকে।
বিদিশা আমার বুকে দুহাতের ছোট মুঠিতে কিল মারতে মারতে রুদ্ধ গলায় বলে, কতদূরে চলে যাবে তুমি, কত দূরে?
-- খুব বেশি দূরে নয় বিদিশা।
-- তবু তো কয়েক হাজার আলোকবর্ষ !
আমি হাসলাম। আলোকবর্ষ দিয়ে দূরত্ব মাপার প্রাচীন রীতি এই গ্রহে এখনো বিদ্যমান। এরা জানে না যে মহাকাশের বিপুল অসীম বিচরণক্ষেত্র আলোকবর্ষ অত্যন্ত ছোটো মাপকাঠি।
ওর পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলি, দূরত্বটা কোনো ব্যাপার নয়।
-- তুমি আর ফিরবে না? কোনোদিনও না?
-- ফিরতেও পারি, হয়তো হাজার বছর পর।
-- কয়েক হাজার ! তখন তো আমি থাকবো না
-- মানুষ থাকবে বিদিশা।
-- কিন্তু আমি, আমি তো তোমাকে দেখতে পাবো না আর।
কথাটা সত্য। এই গ্রহে মানুষের আয়ু বড় ক্ষণস্থায়ী। আমাদের গ্রহে সবার অফুরন্ত যৌবন আর আয়ু, এখানে সেরকম নয়। বিদিশা তার মুখখানা আকুল ভাবে তুলে ফিসফিস করে বলে, প্রিয়তম, আমাকে হাজার বছরের আয়ু দাও। আমি তোমার প্রতীক্ষায় চেয়ে থাকবো।
এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এই মানবী শুধুমাত্র তার প্রিয় পুরুষটির জন্য মাত্র কয়েক হাজার বছরের আয়ু চায় !
আমি পৃথিবীর নিয়ম অনুসারে বিদিশার ওষ্ঠ চুম্বন করি। তবে ভয় নেই, আমার ঠোঁটে লাগানো আছে অদৃশ্য জীবাণুনাশক। আমি যথাসম্ভব গদগদ স্বরে বলি, “ তোমাদের গ্রহটি কম সুন্দর নয়, চমৎকার সব পুরুষেরা আছে তুমি বেশিদিন একলা বোধ করবে না। “
বিদিশা ব্যাকুল ভাবে আমার হাত জোরে চেপে ধরে কাতর স্বরে বলল, “ আমাকে তোমার সঙ্গে নিয়ে যাও। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো কিভাবে? “
-- তা হয় না বিদিশা, আমাদের গ্রহে পৃথিবী থেকে কাউকে নিয়ে যাবার নিয়ম নেই। ওখানে পরিবেশ অন্যরকম।
-- কিরকম, যেখানে তুমি থাকতে পারো সেখানে আমি পারবো না?
-- না বিদিশা, তোমাদের তুলনায় ওখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনেক বেশি।
নীল বিড়ালের চোখে সবুজ সংকেত এলো, অর্থাৎ আমার যাবার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। বিদিশাকে ছেড়ে আমি দ্রুত স্পেসস্যুট পড়ে নিলাম। এই জীবাণুতে ভরা নোংরা ক্লেদাক্ত পৃথিবী ছেড়ে নিজের স্বর্গের মতো পবিত্র গ্রহে ফিরে যাচ্ছি আমি। বিদিশা স্তম্ভিত হয়ে মাটিতে বসে পড়ল।
নীল বিড়ালটা আমার দিকে এগিয়ে এলো। ছোট্ট থাবা তুলে ওর গলার বকলেসে থাকা একটা সুইচ টিপতেই ওর চোখ দিয়ে সবুজাভ রশ্মি বেরিয়ে আমাকে ঘিরে নিল। আমি ধীর পদক্ষেপে এগিয়ে গিয়ে জানলা দিয়ে নিজের শরীর বাইরে ভাসিয়ে দিই। পরমুহূর্তে এক হলুদ রঙের চৌম্বকীয় রশ্মি আমাকে বিদ্ধ করে ওপরে টেনে নিয়ে যেতে লাগল। বিদিশা শেষ বারের মতো আমার নাম ধরে ডেকে চিৎকার করে উঠলো।আমাদের গ্রহে দুঃখ বা বিষাদের মতো কোনো অনুভূতি নেই কিন্তু এখন এক অদ্ভুত বিষন্নতা ঘিরে ধরে আমাকে এই প্রথমবারের জন্য।
***************
মহাকাশযানে এক তদন্তকারী অফিসার আমাকে নানা প্রশ্ন করছিল।
--- তোমার সব কাজ শেষ করেছো?
--- হ্যাঁ
--- পৃথিবী ও তার বাসিন্দাদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তোমার মাইক্রোচিপে সংগ্রহ করেছো?
--- হ্যাঁ
--- পৃথিবীর কোনো ধুলো বা জীবাণু তোমাকে স্পর্শ করে নি?
--- না
তেজস্ক্রিয়তা?
--- না
অফিসার মৃদু হাসলেন। বললেন, প্রেম নামে একটা ছোঁয়াচে মানসিকতা আছে এইসব প্রাচীন গ্রহে জানো?
--- হ্যাঁ জানি।
-- তোমাকে স্পর্শ করেনি?
আমি চুপ করে থাকি। তারপর মাথা নেড়ে বলি, না আমাকে তেমন কিছু স্পর্শ করেনি। তবু আবার ফিরে যাবার একটা ইচ্ছে হচ্ছে। খুব ইচ্ছে হচ্ছে, গিয়ে দেখে আসি একজন মানবী আমার জন্য, শুধু আমার জন্য, শুধু আমার বিরহে কেঁদে চলেছে।
অফিসার উচ্চকন্ঠে হাসলেন।
আমার কিন্তু হাসি পেল না।
**************
(সমাপ্ত)
Posts: 6,108
Threads: 41
Likes Received: 12,106 in 4,138 posts
Likes Given: 5,306
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,736
অসাধারণ....... জাস্ট অসাধারণ!!
অন্য গ্রহের কথা জানিনা কিন্তু এই পৃথিবীতে নেগেটিভিটি প্রচন্ড থাকলেও একটা পসিটিভ এনার্জি আছে ও থাকবে যা হয়তো অন্য উন্নত গ্রহে নেই (থাকতেও পারে). তা হোলো পবিত্র ভালোবাসা. এই শক্তি বিশ্ব ব্রম্ভান্ডে ছড়িয়ে পড়ুক. হাত মেলাক পাঁচ আঙুলের সাথে তিন আঙ্গুল. শক্তিমানের সাথে কমজোর.
লেখন শৈলী অসাধারণ ❤❤
Posts: 1,886
Threads: 6
Likes Received: 6,325 in 1,869 posts
Likes Given: 2,644
Joined: Jun 2019
Reputation:
739
(13-01-2021, 07:12 PM)Mr Fantastic Wrote:
" নীল বিড়াল “
অফিসার মৃদু হাসলেন। বললেন, প্রেম নামে একটা ছোঁয়াচে মানসিকতা আছে এইসব প্রাচীন গ্রহে জানো?
--- হ্যাঁ জানি।
-- তোমাকে স্পর্শ করেনি?
আমি চুপ করে থাকি। তারপর মাথা নেড়ে বলি, না আমাকে তেমন কিছু স্পর্শ করেনি। তবু আবার ফিরে যাবার একটা ইচ্ছে হচ্ছে। খুব ইচ্ছে হচ্ছে, গিয়ে দেখে আসি একজন মানবী আমার জন্য, শুধু আমার জন্য, শুধু আমার বিরহে কেঁদে চলেছে।
অফিসার উচ্চকন্ঠে হাসলেন।
আমার কিন্তু হাসি পেল না।
**************
(সমাপ্ত)
উফফফ কি যে বলি, এই ঠিকানায় অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছে! দিনে দিনে আরো এক ফেরিওয়ালা আসছে! সত্যি বলছি হিংসে হচ্ছে, তোমাকে নয় এই বাইসেন্টিনাল ম্যান কে! রবিন উইলিয়ামসের একটা বিখ্যাত সিনেমা! মনে পরে গেল ভীষণ ভাবেই !!!!!
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
13-01-2021, 11:40 PM
(This post was last modified: 13-01-2021, 11:50 PM by Mr Fantastic. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(13-01-2021, 10:21 PM)Baban Wrote: অসাধারণ....... জাস্ট অসাধারণ!!
অন্য গ্রহের কথা জানিনা কিন্তু এই পৃথিবীতে নেগেটিভিটি প্রচন্ড থাকলেও একটা পসিটিভ এনার্জি আছে ও থাকবে যা হয়তো অন্য উন্নত গ্রহে নেই (থাকতেও পারে). তা হোলো পবিত্র ভালোবাসা. এই শক্তি বিশ্ব ব্রম্ভান্ডে ছড়িয়ে পড়ুক. হাত মেলাক পাঁচ আঙুলের সাথে তিন আঙ্গুল. শক্তিমানের সাথে কমজোর.
লেখন শৈলী অসাধারণ ❤❤
অনেক অনেক ধন্যবাদ বাবান ভাই !!
দেখাতে চেয়েছিলাম কিভাবে নিঃস্বার্থ প্রেমের সান্নিধ্যে এলে একজন স্বার্থলোভী মানুষও নিজের অজান্তেই নিজেকে নতুন ভাবে উপলব্ধি করতে পারে।
আসলে মনুষ্যজাতির এই অনুভূতি, এই ভাবাবেগ, এই ভালোবাসার আকাঙ্খা - এগুলোই তো মানুষকে অন্যান্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে দেয়। তাই হাত মেলাক ধনীর সাথে গরিব, দুর্বলের সাথে সবল, সুন্দরের সাথে অসুন্দর, জ্ঞানীর সাথে মূর্খ, তবেই না পৃথিবীতে তথা এই ব্রহ্মাণ্ডে ভালোবাসা চিরস্থায়ী ভাবে বিরাজমান হবে
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(13-01-2021, 11:33 PM)pinuram Wrote: উফফফ কি যে বলি, এই ঠিকানায় অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছে! দিনে দিনে আরো এক ফেরিওয়ালা আসছে! সত্যি বলছি হিংসে হচ্ছে, তোমাকে নয় এই বাইসেন্টিনাল ম্যান কে! রবিন উইলিয়ামসের একটা বিখ্যাত সিনেমা! মনে পরে গেল ভীষণ ভাবেই !!!!!
গুরু আমিও এক গল্পওয়ালা হতে চাই, কিন্তু কতো দূর যেতে পারবো ফেরি করতে করতে জানি না তবে তোমার আশীর্বাদ থাকলে এই স্বপ্ন সফল হবে ঠিক
বাইসেন্টিনাল ম্যান সিনেমাটা দেখিনি, তুমি বললে যখন দেখতে হচ্ছে। শিন্ডলার্স লিস্ট সিনেমাটা তোমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদ গল্পে উল্লেখিত ছিল, জানার পরে দেখেছি ওটা। হলোকাস্ট সিনেমার মধ্যে সেরা, অনবদ্য
Posts: 1,886
Threads: 6
Likes Received: 6,325 in 1,869 posts
Likes Given: 2,644
Joined: Jun 2019
Reputation:
739
Mr Fantastic
অনেক অনেক ধন্যবাদ বাবান ভাই !!
দেখাতে চেয়েছিলাম কিভাবে নিঃস্বার্থ প্রেমের সান্নিধ্যে এলে একজন স্বার্থলোভী মানুষও কিভাবে নিজের অজান্তেই নিজেকে নতুন ভাবে উপলব্ধি করতে পারে।
আসলে মনুষ্যজাতির এই অনুভূতি, এই ভাবাবেগ, এই ভালোবাসার আকাঙ্খা - এগুলোই তো মানুষকে অন্যান্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে দেয়। তাই হাত মেলাক ধনীর সাথে গরিব, দুর্বলের সাথে সবল, সুন্দরের সাথে অসুন্দর, জ্ঞানীর সাথে মূর্খ, তবেই না পৃথিবীতে তথা এই ব্রহ্মাণ্ডে চিরস্থায়ী ভাবে বিরাজমান হবে
এই জায়গায় আমার কিছু বলার আছে, অনুভূতি ভাবাবেগ ভালোবাসা অন্য প্রাণীদের মধ্যেও আছে! বন্য প্রাণীরাও ভালবাসতে জানে, হাতির পালে দেখবে তারা প্রচন্ড ভাবে একত্রে থাকে, এমন প্রচুর প্রাণী আছে যাদের মধ্যে এই অনুভূতি ভাবাবেগ ভালোবাসা আছে! যেটা মানুষ কে অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে সেটা হচ্ছে ধ্বংস করার মানসিকতা! যখন মানুষ বন্য ছিল তখন সব কিছু তার মধ্যে ছিল কিন্তু এই ধ্বংসের মানসিকতা তাদের মধ্যে ছিল না! মানুষ যত সভ্য হয়েছে তত মানুষ নিজেকে ধ্বংস করেছে এবং তার সাথে পারিপার্শ্বিক সকল কে ধ্বংস করেছে! এই যুগে, নিউজিল্যান্ড এবং আফ্রিকাতে বেশ কিছু বহু পুরাতন আদিবাসী এখন জীবিত আছে, যারা বন্য যাদের এই সভ্য সমাজ মানুষ বলে মনেই করে না! সেখানে ধনী গরিব নেই! তারা একপ্রকার প্রাণী বন্য প্রাণীর মতন, কিন্তু তাদের মধ্যে ভালোবাসা আছে! মানুষ কথাটার অর্থ আমার মতে, মান আর হুঁশ মিলে মানুষ! যেদিন মানুষের মধ্যে মান সন্মান গজিয়ে গেল, ও ছোট আমি বড়, যেদিন হুঁশ এলো ও আমার চেয়ে বড় লোক হয়ে গেল আমি ওর থেকে গরিব কেন? সেদিন থেকেই মানুষের পতন! মান আর হুঁশ ছাড়াও এই প্রাণী এই জগতে চলতে পারত, কিন্তু না, এই মান সন্মান আর হুঁশের অধিন হয়েই আজকে মানুষ ধ্বংসের দিকে পা বাড়িয়েছে! কি দরকার ছিল আমেরিকার জাপানের ওপরে এটম বোম্ব ফেলার, ওই যে বললাম, মানে আঘাত লেগেছে তাই নির্দোষ মানুষকে হত্যা করল! কি দরকার ছিল ব্রিটিশদের এই ভারতে আসার, ওই যে হুঁশ হল এদের শিক্ষা দিতে হবে!!!!!
Posts: 1,886
Threads: 6
Likes Received: 6,325 in 1,869 posts
Likes Given: 2,644
Joined: Jun 2019
Reputation:
739
13-01-2021, 11:54 PM
(This post was last modified: 13-01-2021, 11:55 PM by pinuram. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(13-01-2021, 11:48 PM)Mr Fantastic Wrote: গুরু আমিও এক গল্পওয়ালা হতে চাই, কিন্তু কতো দূর যেতে পারবো ফেরি করতে করতে জানি না তবে তোমার আশীর্বাদ থাকলে এই স্বপ্ন সফল হবে ঠিক
বাইসেন্টিনাল ম্যান সিনেমাটা দেখিনি, তুমি বললে যখন দেখতে হচ্ছে। শিন্ডলার্স লিস্ট সিনেমাটা তোমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদ গল্পে উল্লেখিত ছিল, জানার পরে দেখেছি ওটা। হলোকাস্ট সিনেমার মধ্যে সেরা, অনবদ্য
তুমি দেখি আমাকে এক একটা ক্ষন আবার মনে করিয়েই ছাড়বে!!!!
Posts: 446
Threads: 3
Likes Received: 11,696 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,925
সকাল সকাল পড়ে বড়োই বিচিত্র অনুভূতি হলো মনে । একবার ভাবলাম নীল বিড়াল!! এমন হয় নাকি? তারপর ভাবলাম এটা নিখাদ কল্প বিজ্ঞান । তারপর ক্ষনিকের জন্য মনে হলো নানা এটা মৃত্যুর গাথা বলছে । সান্ত্বনা দিলাম, নাহঃ তো কোথায় মৃত্যু এতো সত্যিই অন্য গ্রহে যাচ্ছে । ইনি তো পর গ্রহী । এলিয়েন । এখানে এসে রোগ জীবাণু সংক্রমণ ইত্যাদি তে ফেঁসে গিয়েছে । তারপর বুঝলাম যে ইনি যে গ্রহে ফিরে যাচ্ছেন সেটা স্বর্গ । যেখানে যেতে গেলে মৃত্যুর দরজা অতিক্রম করতে হয় । সত্যিই বড় বিচিত্র । মানুষের জীবনে একটা সময় আসে যখন সেখানে যেতে হয়।
কিন্তু একটাই প্রশ্ন কেন? সবার সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়? কেন যাদের অনেক কাজ করার বাকি তাদের কেউ চলে যেতে হয়? কেন ওই অফিসার শোনে না যে বিদিশার মতো একজন মানুষ আছে তাকে তার প্রয়জন ।সে তাকে ভালোবাসে । অথচ এই অফিসারের অফিসার নাকি একদা এই পৃথিবীতে এসেছিলো ভালোবাসার প্রচার করতে ।
যাইহোক ভেবে ছিলাম এটা মিষ্টি প্রেমের গল্প হবে । রোমান্টিক স্টোরি । মনের মানুষ কে শেয়ার করবো । কিন্তু আর সাহস হলো না ।
শুভ মকর সংক্রান্তি
Posts: 1,886
Threads: 6
Likes Received: 6,325 in 1,869 posts
Likes Given: 2,644
Joined: Jun 2019
Reputation:
739
পৌষ সংক্রান্তির পিঠে পুলির আনন্দ আর শুভেচ্ছা !!!!!!!
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(13-01-2021, 11:52 PM)pinuram Wrote: Mr Fantastic
অনেক অনেক ধন্যবাদ বাবান ভাই !!
দেখাতে চেয়েছিলাম কিভাবে নিঃস্বার্থ প্রেমের সান্নিধ্যে এলে একজন স্বার্থলোভী মানুষও কিভাবে নিজের অজান্তেই নিজেকে নতুন ভাবে উপলব্ধি করতে পারে।
আসলে মনুষ্যজাতির এই অনুভূতি, এই ভাবাবেগ, এই ভালোবাসার আকাঙ্খা - এগুলোই তো মানুষকে অন্যান্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে দেয়। তাই হাত মেলাক ধনীর সাথে গরিব, দুর্বলের সাথে সবল, সুন্দরের সাথে অসুন্দর, জ্ঞানীর সাথে মূর্খ, তবেই না পৃথিবীতে তথা এই ব্রহ্মাণ্ডে চিরস্থায়ী ভাবে বিরাজমান হবে
এই জায়গায় আমার কিছু বলার আছে, অনুভূতি ভাবাবেগ ভালোবাসা অন্য প্রাণীদের মধ্যেও আছে! বন্য প্রাণীরাও ভালবাসতে জানে, হাতির পালে দেখবে তারা প্রচন্ড ভাবে একত্রে থাকে, এমন প্রচুর প্রাণী আছে যাদের মধ্যে এই অনুভূতি ভাবাবেগ ভালোবাসা আছে! যেটা মানুষ কে অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে সেটা হচ্ছে ধ্বংস করার মানসিকতা! যখন মানুষ বন্য ছিল তখন সব কিছু তার মধ্যে ছিল কিন্তু এই ধ্বংসের মানসিকতা তাদের মধ্যে ছিল না! মানুষ যত সভ্য হয়েছে তত মানুষ নিজেকে ধ্বংস করেছে এবং তার সাথে পারিপার্শ্বিক সকল কে ধ্বংস করেছে! এই যুগে, নিউজিল্যান্ড এবং আফ্রিকাতে বেশ কিছু বহু পুরাতন আদিবাসী এখন জীবিত আছে, যারা বন্য যাদের এই সভ্য সমাজ মানুষ বলে মনেই করে না! সেখানে ধনী গরিব নেই! তারা একপ্রকার প্রাণী বন্য প্রাণীর মতন, কিন্তু তাদের মধ্যে ভালোবাসা আছে! মানুষ কথাটার অর্থ আমার মতে, মান আর হুঁশ মিলে মানুষ! যেদিন মানুষের মধ্যে মান সন্মান গজিয়ে গেল, ও ছোট আমি বড়, যেদিন হুঁশ এলো ও আমার চেয়ে বড় লোক হয়ে গেল আমি ওর থেকে গরিব কেন? সেদিন থেকেই মানুষের পতন! মান আর হুঁশ ছাড়াও এই প্রাণী এই জগতে চলতে পারত, কিন্তু না, এই মান সন্মান আর হুঁশের অধিন হয়েই আজকে মানুষ ধ্বংসের দিকে পা বাড়িয়েছে! কি দরকার ছিল আমেরিকার জাপানের ওপরে এটম বোম্ব ফেলার, ওই যে বললাম, মানে আঘাত লেগেছে তাই নির্দোষ মানুষকে হত্যা করল! কি দরকার ছিল ব্রিটিশদের এই ভারতে আসার, ওই যে হুঁশ হল এদের শিক্ষা দিতে হবে!!!!!
হ্যাঁ এটা একদম যথার্থ বলেছ, বন্যপ্রাণীদের মধ্যেও অনেক সময় এমন কিছু মানবিক গুণাবলী দেখা যায় যা হয়তো তথাকথিত সভ্য মানুষদের মধ্যে নেই। যবে থেকে এই উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ, সামাজিক বৈষম্য, ক্ষমতার অধিকার এসব বাড়তে লাগলো তখন থেকেই জন্ম নিলো হিংসা, ক্রোধ, প্রতিশোধ স্পৃহা, জিঘাংসা, হানাহানি যা মানব সভ্যতাকে ক্রমশ ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
( তবে একটা কথা কিন্তু অস্বীকার করা যায় না, ব্রিটিশরা এসেছিল বলেই ভারত কিন্তু মধ্যযুগ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। ভালো দিকটা দ্যাখো, সবদিক থেকে প্রচুর উন্নতি করে গেছে। বিশেষ করে তৎকালীন রাজধানী কলকাতার এই খ্যাতির সুত্রপাত কিন্তু ব্রিটিশদের হাত ধরেই। শিক্ষা, সমাজ ব্যবস্থা (সতীদাহ, বাল্য বিবাহ, বহুবিবাহ), নগর পরিকল্পনা, শিল্প সবকিছুই আমূল বদলে দিয়ে গেছে।
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(13-01-2021, 11:54 PM)pinuram Wrote: তুমি দেখি আমাকে এক একটা ক্ষন আবার মনে করিয়েই ছাড়বে!!!!
গল্পটা মনে ভীষণ ভাবেই দাগ কেটে দিয়ে গেছে আরেকটা ছোট্ট কথা, আমিও সিনেমাটা পুচ্চিকে নিয়ে দেখছিলাম বাড়িতে। কিন্তু স্নানঘরের দৃশ্যতে ও এতটাই ভয়ার্ত হয়ে পড়ে যে বন্ধ করে দিতে হয় মুভি
•
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
14-01-2021, 04:48 PM
(This post was last modified: 14-01-2021, 04:50 PM by Mr Fantastic. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(14-01-2021, 09:37 AM)Jupiter10 Wrote: সকাল সকাল পড়ে বড়োই বিচিত্র অনুভূতি হলো মনে । একবার ভাবলাম নীল বিড়াল!! এমন হয় নাকি? তারপর ভাবলাম এটা নিখাদ কল্প বিজ্ঞান । তারপর ক্ষনিকের জন্য মনে হলো নানা এটা মৃত্যুর গাথা বলছে । সান্ত্বনা দিলাম, নাহঃ তো কোথায় মৃত্যু এতো সত্যিই অন্য গ্রহে যাচ্ছে । ইনি তো পর গ্রহী । এলিয়েন । এখানে এসে রোগ জীবাণু সংক্রমণ ইত্যাদি তে ফেঁসে গিয়েছে । তারপর বুঝলাম যে ইনি যে গ্রহে ফিরে যাচ্ছেন সেটা স্বর্গ । যেখানে যেতে গেলে মৃত্যুর দরজা অতিক্রম করতে হয় । সত্যিই বড় বিচিত্র । মানুষের জীবনে একটা সময় আসে যখন সেখানে যেতে হয়।
কিন্তু একটাই প্রশ্ন কেন? সবার সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়? কেন যাদের অনেক কাজ করার বাকি তাদের কেউ চলে যেতে হয়? কেন ওই অফিসার শোনে না যে বিদিশার মতো একজন মানুষ আছে তাকে তার প্রয়জন ।সে তাকে ভালোবাসে । অথচ এই অফিসারের অফিসার নাকি একদা এই পৃথিবীতে এসেছিলো ভালোবাসার প্রচার করতে ।
যাইহোক ভেবে ছিলাম এটা মিষ্টি প্রেমের গল্প হবে । রোমান্টিক স্টোরি । মনের মানুষ কে শেয়ার করবো । কিন্তু আর সাহস হলো না ।
শুভ মকর সংক্রান্তি
" তারপর বুঝলাম যে ইনি যে গ্রহে ফিরে যাচ্ছেন সেটা স্বর্গ । যেখানে যেতে গেলে মৃত্যুর দরজা অতিক্রম করতে হয় " - তুমি গল্পটা যে দৃষ্টিভঙ্গিতে উপলব্ধি করলে আমি কিন্তু সেটা ভেবে লিখিনি, কিন্তু তোমার এই অনুধাবন সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত। এই আঙ্গিক থেকে আমি ভেবে দেখিনি, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এটাও একদম সঠিক বিশ্লেষণ।
"অথচ এই অফিসারের অফিসার নাকি একদা এই পৃথিবীতে এসেছিলো ভালোবাসার প্রচার করতে ।" - নাহ, একথা তো বলিনি
তবে এমনও তো হতে পারে যে গল্পের "আমি" ক্রমাগত নিজের বিবেকের সাথে দোটানায় পড়ে একসময় সব নিষেধ-নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের গ্রহের মানুষদের বিরুদ্ধে গিয়ে সব নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে নিজস্ব স্পেসশিপে চেপে আবার ফিরে এলো এই সবুজ পৃথিবীর বুকে সেই প্রিয়তমা রমণীটির কাছে যে উদাস ভঙ্গিতে অশ্রুসিক্ত বিনিদ্র চোখে জানলার ধারে বসে আকাশ পানে চেয়ে আছে এক ক্ষীণ আশা নিয়ে যে - সে আসবে, ঠিক আসবে...আমার ভালোবাসা আসবে ওই মেঘের কোল বেয়ে।
তাই বলি, এটা তোমার মনের মানুষের সাথে শেয়ার করো, এতে ভালোবাসা বাড়বে বই কমবে না। মিলিয়ে দেখো আমার কথা
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
Posts: 446
Threads: 3
Likes Received: 11,696 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,925
Posts: 446
Threads: 3
Likes Received: 11,696 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,925
(14-01-2021, 04:27 PM)Mr Fantastic Wrote: হ্যাঁ এটা একদম যথার্থ বলেছ, বন্যপ্রাণীদের মধ্যেও অনেক সময় এমন কিছু মানবিক গুণাবলী দেখা যায় যা হয়তো তথাকথিত সভ্য মানুষদের মধ্যে নেই। যবে থেকে এই উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ, সামাজিক বৈষম্য, ক্ষমতার অধিকার এসব বাড়তে লাগলো তখন থেকেই জন্ম নিলো হিংসা, ক্রোধ, প্রতিশোধ স্পৃহা, জিঘাংসা, হানাহানি যা মানব সভ্যতাকে ক্রমশ ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
( তবে একটা কথা কিন্তু অস্বীকার করা যায় না, ব্রিটিশরা এসেছিল বলেই ভারত কিন্তু মধ্যযুগ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। ভালো দিকটা দ্যাখো, সবদিক থেকে প্রচুর উন্নতি করে গেছে। বিশেষ করে তৎকালীন রাজধানী কলকাতার এই খ্যাতির সুত্রপাত কিন্তু ব্রিটিশদের হাত ধরেই। শিক্ষা, সমাজ ব্যবস্থা (সতীদাহ, বাল্য বিবাহ, বহুবিবাহ), নগর পরিকল্পনা, শিল্প সবকিছুই আমূল বদলে দিয়ে গেছে।
একমত ব্রিটিশ রা যেমন ক্ষতি করেছিলো তেমন ভালো কাজ ও করে ছিলো তারা । শুধু ক্ষমতা লোভী কিছু সংখ্যক ক্ষুদ্র রাজা এবং তথাকথিত সমাজের উচ্চ জাতির মানুষের কাছে সেগুলো চোখের বালি হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো । কারণ এই সভ্যতার মডার্ন যুগে দেশ প্রেমিক দের বানানো উড়াল পথ ও ভেঙে যায় কিন্তু সেযুগের লুটকারী ব্রিটিশ দের বানানো রবীন্দ্র সেতু এতো দিনেও ভেঙে পড়েনি ।
Posts: 6,486
Threads: 21
Likes Received: 7,008 in 3,712 posts
Likes Given: 12,097
Joined: Feb 2020
Reputation:
239
(14-01-2021, 06:40 PM)Jupiter10 Wrote: এটা একটা সান্ত্বনা মাত্র মিস্টার ফান্টু ভাই । তুমি গল্পে কোথাও এটার ইঙ্গিত দাওনি । বরং ব্রহ্মান্ডের নিয়ম কেই কঠোর রূপেই দেখিয়েছো । সেটাই ঠিক। বিদিশা তো ওকে জিজ্ঞেস করেছিলো । সেতো বলল যে এক হাজার বৎসর লেগে যাবে । সুতরাং মিথ্যা সান্ত্বনা দিয়ে লাভ নেই । যাইহোক তোমার অনুরোধে আমি শেয়ার করবো অবশ্যই । দেখবো সে কি বলে । তবে তোমার পুচকি কি বলেছেন সেটা জানার ও ইচ্ছে রইলো । আর ইন্টাস্টালোর মুভিটা দেখেছো নিশ্চই ।
ইসস এই "ফান্টু ভাই" নামে আইডিটা খুললে ভালো হতো, বেশ ফাটাকেষ্ট ফাটাকেষ্ট ভাব আছে !!
আর এইজন্য বিয়োগান্তক রোমান্টিকতা নিয়ে গল্প লেখা খুব কঠিন, সবার মধ্যে অতৃপ্তি রয়ে যায় আমার পুচ্চি এই গল্পটা পড়ে বলেছিল, আবার নতুন করে তোমার প্রেমে পড়লাম।
আর ইন্টারস্টেলার দেখেছি, অসাধারণ সিনেমা ক্রিস্টোফার নোলানের। ওঁর ডার্ক নাইট ট্রিলজি তো কম করে দশবার দেখা !
|