09-07-2020, 01:16 PM
খুব সুন্দর দাদা. খুব ভালো এগোচ্ছে.
প্রথম ভালোলাগার অনুভূতিটা খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন. এগিয়ে চলুক গল্প.
প্রথম ভালোলাগার অনুভূতিটা খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন. এগিয়ে চলুক গল্প.
Romance তোমাতে আমাতে দেখা হয়েছিল
|
09-07-2020, 01:16 PM
খুব সুন্দর দাদা. খুব ভালো এগোচ্ছে.
প্রথম ভালোলাগার অনুভূতিটা খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন. এগিয়ে চলুক গল্প.
09-07-2020, 06:28 PM
ধন্যবাদ -ddey333, Avishek. এইভাবেই আমার নতুন গল্পের পাশে থাকুন. আর যাদের নতুন আপডেট পড়া হয়নি তাড়া আগের পৃষ্টায় গিয়ে পড়ে নেবেন. ❤️
10-07-2020, 04:22 PM
(This post was last modified: 14-07-2020, 02:33 AM by Baban. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.
Edit Reason: Improve
)
কাল আসবে আপডেট
11-07-2020, 12:03 PM
সামনে বাবাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হা করা মুখ হাই হয়ে রইলো.
বাবা : মুখটা বন্ধ করো বাবুসোনা..... নইলে যে মাছি ঢুকে যাবে . আর তোমাকে ওতো ভাবতে হবেনা কবে যাবো না যাবো. যেটা বলবো চুপচাপ শুনবি. অভি আস্তে করে : হিটলারের আদেশ না শুনে উপায় আছে? বাবা : কি? হিট কি? অভি : না কিছুনা.. বলছি তুমি একদম ঠিক. সত্যি তো বন্ধুর ইয়ে...... না মানে বন্ধুর মেয়ের এনগেজমেন্ট বলে কথা. বাবা : থাক থাক.... আর তেল মাখাতে হবেনা. যা ফ্রেশ হয়ে নে. অভি : যথা আজ্ঞা পিতাশ্রী... বাবা : কি !! দে দৌড়. সবাই যে যার ঘরে রেডি হচ্ছে. অভিষেক একটা রয়াল নীল রঙের শার্ট পড়েছে আর জিন্স. লম্বায় ও প্রায় 5 ফুট 10 ইঞ্চি. তার ওপর ফিট বডি. তাই যাই পড়ে তাই মানিয়ে যায়. আয়নার সামনের দাঁড়িয়ে চুল সেট করছে. এমন সময় পেছন থেকে শুনলো - উফফফফ কি লাগছে..... পুরো হৃত্তিক হৃত্তিক. ঘুরে দেখলো বোন দাঁড়িয়ে. অভি হেসে বললো : বলছিস তাহলে হৃত্তিকের মতন? ঝিলমিল : নিশ্চই... তবে রোশান নয়.... চক্রবর্তী. বলেই পালিয়ে গেলো. অভি মারার সুযোগ পেলোনা. তারপরে নিজেকেই নিজে বললো : চক্রবর্তী হলেই বা দোষ কি? অমন দারুন অভিনেতা বাংলায় কম আছে. যদিও রোশানটাই ও শুনতে চাইছিলো. যাইহোক অভি রেডি. চোখে ২ বছর হলো পাওয়ার এসেছে তাই চশমা পড়তে হচ্ছে. তবে চশমাতে কিন্তু আরও স্মার্ট লাগে অভিকে. বেরোনোর আগে ঠাকুর ঘরে সবাই প্রণাম করে ১১টা নাগাদ বেরিয়ে পড়লো ওরা. অভিষেকই ড্রাইভ করছে. বাবা নিজের হাতে ওকে ড্রাইভিং শিখিয়েছে. এখন পুরো মাখনের মতো গাড়ি চালায় ও. যে জায়গাটায় যেতে হবে সেটা বেশ দূরেই. বেহালা থেকে আসতে হবে সোদপুর. মা আর বোন পেছনে বসেছে আর সামনে বাবা ছেলে. যদিও অভি ভালোই গাড়ি চালাচ্ছে তবে এতটা পথ ও কোনোদিন আসেনি তাই বাবা ওর সাথেই রয়েছে. বাবার মোটামুটি সব জায়গা চেনা. লম্বা রাস্তা তাই সাথে কিছু খাবারও সাথে নিয়ে নিয়েছে. সোদপুরের কাছাকাছি পৌঁছে অরিন্দম বাবু নিজের বন্ধুকে ফোন করলো আর একদম পারফেক্ট জায়গাটা জেনে নিলো. তারপরে আবার যাত্রা শুরু. নিজের চেনা এলাকা থেকে বেরিয়ে অভিষেক আজ এই প্রথম এতদূর গাড়ি চালিয়ে এসেছে. বেশ ভালোই লাগছে ওর. কিছুক্ষনের মধ্যেই ওরা সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে গেলো. একটা বড়ো বাড়ির সামনে এসে থামলো গাড়িটা. দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিলাসবহুল বাড়ির মেয়ের অনুষ্ঠান. বাড়ির বাইরে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে. অভির বাবা হঠাৎ ওর মাকে বললো : ওই তো ব্যাটা বাইরে দাঁড়িয়ে. অভিও তাকালো বাইরে. একজন বাবার বয়সী লোক সত্যি বাইরে দাঁড়িয়ে. কিন্তু লোকটার পাশে যে ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে তাকেও যেন খুব দেখা দেখা মনে হচ্ছে ওর. গাড়ি থেকে নামলো ওরা. বন্ধুকে দেখে প্রায় দৌড়ে এলেন রঞ্জিত বাবু. দুই বন্ধু জড়িয়ে ধরলো একে অপরকে. রঞ্জিত : কিরে ব্যাটা.... শেষমেষ আনতে পারলাম তোকে আমার বাড়িতে কি বল? অরিন্দম : আসবোনা...... আমার বন্ধুর মেয়ের অনুষ্ঠান আর আমি আসবোনা. রঞ্জিত : তুই আসবি আমি জানতাম. আসলে কি বলতো....... সেইভাবে তো কেউ আর এলোনা. আমার শশুর বাড়ির লোকজন তাও আসছে কিন্তু আমার বাড়ির লোকেরা তো...... আসলে বাবার সাথে আমাদের পরিবারের ওই জমি জমা নিয়ে এমন ঝগড়া হলো... তারপর থেকে ওরা কেউ আর যোগাযোগ........ তাই আমার নিজের কাউকে পাশে চাইছিলাম. তুই এসেছে গেছিস.... এবার ভরসা পাচ্ছি. অরিন্দম : থাক রাজু...... আর ওসব অতীতের কথা নিয়ে মন খারাপ করতে হবেনা. ছাড় ওসব. এই দেখ আমার মেয়ে. সেইবার তো আলাপই হয়নি তোদের. ঝিলমিল যাও... প্রণাম করো. ঝিলমিল গিয়ে প্রণাম করলো ওনাকে. রঞ্জিত : ওমা..... কি সুন্দর ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে তোর অরিন্দম.... সেইবার ছবিতে যা দেখেছিলাম তার থেকেও অনেকটা পাল্টে গেছে. বাহ্ খুব সুন্দর. বৌদির মুখ একদম. থাক মা থাক. এসো এসো আমার বুকে এসো. কত বড়ো হয়ে গেছো. অরিন্দম : আর এইযে আমার বড়ো ছেলে. যা গিয়ে প্রণাম কর কাকুকে. রঞ্জিত বাবু হা করে ওপরে তাকিয়ে : ওরে বাবা !! এ তোর ছেলে? আরে এত ফিল্মস্টার রে ! কি লম্বা হয়েছে..... ছেলে তো তোকেও ছাড়িয়ে গেছেরে... অভিষেক লজ্জা পেলো. গিয়ে প্রণাম করলো ও. রঞ্জিত বাবু : থাক থাক বাবা..... ভাই বোন দুজনকেই দিদি আপনার মতোই দেখতে হয়েছে. ভাগ্গিস তোমার ওই বড়টার মতো হয়নি. আমিতো ওকে আগে শিম্পাঞ্জি বলতাম. অরিন্দম : আর আমি তোকে জলহস্তী.... মোটা ব্যাটা. সবাই হেসে উঠলো. রঞ্জিত বাবু সেই ছেলেটিকে নিজের কাছে ডাকলো আর সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো. রঞ্জিত : আর এ হলো আমার ছোট ছেলে অর্ক. যাও সবাইকে প্রণাম করো. অরিন্দম বাবু অর্ককে আশীর্বাদ করে বললো : তুই আমার ছেলেকে লম্বা বলছিস....তোর ছেলেও তো বেশ লম্বা হয়েছে রে. এখনও তো আরও বাড়বে. রঞ্জিত : আর বলিসনা..... এদের মামারবাড়ির সবাই লম্বা. সেই গুন এরাও পেয়েছে. বাবারে.... আমার মেয়েটা যে এত লম্বা হবে ভাবিনি. আমার তো মনে হচ্ছিলো ওই যে লম্বা হতে শুরু করেছে সে আর থামবেনা. হা... হা... হা. ছেলে খুঁজে পাবো কিনা সন্দেহ ছিল আমার হা হা হা অভির মা : না.. না.. অমন বলবেন না. লম্বা হওয়া তো ভালো. অর্ক অভির মাকে প্রণাম করলো, ঝিলমিলের সাথে হ্যান্ডশেক করলো তারপরে যখন অভির কাছে এলো তখন অর্কও অভির দিকে কেমন সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো. ওদিকে অভিরও মনে হচ্ছে একে কোথায় যেন দেখেছি. কোথায়?? রঞ্জিত বাবু : আচ্ছা বাইরে কতক্ষন দাঁড়িয়ে থাকবি তোরা হ্যা? আয় আয়.... বৌদি আসো... ঝিলমিল সোনা এসো আমার সাথে এসো. অভিষেক এসো বাবা... তুমিও এসো. অভিষেক : হ্যা কাকু চলুন...... হাই অর্ক. অর্ক : হাই অভি দা. চলো ভেতরে চলো. অভি : হ্যা.... আমি গাড়ি থেকে কয়েকটা জিনিস নিয়ে গাড়ি পার্ক করেই আসছি. তোমরা যাও. অর্ক : আচ্ছা. রঞ্জিত বাবু ঝিলমিলের সাথে আর পেছন পেছন অভির বাবা মা অর্কর সাথে বাড়ির ভেতর ঢুকে গেলো. অভি গাড়ি রাস্তার ধারে ঠিকমতো পার্ক করে গাড়ির থেকে কয়েকটা গিফটের প্যাকেট নিয়ে বেরিয়ে আসার আগে গাড়ির আয়নায় নিজের চুলটা সেট করে নিচ্ছে. গাড়ির কাঁচে বাড়িটার অনেকটাই দেখা যাচ্ছে. অভির হটাত মনে হলো গাড়ির কাঁচে বাড়ির বারান্দায় সে একজনকে দেখতে পেলো. ফোনে কথা বলছে মেয়েটা কারো সাথে. এক পলকের জন্য মুখটা এদিকে ঘুরিয়ে আবার ভেতরে ঢুকে গেলো সে. সেই কয়েক মুহূর্তেই অভিষেকের মনে হলো যেন ও যাকে দেখলো সে যেন একদম ওই........ উফফফফফ.... অভি তোর ভাই মাথা পুরো গেছে. তুই সব জায়গায় তাকেই দেখছিস. সেদিনের ওই গাড়ির মধ্যে, আজ আবার এই বাড়ির মধ্যে... একটু পরে হয়তো দেখবি সে নিজেই এসে তোকে হাই বলছে. উফফফফ.... নিজেকে আবার বুঝিয়ে শুনিয়ে ও ভেতরে ঢুকে এলো. দোতলা বাড়ি কিন্তু বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে. দুটো গাড়ি বাড়ির নিচে পার্ক করা. অভি ভেতরে ঢুকে এদিক ওদিক দেখতে লাগলো. ঐতো ওর মা একজন মহিলার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে. বাবাও পাশে. অভি এগিয়ে গেলো মায়ের দিকে. ছেলেকে আসতে দেখে অভির মা ওই মহিলাকে বললো : দিদি... ঐযে আমার ছেলে অভি. মহিলা ঘুরে তাকালো ওর দিকে. অভিকে দেখে বললো : ওমা ! কি সুন্দর দেখতে হয়েছে দিদি তোমার অভিকে. এও তো দেখছি আমার বাবলির মতো লম্বা. এই সেদিনের কথা... এইটুকু ছিল আর আজ দেখো কি লম্বা হয়ে গেছে. বাহ্... খুব মিষ্টি দেখতে. একেবারে তোমার মুখ দিদি. অভির মা : বাবু...... ইনি রঞ্জিত কাকুর স্ত্রী. তোমার কাকিমা. অভি ওহ... বলে সঙ্গে সঙ্গে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলো ওনাকে. দীপালি দেবী : থাক বাবা.... সোনা ছেলে. এসো বসো. বসো. অভি সোফায় বসলো. আর মায়ের হাতে গিফটের প্যাকেট গুলো দিলো. অভির মা : রিমি কোথায়... দেখি ওকে. শুধুই তো ছবি দেখেছি ওর facebok এ. সামনে থেকে দেখি কেমন লাগছে হবু পাত্রীকে. সেই পুচকে বয়সে দেখেছিলাম ওকে. তাও তখন সবে হাঁটতে শিখেছে. আমাদের বাড়িতে তোমাদের কোলে কোলে আসতো . সেই মনে আছে অভির সাথে সে কি বন্ধুত্ব. সে আর ছেড়ে যাবেই না. দুটোতে কি কান্না. মনে আছে? দীপালি দেবী : মনে থাকবেনা? উফফফফ... সে কোনোরকম ভাবে বুঝিয়ে আনতে হতো. অভির এসব কিছুই মনেও নেই. মনে থাকার কথাও নয়. দীপালি দেবী : দাড়াও ডাকি. দেখো একবার সে আজ কি হয়েছে. ওই বাবলি.... আয় দেখ কারা এসেছে. বাবলি...? ওপর থেকে আওয়াজ এলো আসছি মা. দীপালি দেবী এসে মায়ের পাশে বসে বললো : আর বলোনা.... আজকালকার মেয়ে ফোনেই ব্যাস্ত সারাক্ষন. কাল বান্ধবীরা কখন আসবে, কে কি পড়বে এসব আলোচনা হচ্ছে এখন. উফফফফ পারিনা আর. অভির মা : সেতো হবেই... আমার কন্যা আর পুত্র দুজনেই তো যতক্ষণ বাড়ি থাকে ফোনে ঢুকে থাকে. অভিষেক পাশে তাকিয়ে দেখলো বাবা আর কাকু দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে. বাড়ির মহিলারা এদিক ওদিক ঘরে ঢুকছে বেরোচ্ছে. মা ওদিকে কাকিমার সাথে গল্প করছে. পাশে ঝিলমিলও কথা বলছে ওদের সাথে. অভিষেকের কেমন একটা লাগছে. সবাই অচেনা. কেমন অদ্ভুত লাগছে. অভি নিজের ফোন বার করে বাইক রেসিং খেলতে লাগলো. অভি খেলতে খুবই ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে. ওদিকে রিমিকে ওপর থেকে নামতে দেখে ওর মা গিয়ে হাত ধরে রিমিকে অভির মায়ের কাছে নিয়ে এলো. আর বললো : কিরে.... চিনতে পারছিস? তোর বাবার বেস্ট ফ্রেন্ডের স্ত্রী..... আর দিদি? চিনতে পারছো একে? অভির মা অবাক হয়ে : ওমা !! এটা রিমি !! এইটুকু দেখেছিলাম সেদিনের পুচকিটাকে আর আজ এত লম্বা হয়ে গেলো !! ছবি দেখে বুঝিনি এত লম্বা ! কি সুন্দরী হয়েছে গো তোমার মেয়ে . রিমি হেসে প্রণাম করলো অভির মাকে. অভির মা এখনও হা করে তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে. দাঁড়ানো অবস্থায় অভির মায়ের থেকে প্রায় ৭ ইঞ্চি লম্বা রিমি. অভির মা স্বামীর দিকে তাকিয়ে বললো : এই এদিকে এসো রিমিকে দেখো. অভির বাবা তাকালো এবারে রিমির দিকে. তিনিও অবাক. সেদিনের পুচকিটা আজ তার সামনে দাঁড়িয়ে. অরিন্দম কাকুকে চিনতে একটুও অসুবিধা হলোনা রিমির. এনার ছবি বাবার এলবামে বহুবার দেখেছে. বাবা কত বলেছেন ওদের অতীতের কথা. দুই বন্ধুর আনন্দময় দিন গুলোর কথা. রিমি নিজেই এগিয়ে গিয়ে প্রণাম করলো ওর বাবার বন্ধুকে. যখন দাঁড়ালো তখন অভির বাবা বুঝলেন বন্ধুর মেয়ে তার থেকেও একটু বেশিই লম্বা. খুব কম বাঙালি মেয়েই আছে এরকম লম্বা. কিন্তু খুব মিষ্টি দেখতে হয়েছে. মিষ্টি মুখটার সাথে শরীরের উচ্চতা যেন পুরো মানিয়ে গেছে. অরিন্দম বাবু মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন নিজের প্রাণের বন্ধুর মেয়েকে . নিজের মেয়ের মতোই তো. একটা চিন্তা ওনার মাথায় এলো কিন্তু তিনি আর সেটা প্রকাশ করলেন না... কারণ এখন আর সেটা সম্ভব নয়. রঞ্জিত : দেখেছিস..... কি পরিমানে লম্বা হয়েছে..... এর জন্য এর মতো পাত্র খুঁজতে আমায় কম ঝামেলা পোয়াতে হয়েছে? অরিন্দম : চুপ কর ব্যাটা.... এমন মিষ্টি একটা মেয়ে. নিজেতো আর লম্বা হতে পারলিনা. মেয়েটা হয়েছে সেটাও সহ্য হচ্ছেনা না.... খালি মোটকু হয়েছিস দিন দিন. সবাই হেসে উঠলো. দীপালি দেবী : আমি সবার জন্য খাবার নিয়ে আসি. তোমরা বসো সবাই. ঝিলমিল নিজেই এগিয়ে এসে আলাপ করলো রিমির সাথে. ঝিলমিল : হাই দিদি.... আমি ঝিলমিল. রিমি : হ্যালো ঝিলমিল.. ঝিলমিল : দিদি আমি তোমার ছবি ফেইসবুকে দেখেছি. তুমি যেবার দার্জিলিং গেছিলে.... তখনকার. আর.... ঐযে আমার দাদা অভিষেক. ঝিলমিল দাদার দিকে তাকিয়ে : দাদা? এই দাদা? আমাদের অভি বাবু তখন ফুল স্পিডে বাইক চালাচ্ছেন. দুটো লরিকে পেছনে ফেলে অপোনেন্ট কে টার্গেট করে এগিয়ে চলেছেন. পুরো ঢুকে গেছেন গেমে. আরেকটু পরেই অপোনেন্ট কে হারিয়ে এগিয়ে যাবে সে. ঠিক তখনি হঠাৎ খুব কাছে "হাই অভিষেক" শুনে অভি মুখ তুলে তাকালো সামনের দিকে. আর সেই যে তাকালো... তাকিয়েই রইলো. জীবনের সবচেয়ে বড়ো শকটা পেলেন অভি বাবু. হয়তো বিদ্যুতের শকের মতোই প্রবল. এ কি দেখছে সে !! এ কে দাঁড়িয়ে তার সামনে?!!! এ সত্যি? নাকি এটাও কল্পনা? কেমন লাগলো নতুন আপডেট.. জানাবেন বন্ধুরা
ভালো লাগলে লাইক রেপু দিতে পারেন ❤️
11-07-2020, 01:00 PM
Sad, sad very disappointing...এর থেকে দুঃখের কিছু হতে পারে না।
11-07-2020, 01:11 PM
বাহ... লেখার ধরণ খুবই সুন্দর. কোন গল্প কেমন ভাবে লিখতে হয় সেটা আপনি ভালো করেই জানেন.
এইবার শুরু হয়েছে আসল গল্প. অভিষেক এবার কি করবে সেটাই দেখার. আহারে বেচারা...
14-07-2020, 06:32 PM
(আগের পর্বের পর) হা করে অভি ওর দিকে তাকিয়ে আছে দেখে রিমি হেসে ফেললো. অভি নিজেকে সামলে নিলো. ততক্ষনে গেমের বাইক রাস্তার পোস্টে ধাক্কা মেরে উল্টে গেছে. এদিকে অভিষেকেরও উল্টে যাবার উপক্রম.
এও কি সম্ভব? যাকে সেদিন মলে দেখলো, যার মুখের ওই হাসি দূর থেকে দেখেই অভি বাবুর বুক ধুকপুক করতে শুরু করেছিল, যাকে এদিক ওদিক সব মুখের মধ্যেই খুঁজে বেরিয়েছে সেই অপ্সরা স্বয়ং তার সামনে দাঁড়িয়ে তাকে হাই বলছে ! কিন্তু এই সুন্দরী এখানে কি করছে?
হাই অভিষেক... আমি রিমি.
রিমির আবার ডাকে মোবাইল ফেলে উঠে দাঁড়ালো অভি. সামনে সেই সেদিনের সুন্দরী দাঁড়িয়ে. হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে দিলো ওর দিকে. অভি কোনোরকমে নিজেকে সামলে হাত বাড়ালো ওর দিকে. আবার সেই হাতে হাত ঠেকলো. দ্বিতীয়বারের মতো. কিন্তু এবারে পরিপূর্ণ ভাবে. কি নরম হাতটা. রিমি অভির দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখতে লাগলো.
রিমি : আচ্ছা..... আমি কি আপনাকে কোথাও দেখেছি? আমাদের কি আগেও আলাপ হয়েছে?
অভিষেক খুব নিচু স্বরে বললো : সেদিন ওই শপিং মলে. আপনি একটা পাঞ্জাবী....
রিমি : ওহ হ্যা..... তাই তো....right... তাই আপনাকে এত চেনা চেনা লাগছে.
রিমির মা প্লেটে করে মিষ্টি আর লুচি তরকারি নিয়ে এলো. এসেই দুজন লম্বা মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হেসে সবাইকে বললো: ওই দেখো সবাই..... বাড়ির সব থেকে লম্বা দুজন দাঁড়িয়ে. আগে ছিল আমার একটা.... আজ আবার আরেকজন এলেন লম্বা......সবাই হেসে ফেললো. ওরা দুজনেও হেসে ফেললো.
সত্যি.... অভিষেকের একদম সমান উচ্চতা রিমির. রিমি অভির এত সামনে দাঁড়াতেই সেটা অভি বুঝতে পেরেছে. যদিও মেয়েরা এত লম্বা হলে কেমন কেমন লগে কিন্তু আশ্চর্য ভাবে রিমিকে এই উচ্চতায় দারুন লাগছে.
সবাই হাসলেও একজন ওদের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকাটা ভালো করে লক্ষ্য করছে. বাহ্..... বেশ লাগছে কিন্তু ওদের পাশাপাশি. কিন্তু এখন আর কিছুই সম্ভব নয়. অভির বাবা এটাই ভাবছিলো এমন সময় রঞ্জিত বাবু বললেন : আমার হবু জামাই যদি অভিষেকের মতো হতো আরও ভালো হতো জানিস.
অরিন্দম : কেন? কি প্রবলেম?
রঞ্জিত : না না প্রব্লেম তেমন কিছু নয়.... বেশ ভালো... এডুকেটেড. ভালো জায়গায় কাজও করে . ওসব ঠিকই আছে শুধু.......
অরিন্দম : শুধু কি?
রঞ্জিত বাবু সামান্য হেসে বললেন : আমার মেয়ের থেকে তিন ইঞ্চি খাটো. যদিও এতে ওদের কোনো আপত্তি নেই.
অরিন্দম : তিন ইঞ্চি?.. ... এমনিতে দেখলে কিছুনা.... আবার অনেকের কাছে বড়ো ব্যাপার. স্ত্রী স্বামীর থেকে লম্বা হবে এটা আবার অনেক পুরুষের গায়ে লাগে. তবে তুই যখন বলছিস ওদের কোনো আপত্তি নেই তখন... ও নিয়ে আর ভাবিসনা.
রঞ্জিত : তা ঠিক...... কিন্তু আমি কিকরে বুঝবো বল? এই সেদিন অব্দি আমার মেয়েটা আমার কাঁধের হাইট ছিল . হুট্ করে যে ইয়া লম্বা হয়ে যাবে কে ভেবেছিলো? পুরো মামাদের গুন পেয়েছে. ঢ্যাঙা হলো পুরো আমার মেয়েটা.
অরিন্দম : বেশ হয়েছে মামাদের গুন পেয়েছে.. তোর মতো গুন তো আর পায়নি... উফফফফ.... সেবারের থেকেও আরও মোটা হয়ে গেছিস. থামরে থাম.. এবারে থাম নইলে বেলুনের মতো ফেটে যাবি এবারে...
দুই বন্ধু আবার হেসে উঠলো. অভির মা রিমিকে পাশে বসিয়ে কথা বলছে. মায়ের পাশেই অভি. মনটা এতক্ষন কেমন কালো মেঘে ঢেকে ছিল এখন আবার মেঘ কেটে সূর্য দেখা দিয়েছে.
বার বার চোখে যাচ্ছে মায়ের পাশে বসে থাকা অপ্সরার দিকে. হাতে খাবারের প্লেট নিয়ে বসেই আছে অভি. খাওয়া ভুলে গেছে.
একি? খাচ্ছেন না কেন? খান........ রিমি বললো অভিকে.
অভি : হ্যা? হ্যা খাচ্ছি....
রিমি ওর দিকে তাকিয়ে হেসে আবার কাকিমার দিকে মানে অভির মায়ের দিকে তাকালো.
অভির মা হেসে বললো : তুই ওকে আপনি আপনি করে বলছিস কেন মা? ও তো তোরই বয়সী. তা ছাড়া তোরা সেই ছোট বেলার বন্ধু.....যদিও তোদের কারোর কিছু মনে থাকার কথা নয়.
রিমি : তাই কাকিমা? কই আমার তো মনে পড়ছেনা...
অভির মা হেসে : মনে থাকার কোথাও নয়. তোরা তখনকার বন্ধুরা যখন তোরা বন্ধু মানেই জানতিস না. সেই আমাদের বাড়িতে এলে দুজনে বসে কত খেলতিস দুজনে. আর যাবার সময় হলেই কান্না জুড়ে দিতিস দুটোতে. সে আর যাবিনা তুই কিছুতেই.
রিমি হাসলো আর আড় চোখে কাকিমার পাশে বসে থাকা ছেলেটার দিকে একবার তাকিয়ে নিলো.
অভি যেন এখনও নেশার মধ্যেই রয়েছে. এ যেন অসম্ভব, অপ্রত্যাশিত. সেদিনের অপরিচিত মেয়েটি যাকে দেখে অভির বুকের বাঁ পাশটা কেমন করছিলো সেই কিনা শেষ পর্যন্ত বেরোলো ওর বাবার বন্ধুর মেয়ে !
কিরে দাদা? কি তখন থেকে ভাবছিস বলতো? খা..... লুচি যে ঠান্ডা হয়ে গেলো. কোথায় হারিয়ে গেলি? এই জন্যই বাবার কাছে এত বকা খাস.
বোনের কথায় আর রাগ হচ্ছেনা অভিষেকের. কেমন যেন আনন্দ আনন্দ ভাব হচ্ছে. হবারই কথা. যাকে দেখে সেদিন থেকে বুকের ভেতরে কুমার শানুর রোমান্টিক গান বেজেই চলেছে আজ সেই সুন্দরী তার পাশেই বসে ওর মায়ের সাথে গল্প করছে.
রিমি : কাকিমা.. ওপরে চলো... আমার ঘরে. ঝিলমিল তুইও আয়. চলো....কাকিমা.
অভির মা : হ্যা..... চল.
দীপালি কাকিমা : হ্যা... বাবলি কাকিমাকে তোর ঘরে নিয়ে যা. তোমরা ওপরে যাও. আমিও আসছি. গিয়ে দেখাই তোমাকে দেখাই দিদি.... মেয়ের জন্য কি কি কিনলাম.
অভির মা বোন রিমির সাথে ওপরে চলে যেতে লাগলো. অভি বাবু তখনো প্লেট হাতে তাকিয়েই রয়েছে. স্মার্ট ছেলেটা যেন আজ ভ্যাবলা হয়ে গেছে. যেতে যেতে একবার পেছন ফিরে তাকালো রিমি. চোখের সাথে চোখের মিল হলো. হালকা করে মাথা নাড়িয়ে ইশারায় রিমি অভিকেও ওপরে আসতে বললো. তারপরে ঝিলমিলের সাথে কথা বলতে বলতে ওপরে উঠে গেলো.
অভিও উঠে দাঁড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো এমন সময় পাশে থেকে বাবা আর কাকুর কথা শুনতে পেলো. বাবা বলছে: যাক.. চেনা লোক যখন পাত্রপক্ষকে তোদের সাথে আলাপ করিয়েছে তখন আর ভয় কিসের? নিজের লোক তা আর ঠকাবেনা.
রঞ্জিত বাবু : চেনা মানে? তোর বৌদির জামাই বাবু.... একেবারেই নিজের লোক. তাইতো এত ভরসা পাচ্ছি. ওনাদের পাড়াতেই তো থাকে পাত্রপক্ষ. অজয় বাবুরা... মানে পাত্রের বাবা আর তোর বৌদির জামাই বাবু খুবই পরিচিত. তাইতো এত ভরসা পেলাম.
অভির বুকে একটা ধাক্কা লাগলো. এতক্ষন ধরে সে শুধু রিমির কথাই ভেবেছে. কিন্তু এতক্ষন সে ভুলেই গেছিলো যাকে দেখে ও সেদিনও মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিল আর আজও মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিল কাল সে অন্যকারোর হয়ে যেতে চলেছে. একজন এসে আংটি পরিয়ে দিয়ে তাকে নিজের করে নিতে চলেছে.
অভি... যাওনা ওপরে যাও. রিমির ঘরে যাও. কাকিমার ডাকে আবার বাস্তবে ফিরে অভি. হ্যা কাকিমা বলে ওপরে উঠতে লাগলো. মনটা কিছুক্ষনের জন্য আনন্দে নেচে উঠেছিল কিন্তু এখন.........
হাহঃ...... একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো অভি. সিঁড়ি দিয়ে একধাপ করে উঠছে আর চোখের সামনে ভেসে উঠছে স্মৃতি গুলো.
কেন? কেন?..... কেন একেই বাবার বন্ধুর মেয়ে হতে হলো? এমনটা না হলে কি পারতোনা?
অভি ঘরে ঢুকতে যাচ্ছিলো. ফোনটা বেজে উঠলো অভির. দেখলো অনিল ফোন করেছে. অনিল ওর বেস্ট ফ্রেন্ড. ওরা খুব ভালো বন্ধু. একে ওপরের সব কথা শেয়ার করে ওরা. অভি একমাত্র অনিলকেই জানিয়েছিল সেই অজানা মেয়েটার কথা. সেদিন অনিল বলেছিলো.....
Flashback
অনিল : জিও গুরু.......তোমার বুকও তাহলে কারোর জন্য দুরু দুরু করলো শেষ অব্দি? আমি তো ভেবেছিলাম...... তুই শালা সিঙ্গেল মরবি.
অভিষেক : আরে থামতো ব্যাটা...... ভালো লেগেছে বলিছি তোকে.... এটা বলিনি যে পরিচয় হয়েছে আমাদের. কিন্তু সত্যি ভাই..... ওকে যখন প্রথমবার দেখলাম জানিনা কেন কিরকম একটা হতে লাগলো. খুব টানছিলো ওর হাসিটা. খুব ইচ্ছে করছিলো গিয়ে কথা বলি... কিন্তু সাহস হলোনা. তুই তো জানিস ভাই... এসব ব্যাপারে আমি খুব ভীতু.
অনিল : সেতো ভালো করেই জানি. সেইবার ক্লাসে মনে আছে? কতবার বললাম যা.... প্রিয়াঙ্কার সাথে গিয়ে কথা বল, মনের কথাটা বল... আর ..... তুই গিয়ে কি বললি? প্রিয়াঙ্কা.....তোর... তোর.... তোর.....ঘড়িটা খুব সুন্দর. একটু দেখতে পারি? বোনের জন্য কিনবো এরকম একটা..... মানে...সত্যি... তুই আলাদা জিনিস.
অভিষেক : কি করবো বল? এমনিতে আমি সবার সাথে স্মার্টলি কথা বলতে পারি কিন্তু এই একটা ব্যাপারে.... কেস খেয়ে যাই. মুখ থেকে আসল কথা বার করতেই পারিনা.
অনিল : হবেনা.. তোর দ্বারা প্রেম ফ্রেম হবেনা.... জাস্ট হবেনা.
অভিষেক : হুমমম.... আমিও তাই ভাবি.... কিন্তু সেদিন ওকে যখন দেখলাম না........কেন জানিনা কেমন একটা টান অনুভব করছিলাম. এরকম আগে কখনো হয়নি জানিস. ওর ওই চোখে দুটো, ওর হাসিটা, ওর চুল উফফফ সব মিলিয়ে.....
অনিল : বুঝলাম..
অভিষেক : কি বুঝলি?
অনিল : Ek ladki ko dekha toh aisa lagaa.....jise subha ki dhup jaise.....
অভিষেক : চুপ ব্যাটা... মার খাবি এবারে.
Present
ঘরে ঢোকার সময়ই অপ্সরার সাথে চোখাচুখি হয়ে ছিল. মিষ্টি হেসে মাথা নেড়ে ঘরে ঢোকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিল. ওর ইচ্ছে করছিলো পাশে গিয়ে বসি রিমির কিন্তু তখনি ফোনটা বাজলো. অভি ঢুকে সোজা বারান্দায় চলে গেলো. ফোনটা ধরলো অভি.
অভি : হ্যা বল?
অনিল : কিরে? কি করছিস? পৌঁছে গেছিস?
অভি : হুম.. ..
অনিল : কি একটু আগে পৌছুলি?
অভি : হুম.
অনিল : সেই শেষমেষ বাবার বাধ্য ছেলে হয়ে যেতেই হলো তো?
অভি : হুম...
অনিল : আরে কি তখন থেকে হুম হুম করছিস....? মুড খারাপ নাকি?
অভি : না... ওই... কিছুনা
অনিল (একটু থেমে) : কি হয়েছে বলতো? তোর গলাটা এমন শোনাচ্ছে. হঠাৎ কি হলো তোর?
অভি : না... কিছুনা. এই অচেনা জায়গা তো তাই একটু....
অনিল : সেই ছোটবেলার কলেজের বন্ধু আমরা. তোকে খুব ভালো করে চিনি. বোরিং লাগলে সবার আগে তুই আমায় ফোন করতিস কিন্তু তা করিসনি. নিশ্চই অন্য ব্যাপার...... তাই এমন সিরিয়াস লাগছে তোকে. কি ব্যাপার বলতো? কি হলো তোর? এক মিনিট... এক মিনিট...... লেট্ মি থিঙ্ক... উমমম..... তুই কি এখনও ওই মেয়েটার কথা ভাবছিস... সত্যি করে বলতো?
অভি : হুম....
অনিল : আবার হুম...... ওরে ভুলে যা... ভুলে যা..... হঠাৎ করে দেখা হয়ে গেছিলো আবার হঠাৎ করেই চলে গেছে.... তুইও তাকে চিনিস না..... সেও তোকে চেনেনা... এক পলকের ভালোলাগা ছিল.... অমন হয়.... ওসব বাদ দে তো....... নইলে এমন চলতে থাকলে স্ট্রেইট পাগল হয়ে যাবি. তখন সব জায়গায় তুমি খালি তাকেই দেখবে বাবু.
অভিষেক সামনে তাকিয়ে ঘরে বসে থাকা মেয়েটাকে দেখে বললো : দেখছি তো...
অনিল : দেখছিস মানে? তুই কি ওখানে গিয়েও ওকে দেখতে পাচ্ছিস নাকি? এই সেরেছে.
অভি : হুম.. ....
অনিল : গেছে.....আমার বন্ধুটার মাথা পুরো গেছে. এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম.... পুরো ক্র্যাক হয়ে গেছে আমার বন্ধুটার মাথা. এবারে সব জায়গায় ওকে দেখবি তুই. সবাইকে ওই মেয়েটা ভাবতে শুরু করবি তুই..... দেখিস বাবা.... আর যাকেই তোমার ওই প্রেমিকা হিসেবে দেখো..... নিজের বাবার বন্ধুর মেয়েকে আবার ওই প্রেমিকা হিসেবে দেখোনা. কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে কিন্তু .
অভি : হয়ে গেছে তো....
অনিল : কি?
অভি : কেলেঙ্কারি !
চলবে......
14-07-2020, 07:27 PM
কেলেঙ্কারিই হয়েছে বটে
But it's too late now, she is engaged with someone else. জানি না এরপর কি হবে, এই ক্রাশ খেয়ে যাওয়া ব্যাপারটাই এরকম
15-07-2020, 12:29 PM
ধন্যবাদ - Mr Fantastic, Avishek. ❤️
15-07-2020, 02:04 PM
dada khub valo lagche..khub sundar hoche galpo ta..sathe achi..
16-07-2020, 12:20 PM
16-07-2020, 01:49 PM
16-07-2020, 03:34 PM
Wow ... Kub sundor hocche golpo ta ... Akta misti prem r golpo hobe mone hocche
|
« Next Oldest | Next Newest »
|