Thread Rating:
  • 23 Vote(s) - 3.22 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery যেখানে যার নিয়তি/কামদেব
(18-06-2020, 11:34 AM)Mr Fantastic Wrote: মণিশঙ্করের মতো চরিত্রও বাস্তবে আছে।

সাধারণত যাদের মন বড় হয় তাদের ক্ষমতা থাকে না, আর যাদের ক্ষমতা থাকে তাদের মন বড় হয় না ।
[+] 2 users Like buddy12's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
(18-06-2020, 03:02 PM)Mr Fantastic Wrote: যাক ডঃ অনঙ্গদেব সোম তাহলে দিল্লী যায়নি, কলকাতাতেই আছেন। Smile

শেষ আপডেট এর শেষ অংশ দেখুন।
ডাক্তার সোম যশকে নিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন।
"লেক ভিউতে পৌছে মনে হল অন্য রকম। কিছু হল নাকি ? যশকে নিয়ে ভিতরে ঢুকতে বুঝতে পারে, মাম্মীর বন্ধু গোদাবরী এসেছে সঙ্গে বাবাজীও। মনে হচ্ছে আজ না এলেই ভালো হতো। এতদূর এসে ফিরে যাবে ? যশ তাহলে গোল পাকাবে। তিনতলায় উঠতে মাম্মীর সঙ্গে দেখা।
--খুব ভালো দিনে এসেছো।
পার্বতী ম্যাম যশকে দেখে বলল, আপনি যশবিন্দার, রাইট ?

যশ হেসে নমস্কার করে বলল, আপনি মাম্মী আছেন।"
[+] 2 users Like buddy12's post
Like Reply
(18-06-2020, 07:56 PM)buddy12 Wrote: শেষ আপডেট এর শেষ অংশ দেখুন।
ডাক্তার সোম যশকে নিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন।
"লেক ভিউতে পৌছে মনে হল অন্য রকম। কিছু হল নাকি ? যশকে নিয়ে ভিতরে ঢুকতে বুঝতে পারে, মাম্মীর বন্ধু গোদাবরী এসেছে সঙ্গে বাবাজীও। মনে হচ্ছে আজ না এলেই ভালো হতো। এতদূর এসে ফিরে যাবে ? যশ তাহলে গোল পাকাবে। তিনতলায় উঠতে মাম্মীর সঙ্গে দেখা।
--খুব ভালো দিনে এসেছো।
পার্বতী ম্যাম যশকে দেখে বলল, আপনি যশবিন্দার, রাইট ?

যশ হেসে নমস্কার করে বলল, আপনি মাম্মী আছেন।"

হ্যাঁ, ভুলে গিয়েছিলাম। এরকম গল্পগুলোর ক্রসওভার নিয়ে কোনো কাহিনী হলে দারুন জমতো।
[+] 2 users Like Mr Fantastic's post
Like Reply
(18-06-2020, 06:43 PM)Kolir kesto Wrote: এটা কোন গল্প না....এটা বাস্তব জীবনের জলছবি...যেটা দাদায় হাতেই ফুটে উঠে..
দাদা তোমায় প্রণাম...?? দাদা comment করতে পারিনা বলে ভাববেন না আপনার গল্প পড়িনা ..আপনার পরভূত আর অবদমিত মনের কথা আমার কয়েকবার বার পড়া আর অন্যগুলা অথ্যাৎ ছোট গল্পের কথা তো বাদই দিলাম.. আসলে দাদা নেট আর ফোন দুটাতেই সমস্যা আমার....যাই হোক সে কথা আর নাই বা বললাম...
আবারও প্রমাণ তোমায়... এগুলা শেষ করে রতিকান্ত কে আবার নতুন ভাবে ফিরিয়ে আনা যাই কিনা ভেবে দেখেন....

রতিকান্ত কে? কোন গল্পের চরিত্র?
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
(18-06-2020, 11:19 PM)Mr Fantastic Wrote: রতিকান্ত কে? কোন গল্পের চরিত্র?

দাদা ওটা আসলে রতিকান্ত না .. উপন্যাসের নাম অবদমিত মনের কথা -চরিএ .. রত্নাকর... - গল্পে ডাক নাম রতি.... আমি রতিকান্ত বলি... যদিতও আমার নিজের টা বলা ঠিক হয়নি... সে জন্য দুঃখিত...

""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !! Sad

[+] 1 user Likes Kolir kesto's post
Like Reply
(19-06-2020, 07:59 AM)Kolir kesto Wrote: দাদা ওটা আসলে রতিকান্ত না .. উপন্যাসের নাম অবদমিত মনের কথা -চরিএ .. রত্নাকর... - গল্পে ডাক নাম রতি.... আমি রতিকান্ত বলি... যদিতও আমার নিজের টা বলা ঠিক হয়নি... সে জন্য দুঃখিত...

হ্যা হ্যা , মনে পরে গ্যাছে , পড়েছি আমিও , ভাসা ভাসা মনে আছে এখনো
এরপর ঐটা দেবেন কামদেব স্যার
নিশ্চই দেবেন জানি , আমার পুরো বিশ্বাস আছে

Namaskar Smile
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
দ্বাবিংশতি পর্ব


মাকে নিয়ে যখন পৌছালাম দেখলাম দাদারা কেউ তখন আসেনি।উপরে উঠে বাবাকে দেখে মনে হলনা অসুস্থ।মাকে বসিয়ে দিয়ে অফিসে খোজ খবর নিয়ে জানলাম ইসিজি এক্স-রে ইউএসজি ইত্যাদি হয়ে গেছে ডাক্তার বাবু এসে দেখে বলবেন কি করতে হবে।বেরিয়ে দেখলাম দাদারা এসে গেছে আমাকে জিজ্ঞেস করল,কিছু বলল?

--আজ জানা যাবে অপারেশন হবে কি হবেনা।
--টাকা-পয়সার কথা কিছু বলল?
টাকা পয়সা নিয়ে দাদারা খুব চাপে আছে বুঝলাম।ছোড়দা বলল,আজ লোনের দরখাস্ত করেছি।
--টাকা পয়সা নিয়ে ভাবিস না কিছু একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।ওদের আশ্বস্থ করার জন্য বললাম।
ছোড়দা কাছে এসে নীচু গলায় জিজ্ঞেস করল,মণিশঙ্কর অনেক টাকা বেতন পায় তাই নারে?
হেসে বললাম,আমি ওসব জিজ্ঞেস করিনি।তোর বন্ধু তুই জিজ্ঞেস করতে পারিস।
--ধ্যেৎ কি যে বলিস এসব জিজ্ঞেস করা যায়।
--বাবার সঙ্গে দেখা করেছিস?
--পরে যাব।মা-র সঙ্গে কথা বলছে এখন গেলে ডিস্টার্বড হবে।
মুচকি হাসলাম।মা পাশে থাকলে বাবার কাউকে দরকার হয়না।ঘণ্টার পর ঘণ্টা কি কথা বলে কে জানে।কথা যেন শেষ হতে চায়না।ছোড়দা ইশারায় মন আসছে দেখিয়ে চলে গেল।করিডোরে ভিজিটরসদের ভীড় বাড়ছে।মনকে একপাশে নিয়ে যেতে জিজ্ঞেস করল,কোনো খবর আছে?
--আজ জানা যাবে অপারেশন হবে কি হবেনা।বিপি বেশ লো।কিছু বলবে মনে হচ্ছে?
--না থাক।
--থাকবে কেন বলো।
--না মানে মি চৌধুরী ফোন করেছিলেন?  
--সে আবার কে?
--তোমার কিচ্ছু মনে থাকে না,তোমাকে বলেছিলাম এ্যাডভোকেট সলিলবাবুকে--।
--ও হ্যা কি বলছেন?
--সব হয়ে গেছে।
--গুড নিউজ।
--তোমাকে পরশু একবার কোর্টে যেতে হবে।এখন এই অবস্থায়..অবশ্য উনি বলেছেন ডেট পিছিয়ে নিতে পারবেন।
--পিছবে কেন?শোনো মন তুমি আমাকে নিয়ে যা ভাবছো তা নয় আমি সত্যকে সহজভাবে নিতে জানি।তবে অপারেশনের দিন আমাকে থাকতেই হবে।কি হবে তাতো বলা যায় না।
--যত বাজে কথা,ওসব একদম ভাববে না।
আমি হাসলাম মন আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে।
--তুমি যাবে আমি জানিয়ে দিই?
--এটা মিটলে বিয়েটা না মিটলে শান্তি নেই। 
--খুব চিন্তায় আছো মনে হচ্ছে?
--কাউকে বিশ্বাস নেই।চিন্তা হবে না?
--আমিও তাই ভাবছি কাউকে বিশ্বাস নেই বিয়েটা হলে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়।মন গম্ভির গলায় বলল।
হাসি চেপে  উড়ূনি দিয়ে ওর কপালের ঘাম মুছিয়ে দিয়ে বললাম,ইস চিন্তায় চিন্তায় বেচারির কি হাল হয়েছে।
বড়দাকে আসতে দেখে মন একটু সরে গেল।বড়দা চিন্তিত মুখে বলল,ডাক্তারবাবুর সঙ্গে কথা হল।ওপেন হার্ট সার্জারি হবে।একজায়গা হতে নালি কেটে হার্টে বসানো হবে।রবিবার অপারেশন করবেন।
--মাকে বলেছো?
--হ্যা বলব কিন্তু মুষ্কিল হচ্ছে--।দাদা আমাকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বলল,তার আগে অন্তত সেভেন্টি জমা দিতে হবে।
--ঠিক আছে এখুনি দিয়ে দিচ্ছি।
--এখন নয় পরে দিলেও হবে।
--আমি বুধবার নাও আসতে পারি।আজই দিয়ে দিচ্ছি।কোথায় দিতে হবে তুমি চলো।
মনকে অপেক্ষা করতে বলে দাদার সঙ্গে নীচে নেমে গেলাম।ক্যাশ কাউণ্টারে সত্তর হাজারের একটা লিখে জমা দিলাম।
দাদা অবাক হয়ে দেখছিল।ক্যাশিয়ার বললেন,চেক নিচ্ছি কিন্তু লাস্ট পেমেণ্ট চেকে হবে না ক্যাশ দিতে হবে।
ব্যাগ থেকে মনের একটা কার্ড বের করে দিয়ে বললাম,কোনো অসুবিধে হলে এখানে জানাবেন।
ভদ্রলোক কার্ডে চোখ বুলিয়ে বললেন,ম্যাডাম আমি নিয়মের কথা বললাম।
আমেরিকা হতে মণির জন্য একটা বার্বি ডল এনেছিল।ব্যাটারি অন করলে হাত-পা নাড়িয়ে নাচে।অতনু ব্যাটারি অন করে পুতুলের নাচ দেখছে।আমেরিকায় বসে কত স্বপ্ন কল্পনার জাল বুনেছিল তখন এই সম্ভাবনার কথা একবারও মনে হয়নি।ফোনেও তাকে বলেনি কেউ।
বাবা ট্যাক্সি করে পৌছে দিয়েছে শুনে পশুপতিবাবুর উপর রাগ।পদ্মমাসী ফোড়ণ কাটছিল যে থাকবে না তাকে জোর করে আটকে রাখার কি দরকার?
 মেজাজ হারিয়ে অতনু বলেছিল,আপনি আমাদের বাড়ির ব্যাপারে কথা বলছেন কেন?তারপর অবশ্য স্যরি বলেছে।
নির্মলা সুন্দরি চা নিয়ে ঢুকলেন।চায়ের কাপ নামিয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।অতনু জিজ্ঞেস করে,কিছু বলবে?
--পদ্ম একটা খবর এনেছে মেয়েটা চাকরি করে--।
--উফস মা এখনো ডিভোর্স হলনা তোমরা মেয়ে দেখতে শুরু করলে?
--বুধবার তো হয়েই যাবে।মেয়েটা অফিস আর বাড়ি কোনো বাজে আড্ডা --।
--আগের বারও খবর নিয়েছিলে শান্ত পাড়ায় মেশেনা।শুধু কলেজ আর বাড়ি--।
--কি করে জানব--।
--মা প্লীজ আমাকে একটু একা থাকতে দাও।  
নার্সিং হোম হতে বাসায় ফিরে মণিশঙ্কর বোঝাতে থাকে,শোনো ও যদি তোমার সঙ্গে কথা বলতে আসে একদম পাত্তা দেবে না।অবশ্য সলিলবাবু থাকবেন অসুবিধে হবে না।
--তুমি কি আমাকে বাচ্চা মেয়ে ভেবেছো?
--মনি বাচ্চা-বুড়োর কথা নয়।আবেগের বশে মানুষ কিইনা করতে পারে।
--এত যদি ভয় তাহলে আমার সঙ্গে চলো।
--এইতো বাচ্চাদের মত কথা।এখনো সেপারেশন হয়নি মামলা অন্যদিকে ঘুরে যেতে পারে।
মৌমিতা খুটিয়ে খুটিয়ে জিজ্ঞেস করে যখন জানলো মণি সত্তর হাজার দিয়েছে জিজ্ঞেস করল,নিজে চেকে সই করলো।
--কি মুষ্কিল বলছি ওর চেক তাহলে কে সই করবে?
--ঠাকুর-পো কিছু দেয়নি?
--ও লোনের দরখাস্ত করেছে।
--তুমি বিশ্বাস করলে?টাকা ওর আছে ভাব দেখাচ্ছে লোন করে দিচ্ছে।
--আচ্ছা তুমি এইসব নিয়ে পড়লে কেন বলতো?রোববার অপারেশন হবে আমি ভাবছি ভালোয় ভালোয় বাবা ফিরলে হয়।কদিনে কি চেহারা হয়েছে মায়ের।
--আমার মা একা একা কি করছে খোজ নিয়েছো কখনো? সত্যি কথা বললে সহ্য হবে কেন?
--মৌ তুমি কি চাইছো বলতো?তোমাকে বলিনি মাকে এখানে নিয়ে এসো।
--এই ভাগের সংসারে মাকে আনবো কি করে ভাবলে তুমি? 
--আমি কিছুই বুঝতে পারছি না তুমি ঠিক কি বলতে চাইছো।
--কোনো চাকরি করেনা ব্যাঙ্কে ওর অত টাকা হল কি করে আমাকে বুঝিয়ে দাও।
--টাকা না-দিলে দোষ আবার দিলেও বিপদ।তুমি আমাকে নাবলে মণিকেই জিজ্ঞেস করতে পারো।
মোবাইল বাজতেই মণিশঙ্কর স্পীকার অন করে বলল,হ্যালো?
--আপনি ফোন করেছিলেন?
--হ্যা বুধবার ম্যাডাম যাবেন।
--শনিবার সময় হবে?
--কেন বলুন তো?
--তাহলে রেজিস্ট্রিটা হয়ে যেতো।
--শনিবার একটু ব্যস্ত--।
মণিমালা বলল,কিসের ব্যস্ত?
--একমিনিট।মণিশঙ্কর বলল,পরেরদিন অপারেশন।
--তাতে কি হয়েছে?কতক্ষন লাগবে?
--তাহলে শনিবার বলে দেবো?
--হ্যা তুমি নিশ্চিন্ত হতে পারবে।
মণি শঙ্কর হেসে বলল,হ্যালো সলিলবাবু।
--হ্যা বলুন।
--ঠিক আছে শনিবার।অনেক ধন্যবাদ।
--আপনি যা করেছেন আমার মনে থাকবে।গুড নাইট।ফোন বন্ধ করে মণিশঙ্কর বলল,অপারেশনের আগেই আমরা আইনত স্বামী-স্ত্রী।
--তুমি কি করেছো?
--কি করলাম তুমি তো সব শুনলে।
--ঐযে উনি বললেন,আপনি যা করেছেন।
--ছাড় তো ওনার কথা, এসব উকিলি প্যাচপয়জার।
মণিমালা বুঝতে পারে মন কিছু চেপে যাচ্ছে।শাশুড়ী মা খেতে ডাকছেন।ওরা খেতে গেল।খাওয়া দাওয়ার পর নাইটি গায়ে শুয়ে পড়লাম।শোবার সময় আমি নীচে কিছু পরিনা।আমি মনের দিকে পিছন ফিরে শুয়ে আছি।আমার ঘাড়ে মনের নিশ্বাস পড়তে বুঝতে পারি ঘুরে শুয়েছে।নাইটি কোমর অবধি তুলে দিলাম।ও পাচ্ছা টিপতে ভালবাসে কিন্তু ও পাছায় হাত দেয়নি।অবাক হয়ে ঘুরে ওকে বললাম,কি হল?
--আচ্ছা মণি তুমি যদি কখনো জানতে পারো আমি ঘুষ খাই তোমার কেমন লাগবে?
রাত দুপুরে এ কেমন প্রশ্ন কয়েক মুহূর্ত ভাবলাম।পুরানো অনেক কথা মনে পড়ল।ভাবলাম কিছু প্রশ্ন দিনের পর দিন নাড়াচাড়া করেছি মনে মনে সেগুলো ওকে বলা দরকার আমাকে বুঝতে পারবে আমিও নিজেকে চিনতে পারব।আমি করতলে মাথা রেখে বললাম, শোনো মন তুমি তুললে তাই বলছি।তুমি দারিদ্র্যে বিরুদ্ধে লড়াই করে বড় হয়েছো এজন্য তোমার প্রতি ছিল আমার শ্রদ্ধাবোধ।যে ভালবাসায় শ্রদ্ধা থাকে না তাকে বলে লালসা।কিন্তু ভালবাসা প্রকাশের অন্তরায় আমাদের বাড়ীর সফিস্টিকেট মনোভাব।আমি তোমাকে চাপ দিয়েছিলাম ভিডিও চালাতে অনেক ভেবেছি দাদাকে চাপ দিতে পারতাম কিম্বা কোনো মেকানিককে?কিন্তু তোমাকে এক অধিকার বোধ হতে পীড়াপিড়ি করেছিলাম।দেবযানী আণ্টির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলো না।বিয়ের পর যখন আমি গাড়ীতে উঠছি তোমাকে দেখলাম অপলক তাকিয়ে আছো।আমি চোখের জল সামলাতে পারিনি সবাই ভেবেছিল বাড়ী ছেড়ে যাচ্ছি তাই।তুমি মেসেজ করতে বিরক্ত হতাম কিন্তু তোমাকে ব্লক করিনি।তুমি ডাকলে মুখে যাব না বললেও মনের সায় মেলেনি।যেদিন শ্বশুর মশায় আমাদের দেখলেন,সেদিন নিজেকে লজ্জিত মনে হয়নি।যখনই দুঃখ পেয়েছি তোমার কথা মনে পড়েছে।কেন? এ প্রশ্ন বারবার নিজেকে করেছি।দিনের পর দিন মনে মনে যে ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছি সেটা টলে গেলে কষ্ট পাব বইকি?স্ত্রীর দাবী পূরণে স্বামী অসৎ পথে যাচ্ছে না স্ত্রী ক্ষুব্ধ হবে কিন্তু অবচেতনে বাড়বে শ্রদ্ধা।বিয়ে হয়নি তাহলে কোন ভরসায় তোমার সঙ্গে এক বিছানায় শুয়ে আছি?
--আর বলতে হবে না বুঝেছি।শনিবার তো সব মিটে যাবে।
--আচ্ছা শনিবার দিনটা কি ভাল?
মন হো-হো করে হেসে ফেলে।
--হাসছো কেন?
--আমাদের বিপদ কি জানো?আমরা যুক্তি এবং সংস্কারকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে চাই।একটু আগে তুমি বলছিলে তোমার মানসিকতা আর বাড়ীর সকলের মানসিকতা অর্থাৎ দুই পরস্পর বিরোধী মানসিকতাকে মিলিয়ে চলতে গেছিলে।পেরেছো কি?  
[+] 4 users Like kumdev's post
Like Reply
স্বাভাবিক, সব কিছু পিকচার পারফেক্ট হওয়া সম্ভব না। তবে অতনু আবার বাগড়া না দেয়।
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
( ও পাচ্ছা টিপতে ভালবাসে )

ভালবাসা থাকলে সব কিছুই ভালো লাগে
শুধু একটু আঙুলে আঙ্গুল ছুঁয়েও ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়

Heart Heart
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
(19-06-2020, 09:44 AM)ddey333 Wrote: হ্যা হ্যা , মনে পরে গ্যাছে , পড়েছি আমিও , ভাসা ভাসা মনে আছে এখনো
এরপর ঐটা দেবেন কামদেব স্যার
নিশ্চই দেবেন জানি , আমার পুরো বিশ্বাস আছে

Namaskar Smile

আমার যতদূর মনে আছে - চরিত্রটির নাম রত্নাকর / রতি , উপন্যাসটির নাম "জীবনের অন্য পৃষ্ঠা" ।
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
(19-06-2020, 02:21 PM)buddy12 Wrote: আমার যতদূর মনে আছে - চরিত্রটির নাম রত্নাকর / রতি , উপন্যাসটির নাম "জীবনের অন্য পৃষ্ঠা" ।

This one is available here..
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
অবদমিত মনের কথা

এই নামে কোনো গল্প ছিল মনে হয়

কারণ নামটা খুব চেনা চেনা লাগছে

Idea
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
(19-06-2020, 02:37 PM)ddey333 Wrote: অবদমিত মনের কথা

এই নামে কোনো গল্প ছিল মনে হয়

কারণ নামটা খুব চেনা চেনা লাগছে

Idea

অবদমিত মনের কথা আর জীবনের অপর পৃষ্টা একই গল্প কামদেব দাদা এই গল্পটা যখন প্রথম লেখেন সেটা অবদমিত মনের কথা নাম দিয়ে যেটা গোসিপে প্রকাশের আগে অন্য সাইটে প্রকাশ হয় আনুমানিক চার বছর আগে সম্ভাবন. 
*** তথ্য ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন *

""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !! Sad

[+] 2 users Like Kolir kesto's post
Like Reply
ত্রয়োবিংশতি পর্ব


কটাদিন যেন ঝড় বয়ে গেল,দিনরাত সব একাকার।একবার আলিপুর আবার লেকভিউ কখনো যাদবপুর আর সল্টলেকের মধ্যে  তাঁতির মাকুর মত যাওয়া আর আসা।ওপেন হার্ট অপারেশন করা হল।
গাড়ি নিয়ে একা আলিপুর কোর্টে গেলাম।মি চৌধুরি আমাকে নিয়ে তার চেম্বারে বসতে বলে চলে গেলেন।অতনুকে কোথাও নজরে পড়েনি।প্রায় ঘণ্টা খানেক পর চৌধুরী এসে বললেন,চলুন ম্যাডাম।তিন মিনিটের  হাটা পথ নজরে পড়ল,অতনুকে জড়িয়ে ধরে নির্মলা সুন্দরী একটা বারান্দায় থেবড়ে বসে।আমি দোতলায় উঠে একটা ঘরে ঢুকলাম।জজ সাহেব বসে সামনে কাঠগড়া।সারি সারি বেঞ্চ পাতা।কয়েকজন কালো গাউন পরা উকিলের আনাগোনা।আমারই মত কিছু সাধারণ মহিলা পুরুষ বেঞ্চে বসে আছেন।চৌধুরীবাবুর কথামত আমিও বেঞ্চে বসলাম।চৌধুরীবাবু একজন উকিলের সঙ্গে নীচু গলায় কিসব আলাপ করছেন।মিনিট দশ পরেই আমার এবং অত্নুর নাম ধরে ডাকতে চৌধুরীবাবুর কথামত কাঠগড়ায় গিয়ে দাড়ালাম।অতনুও সেই কাঠগড়ায় উপস্থিত।গায়ে গায়ে ছোয়া লাগছে।আমি জজ সাহেবের দিকে তাকিয়ে ওর দিকে যাতে তাকাতে না হয়।জজ সাহেব জিজ্ঞেস করলেন,অতনু ব্যানার্জি আপনি স্বেচ্ছায় এখানে সই করেছেন?
অতনু বলল,হ্যা স্যার।
আমাকেও একই প্রশ্ন,আমিও বললাম,হ্যা স্যার।
জজ সাহেব কাগজে কিসব লিখে বললেন,মঞ্জূর।
চৌধুরীবাবু আমাকে নিয়ে গাড়ীতে তুলে দিলেন।গাড়ী স্টার্ট করতেই মোবাইল বাজে।কানে লাগাতে শুনতে পেলাম, এখনো হয়নি?
--এইমাত্র হল।
--তাহলে চলে এসো।
--শব্দ শুনতে পাচ্ছো না,আমি তো গাড়ীতেই।
উফস কি শান্তি।ভাবছিলাম কি হয় কি হয়।কাঠগড়ায় দাড়াতে দশ মিনিটের মধ্যে সব মিটে গেল।কাঠগড়ায় আমার পাশে ছেলে আর সামনে বেঞ্চে বসে মা নির্মলা সুন্দরী যেন আমাকে গিলে খাচ্ছিল।এরপর শনিবার যেতে হবে যাদবপুর।সেদিন দুজনে একসঙ্গে বেরিয়েছিলাম।এরই ফাকে নার্সিং হোম যাওয়া তো আছেই।শনিবার দুজনকে সই করতে হল।কয়েকজন লোক নিয়ে এসেছিলেন চৌধুরী বাবু।তারাও সই করল।তারপর আমাকে বলতে হল,অমুক অমুকের ছেলে মণিশঙ্করকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করলাম।মনও বলল,স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করলাম।
রাতের খাওয়া শেষ হলে শুরু হল মনের পাগলামী।সারা বিছানা ফুলে ঢাকা দুটো মালা নিয়ে এসেছিল।ঘরে ডিম লাইট জ্বলছে।এই পরিবেশে আমিও কেমন নবোঢ়া বধূর মত লজ্জায় মনের দিকে তাকাতে পারছিলাম না।মন আমাকে উলঙ্গ করে দিয়ে নিজেও উলঙ্গ হল।তারপর একটা মালা আমার হাতে দিয়ে বলল,যে তোমার প্রিয় তাকে পরিয়ে দাও।আমি কম্পিত হাতে ওর গলায় মালা পরিয়ে দিলাম।মনও তার হাতের মালা আমার গলায় পরিয়ে দিল।আয়নায় প্রতিফলিত হয় দুটি নারী পুরুষ শরীরে একটি কার্পাসের টুকরো পর্যন্ত নেই।আমার মোটেই লজ্জা করছিল না।লজ্জা পেলাম তখন মন একটা বাক্স খুলে হীরের একটা নেকলেস বের করে আমার গলায় পরিয়ে দিল।এমন দিনে আমি  কিছুই দিতে পারলাম না।চোখে জল এসে গেল।
মন জড়িয়ে ধরে বলল,কি হল মণি?
--তোমাকে কিছুই দিতে পারলাম না।
মন পাঁজাকোলা করে আমাকে তুলে বলল,সবই তো দিয়েছো আর কত দেবে?মাথা নীচু করে ঠোটের পরে ঠোট রাখে।
আমি গলা জড়িয়ে ধরি।
--কাল অপারেশন হয়ে যাক।তারপর আমাদের ফুলশয্যা--হনিমুন।চলো এবার ঘুমিয়ে পড়ি। 
--এই ভাবে?
--কেন খারাপ লাগছে?
আমরা শুয়ে পড়লাম,সেদিন মন কিছু করবে না ভাবিনি।
সকাল-সকাল খেয়েদেয়ে দুজনে একসঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম।বাড়ী গিয়ে মাকে তুললাম ফাল্গুণীও উঠল।মন সামনে পিছনে মা আমি ফাল্গুণী।ভিজিটিং আউয়ারস নয় বাইরেই ঘোরঘুরি করতে হচ্ছে।ট্যাক্সি নিয়ে বড়দা বৌদি আর ছোড়দা এল।বড়দা ভিতরে গিয়ে খোজ নিয়ে এল বাবা অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেছে।বুকের মধ্যে ঢীপ ঢিপ করছে।সিনেমায় দেখেছি কিভাবে অপারেশন করে।রোগীর আত্মীয়রা বাইরে অপেক্ষা করে।কিছুক্ষন পর ডাক্তার বেরিয়ে এসে বলল,স্যরি।বুকের মধ্যে ধড়াশ করে উঠল।কি আবোল তাবোল ভাবছি।
দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ধরে গেছে দাদা বৌদি ভিতরে গিয়ে বসেছে।গাড়ীর কাছে গিয়ে দেখলাম মা চোখ বুজে হেলান দিয়ে বসে।ফালগুনী সামনে চিবুক রেখে বসে আছে।জিজ্ঞেস করলাম,মা ভিতরে গিয়ে বসবে?
মা চোখ মেলে বলল,না থাক এখানেই ঠিক আছি।
আমি মনকে নিয়ে ভিতরে গিয়ে বসলাম।কিছুক্ষন পর একটা গাড়ী এসে থামতে দেখলাম এক ভদ্রমহিলা চোখে সানগ্লাস বছর পয়তাল্লিশ বয়স ঋজু দেহ গাড়ী থেকে নামতেই দারোয়ান এগিয়ে গিয়ে সেলাম করল।ভদ্রমহিলা লিফটে উঠে উপরে চলে গেলেন।মনকে বললাম, ভদ্রমহিলা মনে হয় ডাক্তার। 
মন উঠে একটু ঘুরে এসে বলল,উনি ডাক্তার নয় মিসেস সোম।
--ভদ্রমহিলা বেশ স্মার্ট।   
ভিজিটিং আউয়ারস শুরু হয়েছে লোকজন আসছে। এখন উপরে যাওয়া যায় কিন্তু বাবা তো বেডে নেই।
 একজন বলল, রমেশ চক্রবর্তির বাড়ী থেকে কে এসেছেন?
ছোড়দা এগিয়ে যেতে বলল,উনি কে?
--আমার বাবা।
--অপারেশন ভালো হয়েছে,উনি ভালো আছেন।কাল সেকেণ্ড হাফে ডিসচার্জ করা হবে।
--আচ্ছা এখন কথা বলা যাবে?
--ওকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।দেখা করতে হলে অন্তত ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষা করতে হবে।ক্যাশে গিয়ে জেনে নিন কত কি দিতে হবে।
--সেকেণ্ড হাফ  খালি টাকা খাওয়ার ধান্দা
মাকে সবকথা বলতে মা কেদে ফেলে বলল,মণি আমাকে মিথ্যে বলছিস নাতো?
--উফস মা কিছু হলে আমি কি শান্ত থাকতে পারতাম?
[+] 4 users Like kumdev's post
Like Reply
একটা বিনীত প্রশ্ন আছে

মনি আর মন দুজন কি একজন ই ? নাকি আমি ই কিছু মিস করে গেছি ?
Like Reply
(19-06-2020, 05:22 PM)cuck son Wrote: একটা বিনীত প্রশ্ন আছে

মনি আর মন দুজন কি একজন ই  ? নাকি আমি ই কিছু মিস করে গেছি ?

ছেলেটি মণিশঙ্কর মেয়েটি মণিমালা।মেয়েটিকে সবাই মণি বলে আর শুধু মণিমালা ছেলেটিকে আদর করে বলে মন।
[+] 2 users Like kumdev's post
Like Reply
(19-06-2020, 05:22 PM)cuck son Wrote: একটা বিনীত প্রশ্ন আছে

মনি আর মন দুজন কি একজন ই  ? নাকি আমি ই কিছু মিস করে গেছি ?

মণিমালার সংক্ষিপ্ত রূপ মনি আর মণিশঙ্করের ডাকনাম মন (মণিমালার দেওয়া)
Like Reply
" ভদ্রমহিলা বেশ স্মার্ট।" -- স্মার্ট তো হবেনই, কারণ উনি যে ডঃ যশবিন্দার কৌর সোম Smile
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
(19-06-2020, 02:21 PM)buddy12 Wrote: আমার যতদূর মনে আছে - চরিত্রটির নাম রত্নাকর / রতি , উপন্যাসটির নাম "জীবনের অন্য পৃষ্ঠা" ।

হ্যাঁ, রত্নাকর-খুশীকে কি করে ভোলা যায়  Smile
ওই গল্পটার একটা দ্বিতীয় ভাগ পেলে বড়ো ভালো হয়, কারণ ভন্ড আম্মীজী এখনও গা ঢাকা দিয়ে আছে আর ওর জন্যই খুশবন্তের বদলি হয়েছে কলকাতা ছেড়ে উত্তরবঙ্গে।
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
রেপু দিলাম ।
সাথে আছি ।
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)