Thread Rating:
  • 15 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Thriller রক্তের রং
#21
Ohh dada ki dilen.......its just owwwaw....updat dite taken .....sate achi
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#22
এপার্টমেন্টের নাম তিলোত্তমা, তিন তলার প্রথম ফ্ল্যাট, সীন অফ ক্রাইম। সব্যসাচী ফ্লাটে এ ঢুকে দেখল দু জন সাব ইনস্পেক্টর বসে আছে। সমরেশ বাবু কে দেখে দুজনেই উঠে দাঁড়াল। সমরেশ বাবু পরিচয় করিয়ে দিলেন
-       গোপাল দত্ত আর রাজু জানা, আমাদের থানার দুজন সাব ইনস্পেক্টর, আর ইনি সব্যসাচী সান্যাল। তোমরা দুজনেই এনাকে এই তদন্তে সাহায্য করবে।
দুজনেই ঘাড় নাড়িয়ে সমর্থন জানালো। সব্যসাচী গোটা ফ্ল্যাট ঘুরে দেখতে লাগলো। তারপর বলল
-       প্রথম কে এই ক্রাইম সীনে এসেছিলেন?
-       আমি স্যার
-       আপনি, রাজু জানা… তাই তো?
-       হ্যাঁ স্যার।
-       ঘরের অবস্থা কি তখন এরকম ই ছিল?
-       হ্যাঁ স্যার, ডেড বডি ছাড়া আর কিছুতে হাত দেওয়া হয়নি।
-       বেশ
সব্যসাচী সামনের সোফাতে বসে বলল
-       বডির পজিশন টা মনে আছে?
-       হ্যাঁ স্যার , এই দিকে দরজার পিছন করে উলটে ছিল বডি।
-       হুম, পোশাক কি ছিল?
-       স্যার মানে শুধুই অন্তর্বাস।
-       কি?
-       মানে শুধু ব্রা আর একটা হাফ প্যান্টের মত প্যান্ট কিন্তু ছোট।
-       প্যান্টি?
-       না স্যার প্যান্টি না।
-       এরকম বইগুলো মাটিতে পড়ে ছিল ?
-       হ্যাঁ স্যার, বই তারপর এই চেয়ার টা উল্টান ছিল। ফ্রিজ টা খোলা ছিল।
-       আপনারা দেখেছেন তখন ঘরের মধ্যে কেউ ছিল না?
-       না স্যার কেউ ছিল না।
-       বেশ, রাজু বাবু আপনি ভিতর ঘরে দেখুন দুটো আলমারী আছে, লাল আলমারিটার পাশে দেখুন বোধহয় একটা ফুলদানি আছে। ওটা একটু আনুন তো।
-       ওকে স্যার।
রাজু ভিতর ঘরে চলে যায়। সমরেশ বাবু বলেন
-       কি বুঝছেন?
-       আপনার অফিসার রা ভালো করে চেক করেনি।
-       কেন?
এই সময় রাজু ভিতর ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে বলল
-       স্যার লাল আলমারি তো নেই।
-       জানি, বডি দেখার পর পুরো ফ্ল্যাট তো সার্চ করার কথা ছিল।করেন নি কেন?
-       দেখেছি তো স্যার।
-       না দেখেন নি। দেখলে বডির বর্ণনা হুবহু দিলেও আমি লাল আলমারি বললাম, ফুলদানি বললাম আপনি একটাতেও আপত্তি জানালেন না। কারণ আপনি জানতেন না যে ভিতর ঘরে কি আছে আর কি নেই।
-       সরি স্যার।
-       শাট আপ রাজু, এই তুমি ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট বানিয়েছ। খুনি হয়ত ঘরেই ছিল, সেই রাতেই কেস সল্ভড হয়ে যেত। জাস্ট তোমার বোকামির জন্য …… আমি তোমার নামে রিপোর্ট করব। ……… সমরেশ বাবু রেগে চেঁচাতে লাগলেন।
-       শান্ত হন সমরেশ বাবু …… সব্যাসাচী বলল
-       আপনি শান্ত হতে বলছেন, একে তো ইমিডিয়েট সাস্পেন্ড করা উচিত।
-       যা হয়ে গেছে সেটা ফিরবে না। সাসপেন্ড করলেও না। তাই রিপোর্ট না করাই ভালো।
-       না সব্যসাচী বাবু, আমি রিপোর্ট করবই।
-       তাহলে আপনার ই চাপ বাড়বে সমরেশ বাবু।
-       কেন?
-       কারণ আপনিও স্পটে না এসে রিপোর্টে সই করেছেন যে।
কথাটা শুনে সমরেশ বাবু মিইয়ে গেলেন। সব্যসাচী আবার বলতে শুরু করল
-       তাই বলছি যা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে ঘেঁটে লাভ নেই। রাজুর থেকে বেশী আপনার ওপর কোপ পড়বে, তার ওপর মন্ত্রীর মেয়ে।  
-         ওকে স্যার।
-       হুম, সে রাতে ডিউটি অফিসার কে ছিল?
-       আমি স্যার, গোপাল দত্ত।
-       থানায় যে ফোন করেছিলেন তার সাথে কথা বলেছিলেন?
-       রাজু বলেছিল স্যার।
-       আমার সাথে একটু কথা বলাতে পারবেন?
-       হ্যাঁ স্যার, আমি বলেই রেখেছি। আসুন আমার সাথে।
-       না, ওনাকেই এখানে একটু ডাকুন।
-       ওকে স্যার।  
সব্যসাচী সোফাতে বসে জিজ্ঞেস করল সমরেশ বাবু কে
-       সমরেশ বাবু ফিঙ্গার প্রিন্ট কালেকশন কখন হয়েছে?
-       আজকে সকালেই
-       হম তার মানে পোস্ট মরটেম আর ফিঙ্গার প্রিন্ট এর জন্য কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবেই।
-       হ্যাঁ স্যার
-       আরে আমাকে স্যার বলেন না, আমি আপনার অনেক জুনিয়ার। …… সব্যসাচী হেসে বলল।
সব্যসাচী বইয়ের তাকের কাছে গিয়ে আবার জিজ্ঞেস করল
-       সমরেশ বাবু, আপনি তো অনেক এরকম কেস দেখেছেন। কি মনে হয় আপনার এই কেসের ব্যাপারে?
-       সত্যি কথা বলতে যত দিন যাচ্ছে তত জটিল হচ্ছে। আগে অনেক সাদা মাটা হত ব্যাপারগুলো, এখন অনেক গোলমেলে। আগে লোকজন মাথা গরম করে খুন করত। এখন ঠান্ডা মাথায় করে।
-       এটা তাহলে ঠান্ডা মাথার খুন বলছেন ?
-       সেটা তো তুমি স্পটে না এসেই বলে দিয়েছ। লোকে কি বলে জানিনা, বাট তোমার এনালিসিস আমার ভালো লেগেছে।
-       ধন্যবাদ সমরেশ বাবু, আসলে ……
সব্যসাচীর কথা শেষ হবার আগেই গোপাল দত্ত এসে ঢুকল, সঙ্গে একজন পাজামা আর পাঞ্জাবি পরিহিত ভদ্রলোক। উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুটের মত। মাথায় চকচকে টাক আর পেটে লদলদে ভুঁড়ি।
-       স্যার অবিনাশ বাবু এসেছেন
-       ও, নমস্কার
-       নমস্কার স্যার।
-       আপনি অবিনাশ বাবু? আপনি ফোন করেছিলেন যাদবপুর থানায়।
-       হ্যাঁ
-       আপনি কি করেন?
-       আমি চাকরি করি, সেচ দপ্তরে। এখানেই হেড অফিসে পোস্টিং।
-       আপনি কখন জানলেন যে খুন হয়েছে?
-       আমি তো খুন হয়েছে বুঝিনি। ঠিক দুটোর দিকে আমার ফোনে একটা কল আসে, আমি সাধারনত ভাইব্রেট মোডে রেখে ঘুমাই। তাই প্রথম কলে ঠিক বুঝিনি। আমার গিন্নির আবার খুব পাতলা ঘুম, দ্বিতীয় বার ফোন এলে সেই আমাকে ডেকে তুলে দেয়। উঠে দেখি ইলোরার ফোন, ভাবলাম হয়ত বাইরে থেকে এসেছে, সিকিউরিটি ঘুমিয়ে গেছে, গেট বন্ধ, তাই আমাকে কল করল।  আমি ফোনটা রিসিভ করতেই শুনলাম মেয়েলি গলায় কেউ হেল্প বলল।
-       তারপর ?
-       আমি সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে বেরতেই দেখি ফ্ল্যাটের দরজা খোলা, ঢুকে দেখি ইলোরা এরকম ভাবে পড়ে আছে।
-       আপনি তাই দেখেই থানায় ফোন করলেন।
-       হ্যাঁ স্যার। তারপর সিকিউরিটি কে ডাকলাম, বাকি ফ্ল্যাটের লোকেদের কেও ডাকলাম।
-       আপনি কি সেক্রেটারি?
-       হ্যাঁ স্যার।
-       আপনার ছেলে মেয়ে কয়টি?
-       দুটি মেয়ে, দুজনেই কলেজে পড়ে।
-       অনেক ধন্যবাদ অবিনাশ বাবু,
-       বলছিলাম কি আমি কি কাল অফিস যেতে পাবো।
-       আরে অবশ্যই পারবেন, দেখুন আমি বড়জোর কিছু প্রশ্ন করতে পারি। দেখুন যতই হোক যে খুন হয়েছে সে তো কারো মেয়ে। তার অপরাধী কে ধরা আমাদের কর্তব্য।
-       অবশ্যই, আমি আপনাকে তাহলে একটা লিস্ট দিয়ে দেব যাতে কোন ফ্ল্যাটে কে থাকেন এটা আপনি জেনে যাবেন।
-       তা হলে খুব ভালো হয়, অশেষ ধন্যবাদ।
-       আমি তাহলে আসি।
-       আসুন, আর হ্যাঁ একটু সিকিউরিটি কে যদি ডেকে দেন।
-       আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি।
সব্যসাচী বইয়ের তাকের কাছে গিয়ে বইগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগলো। সমরেশ বাবু বললেন
-       ইলোরা মিত্রের মোবাইল আমরা পেয়েছি, কল লিস্ট ও পেয়ে যাব।
-       মোবাইল টা যে ইলোরার সেটা নিশ্চিত হলেন কি করে? …… বইয়ের তাকের দিকে তাকিয়েই বলল সব্যসাচী।
-       তাহলে কার হবে?
-       যে কারোর হতে পারে।
[+] 4 users Like bicitrobirjo's post
Like Reply
#23
সুন্দর
[+] 1 user Likes kunalabc's post
Like Reply
#24
Highly suspicious..
[+] 1 user Likes Amihul007's post
Like Reply
#25
রহস্য জমে উঠছে ধীরে ধীরে। নিয়মিত আপডেট দেবেন দাদা।
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
#26
Excellent start.
[+] 1 user Likes swank.hunk's post
Like Reply
#27
Wow ....Darun update ... Rohosso ta bes jomche .....
[+] 1 user Likes dreampriya's post
Like Reply
#28
osadharon
[+] 1 user Likes Mon07's post
Like Reply
#29
-       মোবাইলটা ইলোরা মিত্রের না ?
-       সেটার সম্ভাবনাই বেশি সমরেশ বাবু।
সব্যসাচী এসে একটা চেয়ার টেনে বসল। বসে বলল
-       রাজু বাবু আর গৌতম বাবু, আসুন বসুন।
-       বলুন স্যার।
-       অবিনাশ বাবুর কাছে যে নাম্বার টা থেকে ফোন এসেছিল সেটার কল লিস্ট বের করতে দিয়েছেন?
-       হ্যাঁ স্যার। ।
-       আর ইলোরা মিত্রের মোবাইলে যে সিম কার্ড টা আছে সেটার ব্যাপারেও একটু খোঁজ নিন।
-       ঠিক আছে স্যার।
-       গোটা ঘর কি একবার ও পুরো সার্চ করে দেখা হয়েছে?
-       না স্যার, আসলে তাড়াহুড়োয় ……
-       ঠিক আছে, তাতে অসুবিধা নেই।
সব্যসাচীর কথা শেষ না হতেই দরজায় এক ব্যাক্তিকে দেখা গেল। উচ্চতায় ৬ ফুটের কাছাকাছি, রোগা, গায়ের রং তামাটে। সব্যসাচী তাকে দেখে জিজ্ঞেস করল
-       কিছু বলবেন?
-       আমাকে ডেকেছিলেন।
-       কে ডেকেছিল আপনাকে?
-       অবিনাশ বাবু বলল আপনারা আমায় ডাকছেন।
-       আপনি কি সিকিউরিটি গার্ড?
-       হ্যাঁ স্যার।
-       আচ্ছা, বসুন
-       স্যার ঠিক আছে
-       বসুন বসুন, ঘাবড়াবার কিছু নেই।
-       আচ্ছা স্যার।
-       আপানার নাম কি?
-       আজ্ঞে শিবচরন, শিবচরন পাল।
-       তা শিবচরন বাবু আপনার বাড়ি কোথায়?
-       কাটোয়ায়।
-       বাড়ী কি মাসে একবার যান না দুবার?
-       একবার ই যাওয়া হয়।
-       কালকে রাত্রে আপনি ছিলেন গেটে?
-       হ্যাঁ স্যার।
-       তাহলে এখনো ডিউটি করছেন যে?
-       স্যার আমাদের তো ১২ ঘন্টা করে ডিউটি।
-       তাহলে তো রাত ১০ থেকে সকাল ১০ পর্যন্ত ডিউটি।
-       না স্যার আমাদের ১১ টা থেকে ডিউটি।
-       তাহলেও তো আপনার ডিউটি শেষ, এখন তো প্রায় ১ টা বাজতে চলল।
-       আসলে স্যার পিন্টূ না এলে তো যেতে পারব না।
-       আচ্ছা, তো শিবচরন বাবু কাল রাতে ইলোরা মিত্র কখন ফিরলেন?
-       স্যার আমি যখন থেকে ছিলাম ততক্ষণ তো কাউকে ঢুকতে দেখিনি।
-       তার মানে ১১ টার আগে এসেছিল বলছেন?
-       হতে পারে স্যার।
-       আচ্ছা যখন ঝড় হল তখন কি করছিলেন আপনি?
-       যখন ঝড় এল?
-       হ্যাঁ।
-       আমি তো ওই সামনের শেডের নিচেই ছিলাম।
-       ওই শেডের নিচে তো ধুলো ওড়ার কথা।
-       স্যার গরিবের কি কি ধুলো কি মাটি।
-       তাও ঠিক, ঝড়ের সময় কি কেউ এসেছিল বা বেড়িয়েছিল?
-        না স্যার।
-       আপনি সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির আগে কি করতেন?
-       আজ্ঞে হকারি করতাম।
-       তখন থেকেই মিথ্যে কথা বলতেন?
-       না মানে কেন স্যার?
-       কারণ কাল রাতে যে কোন ঝড় হয়নি শিবচরন বাবু।
শিবচরন বাবু নিরুত্তর, সমরেশ বাবু রেগে গিয়ে বলে উঠলেন
-       এই হারামজাদা, পুলিশের সামনে বসে মিথ্যে বলছিস। দেবো খুনের কেসে ভিতরে ঢুকিয়ে?
-       না স্যার না , আমি কিছু করিনি বিশ্বাস করুন স্যার।  শিবচরন বাবু সব্যসাচীর পায়ে পড়ে গেল, সব্যসাচী অপ্রস্তুত হয়ে বলে উঠল
-       আরে আরে করেন কি, উঠুন বলছি
শিবচরন বাবু উঠে দাঁড়ালেন
-       এবার বসে বলুন তো আপনি রাতে কোথায় ছিলেন।
-       স্যার আমি ডিউটিতেই ছিলাম, তবে রাত ২ টোর পর থেকে। ততক্ষণ পর্যন্ত পিন্টু থাকবে বলেছিল আর আজ দেরিতে আসবে বলেছিল।
-       আর ২ টো পর্যন্ত কোথায় ছিলেন?
-       স্যার আমি কিন্তু খুন করিনি স্যার, সত্যি বলছি …… কাঁদ কাঁদ মুখ করে বলল শিবচরন।
-       ২ টো পর্যন্ত কোথায় ছিলেন?
-       আমার ঘরেই ছিলাম স্যার।
-       একা ছিলেন না সঙ্গে কেউ ছিল?
-       ছিল স্যার।
-       কে?
-       স্যার আমি কিন্তু কিছু করিনি স্যার।
-       সঙ্গে কে ছিল?
-       মালতি
-       মালতি কে?
-       আয়ার কাজ করে।
-       তার সাথে আপনি কি করছিলেন।
-       স্যার আমরা মাঝে মাঝেই করি।
-       আপনি একেবারে উত্তর দিতে পারেন না ?
-       স্যার ওর স্বামী ওকে সুখ দিতে পারেনা, আর আমিও বউ ছাড়া তাই আমরা মাঝে মাঝে একটু সেস্ক করি। …… প্রায় এক নিঃশ্বাসে কথা গুল বলল শিবচরন।
-       আপনার ছেলে মেয়ে কয়টি ?
-       ৩ টি ,
-       তো আপনি যখন সেস্ক মানে সেক্স করে ফিরলেন তখন পিন্টু কিছু বলেছিল যে ইলোরা ম্যাডাম এসেছে?
-       স্যার পিন্টু তখন ছিল না।
-       মানে?
-       স্যার আমি যখন এলাম তখন পিন্টু ছিল না। আমি ভাবলাম হয়ত আমার দেরি দেখে চলে গেছে।
-       পিন্টু কে একটু ফোন করে ডাকুন ।
-       স্যার আমি সকাল থেকেই ওকে কল করছি, ওর ফোন বন্ধ।
-       রাজু বাবু আপনি পিন্টু আর মালতির নাম্বার টা নিয়ে নিন আর এনার ঘরের ঠিকানাটাও নিয়ে নিন।
-       স্যার মালতির নাম্বার……
-       হ্যাঁ লাগবে, আর পিন্টুর কোন ছবি আছে?
-       স্যার সেকেটারি বাবুর কাছে আছে।
-       আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি যেতে পারেন।
[+] 5 users Like bicitrobirjo's post
Like Reply
#30
Ba darun hochhe golpo ta ....
[+] 1 user Likes dreampriya's post
Like Reply
#31
এইতো রহস্য দানা বাধছে
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
#32
আপডেটের অপেক্ষায় আছি ।
রেপু দিলাম ।
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
#33
update please kindly thanks
[+] 1 user Likes zaq000's post
Like Reply
#34
সব্যসাচী চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ বসে থাকল, তারপর চোখ খুলে সমরেশ বাবু কে বলল
-       সমরেশ বাবু, কেসটার কিনারা কি করতে পারব?
-       অবশ্যই পারবেন।
-       পারব বলছেন? …… অল্প হেসে জিজ্ঞেস করল সব্যসাচী।
-       আলবাত পারব, যাবে কোথায় শালা পিন্টূ ।
-       আপনি কি পিন্টুকেই খুনি ভাবছেন?
-       না ভাবার তো কিছু নেই। সুযোগ ছিল, করেছে আর ভেগেছে।
-       তার মানে বলছেন পিন্টু জানত কবে কখন ইলোরা মিত্র আসবে?
-       নিশ্চয়ই জানত।
-       আর খুনের মোটিভ?
-       মোটিভ নিশ্চয়ই আছে, একবার ধরতে পাই, রুলের গুঁতোয় সব বের করে দেবে হারামজাদা।
-       আর প্রমাণ যে পিন্টুই খুনি?
-       কেন কনফেশন, কম ক্রিমিনাল তো দেখলাম না।
সমরেশ বাবুর কথার শেষে রাজু জানা ঢুকল ঘরে। ঢুকে বলল
-       স্যার পিন্টুর ছবি আর ঠিকানা নিয়ে নিয়েছি। বাড়ির ঠিকানাও নিয়েছি।
-       ভালো করেছেন, আপনি এখনই বেড়িয়ে পিন্টুর আস্তানা আর শিবচরনের আস্তানা দুটো ঘুরে আসুন। আর পিন্টুর ছবিটার একটা কপি আমাকে পাঠিয়ে দিন স্ক্যান করে।
-       ঠিক আছে স্যার।
-       সমরেশ বাবু আমাকে রিপোর্টের কপি টা একটু দিন তো দেখি।
-       এই নিন সব্যসাচী বাবু।
-       আর গোপাল বাবু, আমাকে একটু ঠান্ডা জল খাওয়াতে পারেন।
-       অবশ্যই স্যার, আনছি।
সব্যসাচী মন দিয়ে রিপোর্ট টা পড়তে লাগলো, গোপাল দত্ত জলের বোতল নিয়ে ঢুকল।
-       স্যার জল।
-       দিন।
ঢকঢক করে প্রায় বোতল ফাঁকা করে সব্যসাচী গোপাল দত্তের হাতে বোতল ফেরত দিল। তারপর বলল
-       গোপাল বাবু এই রিপোর্ট কে লিখেছে?
-       স্যার আমি লিখেছি, রাজু যেমন যেমন বলেছে।
-       অনেক ভাইটাল পয়েন্টস মিস করে গেছেন গোপাল বাবু। ভাগ্যিস ছবি গুলো ছিল। চলুন ভিতর ঘরে যাওয়া যাক।
-       এই সব্যসাচী বাবু, বলছিলাম কি আমাকে কি এখানে থাকতে হবে?
-       না সমরেশ বাবু, আপনি এখানে থেকে কি করবেন। আপনি চলে যান, আমি দরকার পড়লে ফোন করে নেব।
-       সেই ভালো।
সমরেশ বাবু চলে গেলেন, সব্যসাচী আর গোপাল দত্ত ভিতর ঘরে গেল।
-       গোপাল বাবু, আপনার কি মনে হয়।
-       কি ব্যাপারে স্যার?
-       এই কেসের ব্যাপারে।
-       এটা তো মার্ডার স্যার।
-       হ্যাঁ, আর কিছু ?
-       বাকি তো সব পোস্ট মরটেমের পরেই বোঝা যাবে।
-       কে খুন করতে পারে বলে মনে হয়।
-       স্যার সিকিউরিটি গার্ড করলেও করতে পারে।
-       বলছেন?
-       হ্যাঁ স্যার, এরকম মেয়েরা সিকিউরিটি গার্ড দের খুব একটা পাত্তা দেয়না। সেই জন্য করলেও করতে পারে।
-       বুঝলাম।
সব্যসাচী খুব মন দিয়ে আলমারি টা দেখতে থাকল। দুটো পাল্লাই খোলা, দুটো ম্যাক্সি বাইরে পড়ে আছে, একটা জিন্স, ৪ টে টপ, আর একটা ওড়না। ভিতরের বাকি জামাকাপড় খুব গুছিয়ে রাখা।  লকার বন্ধ। আলমারির চাবি ঝুলছে। ঘরের এক কোণে একটা ফুলদানি, কিন্তু ফুল নেই। এক দেওয়ালে টিভি,  তার পাশে লম্বা আয়না। আর এক দেওয়ালে জানালা, সেটা দিয়ে তাকালে একটা মাঠ দেখা যাচ্ছে। একটা ডবল বেড বিছানা, দুটো বালিশ, দুটো কোল বালিশ। পাশে একটা ড্রয়ার, লক করা। ফুলদানির পাশে একটা চেয়ার রাখা, রিভলভিং। সব্যসাচী গিয়ে চেয়ারে বসল। বসে আলমারির দিকে এক মনে তাকিয়ে থাকল। এসব দেখে গোপাল দত্ত জিজ্ঞেস করল
-       স্যার কি ভাবছেন ?
-       কি ভাববো সেটাই যে মাথায় ঢুকছে না গোপাল বাবু ।
-       ঠিক বুঝলাম না স্যার।
-       একটা ঘর, অথচ ঘরে ঢোকার কোন রাস্তা নেই। বাড়ির চারপাশে ঘুরেই যাচ্ছি, ভিতরে ঢোকার রাস্তা পাচ্ছি না। আমার এখন সেরকমই অবস্থা গোপাল বাবু।
-       কালকের মধ্যেই তো পোস্ট মরটেম আর ফিঙ্গার প্রিন্ট রিপোর্ট চলে আসবে, এতো চাপ নিচ্ছেন কেন ?
-       কিন্তু সেগুলো আসার পরেও যদি ঢোকার রাস্তা না পাই?
-       না স্যার ঠিক কিছু না কিছু পাওয়া যাবে। আপনি চিন্তা করেন না।
-       আচ্ছা আপনার কি মনে হয়, ঠিক কিভাবে হয়েছে ঘটনাটা?
-       আমার মানে ইয়ে …… মানে , ধরুন মেয়েটা এল, পিন্টু দেখল। তারপর ও জানত যে শিবচরন দেরিতে আসবে, তাই ও কিছুক্ষণ পর গিয়ে দরজায় নক করল। মেয়েটি এল, আসতেই মাথায় মারল এক ঘা, মেয়েটা পরে গেল। আর পিন্টুও ভাগলবা।
-       তাহলে বইগুলো পড়ল কিকরে, চেয়ার উল্টালো কি করে?
-       একা মেয়ে, এরা অগোছালো হয় স্যার।
-       গোপাল বাবু আপনার বয়স কত?
-       ২৭ স্যার, কেন?
-       না এম নি।
-       স্যার আমি একটা সিগারেট কিনে আনব, শেষ হয়ে গেছে।
-       হ্যাঁ যান।
সব্যসাচী চেয়ারে বসে নিজের মনেই বলতে লাগল
ইলোরা এল, মারা গেল / খাপ্পা মন্ত্রী বাবা / পিন্টু ছিল সিকিউরিটি / হল ভাগলবা
[+] 6 users Like bicitrobirjo's post
Like Reply
#35
Omg.......full trilling tamil movie .....boss sathe achi chaliye jan
[+] 2 users Like Karims's post
Like Reply
#36
Wow .... Durdanto hocche dada .... Chalia jan ....
[+] 4 users Like dreampriya's post
Like Reply
#37
Excellent, khub valo
[+] 2 users Like chndnds's post
Like Reply
#38
মসৃন গতিতে উত্তেজনা বজায় রেখে গল্প এগিয়ে চলেছে, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
#39
Ttnbbbb
[+] 1 user Likes dipamom's post
Like Reply
#40
আপডেটের অপেক্ষায় আছি। 
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)