Thread Rating:
  • 179 Vote(s) - 3.31 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )

ম্যানেজার বেশ কয়েকদিন ভেবে একটা বুদ্ধি বের করেছে মুন্সী সমস্যার সমাধান করার। মুন্সী কে টাকার টোপ দেবার চেষ্টা করেছে অন্য লোক দিয়ে তবে সমাজের অন্ধকার জগতের মানুষেরা যাবতীয় দুষ্কর্ম করলেও কিছু কিছু জায়গায় এরা নীতি বজায় রাখে। মুন্সীর জবাব ছিল এই নির্বাচনের জন্য ও ওশেন গ্রুপের হয়ে কাজ করবে বলে কথা দিয়েছে। ফলে এই নির্বাচনে সে আর কার কাজ করবে না। তবে মুন্সী কার বাধা লোক না। ফলে যদি নির্বাচনের পরে দরকার হয় তাহলে ডাকলে আর টাকার হিসাব মিললে সে সানরাইজ গ্রুপের হয়ে কাজ করতে রাজি আছে। ম্যানেজার একটু চিন্তায় আছে এইজন্য। সানরাইজ গ্রুপের মালিকের ছেলে পলিটিক্সে নতুন ফলে মাঠ পর্যায়ে এখনো অত পরিচিতি নেই। যদিও ওরা টাকার  বন্যা বইয়ে দিচ্ছে যাতে প্রচারণার কোন ঘাটতি না হয়। তবে সমস্যা হল অন্য জায়গায়, ওশন গ্রুপের মালিক এই আসনে আগে একবার এমপি ছিল, ফলে মাঠ পর্যায়ে অনেক লোক তার পরিচিত। আর টাকা ওশন গ্রুপের কম নেই ফলে টাকা দিয়ে তাকে হারানো কঠিন। যদিও সরকারি দলের প্রার্থী ওরা হতে যাচ্ছে প্রায় নিশ্চিত কিন্তু এই গ্যাপ গুলো পূরণ করা না গেলে হারানো কঠিন হবে ওশন গ্রুপের মালিক কে। কারণ সরকার থেকে বলা আছে সরকারি দলের প্রার্থী এবং যারা সরকারী দলের সমর্থন করে বিদ্রোহী প্রার্থী কাউকে যেন সরাসরি আটকে দেওয়া না হয়। অনেকটা লেটস দ্যা বেস্ট ম্যান উইন টাইপ সিচুয়েশন। আজম খান কে নিয়ে তাই ম্যানেজার ঠিক সিওর না। আর আজিম খানের বাবা আনোয়ার খান ওকে কয়েকবার বলেছে যে কোন মূল্যে ছেলে কে জিতিয়ে আনতে হবে। মুন্সী কে সরানোর জন্য এখন এমন কোন ড্রাস্টিক কাজ করা যাবে না যাতে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। কারণ পার্টি থেকে বলে দেওয়া আছে বিদ্রোহী প্রার্থী যদি নিজ দলের হয় তাহলে এমন কিছু করা যাবে না যাতে অন্যদের চোখ পড়ে, মিডিয়ার চোখ পড়ে। মুন্সী তাই গত কয়েকদিন ম্যানেজারের ঘুম হারাম করে রেখেছে। এই নিয়ে চিন্তা করতে করতে হঠাত করে ম্যানেজারের মাথায় সমাধান আসল। আসলে সমস্যাটার মাঝেই সমাধান লুকিয়ে আছে। আগে কেন এটা মাথায় আসে নি সেটা ভেবে একটু বিরক্ত হল ম্যানেজার। তাই নতুন সমাধান যেন কাজ করে সেই পদক্ষেপ নিল ম্যানেজার।


মুন্সী এখন সরাসরি মাঠে। ওর জাদুর জাল বিছাচ্ছে নির্বাচনের মাঠ জুড়ে। ওয়ার্ড আর ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইল করে তাদের পক্ষে আনা। স্থানীয় সংবাদপত্র আর জাতীয় নিউজপেপারের রিপোর্টারদের দিয়ে উলটো রিপোর্টিং করানো সব  হচ্ছে। তবে সমস্যা হল ম্যানেজার এমন ভাব তার ট্রাক পরিষ্কার করেছে যে ঠিক রিপোর্ট করানোর মত কিছু পাচ্ছে না। ব্যাকগ্রাউন্ড ঘাটলে মনে হবে যেন সানরাইজ গ্রুপের মালিক আর তার ছেলেরা নেমে আসা ফেরেস্তা। তার উপর সে যেমন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের ভাগানোর চেষ্টা করছে ঠিক তেমনি করে তাদের পক্ষের লোকদের ভাগানোর চেষ্টা করছে ম্যানেজার। ম্যানেজারের সুখ্যাতি ওরা আগে শোনা হলেও ঠিক মোলাকাত হয় নি। তবে মুন্সী স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে ম্যানেজার ইজ রিয়েলি গুড। স্কেয়ারি গুড। কিভাবে নুসাইবা কে ওর নাকের ডগা দিয়ে হাওয়া করল। নুসাইবার জামাই আরশাদ কে তো ও খেলা শুরু করার আগেই গোপন করে রেখেছে। এর বাইরে সানরাইজ গ্রুপের বড় ছেলের নামে কিছু নারী কেলেংকারির কথা ছিল। এখন খুজে দেখে সেই মেয়ে গুলা কেউ দেশেই নেই। মুন্সীর সন্দেহ এরা দেশ ছেড়েছে হয় ম্যানেজারের চাপ পড়ে না হয় ম্যানেজারের সহায়তায়। যেটাই হোক। মুন্সী এখন ব্লাকমেইলের রাস্তার বাইরে। এটাই মুন্সীর বিরক্তির কারণ। কারণ এখন পর্যন্ত আর কেউ ওকে এমন ভাবে পদে পদে চাল দিয়ে হারাতে পারে নি। মুন্সীর যেমন সন্দেহ ম্যানেজারের একটা মাস্টারস্ট্রোক ছিল নুসাইবা কে গায়েব করা। মুন্সীর ধারণা ম্যানেজার এই কাজ করার জন্য এইসব কাজের জন্য নরমালি যে সব গ্রুপ কে ইউজ করা হয় তার বাইরের কাউকে দিয়ে করিয়েছে। নাইলে এমন হাওয়া হওয়া সম্ভব না। কারণ এই রাস্তায় এত  বছর ধরে হাটছে মুন্সী ফলে কেউ এই কাজ করলে একটু হলেও গুজব শুনত। কিন্তু এর যেন মনে হচ্ছে জলজ্ব্যান্ত মানুষ হাওয়া হয়ে গেছে। মুন্সী এয়ারপোর্টে দেখা সেই ছেলেটাকে নিয়ে অনেক খোজ খবর করছে কিন্তু সেখানেও কোন হদিস মিলছে না। অন্ধকার জগতের কোন পার্টের হিস্যা না ছেলেটা এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে এয়ারপোর্টের পাওয়া ছবিটা অনেক ঝাপসা ফলে সেই চেহারা নানা রকম প্রযুক্তি ব্যবহার করেও ঠিক পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। সেটা করা গেলে আর ব্যাপক সার্চ করা যেত। এখন খালি অপরাধী জগতের লোকদের মাঝে খুজেছে। নতুন করে ওর মাথায় আরেকটা সম্ভাবনা আসছে যে, ছেলেটা হয়ত একদম বাইরের কেউ। ম্যানেজারের ইকুয়েশনের পার্ট না। হয় ম্যানেজার এই ছেলে কে ইউজ করেছে কারণ কেউ তাহলে ম্যানেজার কে ট্রেস করতে পারবে না এই ছেলে সূত্রে অথবা এই ছেলে কে সেটা নিয়ে ম্যানেজার নিজেও চিন্তায় আছে। তবে যাই হোক আপাতত এটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। তবে মুন্সী ঠিক করে রেখেছে যতদিন হোক এই রহস্যের সমাধান ওর করা দরকার। এর আগে কাজ করতে গিয়ে হেরেছে মুন্সী তবে তখন জেনেছে কি কারণে বা কার কাছে হেরেছে। এইবার এই রহস্যটা ওর মনে খুত খুত করছে।


ম্যানেজারের প্ল্যানটা খুব সিম্পল। মুন্সী কে ডিএক্টিভেট করতে হলে নরমাল রাস্তা ইউজ করতে হবে। মুন্সী সানরাইজ গ্রুপের মালিক আনোয়ার খান কে পুরো পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিল। আনোয়ার খানের সাথে সাথে ম্যানেজার প্রথমে গেল ঢাকার পার্টির সাধারণ সম্পাদক খালেদ চাচার কাছে। যদিও নির্বাচন হচ্ছে ঢাকার বাইরের এক জেলার তবে খালেদ চাচা ঢাকা দক্ষিণের সম্পাদক হওয়ায় পার্টি অফিসে ভাল প্রভাব রাখে। আর আনোয়ার খানের পিছনে এখন বড় হাত উনার। উনার থ্রুতে আনোয়ার খান আর ম্যানেজার পার্টির সম্পাদকের সাথে দেখা করল। পার্টির সম্পাদক খুব ব্যস্ত মানুষ। বিশ মিনিট সময় দিলেন তাও সেটা খালেদ চাচা বলায় এবং সানরাইজ গ্রুপ গত অনেক বছর ধরে পার্টির বড় ডোনার হওয়ায়। পার্টির সম্পাদক ছাত্র রাজনীতি করে মূল দলে এসেছেন। অনেক বছর দলের সংগঠনের নানা পদে থাকায় মাঠ পর্যায়ের পলিটিক্স সম্পর্কে ভাল ধারণা আছে। মাথা খুব শার্প। ফলে অল্প কথায় অনেক বড় সমস্যা চিহ্নিত করতে পারেন। আনোয়ার খান প্রথমে কয়েক মিনিট একটা ব্যাকগ্রাউন্ড দাড় করালেন ঘটনার এবং ওশন গ্রুপ কি কি ঝামেলা করছে মাঠে। দলের সেক্রেটারি বললেন, দেখেন আনোয়ার সাহেব এটা ইলেকশন এর মৌসুম। আপনার ছেলে কে আমরা টিকেট দিয়েছি আমাদের দলের হয়ে। এর থেকে বড় সাপোর্ট হতে পারে না। কিন্তু ওশন গ্রুপের মালিক কিন্তু আমাদের দলের লোক। আগে একবার এমপি ছিল সেই আসন থেকে। এখন বিদ্রোহী প্রার্থী। এইবার আমাদের দলের নীতি হচ্ছে যদি দলের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হয় তাহলে তাকে বহিষ্কার করা হবে না। কারণ এইবার নির্বাচনের নানা কৌশলের কারণে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করলে বা তাদের বাধা দিলে মাঠে ক্যান্ডিডেট থাকবে খুব কম। নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। আপনি অনেক সিনিয়র লোক, খালেদ আপনাকে নিয়ে আসছে এবং আপনি বড় ডোনার এই জন্য আপনাকে এত কিছু ব্যাখ্যা করলাম। সো আপনার  ব্যাপারে আমাদের দলের থেকে আমি এইটা বলতে পারি যে এই মূহুর্তে আমরা কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করব না। নির্বাচনে আমরা আপনার ছেলে কে সাপোর্ট দিচ্ছি। এরপর জিতে আসতে পারলে তো এমপি আর আপনার ছেলে না জিতে ওশন গ্রুপ জিতলে আমরা তাকেও গ্রহণ করব। আনোয়ার খান বললেন আমার প্রস্তাব ওশন গ্রুপের মালিক কে দল থেকে বহিষ্কার করা না। সেক্রেটারি জিজ্ঞেস করলেন তাহলে আপনার প্রস্তাবটা কী? আনোয়ার খান বললেন এই ব্যাপারটা আর ভাল করে আমার ক্যাম্পেইন ম্যানেজার বুঝিয়ে  বলবে, এই বলে ম্যানেজারের দিকে ইংগিত দিলেন। সেক্রেটারি জিজ্ঞেস ম্যানেজারের দিকে তাকিয়ে বললেন, তাড়াতাড়ি বল। আমার সময় নাই। এরপর পার্টির প্রেসিডিয়ামের একটা মিটিং আছে। ম্যানেজার এইবার সহজ ভাষায় তিন চার মিনিটে পুরো ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করল। ওশন গ্রুপ মুন্সী নামে এক ফিক্সার কে ঠিক করছে নির্বাচনে হেল্প করার জন্য। এই মুন্সী যেটা করছে সেটা হল সানরাইজ গ্রুপের নামে নানা স্ক্যান্ডাল খুজে বের করে পত্রিকায় রিপোর্ট করিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে আর দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ব্লাকমেইল করছে তাদের পার্সনাল নানা ইনফরমেশন ইউজ করে। এতে সমস্যা না যতটা সানরাইজ গ্রুপের তার থেকে বেশি দলের। সেক্রেটারি জিজ্ঞেস করল, আপনাদের স্ক্যান্ডাল কিভাবে আমাদের সমস্যা? ম্যানেজার বলল স্যার খেয়াল করে দেখুন। আমরা আপনাদের সাথে আছি প্রায় বিশ বছর। এর মাঝে আমাদের সমস্ত বিজনেস হয়েছে আপনাদের সাপোর্টে। আমাদের অনেক প্রজেক্টের শেয়ার হোল্ডার আপনাদের অনেক নেতা। কয়েকজন মন্ত্রীও আছেন এর মাঝে। এখন এইসব প্রজেক্টের খুত বের করে রিপোর্ট বের করলে মানুষের মাঝে কিন্তু বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে। মানুষ সানরাইজ গ্রুপ কে যততা না দোষ দিবে তার থেকে বেশি দিবে সরকার কে আর দল কে। কারণ আপনারা এর সাথে ছিলেন। ফলে যদিও প্রাথমিক ভাবে আমরা মানে সানরাইজ গ্রুপ ক্ষতিগ্রস্ত হব কিন্তু লং রানে দলের ইমেজের বারটা বাজবে। সেক্রেটারি হাতের ঘড়িতে আংগুল বুলাতে বুলাতে বললেন তোমার কথা ঠিক আছে। তা তোমার পরামর্শ কী? ম্যানেজার বলল, স্যার আমাদের পরামর্শ হবে ওশন গ্রুপের মালিক কে বহিষ্কার করার দরকার নেই বা তার নির্বাচনে কোন রকম  হুমকি দেবার দরকার নেই। তবে তার সাথে থাকা এই মুন্সী কে চুপ করাতে হবে। মুন্সী তার কাজ করতে গিয়ে পুরো দলের ইমেজের বারটা বাজাচ্ছে। এই অবস্থায় যদি ওশন গ্রুপ কে বাধ্য না করা যায় যে মুন্সী কে চুপ করাতে তাহলে দলের অনেক বড় ক্ষতি হবে লং রানে। সেক্রেটারি বললেন, ওকে তোমার কথায় যুক্তি আছে। আই উইল সি, হাউ টু হ্যান্ডল ইট।



মুন্সী কে নির্বাচনের মাঠ থেকে জরুরী ডেকে এনেছে ওশন গ্রুপের মালিক। মুন্সী একটু অবাক হয়েছে, জিজ্ঞেস করেছে কি হয়েছে। ওশন গ্রুপের মালিক বলেছে ঢাকায় আসলে সরাসরি কথা হবে। মুন্সী যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা এসেছে। ওশন গ্রুপের মালিকের অফিসে গত এক ঘন্টা ধরে ওকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। একটু অবাক হচ্ছে মুন্সী। ওশন গ্রুপের সাথে কাজ শুরু করার পর কখনো ওকে অপেক্ষা করতে হয় নি। যখন এসেছে সরাসরি ওকে মালিকের অফিসে নিয়ে গেছে। ঘটনা কি হতে পারে সেটা ভাবছে মুন্সী। এমন সময় মালিকের পিএ এসে  বলল স্যার আপনার জন্য ভিতরে অপেক্ষা করছেন। মুন্সী অফিসের ভিতর ঢুকে দেখে দুই জন লোক বসে আছে। ওশন গ্রুপের মালিক আর পার্টির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক। সাংগঠনিক সম্পাদক নিজেও একজন এমপি। পার্টি সেক্রেটারির খুব খাস লোক। পরের সেক্রেটারি হবার দৌড়ে উনি আছেন। ফলে লোকে তাকে যথেষ্ট মেনে চলে। এই মূহুর্তে উনি এখানে কেন সেটা বুঝতে পারল না মুন্সী। কারণ আপাতত ওশন গ্রুপের হয়ে সব রকম নির্বাচনী কাজ সামলাচ্ছে মুন্সী। ফলে এমন গূরুত্বপূর্ণ কার সাথে মিটিং থাকলে তার জানার কথা। তবে মুন্সী কথা বাড়াল না। চুপচাপ সালাম দিয়ে সামনের সিটে এসে বসল। ওশন গ্রুপের মালিক গলা খাকরি দিয়ে বলল, মুন্সী তোমার আর আমার জন্য পার্টি থেকে কিছু বার্তা আছে। এমপি সাহেব নিজে এইগুলা বলবেন। এরপর সাংগঠনিক সম্পাদক কথা শুরু করলেন। বললেন, দেখুন আমি সরাসরি কথায় আসছি। আপনার বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে দাড়িয়েছেন তাতে পার্টি বাধা দেয় নি। আপনাকে বহিষ্কার করে নি দল থেকে। তবে আপনারা তার বদলে যা শুরু করছেন তা আমাদের জন্য মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। মুন্সী প্রশ্ন না করে শুনছে। ওর ধারণা এই বক্তব্য অলরেডি ওশন গ্রুপের মালিক শুনে ফেলেছে কারণ মালিকের মুখে এক ধরণের হতাশার ছায়া। তাই মুন্সী বক্তব্যের পরের পার্টটুকু শোনার জন্য অপেক্ষা করে। সাংগঠনিক সম্পাদক বলে, আপনারা আনোয়ার খান আর তার ছেলের সাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ভাল কথা কিন্তু আপনার এমন কিছু খুড়ে বের করার চেষ্টা করছেন যেটা অনেক পাওয়ারফুল লোকের পছন্দ না। আপনারা তাদের নামে স্ক্যান্ডাল খুজে পত্রিকায় রিপোর্ট করাতে চাচ্ছেন। এরমানে কি হবে জানেন? সরকারের বদনাম হবে। কারণ সবাই জানে সানরাইজ গ্রুপ আমাদের কত বড় ডোনার। তার যে কোন স্ক্যান্ডালে আমাদের দিকে আংগুল আসবে যেটা আমাদের ইমেজের জন্য ভাল  না। দল এখন আর নানা বিষয়ে ব্যস্ত। একটা আসনের নির্বাচনের জন্য পুরো দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক এটা হাইকমান্ড চায় না। তার উপর মুন্সী আপনি নাকি মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ব্লাকমেইল করছেন। আমরা ক্ষমতায় থাকর পরেও যদি আমাদের দলের লোক ব্লাকমেইলড হয় আর আমরা তাদের রক্ষা করতে না পারি তাহলে কি মেসেজ যাবে দলে বলুন? আপনার গ্রেভ মিস্টেক করে ফেলেছেন। এখন আপনাদের উপায় আছে দুইটা। এক, আপনারা যা করছেন সেটা চালিয়ে যেতে পারেন। এটা করলে দল আপনাকে বহিষ্কার করবে, ওশন গ্রুপের মালিক কে বলল সাংগঠনিক সম্পাদক। আর নির্বাচনে যাতে আপনি না জিতেন তার জন্য দল সব ব্যবস্থা করবে। সেই সাথে আপনার ব্যবসাসহ সব কাজ আমরা যাচাই করে দেখব কোথায় কোন খুত আছে কিনা। সোজা কথা আপনার উপর থেকে আমরা সব সাপোর্ট সরিয়ে নিব। আর দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে, আপনি নির্বাচন করবেন তবে সানরাইজ গ্রুপের কোন স্ক্যান্ডাল নিয়ে ঘাটাঘাটি করবেন না। দলের মাঠ পর্যায়ের কাউ কে ব্লাকমেইল করবেন না। এখন আপনি যদি দলের কাউকে এমনিতে আপনার পক্ষে আনতে পারেন মাঠে তাহলে তাতে আমাদের কোন সমস্যা নাই। তবে ব্লাকমেইলের সেকেন্ড কোন রিপোর্ট যাতে আমাদের কাছে না আসে। মনে রাখবেন গোয়েন্দা সংস্থা এখন থেকে এসবে নজর রাখবে। আর মুন্সী কে আপনি নির্বাচনী দ্বায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিবেন না হলে মুন্সীর পুরাতন সব কাজের খোজ নিতে আমরা বাধ্য হব। মুন্সীর দিকে তাকিয়ে বললেন সাংগঠনিক সম্পাদক, আপনি আপনার নির্বাচন বাবদ সব পাওনা টাকা পাবেন ওশন গ্রুপ থেকে। আর এইসবের পর যদি আপনি নির্বাচনে জিতেন দল তাহলে আপনাকে খোলা হাতে অভ্যর্থনা জানাবে। এমন কি সংগঠনে ভাল পদ দিতে পারে ভবিষ্যতে। তবে মনে রাখবেন এক নাম্বার রাস্তা চুজ করলে সব কিছু উলটা হবে। মুন্সী ওশন গ্রুপের মালিকের দিকে তাকাল। তার চোখ মুখের ভাব দেখেই বুঝে ফেলল মুন্সী তার পরিণতি। তাই নিজে থেকেই বলল স্যার। এতে সমস্যা নেই। আমি সরে যাচ্ছি। স্যার এর আগেও একবার এমপি হয়েছেন আমার সমর্থন ছাড়াও। এইবারো হয়ত পারবেন। আর আপনি তো বললেন আমার পাওনা টাকার সমস্যা হবে না। এই কথা শোনা মাত্র ওশন গ্রুপের মালিক বলল না পাওনা টাকা নির্বাচন শেষ হওয়া লাগবে না। কালকের মাঝেই পেয়ে যাবে তুমি। এই বলে একটা হাফ ছাড়ল ওশন গ্রুপের মালিক। কারণ মুন্সী খবরটা কীভাবে নিবে সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। মুন্সী তারপর সালাম দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল। মুন্সী জীবনে এমন অপমানবোধ আর করে নাই। ওকে স্কুলের বাচ্চা ছেলের মত ট্রিট করা হইছে। স্কুলের প্রিন্সিপালের রুমে ডেকে নিয়ে শাস্তির ভয় দেখানো হল যেন। আপাতত চুপ করে যাচ্ছে ও। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িতে সবাই কে সময়ে দেখে নিবে ও।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩০ (১)) - by কাদের - 17-04-2024, 04:32 PM



Users browsing this thread: abdik, Daddybangla, Jitjfgiz, Jotil, Lajuklata, 25 Guest(s)