Thread Rating:
  • 183 Vote(s) - 3.34 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )
                                              (বাকি অংশ আগের পৃষ্ঠায়) 


সাইকোলজিস্ট আদিবা রহমান, হাতের নোট খাতার পাতা উল্টাছেন। সামনে সাফিনা করিম বসা। লাস্ট সেশনের নোট গুলো চেক করছেন আদিবা রহমান আর কি কি প্রশ্ন করা যায় আজকে পুরাতন কথার উপর ভিত্তি করে সেগুলো মনে মনে সাজিয়ে নিচ্ছেন। পুরাতন নোটের কমেন্ট গুলো পড়তে পড়তে আদিবা দেখলেন সাফিনা সম্পর্কে তার নিজের অবজারভেশন গুলো নোটের মাঝে মাঝে লেখা আছে। ফ্যামিলি অন্তপ্রাণ, তবে ফ্যামিলির লোকদের কাছ থেকে এখন অতটা সময় না পাওয়ায় হালকা ক্ষোভ আছে, মেয়েরা ব্যস্ত হয়ে পড়ায় এবং স্বামী অফিসের কাজে বিজি থাকায় লোনলি ফিল করেন, প্রফেশনলা লাইফে আর সফল হতে পারতেন ভেবে আফসোস আছে, একটা পুরাতন প্রেমে ছিল সম্ভবত। শেষ দিন এই প্রসংগে প্রশ্ন করায় এড়িয়ে গিয়ে বলেছিল পরে একদিন বলবে। আদিবা রহমান ঠিক করেন এই জায়গা থেকে শুরু করা যাক।


সাফিনা কে প্রশ্ন করেন আদিবা, রেডি তো। সাফিনা মাথা নেড়ে হ্যা উত্তর দেয়। আদিবা রহমান এইবার বলেন, আমাদের বেশির ভাগ মানসিক সমস্যার ইতিহাস লুকিয়ে থাকে অতীতে। অনেক সময় অতীতে লুকিয়ে থাকা ক্ষত গুলো বর্তমানের আঘাতে বড় হয়ে মানসিক সমস্যা গুলো তৈরি করে। তাই আপনার অতীত আর বর্তমান দুইটাই ভাল ভাবে জানা দরকার আমার। স্পেশালি আপনার পার্টনার সম্পর্কে জানা। সাফিনা মাথা নাড়ে। গত সেশনে মিজবাহ সম্পর্কে এমন একটা কথা বলেছিল সাফিনা যেটা পৃথিবীতে আর কাউকে এপর্যন্ত বলে নি সে। আর কি জানা দরকার এর থেকে গভীরে। সাফিনা তাই কৌতুহল নিয়ে তাকিয়ে থাকে। আদিবা প্রশ্ন করে, আপনার প্রেম ছিল বিয়ের আগে? পার্টনারের কথা বলায় সাফিনা ভাবছিল প্রশ্ন আসবে মিজবাহ কে নিয়ে তাই এই প্রশ্নে একটু অবাক হল। সাফিনার কৌতুহলী দৃষ্টিতে বুঝল আদিবা ব্যাপারটা তাই নিজে থেকে ব্যাখ্যা দিল। পার্টনার বলতে আমরা প্রচলিত অর্থে স্বামী কে বুঝি। তবে আমাদের ইমোশনাল এটাচমেন্ট যে খালি স্বামীর থেকে শুরু বা শেষ তা কিন্তু না। অনেক মেয়ের প্রেম থাকে বিয়ের আগে, বিয়ের পর প্রচলিত সমাজের রীতিতে সেগুলো কে ভুলে যায় তবে সত্য হল ঠিক ভুলে থাকতে পারে না তারা। ঠিক কোথাও না কোথাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠে সেই স্মৃতি। আর আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি দেখেছি এই স্মৃতি গুলো মেয়েরা সমাজের সমালোচনার ভয়ে কার সাথে শেয়ার করতে পারে না। ভিতরে ভিতরে তাই একটা দম বন্ধ লাগে এই স্মৃতিগুলোর কারণে তাদের। আপনার কি এমন কিছু আছে? সাফিনা আদিবার কথা গুলো কে ভাবে। এতদিন পুরাতন স্মৃতিটাকে কি প্রেম বলা যায়? নাকি ঐটা সদ্য তরুণীর ইনফেচুয়েশন। নিজে ব্যাপারটা ঠিক প্রেম ছিল কিনা সেটা শিওর না হলেও কথাটা আদিবা কে বলবে ভাবে কারণ আদিবার শেষ কথাটা সত্য। এইসব কথা মেয়েরা কার সাথে জাজমেন্ট এড়িয়ে শেয়ার করতে পারে না। সাইকোলজিস্ট এই জন্য ভাল একটা অপশন। সাফিনা বলে ব্যাপারটা কে ঠিক প্রেম বলা যায় কিনা শিওর না, তবে আজকালকার ছেলেমেয়েদের ভাষায় বললে একজনের প্রতি আমার ক্রাশ ছিল। আদিবা খুশি হন, পেশেন্ট নিজে থেকে কথা বলছে, গুড সাইন। তার প্রতি পেশেন্টের ট্রাস্ট আগে থেকে বাড়ছে।



সাফিনা বলেন আমার বয়স তখন কত হবে ১৫/১৬। সবে মেট্রিক পরীক্ষা দিব, এখন যেটা কে এসএসসি পরীক্ষা বলে। সেই সময় আমরা এক নতুন পাড়ায় বাসা নিলাম। তখন প্রথম কাজল দা কে চোখে পড়ে। নরমাল বাংগালীদের থেকে যথেষ্ট লম্বা। পাচ নয় বা দশের মত হবে হাইট। গায়ের রঙ শ্যামলা কিন্তু চোখ দুটো ধারলো। তাকালে মনে হয়ে যেন হৃদয়ের সব কথা পড়ে ফেলছে। কাজল দা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। ময়মনসিং শহরে আমাদের পরিবার আছে অনেক বছর। বাবা কে কাজের সূত্রে লোকে যথেষ্ট সম্মান করে। এই পাড়ার বাড়িটা বাবা কম দামে পেয়ে কিনে নিয়েছেন। আগের বাসায় আমরা চাচাদের সাথে থাকতাম। যৌথ পরিবার। সন্তানরা বড় হওয়ায় জায়গা কমছিল সেই বাড়িতে তাই বাবা নিজে থেকে বাড়ি কিনে আলাদা হয়ে গেলেন। কারণ বাকি ভাইদের তুলনায় তার আর্থিক সামর্থ্য ভাল ছিল। তা নতুন পাড়ায় হিরো ছিল এই কাজলদা। ভাল নাম ছিল আশিকুর রহমান আর ডাক নাম কাজল। পাড়ার ছোটরা ডাকত কাজল দা,  বন্ধুদের আর বড়দের কাছে শুধু কাজল। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল শহর থেকে দূরে। তবে কাজল দা হলে থাকত না। বিকালের বাসে ফেরত আসত। পাড়ায় যত রকম কিছু সব কিছুর সাথে জড়িত ছিল। কার বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠান বা কার বাড়িতে মৃত আত্মীয়ের জন্য ভোজসভা সব কিছুতে সামনে দাঁড়িয়ে কাজ করত কাজল দা। খালি আমার না, পাড়া শুদ্ধ সব মেয়েদের ক্রাশ ছিল কাজল দা। আমার এক বান্ধবী তো বলত পাড়ার সব চাচী কাকীদেরও নাকি ফেভারিট ছিল কাজল দা। দুষ্টমী করে বলত, আমরা ছুড়িরা না শুধু পাড়ার বুড়িরাও কাজলদাকে ভালবাসত। এটা নিয়ে কত হাসাহাসি হত তখন আমাদের ভিতর। আমার ধারণা কাজলটা টের পেত ওকে যে এই নানান বয়সী মেয়েরা উতসুক দৃষ্টিতে খেয়াল করে। আমার বিশ্বাস সেটা এনজয় করত কাজল দা। ঈদের সময়, পূজার সময় পাড়ার মুখে সাউন্ড ডেক লাগিয়ে গান বাজাত কাজলদা আর ওর বন্ধুরা। সেই সময় ব্যান্ডের গান মানে উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলেদের গান। সেগুলো সাহসের সাথে বাজাত কাজলদা। পাড়ার সিনিয়র আংকেলরা শুধুমাত্র কাজলদার কারণে এগুলো কে মানা করত না কারণ জানত পরবর্তীতে কোন দরকার হলে এই কাজল সবার আগে এগিয়ে আসবে। কাজলদার কারণে প্রথম আমি শুনেছিলাম মাইকেল জ্যাকসন। একবার ঈদের পর বিকাল বেলা আমাদের কয়েকজন কে মুন ওয়াক করে দেখিয়েছিল মাইকেল জ্যাকসনের মত করে। আমরা তখন অবশ্য মাইকেল জ্যাকসন কে অত চিনতাম না, আমাদের কাছে তাই কাজলদা ছিল মাইকেল জ্যাকসন। ঐপাড়াতে কাজলদার উপস্থিতি এত জোরালো ছিল যে তাকে উপেক্ষা করার শক্তি ছিল না আমার। ভিতরে ভিতরে আমার সেই ক্রাশ যেন আর শক্ত হচ্ছিল। তবে ভীতু ছিলাম ঐ বয়সে। সাহস করে কিছু বলতে পারি নি। ভাল ছাত্রী ছিলাম তাই কাজলদা আমাকে দেখলেই  বলত কিরে সফু, এইবার কি ফার্স্ট  হবি না সেকেন্ড। আমি হাসতাম। আমি মনে মনে ভাবতাম কাজলদাও বুঝি আমাকে পছন্দ করে তবে সাহস করে বলতে পারছে না আমার মত।


আদিবা মনযোগ দিয়ে শুনছিল সব। এত বছর পরেও সাফিনার গলায় আর দৃষ্টিতে সেই পুরাতন মুগ্ধতা টের পায় আদিবা। জিজ্ঞেস করে, এরপর কি হল? প্রেম হল? প্রেম ভাংগল কিভাবে? সাফিনার গলা থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসল। সাফিনা বলল এরপরের উত্তরটা আসলে আমার জানা নেই। আমাদের যেটা হয়েছিল সেটা ঠিক প্রেম ছিল না বরং বলা যায় প্রেম প্রেম ভাব। হয়ত আর কয়েক মাস ঐ অবস্থায় থাকলে প্রেম হত অথবা আমাদের প্রেমটা ভেংগে যেত। সাফিনার হেয়ালি ভরা উত্তরে আদিবা অবাক হয়। সাফিনা বলে, এর মাঝে আমি কলেজে উঠেছি। মন আর উচাটান তখন। ত্রিশ বছর আগের সেই সময়টা চিন্তা করুন। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের এইভাবে প্রেম করা সহজ ব্যাপার না। তার পরেও কলেজে আমাদের দুই একজন বান্ধবী যে প্রেম করছে না তা না। তাদের প্রেমিকেরা ছুটির পর রাস্তার ঐপাশে দাঁড়িয়ে থাকে একটু দেখার জন্য, কোন কথা না। আজকালকার ছেলেমেয়েরা এটা চিন্তা করতেই পারবে না। দিনের পর দিন কোন কথা নাই। খালি রাস্তার ঐপাশ থেকে দেখা, আড়চোখে তাকিয়ে মুচকি হাসি। মাঝে মাঝে অন্য কার মাধ্যমে পাঠানো একটা চিঠি। কিন্তু তারপরেও কি প্রবল প্রেমে পড়ে থাকত মানুষ তখন। আদিবা সহমত দেন, বলেন সময়টাই যে অন্য রকম ছিল তখন। পাড়ার বার্ষিক নাটকে আমি একটা পার্ট পেয়ে গেলাম। মূল চরিত্রে কাজল দা। আমি আর কি অভিনয় করব, সারাদিন খালি সুযোগ খুজি কাজলদার সাথে একটু কথা বলার। কাজলদাও যেন সবার চোখ এড়িয়ে আমার সাথে কথা বলেন কিন্ত অন্য সবাই সামনে থাকলে আমাকে অগাহ্য করেন। আমার বুক জ্বলে যায় যখন কাজল দা আমাকে অগ্রাহ্য করেন সবার সামনে, আবার একটু পর আড়ালে নিয়ে যখন কথা বলেন তখন মনে হয় সব রাগ পানি হয়ে গলে যায়। ভালবাসার নদীতে সেই পানি হয়ে যাওয়া রাগ বান ডাকে। আদিবা বলেন তারপর কি হল? সাফিনা একটা জোরে শ্বাস ফেলে  বলেন তারপর পলিটিক্স হল। আদিবা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললেন, মানে?


সাফিনা বলল কাজলদার সব কিছুতে হিরো হবার শখ ছিল। তাই পলিটিক্স করত। সেই সময় একটু ডাকাবুকো সব ছেলেরাই করত খানিকটা পলিটিক্স। তবে কাজলদা ছিল সামনের সারিতে। ছাত্র নেতা। ত্রিশ ঊনত্রিশ বছর আগের সেই সময়টা চিন্তা করেন। এরশাদ ক্ষমতা থেকে গেছে অল্প কয়েক বছর। সারা দেশে তখনো প্রচন্ড অস্ত্রের রাজনীতি। ছাত্ররাজনীতিতে তো অস্ত্রের কমতি নেই। তাই একদিন পার্টি অফিসে একটা মটরসাইকেলে করে দুই জন এসে গুলি করে গেল। আহত হল নয় দশ জন আর মারা গেল একজন। কাজল দা। আদিবা, সাফিনার গলায় হাহাকার লক্ষ্য করেন। আদিবা সাফিনার আগের একটা কথার মানে যেন এখন ধরতে পারেন। তাই নিশ্চিত হবার জন্য বলেন আপনি কি আপনার ছোট মেয়ের প্রেমের বিরোধীতা করছেন ছেলে পলিটিক্স করে বলে? সাফিনা যে কথাটা নিজের কাছেও স্বীকার করেন নি এতদিন সেটা স্বীকার করলেন। বললেন হ্যা। আমি চাই না আমার মেয়ের বুক ভেংগে যাক। এই দেশে রাজনীতি করে কেউ কোন দিন সুখী হতে পারে নি। পলিটিক্স করা মানুষগুলোর আশেপাশের মানুষেরা পুড়ে বেশি এই আগুনে। তাই আগে থাকতেই যতটা পারা যায় সিনথিয়া কে রক্ষা করতে চেয়েছি আমি। সাফিনা চুপ করে থাকেন। আদিবা এই ভারী পরিবেশে উপযুক্ত প্রশ্ন খুজে পান না। তাই প্রায় এক মিনিট নীরবতা ভর করে রুমে।


এটা নিয়ে আপনার আফসোস আছে? সাফিনা এই প্রশ্ন শুনে একটু ভাবে। আফসোস আছে কিনা এত বছর পর আর বলতে পারি না। আপনি জিজ্ঞেস না করলে ভুলেই গিয়েছিলাম। হয়ত হঠাত মাঝে মাঝে মনে হয় তবে ভুলে ছিলাম আসলে। তবে কাজল’দা যেদিন মারা গেল তার পর কয়েক মাস আমি স্বাভাবিক হতে পারি নি। সারাদিন কান্না আসত। পড়তে বসলে, খেতে গেলে, গোসল করার সময়, ক্লাস করার সময়। ঘুমাতে গেলে মনে হত কাজল’দা স্বপ্নে এসে বলছে কিরে সফু আমার সাথে ঘুরতে যাবি নাকি আমার ক্যাম্পাসে? কাজল’দা কে কত বলেছিলাম একদিন ওর ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে। রাজি হয় নি। বলেছিল ইন্টারটা পাস কর। তারপর একদিন নিয়ে যাব। ইন্টার পাশ করলাম তবে কাজল’দা ছিল না ততদিনে। আদিবা প্রশ্ন করে, আপনার এই মানসিক অবস্থা দেখে কেউ টের পাই নি আপনার দূর্বলতা কাজল’দার উপর। সাফিনা বলে মা টের পেয়েছিল। বাবা খুব ব্যস্ত থাকত বাইরে, আর ঘরে আসত অনেক রাতে। অনেক দিন বাবার সাথে আমাদের ছেলেমেয়েদের দেখা হত না। তাই বাবা ঘরের খবর খুব বেশি জানত না। আর ঘর চালাত আসলে মা। আদিবা জিজ্ঞেস করে, কি বলেছিল আপনার মা? সাফিনা বলে মায়েদের মন, অনেক কিছু টের পায়। তখন বুঝি নি, এখন মা হবার পর বুঝি। মা আমাকে অনেক প্রশ্ন করল কাজল’দা নিয়ে। আমাদের কেমন কথা হত, কোথায় কোথা হত। কাজল দা কে আমি ভালবাসি কিনা? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি নি। চিতকার করে বলতে চেয়েছিলাম ভালবাসি কিন্তু মায়ের সামনে ভয়ে বলতে পারি নি। তবে মা ঠিক বুঝে নিয়েছিল। এরপর এমন একটা কথা বলেছিল মা, যার জন্য মা কে আজও ক্ষমা করতে পারি নি। আদিবা জিজ্ঞেস করে কি কথা? মা বলেছিল ভাগ্য ভাল কাজল নেই, থাকলে তো তুই একটা কেলেংকারি বাধিয়ে দিতি। কাজল’দার মৃত্যু নিয়ে এমন কথা আমি সহ্য করতে পারি নি। সেই প্রথম বুঝি আমার জীবনে আমি মায়ের সাথে ঝগড়া করলাম। এরপর থেকে মায়ের সাথে আমার সম্পর্কের তারটা যেন কোথায় কেটে গেল। আমি ছিলাম মায়ের সব চেয়ে কাছের বাকি সন্তানদের মধ্যে। আমাকে বলত সবচেয়ে বুদ্ধিমান। কিন্তু এরপর থেকে মা আমাকে কেমন জানি চোখে চোখে রাখতে লাগল। আমার মনে হল মা বুঝি ভাবছে আমি আবার অন্য কার সাথে প্রেম করে পালিয়ে যাব। এতে এত রাগ হত। যতটা না আমার প্রতি অবিশ্বাস করার জন্য তার থেকে বেশি হত কারণ মা ভাবত আমি যার তার সাথে প্রেম করব। মা তো বুঝতে পারে নি কাজল’দার মত লোকে জীবনে একবার আসে। এরকম ভালবাসা একবার আসে। তাই আর কেউ সেই ভালবাসায় উড়িয়ে দিতে পারবে না আমাকে। আদিবা দেখে সাফিনার ভিতরের সেই সদ্য তরুণী যেন আবার বের হয়ে এসেছে। যার গলায় ভালবাসা হারানোর বেদনা, চোখে প্রেমের কথা বলতে না পারার হাহাকার আর চোখেমুখে ছলছল করতে থাকা দিশেহারা এক তরুণী। আদিবার জন্য এটা নতুন নয়। তার রুমে পুরতন কথা বলতে গিয়ে কত পেসেন্ট বিশ ত্রিশ বছর পিছনে ফিরে গেছে তার ইয়াত্তা নেই। তবে সাফিনার গলার হাহাকার তাকেও স্পর্শ করে। ডায়েরিতে তাই নোট নেয় আদিবা রহমান, ত্রিশ বছর আগে প্রেমের সম্ভাবনা জাগলেও সফল হয় নি সেটা তবে সেই সফল না হওয়া প্রেম এখনো প্রবলভাবে বিদ্যমান সাফিনা করিমের মনে। তার মায়ের সাথে তার বর্তমান সম্পর্ক, মেয়ের রিলেশনে বাধা সব কিছুর মূলে রয়ে গেছে পুরাতন সেই স্মৃতি।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩০ (১)) - by কাদের - 17-04-2024, 04:26 PM



Users browsing this thread: 14 Guest(s)