Thread Rating:
  • 179 Vote(s) - 3.31 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )
আদিবা রহমান ঘড়ি দেখেন সময় কমে আসছে। বেশ কিছু প্রশ্ন আছে এতক্ষণ যা  বলল তার  উপর। তবে আরেকটা মেজর টপিক বাদ পড়ে গেছে। আগে সেইটা নিয়ে কথা বলা দরকার। দাম্পত্য জীবন। আদিবা রহমান এইবার প্রসংগ শুরু করার জন্য বললেন আপনার হাজব্যান্ডের নাম জানি কি? উত্তর দিল সাফিনা- মিজবাহ করিম। কি করেন উনি। কর্পোরেট। আরেকটু ব্যাখ্যা করে সাফিনা। প্রথমে ব্যাটে চাকরি শুরু, এরপর ইউনিলিভারে অনেকদিন। এখন দেশি একটা কর্পোরেট হাউজে সেকেন্ড ম্যান। এটা দেশের টপ তিনটা দেশী কর্পোরেট হাউজের একটা। ফলে কাজের প্রেসার অনেক বেশি। আদিবা জিজ্ঞেস করল সব সময় কি উনি এমন ব্যস্ত ছিল নাকি এখন ব্যস্ততা বেড়েছে? সাফিনা উত্তর দিল গত সাত আট  বছরে ব্যস্ততা বেড়েছে। এইটা নিয়ে আপনার কোন অভিযোগ আছে? সাফিনা ভাবে, সত্যটাই বলে। আসলে কে না চায় একটু মনযোগ পেতে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় মিজবাহর অফিসটা বুঝি সব সময় খেয়ে ফেলে। আমাদের জন্য আর ওর হাতে সময় থাকে না খুব বেশি। আর যে ফ্রি টাইমটুকু পায় সেইটাও এমন কিছুতে ব্যয় করে যাতে প্রফেশনাল কানেকশন বাড়ে। হয়ত কোন কলিগের এনিভার্সারি বা বড় কর্পোরেটে আছে এমন কাউকে বাসায় দাওয়াত। সব মিলে মাঝে মাঝে মনে হয় অফিস বুঝি ওর মনোযোগ বেশি কেড়ে নিচ্ছে। আদিবা জিজ্ঞেস করে, রাগ হয় আপনার এটাতে? সাফিনা হাসে, বলে ঠিক রাগ না কিন্তু জেলাস ফিল করি। আমি জানি অফিস কোন মানুষ বা নারী নয় যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু তবু কেন জানি জেলাসি ফিল হয়। মনে হয় মিজবাহ এর পূর্ন মনযোগ পাচ্ছে বুঝি খালি অফিস। এইবার একটু সেনসেটিভ প্রশ্ন, আপনার কি মনে হয় অফিসে এমন কেউ আছে যার জন্য অফিসে এত মনযোগ? সাফিনা প্রশ্নের অর্থ ধরতে পারে, সংগে সংগে মাথা নাড়ে আমার মনে হয় না। মিজবাহ ইজ লয়াল। অবশ্য মাথায় তখন আরশাদ আর নুসাইবার কথা মনে হয়। কয়েক মাস আগ পর্যন্ত নুসাইবাও আরশাদ সম্পর্কে এই কথাই বলত। তবে মিজবাহ এর ভিতরে ঠিক আরশাদের মত তেলতেলে ব্যাপারটা নাই। আরশাদের সব কথাতেই একটা তেল দেওয়া ভাব ছিল এইটা সাফিনার কখনো পছন্দ হত না। সাফিনা বলে মিজবাহ আসলে ঠিক প্রেম পরকীয়া করার মত লোক না। আদিবা নোট নেয়, স্বামীর উপর যথেষ্ট আস্থা আছে। আদিবা জিজ্ঞেস করে গত সাত আট বছরে বেশি ব্যস্ত হবার কারণ কি? চাকরির ধরণ পালেটেছে বা অন্য কিছু? সাফিনা বলে বলতে পারেন। তবে ওর নিজের মনে এর একটা ব্যাখ্যা আছে সেইটা বলবে কি বলবে না ঠিক করে উঠতে পারে না। আসলে এই সাত আট বছরে মিজবাহর প্রমোশন হয়েছে তিনবার। এখন ও একটা কর্পোরেট হাউজের সেকেন্ড ম্যান। ওর বয়স এখন আর্লি পঞ্চাশে। ফলে ঠিক গতিতে কাজ করতে পারলে দশ পনের বছর পর ও বাংলাদেশের কর্পোরেটের একজন লিজেন্ড হতে পারবে। আদিবার মনে হয় এর বাইরে আর কিছু বলতে চাচ্ছে সাফিনা। তাই জিজ্ঞেস করে আর কিছু কি আছে এই ব্যস্ততার কারণে। আদিবা ভাবছে সাফিনা বুঝি কোন এক্সট্রামেরিটাল রিলেশনের কথা বলবে। এইসব সেশনে মহিলারা প্রথমে নিজের স্বামীকে ফেরেশতা মানলেও পরে আস্তে আস্তে নিজেদের সন্দেহের কথা বল। তবে সাফিনা বলল পুরো ভিন্ন একটা কারণ।


সাফিনার মনে এই সন্দেহটা অনেকদিন ধরে আছে। সাফিনা আর কার সাথে এই কথাটা শেয়ার করতে পারে নি। নুসাইবা নরমালি ওর অনেক কথা শেয়ার করার সংগী কিন্তু ওর ভাইয়ের সম্পর্কে এই কথাটা শেয়ার করতে পারে নি কোন প্রমান ছাড়া। সাফিনার মনে হয় এই কথাটা কি এখানে শেয়ার করা ঠিক হবে? আবার মনে হয় এতদিন ধরে মনের ভিতর পুষে রাখা সন্দেহটা অন্তত এক জায়গায় প্রকাশ করা দরকার। হয়ত সাইকোলজিস্ট শুনে বলতে পারবে ওর সন্দেহ কতটা যৌক্তিক। সাফিনা বলে আমার এই সন্দেহটা ঠিক কতটা যুক্তিযুক্ত আমি শিওর না। আমি ছাড়া আর কেউ এটা খেয়াল করেছে বলে মনে হয় না। আদিবা রহমান জিজ্ঞেস করে কি? সাফিনা বলেন মিজবাহ এর গত সাত আট বছরে আর বেশি অফিসে জড়িত হওয়ার পিছনে আমাদের মেয়েদের একটা সম্পর্ক আছে। আদিবা জিজ্ঞেস করেন কিভাবে? সাফিনা বলে মিজবাহ আমাদের দুই মেয়ে সাবরিনা আর সিনথিয়া কে অসম্ভব ভালবাসে এইটা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। তবে মিজবাহ অন্তত একটা ছেলে চেয়েছিল। শুরুতে পর পর দুইটা বাচ্চা হবার পর আমার বিসিএস হয়ে গেল। তখন কিছুদিনের জন্য আমরা বাচ্চা না নেবার পরিকল্পনা করি। এর মধ্যে আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়ী মারা গেলেন। ননদের ভার্সিটি চলছে তাই এর মধ্যে বাচ্চা নিলে আমাদের দুইজনের উপর অতিরিক্ত প্রেশার পড়বে। তাই এই সময় আমরা দুইজন আর কোন বাচ্চাকাচ্ছা চাই নি। তবে মিজবাহ এর কথা শুনে মনে হত ও আরেকটা বাচ্চা চায় এবং সেইটা একটা ছেলে হলে ভাল। এইসব কথা ও অন্য কার সামনে কখনো বলত না। আমাদের দুই মেয়ের প্রতি ওর কখনো অবহেলা ছিল না, বরং ওর অতিরিক্ত আদরে মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আমাদের মেয়ে দুইটা বুঝি একটু বেশি আদুরে হয়ে গেছে, কেউ কেউ তো আমাদের ছোট মেয়ে নিয়ে বলে ও খানিকটা বখে গেছে। আদিবা জিজ্ঞেস করে আপনার ছোট মেয়ে কি আসলেই বখে গেছে? সাফিনা হেসে বলে না, সিনথিয়া একটু জেদি আবার খানিকটা দুষ্টু কিন্তু এমনিতে ওর মন ভাল। আদিবা বলে, হ্যা আপনার ব্যাখ্যাটা বলুন। সাফিনা আবার বলে, বাংলাদেশের সমাজে যে যত ভাল পরিবার বা শিক্ষাদীক্ষায় বড় হোক না কেন, যত লিবারেল বলে নিজেকে দাবি করুক না কেন খুব কম সময়ে কিছু কিছু ধারণা থেকে মানুষ বের হতে পারে। আর কোন মানুষ কতটা লিবারেল সেইটা আসলে তার হাজব্যান্ড বা ওয়াইফ থেকে ভাল কেউ বলতে পারবে না। মিজবাহ এর মেয়েদের নিয়ে সমস্যা নাই তবে ওর মনে একটা পুরাতন ধারণা রয়ে গেছে। বংশের ধারা থাকে নাকি ছেলেদের হাতে। ফলে যদি কোন ছেলে না হয় তাহলে ওর দিক থেকে ওর বংশের ধারা বন্ধ হয়ে যাবে। আরেকটা জিনিস মিজবাহ সচেতন ভাবে না খেয়াল করলেও মাঝে মাঝে ওর আচার আচরণে বুঝা যায়। যেমন মিজবাহ ওর ভাই বা অন্য কার ছেলেদের কে উপদেশ দেবার সময় বলে বাবার নাম উজ্জ্বল করার দ্বায়িত্ব তোমার। কিন্তু ঠিক সেই ফ্যামিলির মেয়েকে কিন্তু এই উপদেশ দেয় না। হয়ত মেয়েটা আর বেশি মেধাবী আর পরিশ্রমী। আমার মনে হয় ওর মনে একটা ধারণা রয়ে গেছে ওর নাম বহন করবার জন্য দরকার ছেলে আর ওর কোন ছেলে নেই। সেই কারণে ওর মনে হয়েছে এমন কিছু করে যেতে হবে ওর কর্মক্ষেত্রে যেটার জন্য ওর মৃত্যুর পর সেই কাজটা ওর নাম বহন করে। এইটা এত সুক্ষভাবে ওর ব্যবহারে আছে যে কেউ হয়ত খেয়াল করবে না আমি ছাড়া। এর মধ্যে আমার বয়স যখন ৩৫/৩৬ তখন আবার নতুন করে বাচ্চা নেবার কথা বলল মিজবাহ তবে আমি তখন পিএইচডি শুরু করেছি। সংসার, চাকরি আর পিএইচডি সব মিলিয়ে আরেকটা বাচ্চার কথা ভাবার আমার সময় ছিল না। এর মধ্যে বড় মেয়ে এসএসসি দিয়ে দিয়েছে। এই সময় আরকেটা বাচ্চা হওয়াও একটা লজ্জার ব্যাপার। আদিবা বলে আপনার তো বেশ কমে বয়েসে বিয়ে হয়েছিল ফলে আপনার বাচ্চা তাড়াতাড়ি বড় হয়েছে তাই এতে এত লজ্জা পাবার কি ছিল। সাফিনা বলে হ্যা আপনার কথা সত্য আমার ১৯ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে গেল, ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ার তখন। আর বাচ্চা হল ২০ বছর বয়সে। আদিবা বলে তাহলে ৩৫/৩৬ বছর বয়সে বাচ্চা হওয়া তো স্বাভাবিক। সাফিনা বলে হ্যা। আমার অনেক বান্ধবীর প্রথম বাচ্চা হয়েছে ঐ বয়সে। যারা ভার্সিটির পড়া শেষে কিছুদিন চাকরি করে বিয়ে করেছে। তবে আসলে পিএইচডিটা আমি করতে চাইছিলাম আর একটু লজ্জাও লাগছিল। যদিও আমার বয়স কম ছিল তবে আসলে মেয়েদের বয়স হিসাব করলে মাদারহুডের গন্ডিতে আমি তো আসলে বেশ সিনিয়র। সব মিলিয়ে আমি না করে দিয়েছি। মিজবাহ বেশ কয়েকবার বিভিন্ন প্রসংগে এই কথা তুলেছে। আমাকে অনুরোধ করেছে তবে আমি বলেছি অন্তত এই মূহুর্তে সম্ভব না। একটা ভাল দিক হল মিজবার যে ও সেই সময় আমাকে জোরাজুরি করে নি। তবে ও যে আশাহত হয়েছে সেইটা আমি পরে বুঝেছি। আর আমার পিএইচডি শেষ হতে হতে আমার বয়স ৪১ হয়ে গেল। এরপর মিজবাহ কথা তুলে নি আমিও কিছু বলি নি। আমি না বলবার পর থেকে মিজবাহ আস্তে আস্তে বেশি করে কাজে ঝুকে পড়ল। এই ব্যাপারটা আসলে আমি তখন ঠিক করে  বুঝে উঠতে পারি নি। গত এক বছর ধরে সব যখন ভাবছি পিছনের কথা তখন এই বাখ্যাটা মাথায় আসছে। আদিবা জিজ্ঞেস করে আগে বুঝতে পারলে কি করতেন? সাফিনা একটু ভাবে। বলে, হয়ত আরেকটা বাচ্চার চেষ্টা করতাম। এতে মিজবাহ হয়ত ফ্যামিলিতে আর সময় দিত, ওর মনের আশা পূরণ হত। একটু হাসে সাফিনা। আজকাল মেয়েরা বড় হয়ে যাবার পর থেকে বাসা একদম খালি খালি লাগে। আরেকটা বাচ্চা থাকলে মন্দ হত না। মিজবাহ আর আমি হয়ত সেই বাচ্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। আমার একাকীত্ব আর মিজবাহ এর নিজের বংশের ধারা বজায় রাখার চিন্তা সব পূরণ হত। আদিবা খাতায় নোট নেন, বাচ্চা নেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাফিনার মনে একটা দ্বিধা তৈরি হয়েছে যে আগের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কি সঠিক ছিল না।


সাফিনা তখন অন্য প্রসংগ টানে। আপনার এখন বিয়ের বাইরে কোন সম্পর্ক নেই তো। প্রশ্ন শেষ করার আগেই না না করে উঠে সাফিনা। আদিবা হেসে উঠে। সাফিনা বলে আপনি হাসছেন কেন? আমার আসলেই এমন কিছু নেই। আদিবা বলে স্যরি আসলে সেই কারণে হাসি নি, আপনি যেভাবে প্রশ্ন শেষ করার আগেই না না করে উঠলেন তাতে হাসলাম। এইবার সাফিনাও হাসে। আদিবা বলে আপনি কিন্তু অনেক সুন্দরী। সাফিনা বলে থ্যাংক্স। আদিবা বলে অনেক আছে খালি সুন্দর ফ্যাশেনবল জামা কাপড় পড়ার কারণে সুন্দরী মনে হয় কিন্তু দেখা যায় বাস্তবে এভারেজ। কিন্তু আপনি সেই সুন্দরী যাকে সুন্দর প্রমাণ করার জন্য কিছুর দরকার নেই। দেখুন না। আজকে খালি একটা তাতের শাড়ি পড়ে এসেছেন। এমন কি সামান্য লিপস্টিক নেই আপনার ঠোটে। তাও এক দেখায় যে কেউ বলবে আপনি সুন্দরী। আপনার চেহায়ার একটা ৫০/৬০ দশকের সাদা কাল যুগের নায়িকাদের মত সৌন্দর্য আছে। চোখ ফেরানো কঠিন এমন একটা সৌন্দর্য। সাফিনা লজ্জা পায়। এইভাবে প্রসংসা শুনলে সবাই লজ্জা পায় আবার খুশিও হয়। সাফিনা একটু হেসে বলে জানেন বয়স আরেকটু কম থাকতে লোকে বলত আমার সৌন্দর্যের সাথে নাকি মধুবালার মিল আছে। আদিবা বলে হ্যা খেয়াল করলে কিন্তু আপনার ফেস কাটিংটা সেরকম মনে হয়। আর আপনার হাসির সাথেও বেশ মিল। আদিবা বলে আপনার সিক্রেট এডমায়ারার নেই? সাফিনা হেসে বলে কোন মেয়ের নেই বলুন তবে আমি কখনো এইসবে পাত্তা দেই না। বাঙ্গালদেশে কোন মেয়ে একটু সুন্দর হলে তার বয়স চল্লিশ হলেও ছেলেরা পিছনে ছোক ছোক করে। আদিবা রহমান সম্মতিতে মাথা নাড়ে। সাফিনার কথা সত্য। আর সাফিনা খালি সুন্দর না ডাক সাইটে সুন্দর। আদিবা সাফিনা কে আবার খেয়াল করেন। পাচ ফুট ছয় হবে উচ্চতা। গায়ের রঙ দুধে আলতা সাদা। তবে অনেক সাদা কে দেখলে মনে হয় খালি চেহারা সাদা কিন্তু চেহারার কোন ছিরি ছাদ নেই। তবে সাফিনার ফেস কাটিং সুন্দর তার সাথে তার গায়ের কালার মিশে একটা অন্য রকম ব্যাপার এনে দিয়েছে। কম বয়সের সেই তন্বী তরুণী ভাব নেই তবে কেউ তাকে দেখে বলবে না বয়স ৪৬, বড় বড় দুইটা মেয়ে আছে। এমন হাইটের বাংগালী মেয়ে কম। তার উপর তার গায়ের রঙ আর ফিগার। আদিবা রহমান সব সময় বিশ্বাস করেন বয়সের সাথে মেয়েদের সৌন্দর্য বাড়ে যদি তারা সেইটা ধরে রাখতে পারে। সাফিনা করিম তার পারফেক্ট এক্সামপল। বয়সের সাথে যোগ হওয়া অতিরিক্ত ওজন যেন একটা আভিজাত্য এনেছে চেহারা আর শরীরে। আর উচ্চতা ভাল হবার জন্য শরীরে যোগ হওয়া ওজন একটু বেশি মনে হচ্ছে না বরং শরীরের মেয়েলী অংশগুলো কে আর বেশি আকর্ষণীয় করেছে। আদিবা এইসব ভাবতে ভাবতে বলে, হ্যা যা বলছিলেন বলুন। সাফিনা বলে আমি কখনো এইসব পাত্তা দেই নি। আমার পরিবার আমার জন্য সব। মিজবাহ এর উপর মাঝে মাঝে রাগ হয় তাই বলে বাইরের কার কাছে আমি সেই নিয়ে গল্প করে সেইখানে অন্য কোন মানুষের ঢোকার সুযোগ দেই নি। আর আমার কাছে মনে হয় প্রেম একটা পবিত্র সম্পর্ক। সেখানে পরকীয়া হল এই সম্পর্কের একটা কালিমা। কারণ এখানে মানুষ কে ধোকা দিয়ে সব শুরু। আদিবা নোট নেন। আদিবা আবার জিজ্ঞেস করে, এখন না হয় নেই কিন্তু বিয়ের আগে ছিল না। সাফিনা প্রায় ত্রিশ সেকেন্ড নিশ্চুপ থাকে। অনেকদিন আগের কথা। এত বছর এই প্রসংগ কেউ তাকে প্রশ্ন করে নি। ভুলেই গিয়েছিল সেই কথা। এমন কি মিজবাহ পর্যন্ত জানে না। সাফিনা অস্ফুট স্বরে বলে, হ্যা ছিল। আদিবা বলে কে ছিল? কি নাম? সাফিনার মনে হয় অন্য এক জীবনের গল্প উঠে আসছে যেন। পুরাতন কত কিছু মনে পড়ছে। গত ২৫/২৬ বছর যেন ভুলে ছিল সব। সাফিনা বলে আরেকদিন বলি? আদিবা ঘড়ি দেখে। সময় প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এইসব ব্যাপারে মেয়েরা অনেক সেনসেটিভ হয়। প্রথমবারের প্রশ্নেই যে সাফিনা বিয়ের আগের প্রেমের কথা বলেছেন সেইটা একটা বড় ব্রেকথ্রু। পরে অন্য সেশনে এইটা নিয়ে আলোচনা করা যাবে। দেখতে হবে এই ব্যাপারটা সাফিনা করিমের ডিপ্রেশনের জন্য কতটুকু দায়ী। আদিবা বল, ওকে আজকে তাহলে এখানে থাক। পরে কখনো অন্য সেশনে এই বিষয়ে কথা হবে।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৮) - by কাদের - 28-01-2024, 04:17 PM



Users browsing this thread: 27 Guest(s)