Thread Rating:
  • 183 Vote(s) - 3.34 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )
সোলায়মান বলে আপনাদের এখন ঢাকায় থাকা বিপদজনক। নুসাইবা কে উদ্দ্যেশে করে বলে আপনি নিজের বাসা বা ঢাকায় আপনার অন্য কোন আত্মীয়ের বাসায় যেতে পারবেন না। ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে আপনার ট্রেস বের করে ফেলবে। আমি ডিবিতে আছি। আমার খুব করিতকর্মা কলিগদের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আপনাদের খবর বের করার জন্য। আমাকেও দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তবে আমি মাহফুজ ভাইয়ের সাথে আছি শুরু থেকে। ঢাকার বাইরে এমন কোথাও আপনাকে পাঠাতে হবে যেখানে মুন্সী বা ম্যানেজার কেউ কল্পনা করবে না। নরমালি ঢাকায় বা ঢাকার বাইরে লুকিয়ে থাকার কিছু ট্রেডিশনাল রুট আছে। কিছু লোকজন আছে যারা টাকার বিনিময়ে আপনাকে প্রটেকশন দিবে। সেখানে আপনাকে প্রতিদিন অন্তত একবার করে জায়গা বদলাতে হবে, কখনো দুই তিনবার। আপনার জন্য এমন জায়গায় টিকে থাকা কঠিন হবে। আর মুন্সী আর ম্যানেজার যে পুলিশের রিসোর্স ব্যবহার করবে বা করছে তা না। ওরা আন্ডারগ্রাউন্ডের সব রিসোর্স ঢেলে দিবে আপনার খোজে। আমাদের এডভান্টেজ এখন দুইটা। ওরা ঠিক জানে না কে আপনাকে পালাতে সহায়তা করেছে। মুন্সী যেমন ভাবছে ম্যানেজারের হাত আছে। ম্যানেজার কালকে সকালে টের পেলে সেও এমন কিছু ভাববে। এই কনফিউশনে ওদের ভাল রিসোর্স ব্যয় হবে। আর দ্বিতীয়ত আমরা কোন ট্রেডিশনাল রুট ব্যবহার করব না। আমার খুব বিশ্বস্ত একজন লোক আছে। যে দশ বছর আগ পর্যন্ত পুলিশের সোর্স ছিল, আন্ডারগ্রাউন্ডে যোগাযোগ ছিল। এখন আর তেমন কিছু করে না। সংসারী হয়েছে। ধর্মকর্মে মন দিয়েছে। এখন ভাড়ায় গাড়ি চালায়। ওর বাড়ি এমন একটা জায়গায় যেটা দূর্গম। মোবাইলের নেটওয়ার্ক প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে আপনার সেখানে যদি লুকিয়ে থাকেন তাহলে আপনারা অদৃশ্য হয়ে থাকবেন পৃথিবীর চোখে। নুসাইবা কে বলে, আপনার যা ব্যাকগ্রাউন্ড কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না এমন মানুষ্য বিবর্জিত জায়গায় আপনি গিয়ে লুকিয়ে থাকতে পারবেন। সেখানে কারেন্ট নেই। সোলার লাইট আছে ওদের বাসায় তাও রাত দশটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। আপনাকে ঐখানে গিয়ে লুকিয়ে থাকতে হবে ওদের আত্মীয় সেজে। ফলে লোকাল কেউ যদি আপনাদের দেখে তাতে যেন ওরা সন্দেহ না করে।


নুসাইবা সোলায়মানের কথার মাঝে প্রশ্ন করে, কারেন্ট নেই ঐখানে? ফোন? সোলায়মান মনে মনে হাসে। নুসাইবার এইসব প্রশ্ন বলে দিচ্ছে ওর প্ল্যান ঠিক আছে। কারণ ওর মত অন্যরাও ধরে নিবে এই মনমানসিকতা নিয়ে এমন কোন জায়গায় লুকিয়ে থাকতে পারবে না নুসাইবা। এখন প্রশ্ন হল নুসাইবা কতটুকু ব্লেন্ড করতে পারবে ঐ জায়গায়। এটাও একটা গূরুত্বপূর্ন জিনিস। এর আগেও  ডিবির কাজের সূত্রে দেখেছে সোলায়মান। অনেক বড় এবং ধূর্ত অপরাধী ধরা পড়েছে খালি বোরডমের কারনে। বিরক্ত হয়ে পালানোর জায়গা থেকে বের হয়ে এসেছে বা এমন কিছু করেছে যাতে আশেপাশের লোকের চোখে পড়ে যায়। তাই সোলায়মান এইবার আর সিরিয়াস হয়ে বলল। ম্যাডাম আপনি এইসব প্রশ্ন ভুলেও মনে আনবেন না। আপনাকে সবচেয়ে ভাল হত এই মূহুর্তে দেশের বাইরে পাঠাতে পারলে। কিন্তু মুন্সী আর ম্যানেজার আজকে বা কালকে থেকে দেশ থেকে বের হবার সব বৈধ অবৈধ পথে নজরদারিতে রাখবে। ফলে সেটা অনেকবড় রিস্ক। আর একবার ধরা পড়লে আপনার পরিণতি কি হবে আমরা জানি না। আর আমাদের কি পরিণতি হবে সেটাও জানি না। কথাটা শুনে গা শিউরে উঠে নুসাইবার। মুন্সীর ওর শরীরে পড়া হাত, কুৎসিত হাসি আর ম্যানেজারের গুলির ভয় সব গা ঠান্ডা করে দেয়। নুসাইবা এইবার বাধ্য মেয়ের মত বলেন, কি করতে হবে আমাকে। মাহফুজ অবাক হয় নুসাইবার এমন বিনা যুদ্ধে সোলায়মানের কথা মেনে নেওয়ায়। মাহফুজ বুঝে মুন্সী আর ম্যানেজারের ভয় ভাল মত ঢুকেছে নুসাইবার মনে।

সোলায়মান বলে এই উপদেশ আপনাদের দুই জনের জন্য। মাহফুজ আর নুসাইবা দুইজনেই তাকায় সোলায়মানের দিকে। মাহফুজ বলে ট্রেডিশনালি যা হয় সেই অনুযায়ী আপনাদের খুজবে এখন। মেইনলি খুজবে ম্যাডাম কে। মাহফুজের দিকে তাকিয়ে বলে আপনার পরিচয় এখনো পর্যন্ত ওরা বের করতে পারে নি। ধরে নেওয়া যায় ওরা ভাববে মাহফুজ ভাই এমনি কোন গ্রুপের অংশ যারা নুসাইবা ম্যাডাম কে হেল্প করছে। ফলে আমাদের এখনকার কাজ  হবে ডাইভারশেন। এর একটা হল আমিনের বাড়িতে গিয়ে লুকানো। সেকেন্ড এবং খুব ইম্পোর্টেন্ট, আমি জানি এইটা শুনে আপনারা না না করে উঠবেন। তবে আপনাদের সিকিউরিটির জন্য এইটা দরকারী। মাহফুজ বলে কি সেটা? সোলায়মান একবার মাহফুজের দিকে তাকায় আবার নুসাইবার দিকে তাকায়। সোলায়মান গলা খাকরি দেয়। একটু ইতস্তত করে বলে, আমরা ডিবির ভাষায় একটা কথা বলি। যারা ভাল ক্যামোফ্লেজ নেয় বা ভাল ভাবে লুকায়ে থাকতে পারে। তারা সবাই একটা ভাল ব্যাক স্টোরি দাড় করায়। এরপর সেই স্টোরিতে একটা ক্যারেক্টার হিসেবে অভিনয় করে। এতে ভুলভাল হবার সম্ভাবনা কম। কারণ গল্প আগে থেকে রেডি থাকে। ফলে কেউ জিজ্ঞেস করলে সেই অনুযায়ী উত্তর দেওয়া যায়। নিজে থেকে খুব বেশি ইম্প্রোভাইজেশন করতে গিয়ে ধরা খাওয়ার ভয় থাকে না। আর বেশির ভাগ সময় মানুষ এই লুকিয়ে থাকার ফেজটাতে বোরড হয়ে যায়। এইভাবে অভিনয় করলে মন ব্যস্ত থাকে, বোরড হবার চান্স কম থাকে। নুসাইবা একটু অস্থির হয়ে বলে সেইগুলা তো বুঝলাম কিন্তু কিসে অভিনয় করতে হবে? সোলায়মান ইতস্তত করে। প্ল্যানের এই অংশটা মাহফুজকেও বলা হয় নি। আসলে ভেবেছিল প্ল্যান এ সফল হবে। এরপর প্ল্যান বি হিসেবে যেইটা ঠিক ছিল আজকে মুন্সীর কাজকারবারের পর সেইটা রিস্কি হয়ে যাবে বুঝে গিয়েছিল সোলায়মান। আসল প্ল্যান বি ছিল একটা ট্রেডিশনাল রুটে নুসাইবা কে লুকিয়ে রাখা। প্রফেশনাল কিছু লোকের হেল্প নিয়ে। কিন্তু মুন্সী ম্যানেজার যেভাবে মরিয়া সেখান থেকে দুই তিনের মধ্যে খবর বের করে ফেলতে পারে। আর নুসাইবা এইভাবে প্রতিদিন ছুটে ছুটে জায়গা বদল করতে গিয়ে মেন্টাল প্রেসারে ভেংগে পড়তে পারে। তাই তাতক্ষনিক ভাবে এই নতুন প্ল্যান বি। সোলায়মান তাই বলে আপনাদের কাপলের অভিনয় করতে হবে। নুসাইবা মাহফুজ দুইজনেই একসাথে বলে উঠে কি বললেন?


সোলায়মান এই রিএকশন প্রত্যাশা করেছিল। তাই হাত তুলে দুই জনকে থামতে বলে। বলে ভেবে দেখেন, ম্যাডাম এমন কার সাথে ম্যারিড কাপলের মত অভিনয় করবে এইটা কার ভাবতে সময় লাগবে। তার উপর আপনার যাবেন একদম একটা অজপাড়াগায়ে। সেখানে অবিবাহিত বা বিবাহের সম্পর্ক নেই এমন নতুন দুইজন পুরুষ মহিলা আসলে লোকে কথা বলবে, সেখানে থেকে গুজব আর গুজব লুকিয়ে থাকার জন্য খারাপ। আর আরেকটা কথা হল আপনাদের যে লোক নিয়ে যাবে আমিন। তাকে তো দেখেছেন দাড়িটুপিওয়ালা। আগে যাই থাকুক এখন ইমানদার। তাকে আমি আজকে কয়েক ঘন্টার নোটিশে রাজি করিয়েছি। এই লোক কে আপনাদের সম্পর্ক বুঝিয়ে বলা কঠিন। আর ঠিক হবে না সেফটির জন্য। সেইজন্য আমি বলে দিয়েছি আপনারা হাজব্যান্ড ওয়াইফ। পলিটিক্যাল একটা ঝামেলায় মাহফুজ ভাইয়ের পিছনে লোক লেগেছে তাই উনার কয়েকদিন লুকিয়ে থাকা প্রয়োজন। আর আপনি উনার ওয়াইফ। নুসাইবা প্রায় তোতলাতে তোতলাতে বলে, কি বলছেন এইসব। সোলায়মান বলে আরে এইগুলা তো সত্য না। অভিনয়। আপনারা জাস্ট অভিনয় করবেন। দুই সাপ্তাহের জন্য। এর মধ্যে নমিনেশন দিয়ে দিবে। ওদের মনযোগ অন্য দিকে ঘুরে যাবে। তখন পারলে আমি আপনাদের অন্য জায়গায় শিফট করব। আর ভাল জায়গায়। যেখানে থাকার আর ভাল ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু যতদিন সেটা না হচ্ছে এর থেকে ভাল কিছু নেই। আপনারা কেউ হাজব্যান্ড ওয়াইফ না। সেইটা আমি জানি, আপনারা জানেন। কিন্তু আমিন জেন না জানে। কারণ এই লোক বিবাহ সম্পর্কের বাইরে পুরুষ মহিলা একসাথে থাকছে এটা মেনে নিতে পারবে না। আর এটা জানলে ও রাজিও হত না। মাহফুজ কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। ওর নিজের অনুভূতিটা কি সেটাও বুঝে উঠতে পারছে না। সোলায়মান এমন তাতক্ষনিক ভাবে সব বলছে মাহফুজের প্রসেস করতে সময় লাগছে। সোলায়মানের যুক্তি ঠিক আছে। তবে নুসাইবা এইটা মানবে বলে মনে হয় না। আবার সোলায়মানের কথায় ওর মনে এক ধরনের পুলক অনুভব হচ্ছে। হোক না অভিনয়। তাও তো কিছুদিনের জন্য নুসাইবা ওর  বউ হবে। আবার মনে হচ্ছে নিজের অনুভূতি কি এই কয়দিন ঠিক করে কন্ট্রোল করতে পারবে? অভিনয়ের সময় কি করবে নুসাইবা? আরশাদের দিকে যেমন প্রেমময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত তেমন করে তাকাবে? আরশাদের মত অধিকার কি ও খাটাতে পারবে নুসাইবার উপর?


নুসাইবার মাথায় বাজ পড়েছে। একি বলছে এই নতুন লোক? সব কি মাহফুজের সাজানো বুদ্ধি? ওকে কাছে পাওয়ার জন্য কি মাহফুজ এই লোক কে আগে থেকে শিখিয়ে পড়িয়ে এনেছে? নুসাইবা বলে এইটা সম্ভব না। আমি যেখানে যেতে বলছেন সেখানে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু এই হাজব্যান্ড ওয়াইফ অভিনয় করতে পারব না। ইমপসিবল। আমি বিবাহিত। আমার পক্ষে অন্য কাউকে হাজব্যান্ড মেনে নেওয়া সম্ভব না। সোলায়মান বলে আপনাকে তো বলছি না মাহফুজ ভাইকে হাজব্যান্ড মেনে নিতে হবে। আর ম্যাডাম আমি জানি মাহফুজ ভাই আপনার ভাতিজিকে পছন্দ করে। ফলে উনি আপনার ছেলের মত। উনি আপনাকে যথেষ্ট সম্মান করে। নাহলে এমন বিপদের ঝুকি নিয়ে এত বড় দুইটা পাওয়ার হাউজের নাকের তলা থেকে আপনাকে বের করে আনে? আপনার তো করবেন অভিনয়। আর যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন তাহলে এই অভিনয় করার জন্য মাহফুজ ভাইয়ের থেকে আর বেশি নিরাপদ কাউকে পাবেন না আপনি। সোলায়মানের এই কথা নুসাইবা মাহফুজ দুইজনের মনে সেইম ছবি তুলে আনে। কয়েক ঘন্টা আগে গাড়ির ভিতর ওদের সেই উদ্যাম অভিযান। নুসাইবার মনে একধরনের কাটা দিয়ে উঠে, মাহফুজের শরীরে একটা সুখের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে। মাহফুজ এইবার নিজে থেকে বলে, ফুফু আমি এইসবের কিছু জানি না। আপনার মত সোলায়মানের মুখ থেকে আমি প্রথম শুনছি। আর আপনার সিকিউরিটির জন্য এটাই একমাত্র  ভাল রাস্তা। এরপর নুসাইবা মাহফুজ আর সোলায়মানের ত্রিমুখী তর্ক চলে প্রায় আধা ঘন্টা। একটু পর সোলায়মান বলে ম্যাডাম ভোর হয়ে যাবে একটু পরেই। তাই যাই করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। এইভাবে এইখানে তর্ক করে আপনি আপনার রিস্ক বাড়াচ্ছেন ম্যাডাম। আমরা যখন এইখানে তর্ক করছি আপনাদের খোজে অনেক দক্ষ লোক চক্কর মারছে। তাদের চররা খোজ বের করছে সবখান থেকে। নুসাইবা আর মাহফুজ দুইজনেই শান্ত হয় সোলায়মানের কথায়। প্রায় এক মিনিট চুপ চাপ থাকার পর নুসাইবা সিদ্ধান্ত নেয়। আর কোন উপায় নেই। এইটা মাহফুজের চালাকি নাকি আসলেই সোলায়মানের নিজের  বুদ্ধি এইটা এই মূহুর্তে বের করার উপায় নেই। তবে এই মূহুর্তে এই দুইজন ছাড়া আর বড় ভরসার কেউ নেই। তাই নুসাইবা বলে ঠিকাছে। নাহয় আপনার কথামত কিছুদিন অভিনয় করব। মাহফুজ নিজের মুখের  হাসি চেপে রাখে, বাইরের দিকটা গম্ভীর করে রাখে। হঠাত করে যেন একটা লটারী লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ওর জন্য।


সোলায়মান এইবার প্ল্যানের বাকি খুটিনাটি অংশ বুঝিয়ে দেয় ওদের কে। কিভাবে ওদের সাথে সোলায়মান যোগাযোগ করবে। কিভাবে ঐখানে ওদের থাকতে হবে। মাহফুজ হবে পলিটিক্যাল লিডার যে প্রতিপক্ষের কারণে লুকিয়ে আছে। এইটা অভিনয় মাহফুজের জন্য ইজি। কারণ মাহফুজ বাস্তবেও পলিটিক্যাল লিডার। আর নুসাইবার ভূমিকা হবে মাহফুজের বউয়ের। যে হাজব্যান্ডের সাথে এসে লুকিয়েছে। আর নুসাইবা কে যতটা সম্ভব নিজের শিক্ষা ব্যাকগ্রাউন্ড এইসব ইনফরমেশন লুকিয়ে রাখতে হবে। এমন ভাব ধরতে হবে যেন নুসাইবা হাউজওয়াইফ, বেশি পড়াশুনা করে নি। নুসাইবা জানে না কিভাবে এই অভিনয় করবে। তবে সোলায়মান লোকটার কথার যুক্তি গুলো ফেলতে পারে না। খালি ওর মনে খচ খচ করছে মাহফুজের সাথে এই অভিনয়ের ব্যাপারটায়। মাহফুজ কে এই ব্যাপারে ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না। আবার এটাও ঠিক নিজেকেও বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না। এর আগেও মাহফুজের কাছে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এইবার কি হবে? নুসাইবা নিজের মনে নিজেকে আশ্বাস দেয়। সব ঠিক কন্ট্রোল করে নিবে। এমন কোন পুরুষ নেই যাকে একটু মনযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে ম্যানিপুলেট করা যায় না। আবার ওর মনের ভিতর থেকে প্রশ্ন উঠে এর আগে ওর এইসব ম্যানিপুলেশন ভেদ করে ঠিক বের হয়ে গিয়েছিল মাহফুজ। তবে এইবার নুসাইবা মরিয়া। যেভাবেই হোক ওকে মুন্সী, ম্যানেজার ওদের হাত থেকে বাচতে হবে আর মাহফুজের থেকে সাবধান হতে হবে। নাকি নিজের থেকে নিজেকে সাবধান হতে হবে?

এরপর প্রায় আর আধাঘন্টা ধরে সব কিছু খুটিনাটি আলোচনা করে বুঝিয়ে দিল সোলায়মান শেখ। মাহফুজের কাছ থেকে ওর আনা মাইক্রোর চাবি নিল। এইটা কাছে একটা জায়গা আছে সোলায়মানের পরিচিত। ঐখানে লুকিয়ে রাখবে। অবশ্য এই গাড়ির  নাম্বার প্লেট এমনিতেও নকল। আর মাহফুজ নুসাইবা সোলায়মান শেখ কে ধন্যবাদ দিয়ে আমিনের গাড়িতে উঠে এসে বসল। সোলায়মান বলল আমিন এনারা আমার আপন জন, কাছের লোক। ইনাদের হেফাজত তোমার হাতে। আমিন বলল স্যার আপনার মেহমান মানে আমার মেহমান। আমিন জান দিবে তবে মেহমানের কিছু হতে দিবে না। এরপর প্রায় রাত সাড়ে চারটার দিকে আমিন গাড়ি ছাড়ে। মাহফুজ আর নুসাইবা মাইক্রোর মাঝের সিটে বসে আছে। দুইজন দুইপাশে মাঝে এক সিট খালি। আমিন গাড়ি চালাতে চালতে বলে আপনারা ঘুম দেন স্যার ম্যাডাম। আমি পৌছাইলে আপনাদের ডাক দিব। মাহফুজ নুসাইবা দুইজনেই ক্লান্ত। কিন্তু কেউ ঘুমাতে পারছে না। হঠাত করে নুসাইবার গলার স্বরে মাহফুজ ঘুরে তাকায়। নুসাইবা হিস হিস করে বলে এইসব তোমার প্ল্যান তাই না? আমার বিপদের সুযোগ নিয়ে এইসব করছ? মাহফুজ অবাক হয়ে যায় নুসাইবার কথায়। মাহফুজ জানে গাড়িতে উঠামাত্র ওদের হ্যাজব্যান্ড ওয়াইফের অভিনয় করতে হবে। নুসাইবা কি ওয়াইফের অভিনয় শুরু করে দিয়েছে? ওকে ঝাড়ছে হাজব্যান্ড কে যেভাবে ঝাড়ে ওয়াইফরা। মাহফুজ তাই গলার স্বর নামিয়ে নুসাইবা কে জিজ্ঞেস করে কি বলছ? আমিও সব প্রথমবারের মত শুনছি নুসাইবা। নুসাইবা গলার স্বর নামিয়ে হিস হিস করে বলে আমার নাম ধরে ঢাকছ কেন? মাহফুজ একটা হাসি দেয়। নুসাইবার গা জ্বলে যায়। মাহফুজ এইবার নুসাইবার একটু কাছে ঝুকে বলে আফটার অল উই আর হাজব্যান্ড এন্ড ওয়াইফ নুসাইবা। নুসাইবা শব্দটার উপর জোর দেয় মাহফুজ। রাগে জ্বলতে থাকে নুসাইবা। শুধু একটা কথাই বলে- ইউ বাস্টার্ড।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৭) - by কাদের - 05-01-2024, 12:57 AM



Users browsing this thread: 24 Guest(s)