Thread Rating:
  • 185 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩২ )


মাহফুজ ঘামছে। জীবনে এত বড় ঝুকির কোন কাজ করে নি। ঢাকা শহরের অনেক বড় নেতা আর পলিটিক্যাল ক্যাডারের সাথে টক্কর দিয়েছে তবে সেইসব জায়গায় ওর পিছনে আর বড় কার না কার হাত ছিল। তাই জানত দরকার মত ব্যাকিং পাবে পিছন থেকে। তবে আজকে তেমন কিছু নাই। দেশের বড় দুইটা কর্পোরেট হাউজের পোষা গুন্ডাদের চোখ এড়িয়ে নুসাইবা কে বের করতে হবে। খালি বের করলেও হবে না এয়ারপোর্ট যেন পার হতে পারে সেইটা ভাবতে হবে। আর যদি তা না পারা যায় তাহলে যেভাবে হোক নুসাইবা কে লুকিয়ে রাখতে হবে। বড় কার সাহায্য ছাড়া এই কাজ কিভাবে করবে সেটা মাহফুজ এখনো জানে না। তবে একবার কাউকে কথা দিলে মাহফুজ সেই কথা রাখে। মনের ভিতর নুসাইবার প্রতি এট্রাকশন আছে সেটা কখনো অস্বীকার করছে না মাহফুজ, তবে এও জানে নুসাইবার বিপদের কারণ তার করানো সেই রিপোর্ট। আর যদি এইবার নুসাইবা কে বাচাতে পারে তাহলে সিনথিয়াদের পুরো পরিবার মাহফুজের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে। তাহলে সিনথিয়া কে পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাহলে এক ঢিলে আসলে তিন পাখি মরবে। নিজেকে এইসব বলে মোটিভেটেড রাখার চেষ্টা করে মাহফুজ কারণ জানে ধরা পড়লে জানের উপর দিয়ে যাবে। ম্যানেজার আর মুন্সী দুইজনের নুসাইবা কে জীবিত রাখা দরকার কিন্তু মাহফুজের জন্য সমীকরণ অন্য। তাই ধরা পড়ার কোন সুযোগ রাখা চলবে না। হাত ঘড়ির দিকে তাকায়। বিকাল সাড়ে পাচটা। ওর সাথে চার জন ছেলে আছে। ওর বিশ্বস্ত। ওরা ওর কনস্ট্রাকশন বিজনেসের লেবার হিসেবে কাজ করে। ওদের বলা আছে ওদের কাজের কাপড় পড়ে আসার জন্য।  চেহারায় এমন ভাবে কালিঝুলি মাখানো যাতে কেউ সহজে চিনতে না পারে। আর সোলায়মান শেখ সাবধান করে দিয়েছিল। তাই ছেলেগুলোকেও বলা আছে। নুসাইবার বাসায় যখন কাজ করবে তখন যেন ওয়ার্ক্লিং গ্লাভস পড়ে। যাতে হাতের ছাপ না পড়ে কোথাও। ছেলে গুলো কে মিশনটা প্রাথমিক ভাবে বুঝানো আছে। তবে ওরাও জানে বেশি প্রশ্ন করা যাবে না। নুসাইবা কে বের করতে পারলেই সামনে একটা অন্ধকার গলিতে ওদের নামিয়ে দিবে। সেখানে আরেকটা গাড়ি পার্ক করা আছে সেটা নিয়ে নুসাইবা কে বের হয়ে যাবে। যে গাড়িটা এনেছে এর নাম্বার প্লেট ভুয়া। সেই গাড়িটা নিয়ে আরেকটা ছেলে যে এই তিনজন কে চিনে না সে নিয়ে যাবে যে গ্যারেজ থেকে এনেছে সেখানে। পরে সেখানে গাড়ির আসল নাম্বার প্লেট বদলে রেখে দিবে। ঘড়ি দেখে মাহফুজ। আর দশ মিনিট।



নিজের ফ্ল্যাটের ভিতর অপেক্ষা করছে নুসাইবা। আর দশ মিনিট। বার বার ঘড়ি দেখছে। গলা শুকিয়ে গেছে। পানি খাচ্ছে তাই বার বার। বেশি উত্তেজনা হলে দ্রুত বাথরুমে যাবার দরকার  হয় নুসাইবার। তাই উত্তেজনা আর বার বার পানি খাওয়ার কারণে গত এক ঘন্টায় চার বারের মত বাথরুমে গিয়েছে। তাও এখন মনে হচ্ছে বাথরুমে যাওয়া দরকার বুঝি। মাহফুজের সাথে বলা কথা অনুযায়ী আর দশ মিনিটের মধ্যে অপারেশন শুরু হবে। মুন্সী আর ম্যানেজারের ক্ষপর থেকে বের হবার জন্য এটা ফাইনাল চাল। তবে মাহফুজের গতকালের কথা মনে পড়ে। এখান থেকে বের হলেও সবচেয়ে বড় বাধা গুলোর একটা হবে এয়ারপোর্ট পার হওয়া। নুসাইবার মনে হচ্ছে এখান থেকে বের হতে পারলে এয়ারপোর্ট বড় কোন বাধা হবে না। টিকেট কাটা থেকে বাকি সব কাজ করে রাখবে মাহফুজ। মাহফুজ কে পাসপোর্ট নাম্বার দেওয়া আছে। ওর সাথে ছোট একটা ক্যারি অন ব্যাগ। আর হাতে একদম ছোট একটা পার্টস। সেখানে পাসপোর্ট। কাগজে কিছু ফোন নাম্বার লিখে নিয়েছে। মাহফুজ খুব ভাল ভাব বলে দিয়েছে যেন সাথে ফোন না নেয়। তাই দরকারি কিছু ফোন নাম্বার। বিলাতে ওর দুই ভাই থাকে তাদের বাসার ফোন নাম্বার। যাতে হিথ্রো এয়ারপোর্টে নামলে দরকার হলে ফোন দিতে পারে। সাথে কিছু ডলার আর পাউন্ড। আরশাদ সব সময় একটা ড্রয়ারে কিছু ডলার আর পাউন্ড আলাদা করে রাখে। যখন ডলারের বা পাউন্ডের দাম কমে তখন কিনে রেখে দেয়। ওদের প্রতি বছর এক বা দুইবার বাইরে যাওয়া হয় ঘুরতে তখন কাজে লাগে। নুসাইবা সেই ডলার আর পাউন্ড সাথে সাফিনা ভাবীর দেওয়া টাকা গুলো নিয়েছে। কখন কাজে লাগে জানে না। ঘড়ির টাইম দেখে। পাচ মিনিট। মাহফুজের কথা মত দুই ঘন্টা আগে একটা কল দিয়েছে সিংগারের শো রুমে। একটা বড় ডিপফ্রিজ ঐদিন অর্ডার দিয়েছিল। টাকা দিয়ে এসেছিল। আজকে সন্ধ্যা ছয়টার সময় ডেলিভারি দেওয়ার কথা। সেই সময় ম্যানেজারের লোকেরা দোকানে এসেছিল ও কি করছে দেখার জন্য। ওরাও জানে আজকে একটা ডিপফ্রিজ ডেলিভারি হবে। মাহফুজের কথা মত সিংগারের শোরুমে ফোন দিয়ে বলেছে ডিপফ্রিজের ডেলিভারি আজকে না দিত। কয়েকদিনের জন্য ঢাকার বাইরে যাচ্ছে। ফিরে আসলে কল দিয়ে ডেলিভারি দেবার কথা বলবে। ম্যানেজার সব শুনে বলল, ওকে ম্যাডাম আপনাদের সময় মত ফোন দিলে আমরা পৌছে দিবে। আর স্যার কে আমার সালাম দিবেন। নুসাইবা জানে এই ডিপফ্রিজ ডেলিভারি না দেবার মধ্যেই প্ল্যানের আসল সফলতা। নুসাইবা মনে মনে ভাবে মাহফুজ ছেলেটা চালাক আছে। এই বুদ্ধি ওর মাথা দিয়ে বের হত না। দেখা যাক এখন বাকি কাজে মাহফুজ কতটা সফল হয়। ঘড়ির দিকে তাকায়। কাটায় কাটায় ছয়টা। ঠিক তখন ওর বাসার এক্সটেনশন ফোনে নিচের গার্ডরুম থেকে ফোন আসে। ম্যাডাম আপনার বাসায় নাকি একটা ডিপফ্রিজে ডেলিভারি দেওয়ার কথা সিংগার থেকে? নুসাইবা বলে হ্যা হ্যা, বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। পাঠিয়ে দাও। আর শোন ওরা যাবার সময় পুরাতন ফ্রিজটা নিয়ে যাবে। ওদের আটকিও না তখন। আর ওদের জন্য সার্ভিস লিফট টা চালু করে দাও। গার্ড বলে জ্বি ম্যাডাম।


ফোন রেখে ঘড়ির কাটায় সময় গুণতে থাকে নুসাইবা। ওদের এপার্টমেন্টে একটা সার্ভিস লিফট আছে। নরমালি কার ভারী মালপত্র তোলার দরকার হলে ঐটা চালু হয় অথবা যদি রেগুলার লিফট কোন কারণে সার্ভিসিং এ থাকে তখন। নুসাইবা অন্য সবার মত তাই সার্ভিস লিফট চালু করতে বলেছে। এটাও মাহফুজের বলে দেওয়া। এতক্ষণ লাগছে কেন? অপেক্ষায় আর তর সয় না নুসাইবার। গতকাল বুয়া কে দিয়ে পুরাতন ডিপ ফ্রিজ পুরোটা পরিষ্কার করিয়েছে। ভিতরের জিনিসপত্র সব ফেলে অন্য ফ্রিজে যতটুকু রাখা যায় রেখে বাকিটুকু বুয়া কে দিয়ে দিয়েছে। গতকাল থেকে ফ্রিজটা বন্ধ করে রাখা। একবার খুলে দেখে ভিতরে। একদম ক্লিন। ওর সাথে একটা মাত্র হ্যান্ড লাগেজ নিয়েছে। মাহফুজ বলেছে এইটা সাথে রাখতে। কারণ কোন লাগেজ ছাড়া এয়ারপোর্টে গেলে লোকে সন্দেহ করবে। আবার বড় লাগেজ নিয়ে বের হবার উপায় নাই। নুসাইবা বেসিক কয়েকটা কাপড় নিয়েছে মাত্র। দুই তিন দিন চলবে। এরপর যা কাপড় সব লন্ডনে গিয়ে কিনে নিবে। এত বড় ঝামেলা থেকে বাচলে এরপর কাপড়ের কথা ভাবা যাবে। বাসায় কলিংবেল বাজে। নুসাইবা প্রায় দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে। সামনে চারটা ছেলে দাঁড়ানো। তিনজনের গায়ে ময়লা কাপড় পড়া। মুখে কালিঝুলি। এক জনের গায়ে সিংগারের শোরুমের সেলস এজেন্টদের মত করে কাপড় পড়া। তবে মাথায় ক্যাপের কারণে চেহারাটা ভাল করে বুঝা যায় না। ছেলেটা বলল ম্যাডাম মাহফুজ ভাই পাঠাইছে। নুসাইবা বড় করে দরজা খুলে দেয়। মিশন শুরু।


মাহফুজ সময় গুণতে থাকে। দশ মিনিট গেছে। গেট থেকে মিনিট পাচের  মধ্যে ছাড়া পেয়েছে। এরপর মিনিভ্যানটা ভিতরে ঢুকিয়ে পার্ক করেছে যাতে সহজে ফ্রিজটা তোলা যায়। মাহফুজের সাথে ওর ছেলেগুলোর মধ্যে যে লিডার মানে সিংগারের ড্রেস পড়া তার ফোনে কানেক্ট করা। মাহফুজ সব কথোপকথন শুনতে পাচ্ছে। লিফটে ফ্রিজ উঠছে। লিফট উপরে উঠার সময় ফোনের কানেকশন ঠিকমত কাজ করল না। মাহফুজের বুক ধকধক করছে। এমন ডেঞ্জারাস কোন অপারেশন এর আগে করে নি। জীবন মৃত্যুর ব্যাপার। ধরা পড়লে একদম শেষ। নুসাইবা হয়ত বেচে যাবে তবে ওর জন্য বাচা কঠিন হবে। ওর পিছনে বড় কোন নেতা বা টাকাওয়ালার হাত নেই। মাহফুজ নিজেকে এই বলে সান্তনা দেয় নুসাইবার বিপদ এর কারণ আসলে অনেকটা ও নিজে। আজকে নুসাইবা কে উদ্ধার করে সেই কর্মের প্রায়শ্চিত্ত করবে। এটাও মনে হয় আজকে নুসাইবা কে উদ্ধার করতে পারলে সিনথিয়ার সাথে ওর বিয়ের জন্য আর কোন বাধা থাকবে না। আগে যাই ঘটুক।  আজকে নুসাইবা কে উদ্ধার করতে পারলে নুসাইবা নিশ্চয় আগের সব অপরাধ ক্ষমা করে দিবে। আবার মনের ভিতর আরেকটা অংশ বলে নুসাইয়াব কে আজকে উদ্ধার করলে নুসাইবা চিরদিনের জন্য ওর হাতের বাইরে চলে যাবে। আজকে ইংল্যান্ড চলে গেলে কি আর ফিরে আসবে? আর কোন দিন কি নুসাইবা কে ছোয়া যাবে ফ্লোরার দোকানের মত, ওর বাসার সেই বিকালের মত। হয়ত নুসাইবা এরপর ওর সামনে আসবে শুধু সিনথিয়ার ফুফু হয়ে। ওর মনের সেই অংশটা বারবার বলে এমন স্পর্শ আবার নিতে না পারলে জীবন বৃথা। তবে মনের অন্য অংশটা বলে সিনথিয়া ছাড়া জীবন বৃথা। আর কোন মানুষ কে শুধু শুধু বিপদে ফেলে জীবনে শান্তিতে থাকা যায় না। এইসব দোলাচালের মধ্যে দেখে কখন যেন ত্রিশ মিনিট কেটে গেছে।


ঘরে ঢুকেই ক্যাপ পড়া ছেলেটা বলল ম্যাডাম আপনি পুরাতন ফ্রিজটা পরিষ্কার করে রেখেছেন? নুসাইবা মাথা নেড়ে পুরাতন ফ্রিজটা দেখাল। ছেলেটা সামনে এগিয়ে চেক করল। ফ্রিজ পরিষ্কার, কারেন্টের লাইন খুলে রাখা। ছেলেটা বলল ভাল করছেন ম্যাডাম। আমাদের কাজ অর্ধেক ইজি করে দিছেন। অন্য ছেলেগুলা এই সময় প্যাকেটটা খুলছিল। ক্যাপ পড়া ছেলেটা বলল খুলে লাভ নাই বাদ দে। ঐটার মধ্যে এমনিতেও ভাংগাড়ির দোকান থেকে কেনা একটা নষ্ট ফ্রিজ আছে। ছেলেটা নুসাইবার বাসায় থাকা ডিপফ্রিজটা দেখিয়ে বলে ম্যাডাম আপনি এই ফ্রিজে বসে পড়েন। ওদের কাধের ব্যাগে থাকা একটা ছোট অক্সিজেন সিলেন্ডার বের করে। বলে আমরা ফ্রিজটা লাগিয়ে দিচ্ছি। আপনি সিলিন্ডারের সাথে থাকা মাস্কটা মুখে দিয়ে বসে পড়েন। ভিতরে অনেক জায়গা। নুসাইবার সাথে তার হ্যান্ড লাগেজও দিয়ে দিল। ছেলেটা বলল আমরা ডিপ ফ্রিজের ডালা লাগিয়ে দিলে অনেক অন্ধকার থাকবে ভিতরে। ভয় পাবেন না। আর ভয় পেলেও শব্দ করবেন না। আপনি শব্দ করলে আপনি আর আমরা সবাই মারা পড়ব। নুসাইবা মাথা নাড়ায়। ছেলেটা বলে খালি ধৈর্য্য ধরেন। অল্প দশ পনের মিনিটের ব্যাপার। উপরের ঢালাটা লাগিয়ে দিতেই নুসাইবার মনে হয় অন্ধকার কবরে আটকা পড়ল বুঝি। এমনিতে বদ্ধ জায়গায় দম বন্ধ হয়ে আসে। আর এখন মনে হচ্ছে যেন নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে। হাতের কাছে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাস্কটা মুখে দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে। দোয়া দরুদ পড়তে থাকে সব। যতই ভয় পাক। কোন শব্দ করা যাবে না। ওর বাসার দরজা বন্ধ করে দেয় ছেলেগুলা। বাইরের শব্দ পুরোপুরি আসে না। খানিকটা ফোনে ডিস্টার্ব করলে যেমন কেটে কেটে কথা আসে তেমন করে আসছে। ক্যাপ পড়া ছেলেটার গলা শুনা যায় কেউ যেন কোন কথা না বলে। সব ডিলিংস সে করবে। নুসাইবা টের পায় ফ্রিজ লিফটে তোলা হচ্ছে। ফ্রিজ লিফটের মেঝেতে নামানোর সময় হ্যান্ড ল্যাগেজ সরে এসে ধাক্কা দেয়। ব্যাথা পায় হাটুর কাছে। তবে শব্দ করে না। মনে হয় শব্দ করলেই বুঝি ফ্রিজের ঢালা খুলে মুন্সী এসে বিকৃত হাসিটা দিবে। লিফট নিচে নামে। নুসাইবা গুণতে থাকে। লিফটের নামা বুঝি শেষ হয় না। অন্ধকারে বদ্ধ প্রকোষ্ঠে দমবন্ধ হয়ে আসে যদিও মুখে অক্সিজেনের মাস্ক। নুসাইবা বুঝে এটা মনের ভয়। এই ভয় কে জয় করতে না পারলে আর বড় ভয় আছে সামনে। লিফট থামে। ফ্রিজটা বের করছে ছেলে গুলো। ফ্রিজের মেঝেতে শুয়ে শুয়ে নাড়াচাড়া টের পায়। দোয়া দরুদ পড়তে থাকে। অন্ধকারের ভয় বাড়ছে ক্রমশ। আর ধরা পড়ার ভয়। দারোয়ানের সাথে ক্যাপ পড়া ছেলেটার জোরে জোরে কথা হচ্ছে। দারোয়ান বলে কি নিচ্ছেন ভাই এইটা। ছেলেটা বলে পুরাতন ফ্রিজ। নতুনটা রেখে গেলাম। ম্যাডাম আমাদের কাছে পুরাতন টা দিয়ে দিয়েছনে বিক্রির জন্য। দারোয়ান বলে ফ্রিজের ভিতরটা খুলে দেখান। নুসাইবা এমনিতেও ফ্রিজের বদ্ধ প্রকোষ্ঠে গরমে ঘামছে, ভয়ে কাপছে। দারোয়ানের কথায় যেন একদম জ্বর এসে গেল। সব কথা বুঝা যাচ্ছে না। কথা কাটাকাটি হচ্ছে। কয় মিনিট গেল? কিছু বুঝতে পারছে না নুসাইবা। জ্বর চলে আসবে মনে হচ্ছে ভয়ে। এই সময় ক্যাপ পড়া ছেলেটার জোর গলায় ঝাড়ি শোনা যায়। টাকা খাওয়ার এইসব ধান্দা ছাড়েন। উপরে ম্যাডামরে ফোন দেই তারপর বলি আপনি আমাদের যাইতে দিচ্ছেন না। টাকা চান। দারোয়ান কি বলে শোনা যায় না। তবে ফ্রিজ আবার মাটি থেকে উপরে উঠছে টের পায়। শক্ত কোন পাটাতনের উপর রাখা হল। ফ্রিজের উপরে কেউ একজন জোরে জোরে তিন চারটা চড় দিয়ে বলে লোড হইছে। গাড়ি ছাড়েন। নুসাইবার মনে হয় ক্যাপ পড়া ছেলেটার ঝাড়িতে কাজ হইছে। ছেলেটার উপস্থিত বুদ্ধিতে কাজ হইছে। নুসাইবার মনে হয় ছেলেটা বুঝে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। গাড়ি চলছে। ওকে বের করছে না কেন? অন্ধকারে দম বন্ধ হয়ে আসছে। তবে নুসাইবা কিছু করে না এখনো কারণ ওকে শক্ত করে বলে দেওয়া আছে। যতক্ষণ বাইরে থেকে ঢালা খোলা না হয় ততক্ষণ নুসাইবা যেন ভিতর থেকে কোন শব্দ না করে। অন্ধকারের প্রতীক্ষার কাল যেন শেষ হয় না।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৬) - by কাদের - 18-12-2023, 04:37 PM



Users browsing this thread: 4 Guest(s)