Thread Rating:
  • 185 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩২ )


সাফিনা করিম সাইকোলজিস্ট এর সামনে বসে আছে। আজকে অবশ্য একটু পর পর ডান কোণায় দেয়ালে ঝুলানো বড় ঘড়িটার দিকে চোখ চলে যাচ্ছে। কখন সেশন শেষ হবে। অন্যদিন সেশন আরেকটু বেশি চললে খুশি হয় তবে আজকে সেশন তাড়াতাড়ি শেষ হোক এটাই চাচ্ছে। আবার নিজের অস্থিরতা প্রকাশ করতে পারছে না। নুসাইবা বলে দিয়েছে কোন ভাবে যেন অন্য কেউ বুঝতে না পারে। সাফিনা করিম তাই আজকে নিজের অস্থিরতা খুব সচেতন ভাবে গোপন রাখার চেষ্টা করছেন। আজকে বৃহস্পতিবার। নুসাইবার কথামত টাকা ব্যাংক থেকে তুলে একটা প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে নিজের ব্যাগে রেখেছেন। নুসাইবা চলে আসার কথা এর মধ্যে। উনি এখন সাইকোলজিস্ট এর অফিস থেকে বের হয়ে ওয়েটিং রুম এর লাগোয়া ওয়াশরুমে যাবেন। টাকার ব্যাগটা ট্রাশ ক্যানের পিছনে রেখে বের হয়ে আসবেন। নুসাইবা আগে থেকে ওয়াশরুমের সামনে দাড়ান থাকবে যেন মনে হয় ওয়াশরুমে যাবার তাড়া আছে। উনি বের হলে নুসাইবা ভিতরে ঢুকে নিজের ব্যাগে টাকাটা নিয়ে নিবে। নুসাইবা এই টাকা দিয়ে ঠিক কি করবে সেটা বলে নি সাফিনা কে। আবার আরশাদের ঘটনাটা নিয়ে সমস্যাটা কেমন সেটা খানিকটা বললেও সাফিনা  টের পাচ্ছে নুসাইবা অনেক কিছুই লুকাচ্ছে। সাফিনার কোন বোন নেই। এত বছর ধরে নুসাইবাকেই নিজের বোন ভেবে এসেছে। তাই নুসাইবার জন্য চিন্তা হচ্ছে খুব।

সাইকোলজিস্ট আদিবা রহমানের এই দুই মাস ধরে সাফিনা করিমের বেশ অনেকবার সেশন নিয়েছেন। সেই সব সেশনের উপর ভিত্তি করে সাফিনা করিমের মানসিক অবস্থার একটা ধারণা পেয়েছেন। ডিপ্রেশন আইন্ডেন্টিফাই করার জন্য কিছু বেসিক সাইকোলজিক্যাল টেস্ট আছে। সেই সব গুলা বেশ কয়েকবার করে টের পেয়েছেন যে সাফিনার হালকা ডিপ্রেশন আছে। এই অবস্থায় সাধারণত ভাল ভাবে এড্রেস করতে পারলে ব্যাপারটা অল্পতে কন্ট্রোল করা যায়। ঔষুধ সাজেশন না দিয়েই খালি থেরাপি সেশনের মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যায়। আজকে তাই সামনে কিভাবে এই ডিপ্রেশন কন্ট্রোল করা যায় এবং তার জন্য কি কি করতে হবে সেটা নিয়ে একটা ডিটেইলড প্ল্যান আলোচনা করছেন আদিবা। তবে আদিবা খেয়াল করলেন সাফিনা সেইভাবে মনযোগ দিয়ে কথা শুনছে না। ডিপ্রেশনের রোগীরা অনেক সময় মনযোগ ধরে রাখতে পারে না। অল্পতে রেগে যায়। প্রচন্ড মুড সুইং হয়। আদিবা রহমান নিজের নোট খাতার দিকে তাকান, অল্প অল্প করে সব গুলো লক্ষণ আছে সাফিনা করিমের মধ্যে। এই বয়সের এমন আর কয়েকজন রোগী পেয়েছেন আদিবা রহমান। সবার ডায়াগনসিস প্রায় সেইম। স্বামীরা এই বয়সে এসে ওয়াইফদের উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, কেউ বাইরে অন্য নারী খুজেন, কেউ কর্মজীবনে আর বেশি মনযোগ দেন। বাচ্চা কাচ্চারা বড় হয়ে যায় ফলে মায়ের দরকার তাদের জীবনে প্রায় নাই হয়ে যায়। আর তার উপর মধ্য বয়সের জীবনের হতাশা। সব মিলিয়ে একটা আইন্ডেন্টিটি ক্রাইসিস শুরু হয়ে যায় মহিলাদের। সাফিনা করিম তার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন। বাচ্চা আর সংসারে মনযোগ দিতে গিয়ে কাজে সময় দিয়েছেন কম। তাই সম বয়সী অনেকের তুলনায় কর্মজীবননে খানিকটা পিছিয়ে আছেন। সেটা সাফিনা কে পীড়া দেয়। আবার এই যে দুই মেয়ে বড় হয়ে যার যার মত জীবনে ব্যস্ত, মায়ের জন্য সময় কম সেটাও তার মনে অভিমান তৈরি করে। আর হাজব্যান্ড কাজে এত ব্যস্ত সেটাও সাফিনার মনে ক্ষোভ জন্ম দিয়েছে। সংসারের জন্য সময় দেওয়ার কারণে ঢাকার বাইরে পোস্টিং নেয় নি, নিলে আজকে কোন কলেজের প্রিন্সিপাল হতে পারত। আর হাজব্যান্ড খালি কাজে সময় দিচ্ছে যাতে আর উপরে উঠতে পারে। সাফিনার মানসিক অবস্থার দিকে খেয়াল নেই যেন। ক্লাসিক মিড লাইফ ক্রাইসিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সাফিনা। একজন ভাল সংগী দরকার যার সাথে সুখ দুখের কথা শেয়ার করতে পারবে সাফিনা। পরিবারে সদস্যদের আর মনযোগ দেওয়া দরকার সাফিনার প্রতি। আর সাফিনার দরকার সেলফ কেয়ার। নিজের সুখ, ইচ্ছা গুলোর দিকে আর মনযোগ দেওয়া।


সাফিনা, সাইকোলজিস্ট যা বলছে তাতে খালি হু হা করে যাচ্ছে। আজকে দ্রুত বের হতে হবে। ঘড়ির কাটা পাচটা বাজতেই সাফিনা বলে আজকে তাহলে উঠি। সাইকোলজিস্ট আদিবা রাহমান আজকে আর আটকান না। রোগীর মেজাজ মর্জি বুঝে চলা সাইকোলজিস্টদের বড় গুণ। রুম থেকে বের হয়ে চোখের কোণা দিয়ে তাকায় সাফিনা। এক কোণায় বসে আছে নুসাইবা। আর আরেক সাইডে একটা সিংগেল সোফায় বসে আছে আরেকজন লোক। হয়ত পরের রোগী। নুসাইবার কথামত নুসাইবা কে না চেনার ভান করে বাথরুমে ঢুকে। ঢুকে ঘড়ি দেখে পাচ মিনিট অপেক্ষা করে। এরপর বের হয়ে কোন দিকে না তাকিয়ে বের হয়ে যায়। বের হবার সময় ঘাড় ঘুড়িয়ে একবার পিছনে তাকায়। বাথরুমের দরজা দিয়ে ঢুকছে নুসাইবা।


নুসাইবার বুক উত্তেজনায় ধক ধক করছিল। আধা ঘন্টা ধরে এসে বসে আছে। ভাবী কখন বের হবে। এর মধ্যে একটা লোক এসে বসল ওয়েটিং রুমে। সামনে থাকা টেবিলের উপর ম্যাগাজিনগুলো নিয়ে উলটে পালটে দেখছে। মাঝে মাঝে আড়চোখে ওকে দেখছে টের পাচ্ছে নুসাইবা। মোবাইলের স্ক্রিনে স্ক্রল করতে করতে নিজের উত্তেজনা চেপে রাখার চেষ্টা করছে। লোকটা কি ম্যানেজার বা মুন্সীর কার লোক? নাকি ডাক্টার আদিবা রহমানের কোন পেসেন্ট। আদিবা রহমান কোন পেসেন্ট নেবার আগে একটা আধা ঘন্টার প্রি স্ক্রিনিং সেশন করেন। আজকে সেটা হবার কথা। সেই জন্য টাইম নিয়েছে। তবে সেটা আর ঘন্টা দেড়েক পরে। নুসাইবার অবশ্য ইচ্ছা নেই সেখানে থাকার। ওর প্ল্যান খালি টাকাটা নেওয়া। ভাবী বের হয়ে কোন দিকে না তাকিয়ে বাথরুমে ঢুকল। এর মধ্যে সময় যেন আর কাটছে না। ভাবী কে বলেছিল যেন অন্তত মিনিট পাচেক ভিতরে বসে থেকে তারপর বের হয়। নুসাইবার কাছে প্রতিটা সেকেন্ড এখন ঘন্টার মত মনে হচ্ছে। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। ভাবী বের হয়ে আবার কার দিকে না তাকিয়ে বের হয়ে গেল। নুসাইবা তাড়াতাড়ি বাথরুমে ঢুকল। ট্রাশ ক্যানের পাশেই পলিথিনের ব্যাগ। উপরে একটা খাম রাখা। নুসাইবা খামটা খুলল। ভাবীর হাতের লেখা। যত চেয়েছিলি তার থেকে দুই লাখ বেশি আছে। সাবধানে থাকিস। আর কিছু লেখা নেই। তাড়াতাড়ি চিঠি আর টাকার ব্যাগটা নিজের বড় হ্যান্ডব্যাগে ঢুকায়। ভিতরে চার পাচ মিনিট অপেক্ষা করে। এরপর বের হয়ে আবার ওয়েটিং রুমে বসে। প্ল্যান মত আর দশ মিনিট ওয়েট করে। এর মধ্যে আরেকজন লোক আসে। সে ডাক্টার আদিবা রহমানের রুমে ঢুকে যায়। যেই লোকটা প্রথমে এসেছিল সে এখনো ম্যাগজিন উল্টানোর ভংগীতে নুসাইবা কে আড়চোখে দেখছে। সুন্দরী হবার কারণে ছেলেদের চোরাচাহনি সবসময় দেখে এসেছে। অন্যদিন বিরক্ত হলেও আজকে মনে মনে দোয়া করছে যেন এই লোকটা ওকে সৌন্দর্যের জন্য এইভাবে আড়চোখে দেখে। মুন্সী বা ম্যানেজারের লোক হলে কি হবে ভাবতে গলা শুকাচ্ছে। ওর প্ল্যানের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে এই টাকা। এরপর আস্তে আস্তে উঠে গিয়ে কাউন্টারের মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করল আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। মেয়েটা বলে ম্যাডাম ভিতরে তো একজন পেসেন্ট আছে। আর সেশন প্রায় এক ঘন্টার। তাই আপনাকে অতক্ষণ ওয়েট করতে হবে। নুসাইবা বলে আমার আসলে একটা কাজ পড়ে গেছে। আজকে যেতে হবে। পরে কি রিশিডিউল করা যায়। মেয়েটা বলে আগামী সাপ্তাহে কিছু হবে না। তার পরের সাপ্তাহে ডেট আছে। নুসাইবা রাজি হয়। আসলে নুসাইবা কোন গ্যাপ রাখতে চাচ্ছে না। যাতে কেউ আসলে এখানে অস্বাভাবিক কিছু খুজে না পায়। এরপর দুই সাপ্তাহ পরের একটা ডেট নিয়ে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসে।


বের হয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামে। দূরে ম্যানেজারের লোকদের সহ একটা গাড়ি দাঁড়ানো। ওর কাছে এসে দাঁড়ায়। নুসাইবা বলে আজকে এই গাড়িতে যাবে না। রিক্সা নিবে। ম্যানেজারের লোকগুলো অনুরোধ করে তাও নুসাইবা বলে রিক্সা নিবে আজকে। ম্যানেজারের লোকগুলো গাড়ি নিয়ে ওকে ফলো করে। রিক্সা থেকে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে ফিরে তাকায়। দেখে গাড়িটা স্লো গতিতে একটু দূর থেকে ফলো করছে। হাসি পায় নুসাইবার। এই প্রথম মনে হচ্ছে ঘটনার উপর ওর নিয়ন্ত্রণ আসছে। নুসাইবা কিছু একটা করছে ওদের অগোচরে। যেটা ওরা জানে না। তাই যতই ওরা ফলো করুক নুসাইবার মনে নিজের লাইফের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবার একটা আত্মবিশ্বাস জন্ম নিচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় আবার মাহফুজের সাথে কথা হয়েছে। আবার বুয়ার ফোন দিয়ে। বুয়া একটু অবাক হয়েছে তবে কিছু বলে নি। কারণ কথা শেষ হলে কড়কড়ে একটা একশ টাকার নোট। আর বুয়া বিশ্বস্ত। নুসাইবা প্রতিবার কথা শেষে ফোন লগ ক্লিয়ার করে দেয়। আর বুয়া জানে বড়লোকদের কত কি রকম ব্যাপার স্যাপার থাকে। কার পরপুরুষের সাথে পিরিতি তো কার অন্য ধান্দা। নুসাইবা কে এতদিন এমন কিছু করতে দেখে নি। দেখলেও বুয়ার কিছু আসে যায় না। এই ম্যাডামের মত হেল্প আর কেউ করে না। এমনিতে একটু বকাঝকা দেয় তবে দিল  পরিষ্কার। আর তার ফোন নিয়ে এমন কথা বলায় বুয়া একটু খুশিই হয়। কারণ জানে মানুষ যখন কোন গোপন কাজ করে তার যে স্বাক্ষী তাকে সব সময় সমজে চলে। তাই বুয়া কিছু না বলে নিজের মত কাজ করে। আর নুসাইবা মাহফুজের সাথে রুমে দরজা বন্ধ করে কথা বলে। মাহফুজের বুদ্ধিতে আজকে এই রিক্সা নিয়েছে। রিক্সাওয়ালা কে তাই সোজা রাস্তা দিয়ে না নিয়ে, নানা গলি দিয়ে ইচ্ছামত ঘুরিয়ে নিচ্ছে। ঘুরুক পিছন পিছন। মাহফুজ খালি বলে দিয়েছে তিন টা নির্দিষ্ট পয়েন্ট দিয়ে যেন রিক্সাকে ঘুরিয়ে আনে। আর কি জামা কাপড় পড়বে সেটাও শুনে নিয়েছে মাহফুজ। যাতে পরে চিনতে সুবিধা হয়। নুসাইবা জিজ্ঞেস করেছিল কেন? মাহফুজ বলল আপনি যত কম জানবেন তত ভাল ফুফু। ফুফু শব্দটার উপর একটা জোর দেয় মাহফুজ। রিক্সায় বসে ভাবে নুসাইবা, অন্য সময় হলে এই ফুফু শব্দটা এইভাবে বলার জন্য ঝাড়ি দিয়ে শেষ করে দিত মাহফুজ কে। কিন্তু এই বিপদের সময় আর কেউ নেই ওর পাশে। যে উদ্দ্যেশ করুক না কেন মাহফুজ এখন ওর একমাত্র মিত্র। আর মাহফুজের সাথে গত দুই দিনের কথায় মনে হচ্ছে মাহফুজ আসলেই উদবিগ্ন। সেটা কি সিনথিয়ার ফুফু বলে নাকি ওর প্রতি কোন টান আছে বলে সেটা শিওর না নুসাইবা। তবে এখন এসব নিয়ে ভাবার অত সময় নেই। আগে এইসব রাক্ষসদের খপ্পড় থেকে বের হতে হবে। নুসাইবার বিশ্বাস মাহফুজ কে সে কন্ট্রোল করতে পারবে। অবশ্য নুসাইবার মনের ভিতর আরেক কোণ থেকে কেউ বলে উঠে দুই দুইবার মাহফুজের কাছে কন্ট্রোল হারিয়েছে সে, এইবার কি আসলেই পারবে মাহফুজ কে কন্ট্রোল করতে। মনের ভিতর এইসব কথা কে উড়িয়ে দেয় নুসাইবা। এইসময় এত চিন্তা করার উপায় নেই। আসল প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আর সেখানে মাহফুজ তার একমাত্র সহায়। প্ল্যান অনুযায়ী নির্দিষ্ট গলি গুলো দিয়ে রিক্সাগুলো কে ঘুরিয়ে আসল গন্তব্যে এসে পৌছায়। বাসার থেকে দুই মাইল দূরে সিংগারের একটা বড় শোরুম আছে। ওদের সব ধরণের পণ্যের জন্য। এখান থেকে আগে জিনিস কিনেছে। আরশাদ ট্যাক্স কমিশনার দেখে খুব খাতির করে দোকানের ম্যানেজার। প্ল্যানের সফল করবার জন্য পরবর্তী চালটা চালতে হবে এখান থেকেই। রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া মিটায়। একটু দূরে  ম্যানেজারদের মাইক্রোটা থেমেছে। ওর পিছন পিছন একটা সিএনজি এসে থেমেছে। ভিতর থেকে কেউ না নামলেও ভিতরের মুখটা দেখে বুক ধক করে উঠে নুসাইবার। আদিবা রহমানের রুমে বসা সেই পেসেন্ট। গাড়ির লোক যদি ম্যানেজারের হয় তাহলে সিএনজির লোক কে? মুন্সীর লোক? বুকের কাপুনি বাড়ে। তবে একটু আগের স্মৃতি মনে হয়। ও কি করছে কেন করছে এই লোক গুলো জানে না। এরা ওকে ফলো করলেও অন্ধের মত করছে। তাই আবার সাহস ফিরে পায়। প্ল্যানের পরের অংশ সফল করতে হবে ওকে। বুক ভরে একটা শ্বাস নেয়, এরপর দরজা ঠেলে সিংগারের শোরুমের ভিতর ঢুকে পড়ে।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৬) - by কাদের - 18-12-2023, 04:36 PM



Users browsing this thread: Jyoti_F, 7 Guest(s)