Thread Rating:
  • 183 Vote(s) - 3.34 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )
আপডেট ২৬



মুন্সী সাধারণত কার সাথে দেখা করে তার থেকে খবর আদার করবার সময় একটা জিনিস নিশ্চিত করে। যত বেশি সম্ভব তথ্য আগে থেকে জেনে নেয় লোকটা সম্পর্কে। এইবার এই কাজটা করবার সময় যত বেশি সম্ভব খবর যোগাড় করার এই কাজটা ঠিক করে উঠতে পারছে না। প্রথমত ওশন গ্রুপ তাকে কাজ দিয়েছে একদম শেষ মুহুর্তে। যখন নমিনেশন সাবমিট করার আর মাত্র দুই মাস আছে। এই সময় প্রথম একমাস অনেক রকম লিডের পিছে ঘুরে ঘুরে ব্যর্থ হয়েছে। সানরাইজ গ্রুপ অনেক লিড বছর খানেক আগেই হাওয়া করে দিয়েছে আর যেগুলো আগে করে নি সেগুলো এখন করেছে। এর মধ্যে হঠাত করে আরশাদের সম্পর্কে শুনে মুন্সী। ট্যাক্স ক্যাডারের এক অফিসারের সাথে নাকি সানরাইজ গ্রুপের দহরম মহরম আছে। মুন্সী তার সব কানেকশন কাজে লাগিয়ে ঠিক নিশ্চিত হতে পারে না আরশাদ সেই লোক কিনা। তাই ওশন গ্রুপের সাহায্যে এক সিনিয়র ট্যাক্স অফিসার কে দিয়ে আরশাদের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। ওর মেইন উদ্দ্যেশ ছিল যাচাই করা। সেই সিনিয়র অফিসারে কাছ থেকে শুনে ওশন গ্রুপ আর সানরাইজ গ্রুপের নাম শুনে নাকি আরশাদের মুখ ভয়ে রক্তশূণ্য হয়ে গিয়েছিল। মুন্সী বুঝে এইবার একটা জলজ্যান্ত লিডের খোজ পেয়েছে। তবে আরশাদ সম্পর্কে তেমন কোন খবর ছিল না ওর কাছে। ওদের ট্যাক্স অফিসে লিংকের মাধ্যমে প্রথম খোজ বের করার চেষ্টা করেছে মুন্সী। আরশাদ একজন স্টার অফিসার এটা বুঝেছে। নরমাল ইম্প্রেশন হচ্ছে সৎ, স্মার্ট অফিসার। তবে কয়েকদিন আগে নাকি একটা পত্রিকার রিপোর্ট বের হয়েছে তার সম্পর্কে। মুন্সী নিজে পত্রিকাটা যোগাড় করে পড়ল। ঠিক সরাসরি কিছু বলা নাই রিপোর্টে। পরের পর্বে বিস্তারিত লেখা থাকবে বললেও আর পরের পর্ব বের হয় নি। মুন্সী তিনটা কাজ করল প্রথমেই। প্রথমে পত্রিকার রিপোর্টারের কাছ থেকে কোন খবর বের করা যায় কিনা সেই চেষ্টা করল। দ্বিতীয় আরশাদের ঢাকার ড্রাইভার কে হাত করার চেষ্টা করল। আর তিন নাম্বার হল আরশাদের ফোন নাম্বারে কারা ফোন করে আর কোথায় আরশাদ ফোন করে সেই নাম্বার গুলার একটা লিস্ট বের করল পুলিসের টেলিকম বিভাগের লিংক দিয়ে। পত্রিকার রিপোর্ট করেছিল অমিত আজাদ নামে এক সাংবাদিক। পলিটিক্যাল বিটের নিউজ করে লোকটা তবে আশ্চার্যজনক ভাবে দূর্নীতির রিপোর্ট করেছে আবার পুরো রিপোর্ট কমপ্লিট করে নি। তবে লোকটা কে আপাতত ধরা যাচ্ছে না। পলিটিক্যাল বিটের নিউজ করে। প্রধানমন্ত্রী দুই সাপ্তাহের জন্য দেশের বাইরে গেছে। সেই সব রিপোর্ট করার জন্য পলিটিক্যাল বিটের সাংবাদিক হিসেবে দেশের বাইরে গেছে অমিত আজাদ। ফলে সেই দিকটা বন্ধ। এর আগে সোলায়মান শেখ চেষ্টা করলেও আরশাদের ড্রাইভারের মুখ দিয় কথা বের করতে পারে নায়। তবে সোলায়মান শেখ পুলিশের লোক হলেও তার কিছু পিছুটান ছিল। মাহফুজের নির্দেশ ছিল যেন কেউ কোন ভাবে টের না পায় খবর সংগ্রহ করা হচ্ছে, তার উপর পুলিশের লোক ছিল সোলায়মান শেখ এটা বের হলে আরশাদ পুলিশের বন্ধুদের দিয়ে সোলায়মানের চাকরির বারটা বাজাতে পারত। তাই ড্রাইভারের সাথে গোপনে খাতির জমানো ছাড়া আর খবর বের করার কোন উপায় ছিল না। মুন্সীর সেই সমস্যা নাই। আর মুন্সী ব্লাকমেইল, ভয় দেখানো এইসবে ওস্তাদ। তাই কিছুটা ভয় দেখানো আর অল্প কিছু টাকা দিতেই আরশাদের ড্রাইভার বশ মেনে গিয়েছিল। তবে টাকার লোভে যতটা না তার থেকে বেশি মুন্সীর দেখানো ভয়ে। ড্রাইভার থেকে আরশাদের জুয়ার বের করে ফেলেছিল। সেখান থেকে সব খবর বের করলেও ফ্লোরা হাসানের খবরটা ঠিক বের করতে পারে নি। ফ্লোরা হাসানের ব্যাপারে আরশাদ সাবধান ছিল। তাই গাড়ি নিয়ে সব সময় ফ্লোরার বাসায় গেলেও কখনো গাড়ি রাখত না। বনানীতে ফ্লোরার বাসার সামনে পৌছে গাড়ি ছেড়ে দিত, অনেক সময় গাড়ি না নিয়ে উবার নিত। আর ফেরার সময় সব সময় উবার। তাই ড্রাইভারের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না বনানীর এই বাসায় ঠিক কি কারণে যায়। বনানীর বাসাটা তাই মুন্সীর কৌতুহল তৈরি করে। কি আছে এই এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে। তবে এত এত বাসার মধ্যে কোনটাতে যায় এই খবর বের করার চেষ্টা করতে থাকে মুন্সী। আর এর মাঝে পুলিশে থাকা নিজের লোকদের দিয়ে আরশাদের ফোন লিস্ট বের করে। সেখানে সব নাম্বার পরিচিত  নাম্বার। আরশাদের বৌ, অফিস, বন্ধু, আত্মীয় স্বজন। তবে একটা নাম্বার কার সেটার কোন হদিস প্রথমে করতে পারে না মুন্সী। ফোনের রেজিস্ট্রেশন চেক করতে দেখে এটা ফ্লোরা হাসান বলে একজনের নামে রেজিস্ট্রেশন করা আর ঠিকানা বনানীর সেই ঠিকানা। মুন্সীর মুখে হাসি ফুটে উঠে। আরশাদ লোকটা হারামী আছে। ঘুষ্, জুয়া, নারী সব কিছুতেই আসক্তি কিন্তু সমাজের কাছে ভাল মানুষ হিসেবে চিহ্নিত। মুন্সীর বুঝতে কষ্ট হয় না ফ্লোরা হাসান আরশাদের সাইড পিস। মানুষ কে ব্লাকমেইল করার ক্ষেত্রে এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গুলা খুব কাজের। অনেক কে মারার ভয় দেখালেও যা হয় না সামান্য কয়টা ছবি লিক করা বা তার বউ/জামাই অথবা ছেলেমেয়ের কাছে এই পরকীয়ার কথা বলে দেওয়ার ভয় দেখালে এর থেকে বেশি কাজ হয়। শারীরিক মৃত্যুর থেকে সামাজিক মৃত্য বেশি ভয়ংকর সাধারণত মানুষের কাছে।


মুন্সী তাই যখন ফ্লোরা হাসান আর আরশাদের সম্পর্ক নিয়ে আর ভাল করে খোজ বের করছে ঠিক তখন যেন প্রতিপক্ষের চালে মুন্সী খেই হারিয়ে ফেলল। সানরাইজ গ্রুপ টাকাওয়ালা, বুদ্ধিমান আর নিজেদের বাচানোর জন্য দারুণ রুথলেস। সেটা জানলেও মুন্সী টের পায় নি সানরাইজ গ্রুপ এই কাজ করবে। আরশাদ আর ফ্লোরা নিয়ে খোজ নেবার জন্য নিজের বিশ্বস্ত একজনকে দ্বায়িত্ব দিয়েছিল আর মুন্সী নিজে তখন আর কয়েকটা রাস্তা খুজে দেখছিল সানরাইজ গ্রুপের ফাক ফোকড় খুজে বের করবার জন্য। ঠিক তখন যাকে দ্বায়িত্ব দিয়েছিল আরশাদ আর ফ্লোরার খোজ বের করার সে ফোন দিয়ে বলল আরশাদ আর ফ্লোরা নাকি হাওয়া। হাওয়া মানে একদম বাতাসে উবে গেছে। কোন নাম নিশানা নেই। মুন্সী নিজে এবার খোজ করতে গিয়ে দেখে কথা একদম সঠিক। সানরাইজ গ্রুপের নিষ্ঠুরতার অনেক গল্প প্রচলিত আছে। মুন্সীর মনে হয় সানরাইজ গ্রুপ কি দুইজন স্বাক্ষী গুম করে দিল নাকি। তবে নুসাইবার উপর নজর রাখা লোক জানাল আরশাদের বউ নিয়মিত অফিস যাচ্ছে, বাসায় আসছে। মুন্সী হিসাব করে দেখলে এর মানে আরশাদ গুম হয় নি কেননা তাহলে বউ টের পেত আর তখন একটা কিছু করার চেষ্টা করত, অন্তত কিছু না করতে পারলেও মানসিক কষ্টে অফিস যাওয়া বন্ধ করত কয়েকদিনের জন্য। সেটা যখন হচ্ছে না তার মানে আরশাদ কে সানরাইজ গ্রুপ লুকিয়ে রেখেছে। আর সেটা তার বউ জানে। এখন দেখা দরকার আরশাদের বউ আসলে কতটুকু জানে আর সেই জানাটুকু দিয়ে মুন্সী কতটুকু কাজ এগিয়ে নিতে পারে।  

এদিকে আরশাদ চলে গেছে তখন প্রায় সাতদিন। এর মাঝে আরশাদের বর্ননা করা কিছু হয় নি, কেউ ভয় দেখায় নি, আরশাদের খোজ নিতে আসে নি। এইসব কিছু কি মিথ্যা নাকি সেই সন্দেহ আবার শক্ত হয়েছে নুসাইবার। আরশাদের উপর সব সময় একটা অন্ধ আস্থা ছিল এতদিন নুসাইবার। গত কয়মাসে সব ভেংগে চুড়ে গেছে। তাই নুসাইবার এখন মনে হচ্ছে হয়ত নিজেকে আড়াল করতে আর নিজের দোষ কে আড়াল করতে এই নাটক সাজিয়েছে আরশাদ। ম্যানেজার লোকটা হয়ত ওর ভাড়া করা কেউ। আবার রিয়াদের ব্যাবহারে মনে হচ্ছে আরশাদের ঘটনা সত্য হতে পারে। রিয়াদ কে ফোন করেছিল কয়েকবার ধরে নি। পরে জেবা কে ফোন দিয়েছিল ওর হাজব্যান্ডের সাথে কথা বলার জন্য। ফোন ধরে রিয়াদ কয়েকবার স্যরি বলে বলেছিল ভাবী এখানে ফোন করবেন না। কোন খবর থাকলে আমি জানাব। রিয়াদের গলায় একটা চাপা আতংক শুনতে পেয়েছিল নুসাইবা। রিয়াদ কি সত্যি ভয় পাচ্ছে? আরশাদ ওর এতদিনের বন্ধু। ওদের এত ক্লোজ সম্পর্ক। এখন তাহলে রিয়াদ ভয় পাচ্ছে কেন। আসলেই কি এমন কিছু হচ্ছে যাতে রিয়াদ ওর এতদিনের বন্ধুত্ব কে দূরে রেখে সাবধান হতে চাইছে। নুসাইবার মনে যখন আরশাদের হঠাত করে হাওয়া হওয়া আর এর পিছনের কারণ নিয়ে মনে সন্দেহ শক্ত হচ্ছে তখন মুন্সী প্রথমবারের মত নুসাইবার সামনে আসল।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৫) - by কাদের - 17-11-2023, 03:20 PM



Users browsing this thread: buddy12, 16 Guest(s)