Thread Rating:
  • 183 Vote(s) - 3.34 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )


নুসাইবা ঘড়ির দিকে তাকায়। সাতটা বাজে। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। আজকে বৃহস্পতিবার। আজকে দুপুরেও আরশাদের সাথে কথা হয়েছে। আরশাদ বলেছে কালকে সকাল দশটার ফ্লাইটে ঢাকা আসছে। ওকে নাকি  বদলি করা হয়েছে তাই সব কিছু গুছিয়ে কালকে সকালে আসবে। নুসাইবা বুঝতে পারছে না কি বিশ্বাস করবে। ফ্লোরার ঐখানে ফোন কল থেকে নুসাইবা জানে এখন এই মূহুর্তে হয়ত আরশাদ ফ্লোরার বাসায়। একবার মনে হয়েছিল সরাসরি গিয়ে ফ্লোরার বাসায় হাতেনাতে ধরে ফেলে ওদের দুইজনকে। ঠিক তার পরের মূহুর্তেই মনে হয়েছে ফ্লোরা এখন ওকে চিনে নাজনীন হিসেবে আর মাহফুজ কে ওর হাজব্যান্ড হিসেবে। তাই আরশাদ কে ধরতে যাওয়া মানে নিজেই এক্সপোজ করা। আর একা একা সেই এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে যাওয়ার সাহস  নেই নুসাইবার আর গেলেও হয়ত সিকিউরিটি ভিতরে ঢুকতে দিবে না। এইসব ব্যাপারে এক্সপার্ট কাউকে সাথে নিয়ে যেতে পারলে ভাল। নুসাইবার এমন পরিচিত কেউ বলতে আছে মাহফুজ। আর মাহফুজ কে এই মূহুর্তে সরাসরির দেখার সাহস নেই নুসাইবার। পর পর দুই বার ওর শরীর যেভাবে বিদ্রোহ করেছে মাহফুজের স্পর্শে এখন যেন তাই নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। আবার এও জানে এতে ওর দোষ কি। মাহফুজ প্রতিবার পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে। ছেলেটাকে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। সুযোগ সন্ধানী শয়তান? তবে প্রতিবার ও নিজে মাহফুজ কে ঢেকেছে নিজের প্রয়োজনে সেটাও অস্বীকার করতে পারছে না। মাহফুজ যেমন শেষবার ওকে বলেছে আপনি খালি  মানুষ কে প্রয়োজনে ইউজ করেন। কথাটা শুনেই নুসাইবার গা জ্বলে গিয়েছিল মেজাজে। রাগে কিছু বলে উঠতে পারে নি তখন। ফ্লোরার দোকান থেকে মাত্র বের হয়েছে। এত লজ্জাকর একটা অভিজ্ঞতা হবার পর কি বলবে কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। আর বের হয়ে দেখে মাহফুজ মুচকি মুচকি হাসছে। তখন আর মেজাজ ধরে রাখতে পারে নি। নুসাইবা মাহফুজের দিকে তাকিয়ে বলেছিল তুমি একটা সুযোগসন্ধানী শয়তান। মাহফুজের মুখের মুচকি এক নিমিষে মিলিয়ে গিয়ে সেখানে অপমানের চিহ্ন ফুটে উঠে। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে মাহফুজ তাই বলে আপনি নিজেকে কি ভাবেন? প্রতিবার নিজের প্রয়োজনে কাছে ডাকবেন আর ইউজ করে ছুড়ে ফেলে দিবেন? আজকে আমি কি করেছি? আপনি তো ফ্লোরা হাসানের সাথে দেখা করতে চাইলেন? আমরা দেখা করতে এসেছি। এরপর যা ঘটছে তার আমি কি জানি। ফ্লোরা হাসান তা করেছে। চাইলে উনাকে গিয়ে ধরেন। সেটা তো পারবেন না। আপনার হাজবেন্ডের সাথে ফষ্টিনষ্টি করছে সেটা নিয়েও কিছু বলতে পারবেন না। পারবেন আমার উপর এসে রাগ দেখাতে। অপমান করতে। আর আমার কি করার ছিল। আপনি এমন ভাবে ব্রা প্যান্টি পড়ে আসনে আসলে মরা মানুষও কবর থেকে উঠে দাঁড়াবে। মাহফুজের মুখে এইভাবে ব্রা প্যান্টি শুনে যেন শক লাগে আবার। দোকানের ভিতর যা হয়েছে তখন সব কিছু হয়েছে হাতের স্পর্শে, মুখের ছোয়ায়। সেটা যতনা বিব্রত করেছে এখন যেন মুখের শব্দ এর থেকে বেশি  বিব্রত করছে। মাহফুজ বলে আপনি যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন এটা দেখলে যে কোন ছেলে হার্টফেল করবে। আপনার হাজব্যান্ডের মত গাধা হলে কেউ এমন জিনিস ফেলে বাইরে নজর দেয়। মাহফুজ এমন খুল্লাম খুল্লা করে সব বলছে দেখে নুসাইবা অবাক হয়ে যায়। অনেক সময় কিছু জিনিস গোপন রাখলে অন্তত নিজের কাছে একটা আড়াল পাওয়া যায়। মাহফুজ যেন একটানে সে পর্দা সরিয়ে দিয়েছে। সেদিন এর বেশি আর কথা হয় নি। এরপর থেকে মাহফুজ ওর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে নি, আর  নুসাইবাও চেষ্টা করে নি যোগাযোগ করার। তাই এই মূহুর্তে নুসাইবার কাছে কোন বুদ্ধি নেই ঠিক কিভাবে আরশাদের সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করা যায়।


নুসাইবা আবার ঘড়ির দিকে তাকায়। এইসব ভাবতে ভাবতে কোথা দিয়ে একটা ঘন্টা চলে গেছে সেটা যেন টের পায় না। সেই দুপুরে লাঞ্চ করেছে কিন্তু এখনো কোন ক্ষুধা টের পায় না। গত দুই তিন যেন ক্ষুধা চলে গেছে। দুই তিন মাসের আগের সেই শান্ত জীবনটা এখন কোথায় যেন হাওয়া। সেই জীবনে অপূর্ণতা ছিল তবে এমন অশান্তি ছিল না। এখন যেমন মনে হচ্ছে গত পনের বছরের জীবনটা পুরোটাই বুঝি মিথ্যা। নুসাইবা ফোন তুলে নেয় হাতে। রিং দেয় আরশাদের নাম্বারে। কয়েকবার বেজে বন্ধ হয়ে যায়। নুসাইবার মনে হয় কি করছে এখন আরশাদ। ফ্লোরার বাহুডোরে বাধা নাকি। ফ্লোরার মেইনটেইন করা ফিগার। বয়স পঞ্চাসের আশেপাশে হবে তবে মুখ না দেখে ফিগার দেখলে সেটা বুঝার উপায় নেই। ফ্লোরার ফিগারের জন্য কি আরশাদ ফ্লোরার কাছে যায়? কিন্তু আরশাদ ওকে তো বলে ওর মত ফিগার নাকি বেস্ট। শুকনা না আবার মোটাও না। নাকি এটাও আরশাদের আর অনেক মিথ্যার মত একটা মিথ্যা। আরশাদ কি আসলে ওকে ইউজ করছে। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাত করে ফোন বেজে উঠে। ফোনে তাকাতে দেখে আরশাদের নাম্বার। রিসিভ করতেই ঐপাশ থেকে আরশাদের গলা শোনা যায়। আরশাদ বলে নুসাইবা তুমি তাড়াতাড়ি আমার কিছু কাপড়চোপড় রেডি কর। নুসাইবা হঠাত করে আরশাদের কাছ থেকে এমন কথা শুনে অবাক হয়ে যায়। জিজ্ঞেস্ করে কি হয়েছে। আরশাদের গলা কাপছে ফোনের ঐপাশ থেকে। বাসায় এসে সব বলছি। নুসাইবা জিজ্ঞেস করে তুমি কোথায়? আরশাদ বলে সব বলছি বাসায় এসে। তুমি প্লিজ কাপড় গুলো রেডি কর।  বেশি সময় নেই। বলে ফোনটা কেটে দেয়। নুসাইবা এইবার একদম পাজলড হয়ে যায়। কি বলছে আরশাদ। নিজের প্রেমিকার কাছে যাওয়ার জন্য কি ওকে কাপড় গোছাতে বলছে? আবার পরক্ষণেই ভাবে আরশাদের গলায় একধরণের তাড়া ছিল কেমন যেন ভয় পাওয়া মানুষের গলা। কিছু কি হয়েছে? আরশাদের না এই সময় ফ্লোরার সাথে থাকার কথা ছিল তাহলে বাসায় আসছে কেন? আসলেই কি কাপড় গোছাবে? বুকের ভিতর থাকা আরশাদের জন্য ভালবাসাটা যেন আবার হু হু করে ফিরে আসে। কোন বিপদ হল কি আরশাদের। হাত কাপতে থাকে নুসাইবার। অনেকক্ষণ না খাওয়া শরীর এত টেনশন এর পর এই চমক টা নিতে পারছে না। চেয়ারে বসে পড়ে মাথায় হাত দিয়ে।  


নুসাইবা যখন ফোনে আরশাদের আতংকিত গলা শুনে চিন্তিত হয়ে পড়ছে তখন আরশাদ এসি গাড়িতে বসে দর দর কর ঘামছে। তার পাশে বসে আছে ম্যানেজার। ফোন রাখতেই ম্যানেজার আরশাদ কে জিজ্ঞেস করল ভাবী কে বলেছেন সব গুছিয়ে রাখতে? আমরা কিন্তু বেশি সময় পাব না। আরশাদ উত্তর না দিয়ে মাথা নাড়ায়। ম্যানেজারের সাথে অল্প কয়েকবার দেখা হয়েছে আরশাদের। ম্যানেজার নামটা কিভাবে আসল এই লোকের বা আসল নাম কি কখনো জিজ্ঞেস করা হয় নি। ম্যানেজার সানরাইজ গ্রুপের মালিক আনোয়ার খানের হয়ে কাজ করে। তবে অফিসে তার কোন অফিসিয়াল পজিশন নেই। তবে লোকটা যখন সানরাইজ গ্রুপের অফিসের ভিতর হাটে তখন সবাই তাকে বেশ ভয় আর সমীহের সাথে জায়গা ছেড়ে দেয় এইটা খেয়াল করেছে আরশাদ। বন্ধু রিয়াদ কে একবার জিজ্ঞেস করার পর রিয়াদ বলেছিল গুজব হচ্ছে ম্যানেজার সানরাইজ গ্রুপের হয়ে সব জিনিস সমাধান করে যেটা আইনি উপায়ে সমাধান করা সম্ভব না। অর্থাৎ ম্যানেজার হল সানরাইজ গ্রুপের গোপন অস্ত্র। যখন কোন কিছু নিশ্চিত ভাবে করা দরকার এবং সেখানে আইনের সহায়তা পাওয়া যাবে না বা আইন ভাংগতে হবে সেখানে ম্যানেজারের কাজ। এইসব কথা শুনতে বা সিনেমায় দেখতে ভাল লাগে। আরশাদ এইসব শোনার পর কৌতুহলের দৃষ্টিতে ম্যানেজার কে দেখত। তবে সানরাইজ গ্রুপের সাথে এতদিনের সম্পর্কে এটা টের পেয়েছে ম্যানেজার দরজায় হাজির হওয়া মানে গূরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটতে যাচ্ছে। তাই ফ্লোরার বাসায় ম্যানেজার কে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল আরশাদ। ফ্লোরার সাথে যে ওর সম্পর্ক আছে সেটা সানরাইজ গ্রুপ বা ম্যানেজার জানে এটাই অবাক করার বিষয়। তার উপর একদম ঠিক সময় যখন ও ফ্লোরার বাসায় তখন সেখানে হাজির হওয়াটাই বেশ এক ধরনের আতংকের মত। এরা কি ওর উপর নজর রাখছে? কোথায় যাচ্ছে কি করছে? হঠাত মনে পড়ে গেল এক সিনিয়র কি ইংগিত দিয়েছিল। ওশন গ্রুপ কে সাহায্য করলে কিভাবে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে। তখন আবার আনোয়ার খানের সাথে হওয়া শেষ কথোপকথন মনে পড়ে গেল। আনোয়ার খান বলেছিল আরশাদ সাহেব আমরা খুব লয়াল। আপনি আমাদের বছরের পর বছর সাহায্য করেছেন আমরা তার প্রতিদান দিয়েছি। তবে মনে রাখবেন ভুলেও এমন কিছু করবেন না যাতে আমাদের এই সম্পর্ক নষ্ট হয়। তাহলে আমার যা করতে হবে সেটা করতে মন না চাইলেও আমি করব। কারণ আমার কাছে আমার পরিবার আর বিজনেস বড়। একদম নরমাল ভাবে চা খেতে খেতে মৃদু হাসি নিয়ে এমন ভাবে সানরাইজ গ্রুপের মালিক কথা গুলো বলছিল যেন গতকালের ক্রিকেট ম্যাচের স্কোর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। নির্মোহ ভংগিতে অতি সাধারণ ভাষার এই থ্রেট বরং বেশি ভয় পাইয়ে দিয়েছিল আরশাদ কে। সেই সিনিয়রের প্রস্তাবের কথা কি কোন ভাবে সানরাইজ গ্রুপ জেনে গেছে? কিন্তু ও তো সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৪) - by কাদের - 05-10-2023, 12:50 PM



Users browsing this thread: 17 Guest(s)