Thread Rating:
  • 179 Vote(s) - 3.31 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )


উবার থেকে নামতে নামতে নুসাইবা টের পায় উত্তেজনায় ওর হাত পা কাপছে। এর আগে দুই দিন এসে ঘুরে গিয়েছিল একা একা তবে ফ্লোরা হাসানের দেখা পায় নি। সেইসব দিনেও উত্তেজনা ছিল তবে আজকের মত না। আজকে নিশ্চিত ফ্লোরা হাসান দোকানে থাকবে, মাহফুজ খোজ নিয়েছে। মাহফুজ নিজেও অবশ্য এসেছে ওর সাথে। নুসাইবাই অনুরোধ করেছে। ফ্লোরার সাথে দেখা হলে কি বলবে জানে না ও। কেন দেখা করতে চায় ও? আসলে দেখতে চায় কোন সে মহিলা যে ওর স্বামী কে ছিনিয়ে নিচ্ছে ওর থেকে। দেখা হলে কি গালি গালাজ করবে  নুসাইবা? নাকি জানতে চাইবে কেন আরশাদ কে ছিনিয়ে নিচ্ছে ওর থেকে? মাহফুজ অবশ্য আসার সময়  বার বার বলেছে শান্ত থাকতে এবং কোন সিনক্রিয়েট না করতে। তবে নিজেকে শান্ত রাখতে পারছে না নুসাইবা। হাত পা কাপছে। ঐদিনের মত কিছুটা ব্রান্ডি খাবে কিনা ভেবেছিল পরে নিজেকে কন্ট্রোল করেছে। সেদিন ব্রান্ডির ইফেক্টে এমন কাজ করেছে যেটা জীবনেও কল্পনা করে নি। আজকে নিজেকে ঠান্ডা মাথায় রাখতে হবে। তবে কতটা সফল হচ্ছে সেটা নুসাইবা জানে না। ওর হাত পা কাপছে খালি। কি বলবে দেখা হলে কি করবে কিছুই বুঝছে না। পাশ থেকে মাহফুজ বলে আমরা এসে গেছি ফুফু। নুসাইবা মাথা নাড়ায়। মাহফুজ বলে মনে রাখবেন ভিতরে গেলে কিন্তু আমি আপনাকে নাজনীন নামে ডাকব। কারণ খুব বড় চান্স আছে আরশাদ আংকেল উনাকে আপনার কথা বলেছে তাই আপনার নাম জানা স্বাভাবিক। নুসাইবা মাথা নাড়ায়। ধীরে ফ্লোরা বুটিক হাউজের ভিতর পা দেয়।


নুসাইবার সাথে ভিতরে ঢুকত ঢুকতে মাহফুজ ভাবে কাজটা কি ঠিক হল কিনা। সেদিন ফোনে নুসাইবার ব্যবহারে ক্ষেপে গিয়ে ফ্লোরার সাথে কথা বলেছিল ইন্টেমেসি কাউন্সিলিং নিয়ে। নুসাইবা কে ফ্লোরার সামনে ইন্টেমেসি কোচিং এর জন্য নিয়ে গেলে কতটা বিব্রত হবে সেটা ভেবে তখন খুশি হয়ে গিয়েছিল মাহফুজ। তাই এটা করা। তাই প্ল্যান করে বলেছিল যে মাহফুজের ওয়াইফের নাম নাজনীন। নাজনীন সুন্দরী তবে সেক্সুয়ালি লাজুক। এডভেঞ্চারাস না। মাহফুজ নুসাইবা বাস্তবে কেমন হবে বিছানায় সেটা আন্দাজ করে বলছিল ফ্লোরা কে। ফ্লোরা কে  তাই বলেছে যদি ইন্টেমেসি কোচিং এর কথা বলি আমার ওয়াইফ আসবে না। ফ্লোরা বলেছে এইটা খুব কমন। তবে আপনি একবার আনতে পারলে আমি কথা বলে দেখতে পারি। মাহফুজ তখন বলেছিল আমি আনব তবে ইন্টেমেসি কাউন্সিলিং এর কথা বলে না। আমি আনব আপনার দোকানে কাপড় আর আন্ডারগার্মেন্টেস কেনার কথা বলে। সেখান থেকে আপনাকে কোন ভাবে কথা বলানোর জন্য রাজি করাতে হবে। ফ্লোরা হেসে বলল এমন কেস আমার কাছে প্রায় আসে। তাই চিন্তা করবেন না। এক কাজ করুন যেদিন আসবেন সেদিন দুপুর বারটার দিকে আসুন। এই সময় আমাদের তেমন কোন কাস্টমার আসে না দোকানে। কাস্টমার মেইনলি আসে বিকালের পর সন্ধ্যা থেকে। আমি দোকানে বসে থাকব। আপনি আমাকে আগের দিন ফোন দিয়ে জানাবেন। আমি সেখান থেকে কাপড় বা আন্ডারগার্মেন্টস কেনার জন্য হেল করার ছলে কথা বলে বলে উনাকে ইজি করে কাউন্সিলিং করব। মাহফুজ তখন রাজি হয়ে গিয়েছে। তবে এখন মাহফুজ ভয় পাচ্ছে যদি ভিতরে ঢুকে নুসাইবা রাগে ফ্লোরার উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাহলে কি হবে। নুসাইবা যেভাবে কাপছে তাতে বুঝচে মাহফুজ যে নুসাইবার নিজের উপর এখন কোন কন্ট্রোল নেই। যে কোন কিছুই হতে পারে নুসাইবা দ্বারা। আরেকটা ভয় পাচ্ছে মাহফুজ। নুসাইবার না নার্ভাস ব্রেক ডাউন হয়। মাহফুজ আড় চোখে তাকায় নুসাইবার দিকে। আজকে নুসাইবা কে প্রচন্ড সুন্দরী লাগছে। নুসাইবা এমনিতেও সুন্দরী তবে আজকের মত এত চমৎকার সাজ পোশাক আর কোন দিন করতে দেখে নি মাহফুজ নুসাইবা কে। একটা গোলাপী জামদানী আর ম্যাচিং ব্লাউজ। সবুজ কানের দুল। মুক্তার মালা গলায়। মনে হচ্ছে আগুন লাগিয়ে দিবে চারদিকে। মাহফুজ টের পায় ওর ভিতরে আগুন অলরেডি জ্বালিয়ে দিয়েছে। মাহফুজ নিজেও নার্ভাস কিছুটা। কি হয় ভিতরে। কি করে নুসাইবা।


নুসাইবা আজকে নিজেকে যতটা সম্ভব সুন্দর করে সাজানো যায় সেটাই সাজিয়েছে। নুসাইবার আজকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে দেখা করতে যাচ্ছে। এই কয়টা দিন কিভাবে ওর গেছে সেটা কাউকে বুজাতে পারবে না নুসাইবা। সারাটা সময় খালি মাথার ভিতর তুলনা। আসলেই কি ফ্লোরা ওর থেকে সুন্দর। মাহফুজ ফ্লোরার সাথে দেখা করে আসার পর বলেছে ফ্লোরা সুন্দরী তবে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়েছে। তাহলে কি জন্য আরশাদ ফ্লোরার পিছনে ছুটছে। ফ্লোরার ফিগার নাকি স্লিম। আরশাদ কি স্লিম ফিগার চায়। দরকার হলে ডায়েট করে জিম করে নুসাইবা সেরকম ফিগার বানাবে। নাকি আর অন্য কিছু আছে ভিতরে। আরশাদ যেমন মাঝে মাঝে ওকে বলে বিছানায় আরেকটু এডভেঞ্চারাস হতে। ফ্লোরা মহিলাটা কি বিছানায় ওয়াইল্ড? আরশাদ কি ওয়াইল্ড ওম্যান খুজেছে আসলে? একটা মহিলা কিভাবে আন্ডারগার্মেন্টেসের দোকান চালায়। লজ্জা করে না ওর। মাহফুজ বলেছে ফ্লোরা নাকি কথায় খুব চটপটে। হবে হয়ত। সেলস গার্ল। ব্রা প্যান্টির সেলস গার্ল এর কথায় চতুর হতে হবে বিছানায় চতুর হতে হবে। হয়ত এইসব কারণে আরশাদ পটেছে। দোকানের ভিতর বিভিন্ন অন্তর্বাসের মডেল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্লাস্টিকের পুতুল গুলো। নুসাইবা ভাবে আরশাদ অনেকবার ওকে বলেছে একটু হাল আমলের আন্ডারগার্মেন্টস পড়তে কিন্তু কখনো পাত্তা দেয় নি ও। আজকেই কি এখান থেকে অনেক গুলো সুন্দর ফ্যাশনেবল আন্ডারগার্মেন্টস নিয়ে যাবে। ঠিক তখন প্রায় ৪৭/৪৮  বছরের সালোয়ার কামিজ পড়া একজন সুন্দরী মহিলা সামনে এসে বলে। হাই, হাউ কেন আই হেল্প ইউ গাইজ। নুসাইবা ভাবে মহিলা আসলেই সুন্দরী এবং পারফেক্ট উচ্চারণে ইংরেজি বলছে। পাশে তাকাতেই মাহফুজ মাথা নাড়ায়। নুসাইবার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। এটাই তাহলে ফ্লোরা হাসান।


ফ্লোরা কে একটু আগেই মাহফুজ মেসেজ পাঠিয়েছিল তাই জানত এখনি মাহফুজ সাহেব এবং উনার ওয়াইফ আসবেন। তাই ভিতরে মাহফুজ কে ঢুকতে দেখেই এগিয়ে গেছে। মাহফুজ সাহেবের ওয়াইফ আসলেই সুন্দরী। গর্জিইয়াস। পিংক জামদানী আর মুক্তার মালা আর সবুজ কানের দুল। চমৎকার মানিয়েছে স্বীকার করেন ফ্লোরা। মুখটা দারুণ। ফ্লোরা মনে মনে ভাবেন এত সুন্দরী বউ কিন্তু কনজারভেটিভ পরিবেশে বড় হওয়ার কারণে হয়ত ঠিক করে সেক্সুয়াল এনার্জি প্রকাশ করতে পারে না। মাহফুজ সাহেব নিজেও দারুণ হ্যান্ডস্যাম। লম্বা ভাল ফিগার। এমন হ্যান্ডসাম কাপলের এই অবস্থা। অবশ্য ফ্লোরা তার কাউন্সিলিং জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখেছে এমন অনেক কাহিনী। এই সব কাপলের জীবন ঠিক করাই তার দ্বায়িত্ব। তাই ফ্লোরা এগিয়ে গিয়ে নিজে থেকেই হাই বলে। বউটা কে দেখে ফ্লোরার মনে হয় তার মুখে হাই শুনে যেন একদম বরফের মত জমে গেছে। কোনমতে মুখ দিয়ে পালটা হাই বলে। ফ্লোরা বলে হাই আমি ফ্লোরা, এই দোকানের মালিক। মাহফুজ বলে হাই আমি মাহফুজ। নুসাইবা অনেক কষ্ট করে মুখ দিয়ে বলে হাই আমি নাজনীন। ফ্লোরা বলে আপনারা আজকে কি শপিং করতে চান? কোন স্পেসিফিক ব্রান্ড কি আপনাদের পছন্দ? ওয়াল্ডের সব ফ্যামাস ব্রান্ডের আন্ডার গার্মেন্টস আপনি আমাদের এখানে পাবেন। নুসাইবা মাথা নাড়ায় তবে কথা বলে না। কি বলবে বুঝে উঠতে পারে না। এই কয়দিন ফ্লোরার সাথে দেখা হলে কি বলবে হাজার বার সেই কথা ভেবেছে এখন আর কিছুই মাথায় আসছে না। নুসাইবা দোকানের ভিতর হাটতে থাকে। এটা সেটা দেখতে থাকে। ফ্লোরা একটু গ্যাপ রেখে হাটছে আর খেয়াল রাখছে। ফ্লোরার কাউন্সিলিং স্কিল ভাল। ধীরে ধীরে কিভাবে মিশে গিয়ে ট্রাস্ট অর্জন করে কাউন্সিলিং করতে হয় এটা ভাল বুঝে। তবে এই মহিলা ভাল লাজুক বলে মনে হয় ফ্লোরার। সহজে কোন কথা বলছে না। হয়ত আন্ডারগার্মেন্টসের দোকান দেখে লজ্জা পাচ্ছে। ফ্লোরা তাই কথা শুরু করার জন্য বলে আপনারা কিন্তু দারুণ হ্যান্ডসাম কাপল। কথাটা শুনে নুসাইবা ঘুরে দাঁড়ায়। মাহফুজ পাশেই ছিল। আস্তে করে হাত ধরে চাপ দেয়। নুসাইবা কিছু বলার আগে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে এখানে বেশির ভাগ সময় কাপলরা একসাথে আসে শপিং এর জন্য। আমরা অন্য কিছু বললে  উনার সন্দেহ হবে। তাই চেপে যান। নুসাইবা ভাবে কথা সত্য তাই চুপ করে থাকে। ফ্লোরা বলে আই রিয়েলি মিন ইট। এই দোকানে অনেক কাস্টমার আসে তবে খুব কম কাপল আপনাদের মত হ্যান্ডসাম। অন্য কাপলে ছেলে সুন্দর  হলে মেয়ে সুন্দর না আবার মেয়ে সুন্দর হলে ছেলে সুন্দর না। আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কেউ সুন্দর না। আপনারা দুইজনেই সমান ভাবে সুন্দর। এটা রেয়ার। ইউ গাইজ লুকিং ভেরি হ্যান্ডসাম টুগেদার। নুসাইবা লাল  হয়ে যায়। কি বলছে এই মহিলা। তবে প্রতিবাদ করতে পারছে না কারণ তাহলে সত্যটা বলতে হবে। কিন্তু কিভাবে বলবে আমরা তোমাকে দেখতে এসেছি ফ্লোরা হাসান? এইসব অন্তর্বাস না। এটা যখন ভাবছে ঠিক তখন ফ্লোরা প্রশ্ন করে আপনার সাইজ কি আপু? চমকে  উঠে নুসাইবা। সামনে মাহফুজ দাঁড়ানো। কিভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিবে। ফ্লোরা তাকিয়ে আছে উত্তরের জন্য। নুসাইবা কি বলবে বুঝে উঠতে পারে না, তবে মাহফুজের সামনে উত্তর দিতে চায় না। ফ্লোরা তখন বলে জানেন না বোধ হয়। সমস্যা নাই। আপনার টা ৩৬ হবে সম্ভবত আর কাপ কি সি হবে মনে হয়? এই বলে মাহফুজের দিকে তাকায়। মাহফুজ কি বলবে বুঝে না। ফ্লোরা বলে আমার হিসাবে ৩৬ সি হবে। নুসাইবা একদম লজ্জায় লাল হয়ে যায়। ফ্লোরা আরেকজন সেলেস গার্ল কে বলে মেজারিং টেপ নিয়ে আসতে। নুসাইবা বলে এখানে মাপবেন, কথাটা বলার সময় আর লাল হয়ে যায় নুসাইবা। ফ্লোরা চারপাশে তাকিয়ে বলে কেউ তো নেই আপু। খালি আপনার হাজবেন্ড আর আমরা। নুসাইবা ফেসে গেছে। ফ্লোরা কে কি বলবে ও নুসাইবা, নাজনীন না। এটা ভাবতে ভাবতে মেয়েটা মেজারিং টেপ নিয়ে আসে। ফ্লোরা নুসাইবার ইস্তস্তত করা দেখে বলে আপু ভাবেন আপনি টেইলরের দোকানে মাপ দিতে এসেছেন। এত লজ্জা পাবার কিছু নাই। আর সামনে তো আপনার হাবি। নুসাইবা বলতে পারে না ওর মাপ দিতে সমস্যা নাই কিন্তু সামনে মাহফুজ এটাই ওর অস্বস্তির কারণ। তবে ফ্লোরা জাত সেলসম্যান সাথে আছে কাউন্সিলিং এর জ্ঞান। তাই জানে কিভাবে মানুষ কে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হয়। তাই বেশ নরমাল ভাবে বলল আপু আপনি হাতটা উপরে তুলেন তো। এইবার একটু মেপে দেখি। তাহলে সুবিধা হবে। ফ্লোরার গলায় একটা কিছু আছে নুসাইবা হাত উপরে তুলে। মাহফুজ গভীর মনযোগের সাথে তাকিয়ে আছে। নুসাইবা মাহফুজের দিকে তাকাচ্ছে না যেন মাহফুজ আসলে এই রুমে নেই। বুকের উপর দিইয়ে মেজারিং টেপ ঘুরিয়ে ফ্লোরা বলে। আমার অনুমান ঠিক। আপনার ৩৬। কাপ সাইজ সি হবে। পাশে থেকে মেয়েটা বলে হ্যা ম্যাডাম উনার কাপ সি হবে। নুসাইবার কোন কথা বলে না যাতে দ্রুত এই ব্যাপারে কথা শেষ হয়।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৩) - by কাদের - 30-08-2023, 03:05 PM



Users browsing this thread: rizu sopno, 21 Guest(s)