Thread Rating:
  • 183 Vote(s) - 3.34 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )


মাহফুজ মটরসাইকেলটা একটু দূরে পার্ক করে এসেছে। সামনে তাকায়। একটা পুরাতন সুন্দর দোতালা বাড়ি। গেটের পাশে সুন্দর নিয়ন সাইনে লেখা ফ্লোরা বুটিক এন্ড ফ্যাশন হাউজ। ডিসিসি মার্কেট থেকে একটু দূরে গুলশানের এক অভিজাত পাড়ায় গলির ভিতর এই বাড়িটা। গেটের ছোট অংশ খোলা। ভিতরে গাড়ি  বারান্দায় একটা কার পার্ক করে রাখা। দুপুর বারটা বাজে। এইসময় এই দোকানটা খুলে। গত কয়েকদিনে সোলায়মান শেখ আর কিছু খবর যোগাড় করে দিয়েছে। মাহফুজ নিজেও কিছু খবর যোগাড় করেছে। ফ্লোরা হাসান ওয়েল কানেক্টেড। মাহফুজ যখন নুসাইবা কে ফ্লোরা হাসানের খবর দিয়ে মেসেজ দিয়েছিল ফোনে তখন নুসাইবার কাছে থেকে দুই দিন কোন উত্তর না পেয়ে অবাক হয়েছিল। মাহফুজ ভেবেছিল নুসাইবার রাগের উপর কৌতুহল জয়ী হবে। তবে দুই দিন উত্তর না পেয়ে একটু দমে গিয়েছিল মাহফুজ। তবে ঠিক দুই দিন পর এক রাতের বেলা নুসাইবার ফোন আসে। ফোন দিয়ে কোন রকম কুশল বিনিময় না করেই সরাসরি কাজের কথায় চলে গিয়েছিল নুসাইবা। মাহফুজ মনে মনে একটু বিরক্ত হলেও ভেবেছে ক্লাসিক নুসাইবা স্টাইল। দরকার ছাড়া কাউকে মনে পড়ে না। ফ্লোরা হাসান সম্পর্কে খুটিয়ে খুটিয়ে প্রশ্ন করল নুসাইবা। তারপর এর পরের দিন ওর সাথে দেখা করতে বলল লাঞ্চ টাইমে। মাহফুজ অবাক হয়ে খেয়াল করল ওর বাসার ঘটনা নিয়ে নুসাইবা কোন কথাই বলল না। যেন ব্যাপারটা কিছুই ঘটে নি। সেদিন মাহফুজ কে এক রকম দোষ দিয়ে বের হয়ে আসল সেটার জন্য কোন রকম কথাও বলল না। মাহফুজ রেডি ছিল যদি নুসাইবা বলে দোষ দুই পক্ষের হয়েছে তাহলে সে ক্ষমা চাইবে। তবে নুসাইবা কিছু না বলাও মাহফুজ চেপে গেল। পরের দিন লাঞ্চে দেখা হবার পর ফ্লোরা হাসান সম্পর্কে সব শুনে নুসাইবা পারলে তখনি যেন উঠে গিয়ে ফ্লোরা কে মারে। মাহফুজ কে জিজ্ঞেস করল তুমি তো পলিটিক্স কর। তোমার পরিচিত সন্ত্রাসী নেই? ফ্লোরা কে গিয়ে ভয় দেখাতে পারবে না?


মাহফুজের মেজাজ এটা শুনেই একটু গরম হয়ে গেলে। আবার সেই নুসাইবা এটিচুড। পলিটিক্স করা মানেই পকেটে গুন্ডা বদমাশ নিয়ে ঘুরে যেন মাহফুজ। মাহফুজ রাগ চেপে ঠান্ডা মাথায় বলল ফ্লোরা হাসান যথেষ্ট ওয়েল কানেক্টেড। উনাকে টাচ করলে বিপদ হয়ে যাবে। আর আপনার কি মনে হয় আমি ঢাকা শহরের সব সন্ত্রাসীদের সাথে বন্ধুত্ব করে বসে আছি। মাহফুজের কথায় ঝাঝ টের পায় নুসাইবা। কথা ঘুরিয়ে বলে নাহ, আমি ভাবলাম তুমি অনেক কে চিন তাই কোন কানেকশন আছে কিনা। মাহফুজ কিছু বলে না। ওর মনে হয় নুসাইবা ওর এটিচুড এখনো ছাড়তে পারছে না। জামাই এত অকাম কুকাম করার পরেও মাহফুজ কে মনে করছে রাস্তার পাতি মাস্তান। সেদিন আর কথা আগায় না। তবে এরপর থেকে এই কয়দিন প্রতিদিন ফোন দিয়ে নুসাইবা বলছে ওকে ফ্লোরা হাসানের সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। মাহফুজ যেহেতু একটু বিরক্ত হয়ে আছে নুসাইবার উপর তাই বলল ফুফু আমি আপনাকে ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি আপনি দেখা করে নিন। উনার দোকান আছে দোকানে গেলেই হবে। এর পর দুই দিন ফোন করা বন্ধ ছিল নুসাইবার তারপর আবার শুরু করেছে ফোন দেওয়া। নুসাইবার সাথে কথা বলে যেটা বুঝা গেল। নুসাইবা দুই দিন গিয়েছিল সেই দোকানে কিন্তু ফ্লোরা সাধারণত দোকানে বসে না বা নিয়মিত আসেও না। দোকানের কর্মচারীরা জানে না কবে আসবে। ফলে দুই দিন গিয়ে দেখা না করেই ফিরে এসেছে নুসাইবা। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে আপনি দেখা করে কি করবেন? নুসাইবা কিছু সময় চুপ থাকে। এরপর উত্তর দেয় আমি দেখতে চাই আরশাদ কার মায়ায় আমার সাথে প্রতারণা করছে। মাহফুজ নিশ্চিত না নুসাইবার বর্তমান মেন্টাস স্টেট নিয়ে। তাই নুসাইবা ফ্লোরার সাথে দেখা করে কোন রকম সিন ক্রিয়েট করে কিনা সেটার ঠিক নেই। মাহফুজ তাই এড়িয়ে যেতে চায়। তবে নুসাইবা তার আল্টিমেট টোপ দেয়। বলে তুমি ফ্লোরার সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করে দিলে আমি ভাইয়া ভাবীর সাথে তোমার আর সিনথিয়ার ব্যাপারে কথা বলব। আজকে সেই কারণেই এসেছে মাহফুজ। যদি কোন ব্যবস্থা করা যায়।

মাহফুজ ছোট খোলা গেটটা দিয়ে ভিতরে ঢুকে। সামনে একটা ফুলের বাগান। ষাটের দশকের পুরাতন অভিজাত বাড়ি। ঢাকা শহরের অভিজাত পাড়ার অনেক পুরাতন বড়লোকদের ছেলে মেয়েরা দেশ ছেড়ে প্রবাসী হয়েছে। অনেকেই তাই তাদের বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছে যেখানে উঠছে নতুন হাই রাইজ বিল্ডিং। আর কিছু কিছু ফ্যামিলি স্মৃতির টানে বাড়ে বিক্রি করে নি ভাড়া দিয়ে রেখেছে। অভিজাত এলাকার এইসব পুরাতন দোতলা বাড়ি এখন তাই কোন সময় এনজিও অফিস, কোন সময় শখের দোকান আবার কোন সময় কোন কর্পোরেট অফিসের বিদেশী বসের আস্তানা। ফ্লোরা এমন একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে দোকান খুলেছে। সামনের দিকের কিছু অংশ নিয়ে মূল শোরূম। পিছনের দিকের একটা অংশে ওর অফিস। সেখানেই ইন্টিমেসি কোচের কাজ করে। আর দোতলাটা পুরোটাই ব্যবসার গোডাউন। এই শোরূম থেকে শুরু হলেও এখন দারাজ, শপ আপের মত ই-কমার্সের সাইট গুলোতেও বিক্রি করে। তবে ই-কমার্সের সাইটে আরেকটু কম দামী স্বল্প মূল্যের ব্রান্ডের জিনিস রাখে। আর এই দোকানে থাকে একদম নামকরা সব ব্রান্ডের বেশি দামের জিনিস। যেখানে এক একটা ব্রায়ের দাম অনেক সময় ২০০ ডলারের উপর পড়ে। এর থেকে বেশি দামি জিনিসও আছে। মাহফুজ কে ভিতরে ঢুকতে দেখে একজন সুবেশী সেলস গার্ল এগিয়ে আসে। জিজ্ঞেস করে, স্যার মে আই হেল্প ইউ। মাহফুজ বলে  আই এম ওকে, থ্যাংক্স। মাহফুজ চুপচাপ দোকান ঘুরে দেখে। দোকান মাত্র খুলেছে। এখনো কাস্টমার আসে নি। ঘুরে ঘুরে জিনিসের যে দাম দেখছে মাহফুজ তাতে বুঝেছে এখানে কখনো সেরকম ভিড় হবে না। এটা পশ দোকান। বড়লোকেরা এখানে এসে এক সেট ব্রায়ের পিছনে দুই তিনশ ডলার খরচ করতে পারবে। দোকানের আরেক সাইডে নরমাল কাপড়ের জন্য। সেটা অবশ্য বিদেশ থেকে আনা কাপড় নয়। দেশি ডিজাইনারদের কাজ করা কাপড়। মাহফুজ ভাবে কি বৈপরীত্য। একদিকে দেশি ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ, শাড়ি, ফতুয়া, লেহেংগা। অন্যদিকে বিদেশী ব্রান্ডের দামী সব অন্তর্বাসের দোকান। দোকান ঘুরে কাউকে দেখে মনে হয় না এটা ফ্লোরা হাসান। মাহফুজ তাই এইবার সেলস গার্লের সাহায্য নেবার কথা ভাবে। সেলস গার্ল এ জিজ্ঞেস করে, এক্সকিউজ মি। একটা কৌতুহল থেকে প্রশ্ন করছি, দোকানের নাম তো ফ্লোরা বুটিক এন্ড ফ্যাশন হাউজ। তা এই ফ্লোরা আসলে কে? মালিকের মেয়ে? সেলস গার্ল মিষ্টি হেসে বলে না স্যা। উনি আসলে নিজেই দোকানের মালিক। মানে দোকানের মালিকের নাম ফ্লোরা হাসান। মাহফুজ বলে উনার সাথে কি দেখা করা যাবে? সেলস গার্ল বলে ম্যাডাম তো সব দিন আসে না। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে কোন দিন আসে। সেলস গার্ল উত্তর দেয়, আসলে আমি জানি না। ম্যাডাম কোন দিন আসে ঠিক নেই। এই সময় দরজা দিয়ে একজন মহিলা ঢুকে। মুখে বয়সের ছাপ কিন্তু চেহারায় একটা আভিজাত্য আছে। সালোয়ার কামিজ পড়া। বেশ স্লিম ফিগার। ভাল মেইনটেইন করে বুঝা যাচ্ছে। সেলস গার্ল বলে উঠে গুড মর্নিং ম্যাডাম। মহিলা ঘুরে বলে গুড মর্নিং সীমা। কেমন আছ? মেয়েটা বলে ভাল ম্যাডাম। মহিলা এরপর গটগট ভিতরের দিকে যেতে থাকেন। সেলল গার্ল বলে উনি আমাদের মালিক ফ্লোরা হাসান। মাহফুজ দুই সেকেন্ড ভাবে। তারপর দ্রুত হেটে সামনে যায়। ফ্লোরা হাসান দোকানের আরেক কর্মচারীর সাথে কথা বলছিলেন। মাহফুজ গিয়ে পাশে দাঁড়ায়। ফ্লোরা হাসান ঘুরে মাহফুজের দিকে তাকান। মাহফুজ বলে হ্যালো। ফ্লোরা হাসান বলে হ্যালো। মাহফুজ বলে যদি কিছু মনে না করেন আপনার সাথে একটা কথা ছিল। ফ্লোরা কর্মচারীকে সরে যেতে ইংগিত করেন। এরপর বলেন, জ্বী বলেন। মাহফুজ বলে আপনার সাথে কি কথা বলা যাবে।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৩) - by কাদের - 30-08-2023, 03:03 PM



Users browsing this thread: 12 Guest(s)