Thread Rating:
  • 179 Vote(s) - 3.31 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )


নুসাইবা একটা কনফিউশনের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। কি করবে ও কি করা উচিত। আরশাদের সাথে ক্লাউড নাইনের নতুন কথোপকথন দেখেছে। ব্রাউজার থেকে সেভ করা পাসওয়ার্ড দিয়ে এই গোপন মেইল একাউন্টে ঢুকে বার বার এইসব কথোপকথন চেক করছে। রাজশাহী যাবার পর থেকে যেন মেইলের পরিমান বেড়ে গেছে। আগে যেখানে দুয়েক লাইনের মেইল হত। এখন সেখানে বেশ বড় বড় মেইল। এইভাবে ইমেইলে অশ্লীল ভাবে ফ্লার্টিং করতে পারে আরশাদ এটা ভাবতেও পারছে না। ক্লাউড নাইন কি অশ্লীল ভাবে ইমেইলে বলছে তুমি রাজশাহী যাবার পর থেকে আমি অস্থির হয়ে আছি। আমার গরম ঠান্ডা করার মত কেউ নেই। এইভাবে কে ইমেইল লেখে, এই ভাষায়? উত্তরে আরশাদ ওর পেনিসের ছবি পাঠিয়েছে। নুসাইবা বিয়ের এত বছর পরেও আরশাদের পেনিস কে হাতে নিতে লজ্জা পায়, সরাসরি দেখতে লজ্জা পায়। আর আরশাদ কি অবলীলায় ওর পেনিসের ছবি আরকেটা মেয়ে কে পাঠিয়ে দিয়েছে। এর পরের মেইলেই ক্লাউড নাইন একটা ছবি পাঠিয়েছে। এক ফুল লেংথ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। মুখ দেখা যাচ্ছে না। এক সেট ব্রা প্যান্টি পড়ে আছে। লজ্জায় অপমানে নুসাইবা জ্বলে উঠে। হিংসাও হয়। ছবির মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছে না। তবে মেয়েটার ফিগার ইর্ষনীয়। নুসাইবা দেখতে সুন্দর, ফিগারও ভাল মেইন্টেইন করা। তবে নুসাইবার জিম করা ফিগার না। এই ছবি দেখেই বুঝা যাচ্ছে একদম জিম করা ফিগার। শরীরের কোথাও এক্সট্রা মেদ নেই। নিজের দিকে তাকায় নুসাইবা। এই কারণে কি আরশাদ এই মেয়ের দিকে চলে গেছে। ওর শরীরে হালকা মেদ আছে। নিজের দিকে তাকায়। ওর পিছন দিকটা যথেষ্ট ভারী। এরকম সরু জিম করা পা না। ওর থাই যথেষ্ট মাংসল। পেট এমন সমান না। হালকা মেদ আছে ওর পেটে। বুকের দিকে তাকায়। ছবির মেয়েটা থেকে ওর বুক ভারী। তবে ব্রা প্যান্টি গুলো মেয়েটার গায়ে মানিয়েছে স্বীকার করতেই হবে। নুসাইবার এমন ফ্যাশনেবল কিছু নেই। মেয়েটা কি ওর থেকে অনেক বেশি ফ্যাশেনবল? এইসব কারণে কি আরশাদ ঐদিকে ঝুকেছে? এই মেয়েটাই কি ফ্লোরা হাসান? ফ্লোরা হাসান কি ক্লাউড নাইন?  কত প্রশ্ন কিন্তু একটাও উত্তর নেই।


নুসাইবার জীবনে এখন খালি কনফিউশন আর কনফিউশন। দিশেহারা নৌকার নাবিকের মত নুসাইবা আশা করে আছে হঠাত কোথাও বাতিঘরের আলো দেখা যাবে, কেউ তাকে রাস্তা দেখাবে। কিন্তু কোথাও কোন আশার আলো নেই। আরশাদ এর গোপন অভিসারের খবর যেন নুসাইবা কে দিশেহারা করে দিয়েছে। একটা মানুষ যখন কোন কিছু কে সত্য জেনে নিজের জীবন সেই সত্য কে কেন্দ্র করে গড়ে তোলে তখন সেই সত্যটা মিথ্যা প্রমাণ হলে তার জীবনে আর কিছু থাকে না। নুসাইবার সেই অবস্থা। প্রেম, বিয়ে আর সন্তানহীন জীবনে সান্তনা সব কিছুতেই নুসাইবার সংগী ছিল আরশাদ। আরশাদের সততা আর কর্মদক্ষতা ছিল নুসাইবার গর্বের বিষয়। এখন যেন নুসাইবার মনে হচ্ছে পুরো জীবনটা একটা ফাপা স্তম্ভের উপর গড়ে তুলেছে ও। মাহফুজের ব্যাপারটা যেন সেই খানে আরেকটা ধাক্কা হয়ে এসেছে। মাহফুজ সিনথিয়া কে পছন্দ করে এটা টের পাবার পর মাহফুজ কে নিয়ে বিভিন্ন রকম চাল দিয়েছে নুসাইবা। তবে আরশাদের সম্পর্কে পত্রিকার রিপোর্ট বের হবার পর মাহফুজ যেভাবে রিপোর্টারের সাথে সমঝোতার ব্যবস্থা করেছে তাতে প্রথম মাহফুজ সম্পর্কে ভাল একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। জেবার ছেলে কে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিতে পারার কারণে বুঝতে পেরেছে মাহফুজের জানা শোনা এবং কর্ম দক্ষতা ভাল। তাই যখন আরশাদের গোপন ইমেইল আর তার মাধ্যমে ক্লাউড নাইনের খোজ জানল তখন নুসাইবা কি করবে বুঝে উঠতে পারছিল না তখন মাহফুজের দ্বারস্থ হয়েছিল। দুইটা কারণ ছিল তখন, এক, মাহফুজ অলরেডি জানে আরশাদের কিছু কেলেংকারির কথা তার আরেকটা জানলে কিছু হবে না। দুই, মাহফুজের কাজকর্ম দেখে নুসাইবার একটা আস্থা তৈরি হয়েছে যে এই ছেলে দক্ষ বিভিন্ন রকম কাজে। তবে নিজের স্বামীকে জেলাস করবার প্রজেক্ট নিয়ে তাই যখন আরশাদের বাসায় গিয়েছিল তার পরিণতি এইটা হবে সে ভাবে নি। মাহফুজের উপর প্রচন্ড রাগ হয়েছে এরপর। যদিও মাহফুজ উত্তর দিয়েছে ওকে। সামনা সামনি না মানলেও এইটা বুজেছে দুই জনের উপর এলকোহলের ভাল প্রভাব পড়েছিল সেইদিন। তবে আর অবাক হয়েছিল মাহফুজ কে বের করে দিয়ে কাপড় বদলানোর জন্য যখন বাথরুমে গিয়েছে তখন। একটু আগে এত বড় একটা কেলেংকারীর পর আবার বাথরুমে কি ভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়ে মাস্টারবেট করেছে এইটা নুসাইবা বুঝতে পারছে না। এই নুসাইবা যেন অপরিচিত ওর কাছে। আর যেভাবে শরীর স্পর্শ করার সময় মাহফুজের স্পর্শ গুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল তাতে নিজের উপর নিজের প্রচন্ড রাগ হচ্ছিল, নিজেকে মনে হচ্ছিল অসূচি, অপবিত্র। হঠাত মনের ভিতর যেন অজানা কোন গোপন জায়গা থেকে এক কামের পাহাড় ভর করেছিল ঐদিন ঐ বাথরুমে। সব মিলিয়ে এক বিচ্ছিরি অবস্থা। নুসাইবার মনে হয়েছে এই সময় খালি এক জনের কাছে পরামর্শ চাওয়া যায়।


সাফিনা করিম ওদের বাড়িতে যখন বউ হয়ে আসল তখন নুসাইবা ১৪ আর সাফিনা ২০ বছর বয়স। সুন্দরী ভাবী তার উপর বয়স কাছাকাছি। তাই দুই জনের বন্ধুত্ব হতে সময় লাগে নি। নুসাইবা কে নানা সময় নানা বিপদে আপদে পরামর্শ সাহায্য দিয়ে সব সময় সাথে থেকেছে সাফিনা। সাফিনা যেন নুসাইবার ফ্রেন্ড, ফিলোসফার এন্ড গাইড। এইবারো তাই সাফিনার দ্বারস্থ হল নুসাইবা। আরশাদের ঘটনা পত্রিকায় আসার পর থেকেই নুসাইবার ভাই এবং সাফিনা দুইজনেই উদবিগ্ন ছিল। তবে আরশাদ আর নুসাইবা বার বার আসস্থ করেছে এইগুলা কিছু না, অফিসিয়াল পলিটিক্সের কারণে কিছু ভুল রিপোর্টিং। আরশাদ নুসাইবা দুইজনেই ইমেজ সচেতন তাই নিজের ফ্যামিলির লোকদের কাছেই ব্যাপারটা ধামাচাপ দিতে চেয়েছে। এরপর যখন আরশাদের জুয়া খেলার অভ্যাস বা গোপন প্রেমিকা আবিষ্কার হল তখন আর নুসাইবা সাহস করে নি সাফিনা কে কিছু বলতে। কারণ এতদিন যতবার সাফিনা জিজ্ঞস করেছে সব ঠিক আছে কিনা তখন নুসাইবা ঠিক আছে এবং বেশি চিন্তা না করতে বলেছে। নুসাইবার মনে হয়েছিল পরিবারের কার কাছ থেকে সাহায্য নেবার থেকে মাহফুজ থেকে সাহায্য নেওয়া ভাল হবে সেই সময়। কারণ আর কাউকে জানতে দিতে চায় নি কিছু। কিন্তু এখন মাহফুজের বাসায় ঘটা ঘটনার পর নুসাইবা আর কার কাছে যাবার রাস্তা যেন পাচ্ছে না। তাই সাফিনার কাছে আসা।


সাফিনার কাছে এসে নুসাইবা খুলে বলল, যতটুকু আসলে বলা যায় আরকি। আরশাদের ঘুষ বা জুয়া খেলার কথা বললেও তাই ক্লাউড নাইনের ব্যাপারটা চেপে গেল। প্রথমে ভেবেছিল সব বলবে তবে আরশাদের ঘুষ আর জুয়ার কথা বলতেই ভাবীর চোখে যে সহানুভূতি দেখল সেটা দেখে নুসাইবার মনে হচ্ছিল নিজেই যেন ছোট হয়ে যাচ্ছে। সারাজীবন ভাবী কে কতবার বলেছে কত সুখী ও, আরশাদ কত ভাল ছেলে। ওদের বাড়িতে প্রথম প্রেমের বিয়ে ওর। তখন ওর বাবা মা মানতে চায় নি। সাফিনা ভাবী সবাই কে রাজি করিয়েছে। এখন এইসব বের হতে থাকলে সবাই এত বছর পরেও সাফিনা ভাবী কে দোষ দিবে। তাই ক্লাউড নাইনের কথাটা আর সাহস করে বলতে পারে নি। মাহফুজের বাসায় ঘটা ঘটনাও তাই আড়ালে থেকে গেছে। খালি বলেছে সিনথিয়ার এক বন্ধু আমাকে হেল্প করেছে এইসব ব্যাপারে। সাফিনা খুব ধীর স্থির ঠান্ডা মাথার মানুষ। পরিবারের অনেক সমস্যা বুদ্ধি দিয়ে শক্ত হাতে সামাল দিয়েছেন সব সময়। নুসাইবা তাই যত টুকু প্রকাশ করা যায় ততটুকু করে সাফিনার কাছে বুদ্ধি চায়, বল- ভাবী এখন আমি কি করব? সাফিনা কিছুক্ষণ চুপচাপ ভাবে। বলে তোর আর আগে আমাদের কাছে আসা উচিত ছিল। নুসাইবা অপরাধীর মত চুপচাপ করে থাকে। তোকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম এই যে তোরা এত বিদেশ ঘুরতে যাস দামী ফ্ল্যাট এগুলো কিভাবে হল। তখন কিন্তু তুই উড়িয়ে দিয়েছিলি কিন্তু তোর ভাই আর আমার দুইজনের সন্দেহ তখন যায় নি। তবে আমরা অন্যদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করি না তাই কিছু বলি নি। এখন বল তুই কি চাস। আরশাদের কে ছেড়ে দিতে চাস? নাকি ওর সাথে থাকতে চাস? থাকলে কি করতে চাস? নুসাইবা এইসব প্রশ্নের উত্তর জানে না। গত কিছুদিন ধরে ওর মনের মাঝে এইসব প্রশ্ন একের পর এক ঝড় তুলছে। ক্লাউড নাইনের প্রশ্ন যখন মাথায় আসছে তখন মনে হচ্ছে সব ছেড়ে ছুড়ে চলে আসে। আবার যখন ভাবছে এত বছরের সংসার। আরশাদের প্রতি ভালবাসা, মায়া তখন মনে হচ্ছে আরেকবার চেষ্টা করে দেখি। এই রকম পজিটিভ নেগেটিভ নানা চিন্তা নানা দিকে ছুড়ে দিচ্ছে মতামত। তবে কি ভেবে সাফিনা কে বলল আমি ট্রাই করতে চাই। সাফিনা প্রশ্ন করল সিওর। নুসাইবা মাথা নাড়ল। সাফিনা তখন বলল তাহলে তোকে ট্রাই করতে হবে সর্ব শক্তি দিয়ে। আরশাদ কে যেন তুই সুপথে ফিরিয়ে আনতে পারিস। যত রকম অস্ত্র তোর  হাতে আছে সব ব্যবহার করতে হবে। দরকার হলে ছলাকলার সাহায্য নিতে হবে। নুসাইবা টের পায় সাফিনা ভাবীর সেই শক্ত হাতে সমস্যা সমাধানের ব্যক্তিত্বটা বের হয়ে এসেছে। যে কোন লক্ষ্য ঠিক করলে যেভাবেই হোক সেটা আদায় করে ছাড়ে। সাফিনার পরশ যেন নুসাইবার গায়ে লাগে। যে কোন মূল্যে আরশাদ কে সব কিছু থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে।


সাফিনার সাথে কথা বলে বাসায় আসার পর নুসাইবা ভাবতে বসে ওকে কি কি করতে হবে। আরশাদের জুয়া, ঘুষ, মদ আর ক্লাউড নাইনের কাছে থেকে দূরে সরিয়ে আনতে হবে। ভাবী বলেছে যথা সম্ভব সাহায্য করবে দরকার হলে ভাইয়া কে কাজে লাগাবে। তবে নুসাইবা এখনো চায় না ক্লাউড নাইনের ব্যাপারটা ভাইয়া ভাবী কে জানাতে। ওকে ফেলে ওর জামাই অন্য মেয়ের কাছে যায় এটা জানালে যেন নিজেই ছোট হয়ে যাবে। তখন মাহফুজের ব্যাপারে আবার  নতুন করে চিন্তা করে নুসাইবা। মাহফুজ অলরেডি জানে ব্যাপারটা। তাই মাহফুজের সাহায্য নেওয়া মানে আর নতুন কাউকে না জানানো। আর সিনথিয়ার ব্যাপার থাকায় মাহফুজ অন্য কোন খানে টু শব্দ করবে না। ঐদিনের ওর বাসার ব্যাপারে ক্ষেপলেও আসলে এলকোহল ও নিয়েছিল এই বাস্তবতা মেনে নেয়। পরেরবার বাথরুমের ভিতর ঐরকম আচমকা মাস্টারবেট করার সময় মাহফুজের স্পর্শ কেন মাথায় এসেছিল সেটা যদিও জানে না তবে ধরে নেয় সেটাও এলকোহলের প্রভাব। তাই ঠিক করে এলকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে তবে মাহফুজ কে ব্যবহার করতে হবে। ভাবীর কথা মনে পড়ে, বলেছে যথাসম্ভব সব উপায় ট্রাই করতে হবে। একজন করিতকর্মা লোক ওর দরকার। এখন হাতের কাছে মাহফুজ ছাড়া কেউ আর নেই। এইসব যখন ভাবছে ঠিক তখন দুই দিন আগে  মাহফুজের পাঠানো মেসেজ গুলো ও আবার চেক করে। দুইটা এসএমএস। প্রথমটা লেখা- আই নো হোয়াই আরশাদ আংকেল গোজ টু বনানী এপার্টমেন্ট। দেখে কোন উত্তর দেয় নি। তাই পরের দিন আরেকটা মেসেজ এসেছে মাহফুজের কাছ থেকে- ক্লাউড নাইন’স নেইম ইজ ফ্লোরা হাসান। গত দুই দিন অনেক কষ্টে মাহফুজ কে ফোন দিয়ে এই ফ্লোরা হাসান সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। তবে নিজেকে সংবরণ করেছে। ওর বাসায় ফটোশুটের সময় ঘটা ঘটনা যতনা ওকে আটকে রেখেছে তার থেকে বেশি আটকে রেখেছিল বাথরুমে মাস্টারবেশনের ঘটনাটা। তবে আজকে ভাবীর কথা আবার কানে বাজে, সব অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। তাই ফোনটা তুলে নেয়। ডায়াল করে। ওপাশ থেকে ফোন ধরতেই নুসাইবা বলে, হ্যালো মাহফুজ।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৩) - by কাদের - 30-08-2023, 03:01 PM



Users browsing this thread: Daddybangla, rizu sopno, 24 Guest(s)