Thread Rating:
  • 185 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩২ )


সোলায়মান শেখ বেশ কয়েক সাপ্তাহ একটা হাই প্রোফাইল কেসে বিজি ছিল। অফিসের বড় স্যাররা সেই কেসের জন্য  সবার উপর প্রচন্ড চাপ দিয়ে তৈরি করছিল। গত পরশু সেই কেসের একটা প্রাথমিক সমাধান হয়েছে। তাই এখন অফিজের কাজের থেকে ফ্রি। তবে সোলায়মান শেখ বসে থাকার লোক না। মাহফুজ কে কথা দিয়েছিল ওর এই কাজটা করে দিব। তাই গতকাল থেকে বেশ ছুটাছুটি করছে খবর টা জোগাড় করার জন্য। বনানীর একটা এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ঠিকানা দিয়ে বলেছে এই কমপ্লেক্সের যে কোন একটা এপার্টমেন্ট আরশাদ নিয়মিত যায়। খবর বের করতে হবে সেটা কোন এপার্টমেন্ট আর সেই এপার্টমেন্টে কে থাকে। কাজটা একটু কঠিন। কারণ মাহফুজ বলে দিয়েছে কেউ যে আরশাদের খোজ করছে এইটা যেন টের না পায় সেই এপার্টমেন্টের লোকেরা। কাজটা করতে হবে এমন ভাবে যাতে কার কোন সন্দেহ না হয় যে আরশাদের খোজে এসেছে সোলায়মান শেখ। প্রথম খোজ বের করতে হবে কোন এপার্টমেন্টে এসেছিল আরশাদ। এইটা একটু কঠিন। কমপ্লেক্সের ভিতর দুইটা সাত তলা এপার্টমেন্ট। নিচ তলা গ্যারেজ প্রতিটা বিল্ডিং এর। বাকি তালা গুলো মিলিয়ে মোট ৬০ টা এপার্টমেন্ট আছে। এখানে কোন সন্দেহ তৈরি না করে খোজ বের করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল ভিজিটর লগবুক। ভিতরে এপার্টমেন্টের লোকেরা ছাড়া অন্য কেউ আসলে তাদের নাম আর কোন এপার্টমেন্টে যেতে হবে সেটা লিখতে হয়। সোলায়মান শেখ তাই ডিউটিরত দারোয়ানের সাথে খাতির জমায়। দুইশ টাকা হাতে ধরিয়ে দিতে লগবুক দেখতে দেয় সোলায়মান কে। সোলায়মান জানে কোন শুক্রবার আরশাদ এসেছিল এখানে। সময়টাও মাহফুজ বলে দিয়েছে স্পেসিফিকালি বিকাল চারটা থেকে পাচটার মধ্যে। পাতা উলটে কাংখিত পাতায় চলে যায়। এই সময় একটা গাড়ি আসায় গার্ড মেইন গেট খোলার জন্য সামনে যায়। সোলায়মান পটাপট তিন চারটা ছবি তুলে নেয় সেই পাতার। বিল্ডিং দুইটার নাম মালবিকা আর মালঞ্চ। সেই দিন মোট সাত টা ভিন্ন ভিন্ন এপার্টমেন্টে লোক এসেছিল বিকাল চারটা থেকে পাচটার মধ্যে। প্রতিটা এন্ট্রিতে লেখা আছে মোট কতজন লোক এসেছে, কারণ সবাই কে সাইন করতে হয় না। একসাথে কয়েকজন আসলে এক এপার্টমেন্টে সবার হয়ে এক জন সাইন করে দিলে হয়। সাত টা এন্ট্রির মধ্যে পাচটাতে একাধিক লোক এসেছে তাই সেগুলা বাদ। বাকি দুইটার একটাতে একজন মহিলার নাম লেখা। সেটাও বাদ। আর বাকি থাকে একটা। সেখানে লেখা আফসার। সোলায়মান শেখ ভাবে এটাই আরশাদ হবার সম্ভাবনা বেশি। মাহফুজ হিন্টস দিয়েছে আরশাদের কোন গোপন কেস আছে। এইসব ক্ষেত্রে লোকজন তাই সহজে  নিজেদের আসল  নাম ঠিকানা লিখে না কোণ জায়গায় গেলে। তবে এত বছর গোয়েন্দা দপ্তরে কাজ করে এইটুকু জানে মানুষ মিথ্যা বললেও অনেক সময় অজান্তে সত্যের কাছাকাছি মিথ্যা বলে। অনেক বার সোলায়মান শেখে কেসের তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছে মানুষ যখন ছদ্মনাম নেয় সেটা তার আসল নামের কাছাকাছি হয়। আরশাদ আর আফসার। একই অদ্যাক্ষর দিয়ে শুরু। সোলায়মান এপার্টমেন্টের নামটা দেখে নেয়। বিল্ডিং মালবিকা আর ফ্লাট নাম্বার সি ৩। মানে তিন তলার তিন নাম্বার এপার্টমেন্ট।  



সোলায়মান এর পরের কাজে  নেমে পড়ে। মালবিকার সি ৩ এপার্টমেন্টে কে থাকে বের করতে। তবে এইবার আর দারোয়ান কে জিজ্ঞেস করে না। যদিও সেটা সহজ রাস্তা হত। তবে সোলায়মান জানে এইভাবে জিজ্ঞেস করলে দারোয়ান বুঝে যাবে কোন স্পেসিফিক ফ্ল্যাটের খোজ নিচ্ছে সোলায়মান। আর এইসব ফ্ল্যাট বাড়ির দারোয়ান আর ড্রাইভারদের ভাল খাতির থাকে। তাই দুই দিনের মধ্যে দেখা যাবে সি ৩ এপার্টমেন্টের গাড়ির ড্রাইভার জেনে যাবে তার মালিকের বাসার খোজ করেছে কেউ একজন। এরপর সেখান থেকে মালিকের জানতে লাগবে কয়েক ঘন্টা। তাই সোলায়মান এইবার অফিসিয়াল চ্যানেলে খোজ বের করার চেষ্টা করে। কয়েক বছর আগে ঢাকায় যখন জংগী ততপরতা বেড়ে গেল তখন সরকারী আদেশে প্রত্যেকটা ফ্ল্যাট বা ভাড়া বাড়ির লোকদের তথ্য বছর বছর আপডেট দিতে হয় লোকাল থানায়। সাধারণত বাড়ির মালিক বা এপার্টমেন্টের ম্যানেজমেন্ট যে কমিটি থাকে তারা সেটা আপডেট দেয়। বনানীর লোকাল থানার সেকেন্ড অফিসার সোলায়মান শেখের ব্যাচমেট। সোলায়মান এইবার তার সরানপন্ন হয়। অফিসে দেখা করে চা নাস্তা খেতে খেতে সোলায়মান বলে একটা অফিসিয়াল কাজে এসেছে একটু হেল্প লাগবে। ওর ব্যাচমেট একটু টিপ্পনি কাটে কাজ ছাড়া তো দোস্ত আমাদের দিকে নজর দাও না। তোমরা ডিবির লোক। বড় বড় কেস সলভ কর আমরা খালি চোর ছ্যাচড়া ধরি। সোলায়মান হাসে। ব্যাচমেট জিজ্ঞেস করে কি কাজ। সোলায়মান বলে ওর বনানীর নির্দিষ্ট একটা এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের লোকদের তথ্যের যে ফরম আছে সেটা একটু লাগবে। ব্যাচমেট এইবার উতসাহী হয়। জিজ্ঞেস করে বড় কোন কেস নাকি। বড় কেস হলে যেন তাকে সাথে নেয় সল্ভ করতে। সোলায়মান মনে মনে একটু বিরক্ত হয় তবে প্রকাশ করে না। হাসতে হাসতে বলে বন্ধু তোমরা ভাব আমরা ডিবিতে সারাদিন রাঘব বোয়াল ধরি। বেশির ভাগ সময় আমাদের যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলা, নজরদারি এইসব কাজে। অনেক সময় আমাদের অর্ডার আসে একজন সম্পর্কে খোজ নাও। কেন সেটাও আমরা জানতে পারি না। হয়ত বড় স্যারদের মাঝে কেউ জানে। আমাদের এত কিছু ক্লিয়ার করে না। তুমি এখানে সেকেন্ড অফিসার। আর আমি আমার অফিসে কেউ না। ব্যাচমেট উত্তরে একটু খুশি হয় মনে হয়। কারণ সে যে এখন এই বড়লোক পাড়ার থানার সেকেন্ড অফিসার। তার কাছে বিভিন্ন কেসের তদবির নিয়ে কোটিপতিরা আসে। আর সোলায়মান ডিবি অফিসে বড় বড় স্যারদের ঝাড়ি খেয়ে বেড়ায়। এইটা তাকে একটা সুখ দেয়। বলে ঠিকাছে দোস্ত একটু অপেক্ষা কর। আমি বলতেছি। এক ঘন্টা পর মালবিকা আর মালঞ্চ এপার্টমেন্ট বিল্ডিং দুইটার অধিবাসীদের তথ্যের ফর্মের ফটোকপি নিয়ে বনানী থানা থেকে বের হয়ে আসে আরশাদ। থানা থেকে বের হয়ে একটু দূরে ফর্ম চেক করে। মালবিকার সি ৩ এ মালিকের নাম লেখা ফ্লোরা হাসান।


ঢাকায় সোলায়মান শেখ যখন ফ্লোরা হাসান কে এবং কি করে এইসব খোজ বের করতে ব্যাস্ত রাজশাহীতে তখন আরশাদ টেনশনে অস্থির হয়ে আছে। লোকে বলে বিপদ যখন আসে সব দিক দিয়ে আসে। পত্রিকার রিপোর্টটা যখন সামলে নিল ভাবল তখন তাকে রাজশাহীতে বদলি করে দিল। রাজশাহীর পোস্টিংটা খারাপ না। কিন্তু আরশাদের মনে হচ্ছে অফিস পলিটিক্সে সে হেরে গেছে। এত বছর ঢাকা থেকে খুব বেশি দূরে তাকে কাজ করতে হয় নি। প্রতিবার কোন না কোন লবিং এর জোরে ঢাকায় পোস্টিং বাগিয়েছে। এইবার পারে নি। ওর সন্দেহ পত্রিকার রিপোর্টটা অফিসের কেউ করিয়েছে। কিন্তু সেটা বের করতে পারছে না। এদিকে আবার নতুন উপদ্রুপ শুরু হয়েছে। ওর এক সিনিয়র কলিগ তাকে নিয়মিত ফোন দিয়ে খোজ খবর নেওয়া শুরু করেছে। আরশাদ বেশ অবাক হয়েছে এইটাতে। এই সিনিয়র কলিগের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকলেও অতটা ভাল খাতির নেই যে এক সাপ্তাহে তিনবার ফোন দিবে। তবে লাস্টবার আসল কেস কি সেটার ইংগিত পেয়েছে। কেস বুঝতে পেরে আরশাদের গলা শুকিয়ে গেছে। আরশাদ গত সাত আট বছর ধরে সানরাইজ গ্রুপের ট্যাক্স ভ্যাট ফাকি দেবার নানা কলা কৌশল বাতলে দিয়েছে। তাদের ট্যাক্সের কাগজের নানা ফাকি ঝুকি না দেখার ভান করে সাইন করে দিয়েছে। এখন এই সিনিয়র কলিগ আকার ইংগিতে বলেছেন মাহফুজ কে আবার ঢাকায় পোস্টিং করানোর ব্যবস্থা করে দিবেন যদি এই সম্পর্কে সব ইনফরমেশন আরশাদ সরবরাহ করে। আরশাদের ক্ষতি হয় এমন কিছু উনি করবেন না। খালি ওশন গ্রুপ এই ইনফরমেশন সম্পর্কে আগ্রহী। ওশন গ্রুপের নাম শুনেই আরশাদ ভয় পেয়েছে। আরশাদ জানে এইবার সানরাইজ গ্রুপ যে আসনে এমপি নমিনেশন চাচ্ছে সেটার বর্তমান এমপি ওশন গ্রুপের মালিক। আরশাদের দুইয়ে দুইয়ে চার করতে সময় লাগে না। অর্থাৎ এই তথ্য দিয়ে কম্পিটিশনের আগেই প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দিতে চাইছে। সম্ভবত পত্রিকার রিপোর্ট করিয়ে দলের উপর চাপ দিবে যাতে সানরাইজ গ্রুপের মালিকের ছেলে নমিনেশন না পায়। কারণ এইবার শোনা যাচ্ছে ক্লিন ইমেজের উপর জোর দেওয়া হবে ইলেকশনে নমিনেশন দেবার সময়। সানরাইজ গ্রুপের মালিক পক্ষ কতটা ডেঞ্জারাস এই কয় বছরে তার কিছু ইংগিত পেয়েছে। এছাড়া পত্রিকায় রিপোর্ট বের হবার পর যেভাবে তাকে ঠান্ডা গলায় বলে দেওয়া হয়েছে ইলেকশনের আগে যেন কোন ঝামেলা তৈরি না হয় আরশাদের দিক থেকে তাহলে ব্যাপারটা ভাল হবে না। সেটা শুনেই আরশাদ তখন ভয় পেয়েছিল। এখন আবার সিনিয়র কলিগ তাকে জোরাজুরি করছে সেই ইনফরমেশন দেবার জন্য। আর আকার ইংগিতে বলেও দিয়েছে আরশাদ কে পছন্দ করে দেখেই এই সিনিয়র কলিগ শান্তিপূর্ণ ভাবে ইনফরমেশন বের করার চেষ্টা করছে। উনি ব্যর্থ হলে ওশন গ্রুপ নিজেই চেষ্টা করবে। সেটা এত ভাল হবে না। আরশাদ টের পায় তাকে পরোক্ষ ভাবে থ্রেট দেওয়া হল। ওশন গ্রুপের নানা কান্ডকীর্তি পত্রিকার রিপোর্টে আরশাদ পড়েছে। তাই আরশাদ আতংকিত। জলে কুমীর ডাংগায় বাঘ। ওশন গ্রুপ বা সানরাইজ গ্রুপ কার ব্লাক লিস্টে যাবার ইচ্ছা নেই আরশাদের।


তবে এর থেকেও এখন আরশাদ কে বেশি ভাবাচ্ছে  নুসাইবা। পত্রিকার রিপোর্ট বের হবার পর থেকে নুসাইবার ব্যবহার ওর সাথে যেন  বদলে গেছে। এত বছরের সংসার জীবনে ওদের ঝগড়া হয় নি এমন না। সেগুলো তিন চার দিনের মধ্যে মিটে গেছে। কিন্তু এইবার পত্রিকার রিপোর্ট বের হবার পরের দিন থেকে নুসাইবা যেন আর ওর সাথে ভাল করে কথা বলছে না। নুসাইবার চোখের দৃষ্টিতে যেন এক ধরনের অবিশ্বাস। রাজশাহী থেকে ফোন করলে দুই মিনিট কথা বলে রেখে দিচ্ছে। আরশাদ কিভাবে সমাধান করবে বুঝে উঠতে পারছে না। এর মধ্যে যোগ হয়েছে এক রহস্যময় ইমেইল। মাঝে মাঝেই নুসাইবা সম্পর্কে ওকে ইমেইল দিচ্ছে। আরশাদ প্রথমে ভেবেছিল ওর কোন শত্রু ওর বিপদের সুযোগ নিয়ে ওকে প্রেশার দেবার জন্য এইসব করছে। তবে গতকাল একটা ইমেইল এসেছে। যেটাতে চারটা ছবি আছে। কোন একটা বাসায় নুসাইবা খাবার খাচ্ছে, ড্রইংরুমে বসে পত্রিকা পড়ছে। ছবি জুম করলে বুঝা যাচ্ছে পত্রিকাটা পাচ দিন আগের। তার মানে রিসেন্ট ছবি। আর বাকি দুইটা ছবির একটাতে নুসাইবা সেই বাসার রান্না ঘরে হাসি মুখে দাঁড়ানো। যেন অনেক পরিচিত একটা বাসা। আর শেষ ছবিটা আরশাদের গলা শুকিয়ে দিয়েছে। নুসাইবা একটা দরজার সামনে এমনভাবে দাঁড়ানো যেন ভিতরে ঢুকবে এখন, আর ঘাড় ঘুরিয়ে পিছন দিকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়েছে হাসিমুখে। নুসাইবা আর দরজার ফাক দিয়ে দেখা যাচ্ছে একটা সুন্দর করে পরিপাটি বেড। কোন বেডরুমে যাচ্ছে নুসাইবা? এই ছবি গুলা যেন আরশাদের ভিতরের দুইটা দিক কে একসাথে ধরে টান দিয়েছে। নুসাইবা কি সত্যি সত্যি কার সাথে গোপনে প্রেম করছে? নুসাইবার পক্ষে এরকম কিছু করা সম্ভব এটাই বিশ্বাস হতে চাইছে না আরশাদের। আবার ছবি গুলা অবিশ্বাস করবে কিভাবে। এইগুলা কি ফটোশপ? মনে হচ্ছে না। বার বার খুতিয়ে দেখেছে। নুসাইবার প্রতি ওর ভালবাসা যেন প্রচন্ড একটা ঝড় তুলেছে বুকে। আরশাদ জানে ও নিজে ধোয়া তুলসি পাতা না। নুসাইবার আড়ালে অনেক কান্ড কীর্তি আছে ওর তবে নুসাইবার প্রতি ভালবাসা কমে নি কখনো ওর। বরং সব সময় নিজেকে নিজে বুঝ দিয়েছে আরশাদ, যে নুসাইবার প্রতি ভালবাসার কারণে আড়ালে আড়ালে এইসব নানা সম্পর্কে জড়িয়েছে ও। নুসাইবা যা ওকে দিতে পারে নি তাই খুজে নিয়েছে অন্যখানে। নুসাইবা কে ছেড়ে যায় নি। খালি অন্যখান থেকে কিছুটা সংগ, উত্তেজনা খুজে নিয়েছে। যাতে নুসাইবার সাথে আর ভালভাবে থাকতে পারে। আর ভালবাসতে পারে। সেখানে নুসাইবাই কি নতুন করে কিছু খুজে নিচ্ছে অন্য কার কাছ থেকে? এটা ভাবতেই নুসাইবা কে নিয়ে আরশাদের ভিতরের দ্বিতীয় দিকটা যেন আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। নুসাইবা কে অন্য কেউ দেখলে আরশাদ সব সময় এটা এঞ্জয় করত। কল্পনায় বা ওর উত্তেজনার সংগীদের সাথে থাকার সময় অনেক রকম সিনারিওতে রোলপ্লে করেছে আরশাদ। সেখানে নুসাইবা ওর মত উত্তেজনা খুজে বেড়ায় আর সেটা যেন আরশাদের উত্তেজনা আর বাড়িয়ে দেয়। আরশাদ টের পায় এক সাথে হিংসা, ভয় আর এই লুকিয়ে রাখা উত্তেজনা সব যেন ওকে গ্রাস করছে। মেইলের ভিতরে খালি একটা লাইন লেখা ছিল। ইফ ইউ ওয়ান্ট আই কেন শো ইউ হোয়াট হ্যাপেন্স নেক্সট।  ভয় আর উত্তেজনায় কাপছে আরশাদ। কি করা উচিত ওর? কি করবে ও?
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৩) - by কাদের - 30-08-2023, 02:57 PM



Users browsing this thread: 3 Guest(s)