Thread Rating:
  • 185 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩২ )
বনানী থেকে উত্তরা গেস্ট হাউজ পর্যন্ত ফলো করার সময় আবার নুসাইবা বার বার মাহফুজের হাটু খামচে ধরছিল। আর মাহফুজ ভিতরে ভিতরে শিউরে উঠছিল নুসাইবার স্পর্শে। আরশাদের উবার যত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল উত্তেজনায় নুসাইবা তত জোরে মাহফুজের পা খামচে ধরছিল। নুসাইবার চোখেমুখে তখন উত্তেজনা। কোথায় যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত আরশাদ? আসলেই কি বড়লোকদের এই গোপন ক্যাসিনোতে যাবে? অন্যদিকে মাহফুজের চোখেমুখেও তখন অন্য উত্তেজনা। সিএনজিএর বদ্ধ খাচায় এত কাছে নুসাইবা। একটু আগে দেখা দুধের দুলনি আর পায়ের উপর খামচে ধরা নরম হাত। সব যেন মাহফুজের উপর এক ধরনের প্রভাব ফেলল। নুসাইবা যখন আরশাদ কি করে সেই চিন্তায় ব্যস্ত মাহফুজ তাই তখন নুসাইবার চিন্তায় ব্যস্ত। অবশেষে আরশাদের উবার যখন উত্তরা গেস্টহাউজের সামনে যায় তখন নুসাইবা এটাই কি সেই জায়গা কিনা জানা জন্য মাহফুজের দিকে তাকায়। মাহফুজ কিছু বলে না। খালি সম্মতিসূচক মাথা নাড়ায়। সংগে সংগে নুসাইবার পৃথিবী যেন ভেংগে পড়ে চোখের সামনে। এতদিনের সন্দেহ, আশংকা সব সত্য হয়ে ধরা দেয়। মদ খাওয়াটা পছন্দ না করলেও ছেলেদের সিগারেট মদ এইরকম দুই একটা বদ অভ্যাস থাকতে পারে সেটা নুসাইবা মেনে নিয়েছিল। আর যেহেতু আরশাদ ঠিক পাড় মাতাল না, মাঝে মধ্যে একটু আধটু খায় তাই এটা নিয়ে বেশি খুব উচ্চবাচ্চ্য করে নি। তবে এই পত্রিকার রিপোর্টের পর নুসাইবার সব বিশ্বাস টলে গেছে। আজকে এই জুয়ার আড্ডায় ঢুকা মানে খালি জুয়া খেলা না, এত টাকা খালি সরকারি বেতন দিয়ে হবে না। এক্সট্রা ইনকাম লাগবে। আর সেটার উৎস যে ঘুষ সেটাও নুসাইবা বুঝে ফেলে। এতদিন এত মানুষের সামনে করা এত গর্ব। চারিদিকে সরকারি অফিসাররা যখন ঘুষ খেয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে তখন ওর স্বামীর সততা নিয়ে বন্ধু, আত্মীয় স্বজন, কলিগ সবার কাছে বুক ফুলিয়ে গর্ব করেছে। আরশাদ নিজেও ওর সেই ইমেজটা সব খানে প্রচার করেছে। তবে নুসাইবা বুঝে আসলে সব ফাপা। ওর গর্ব, আরশাদের ইমেজ সব আসলে মিথ্যা কথার উপর দাঁড়িয়ে আছে। নিজের আর আরশাদের সততার উপর এতদিন ধরে যে আস্থা ছিল সব ভেংগেচুড়ে চুরমার হয়ে গেছে। সিএনজিওয়ালা পিছন ফিরে জিজ্ঞেস করে, মামা আর কি অপেক্ষা করব এইখানে আগের মত নাকি অন্য কোথাও যাবেন। নুসাইবা কোন কথা বলতে পারে না। সারা শরীর যেন পাথর হয়ে গেছে। মাহফুজ নুসাইবার মুখের দিকে তাকায়। অবস্থা টের পায়। সিএনজিওয়ালা কে বলে মামা শুরুতে যেখান থেকে তুলছিলেন সেখানে ফিরে চলেন। নামায়ে দিবেন। সিএনজি উলটো ঘুরে। গলির ভিতর দিয়ে মেইন রাস্তার দিকে চলতে থাকে। নুসাইবার কোন হুশ নেই। এইভাবে এত বছরের আস্থা ভেংগে যাওয়ায় নুসাইবা যেন আর কথা বলতে পারে না। আটকে থাকা সব আবেগ চোখের পানি হয়ে অঝোরে নামতে থাকে। সিএনজি মেইন রাস্তায় উঠে আসে। নুসাইবার কান্নার গতি আর বৃদ্ধি পায় যেন। কান্নারত মানুষ কে কিভাবে সান্তনা দিবে বুঝে উঠতে পারছে না। মাহফুজ বলে সব ঠিক হয়ে যাবে ফুফু। মাহফুজের কথায় নুসাইবার কান্না যেন আর বৃদ্ধি পায়। কিভাবে ঠিক হবে সব? এতদিন ধরে কি তাহলে ভুল মানুষের সাথে সংসার করছে নুসাইবা। মাহফুজ পিঠের পিছন দিয়ে হাত নিয়ে ঘাড়ে রাখে সান্তনা দেবার জন্য। মাহফুজ দেখেছে মন খারাপ বা কান্নার সময় এভাবে মানুষ কে ধরলে মানুষ ঠান্ডা হয়। মানুষের সহানুভূতির স্পর্শ যেন নুসাইবার ভিতরের আবেগ আর বাড়িয়ে দেয়। কি করবে এখন ও? কিভাবে সামলাবে সব? কার সাথে শেয়ার করবে এইসব। সবার কাছে আরশাদের ভাল মানুষ ইমেজ। সবার কাছে ওদের সুখের সংসারের ইমেজ। সবাই জানতে কতটা ছোট হতে হবে মানুষের কাছে। এই সময় মাহফুজের সহানুভূতির স্পর্শ নুসাইবার বড় দরকার ছিল। মাহফুজে ঘাড়ে নিজের মাথাটা হেলিয়ে দেয়।  কান্না থামে না তবু নুসাইবার। মাহফুজ নুসাইবার পিঠের পিছ দিয়ে এক হাত নিয়ে কাধ থেকে হাতের বাহু বরারবর হাত বুলিয়ে সান্তনা দেয়। অন্য হাত মাথায় বুলাতে থাকে। শক্ত ব্যক্তিত্বের অধিকারী নুসাইবা যেন এখন এই মূহুর্তে এই সিএনজিএর ভিতর সব শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। মাহফুজ তাই মাথায় আর হাতের বাহু বরাবর হাত বুলিয়ে নুসাইবা কে শান্ত করার চেষ্টা করে। শুক্রবার বিকাল থেকে ঢাকার রাস্তায় জ্যাম বাড়ে। সন্ধায় সেটা বেশ ভাল জ্যাম হয়। সিএনজি তাই আস্তে আস্তে সিগন্যাল গুলোর জ্যাম ঠেলে এগুচ্ছে। নুসাইবার কান্নার বেগ কমে এসেছে। তবে কান্নার সাথে চলতে থাকা হেচকি কমে নি। মাহফুজ হেচকি থামানোর জন্য বাহুতে বুলানো হাতটা পিঠের দিকে নিয়ে যায়। বলে, ফুফু কান্না করবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে একটা উপায় বের হবে। পিঠের উপর হাত বুলাতে থাকে। নুসাইবার মাথা মাহফুজের কাধ থেকে ওর বুকে চলে আসে। মাহফুজ নুসাইবার মাথা ওর বুকে চেপে ধরে শান্ত করতে থাকে নুসাইবা কে। এদিকে মাহফুজের ভিতরে অন্য স্বত্তাটা এবার পুরোদমে জেগে উঠে। একটু আগে দেখা দুধের ঝাকুনি যে অশান্তি তৈরি করছিল ওর বুকের ভিতর সেটা যেন এখন পুরোদমে আগুন হয়ে জ্বলছে। নুসাইবার মাথা কাধ থেকে ওর বুকে আসা মাত্র নুসাইবার বুবসের এক সাইডে মাহফুজের বুকে ঘষা খায়। কি নরম স্পর্শ। না চাইতেই  মাহফুজের মাথায় সব দুষ্ট চিন্তা ঘুরতে থাকে। হাতে নিতে কেমন হবে নুসাইবার এই নরম দুই গোলক। সিনথিয়া সাবরিনা দুই জন থেকেই বেশ বড় এই দুধ। বাচ্চা না হতেই এমন বড় দুধ। হাতের ভিতর নিয়ে দলাই মলাই করতে মন চাচ্ছে। এদিকে অন্য হাত পিঠের উপর  বুলাতে বুলাতে টের পায় ব্রায়ের স্ট্রাপ। মাঝে মাঝে সিনথিয়ার সাথে একটা দুষ্টমি করে। জামার উপর দিয়ে ব্রায়ের স্ট্রাপ টেনে আবার ছেড়ে দেয়। ঠাস করে একটা শব্দ হয়। সিনথিয়া উফ করে। খুব মজা লাগে এই ব্যাপারটায় মাহফুজের। অনেক কষ্টে নুসাইবার ব্রায়ের স্ট্রাপ টেনে ছেড়ে দেওয়া থেকে নিজে কে বিরত রাখে। প্যান্টের ভিতর জেগে উঠা দানবটাকে বসিয়ে রাখতে পারে না। প্যান্টের ভিতর ফুলে উঠে। একদিকে ওর বুকে ঘষা নুসাইবার দুধ। নরম শরীর। আর পিঠে হাত বুলানোর সময় ভিতরে ব্রায়ের স্ট্রাপের স্পর্শ। এইসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে সিএনজি এক সময় আরশাদ আর নুসাইবাদের এপার্টমেন্টের সামনে এসে দাঁড়ায়। নুসাইবার কান্না তখন কমে এসেছে তবে চোখের পানি একদম বন্ধ হয় নি। মাহফুজ বলে ফুফু বাসা এসে গেছে। চোখটা মুছে নিন। অন্য কেউ দেখলে কি ভাববে। এই কথাটা যেন নুসাইবার কানে ম্যাজিকের মত কাজ করে। অলওয়েজ ইমেজ সচেতন নুসাইবা অন্য কেউ কি ভাববে সেই চিন্তায় সব সময় সচেতন। তাই মাহফুজের বুক থেকে মাথা তুলে শাড়ির আচল দিয়ে ভাল করে চোখ মুছে। চুলটা ঠিক করে। মাহফুজের দেখে মনে হয় এযেন সেই শক্ত ব্যক্তিত্বের নুসাইবা। সিএনজি থেকে দুইজন বের হয়। মাহফুজ ভাবে চলে যাবে কিনা। তবে নুসাইবা বলে একটু বাসায় আস কথা আছে।


নুসাইবা যদিও সিএনজি থেকে নামার সময় কেউ যাতে ওর কান্না দেখতে না পারে বা মনের ভিতরের অবস্থা না বুঝতে পারে তাই চোখ মুখ মুছে নরমাল মুখে লিফটে উঠে কিন্তু ওর ভিতরে সেই ঝড় এখনো বয়ে চলছে। কার সাথে এই ব্যাপারে কথা বলার উপায় নেই। কার সাথে কথা বলতে গেলে তাকে পুরো ব্যাপারটা খুলে বলতে হবে। আরশাদের ঘুষ খাওয়া, জুয়া খেলা এইসব কিভাবে অন্যদের সাথে শেয়ার করবে। কোথায় যাবে এত দিনের ওদের সম্মান, প্রেস্টিজ। এই সময় খালি মাহফুজের সাথে কথা বলা যায় কারণ মাহফুজ কে নতুন কর কিছু বলবার দরকার নেই। ও সব কিছু জানে। আর জেবার সাথে ওর ছেলে কে স্কুলে ভর্তি করারনোর সময় কথাটা ওর মাথায় মাঝখানে কিছুদিন ঘুরছিল। জেবা বলেছিল, মাহফুজ ভাই সব পারে। আরশাদও একদিন বলেছিল, যেভাবে অল্প কয়েকদিনে পিকনিক আয়োজন করেছে মাহফুজ তাতে মনে হয় এই ছেলে কে দিয়ে অসাধ্য সাধন হবে। এই সব কারণেই নুসাইবার মনে হয় মাহফুজ হচ্ছে এই মূহুর্তে পরামর্শ করার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি। নুসাইবা চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে। পিছে পিছে মাহফুজ এসে ঢুকে। ঘরের দরজা লাগানোর পর নুসাইবা ওর মুখোশ খুলে ফেলে। সিএনজি থেকে বের হবার সময় যে হাসিখুশি নরমাল মানুষের মুখোশ পড়ে বের হয়েছিল ঘরের ভিতর সেই মুখোশ খুলে ফেলে নুসাইবা। নুসাইবার চোখ আবার ছলছল করে উঠে। আরশাদের যে কোন ভুলে নুসাইবা অন্য সময় প্রচন্ড রেগে যায়, বকাঝকা করে আরশাদ কে। কিন্তু আজকে এটা দেখার পর নুসাইবা যেন রাগ করা ভুলে গেছে। ওর মনে হচ্ছে ওর পুরো জীবনটা বুঝি মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে আছে। এতদিন চোরাবালির উপর দাঁড়িয়ে ছিল তবে বুঝতে পারে নি। ধীরে ধীরে একটু একটু করে ডুবেছে। আজকে এত বছর পর যেন বুঝতে পারছে চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে তবে বড় বেশি দেরি হয়ে গেছে। চোরাবালি থেকে বের হবার আর কোন উপায় বুঝি নেই। এই যে ওর নামে আরশাদ ঢাকার আশেপাশে অনেক জমি কিনেছে। যেগুলো জিজ্ঞেস করলেই বলছে শেয়ার বাজারের টাকা বা কার সাহায্য কম টাকায় পাওয়া ভাল জমি সেসব কি সত্যি। এইসব জমি ওর নামে কিনে কি আরশাদ ওকে পাপের ভাগীদার করল। আর চিন্তা করতে পারে না নুসাইবা। মাথাটা ঘুরে উঠে। পা টলে উঠে। হঠাত চোখ অন্ধকার হয়ে আসে।


মাহফুজ সিএনজির ভিতর অবাক হয়ে লক্ষ্য করে কিভাবে অন্য কেউ কি ভাববে এই কথা বলার পর নুসাইবা ম্যাজিকের মত চেঞ্জ করে এটিচুড। সিনথিয়া একবার বলেছিল নুসাইবা ফুফুর সব কাজের উদ্দ্যেশ হল যাতে সমাজের চোখে, আশেপাশে মানুষের চোখে উনার ইমেজ ঠিক থাকে। প্রচন্ড ইমেজ সচেতন মানুষ নুসাইবা ফুফু। আজকে নুসাইবার কয়েক সেকেন্ডে এই পরিবর্তন যেন সেই কথাটার মানে ভালভাবে মাহফুজ কে  বুঝতে সাহায্য করে। লিফটে উঠার সময় আরকেজন ভদ্রলোক লিফটে উঠে। নুসাইবা তার সাথে এমন ভাবে হেসে হেসে কথা বলে যে একটু আগে এই নুসাইবা যে কান্নায় ভেসে যাচ্ছিল সেটা মাহফুজের বিশ্বাস হয় না। মাহফুজ কে সেই ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় ভাতিজির ফ্রেন্ড হিসেবে। মাহফুজ মনে মনে হিসাব করে এক সাপ্তাহ আগেও অন্য কাও কে ও যে সিনথিয়ার ফ্রেন্ড এইটুকু নুসাইবা বলত না। তাই ওর মনে হয় আজকের এই অভিযানে আরশাদের বারটা বাজলেও ওর লাভ কম হয় নি। তবে ও যে আজকে নুসাইবা কে হেল্প করেছে এই খবরটুকু গোপন রাখার জন্য নুসাইবা কে বলতে হবে। নাহলে অন্য সমস্যা বাধবে আরশাদের তরফ থেকে। এর মধ্যে ওরা নুসাইবাদের ফ্লোরে আসে। নুসাইবা চাবি দিয়ে দরজা খুলে ওকে ভিতরে আসতে বলে। মাহফুজ ভিতরে ঢুকে মাহফুজ দরজা লাগায়। দরজা লাগানোর পর উলটা ঘুরে দেখে নুসাইবা হেটে সোফার দিকে যাচ্ছে। যাওয়ার পথে হঠাত থমকে দাঁড়ায় নুসাইবা, এরপর কয়েক সেকেন্ড বিরতি। নুসাইবার শরীর যেন টলে উঠে। মাহফুজ দেখে নুসাইবা যেন স্লো মোশনে পড়ে যাচ্ছে। রিফ্লেক্স বশত মাহফুজ কিছু চিন্তা না করেই লাফ দেয় নুসাইবা মাটিতে পড়ার আগে ধরে ফেলে নুসাইবা কে। ফুফু, ফুফু বলে দুইবার ঝাকি দেয়। কোন সাড়া নেই নুসাইবার। মাহফুজ বুঝে অজ্ঞান হয়ে গেছে নুসাইবা। এতবড় একটা শকের পর ভিতরে চেপে রাখা অনুভূতি যতই ইমেজ ঠিক রাখার ভয়ে চেপে থাকুক, ঘরে ঢুকার পর সেটা সর্বশক্তি দিয়ে নুসাইবা কে আঘাত করেছে। অজ্ঞান হয়ে গেছে নুসাইবা। মৃত বা জীবিত যে কোন মানুষ যদি তার শরীরের সব ওজন ছেড়ে দেয় তখন তাকে বহন করা কষ্টকর। অজ্ঞান নুসাইবার কোন হুশ নেই তাই মাহফুজ তাকে পাজকোলা করে সোফায় শুইয়ে দেয়। আরেকবার ঝাকি দেয় ফুফু, ফুফু বলে। কোন শব্দ নেই। মাহফুজ সোফায় নুসাইবা কে শুইয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। কি এক বিপদে পড়া গেল। কি করবে এখন? আরশাদ কে ফোন দিবে? তাহলে কি ব্যাখ্যা করবে মাহফুজ। কেন এই বাসায়, কি কারণে নুসাইবা অজ্ঞান হল। পাশের বাসার কাউকে ডাকবে? তাহলেও তো সেইম প্রশ্ন। অজ্ঞান হওয়া মানুষের মুখে সবাই পানির ছিটা দেয় এটা এতদিন দেখে এসেছে মাহফুজ তাই সেটাই করে। ড্রইং রুমের সাথে থাকা গেস্ট বাথরুমে ঢুকে মগ করে পানি আনে। চোখে মুখে পানির ছিটা দেয়। কোন সাড়া নেই নুসাইবার। মাহফুজ নুসাইবা কে দেখে। শরীরে কাপড় অবিন্যস্ত হয়ে আছে। ওড়না অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাবার সময় মাটিতে পড়ে গেছে। মাহফুজ যখন অজ্ঞান হয়ে যাওয়া নুসাইবা কে মাটি থেকে উপরে তুলেছে তখন এতকিছু খেয়াল করে নি। এখন দেখছে কামিজের কোমড় থেকে নিচের দিকের পিছনের অংশ এমন ভাবে শরীরের নিচে চাপা পড়েছে যাতে সাইড থেকে নুসাইবার পাছার শেপ বুঝা যাচ্ছে। সামনের দিকের কাপড় কোমড় পর্যন্ত উঠে আছে। তাই ভালভাবে দুই পায়ের সংযোগ স্থল আর রানের শেপ বুঝা যাচ্ছে। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া নুসাইবার অবিনস্ত্য কাপড়ের কারণে মাহফুজ ভালভাবে নুসাইবার শরীর আরেকবার দেখার সুযোগ পায়। উচু বুক। দারুণ শেপের পাছা। পায়ের রানে জড়িয়ে থাকা সালোয়ার। সব মিলিয়ে মাহফুজের ভিতরের উত্তাপটা যেন আবার বেড়ে যায়। তবে মনের মধ্যে অন্য একটা অংশ বলে ছি, এইভাবে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া একজন মহিলা কে নিয়ে এইভাবে ভাবা ঠিক না। মাহফুজের মনের ভিতর ভাল অংশটা তখন আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ে নুসাইবার জ্ঞান ফিরানোর জন্য। মুখে পানির ছিটা দেয়। শরীর ধরে ঝাকায় কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। পাচ মিনিট  হয়ে গেল নুসাইবার জ্ঞান ফেরার নাম নেই। মাহফুজ একটু চিন্তিত হয়ে পড়ে। তাই ডাক্তার এক বন্ধু কে ফোন দেয় মাহফুজ।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৩) - by কাদের - 14-08-2023, 10:56 AM



Users browsing this thread: evergreen_830, 5 Guest(s)