Thread Rating:
  • 183 Vote(s) - 3.34 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )


শুক্রবার সকালে এমনিতে নুসাইবা আরশাদ একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠে সাড়ে নয়টা দশটার দিকে। অন্যদিন অফিসের জন্য বেশ সকাল সকাল উঠতে হয় দুইজনকেই। আটটার মধ্যে নাস্তা করে বের হয়ে পড়ে। তবে আজকে শুক্রবার, ছুটির দিন হলেও আজকে নরমাল দিনের মত ঘুম থেকে আগে  উঠেছে নুসাইবা আরশাদ। দুইজনে মিলে সকালে বাজারে গিয়েছিল। আজকে দুপুরে দাওয়াত দিয়েছে ওরা মাহফুজ আর আফসানা কে। দুইজনের কাউকে অবশ্য অন্যজনের কথা বলা হয় নি। আফসানা একটা প্রাইভেট ব্যাংকে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাঝে মাঝে অন্য বাংক গুলোয় ভিজিটে যেতে হয় সেখানে আফসানার সাথে পরিচয় হয়েছিল নুসাইবার। ব্যাংকের হেড অফিসে বসে। দারূন কর্মততপর। কর্পোরেট বা ব্যাংকের বাকি মেয়েদের মত সুন্দরী, স্মার্ট। তবে নুসাইবার মতে আফসানা যতটা না সুন্দরী তার থেকে বেশি মেইনটেইন করে। নুসাইবার মতে সরকারি অফিসেও সুন্দরী মেয়ে কম নেই তবে সরকারি অফিসে ছেলে বা মেয়ে কেউ ড্রেসাপে অতটা জোর দেয় না। সেই জায়গায় কর্পোরেটের লোকজন ড্রেসাপ এন্ড গেটাপে যে পরিমাণ জোর দেয় তাতে নরমাল সুন্দরী মেয়েও অনেক সুন্দরী হয়ে উঠে। তবে আফসানার গেটাপে একটা চটকদার ব্যাপার আছে। ঠিক স্লাটি টাইপ কিছু না বাট দেখলে আরেকবার দেখার ইচ্ছা হবে এমন। আফসানার সাথে অন্যরা যে অহরহ ফ্লার্টিং করার চেষ্টা করে সেটা নুসাইবার চোখ এড়ায় নি। তবে আফসানা কে শুধু যে এই কারণে আজকে দাওয়াতে চয়েজ করেছে সেটা না। নুসাইবা আফসানার সাথে কথায় কথায় জেনেছে আফসানা মফস্বল থেকে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ এমবিএ করে এখন ব্যাংকে চাকরি করে। বাবা কলেজে টিচার মফস্বলে আর মা গৃহীনি। নুসাইবার মতে মাহফুজের সাথে ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডের দিক থেকে আফসানাই যায় বেশি। আর যদিও সিনথিয়ার সাথে মাহফুজের বিয়ে হোক তা নুসাইবা চায় না তবু মাহফুজ যে দেখতে সুদর্শন এবং স্মার্ট সেব্যাপারে নুসাইবার আপাতত কোন ডাউট নেই। সেটাই আজকের প্ল্যানের অন্যতম মূল দিক। নুসাইবা আশা করছে আজকে মাহফুজ এবং আফসানা দুইজনেই দুইজনের প্রতি একটু হলেও আকৃষ্ট হবে। আফাসানা যে রকম পাত্র খুজছে বলছে মাহফুজ তার জন্য পারফেক্ট। ফিনিন্সাসিয়ালি সলভেন্ট, ভবিষ্যতের প্রসপেক্ট ভাল এবং ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড খুব হাইফাই না। আফসানা বলেছে খুব হাইফাই ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডের ছেলে কে বিয়ে করলে পরে ওর সিম্পল ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য কথা শুনতে হতে পারে। সেটা সে চায় না। তাই আফসানার মাহফুজ কে পছন্দ হবে এটা নুসাইবা আশা করছে। এবার মাহফুজ কি করবে সেটাই বিষয়।

মাহফুজ সম্পর্কে নুসাইবা আজকাল একটু সংশয়ে থাকছে। এমনিতে মাহফুজ কে অপছন্দ করার মত কিছু নেই। তবে যখন থেকে নুসাইবা সন্দেহ করছে মাহফুজ আর সিনথিয়ার মধ্যে কিছু একটা আছে এবং সিনথিয়া ইজ সিরিয়াস এবাউট দিস রিলেশন। তখন থেকেই মাহফুজ কে ঠিক ভাল নজরে দেখতে পারছে না। আর জেবা আর রিয়াদ ভাইয়ের ছেলের এডমিশন করিয়ে দেবার পর থেকেই মাহফুজের নাম ওর শরীরের একটা সুক্ষ জ্বলুনি তৈরি করছে। নুসাইবা ওর ইমোশন সহজে লুকাতে পারে না। অনেক সময় ঠিক করে না ভেবে ইমোশনের উপর ডিসিশান নেয়। তাই আরশাদ যখন ওকে বুঝাচ্ছিল মাহফুজ সম্পর্কে সহজে কোন সিদ্ধান্ত না নিতে এবং হুট করে এই ব্যাপারে কিছু না করতে তখন মেনে নিতে না পারলেও আরশাদের কথা ফেলে দিতে পারছিল না। আসলেই তো মাহফুজের অযোগ্যতা কোথায়? যে কোন বিচারে মাহফুজ যথেষ্ট ভাল পাত্র। ওদের ফ্যামিলিতে কেউ কখনো রাজনীতি করা ছেলে বিয়ে করে নি। তবে এটাও ঠিক মাহফুজ রাস্তার গুন্ডা বদমাশ বা পাড়ার টোকাই পলেটিশিয়ান না। সামনে ওর ভাল প্রসপেক্ট আছে রাজনীতিতে। তার উপর আরশাদের কথা অনুযায়ী ব্যবসায় ভাল সম্ভাবনা আছে। আর কাজে কেমন দক্ষ সেটা তো পিকনিকের সময় নুসাইবা দেখল। কিন্তু এত কিছুর পরেও মাহফুজ কে ঠিক ওদের বাড়ির জামাই হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। এমন না যে মাহফুজ খারাপ কিছু করেছে। তবু নুসাইবার মনে হয় মাহফুজের ব্যাকগ্রাউন্ড আফসানার জন্য ঠিক আছে। দুইজনেই এম্বিশাস, দুই জনেই হাম্বল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে। তাই ওদের মিল হওয়া ভাল। নুসাইবা নিজে কে নিজেই বুঝ দেয় এতে খারাপ হবার কিছু নেই। কারণ বিয়ে নিয়ে নুসাইবার কিছু ব্যক্তিগত মতামত আছে। তার একটা হল স্বামী স্ত্রীর ব্যাকগ্রাউন্ড যত কাছাকাছি হবে বিয়ে তত সুখের হবে। প্রেমের কারণে খালি বিয়ে করলে বিয়ে সুখী হবে সেটা না। ওর আর আরশাদের পনের বছরের সুখের সংসারের প্রধান কারণ নুসাইবা মনে করে ওদের সিমিলার ব্যাকগ্রাউন্ড। তাই নুসাইবা মনে মনে ভাবে ও যা করছে এটা খালি সিনথিয়ার জন্য নয় বরং মাহফুজের জন্যও ভাল হবে।


সকাল থেকে নুসাইবা রান্না বান্নায় ব্যস্ত। আজকে কাজের লোক কে ফোন দিয়ে তাড়াতাড়ি নিয়ে এসেছে। অন্যদিন বেলা এগারটা বাজার আগে আসে না কাজের লোক। আরশাদ রান্না ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ায়। রান্না ঘরে যদিও এগজস্টিং ফ্যান চলছে তবু রান্নার কারণে ভীষণ গরম। রীতিমত ঘামছে নুসাইবা। নুসাইবা রান্না বান্নায় হাত ভাল। বাসায় পরে থাকা সালোয়ার কামিজটা ঘামে শরীরের সাথে লেগে আছে। নুসাইবার শরীর এই ঘামে ভেজা কাপড়ে একদম ফুটে উঠেছে। এত বছর পরেও নুসাইবার শরীরের চমক কমে নি বরং বেড়েছে। নুসাইবা কে পিছন থেকে দেখতে দেখতে আরশাদের মনে হয় নুসাইবার মত এমন বউ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। নুসাইবার মেজাজ একটু গরম, মাঝে মাঝে ডমিনেটিং। তার পরেও এর থেকে ভাল পাওয়া সম্ভব ছিল না। এমন সুন্দরী কাউকে বিয়ে করবে সেটাও ভাবে নি কম বয়সে। যখন নুসাইবা কে বিয়ে করেছিল তখন হিসাব করলে নুসাইবা ছিল ওর বন্ধুর বউদের মধ্যে অন্যতম সুন্দরী। কিন্তু সময়ের সাথে নুসাইবার সৌন্দর্য যেন বাড়ছে। অনায়েসে এখন আরশাদ বলতে পারে ওর বন্ধুদের মধ্যে নুসাইবা এখন প্রথম সুন্দরী ওয়াইফ। পুরান মদের মত সময়ের সাথে সাথে নুসাইবার মাদকতা খালি বাড়ছে। নুসাইবা কে মাঝে মাঝে আড়াল থেকে লক্ষ্য করে আরশাদ। আর প্রতিবার এইভাবে লক্ষ্য করার সময় নুসাইবা নিয়ে ওর চিন্তা গুলো উকি দেয়। মনের মধ্যে একটা পাপবোধ জেগে উঠে। নুসাইবা ওকে যেরকম ভালবাসে তাতে কখনোই নুসাইবা কে ওর মনের কথা বলা যাবে না। রেগে পাগল হয়ে যাবে। আর নুসাইবার ভালবাসা ছাড়া আরশাদ থাকতেও পারবে না। নুসাইবার জন্য ও মরিয়া। তাই শুধু শুধু ওর মনের ভিতরের চিন্তা গুলো নুসাইবা কে বলে রিস্ক নিতে চায় না। এর বাইরেও আরেকটা অপরাধবোধ আরশাদের মধ্যে সব সময় থাকে। এটা আর বড় অপরাধবোধ। ওদের কোন সন্তান নেই। নুসাইবার মত একটা মেয়ে যে বাচ্চাদের এত ভালবাসে তার উচিত ছিল অন্তত একটা সন্তান পাওয়া। এটা নিয়ে ভাবতে আর ভাল লাগে না। কিছু জিনিস মনের ভিতর চাপা পড়ে থাকা ভাল। নাহলে অপরাধবোধে পাগল হয়ে যাবে, মাঝে মাঝে ভাবে আরশাদ।

নুসাইবা টের পায় আরশাদ রান্না ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। মাঝে মাঝেই এমন করে নুসাইবা যখন কাজ করে তখন দূর থেকে আরশাদ তাকিয়ে তাকিয়ে ওকে দেখে। নুসাইবা আড় চোখে কাজের  বুয়ার দিকে তাকায়। মাছ কাটতে কাটতে বাসার স্যার ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসে বুয়া। নুসাইবা দেখে বুয়ার হাসি। একটু লজ্জা লাগে। তবে ভাল লাগে এইভাবে বিয়ের এত বছর পরেও ওর স্বামী এখনো লুকিয়ে লুকিয়ে ওকে দেখে। ওর বান্ধবীরা দেখা হলেই গল্পের সময় স্বামীদের নামে অভিযোগের বন্যা বইয়ে দেয়। ঠিকমত মনযোগ দেয় না, কেউ অন্য জায়গায় প্রেম করে বেড়ায়। কিন্তু নুসাইবার বিশ্বাস ওর আরশাদ এর বাইরে। এই রকম আড়াল থেকে দেখা মূহুর্ত গুলো নুসাইবার বিশ্বাসের ভিত্ত শক্ত করে। মাঝে বছর দুই তিন আগে একবার যখন ওদের বাচ্চা না হওয়া নিয়ে ওর শ্বশুড় বাড়িতে কথা উঠল তখন আরশাদ যেভাবে বলেছিল, এই ব্যাপারে কেউ আর যেন কখনো একটা কথা না বলে এবং নুসাইবা কে যেন আর কিছু এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস না করে, ঠিক তখন থেকে নুসাইবা যেন আবার নতুন করে আরশাদের প্রেমে পড়েছে। নুসাইবা আরশাদ কে জিজ্ঞেস করে কিছু বলবে? আরশাদ নুসাইবার প্রশ্ন শুনে পৃথিবীতে ফিরে আসে। ওর চিন্তা গুলো দ্রুত মনের ভিতর লুকিয়ে রাখতে চায়। যেন নুসাইবা দৃষ্টি দেখে পড়ে ফেলবে ভিতরের সব চিন্তা। আরশাদ তাই কথা ঘুরানোর জন্য বলে, একদম জামাই আদরের জন্য রান্না করছ দেখি। নুসাইবা হেসে ফেলে। আসলেই আজকে বহু কিছু রান্না করে ফেলছে। মুরগী, খাসি, মাছ, পোলাও, পায়েস। নুসাইবা বলে আরে আমাদের প্ল্যান সফল হতে গেলে আফসানা আর মাহফুজ দুইজনের মন খুশি খুশি থাকতে হবে। ভাল খাওয়া সবার মন খুশি রাখে। আরশাদ বলে তুমি আফসানা কে দাওয়াত দিচ্ছ মাহফুজের সাথে এটা জানলে সিনথিয়া কি বলবে ভেবেছ কিছু। নুসাইবা বলে আরে আমি বলব দুইজন আমাদের উপকার করেছে তাই দুইজন কে দাওয়াত করেছি। এর মাঝে আর কিছু নেই। আরশাদ বলল হ্যা সিনথিয়া মানলেই হয়। নুসাইবা বলে সিনথিয়ার চিন্তা পরে করো। আজকে আমাদের চিন্তা মাহফুজ কে আফসানার সাথে একটু হুকাপ করিয়ে দেওয়া। এরপর দেখবে হাওয়া নিজে থেকেই চলবে। আরশাদ বলে এত সিওর হয়ো না। সিনথিয়া কলেজ থেকেই প্রেম করে সেটা তুমি জান। কিন্তু আর কখনো কোন প্রেমের ব্যাপারে সিরিয়াস সেটা মনে হয় নি। কিন্তু এই ব্যাপারে ও সিরিয়াস। আর মাহফুজকেও মনে হল ভাল কমিটেড। তার উপর মাহফুজ ভাল চালাক ছেলে। বেশি কিছু বলতে যেও না, মাহফুজ তাহলে সহজেই তোমার প্ল্যান ধরে ফেলবে। নুসাইবাও মনে মনে এই ব্যাপারটা নিয়ে একটু চিন্তিত। মাহফুজ কে সরাসরি বা ইংগিতে আফসার দিকে ঠেলে দেওয়া যাবে না। মাহফুজ যথেষ্ট চালাক ছেলে। বুঝতে পারলে কাজ হবে না প্ল্যানে। নুসাইবা বলে কিছুই যদি না বলি তাহলে মাহফুজ আর আফসানায়  বিক্রিয়া ঘটবে কিভাবে। আরশাদ বলে আপাতত এটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দাও। বেশি কিছু বলতে গেলে বিক্রিয়া তো হবেই না বরং আর উলটো রেজাল্ট আসবে। আর মাহফুজ ছেলে অত খারাপ না যদিও তুমি ওকে চাও না। আমার কিন্তু মাহফুজের ব্যাপারে অত না নেই। নুসাইবা একটু ঝাঝের সাথে বলে তোমরা ছেলে মানুষরা এত কিছু বুঝবে না। বিয়ে একটা বড় ব্যাপার। এখানে খালি প্রেম না আর অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে হয়। আমি খালি সিনথিয়ার জন্য না মাহফুজের ভালর জন্য এই কাজ করছি। আর দেখ আমাদের দুইজনের কোন সন্তান নেই। ডাক্তার বলেছে আমি মা হতে পারব না। এটা জানার পরেও তুমি যেভাবে আমাকে সাপোর্ট দিয়েছ সেটা আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডের মিলের কারণেই হয়েছে। নুসাইবার কথা শুন আরশাদ অস্বস্তি বোধ করতে থাকে। পুরাতন পাপবোধ যেন বুকের ভিতর পাথর হয়ে বসতে থাকে। আরশাদ তাই কথা এড়িয়ে বলে, তাড়াতাড়ি রান্না কর। এরপর গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিতে হবে। ওরা চলে আসবে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই।
[+] 13 users Like কাদের's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২০) - by কাদের - 19-07-2023, 01:53 PM



Users browsing this thread: 13 Guest(s)