Thread Rating:
  • 185 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩২ )
আপডেট ২০




আরশাদ সাহেবের মন আজকে ভাল। মোটামুটি বেশ ভালভাবেই পিকনিকটা শেষ হয়েছে। এলমনাই এসোশিয়েশনের ভিতর প্রতিপক্ষ গ্রুপটা নানা বাগড়া দেবার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাক ভাবেই পিকনিক করা গেছে। পিকনিক শেষে সবার সাথে কথা বলে মনে হয়েছে সবাই বেশ সন্তুষ্ট। এলমনাই এসোশিয়েশনের আগামী কমিটিতেও সেক্রেটারি পদটা মোটামুটি নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায়। সাধারণত এই পদে আরেকটু সিনিয়র ব্যাচের লোকেরা আসে। তবে ট্যাক্স ক্যাডারে ভাল পোস্টিং এবং ভাল পরিমাণ টাকা ঢালায় এর আগের বার সেক্রেটারি হতে পেরেছে। এইবার টাকা ঢাললেও লোকে পারফর্মেন্স দেখতে চাইছে যেহেতু একবার অলরেডি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ফেলেছেন। পিকনিকটা এই দিকে দিয়ে একটা বড় সাকসেস। তবে মনের ভিতর একটা খচখচ করছে। পিকনিকে বিকালের দিকে নুসাইবা একটা সিনক্রিয়েট করেছে। মাহফুজ ছেলেটাকে ভীষণ বকাঝকা করেছে। সামান্য লেমনেডের জন্য এত বকা দেওয়া ঠিক হয় নি। তবে নুসাইবা যখন ক্ষেপে যায় ঠিক তখন ওর সামনে কিছু বাধা দেওয়া খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ না, আগের অভিজ্ঞতা থেকে এটা জানে আরশাদ। তাই তখন চুপ করে ছিল। যদিও মাহফুজ ছেলেটাকে বাজিয়ে দেখার জন্য কাজ দিয়েছিল আরশাদ তবে এখন মনে হচ্ছে ছেলেটা কাজের আছে। বেশ ভালভাবেই পিকনিকের দ্বায়িত্ব পালন করেছে। অন্তত পিকনিক আয়োজনে হেনস্তা হতে হয় নি। আরশাদ ভাল করেই জানে প্রতিপক্ষ উত পেতে ছিল পিকনিক আয়োজনে ভুল ধরার জন্য। এই জন্য মাহফুজ ছেলেটার জন্য একটু খারাপ লাগছে। মাহফুজ অত ক্লাস নিয়ে সচেতন না। নুসাইবা যেমন ওর ভাতিজির জন্য একদম উচু ক্লাসের পাত্র চায়, আরশাদ সেখানে এগুলা নিয়ে অত চিন্তিত না। আরশাদের মতে টাকাই ক্লাস ঠিক করে দেয়। ভাল বংশের গরীব ছেলের চাইতে নিচু বংশের বড়লোক ছেলে ভাল। তবে নুসাইবা যা বলে তার অমতে যাবার খুব একটা ইচ্ছা এসব ক্ষেত্রে নাই আরশাদের। তাই মাহফুজ কে বাজিয়ে দেখছিল এমন কোন খুত  বের করা যায় কিনা যেটা দিয়ে বাদ দিয়ে দেওয়া যায় সম্ভাব্য পাত্রের খাতা থেকে। তবে এই কয়দিনের অভিজ্ঞতা বলে মাহফুজের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবার কথা, অন্তত ব্যবসার ক্ষেত্রে। ট্যাক্স ক্যাডারের অফিসার হবার কারণে চাকরির শুরু থেকে নানা পদের মানুষের অর্থনৈতিক লেনদেন দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আরশাদের। আরশাদ মাহফুজের ট্যাক্স ফাইল ঘেটে, এই কয়দিন মাহফুজের কাজকর্ম ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে এসেছে যে, মাহফুজের ব্যবসায়িক বুদ্ধি ভাল। প্রতি বছর ইনকাম ট্যাক্স ফাইলে ইনকাম সোর্সের উত্তরত্তোর সমৃদ্ধি সেটাই ইন্ডিকেট করে। একটু খুটিয়ে খুটিয়ে প্রশ্ন করে এবং দুই একজনের কাছে খোজ নিয়ে বুঝেছে মাহফুজ ভাল কানেক্টেড। এত কম বয়সে সরকারী দলের যুব সংগঠনের ঢাকার অর্গানাইজিং সেক্রেটারি। যেখানে যুব সংগঠনের একটা পদ পেতে চল্লিশ বছর বয়স হয়ে যায় সেখানে মাহফুজ ত্রিশ বছরের মধ্যে অর্গানাইজিং সেক্রেটারির পদ বাগিয়েছে। একটাও মামলা নেই ওর নামে। খুব ক্লিন ইমেজ। সব মিলিয়ে এ ছেলের রাজনীতির ভবিষ্যত উজ্জ্বল। এছাড়া সিনথিয়াও এই ছেলের প্রতি ভাল পরিমাণে দূর্বল। তাই সরাসরি খারাপ ব্যবহার করে লাভের থেকে লসের পরিমাণ বেশি হবার সম্ভাবনা। আর এই জীবনে লাভ লসের হিসাবে বেশি দক্ষ আরশাদ। তাই জানে অনেক সময় পছন্দ না হলেও অনেক ব্যাপার সহ্য করে নিতে হয় তাহলে আখেরে লাভের পরিমাণ বেশি হবে।


নুসাইবা অনেক বুদ্ধিমান হলেও এই একটা ব্যাপারে বেশ বোকা। পছন্দ অপছন্দ খুব সহজে বুঝিয়ে দেয়। অনেক সময় লাভের জন্য চুপ করে থাকতে হয় এই ব্যাপারটা সহজে মাথায় কাজ করতে চায় না নুসাইবার। আরশাদ যেমন বেশ বুদ্ধিমানের মত মানুষ কে তার বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থান দিয়ে মাপে, নুসাইবা সেখানে মানুষ কে মাপে পারিবারিক আভিজাত্যের পুরাতন রীতিতে। আরশাদের তাই মনে হয় নুসাইবা বুঝি আজকের বিকালের মাহফুজের উপর আউটবাস্টটা করেছে জেনে বুঝেই। হয়ত মাহফুজ কে অপমান করে ওর সাথে সিনথিয়ার সম্পর্ক টা বিষিয়ে তুলতে চাইছে। তবে এতে উলটো ফল হবার চান্স আছে। আরশাদ তাই নুসাইবা কে জিজ্ঞেস করে, আজকে বিকালে এত রেগে গেলে কেন? আরশাদের কাছে এই প্রশ্ন শুনে নুসাইবা কি উত্তর দিবে ভেবে পায় না। আজকে বিকাল থেকেই মনের ভিতরটা একটু খচখচ করছে, মাহফুজের সাথে  ব্যবহারটা কি আসলেই উচিত ব্যবহার হয়েছে কিনা। তবে দুপুরে ওর বান্ধবীদের কথা মাহফুজ শুনে ফেলার পর থেকেই নুসাইবার মাথা অপমানে দপদপ করছিল। এমন না যে নুসাইবার বান্ধবীদের সাথে মজা করে না, বিভিন্ন জিনিস নিয়ে একে অন্য কে টিজ করে না। কিন্তু সেই সব জিনিস ঘটে আড়ালে, পরিচিত কেউ দেখে না, কার বিব্রত হবার সম্ভাবনা নেই। আজকে বান্ধবীরা যদিও জেনে  বুঝে করে নি কিন্তু ওদের কথায় নুসাইবা চরম বিব্রত হয়েছে। তার উপর সেটা মাহফুজের সামনে হওয়ায় বিব্রত হওয়ার পরিমান আর বেশি। পরে রুমে ঢুকে বন্ধুদের ভাল ঝাড়ি দিয়েছে। তারপরেও নুসাইবার রাগ কমছিল না। বিকালে মাহফুজ কে দেখে নুসাইবার মনে হচ্ছিল মাহফুজ বুঝি ওকে দেখে মুচকি মুচকি হাসছে তাই আর বেশি করে ক্ষেপে গিয়েছিল। ঠিক সেই সময় লেমনেডের ঘটনাটা ঘটায়, পুরো রাগ গিয়ে ঝেড়েছে মাহফুজের উপর। কিন্তু এই কথা তো আরশাদ কে বলা যায় না। প্রথমত, ওর বান্ধবীরা কি মজা করে বলেছে সেটা আরশাদ কে বলা ঠিক হবে না। আর দ্বিতীয়ত, আরশাদ সব সময় নুসাইবা কে ওর এই পাগলাটে রাগের জন্য কথা শোনায়। তাই ঠিক মেজাজ হারিয়ে এইরকম ঝাড়ি দিয়েছে এটা বলে আরেকদফা উপদেশ বাণী শুনতে চায় না এই মূহুর্তে নুসাইবা। তাই নুসাইবা উত্তর দিল, এরকম একটা ভুল করলে ভাল করে ঝাড়ি দিতে হয় নাহলে এইসব কম বয়েসী ছোকড়ারা মাথায় উঠে। আরশাদ এবার ঠান্ডা মাথায় নুসাইবা কে বুঝাতে শুরু করে। কেন সব সময় মাথা গরম করতে হয় না। কেন অনেক সময় গরম মাথায় সিদ্ধান্ত না নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবলে আর ভাল সমাধান বের হয়। সিনথিয়ার সাথে মাহফুজের একটা সম্পর্ক আছে এটা তো তারা দুইজনেই বুঝতে পারছে। এই অবস্থায় মাহফুজের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে সিনথিয়া মাহফুজের পক্ষ নিবে, প্রেমে সাধারণত সবাই এমন করে। মাহফুজ কে যদি নুসাইবার নিতান্ত পছন্দ না হয় তবে এমন সরাসরি কিছু না করে আড়াল থেকে খেলা  উচিত যাতে মাহফুজ বা নুসাইবা দুইজনে দুইজনকে আস্তে আস্তে অপছন্দ করতে শুরু করে। নুসাইবা একবার আরশাদের কথায় পালাটা উত্তর দিতে গিয়েও চুপ করে যায়। আরশাদ যা বলছে এর যুক্তি আছে। ওর নিজের যে মাথা গরম এটা সে নিজেই জানে। এইজন্য অনেক সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আর সিনথিয়া-মাহফুজের ব্যাপারে মাথা গরম করে কিছু হবে না। আর সত্য বলতে কি আজকে মাহফুজের উপর রাগ লেমনেড বা সিনথিয়ার সাথে ওর সম্পর্কের ব্যাপারে না। ওর বান্ধবীদের কথা গুলো যে পরিমাণ বিব্রত করেছে ওকে তারপর কার উপর রাগ ঝাড়া যায় এটা বুঝছিল না। তার উপর ওর মনে হচ্ছিল মাহফুজ মনে মনে এইসব ভেবে হাসছে। তাই মাহফুজের উপর রাগ ঝাড়া হয়ে গেছে। যদিও এখন বুঝছে একটু বেশি হয়ে গেছে। তাই আরশাদ কে নুসাইবা বলে তোমার কথা একদিন দিয়ে ঠিক। তবে যা বলার বলে তো ফেলেছি। এখন উপায় কি?  


আরশাদ বলে ড্যামেজ কন্ট্রোল। এখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে হবে আগে। নুসাইবা বলে সেটা তো বুঝলাম। তবে আবার বলো না মাহফুজ কে স্যরি বলতে হবে ফোন দিয়ে। আরশাদ বলে আরে নাহ। ওকে দাওয়াত দিব বাসায়। আমাদের জগন্নাথে ইউনিভার্সিটিতে স্পীকার করে নিয়ে গেল, আবার এলমনাই এসোশিয়েশনের কাজটা করে দিল। এই জন্য দাওয়াত দিব। নুসাইবা জিজ্ঞেস করে, দাওয়াত দিলেই আসবে? আমি যে বকা দিলাম। আরশাদ বলে এমনিতে হয়ত আসত না তবে এখন আসবে। নুসাইবা জিজ্ঞেস করে কেন? আরশাদ বলে ভেবে দেখ। সিনথিয়া কে যদি সত্যি ভালবাসে তাহলে তার একমাত্র ফুফু ফুপার দাওয়াত কখনোই অগ্রাহ্য করবে না। আর যদি না আসে তাহলে আমরা যেমন ভেবেছি সিনথিয়ার উপর ওর ফিলিংস এত শক্ত না। তারমানে ধীর ধীরে সিনথিয়া আর ওর রিলেশন এমনিতে শেষ হয়ে যাবে। আর আমরা খালি ওকে দাওয়াত দিব এমন না। সিনথিয়াকে বলব মাহফুজ কে দাওয়াত দিচ্ছি। সরাসরি না বললেও এমন ইংগিত দিবা সিনথিয়া কে যাতে মনে হয় মাহফুজ কে পাত্র হিসেবে দেখার জন্য এই দাওয়াত। তাহলে সিনথিয়া মাহফুজের উপর এক্সট্রা প্রেশার ক্রিয়েট করবে দাওয়াতে আসার জন্য যদি সিনথিয়ার মনে মাহফুজের প্রতি সত্যিকারের সফট কর্ণার থাকে। নুসাইব ইম্প্রেস হয়। বলে তুমি আসলেই জিনিয়াস। তবে মাহফুজ যদি সত্যি সত্যি দাওয়াত এক্সেপ্ট করে আসে। তাহলে কি হবে। আরশাদ বলে কিছুই হবে না। আমরা চমৎকার ব্যবহার করব। তুমি এমন ব্যবহার করবে যেন কিছুই হয় নি। আমি ভাল ভাল কথা বলব প্রশংসা করব। ভাল করে রান্না বান্না করবে। নুসাইব একটু অবাক হয়ে বলে তাহলে? আরশাদ বলে তুমি কি চাও আসলে। ওদের প্রেমটা ভাংগতে তাই না? সেই জন্য মাহফুজ কে আমাদের আর ভাল করে বুঝতে হবে। এই দাওয়াত সেই সুযোগ দিবে আমাদের। ওকে আমরা যত জানব তব আমাদের পরের স্টেপ এক্সিকিউট করা সহজ হবে। নুসাইবা এইবার  উত্তর দেয়- আসলে মাহফুজ ছেলেটা হয়ত খারাপ না কিন্তু ওর ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিক আমাদের লেভেলের না। সিনথিয়া বাচ্চা মানুষ তাই আবেগে অনেক কথাই বলতে পারে। কিন্তু আমাদের তো অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাই আমাদের কিছু করা উচিত না। আবার সরাসরি কিছু বললে তো উলটো ফল  হতে পারে। আরশাদ, নুসাইবার প্রশ্নের সমাধান দেয়- তোমার কাজিনের প্রেমের সময় আমরা কি করেছিলাম মনে আছে? নুসাইবার ঠোটে  হাসি ফুটে উঠে। পুরাতন কাহিনী মনে পড়তেই সব ব্যাপারটা পরিষ্কার  হয়ে যায় ওর কাছে। আরশাদ আসলেই জিনিয়াস। নুসাইবা বলে আর বলতে হবে না। আমি বুঝে গেছি। ইউ আর এ জিনিয়াস।
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২০) - by কাদের - 10-07-2023, 12:56 PM



Users browsing this thread: 4 Guest(s)