Thread Rating:
  • 179 Vote(s) - 3.31 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ )


গত এক ঘন্টা ধরে এই অফিসে বসে আছে। ভিতরে ভিতরে রেগে আছে মাহফুজ। গত কয়েকদিনে ফোনের পর ফোনে বিরক্ত হয়ে গেছে। আরশাদের ডিপার্টমেন্টের এলমনাই এসোশিয়েশনের এনুয়াল পিকনিক আয়োজনের দ্বায়িত্ব ওদের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি নেবার পর থেকে ফোনের পর ফোন করে বিরক্ত করে ফেলেছে নুসাইবা। নুসাইবা এলমনাই এসোশিয়েশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য। এছাড়া পিনকিন আয়োজনের জন্য যে কমিটি কাজ করছে সেটারও মেম্বার সাথে খাদ্য ব্যবস্থাপনা দ্বায়িত্ব ওর কাধে পড়েছে। তাই প্রতিদিন কয়েকবার করে মেন্যু কি হবে, কে রান্না করবে,বাজার কোথা থেকে করা হবে, খাবার কিভাবে পরিবেশন করা হবে সেই সব নিয়ে ফোনের পর ফোন দিয়ে যাচ্ছে। মাহফুজের বিজনেস পার্টনাররা প্রথম প্রথম ফোন রিসিভ করলেও এখন করা ছেড়ে দিয়েছে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করতে গেলে এরকম ব্যতিব্যস্ত দুই একটা ক্লায়েন্ট মাসে হ্যান্ডেল করা লাগে। তবে এইবার যেহেতু কাজ মাহফুজ আনছে তাই দুই পার্টনার এই অতিরিক্ত ব্যস্ত ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেল করার দ্বায়িত্ব মাহফুজের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। মাহফুজ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ডে টু ডে ফাংশান চলানোর কাজ সাধারণত করে না। তবে নুসাইবা আর আরশাদের কেসটা স্পেশাল বলে হ্যান্ডেল করার দ্বায়িত্ব  নিয়েছে। এখন তাই নিজের উপর নিজের রাগ হচ্ছে। নুসাইবা প্রচন্ড খুত খুতে। প্রত্যেকটা জিনিসে ভুল ধরে এবং সেটা নিয়ে গন্ডা খানেক উপদেশ দেয়।  ঠিক করে নিয়ে গেলে সেখানে আবার ভুল ধরে। আর আরশাদ দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে খালাস। এত দ্রুত কিভাবে কাজ করবে মাহফুজরা সেটা নিয়ে যেন ভাবছেই না। তাই কাজের প্রেসার অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। আর বাকি আছে মাত্র দুই দিন এখনো অনেক কাজ বাকি। আর আগে থেকে দুইটা ইভেন্টের কাজ নিয়ে রাখায় ওদের কোম্পানির বেশির ভাগ এপ্লয়ি সেখানে ব্যস্ত। মাহফুজ অল্প দুই চার জন কে নিয়ে পিকনিকের কাজটা এখন সামলানোর চেষ্টা করছে।



এই মূহুর্তে মাহফুজ বসে আছে কলাবাগানে নুসাইবা আর আরশাদের ডিপার্টমেন্টের এলমনাই এসোশিয়েশনের একটা অফিস আছে সেখানে। প্রায় পঞ্চাশ মিনিট আগে নুসাইবার আসার কথা। আসছে আসছে বলে এখনো এসে পৌছায় নি। ছোট একটা অফিস। এর আগে আরেকদিন এসেছিল মাহফুজ কন্ট্রাক্ট সাইন করতে। তিন টা রুম আর সামনে একটা বড় বসার ঘর। আসলে একটা ফ্ল্যাট কে অফিস বানিয়ে নিয়েছে এলমনাই এসোশিয়েসন। আরশাদের সাথে কথায় কথায় জেনেছে মূলত ছুটির দিন বিকাল বেলা লোকজন আসে, আড্ডা দেয়। সাপ্তাহের অন্য দিন তেমন কেউ থাকে না। একজন পিয়ন নিয়োগ করা আছে। বিকাল চারটার পর অফিস খুলে বসে থাকে রাত নয়টা পর্যন্ত। পিয়ন ছেলেটা কোনায় বসে মোবাইলে কিছু একটা দেখছে। এই সময় দরজা খুলে কেউ একজন ভিতরে ঢুকে। নুসাইবা এসেছে ভেবে মাহফুজ ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। না, অন্য একজন মহিলা। মহিলা কে দেখে পিয়ন দাঁড়িয়ে সালাম দেয়।   মহিলা জিজ্ঞেস করে নুসাইবা আপা আসছে? পিয়ন উত্তর দেয়, না। মহিলা বলে এক গ্লাস পানি খাওয়া তো।  বাইরে ভীষণ গরম। এই বলে ভিতরে আসতেই মাহফুজ কে দেখে। কৌতুহলী দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করে, আপনি কে? চিনতে পারলাম না? মাহফুজ সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দেয়। ওদের ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি যে এইবার পিকনিকের দ্বায়িত্বে সেটা জানায়।


ভদ্রমহিলা জিজ্ঞেস করে আপনিও কি নুসাইবা আপার জন্য অপেক্ষা করছেন? মাহফুজ হ্যা বলে। ভদ্রমহিলা  বলে আমিও সেই জন্য এসেছি। দুই জন চুপচাপ অপেক্ষা করতে থাকে। ভদ্রমহিলা নুসাইবা কে ফোন দেয়, ফোনের কথোপকথন শুনে মাহফুজ টের পায় নুসাইবার আসতে আরেকটু দেরি হবে রাস্তার জ্যামে আটকে আছে। ফোন রাখার পর মাহফুজ নিজ থেকে বলে আমি প্রায় এক ঘন্টা ধরে বসে আছি। ভদ্র মহিলা বলেন নুসাইবা আপা সাধারণত টাইমের ব্যাপারে খুব পাংচুয়াল। আমি ভেবেছিলাম আমি লেট করে বসে আছি এখন দেখি আপাই লেট। মাহফুজ বলে আমি আসলে একটু টাইমের আগে এসছিলাম যাতে লেট না হয়ে যায়। ভদ্রমহিলা বলেন, হ্যা। আপাকে যারা চিনে সবাই একটু আগে আসে আপার পড়ে আসলে কথা শুনতে হবে। মহিলার গলায় সুক্ষ তেজ টের পায় মাহফুজ। তাই একটু আগ্রহী হয়ে উঠে। জিজ্ঞেস করে, আপনি কি এই এলামনাই এসোশিয়েশনের মেম্বার। ভদ্রমহিলা বলেন, ওহ, আমার পরিচয় তো দেওয়া হয় নি। আমি জেবা আকতার। ডিপার্টমেন্টে নুসাইবা আপাদের দুই বছর জুনিয়র ছিলাম। মাহফুজ বলে আচ্ছা সেই সূত্রে তাহলে আপনাদের পরিচয়। মহিলা মাথা নাড়েন, সেই সূত্রে খালি না আর অনেক কিছুর মাধ্যমেই। আমার জামাই হচ্ছেন আরশাদ ভাইয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড। যদিও আমার জামাই এই ডিপার্টমেন্টের না। তবে আরশাদের ভাইয়ের সাথে এক স্কুলে পড়াশুনা করেছে। আমার জামাই এর সাথে পরিচয় অবশ্য নুসাইবা আপা আর আরশাদ ভাইয়ের মাধ্যমে। আর আমি এখন যে এক্সিকিউটিভ কমিটি আছে এলমনাই এসোশিয়েশনের সেটার কালাচারাল সেক্রেটারি। মাহফুজ বলে তাহলে তো আপনি উনাদের খুব ভাল করে চিনেন। ভদ্রমহিলা উত্তর দেন, ভাল করে মানে, খুব ভাল করে। মাহফুজ আবার গলায় একটা স্লেষ এর আভাস পায়। ভদ্রমহিলা জিজ্ঞেস করে, আপনি কিভাবে চিনেন। মাহফুজ আসল ব্যাপারটা এড়িয়ে যায়। বলে, এই যে কাজের সূত্রে। আমার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি আপনাদের পিকনিকের দ্বায়িত্ব নিয়েছে। আপনি তাহলে আমাদের ঝামেলা থেকে বাচিয়েছেন। মাহফুজ জানতে চায় আগের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি সরে গেল কেন? দুইটা কারণে উত্তর দেয় ভদ্রমহিলা। আমাদের এসোশিয়েশনে একটু গ্রুপিং আছে, আগের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গত কয়েক বছর ধরে আমাদের সব প্রোগ্রামের দ্বায়িত্ব নিয়েছে। দে আর কোয়াইট গুড। কিন্তু তাদের খাতির হচ্ছে আরশাদ ভাইয়ের বিপরীত গ্রুপের সাথে। তাই শুরু থেকেই আরশাদ ভাই তাদের খুত ধরত, তার উপর নুসাইবা আপা তো আছে। ভুল ধরায় ওস্তাদ। মাহফুজ হেসে দেয়। ভদ্রমহিলা বলে আপনিও তাহলে এর স্বীকার হয়ে গেছেন। মাহফুজ হাসে তবে উত্তর দেয় না। ভদ্রমহিলা এবার একটু রিলাক্স হয়, বলে নুসাইবা আপা এমনিতে ভাল কিন্তু কি যে ভাবে মাঝে মাঝে নিজে কে। সব কিছু পারফেক্ট হতে হবে, নিখুত। এত ভুল ধরে। দেখেন আমার এত বয়স হয়ে গেছে। ছেলে হাইস্কুলে পর্যন্ত উঠে গেছে সেখানে আপার সামনে পড়লে আমার নিস্তার নাই। কিছু না কিছু একটা ভুল ধরবেই। আমি কালচারাল সেক্রেটারি কিন্তু কালচারাল অনুষ্ঠানে কি হবে না হবে সেই ব্যাপারে উনার মত দেওয়া চায়। সব কিছু বেশি জানে আর বুজে এমন একটা ভাব। গলায় তেজ টের পেয়ে মাহফুজ একটু উসকে দিতে চায়। তাই  বলে, তাই নাকি? আগুনে যেন তুষ পড়েছে। মহিলা এবার নিজ থেকে বলে উঠে আমি সারা জীবন গান শিখেছি, কি গান গাইব বা অন্যরা কি গান গাইবে সেটা আমার থেকে ভাল কে বুঝবে। সেই ভার্সিটি লাইফ থেকে দেখে এসেছি সেন্টার অফ এটেনশন হতে খুব পছন্দ নুসাইবা আপার। মাহফুজ আরেকটু উসকে দেয়, আপনি কিছু  বলেন না? ভদ্রমহিলা উত্তর দেয়, আমার হাজবেন্ডের জানি দোস্ত আরশাদ ভাই। আর আমার হাজবেন্ডের প্রমোশনেও হেল্প করেছে রিসেন্টলি। তাই কৃতজ্ঞতা বশত কিছু বলি না। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় আপা বেশি বেশি করে। এই সব খানে নাক গলানোর স্বভাব বাদ দিলে আপা এমনিতে নাইস। যে কোন দরকারে, বিপদে আপদে এগিয়ে আসে। খালি এই উপদেশ দেওয়া, আর ভুল ধরার স্বভাবটা যদি কাটাতে পারত। মাহফুজ হাসতে থাকে। মনে মনে হিসাব কষে। ভদ্র মহিলা নুসাইবা আর আরশাদ সম্পর্কে বেশ ভাল করে জানে। তাই এনার থেকে খোজ বের করা অনেক ইজি হবে।



মাহফুজ তাই ভদ্রমহিলার দিকে তাকায়। মহিলার বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। দেখতে খুব একটা খারাপ না। তবে হাল্কা বাল্কি হয়ে গেছে। নুসাইবার থেকে ছোট হলেও বয়সে দেখতে বড় মনে হচ্ছে। মাহফুজ জানে মেয়েদের থেকে কথা বের করার প্রধান অস্ত্র প্রশংসা। তাই মাহফুজ ধীরে ধীরে শুরু করে কাজ। কি করেন, আপনার হাজবেন্ড কি করেন এইসব দিয়ে। কথা প্রসংগে বলে আপনার ছেলে যে হাইস্কুলে পড়ে এটা কিন্তু বুঝা যায় না। মহিলা হেসে উঠে। বলে আপনি শুধু মিথ্যা বলছেন। মাহফুজ বলে বিশ্বাস করেন, আপনি না বললে আমি বুঝেই উঠতে পারতাম না। এইভাবে কথায় কথায় কথা আগায়। মাহফুজ উনার স্বামী নিয়ে জিজ্ঞেস করে, একটা দেশী কর্পোরেট হাউজে আছে। জিএম পজিশনে। একটু আগে ভদ্রমহিলা বলেছিলেন তার স্বামীর প্রমোশনে আরশাদ সাহেবের হাত আছে। সেটা কিভাব জিজ্ঞস করতেই ভদ্রমহিলা এড়িয়ে যান। মাহফুজ টের পায় এখানে ফিশি কিছু ব্যাপার আছে। মাথায় নোট করে রাখে। পরে চেক করে দেখতে হবে।



এইসব কথার মাঝেই নুসাইবা এসে হাজির হয়। মাহফুজ সালাম দেয়। মাহফুজের সালামের উত্তর দিয়েই নুসাইবা জেবার সাথে কথায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাহফুজ চামড়ার নিচে সুক্ষ জ্বলুনি টের পায়। এমন ভাবে সালামের উত্তর দিল যেন মাহফুজ রুমে নেই বা থাকলেও গ্রাহ্য করার দরকার নেই। কয়েক মিনিট জেবার সাথে কথা বলে এবার মাহফুজের দিকে ফিরে নুসাইবা। বলে, হ্যা কি আপডেট আছে মাহফুজ সাহেব। মাহফুজ টের পায়  নুসাইবা ফর্মাল ব্যবহার করছে। মাহফুজ তাই সেইম কাজ করে। এই তো আপনাদের ডিমান্ড অনুযায়ী যে যে কাজ গুলো করেছি এইখানে তার একটা ডিটেইলস আছে এই বলে হাতের কাগজ টা এগিয়ে দেয়। নুসাইবা দুই মিনিট ধরে মনোযোগ দিয়ে কাগজটা দেখে। তারপর একের পর এক প্রশ্ন শুরু করে নানা খুটিনাটি ব্যাপারে। মাহফুজ বিরক্ত হয় তবে গলার স্বরে প্রকাশ করে না। এমনিতে অল্প সময় দিয়েছে আয়োজন করার তার উপর এত খুতখুতে হলে সমস্যা। এমন ক্লায়েন্ট পেলে যে কেউ ভেগে যাবে। মাহফুজ একমাত্র সিনথিয়ার জন্য লেগে আছে। চোখের কোণা দিয়ে মাহফুজ দেখে নুসাইবার প্রশ্নের তোড়ে এমনকি জেবার কপালে বিরক্তির ছাপ ফুটে উঠেছে। মাহফুজ জেবার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসি দেয়। এই মহিলার সাহয্য তার দরকার হবে। জেবা সহানুভূতিমূলক একটা হাসি ফুটিয়ে তুলে চোখে।



প্রায় এক ঘন্টার মত নানা প্রশ্ন আলোচনার পর মাহফুজের পর্ব শেষ করে নুসাইবা। এরপর জেবার সাথে কথা শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পার্ট টা নিয়ে। মাহফুজ টের পায় জেবার কপালে বিরক্তির রেখা ফুটে উঠছে। মাহফুজ কাজ শেষ হলেও চলে যায় না। কি হয় দেখতে থাকে। বলা যায় না কি দরকারি ইনফরমেশন মেলে এখান থেকে। নুসাইবা হালকা বিরক্তির স্বরে জানায় অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ঠ আয়োজন হয় সাংস্কৃতিক পার্টে। জেবা হালকা জোর গলায় জানায় আপা কেউ প্যাক্টিসে আসে না। তাহলে কিভাবে বুঝব কে গাইবে, কাকে কোন গান গাওয়াবো। নুসাইবা বলে বাচ্চাদের আর মহিলাদের খেলার জন্য কোন ব্যবস্থা রাখ নি। জেবা বলে আপা আপনাকে তো আগেই বলেছি এগুলা নিয়ে কাজ হচ্ছে। আর গত চার বছর ধরে আমি এই কাজ করছি প্রতিবার কোন সমস্যা হয় নি এইবারো হবে না। খালি আমার উপর ছেড়ে দেন সব। নুসাইবা বলে তোমার উপর কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করছে। তাই ঠিক করে করো সব। জেবা মাথা নাড়ায়। মাহফুজ দেখে এখানে ওর একটা চান্স আছে। উনাদের মেইন প্রব্লেম এনাফ শিল্পি নাই প্রোগ্রাম করার আর বাইরে থেকে কোন শিল্পী আনার পরিকল্পনাও নাই। মাহফুজ বলে আপনারা বাইরে থেকে কাউকে যদি আনতে চান সেটা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। জেবা আর নুসাইবা দুইজনে ওর দিকে তাকায়। বলে বাইরে থেকে শিল্পী আনতে গেলে খরচ অনেক পড়ে যাবে। মাহফুজ বলে আমি যদি অল্প বাজেটে ব্যবস্থা করে দেই। নুসাইবা জিজ্ঞেস করে শিল্পী কেমন? মাহফুজ বলে রেডিও আর বংলাদেশ টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত শিল্পী। ভাল গান গায়। বিভিন্ন প্রোগ্রামে খ্যাপে গান গায় আমার পরিচিত। আপনারা যদি পঞ্চাশ হাজার খরচ করতে রাজি থাকেন আমি তাহলে কথা বলে দেখি। নুসাইবা বলে আমাকে এসোশিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আর সেক্রেটারির সাথে কথা বলতে হবে। এই বলে ফোন নিয়ে পাশের রুমে চলে যায় কথা বলার জন্য।



নুসাইবা পাশের রুমে যেতেই জেবা বলে থ্যাংকিউ হেল্পার জন্য। মাহফুজ বলে আরে এতে ধন্যবাদের কি আছে। আমার এই অবস্থা হলে আপনিও হেল্প করবেন আমি জানি। জেবা বলে একটু আগে জেরার সময় তো কিছু করতে পারলাম না। মাহফুজ হাসে। বলে নেক্সট  বার করলেই হবে। মাহফুজ এবার আরেকটু খোচা দেয়। বলে, আপনি না কালাচারল পার্টের দ্বায়িত্বে তাহলে প্রেসিডেন্ট আর সেক্রেটারির সাথে তো এই ব্যাপারে আপনার কথা বলা দরকার। জেবার গলায় এইবার পরিষ্কার রাগ। বলে, নুসাইবা আপা ভাবে আরশাদ ভাই সেক্রেটারি মানে উনি সেক্রেটারি। আর আমার হাজব্যান্ড কে হেল্প করায় আমিও আর কিছু বলি না এখন। সাথে উনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডাইরেক্টর। তাই ভাবে যেখানে সেখানে নাক গলাতে পারে। মাহফুজ হেসে দেয়। জেবা বলে আস্তে হাসেন নাইলে আপা এসে আবার জেরা করবে বিশ মিনিট ধরে কেন হাসলেন। মাহফুজ এবার জোরে জোরেই হাসে। মাহফুজ বুঝে এই ভদ্রমহিলার সাথে তার একটা কাকেনশন তৈরি হচ্ছে। এবার এই কানেকশনের জোরে তথ্য বের করতে হবে।



একটু পরে নুসাইবা ফিরে আসে। মাহফুজের দিকে তাকিয়ে বলে প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি রাজি হচ্ছিল না আমি বলে কয়ে রাজি করালাম। নুসাইবা যখন অন্যদিকে তাকিয়ে আছে তখন জেবা ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। মাহফুজ টের পায় জেবাও ওর মত নুসাইবার ঝাড়ি টের পেয়ে গেছে। পলিটিক্সে এই কাজ প্রচুর করতে হয়। সহজ কাজ করে এমন ভাবে অন্যদের কাছে স্থাপন করতে হয় যেন বিশাল কঠিন এক কাজ করে এসেছে। নুসাইবার একি কাজে মাহফুজ মনে মনে হাসে। এরপর অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু কথাবার্তার পর জেবা চলে যায়। জেবা চলে যেতেই নুসাইবার ব্যবাহার যেন একটু সহজ হয়ে আসে। নুসাইবা বলে আরশাদ আমাকে বলেছে তুমি শেষ মূহুর্তে দ্বায়িত্ব নিয়ে আমাদের হেল্প করছ। থ্যাংক্স। মাহফুজ একটু অবাক হয় একটু আগে কড়া কড়া ব্যবহার হাওয়া। নুসাইবা বলে কিছু মনে কর না অন্যদের সামনে একটু কড়া হতে হয় যাতে সবাই ভাবে আমরা তোমাকে কোন এক্সট্রা ফেভার দিয়ে কাজ দিই নি। মাহফুজ মাথা নাড়ে। এরপর নুসাইবা বলে আর আমাদের তুমি চিন এটা অন্যদের বলার দরকার নেই। সবাই ভাববে আমরা পরিচিত লোকদের কাজ দিচ্ছি, সুবিধা দিচ্ছি। মাহফুজ মাথা নাড়ে। আরশাদ আর নুসাইবা দুইজনেই যে ট্রিকি সেটা আর পরিষ্কার হচ্ছে ওর কাছে। মাহফুজের মনে মনে একটা চ্যালেঞ্জ অনুভব করে। ট্রিকি লোকদের সাথে ডিল করে জেতার একটা আলাদা মজা আছে। দেখা যাক খেলা কোথায় গিয়ে গড়ায়।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ১৮) - by কাদের - 28-06-2023, 11:11 AM



Users browsing this thread: allanderose113, evergreen_830, Hasan, rizu sopno, 47 Guest(s)