Thread Rating:
  • 3 Vote(s) - 3.67 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance তুমি শুধু আমার
#1
অনেক তো অজারার গল্প পড়লাম বাঃ লিখলাম এবার একটু অন্যরকম প্রেমের গল্প লেখার চেষ্টা করলাম। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
একদম কথা বলবেনা তুমি বলে দিলাম, এতদিন তুমি বলেছ আজকে আমি বলব তুমি শুনবে মনে থাকে যেন। আর সব সময় তোমার শাগরেদ কাছে থাকে তাইনা। এই তোর এখানে কি দরকার।  

মা- কেন বাবা কি হয়েছে এত রেগে যাচ্ছিস কেন আমি যা বলেছি খারাপ কি বলেছি এখন তুই বড় হয়েছিস নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছিস, এখন বলব না তো কবে বলব তুই বলে দে। আর তুই সুমিকে কেন সহ্য করতে পারিসনা বলত। তুই কতটুকু সময় বাড়ি থাকিস ওর পড়াশুনা বাদ দিলে বাকি সময় আমার কাছে থাকে, তুই বুঝবি কি আমার কষ্ট।  
আমি- না এব্যাপারে কোন কথা হবেনা। বাকি কোন কথা থাকলে বলতে পারো।
সুমি- কাকা তুমি রেগে যাচ্ছ কেন ঠাকুমার এখন একজন সঙ্গী দরকার তাইত আমাকে বলেছিল এবার ছেলের বিয়ে দিয়ে বউমা আনবে তো কেন আনবে না, তোমার মাকে আমি আর কত সময় দেবো আমারও তো পড়াশুনা প্রায় শেষ বাবা মা আমাকে বিয়ে দিয়ে দিলে ঠাকুমার কাছে আমিও আসবোনা।
আমি- পাকা মেয়ে শুধু গায়ে পায়ে বড় হয়েছে বুদ্ধি হয়নি একটুও তুই এখন যা। আমি মা কথা বলছি। কোন বুদ্ধি নেই শুধু বক বক করে তুই যে কি করে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলি সেটাই আমি বুঝতে পারছিনা।  
সুমি- দেখলে ঠাকুমা আমাকে পড়াত বলে কেমন ঝারি দেয়, দেখ আগে তুমি স্যার ছিলে এখন না। আমি ঠাকুমার পক্ষে। মাস্টের না ছাই, মায়ের উপর ঝারি দেয়। যেই একখান চাকরি পেয়েছে অমনি গলা বড় হয়ে গেছে তাইনা। মাকে একদম ঝারি দেবেনা বলে দিলাম। পড়া শুনা কলেজ, খেলাধুলা করেছ, সময় মতন মা খেতে দিয়ে সব করে দিয়েছে যেই চাকরি হল অমনি চরিত্র পালটে গেল। ঠাকুমার অনেক কষ্ট হয়, আমি আসি তো আমার সাথে কথা বলে আমি বুঝি সব। আর শোন মশাই আমি পরীক্ষায় লিখতে পেরেছি বলেই না পাশ করেছি বুঝলেন। আমাকে যতই ছোট দেখ না কেন আমি কিন্তু এখন অনেক বড় হয়েগেছি।  
আমি- তবে রে পাকা মেয়ে এবার তোর হবে বলে কাছে যেতেই দিল এক দৌড়, দূরে গিয়ে আমাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দে দৌড়।
মা দেখ মেয়েটা অনেক ভালো কত খেয়াল রাখে আমাদের ওকে ওভাবে বকবি না কষ্ট পায়।
আমি মা দেখ ওকে ভালোবাসি বলেই না এভাবে শাসন করে ভালো রাখতে চাই, গরীবের মেয়ে এখন বোঝেনা সেদিন সংসার করবে সেদিন ঠিক আমার কথা মনে করবে।
মা সে আমাকে বলে তোর কথা সব সময় কি বলে জানিস তোমার ছেলে বকলেও সব সময় আমার ভালো চায় দেখনা সব সময় পরর জন্য বেশী বকা দেয় কারন যাতে আমি ভালো রেজাল্ট করি। সব বুঝি তবুও মাঝে মাঝে খুব রাগ হয় এত বকে বলে। আমি কি পরিনা তুমি বলো, যাক গে আর কতদিন সামনে ফর্ম ফিলাম করে পরীক্ষাটা দেই তারপর আর বক্তে পারবেনা।
আমি মা আসলে মেয়েটা ভালো ওই যা একটু তাড়কাটা যদিও তোমার সাথে পটে ভালো তোমার শাগরেদ তো।  
অনেকেই হয়ত বুঝতে পাড়ছেন না কি নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। খুলে না বললে বুঝবেন কি করে। সামান্য একটু আগের থেকে বলতে হবে।
আমার বাবা ছিলেন রাজা মানুষ ওনার অনেক রানির দরকার, তাইতো আমার মাকে আর আমাকে ফেলে রেখে নতুন রানীকে নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। আমার মাতুল দাদু বুদ্ধি করে মেয়ের নামে দুইকাঠা জমি দিয়েছিলেন। কারন আমার পিতৃদেব তাহার বাড়িখানি বিক্রি করে দিয়ে তবেই চলে গেছেন। আজ প্রায় ৯ বছর হল তাহার আর কোন খোঁজ মেলেনি, তাহার যে এমন একখানি পুত্র আছে সে বিষয়ে তাহার কোন মাথা ব্যাথা ছিল বলিয়া মনে হয়না। আমার নাম রেখেছিলেন আমার বাবা নাম রেখেছিলসম্রাট মিস্ত্রী। বর্তমান বয়স ২৫ বছর। আমার মা রেখা মিস্ত্রী বয়স ৪৩ বছর।
[+] 3 users Like familymember321's post
Like Reply
#3
এখানে একটা কথা বলে রাখি আমার মা কিন্তু কোন সিনেমার নায়িকার মতন সুন্দরী নয় বাঃ কোন নায়ক বাঃ নায়িকার মায়ের মতন না। তবে আমার কাছে সবচাইতে সুন্দরী বেশি। কারন আমার মায়ের মন সুন্দর আচার ব্যাবহার ভালো। ছেলেকে মানুষ করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। দাদুর দেওয়া জমিতে সামান্য একটা কুটির করে আমরা থেকেছি। মানে একটা দরমার ঘর বানিয়েই থেকেছি।

এখন আমি প্রতিষ্ঠিত মানে একটা চাকরি হয়েছে আমার। ভালো ছাত্র ছিলাম বলে আমার পরাশুনার খরচা লাগেনি বলতে পারেন। মাধ্যমিক দিয়েই আমি টিউশনি শুরু করি ফলে আমার খরচা আমি চালিয়ে নিতাম। ওই যে সুমির কথা বললাম আমার ছাত্রি, পাশেই বাড়ি ওদের। ওর বাবা একজন দিনমজুর। তবে ভালো মেয়েকে পড়ানোর কোন কারপন্য করেনি। মায়ের সাথে খুব ভাব আর ওর মা অনেক ভালো আমার মায়ের কাছে থাকে বলে সে ভাবে মেয়ে ভালই হবে। তাইত আমার উপর তার একটা আলাদা খবরদারী। সুমির বয়স এই ১৮ পার করে উনিশে পড়েছে। গরীবের মেয়ে হলে অনেক ভালো বলেই মা এত স্নেহ করেন ওকে তাই আমার উপর খবরদারী করে আর কি। নিজের কোন আত্বীয়না তবে তার থেকে অনেকবেশী। প্রথমে টাকা নিলেও এখন আর ওর কাছ থেকে কিছু নেইনা। একদম ফিরি পড়াই ওকে। যদিও চাকরি পেয়ে যাওয়ার পর আর সময় হয়না তবুও ওকে নিয়মিত পড়িয়ে যাচ্ছি। বলা যায় আমাদের পরিবারের একজন সদস্য।
চাকরি পাওয়ার পর মা একটু মিষ্টি ছাড়া আর কোন টাকা খরচা করেনি। জমিয়ে রেখেছে আমাকে বলেছে আগে একটা বাড়ি করতে হবে। ঠাকুরের কৃপায় লোন পেয়ে গেছি আর সুন্দর করে একটা বাড়ি করেছি আর সব করেছি আমার মায়ের নামে। জমিও মায়ের নামে এবং বাড়ির প্লান থেকে সব কিছু মায়ের নামে। কারন আমার যে সব কিছুই আমার মা। অনেক মেয়েকে পরিয়েছি কিন্তু নিজেকে বিলিয়ে দেইনাই।
কারন মা যা কষ্ট করে আমাকে খাইয়েছে সে কোনদিন ভুলে যাওয়ার মতন না। এখন সব কিছু করে এই গত অক্ষয় তৃতীয়ায় গৃহ প্রবেশ করেছি।
এখন মা আমাকে বলছে বিয়ে করতে ২৫ বছর বয়স পার হয়ে গেছে। ২৬ ষে পরেছি। সেই নিয়ে মায়ের সাথে উপরের কথা গুলো। এর আগে আমার একটা ছোট মোবাইল ছিল হালে একটা বড় মোবাইল নিলাম। বাড়ি ফিরলেই আমার মা আর ছাত্রী সুমির হাতে মোবাইল চলে যায় দুজনে মোবাইল ঘাটে।
সুমি সব সময় আমার পেছনে লাগে তবে পড়াশুনায় ভালো বলে আমি কিছু বলিনা, আর মায়ের ছায়া সঙ্গী বলে আরো ছার পায় আমার কাছ থেকে। কাকা বলে ডাকে কি আর বলব।
মা বার বার শুধু আমার বিয়ের কথা বলে কিন্তু পাত্রী কে দেখেছে কিনা সে আর বলেনা। গৃহ প্রবেশের দিন আমার কলিগরা এসেছিলো আমার মতন অবিবাহিত আছে দুজন আমরা এই তিনজন একসাথে চাকরি পেয়েছি, দুজনেই পরের দিন সুমীর কথা জিজ্ঞেস করেছিল কেমন মেয়ে কি হয়। আমি উত্তরে বলেছিলাম খুব গরীব বলতে পারো আমি ওকে পড়াই এমনি ভালো মেয়ে কিন্তু খুব গরীবের মেয়ে। গরীব শুনে ওরা আর কিছু বলেনি। আসলে ওকে দেখে প্রায় সকল ছেলেদের পছন্দ হবে কারন গরীব হলেও অনেক সুন্দরী মেয়েটা, লম্বা ৫.৩ ইঞ্চি, সব সময় চুড়িদার আর ওড়না পরে দেখলেই সবাই বলবে ভদ্র মেয়ে তাই ওর মার্কেটে চাহিদা আছে বোঝা যায় কারন আমার কলিগ এক একটা পোড় খাওয়া মাল।
পরের দিন একজন তমাল নাম বলল কিরে প্রেম টেম করে নাকি মেয়েটা। আমার কিন্তু পছন্দ হয়েছে দেখনা ভাই গরীব হয় হোক, যদি আমাকে ব্যাবস্থা করে দিতি মনে হল ভালো মেয়ে। আমি শুনে বললাম নারে ভাই সে হবেনা সব ঠিক হয়ে আছে, একটু মিথ্যে বললাম কারন ওর শ্বশুর আমি হতে পারবোনা। শুনে তমালের মন খারাপ হয়ে গেল। তমাল বলছিল ভাই দেখে পছন্দ হয়েছিল, দারুন দেখতে যেমন লম্বা চওড়া তেমন দেখতে, মুখশ্রী তেমন সুন্দর। ঘরে নিলে মানাতো। এই দ্যাখ একটা ছবি তুলেছিলাম যখন আমাদের খেতে দিচ্ছিল তোর তো আবার ভাইজি তবুও কলিগ হিসেবে দেখালাম দেখ যদি বিয়ে করে। আমি এক কাজ কর ছবিটা আমাকে পাঠা তো। সাথে সাথে আমায় পাঠিয়ে দিল। আমিও কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম। ওইদিন মায়ের অনেক খাটাখাটনি গেছে সব মা আর সুমি সামলেছিল দুজনে মিলে।  
আমি আচ্ছা দেখি মায়ের সাথে কথা বলে মা কি বলে কারন ওর বাবা মা মাকে খুব বিশ্বাস করে জেনে তোকে জানাবো। তমাল হাত ধরে বলল দেখনা আমার খুব পছন্দ হয়েছে সত্যি বলছি। সত্যি বলতো তোর কি হয়। আমি আরে আমাদের প্রতিবেশী এমনি কিছুই হয়না কিন্তু ওর মা বাবা মাকে কাকিমা বলে সেই হিসেবে আমাকে কাকু বলে আর কিছুই না।রক্তের কোন সম্পর্ক নেই। ভাই দেখ না আমার শ্বশুর হতে পারিস নাকি। কিরে তবে শ্বশুর বলে ডাকবো তোকে। আমি না তোর কাছে দেবইনা। ভুলে যা।
 যাক অফিস ছেরে বের হলাম আর তমালের কথা গুলো আমার কানে বাজতে লাগল, মেয়েটা দেখতে ভালো লম্বা সুন্দরী আছে। বার বার সুমীর চেহারাটা আমার সামনে ভাসতে লাগল। এবার মায়ের কথা গুলো মনে পড়তে লাগল আমার দেখাশুনা করবে এমন একটা মেয়ে আমি আনবো যে সব সময় আমার কাছে থাকবে। মা কি তবে সুমির কথা বলছে নাকি অন্য কিছু। না এবার যে ভাবনায় পরে গেলাম মা কি বলতে চাইছে। সুমী আমাকে কখনো কাকু বলে ডাকেনা, সব সময় তুমি তুমি করে তবে মাকে ঠাকুমা বলে। আবার ভাবলাম ধুর কি ভাবছি আমি এই ভেবে বাড়ি চলে এলাম।
আমি বাড়ি ঢুকতে দেখি সুমি আর মা বসে আছে। আমি বললাম এই তুই বসে আছিস পড়াশুনা নেই সামনে অনার্স পরীক্ষা।
সুমি এইত এতখন এখানেই পরছিলাম তুমি আসবে বলে বসে আছি। তোমার আমাকে এখন আর সহ্য হচ্ছেনা কেন গো। তোমার মা একা একা কতখন থাকবে, একটা বউ আনো তবে আর আমার থাকতে হবেনা। সে তো করবেনা তোমার মা কত বলে শুনছ কই। না আমি বাড়ি যাই তোমার ছেলে এসেগেছে এবার খাওয়াও ছেলেকে আমি যাই।
মা এই তুই থাক খেয়ে যাবি কি বলেছিলাম মনে নেই।
সুমি তোমার ছেলের তো আমাকে পছন্দ না খালি ভালো করে একটু পড়ায় আর কি আমার সাথে ভালো ব্যবহার করে দেখনা তুমি। এইযে আমার একটা সমস্যা হয়েছে কিছুতেই বুঝতে পারছিনা এইযে একটা প্যারাগ্রাফ একটু বুঝিয়ে দেবে এখন।
[+] 4 users Like familymember321's post
Like Reply
#4
আমি- না এখন কষ্ট হয়ে গেছে সারাদিন অফিস করে এলাম কালকে সকালে আসবি সব বুঝিয়ে দেবো।

মা না আজকে ও যাবেনা আমার কাছে থাকবে তুই খেয়ে সব বুঝিয়ে দিবি তারপর আমার সাথে থাকবে।
আমি- সারাদিন তো তোমার সাথে থাকে আবার রাতেও লাগবে তোমার। আমি আচ্ছা ঠিক আছে তবে খেতে দাও আমি হাত মুখ ধুয়ে আসছি।
সুমি এই নাও বলে আমার হাতে গামছা আর লুঙ্গি এনে দিল। যাও আমরা খাবারের ব্যবস্থা করছি। দেখি মোবাইলটা একটু দাও আর তুমি ফ্রেস হয়ে আসো।
আমি ও এইজন্য বলে মোবাইল বের করে দিলাম ঠিক আছে এই মাসের মাইনে পেলে মাকে একটা বড় মোবাইল কিনে দেব আমারটা আর টানাটানি করবিনা তোরা।
সুমি দাওনা কেন নিজে তো অনেক আগেই কিনেছ তোমার মায়ের বুঝি লাগেনা।
আমি হুম বুঝি মায়ের নাম করে তুমি ঘাটবে তাইনা। ঠিক আছে মা খুশী হলেই আমি খুশী।
সুমি এইজন্য তুমি যা বলনা কেন আমি থাকি মাকে ভালোবাস বলে বুঝলে।
মা কিরে তোর কি সব সময় ঝগরা করবি নাকি এই আমি খাবার রেডি করেছি যা হাত মুখ ধুয়ে আয়।
আমি আচ্ছা বলে চলে গেলাম বাথরুমে। গরম কাল বলে একবারে গা ধুয়ে বের হলাম। মা খাবার নিয়ে বসে আছে আয় বাবা আয়। আমি হুম বলে গিয়ে খেতে বসলাম। সুমি খাচ্ছে আর মোবাইল দেখছে হঠাত বলল এই ফটো কে তুলেছে গো। দেখ তুমি বলে মাকে দেখাল। মা ইস কেমন ফটো তুলেছে না না কার তোঁলা রে। আমি আমার এক কলিগ ওইদিন এসেছিল সে তুলেছে। সুমিকে ওর পছন্দ আমাকে বলছিল কিরে বিয়ে করবি চাকরি করে কিন্তু।
সুমি না একদম না ও ঠাম্মা কি বলছে শোন তুমি। বাবা মাকে যেন না বলে তুমি বলে দাও।
মা ওর বিয়ে নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবেনা। সে আমি দেখবো বড় গার্জিয়ান হয়েছে সে নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবেনা। নিজেকে বলি শোনে না সুমির বিয়ে দিচ্ছে আগে নিজে বিয়ে কর তারপর সব দেখা যাবে। কি বলিস সুমি।
সুমি হুম ভালো করে বলে দাও তাহলে আমি আর আসবোনা। পরাশুনাও ছেরে দেবো বলে দিলাম। এই বলে কেঁদে দিল।
আমি সুমির মাথায় হাত দিয়ে চুল ধরে এই পাগলী কাদার কি হল ও আমাকে বলেছিল তাই বললাম ঠিক আছে আমি এমনিতে মিথ্যে বলে দিয়েছি যে তোর একজন আছে।
মা যাক ভালো করেছিস একথা না বললে আবার কবে চলে আসে।
সুমি- তোমার ছেলের বুদ্ধি আছে তো। ঠিক আছে খাও তুমি আর ভাবতে হবেনা।
আমরা খাওয়া শেষ করে উঠেছি মা আর সুমি দুজনে সব গুছিয়ে নিয়ে বলল এই নাও মোবাইল আমরা ঘুমাতে গেলাম। এরমধ্যে সুমির মা বাবা এল কিরে বাড়ি জাবিনা।
মা বলল না ও যাবেনা আমার কাছে থাকবে তোমাকে বলে এলাম না। নাইটি নিয়ে এসেছে তো সুমি। তোমরা যাও গিয়ে শুয়ে পর সকালে খাওয়া দাওয়া করে যাবে।
সুমির মা ঠিক আছে তবে আমরা যাই বলে চলে গেল।
সকালে আমার ঘুম ভাংতে দেরী হয় সুমি আমাকে ডেকে তুলল ওঠ অফিস যেতে হবেনা। রান্না হয়ে গেছে। আমি বিছানায় শুয়ে আছি সুমি সেই নাইটি পরে এসেছে একদম নরলাম দেখে এত ভালো লাগল, মনে হয় সিনেমার মতন আমার বউ এসে ডেকে তুলেছে। যদিও আমি তখনো শুয়ে আছি। সুমি কি হল ওঠ বলে আমার হাত ধরে টেনে তুলল। চলো আমার সেই প্যারাগ্রাফ তো দেখালে না। আমি ঘড়ি দেখে বললাম নিয়ে আয় বলে দিচ্ছি। তারপর এক ট্রেন পরে গেলেও হবে।
সুমি বাবা তুমি এত সদয় হবে ভাবি নাই দাঁরাও নিয়ে আসছি বলে বেড়িয়ে গেল। মনে হয় নাইটির ভেতরে একটা প্যান্টি পড়া তার খাঁজ দেখাগেল, দারুন লাগল সুমিকে দেখতে। আবার ভাবলাম ধুর কি হল আমার একদিনে এমন কেন লাগছে। কাকু বলে ডাকত আগে এখন যদিও শুধু তুমিই বলে তবুও, ওর বাবা মা কত বিশ্বাস করে আমাদের। সুমি হাতে খাতা আর বই নিয়ে এল এই দ্যাখো এটা। আমি হুম বলে ওকে বলে বুঝিয়ে দিলাম সব কটার মানে। কিরে বোঝা গেল তো। সুমি দুদিন ধরে এত চেষ্টা করলাম পারছিমান এত সহজ এটা নাও উঠে পরে খাবার রেডি অফিস যাবেনা। যাও এই নাও গামছা যাও একবারে ফ্রেস হয়ে এস।
আমি বাথরুমে বসে ভাবলাম এমন একজন আমার দরকার যে আমার এবং মায়ের খেয়াল করবে যাক সব শেষ করে স্নান করে বের হলাম। সুমি বাইরে দাড়িয়ে ছিল দেখে বলল এত সময় লাগে এস তাড়াতাড়ি বলে আমাকে একদম ধরে নিয়ে গেল। খাবার ঘরে। মা দেখেই কিরে হয়েছে মেয়েটা কতখন ধরে দাড়িয়ে আছে ওকেও কলেজে যেতে হবে আয় আয় এই সুমি তুইও খেতে বস। সুমি না আগে উনি খেয়ে যাক পরে খাবো আমাকে স্নান করতে হবে তো। মা তবে তুই যা স্নান করে আয় এখানেই স্নান কর আমি ওকে দিচ্ছি। সুমি ঠিক আছে খাওয়ায় তোমার সনটা মনাকে আমি আসছি স্নান করে বলে চলে গেল।
মা- বলল সত্যি মেয়েটা যত বড় হচ্ছে তত বুঝদার হচ্ছে সব দিকে আমার খেয়াল রাখে। খুব ভালো হয়েছে মেয়েটা আমার এত খেয়াল রাখে তুই তো বাড়ি থাকিস না। সব সময় আমার খোঁজ নেই বাড়ি থাকেনা আমার কাছেই থাকে সব সময়। পরের মেয়ে আর কতদিন এসব করবে এবার রাজি হয়ে যা বাবা একটা বিয়ে কর।
[+] 4 users Like familymember321's post
Like Reply
#5
অসাধারণ দাদা
Like Reply
#6
আমি হু বিয়ে কর, যদি খারাপ মেয়ে হয় তো তোমাকে দেখবে তখন আমাকে ফেলবে বিপদে তুমি, দেখি তো আমার দুই কলিগ আছে প্রতিদিন এসে বলে এই ঝামেলা ওই ঝামেলা মায়ের সাথে বউ বনে না তখন কি করব আমি তারজন্য ওসবের মধ্যে যেতে চাইনা আমি।

সুমি চুড়িদার পরে মাথা মুছতে মুছতে এসে বলল এখনও খাচ্ছ তুমি ট্রেন পাবে তো। ওঠ তাড়াতাড়ি। আমি হ হয়েগেছে বলে উঠে দাঁড়ালাম আর সুমিকে দেখলাম, খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। চোখ ফেরাতে পারছিলাম আমি এত ভালো লাগছে।
মা বলল এই আয় তুই খেতে বস ও পোশাক পরুক আর হ্যা এক কাজ কর ওকে তুই কলেজে পৌছে দিয়ে ট্রেন ধরিস কেমন। বাইক নিয়ে যাবি তো ষ্টেশনে।
আমি হুম যাবো তো ওর হবে তারমধ্যে।
সুমি হবে তুমিরেডি হয়ে আসো দেখ আমার হয় কিনা। আমি আচ্ছা বলে সোজা রুমে গেলাম গিয়ে জামা প্যান্ট পরে নিলাম। এরমধ্যে সুমিকে ডাক দিলাম কিরে হোল তোর। সুমি হ্যা বলে দৌড়ে এল আমার কাছে। হুম আমি রেডি চলেন স্যার। মা এসে কিরে তোর সেই ফাইল নিয়েছিস তো। ফর্ম ফিলাপ না। সুমি হ্যা সব নিয়েছি। আসি গো বলে আগেই বাইরে বেড়িয়ে এল। আমি বাইক বের করে সুমিকে পেছনে বসিয়ে বললাম মা আসছি। সুমি সাবধানে থেকো আমি আসছি বেশী সময় লাগবেনা। মা আচ্ছা তুই যা ভালো করে ফিলাপ করিস ভুল যেন না হয় তোর স্যারের মতন। বাবার জায়গায় মায়ের নাম লিখে দিয়েছিল। আমি বাইক ছারতে কি সত্যি বলল তোমার মা এই কাজ করেছিলে তুমি। এই বলে আমাকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরল। এমনভাবে জে দুধ দুটো একদম আমার পিঠে লেগে আছে। কি বল্লেনাত কেন মায়ের নাম লিখেছিলে। আমি বললাম যে বাপ আমাকে দেখেনা তারনাম লিখে কি করব তুই বল। সুমি সত্যি তো তবে মাকে কোনদিন অবহেলা করনা তুমি অনেক কষ্ট করল তোমার জন্য। যদিও এখন সুখে আছে ছেলে চাকরি করে একটা টুকটুকে বউমা আনবে ওনার জন্য যে সব সময় খেয়াল রাখবে ওনার।
আমি আচ্ছা তোরা বলত কেন আমার এত পেছনে লেগেছিস। বিয়ে করে কি হবে যদি আমার মাকে না দেখে তো। সুমি দেখ যদিও আমি থাম্মি ডাকি তবুও কত বয়স ওনার বল তুমি ৪২/৪৩ হবে মাত্র এই বয়সে স্বামী ছেরে চলে গেছে কত কষ্ট করে মানুষ করল তোমাকে তোমার কি এক্টূও দ্বায়ীত্ব নেই। আমি বললাম তুই ভুল করলি বাবা চলে গেছে ১০ বছর হয়ে গেল মানে মায়ের তখন ছিল ৩৩ বছর বয়স। সুমি হ্যা আমার ভুল হয়ে গেছে যাক গে এবার একটা বিয়ে কর। আর আমি তোমার পেছনে লাগি নাই পেছনে বসে আছি বুঝলেন কাকা বাবু।
আমি এই তুই আর আমাকে কাকা বলে ডাকবিনা বলে দিলাম স্যার বলবি সেও ঠিক আছে আমি কি বুড়ো হয়ে গেছি। সুমি না না কাকা বাবু আপনি বুড়ো হননি, তরতরে যুবক কিন্তু আমার তো কাকা। আমি আবার। তুমি তবে স্যার ডাকবো না অন্য কিছু ডাকব। কি বলে ডাকবো তুমি বলে দাও। আমি না না তুই আমাকে স্যার বলেই ডাকবি। সুমি নাও চলো এবার একটু জোরে চালাও তোমার আবার ট্রেন ধরতে হবে সে খেয়াল আছে। পিন পিনিয়ে বাইক চালাছে একটু জরে চালাবে তা না। আমি আচ্ছা তবে ধরিস ভালো করে এর আগে উঠেছিস কারো বাইকে। সুমি ইস বললেই হল কার বাইকে উঠবো আমি আগে একদিন তোমার পেছনে বসে ছিলাম আর আজকে বসলাম। তোর ভালো লাগে বাইকে বসতে। সুমি আমাকে আবার জরিয়ে ধরে হ্যা খুব ভালো লাগে আমার এইভাবে বসতে। তুমি আবার রাগ করছনাতো এইভাবে ধরেছি বলে আসলে ভয় করে যদি পরে যাই তারজন্য ধরেছি। আমি আচ্ছা বলে জরে একটা টান দিলাম ৬০ স্পীডে। সুমি উরে বাবা বলে আরো জোরে আঁকড়ে জরিয়ে ধরল। উঃ এই ভয় করছে আমার এত জোরে না উঃ ভয় করে। আমি সুমির হাত ধরে বললাম ভয় নেই। এই তুই হাতের নখ বড় রাখিস না কেন। সুমি সে রাখলে জিত্ন করতে হয় আমার বাপের টাকা কই তুমি আর ঠাম্মি না থাকলে আমার পড়াশুনা হত নাকি। বাবা মা ঠাম্মিকে অনেক ভালোবাসে মানে ভয় করে ওনার উপর কিছু বলেনা, যদি বলি বাবা আমাকে টাকা দাও নেল পলিস কিনবো দেবে কথা থেকে তার থেকে যা আছে ভালই আছি। আমি বললাম চুড়িদার টাতে তোকে খুব সুন্দরলাগছে। কোথা থেকে কিনেছিলি।
[+] 2 users Like familymember321's post
Like Reply
#7
সুমি তোমার কি কিছু মনে নেই এইত তোমার গৃহ প্রবেশের বাজার করতে গিয়ে ঠাম্মি কিনে দিয়েছিল এইটা তো সেটা। আমি ও তাই মনে নেইরে। কেন ওইদিন পরেছিলাম মনে নেই তোমার। মনে থাকবে কি করে বন্ধুরা সব এসেছিল তুমি ছিলে ব্যাস্ত। আমি হায়রে একদম ঠিক কথা। ঠিক আছে আমি তোকে আরেকটা কিনে দেবো কিরে দিলে নিবি তো। সুমি তুমি দিলে হবেনা ঠাম্মির দিতে হবে তবে বাবা মা কিছু বল্বেনা, তুমি দিলেও বল্বেনা জানি তবুও। নাও এবার এসেগেছি প্রায় এখানে নামিয়ে দেবে নাকি কলেজ পর্যন্ত যাবে এটুকু হেটেও যেতে পারি। আমি না আমি যাই দেখি ১১ টার ট্রেন ধরব সমস্যা নেই শনিবার তো কালকে ছুটি কাজ কম আছে। সুমি দেখ পরে আমার দোষ দেবেনা কিন্তু। চল তাহলে। আমি হুম বsওজা কলেজের ভেতরে বাইক নিয়ে গেলাম এবং বাইক রেখে ওর সাথে ভেতরে গেলাম। যদিও মেয়েদের কলেজ তবে কেউ কিছু বলেনি সোজা অফিসে গিয়ে বলতে অর ফর্ম দিল আর আমি ফিলাপ করে দিলাম। জমা দেবো তখন টাকা লাগবে। সুমি বলল আমি এনেছি বলে ব্যাগ থেকে বের করতে গেল। আমি রাখ আমি দিচ্ছি বলে আমার থেকে দিয়ে দিলাম। সব রেডি করে কলেজ থেকে বের হলাম তখন সারে ১০ শ টা বাজে। আমি করে ক্লাস হবে তোর। সুমি না তবে আমি বাড়ি যাই তুমি চলে যাও ট্রেন ধরবেনা। আর তুমি টাকা দিলে কেন, ঠাম্মি আমাকে টাকা দিয়েছে বাবাকে বলিনি টাকা লাগবে বাবা দেবে কোথা থেকে। আমি ঠিক আছে কাউকে বলতে হবেনা তুই ওই দিয়ে একটা কিছু কিনে নিস। সুমি আর কত করবে তোমরা আমার জন্য হ্যা তুমি টাকা দিলে ঠাম্মি টাকা দিল এমনিতে কোন টাকা নাওনা এই ঋণ আমি শোধ করব কি করে। আমি বেশী পাকামো করতে হবেনা ওঠ আমি নামিয়ে দিয়ে যেতে পারবো। সুমি ভেবে দেখ আমি হেটে চলে যাবো ছাতা আছে ব্যাগে তুমি যাও অফিস লেট করনা। আমি আবার দেরী করে ওঠ বলছি। সুমী হুম বলে ঊঠে বসে পড়ল কলেজ ক্যাম্পাসের মধেই। অর বান্দবীরা বলল কিরে চলে যাচ্ছিস নাকি, এটা কি তোর বয়ফ্রেন্ড নাকি রে। সুমি দেখলে এইজন্য আমি উঠতে চাইনি। পরে কলেজে আসলে সবাই আমাকে ঝেকে ধরবে। কি বিপদে ফেললে তুমি। আমি কেন যা সত্যি তাই বলবি আমি তোর স্যার বলবে ওরা বুঝবে। এই বলে বের হয়ে এলাম। সুমি ঘোরার ডিম বুঝবে সবাই এইভাবে আসে তো আমিও এলাম, আমি এ কলেজের সবচাইতে গরীব আমার আবার বয়ফ্রেন্ড। তবূও ওরা বুঝবেনা আমাকে খ্যাপাবে বার বার। আমি কি আছে বলে দিবি হ্যা। সুমি দেখ আমি বামুন হয়ে চাঁদ ধরার স্বপ্ন দেখতে চাইনা। তুমি চলো আর কথা বলতে হবেনা আমাকে নামিয়ে দিয়ে যাও তুমি। আমি ধর ভালো করে আমি জোরে চালাই। বলে চালাতে শুরু করলাম। সুমি আমাকে জাপটে জরিয়ে ধরে উরি চুল সব এলোমেলো হয়ে গেল। সময় নেই আর তাই ইচ্ছে থাকলেও আর সময় দিতে পারলাম না। রাস্তার মুখে নামিয়ে দিলাম সোজা বাড়ি যাবি মায়ের সাথে দেখা করে তারপর বাড়ি যাবি। সুমি তুমি যাও বলতে হবেনা আমি তাই করব এখন আসেন কাকাবাবু। আমি তবেরে বলে চুল ধরে বললাম তোর হবে বাড়ি আসি। বলে চলে গেলাম ষ্টেশনে। বাইক রেখে ট্রেনে বসে পড়লাম। ৩০ মিনিট লাগবে যেতে, বসে ভাবলাম এতদিন পরিয়েছি কোনদিন এমন ফিলিংস হয়নি, আজকে যে সুমিকে ছারতে ইচ্ছে করছিল না। যাক সময় কম অফিসে গেলাম। টিফিন আওয়ারে তমাল আমাকে আবার বলল কিরে ভাই কি জেনেছিস কিছু। আমি না হবেনা ভাই অর কথা ভুলে যা ওসব হবেনা অজাথা আমাকে বিরক্ত করিস না। তোমার তাহলে আমার শ্বশুর তুই হবিনা। ওর নাম্বার আছে দিবি আমাকে। আমি পাগল একটা নুন আনতে পান্তা ফুরায় মোবাইল পাবে কই। ওদের বাড়িতেই মোবাইল নেই। অন্য মেয়ে দেখ ভাই এখানে কোন চান্স নেই। যাক অফিস্বর কাজ সেরে শনিবার বলে বেলা থাক্তেই বের হলাম। সোজা বাইক নিয়ে বাড়ি এলাম, সত্যি ভাবছিলাম সুমি থাকবে কিন্তু ওকে দেখলাম না। খেয়ে দেয়ে বল্লাম মা সুমি আসেনি এই প্রথম ওর খোঁজ নিলাম মায়ের কাছে।

মা নারে ওর বাবার হাত কেটে গেছে নিয়ে গেছে হাঁসপাতালে। অনেকটা কেটে গেছে তুই যাবি নাকি একটু মেয়েটা আর ওর মা গেছে বাবাকে নিয়ে। আমাদের ওই সামনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। দেখে মনে হল সেলাই লাগবে। একটু যা না।
[+] 4 users Like familymember321's post
Like Reply
#8
অসাধারণ হচ্ছে দাদা
Like Reply
#9
Valo laglo
Like Reply
#10
Very nice
Like Reply




Users browsing this thread: