01-05-2025, 08:26 PM
সারান্ডার রহস্য
আমি আমার এই গল্পটি এই সাইটিতে প্রথম লিপিবদ্ব
করছি। গল্পটি একটি erotic thriller, যেখানে blackmail, seduction,murder, ইত্যদি ব্যাপারগুলো থাকবে। তাই অনুরোধ যারা এই theme গুলো পছন্দ করেন না তারা এড়িয়ে যাবেন।গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক কারোর সঙ্গে কোন মিল থাকলে তা কাকতালীয় ও অনইচ্ছাকৃত।
অধ্যায়-১
সময়টা ১৯৫২, ১২অক্টোবর
ভারত সবে স্বাধীনতা লাভ করেছে। জয়ের উল্লাস চারিদিকে, হঠাৎ পেছন থেকে একটা অওয়াজ এল "ওহে অমিয় কি খবর, দেখাই পাইনা যে " একটা ছেলে পেছন থেকে জিজ্ঞাসা করল। "ও একদম খেয়াল করিনি বলল অমিয়।
অমিয় চক্রবর্তি, একজন বিজ্ঞানের ছাত্র রাজা বাজার সায়েন্স কলেজের। বরাবর মেধাবী ছাত্র, অগেরবার scholarship পেয়ে
উচ্চবিদ্যা করার কথা কিন্তু ছেলের লক্ষ রহস্য উৎঘাটন।রনিতা তার ছাত্রী কিন্তু অমীয় দা কে সে একটু বেশী পছন্দ করে, রনিতার মা র তাকে খুব পছন্দ। বেশ ঘরোয়া এবং ভদ্র সভাবের। নিজের লোক বলতে মামা। বাবা ওমা গত হয় ছোটবেলায় তার পর থেকে মামা সব। অমিয়র মামা পেশায় চিকিৎসক। অমিয়র বন্ধু বলতে পরেশ।সে আবার পেশায় উকিল। গোয়েন্দা হিসাবে অমিয়র বেশ খ্যাতি হয়েছে, বিশেষ করে চিতপুরের জোরা খুন এর মিমাংসা, ও বসাকবাড়ি মা 'য়ের সোনার মুকুট চুরি।এছাড়াও অনেক ছোটখাটো মামলা তো আছেই। নিজের ঘরে ইজি চেয়ারে পা নাচাতে নাচাতে পুরী বেড়াবার কথা ভাবছিল, ঠিক তখনি বেল বেজে উঠল নিজের ঘরের দরজায়। ঠিকা চাকরটি বলল, বাবু পোষ্টো ম্যন এই পত্রর টি দিয়ে চলে গেল। চিঠিটি নিয়ে অমিয় ভেতরে চলে গেল,, চিঠি খাম থেকে বের করে দেখল পত্রলেখক তার ছোটবেলার বন্ধু রুপম। চিঠিতে সে লিখেছে যে সে মহাবিপদে আছে, বাবামশাইয়ে আকস্মিক মৃত্যু তদন্ত সে চায় আর সেইজন্য এই চিঠি। রুপম আর সে ছোটবেলায় একই গ্ৰামে বড় হয়েছে। রুপমের বাবা রদ্রণারায়ন মুখার্জী ছিল সেখানকার জমিদার, ও অমিয়র বাবা ছিলেন সরকারি কৌশলী।অতএব দেখা হতোই। রুপমের সাথে অনেক বছর তার দেখা হয়নি। তবে পত্র বিনিময় হয়। নিজের ছোটবেলার দিনগুলি যেন ভেসে উঠল চোখের সামনে, যেন মা তাকে বলছে "খোকা কলেজে যাবিনা"। একটা হাত এসে তার মাথায় হাত দিলো, হঠাৎ অমিয় র খেয়াল হতেই হাতটা চেপে ধরলো অমিয়।ও তুমি!বলল অমিয়। তাহলে অন্য কাউকে আশা করেছিলে বুঝি, বলল রনিতা। না মানে তোমার পড়া তো আজকে নেই তাই আরকি। ও ঠিক আছে আমার আশা ভুল হল তাহলে -বলল রনিতা। আমি একটু সমস্যায় আছি। তা কি সমস্যা শুনি? বলল রনিতা। আমার একছোট বেলার বন্ধু রুপম এই চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে খুব বিপদে আছে ও আমার সাহায্য চেয়েছে। মানে investigation সম্পর্কযুক্ত? বলল রনিতা।তাহলে তো একবার শুনতে হচ্ছে ঘটোনাটা। ঘটনা কি না বলতে পারবোনা তবে বিষয়টা সত্য বলল অমিয়।রনিতা বিছানায় উপুর হয়ে মননিবেশ করল শুনতে। রুপমের বাবা রুদ্র নারায়ন চাটার্জী ছিল জামশদপুরের থেকে ৫কিমি দুরে বিধরপুর এস্টেটের জমিদার। রুপমের দাদু ছিল ব্রিটিশ সরকারের ইজারাদার। রুপমদের জমিদারি মধ্যে একটি বিরাট শালবোন আছে বছরে লক্ষাদিক টাকা আয় সেখান থেকে। এ ছারাও চালের আরৎ, বড় একটি দিঘি। রূপমের বাবার দুটি বিবাহ। রুপমের দাদা অনিকেত চাটার্জি তার প্রথম উত্তরধিকারি। আর রুপম ও বিনয় সহদর ভাই। কথা বলতে বলতে অমিয়র দৃষ্টি হঠাৎ গিয়ে পড়ে রনিতার বক্ষ বিদারনে। রনিতার বয়সের তুলনায় তার দৈহিক ব্যকারন দৃষ্টি মধুর। অমিয় তৎক্ষনাৎ নিজের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়, বুঝতে পারে রনিতা। নিজেকে সেও গুছিয়ে নিতে দেরি করে না।আবার বলতে শুরু করে অমিয়। এই শালবন থেকে বাৎসরিক আয় ৩লক্ষের বেশি। এখন এই ব্যাবসা দেখাশনা করে অনিকেতদা। রনিতা জিজ্ঞাসা করে কবে luggage গোছাব? মানে কি কারনে বলে অমিয়। কবে যাওয়া হচ্ছে জামশেদপুর রনিতা বলে।