20-04-2025, 01:46 PM
(This post was last modified: 24-04-2025, 11:58 AM by ABC06. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
.....
WRITER'S SPECIAL নেমেসিস
|
20-04-2025, 01:46 PM
(This post was last modified: 24-04-2025, 11:58 AM by ABC06. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
.....
21-04-2025, 01:34 AM
(This post was last modified: 24-04-2025, 12:02 PM by ABC06. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
সবসময় মুখোশ পরে থাকলে একটা সময় মুখ থেকে মুখোশটা খোলার প্রয়োজন আছে বলে আর মনে হয় না। তারপর আস্তে আস্তে সেটাই তার মুখ হয়ে ওঠে। কিন্তু, জীবনের সাপলুডো খেলার বোর্ডে আজ যে রাজা, কাল সে ফকির। মুখোশ আর মুখের এই ব্যবধানটা যেদিন খসে পড়ে সেদিন ভেতরের মানুষটা বেরিয়ে পড়ে।
সেই মুখোশটার পিছনের মানুষটার কাজের মূল্য কি ঐদিন তার কাছের মানুষদের সবাইকে চোকাতে হয় ? মুখোশের আড়ালের যে চেহারাটা বেরিয়ে আসে সেটা যে আরেকটা মুখোশ নয় তার নিশ্চয়তাই বা কে দেবে ? সব প্রশ্নের উত্তর দিতে আসছে 'নেমেসিস'। উপন্যাসের স্থান, কাল, পাত্র সবই কাল্পনিক। এর সঙ্গে সমাজ বা কোন পরিচিত ব্যক্তির কোন মিল নেই। গল্পে বাস্তব খুঁজতে যাবেন না। গল্পটাকে গল্পের মতোই নেবেন।
21-04-2025, 12:28 PM
(This post was last modified: 24-04-2025, 11:57 AM by ABC06. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
.....
22-04-2025, 01:20 PM
(This post was last modified: 24-04-2025, 11:55 AM by ABC06. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
অনেক রাতে অবধি পার্ক সার্কাস ক্রসিংয়ের ধারে রেস্তোরাগুলোতে ভিড় লেগেই থাকে। এর একটা কারণ হচ্ছে, আশেপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা সস্তার হোটেলগুলো। এগুলোতে মূলত চিকিৎসার প্রয়োজনে কলকাতায় আসা বাংলাদেশিরা থাকে। কাছেই রয়েছে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস। কুড়ি বছর আগের পার্ক সার্কাসকে এখনকার পার্ক সার্কাসের সঙ্গে মেলানো মুশকিল। একটু এগিয়ে মল্লিক বাজারের কাছে এসে মূল রাস্তা থেকে ভিতরে এলে রিপন স্ট্রিট, বেডফোর্ড লেনের মতো ঘিঞ্জি এলাকাগুলো আজ চুপচাপ।
ফিরোজ খান নিজেও আজকে তাড়াতাড়ি সাতটার মধ্যে দোকান বন্ধ করে ঘরে ঢুকে পড়েছেন। শেষবার কবে এত তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করেছিলেন তার মনে পড়ছে না। কিন্তু, কিই বা করবেন, চারদিকে হাওয়া গরম। হাওয়ায় চারদিকে অনেকরকম উড়ো খবর ভাসছে। সেগুলোর কতটা সত্যি কেউ জানে না কিন্তু অচেনাতেই মানুষের ভয় বেশি। কিন্তু, ডিনার শেষ করে যখন খান সাহেব আবিষ্কার করলেন ঘুমের ওষুধ ফুরিয়ে গেছে তখন বেজায় চটে গেলেও বাইরে বেরোনো ছাড়া তার আর কোন উপায় রইল না। এদিকে সব দোকান বন্ধ, অন্যদিন গলিটা লোকজনে ভর্তি থাকে, আজ সব শুনশান। খান সাহেব মুখের রং করা দাড়িটায় একবার হাত বুলিয়ে নিলেন, তারপর গলি থেকে বেরিয়ে সোজা বড় রাস্তায় এসে মল্লিক বাজারের দিকে হাঁটতে আরম্ভ করলেন। অন্যসময় এই রাস্তা বেশ জনাকীর্ণ থাকে। রাস্তার উপর ঝাঁ চকচকে সব দোকানপাট, কিন্তু আজ সব বন্ধ। স্ট্রিট লাইটের আলোয় ছায়াগুলো লুকিয়ে পড়েছে। কিন্তু, সেই ঔজ্জ্বল্য দেখার জন্য কেউ নেই যে। কিছুদূর এগোতে রাস্তার ধারে একটা কালো গাড়ি দেখতে পেলেন। তাতে হেলান দিয়ে একজন সিগারেট খাচ্ছে। কৌতূহল আর ঝামেলায় জড়াতে না চাওয়ার দ্বন্দ্বে যখন আহমেদ সাহেব ভুগছেন তখন লোকটিই নিজে এগিয়ে এসে তার সমাধান করল। "সেলাম আলেইকুম জনাব।" "আলেইকুম আসসালাম বেটা।" "জনাব, ক্যায়া আপ সাজিদ কো জানতে হ্যায় ?" "কউন সাজিদ ?" সাজিদ নামের লোক এ চত্বরে অন্তত পাঁচজন আছে। "থোড়ি মদদ কর দিজিয়ে জনাব। আপ বুর্জুগ আদমি হ্যায়, ইস ইলাকে কো চাপ্পা চাপ্পা জানতে হ্যায়।" বলতে বলতেই গাড়ির মাঝের দরজা খুলে দেয় লোকটা। ভিতরে দুজন লোক বসে, একজনের হাতে একটা ছবি। "ইস তসবির কা আদমি কো হাম ঢুন্ড রাহে হ্যায়। ক্যায়া আপ ইনহে পেহচানতে হ্যায় ?" খান সাহেব খোলা দরজার সামনে এসে দাঁড়ালেন। ছবির ছেলেটাকে কোথাও আগে দেখেছেন বলে মনে করতে পারলেন না। আরও মনোযোগ দিয়ে ছবিটা দেখতে লাগলেন। যদি চিনতে পারেন। এইসময় বাইরের লোকটা দিল এক ধাক্কা। খান সাহেব গিয়ে পড়লেন গাড়ির ভিতর। ভিতরে বসা লোকটা খান সাহেবের মুখের উপর একটা কাপড় চেপে ধরল। মিষ্টি একটা গন্ধ, ঘুম আসছে খান সাহেবের। একটু পরে দেখা গেল একটা কালো গাড়ি দ্রুত গতিতে জগদীশ চন্দ্র বসু রোড ধরে মৌলালির দিকে চলে যাচ্ছে।
25-04-2025, 01:16 AM
শুরুটা সুন্দর হয়েছে, অনেকটা কোনো বড়ো গল্প বা উপন্যাসের মতো যেখানে প্রথমে অনেকগুলো জট থাকে, এবং যতো সময় যায় সবগুলো জট খুলতে থাকে আর মনের কোনে জমা হওয়া প্রশ্নগুলোর উত্তর আসতে থাকে। এখন একটাই প্রশ্ন। তুমি শেষ অবধি থাকবে তো? পুরো গল্পটা শেষ করবে তো? তুমি যতোটা লিখেছো - তোমার ভাষার উপর দখল আর তোমার বানান ইত্যাদি দেখে এতোটা খুব সহজে ধারণা করা যায় তুমি খুব সুন্দর লিখতে পারো। এখন দেখার তুমি গল্পের প্লট বা কাহিনী কেমন বুনতে পারো। যতোটা মনে হচ্ছে, তুমি তাতেও আশানুরূপই করবে - অন্ততঃ; যদিও তুমি সব আশা ছাড়িয়ে অসাধারণও হয়ে উঠতে পারো।
শুভেচ্ছা রইলো।
25-04-2025, 04:08 AM
(This post was last modified: 25-04-2025, 04:11 AM by ABC06. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
.....
25-04-2025, 04:10 AM
(This post was last modified: 25-04-2025, 04:19 AM by ABC06. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(25-04-2025, 01:16 AM)ray.rowdy Wrote: গল্পের কিছুটা ভাবা আছে। তারপর গল্পটা কত তাড়াতাড়ি এগোবে সেটা নির্ভর করছে আপনাদের মতো ভালো পাঠকদের রেসপন্সের উপর।
25-04-2025, 04:19 AM
(This post was last modified: 25-04-2025, 04:20 AM by ABC06. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
।।২।।
নারায়ণপুর ফেরিঘাটের রাস্তা থেকে বাঁদিকে ঘুরে কিছুদূর এগোলে গঞ্জের বাজারের মোড়। বাজারে সপ্তাহের শেষে একবার হাট বসে। তখন সেখানে গাছের চারা থেকে শুরু করে দেশি মুরগির ডিম সব মেলে।জায়গাটার আশপাশে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে রয়েছে চা, মিষ্টি, টেলারিঙ, চপ-ফুলুরির দোকান। আগে এগুলো সব টালি দেওয়া মাটির ঘর ছিল, এখন পাকা দোকান হয়েছে। মফঃস্বলের লোকের হাতে পয়সা যে আসছে তার প্রমাণ। আরেকটু এগিয়ে টোটো স্ট্যান্ডটা ছাড়িয়ে এলে হিরো হন্ডার মস্ত শোরুম, টায়ারের গুদাম আর মাছের বড় আড়ত। সেটা ছাড়িয়ে চলে কিছুদূর এলে রাস্তাটা দুভাগে ভেঙে গেছে। একটা রাস্তা চলে গেছে হাইরোডের দিকে আর অন্য রাস্তাটা বলখেলার মাঠের দিকে। মাঠ ছাড়িয়ে এলে ঝোপঝাড় জলাজমির ভেতর মিনিট পাঁচেক দিয়ে হাঁটলে একটা বাড়ি পড়ে। এই বাড়িটা কাঠের গুদাম কাম লোকাল পার্টি অফিস। এলাকার লোক এই রাস্তাটা অন্যদিন এড়িয়েই চলে। কিন্তু, নকুলের আজ কি দুমর্তি হয়েছিল কে জানে ? মাঠের ওপাশে বড় বটগাছের নিচু ডাল থেকে যখন ঝুলন্ত মৃতদেহটা ওর চোখে পড়েছিল তখন সবে ফ্যাকাশে আকাশের পেট চিরে রক্ত চুঁইয়ে পড়ার মতো আলো নামা শুরু হয়েছে। শীতের কুয়াশা কাটতে তখনও অনেক অনেক দেরি। দূর থেকে দুলন্ত পিন্ডটা দেখে কেন যে ও মরতে মাঠের ওধারে গিয়েছিল তা পরে নিবারণ ওসি বারবার জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও বলতে পারেনি নকুল। রক্ত আর কাদায় মাখামাখি বডিটা, বিস্ফারিত চোখের নিচে বিকৃত মুখে ঠোঁটের একপাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। শরীরের সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন, পাঞ্জাবিটা ছিঁড়ে গেছে। মৃদু হাওয়ায় পাক খাওয়া দুলন্ত বডিটার চারদিকে ভনভন করছে মাছির দল। সে এক নারকীয় দৃশ্য। আত্মহত্যা নয়, এ নির্ভেজাল খুনের কেস। ********************************************************** কলকাতার মেয়র বোরহানউদ্দিন সাহেব এমনিতে বেশ জনপ্রিয় মানুষ। ঝকঝকে চেহারা, কথাবার্তাও স্পষ্ট, চমৎকার জনসংযোগ। খিদিরপুর হোক বা নিউ আলিপুর, সমাজের সব জায়গায় তার স্বচ্ছন্দ যাতায়াত। নিজের এলাকায় সবকটা পুজোর সঙ্গে জড়িত আবার রাজাবাজার, গার্ডেনরিচের সংখ্যালঘু মহল্লাতেও তার নিয়মিত দেখা মেলে। কিন্তু, বোরহানউদ্দিন সাহেব ইদানীং ভাল নেই। পার্টিতে তার প্রভাব কমছে। সিএমের ছেলে শতদীপ গুপ্ত এক এক করে পার্টির সব পুরোনো নেতাদের ডানা ছাঁটাই করছে। রাজনীতিতে শত্রুর অভাব নেই, কেউ নাকি শতদীপের কানে তুলে দিয়েছে যে সিএমের চেয়ারটা বোরহানউদ্দিন সাহেবের নজরে আছে। আরে গাধার দল, কলকাতার বাইরে ওনাকে চেনেটা কে ? সিএম হতে গেলে যে জনভিত্তি আর রাজ্যভিত্তিক সংগঠনের দক্ষতা লাগে সেদুটোর কোনটাই ওনার নেই। সত্যি বলতে কি ইচ্ছাও নেই। কাজটা কে করেছে সেটা বোরহানউদ্দিন আন্দাজ করতে পেরেছেন কিন্তু ওনার কাছে প্রমাণ নেই। নইলে সে লোকটার কপালে দুঃখ ছিল। মিডিয়ার কাছে তার ঘুষ খাবার সিডি চলে যেত। সামনের বছর ইলেকশন, তার আগে শতদীপের বিষনজরে পড়ার ইচ্ছে ওনার বিন্দুমাত্র নেই। বাধ সেধেছে ধূমকেতুর মতো উদীয়মান নতুন আগুনখেকো নেতা আফতাব। সামনের রবিবার কলকাতায় তার দলের মিছিল আছে। পার্টি থেকে কলকাতার দায়িত্বটা সিএম বোরহান সাহেবের উপরেই দিয়ে রেখেছেন। আফতাবের ছেলেরা কলকাতার রাস্তায় বড় কোন ঝামেলা লাগালে ইলেকশানের আগে রুলিং পার্টির মুখ পুড়বে আর তখন বোরহানউদ্দিন সাহেবের কুর্সি নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। সামান্য বেচাল হলে ডিমোশন নিশ্চিত। লালবাজারে নির্দেশ গেছে আর যথারীতি চাপটা এসে পড়েছে লোকাল থানাগুলোর উপর। চারদিকে তাই হাওয়া গরম, সবাই চুপচাপ। কড়েয়া থানার বড়বাবু অজয় সমাদ্দারের মেজাজটা তাই আজ খিঁচড়ে আছে। একে তো এমন একটা জায়গায় পোস্টিং যেখানে ঘুষ খাবার চান্স নেই বললেই চলে। তার উপর হাজার একটা উটকো ঝামেলা। থানায় নিজের ঘরে ঢোকার পর পর যখন ডিউটি অফিসার তাকে খবর দিতে এলেন যে একজন ভিজিটার অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছেন তখন নিজের চেয়ারে বসে রীতিমতো খেঁকিয়ে উঠলেন অজয়বাবু, "এটা কি সেই ফিরোজ খানের ওয়াইফ ? আপনারা আছেন কি করতে মশাই ? যখন তখন এসে বিরক্ত করে। এক্ষুণি ভাগিয়ে দিন।" বিব্রতভাবে উত্তর দেন ডিউটি অফিসার নিরঞ্জন পাত্র, "না স্যার। কমবয়েসী লেডি, ভীষণ অ্যাডামান্ট। কোন কথাই শুনতে চাইছে না। আপনার সঙ্গে দেখা না করে..." "দেখা করবে বললেই হল! আমার কাজকর্ম নেই ? যান গিয়ে দেখুন কি বলছে। ডায়েরি করতে এলে, অভিযোগ লিখে নিয়ে ছেড়ে দিন আর বেশি বাড়াবাড়ি করলে ধমক দিয়ে থানা থেকে বার করে দিন।" এর মধ্যেই কখন যে গুটি গুটি পায়ে আগুন্তুক এসে বন্ধ দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে সেটা ওরা দুজনে কেউ টের পাননি। টের পেলেন দরজায় নক করার আওয়াজে। "কাম ইন।" রাগের মাথায় অজয় বাবু চেঁচিয়ে ধমক দিতে যাচ্ছিলেন, ধমক দিতেনও। কিন্তু মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থেমে গেলেন। এমন ঝকঝকে চেহারার রূপসী মেয়ে তো এমনি এমনি থানায় আসে না। পুলিশের চাকরিতে নয় নয় করে পঁচিশ বছর হয়ে গেল। "কি চাই আপনার ?", গম্ভীর গলায় অজয় বাবু প্রশ্নটা ছুঁড়ে দেবার সঙ্গে সঙ্গে নিরঞ্জনবাবু ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। কোন কথা না বলে মেয়েটা একটা কাগজ এগিয়ে দিল। টাইপ করা চিঠি। পড়তে পড়তে অজয়বাবুর মুখের চেহারা কিছুটা হলেও পাল্টাল। "ভারত আর বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচ খেলা শুরু হতে এখনও কয়েক সপ্তাহ দেরি। এত আগে কলকাতায় আপনি কি করছেন মিস আহমেদ ? জার্নালিস্ট হিসাবে তো আপনার অন্য টেস্ট ম্যাচগুলো কভার করতে যাবার কথা।", চিঠিটা ফেরত দিতে দিতে প্রশ্ন করলেন অজয়বাবু। প্রশ্নে কিছুটা হলেও কৌতূহল মেশানো ছিল। ভারত সরকার ইদানীং বাংলাদেশীদের ভিসা দেবার ক্ষেত্রে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। এই রাজিয়া আহমেদের যে উঁচু মহলে কানেকশন আছে সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। "আসলে পার্টিশনের আগে আমার নানা আর কিছু রিলেটিভ পার্ক সার্কাসে থাকতেন। আমি চাইছি ওনার বাড়িটা খুঁজে দেখতে আর রিলেটিভের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।" "তো খোঁজ নিয়ে দেখুন। এখানে আমরা কিভাবে আপনাকে হেল্প করব ?", টেবিলের উপরে থাকা ফাইলের গোছা থেকে একটা ফাইল টেনে বের করতে করতে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন অজয়বাবু। "আসলে স্যর, আমি অলরেডি একবার ওই পাড়ায় গেছি, বাড়িটা আর নেই। ওখানে ওরা কেউ থাকে না। কলকাতায় তো আমার চেনাজানা কেউ নেই। আমি চাইছি আমার ওই রিলেটিভকে খুঁজে বের করতে।" মনে মনে মেয়েটির উদ্দেশ্যে একটা অকথ্য খিস্তি ছুঁড়ে দিলেন অজয় সমাদ্দার। শালি ভেবেছেটা কি ? পুলিশ ওর বাপের চাকর ? মুখে বললেন "বেশ তো, আপনি মেজোবাবুকে গিয়ে আমার নাম করে বলুন। উনি আপনাকে হেল্প করবেন"। "থ্যাঙ্ক ইউ স্যর।", মেয়েটি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। তার টাইট জিনসে আবৃত দুলন্ত পাছাটার দিকে একবার তাকিয়ে ফাইলটা খুলে বসলেন অজয়বাবু। যতই রাগ হোক, মেয়েটা রুলিং পার্টির এমপির চিঠি নিয়ে এসেছে। তাড়িয়ে দেওয়া যাবে না। অন্য কেউ হলে উনি এতক্ষণে লকআপে পুরে দিতেন।
25-04-2025, 05:31 AM
শুরুটা চমৎকার। পাকা লেখকের মুনশিয়ানার ছাপ দেখতে পাচ্ছি। তবে এই সাইটে স্বল্প সময়ের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, শিশু মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশী। যাই হোক আশায় রইলাম।
![]()
26-04-2025, 06:34 AM
Darun
27-04-2025, 02:25 AM
খুবই সুন্দর। চালিয়ে যাও। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রয়েছি।
29-04-2025, 04:59 PM
Good start
02-05-2025, 04:43 AM
নতুন পর্ব নিয়ে কবে আসছো?
02-05-2025, 08:51 AM
07-05-2025, 01:14 AM
কোথায় হারিয়ে গেলে!? সব ভালো তো?
Today, 03:27 AM
এখন এই অবস্থায় আমার লেখার মুড নেই। আগে বর্ডারে যুদ্ধ মিটুক, পাকিস্তান শাস্তি পাক, তারপর আবার আপডেট দেব। এমনিই এটা মিস্ট্রি থ্রিলার গল্প, ডিটেকটিভ আছে, টেরর অ্যাঙ্গেল আছে, ইরোটিকা আছে। এখনকার অবস্থায় এই মুড নিয়ে লেখালেখি করলে শেষ একমাসের বাস্তব মিশে যেতে পারে।
|
« Next Oldest | Next Newest »
|