Thread Rating:
  • 2 Vote(s) - 3 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery নদীর কূল ভাঙ্গে
#1
Video 
চুপচাপ ভাবছি কি করবো, গ্রাম থেকে সকালে মাস্টার মশাই ফোন করেছিল। সবার আগে আমার ছোট্ট মেয়ে দিয়ার খবর জানবেন। কথা বলবেন। এবং যখন মেয়ের সাথে কথা বলা হবে ওর মা অর্থাৎ আমার সোনামুনি দিয়ার আম্মু, আমার লক্ষ্মী বউ রেশমির সাথে একান্ত অনেকক্ষণ কথা বলবেন।

এই দিকে আমি অফিসে যাবো সময় নেই হাতে, মেয়ের স্কুল ও শুরু হবে, তারপরও তার মাস্টার মশাই এর সাথে কথা বলতেই হবে এখন।

আমি জানি মাস্টার মশাই প্রতিদিন ফোন দেয় না, এবং আমরা উপর দিয়ে ফোন দিলেও তিনি কখনোই ফোন ধরেন না, কেনো ধরেন না, একটুও জানি না।

- দিয়া সোনা আমার তারাতাড়ি খাও মামুনি, তোমার বাবার অফিসের সময় হয়েছে মা
আমি চুপ ছিলাম কোনো কথা বলছিলাম না, শুধু পাউরুটি টা খাচ্ছিলাম। ও ডিম টাও ভাজতে ভুলে গেছে। 
- ইসস্, অভিক তুমিও বাচ্চা হয়েছো, এতো সময় লাগে, অফিসে দেরি হলে তখন সব দোষ হবে আমার।
আমি শুধু বললাম- কি বললো, তোমার মাস্টার মশাই 
- বললো দুইদিন এসে থেকে যেতে, চাঁচি নাকি অসুস্থ। 
- কি হয়েছে চাঁচির?
- ফটিক চাচা মাস্টারের চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।
-তাহলে এখানে এসে থেকে গেলেই তো পারতো চাচি সহ, তোমাদের ওই হাইস্কুল কি সরকারি? 
- না গো, সরকারি হলে তো মানুষটা অনেক টাকা ই পাইতো, বললো বাদ দিয়েছে নতুন প্রিন্সিপাল। দুইজনের মানুষের সংসার টা কেমনে চলে এখন, হাটে- বাজারে সবজি বিক্রি করে আর কত টাকায় লাভ হবে। কত বার করেই বলি চলেন আমাদের সাথে, শুধু বলে এই ভিটা মাটি ছেড়ে কোথায় যাবো।
কথা গুলো একা একাই বলে চুপ হয়ে গেল রেশমি, বউটার দুঃখী মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ থাকতে পারলাম না,,
- দুইটা হাত ধরে বললাম যাবে? কাল থেকে দিয়ার স্কুল ও ছুটি দিবে, আর নির্বাচনের কারণে আমিও ছুটি পাবো, কয়েকটা দিন থেকে চেষ্টা করবো এখানে নিয়ে আসার, তাও তুমি কষ্ট পাওনা সোনা আমার, 
-,,,( সোখে পানি ভাসছে, এই বুঝী পরে) তোমার কষ্ট হয় সোনা, আমি যাবো না 

কথাটা বলে একদম কেদে আমার বুকে মাথাটা লুকিয়ে বির বির করে আবার বলতে শুরু করলো,
- তুমি না মানুষটাকে দুই চোখে দেখতেই পারো না
- কি করবো এখন, আমি যে আমার বউটাকে ভালো বাসি।
- হয়েছে হয়েছে, এখন তারাতাড়ি ওঠো দেরি হয়ে যাচ্ছে

তারপর আর কি, বাসা থেকে বের হয়ে মেয়ে কে স্কুলের গেটে নেমে দিলাম,
- বাই মামুনি, তোমার আম্মু আসবে নিতে, তুমি স্কুলের বাইরে আসবে না কিন্তু 
- আচ্চা বাবা, love you, byeee

মেয়ে চলে গেলো, ওর চলে যাওয়া দেখছি, একটু পর গাড়িতে ওঠবো দেখি রাস্তার পাশে ওই লোকটা আজো দাড়িয়ে আছে, রেশমি আমাকে অনেক বার বলেছে, মানুষ টা নাকি কেমন ভাবে তাকিয়ে থাকে,,,,
[+] 2 users Like reman's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
2
দিয়ার স্কুলের ছুটি হয়েছে, আমিও অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি।
জ্বানালার পাশে দিয়া কে নিয়ে বসেছে রেশমি। আমি তার পাশেই। আমাদের সামনে আারো দুইটা সিটে বয়স্ক মহিলা বসেছে।

রেশমি আমার বউ। ওর বয়সটা ২৯ এর মতো হবে। দেখতে অনেক সুন্দর। আার আমি অভিক বয়স ৩৪ এর মতো। আার আমার মেয়ের বয়স ৬ বছর।

আমাদের এই ট্রেন জার্নির গন্তব্য হলো কুড়িগ্রামের সেই মফস্বল গ্রাম 'ভাওয়াল'
বুক টা ধক্ ধক্ করছে যতই গন্তব্যের কাছে যাচ্ছি ততই।
আমি এতো দিনেও স্বাভাবিক হতে পারি নি অথবা বিষয় টা নিতে পারি নি।
আমি রেশমির সামনে এমন ব্যবহার করি যেন মনে হয় আমি সব কিছু মেনে নিতে পেরেছি। কিভাবে একটি স্বামী তার সুন্দর বউটাকে এক শয়তানের হাতে ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক থাকতে পারে! উত্তর জানা নেই। উত্তর জানা থাকলে হয়তো আমি স্বাভাবিক থাকতে পারতাম, বুকের ভিতর এই রকম কষ্ট অনুভব হতো না।

রেশমি গতকাল নিউমার্কেটে গিয়েছিল ওর সেই মাস্টার মশাই ও চাঁচির এর জন্য কিছু কিনতে। আমি জানি না কি কি কিনেছে। আমি তখন অফিসে ছিলাম।

মাস্টার মশাই এর পরিচয় টা দিয়ে দিচ্ছি তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে মানুষ টা কেমন
নাম তার ফটিক মাস্টার
বয়স বেশি হবে না, তাও ৫১-৫২ বছর হবে।
সেই হিসাবে চাচি বেশি বয়স্ক। কারন চাচি ছিলেন মাস্টার মশাই এর সম্পর্কে ভাবি। মাস্টার মশাই এর বড় ভাই মারা গেলে ভাবির সাথেই বিয়া হয়।

ট্রেন টা আস্তে আস্তে থামতে শুরু করেছে, আগের ভয়টা আবার ফিরে এসেছে,
বড় ব্যাগটা হাতে নিয়ে আমি প্রথমে নামলাম, আার রেশমি দিয়াকে নিয়ে নামলেন।
হঠাত্ করে চমকে উঠলাম, যখন ই দিয়া দাদু ভাই বলে চিৎকার করে ওঠেছে,
দেখলাম ফটিক মাস্টার ওরে কোলে নিলো, আার আমার দিকে তাকি একটা শয়তানি হাসি দিয়ে আমার সুন্দরী বউটার উপর নজর দিলো।
আমার বউটা মানুষটার কাছে এসে, বললো
- কেমন আছেন, চাচি কেমন আছে?
- সবাই ভালো, এসো এসো ফজলু গরুর গাড়ি নিয়ে কখন থেকে অপেক্ষা করছে,

কথা গুলো বলতে বলতে, আমার বউটার এক হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগলো,
আমার বউ আমার দিকে তাকিয়ে শুধু বললো, তারাতাড়ি এসো অভি

আমরা তিনজন ভিতরে ছোট নৌকার মতো ছাওয়ার নিচে বসলাম, আার মাস্টার মশাই আার চালক সামনে বসেছেন।
মাটির রাস্তা দিয়ে ধীরে ধীরে চলছে গরুর গাড়ি, সন্ধ্যা নেমে এসেছে, শীত করছে খুব, মাঝে মাঝে হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ঢাকাতে থাকতে শীতের কোনো স্পর্শ পাইনি আমরা,

মাস্টার মশাই এর রঙ লেগেছে মনে, গান গাইতেছিলেন, আবার পিছনে তাকিয়ে দিয়ার সাথে মজা করছিলো, আর পরিশেষে আমার মিষ্টি বউটার দিকে কেমন ভাবে তাকিয়ে থেকে আবার সামনে তাকান,
[+] 1 user Likes reman's post
Like Reply
#3
Dur vai, eida ksu hoilo
Like Reply
#4
Next part koi
banana :
Never Give Up banana 
[+] 1 user Likes Sayim Mahmud's post
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)