08-11-2023, 12:12 PM
"নাহ, বরাবরের মতো বোরিং লাইফ, ভালো যাচ্ছে না দিনকাল। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রেসার আর নেয়া যাচ্ছে না। এতো বাজে ভাবে কাটছে দিন।" মেসের রুমে বসে এইসবই ভাবছে আর ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে আছে নীল। বাবা মা ছেড়ে এতো দূরে এসে এতো কষ্ট করে কি লাইফে আদৌও কোন দিন ভালো সময় আসবে?"। একাই থাকে সে খুলনাতে। বাংলাদেশের নামকরা একটা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ফেসবুক স্ক্রল করেই তার ইদানিং সময় যায়। তার বহুদিনের পুরাতন গার্ল্ফ্রেন্ডের সাথে ১৫ দিন আগেই ব্রেকাপ হয়েছে তার। প্রচন্ড একা হয়ে পড়েছে। হঠাৎ ফোন আসলো তার ফোনে,
তাকিয়ে দেখে নীল, তার স্টুডেন্ট তনিমা ফোন করেছে। কয়দিন পরই বেচাড়ির এইচ এস সি পরীক্ষা। নীল দাড়ুন পড়ায় বলে সেই ক্লাস ১০ থেকেই নীলের কাছে পড়ে সে। যদিও আরও একটা কারন আছে, নীল ভাইয়াকে প্রচন্ড ভালো লাগে তার। বেচারার ফেইসে একটা মায়াবী বাচ্চা বাচ্চা লুক আছে। দেখেই তনিমার মায়া হয়। কিন্তু ভাইয়া গত ২দিন পড়াতে আসে নি। কিভাবে আসবে ভাইয়ার মন মেজাজ তো ভালো নাই। আজকেও টিউশনের টাইম হয়ে যাচ্ছে, ভাইয়া আসছে না। যে মানুষটা গত ৩-৩.৫ বছরে কোন মিস দেয় নাই পড়াতে আসতে, সে ২দিন টানা মিস দিয়ে তৃতীয় দিন মিস দিতে যাচ্ছে, এইটা স্বাভাবিক নয় তনিমার কাছে। যদিও ভাইয়ার সাথে কথা হচ্ছে না, ভাইয়ার ফেসটা দেখছেও না, এজন্যও তনিমার মন খারাপ। কিছু না করতে পেরে ফোন করেই বসলো সে ভাইয়াকে। গত ২দিন মা ফোন দিয়ে ভাইয়া আসতে বলেছে, তাও ভাইয়া ব্যস্ততার নাম করে আসে নি। আজ সে ই বলবে ভাইয়াকে যে আজকে তার আসতেই হবে। একটু থ্রেট ও দিবে যে যদি এভাবে মিস দেয় সামনের মাস থেকে আর পড়বে না ভাইয়ার কাছে। যদিও এইটা পসিবল ই না। কারন ভাইয়াকে ছাড়া তার দিন কাটতেই চায় না।
তনিমার নামটা পড়েই নীলের বিরক্ত লাগলো। এখন সে পড়াতে যেতে চায় না। তার মন-মেজাজ ভালো না। সে এখন একটু একা বসে থাকতে চায়। তার ব্রেকাপে হওয়ার একটা অন্যতম কারন ও এই মেয়ে। তাসফিয়া( নীলের এক্স) প্রায়ই বলতো এই মেয়েকে পড়ানো বাদ দিতে। এর ফ্যামিলির কাজ কারবার নাকি ওর ভালো লাগে না। হ্যা এইটা সত্যি যে এর ফ্যামিলি নীলকে দাড়ুন আদর করে। প্রতি রোজার ঈদে গত ৩ বছর ধরে ওকে পাঞ্জাবি কিনে দেয়। তনিমা ও ওকে ওর লাস্ট ২ বছরের বার্থডেতে ২টা শার্ট গিফট করেছে, কিন্তু এইটা পুরোপুরি সত্যি নীল এইসব চায় ও না। সে কোনরকমের সুযোগ নিতে চায় না এই ফ্যামিলিটার কাছে থেকে। ৩টা কারনে এই টিউশনটা ছাড়ছিলো না সে।
১) আন্টির হাতের রান্না দাড়ুন, প্রতিদিন যে নাস্তাটা দেয় সেটা খেয়েই রাতে আর খেতে হয় না তার। রাতের খাওয়ার টাকাটা বাচে।
২) তনিমা মেয়েটা দাড়ুন মেধাবী। নীল ওকে যে টপিকই পড়াক না কেন, ও খুব দ্রূত ধরে ফেলে যার ফলে নীলকে তার বাকি স্টুডেন্ট গুলোর চেয়ে তনিমাকে নিয়ে অনেক কম খাটতি হয়।
৩) খুব ভালো মাইনে দেয়। প্রথম দিকে কম থাকলেও তনিমার এস এসসির রেজাল্ট দেখে নীলের মাইনে বাড়িয়ে দিয়েছে তনিমার বাবা মা।
তাই বার বার তাসফিয়াকে বুঝাতো কেন সে এই টিউশনটা ছাড়তে পারছে না। কিন্তু ও তো বুঝতোই না বরং আরও বলতো নীলের সাথে ওই মেয়ের চক্কর চলছে। নীল এতো বুঝিয়েও তাসফিয়াকে কখনও বিশ্বাস করাতে পারে নাই অন্তত তার মনে এমন কিছুই নেই।
যাইহোক, নীল এখন ধরবে না ফোন ঠিক করেছে কিন্তু তনিমা বার বার কল দিয়েই যাচ্ছে। বিরক্ত হয়ে নীল অবশেষে কলটা ধরলো,
তনিমা: ভাইয়া, আপনি আসবেন না আজকে?
নীল: না, আজকেও আসতে পারছি না। একটু ব্যস্ত আমি এই সপ্তাহ, হয়তো পড়াবো না বাকি ২ দিনও(নীল তনিমাকে ৬ দিন পড়ায় সপ্তাহে, রবি-মঙ্গল-বৃহ:স্পতি ফিজিক্স, বাকি ৩দিন হাইয়ার ম্যাথ, শুক্রবার বন্ধ)।
তনিমা: ভাইয়া, আমার তো অনেক চ্যাপ্টার বাকি, এক্সামের বেশিদিন নেই। এভাবে করলে তো আমি টেস্টে ভালো রেজাল্ট করবো না।
নীল: দু:খিত তনিমা, কিন্তু এ সপ্তাহে আসলেই আমি ব্যস্ত। আসতে পারছি না।
তনিমা: ভাইয়া এমন করলে কিভাবে হয়। আপনি কখনও ছুটি দেন না। আমি চাইলেও দেন না। এখন আপনিই আসছেন না। আপনার কি হয়েছে বলেন তো। সুস্থ তো আপনি?
নীল: হ্যা ঠিক আছি আমি। তুমি একটা একা পড়াশোনা করো। যে টপিক গুলো গত সপ্তাহে পড়িয়েছি তা রিভাইস দেও। আগামি সপ্তাহ থেকে আবার বেশি করে পড়িয়ে কভার করে দিবো।
তনিমা পুরো বিরক্ত আর রাগে কাপছে সে, পেয়েছি কি এই মানুষটা, বুঝে না নাকি তাকে না দেখে তনিমার ভালো লাগছে না, শিউর ক্যাম্পাসে ওই ফাজিল গফটাকে নিয়ে ঘুরছে। তনিমা জানে না নীলের ব্রেকাপের বিষয়ে। সে ঠিক করলো ভাইয়াকে একটু ভয় দেখাই)৷ ভাইয়া হবে না এমন। আপনি আজ না আসলে আমি মাকে বলবো নিউ টিচার খোজার জন্য। আমার রেজাল্ট খারাপ করা যাবে না, পরে দেখা গেলো রেজাল্ট খারাপ করলে বাবা রিকশাওয়ালার সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে। ( বলে মুচকি হাসি দিলো সে, এখন ভাইয়াকে আসতেই হবে। কিন্তু নীল যে উত্তর দিলো তাতে সে হতভম্ব হয়ে গেলো)
নীল: আচ্ছা, তাহলে বলো তোমার মাকে নিউ টিচার খুজতে। আমি আর পড়াবো না তোমাকে। ভালো মতো পড়াশোনা কইরো।
বাই বলে নীল ফোনটা কেটে দিলো, তনিমা পুরো হতভম্ব। সে দ্রূত ফোন দিলো নীলকে যে সরি বলবে ভাইয়াকে। সে ইয়ার্কি করে বলেছে। কিন্তু ফোন দিয়ে দেখে নীল ফোন অফ করে দিয়েছে। বার বার কাদতে কাদতে ট্রাই করেও তনিমা নিকের সাথে ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলতে পারলো না।
অনেক দিন পর লিখছি, এই গল্পের প্রধান চরিত্রের মতো আমারও একটু ব্যস্ততা গিয়েছিলো। চেষ্টা করবো নীলের জীবনে অনেক গুলো ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টর আনার। যেখানে বেশ কিছু সাসপেন্স থাকবে।
কেউ টেলিগ্রামে কথা বলতে চাইলে, arunyes1 এটাতে নল দিতে পারেন। জিচ্যাটে rafsantahsin0@(.)gmail(.)com এ ম্যাসেজ দিতে পারেন। দেখি কালকে বা পশশু নিউ আপডেট দিবো। মহিলাদের ম্যাসেজের অপেক্ষায় থাকবো।?
তাকিয়ে দেখে নীল, তার স্টুডেন্ট তনিমা ফোন করেছে। কয়দিন পরই বেচাড়ির এইচ এস সি পরীক্ষা। নীল দাড়ুন পড়ায় বলে সেই ক্লাস ১০ থেকেই নীলের কাছে পড়ে সে। যদিও আরও একটা কারন আছে, নীল ভাইয়াকে প্রচন্ড ভালো লাগে তার। বেচারার ফেইসে একটা মায়াবী বাচ্চা বাচ্চা লুক আছে। দেখেই তনিমার মায়া হয়। কিন্তু ভাইয়া গত ২দিন পড়াতে আসে নি। কিভাবে আসবে ভাইয়ার মন মেজাজ তো ভালো নাই। আজকেও টিউশনের টাইম হয়ে যাচ্ছে, ভাইয়া আসছে না। যে মানুষটা গত ৩-৩.৫ বছরে কোন মিস দেয় নাই পড়াতে আসতে, সে ২দিন টানা মিস দিয়ে তৃতীয় দিন মিস দিতে যাচ্ছে, এইটা স্বাভাবিক নয় তনিমার কাছে। যদিও ভাইয়ার সাথে কথা হচ্ছে না, ভাইয়ার ফেসটা দেখছেও না, এজন্যও তনিমার মন খারাপ। কিছু না করতে পেরে ফোন করেই বসলো সে ভাইয়াকে। গত ২দিন মা ফোন দিয়ে ভাইয়া আসতে বলেছে, তাও ভাইয়া ব্যস্ততার নাম করে আসে নি। আজ সে ই বলবে ভাইয়াকে যে আজকে তার আসতেই হবে। একটু থ্রেট ও দিবে যে যদি এভাবে মিস দেয় সামনের মাস থেকে আর পড়বে না ভাইয়ার কাছে। যদিও এইটা পসিবল ই না। কারন ভাইয়াকে ছাড়া তার দিন কাটতেই চায় না।
তনিমার নামটা পড়েই নীলের বিরক্ত লাগলো। এখন সে পড়াতে যেতে চায় না। তার মন-মেজাজ ভালো না। সে এখন একটু একা বসে থাকতে চায়। তার ব্রেকাপে হওয়ার একটা অন্যতম কারন ও এই মেয়ে। তাসফিয়া( নীলের এক্স) প্রায়ই বলতো এই মেয়েকে পড়ানো বাদ দিতে। এর ফ্যামিলির কাজ কারবার নাকি ওর ভালো লাগে না। হ্যা এইটা সত্যি যে এর ফ্যামিলি নীলকে দাড়ুন আদর করে। প্রতি রোজার ঈদে গত ৩ বছর ধরে ওকে পাঞ্জাবি কিনে দেয়। তনিমা ও ওকে ওর লাস্ট ২ বছরের বার্থডেতে ২টা শার্ট গিফট করেছে, কিন্তু এইটা পুরোপুরি সত্যি নীল এইসব চায় ও না। সে কোনরকমের সুযোগ নিতে চায় না এই ফ্যামিলিটার কাছে থেকে। ৩টা কারনে এই টিউশনটা ছাড়ছিলো না সে।
১) আন্টির হাতের রান্না দাড়ুন, প্রতিদিন যে নাস্তাটা দেয় সেটা খেয়েই রাতে আর খেতে হয় না তার। রাতের খাওয়ার টাকাটা বাচে।
২) তনিমা মেয়েটা দাড়ুন মেধাবী। নীল ওকে যে টপিকই পড়াক না কেন, ও খুব দ্রূত ধরে ফেলে যার ফলে নীলকে তার বাকি স্টুডেন্ট গুলোর চেয়ে তনিমাকে নিয়ে অনেক কম খাটতি হয়।
৩) খুব ভালো মাইনে দেয়। প্রথম দিকে কম থাকলেও তনিমার এস এসসির রেজাল্ট দেখে নীলের মাইনে বাড়িয়ে দিয়েছে তনিমার বাবা মা।
তাই বার বার তাসফিয়াকে বুঝাতো কেন সে এই টিউশনটা ছাড়তে পারছে না। কিন্তু ও তো বুঝতোই না বরং আরও বলতো নীলের সাথে ওই মেয়ের চক্কর চলছে। নীল এতো বুঝিয়েও তাসফিয়াকে কখনও বিশ্বাস করাতে পারে নাই অন্তত তার মনে এমন কিছুই নেই।
যাইহোক, নীল এখন ধরবে না ফোন ঠিক করেছে কিন্তু তনিমা বার বার কল দিয়েই যাচ্ছে। বিরক্ত হয়ে নীল অবশেষে কলটা ধরলো,
তনিমা: ভাইয়া, আপনি আসবেন না আজকে?
নীল: না, আজকেও আসতে পারছি না। একটু ব্যস্ত আমি এই সপ্তাহ, হয়তো পড়াবো না বাকি ২ দিনও(নীল তনিমাকে ৬ দিন পড়ায় সপ্তাহে, রবি-মঙ্গল-বৃহ:স্পতি ফিজিক্স, বাকি ৩দিন হাইয়ার ম্যাথ, শুক্রবার বন্ধ)।
তনিমা: ভাইয়া, আমার তো অনেক চ্যাপ্টার বাকি, এক্সামের বেশিদিন নেই। এভাবে করলে তো আমি টেস্টে ভালো রেজাল্ট করবো না।
নীল: দু:খিত তনিমা, কিন্তু এ সপ্তাহে আসলেই আমি ব্যস্ত। আসতে পারছি না।
তনিমা: ভাইয়া এমন করলে কিভাবে হয়। আপনি কখনও ছুটি দেন না। আমি চাইলেও দেন না। এখন আপনিই আসছেন না। আপনার কি হয়েছে বলেন তো। সুস্থ তো আপনি?
নীল: হ্যা ঠিক আছি আমি। তুমি একটা একা পড়াশোনা করো। যে টপিক গুলো গত সপ্তাহে পড়িয়েছি তা রিভাইস দেও। আগামি সপ্তাহ থেকে আবার বেশি করে পড়িয়ে কভার করে দিবো।
তনিমা পুরো বিরক্ত আর রাগে কাপছে সে, পেয়েছি কি এই মানুষটা, বুঝে না নাকি তাকে না দেখে তনিমার ভালো লাগছে না, শিউর ক্যাম্পাসে ওই ফাজিল গফটাকে নিয়ে ঘুরছে। তনিমা জানে না নীলের ব্রেকাপের বিষয়ে। সে ঠিক করলো ভাইয়াকে একটু ভয় দেখাই)৷ ভাইয়া হবে না এমন। আপনি আজ না আসলে আমি মাকে বলবো নিউ টিচার খোজার জন্য। আমার রেজাল্ট খারাপ করা যাবে না, পরে দেখা গেলো রেজাল্ট খারাপ করলে বাবা রিকশাওয়ালার সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে। ( বলে মুচকি হাসি দিলো সে, এখন ভাইয়াকে আসতেই হবে। কিন্তু নীল যে উত্তর দিলো তাতে সে হতভম্ব হয়ে গেলো)
নীল: আচ্ছা, তাহলে বলো তোমার মাকে নিউ টিচার খুজতে। আমি আর পড়াবো না তোমাকে। ভালো মতো পড়াশোনা কইরো।
বাই বলে নীল ফোনটা কেটে দিলো, তনিমা পুরো হতভম্ব। সে দ্রূত ফোন দিলো নীলকে যে সরি বলবে ভাইয়াকে। সে ইয়ার্কি করে বলেছে। কিন্তু ফোন দিয়ে দেখে নীল ফোন অফ করে দিয়েছে। বার বার কাদতে কাদতে ট্রাই করেও তনিমা নিকের সাথে ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলতে পারলো না।
অনেক দিন পর লিখছি, এই গল্পের প্রধান চরিত্রের মতো আমারও একটু ব্যস্ততা গিয়েছিলো। চেষ্টা করবো নীলের জীবনে অনেক গুলো ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টর আনার। যেখানে বেশ কিছু সাসপেন্স থাকবে।
কেউ টেলিগ্রামে কথা বলতে চাইলে, arunyes1 এটাতে নল দিতে পারেন। জিচ্যাটে rafsantahsin0@(.)gmail(.)com এ ম্যাসেজ দিতে পারেন। দেখি কালকে বা পশশু নিউ আপডেট দিবো। মহিলাদের ম্যাসেজের অপেক্ষায় থাকবো।?