09-05-2023, 09:51 AM
ভাবছি একদিন টি.এস.সি চত্ত্বরে বাঁশের সাথে ৩টি মাইক লাগিয়ে রাস্তার মাঝ খানে চিৎকার করে বলব, "হে মনুষ্য জাতি তোমরা সকলে আমার সামনে মাথা নত করো, আমি এই সৃষ্টির তথা সমস্য সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষ।"
কোনো সন্দেহ নেই, আমার এই কথা গুলো শোনার পর প্রায় ২০ শতাংশ লোক ভাববে, "এ ব্যাটা কোই তে আইল?" এবং এরা দর্শকের ভূমিকা পালন কারী গোষ্ঠি। প্রায় ৪০-৪৫ শতাংশ লোক আমার বাকি কথা গুলো শোনার জন্য এতটাই ব্যস্ত হয়ে পরবে যে মোবাইলে ভিডিও শুরু করে দিবে। কে জানে কাল এটাই হয়তো ভাইরাল হয়ে গেল। ১৫ শতাংশ লোক রাস্তার জ্যাম নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিবে। আর বাকি জন্য যারা আছে তারা এজগতের না। আই মিন, আমি কি বলছি কি করছি তা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই। তবে থেকে গড়ে ৮-১০ জন থাকবে যারা লাঠি নিয়ে মারবে না এলেও বেশ আগে অনেকটাই চোট পাট দেখাবে। এবং তাদের জন্য আমার পুরো কথাটা বাকিদের কাছে পৌছাবে না। কিন্তু যে বিষয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিৎ তা হলো, টি. এস. সি. এর চত্ত্বরে উপস্থিত সকল ব্যাক্তি আমাকে পাগল বলে ঘোষণা করে দিবে। শুধু এই টি. এস. সি নয়, এতক্ষন ধরে যে বা যারা আমার লেখা পড়ছে, তারাও আমাকে পাগল বলেই মনে করছে হয়তো। পাগল না হলে, কেউ নিজেকে পেষ্ঠ বলে দাবি করে?
এবার একটু অন্য কথায় আশি আসি। আমার শারিরীক একটা প্রলেম আছে। তার জন্য প্রতিদিন আমাকে "বারবিট ৩০” নামক একটা ঘুমের ওষুধ খেতে হয়। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শেই খাচ্ছিল ওষুধটা। জানিয়ে রাখি এই "বারবিট ৩০" ওষুধটা বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী একটা ঘুমের ওষুধ। সম্প্রতি বাজারে এই ওষুধ টা আর পাওয়া যাচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে যে সরকার এর অনুমোদন তুলে নিয়েছে। আর কোম্পানি থেকেও তৈরী হচ্ছে না। এর পেছনের কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ অনেক ডিপ্রেশনে থাকা রোগীরা ব্যবহার করতো।
এখন ভাই আমি তো ডাক্তারের কথা মতোই খাচ্ছি। আমি তো স্ব ইচ্ছাই কিনে খাচ্ছি না। বা কোনো নেশাও করছি না। যদিও জানি না এটা দিয়ে আদেও কোনো নেশা হয় কিনা। পরে আমার এক পরিচিত ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, গত দু বছরে যত গুলো আত্মহত্যা ঘুমের ওষুধের মাধ্যমে হয়েছে তার প্রায় ৮০ শতাংশই এই ওষুধ খেয়ে। কথা হচ্ছে, ডিপ্রেশনের মধ্য দিয়ে কম বেশি সবাইকেই যেতে হয়। হয়তো আজ যে ব্যাক্তি তোমাকে কাদিয়েছে কাল তোমার জন্যই তাকে কাঁদতে হবে। এটা আমার কথা নয়। এটা প্রকৃতির নিয়ম। আমিও কাউকে কাঁদিয়েছিলাম, আজ আমাকে কাঁদতে হচ্ছে। কষ্ট আছে কিন্তু আক্ষেপ নেই। কারণ আমি তো আর প্রকৃি প্রকৃতির নিয়মের বাইরে নই।
ঐ আগের কথাতে ব্যাক আসি, আমি যখন নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করলাম, আমাকে পাগল বলা হলো। আর এই মানুষ জাতি? আমরা মানুষরা নিজেরাই নিজেদের এত ক্ষতি করি। এত অন্যায় করি, তারপরও নিজেদের শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করি। অনেকে বলবে, আপনি সমাজের ১০ জনের উপর ভিত্তি করে বাকি ৯০ জনকে খারাপ বলতে পারো না। একটু আগের ঐ হিসাব টা পড়ে আসুন। গড়ে ৮০ শতাংশ মানুষ জাস্ট সাকার্সের মজা নিচ্ছে। বাকি ২০ শতাংশ মানুষের মধ্যেও হয়তো ১০ শতাংশ মানুষের তো এতে ভ্রুক্ষেপই নেই। মানে ১০ জন যদি ভালো কাজ করার মানুষিকতা নিয়েও থাকে, তবুও তারা করতে পারেনা এই ভেবে যে, "বাকিরা কি ভাববে? কেউ নাক না গলালে,আমি কেন গলাতে যাবো? "
পুরো রাস্তায় ১০০ জনের মধে হয়তো ১-২জন এমন পাওয়া যাে যাদের ভালো কাজ করার মানষিকতা নয়, ভালো কাজ করার স্বভাব রয়েছে। এরপর ও বলবেন আমরা সৃষ্টির সেরা?
যদি কেউ বলেন যে, ভাই আমরা বৈজ্ঞানিক ভাবে তো সেরা জীব। তবে আমি তাকে বলবো সরি আপনার জন্য দুঃসংবাদ আছে। মানুষ এই পৃথিবীতে আসার পর পৃথিবীর যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে তাতে প্রকৃতি যে এখনও আমাদের টিকিয়ে রেখেছে, এটা প্রকৃতির দয়া। তবে শ্রেষ্ঠ কে? এই ইথিবীর বৈজ্ঞানিক ভাবে যদি শ্রেষ্ঠ জীব বিচার করতে হয়, তবে তা উদ্ভিদ। নিজের খাবার নিজেই তৈর করে নেয়। অভিযোজন? মিউটেশন? গাছের কাছ থেকে কিছু শেখে।। মানুষ আজ পর্যন্ত নিজেদের কোনো ক্লোন তৈরি করতে পারলো না। অনদিকে গাছকে দেখে। প্রাকৃতিক ভাবেই নিজের ক্লোন তৈরি করে নিতে শিখে গেছে। অত্যন্ত সামাজিক। বটবৃক্ষ। অথচ কোনো অহংকার নেই। এক বটবৃক্ষের ছায়ায় কতশত জীব বাস করে দেখেছো? নিজেই একটা ইকোসিসটেম।
এরারও যদি কেউ বলে মানুষ সৃষ্টির সেরা। সালাম ভাই। টি. এস. সি চত্ত্বরে এসে আমার মাইকটা ধরো।
কোনো সন্দেহ নেই, আমার এই কথা গুলো শোনার পর প্রায় ২০ শতাংশ লোক ভাববে, "এ ব্যাটা কোই তে আইল?" এবং এরা দর্শকের ভূমিকা পালন কারী গোষ্ঠি। প্রায় ৪০-৪৫ শতাংশ লোক আমার বাকি কথা গুলো শোনার জন্য এতটাই ব্যস্ত হয়ে পরবে যে মোবাইলে ভিডিও শুরু করে দিবে। কে জানে কাল এটাই হয়তো ভাইরাল হয়ে গেল। ১৫ শতাংশ লোক রাস্তার জ্যাম নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিবে। আর বাকি জন্য যারা আছে তারা এজগতের না। আই মিন, আমি কি বলছি কি করছি তা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই। তবে থেকে গড়ে ৮-১০ জন থাকবে যারা লাঠি নিয়ে মারবে না এলেও বেশ আগে অনেকটাই চোট পাট দেখাবে। এবং তাদের জন্য আমার পুরো কথাটা বাকিদের কাছে পৌছাবে না। কিন্তু যে বিষয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিৎ তা হলো, টি. এস. সি. এর চত্ত্বরে উপস্থিত সকল ব্যাক্তি আমাকে পাগল বলে ঘোষণা করে দিবে। শুধু এই টি. এস. সি নয়, এতক্ষন ধরে যে বা যারা আমার লেখা পড়ছে, তারাও আমাকে পাগল বলেই মনে করছে হয়তো। পাগল না হলে, কেউ নিজেকে পেষ্ঠ বলে দাবি করে?
এবার একটু অন্য কথায় আশি আসি। আমার শারিরীক একটা প্রলেম আছে। তার জন্য প্রতিদিন আমাকে "বারবিট ৩০” নামক একটা ঘুমের ওষুধ খেতে হয়। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শেই খাচ্ছিল ওষুধটা। জানিয়ে রাখি এই "বারবিট ৩০" ওষুধটা বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী একটা ঘুমের ওষুধ। সম্প্রতি বাজারে এই ওষুধ টা আর পাওয়া যাচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে যে সরকার এর অনুমোদন তুলে নিয়েছে। আর কোম্পানি থেকেও তৈরী হচ্ছে না। এর পেছনের কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ অনেক ডিপ্রেশনে থাকা রোগীরা ব্যবহার করতো।
এখন ভাই আমি তো ডাক্তারের কথা মতোই খাচ্ছি। আমি তো স্ব ইচ্ছাই কিনে খাচ্ছি না। বা কোনো নেশাও করছি না। যদিও জানি না এটা দিয়ে আদেও কোনো নেশা হয় কিনা। পরে আমার এক পরিচিত ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, গত দু বছরে যত গুলো আত্মহত্যা ঘুমের ওষুধের মাধ্যমে হয়েছে তার প্রায় ৮০ শতাংশই এই ওষুধ খেয়ে। কথা হচ্ছে, ডিপ্রেশনের মধ্য দিয়ে কম বেশি সবাইকেই যেতে হয়। হয়তো আজ যে ব্যাক্তি তোমাকে কাদিয়েছে কাল তোমার জন্যই তাকে কাঁদতে হবে। এটা আমার কথা নয়। এটা প্রকৃতির নিয়ম। আমিও কাউকে কাঁদিয়েছিলাম, আজ আমাকে কাঁদতে হচ্ছে। কষ্ট আছে কিন্তু আক্ষেপ নেই। কারণ আমি তো আর প্রকৃি প্রকৃতির নিয়মের বাইরে নই।
ঐ আগের কথাতে ব্যাক আসি, আমি যখন নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করলাম, আমাকে পাগল বলা হলো। আর এই মানুষ জাতি? আমরা মানুষরা নিজেরাই নিজেদের এত ক্ষতি করি। এত অন্যায় করি, তারপরও নিজেদের শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করি। অনেকে বলবে, আপনি সমাজের ১০ জনের উপর ভিত্তি করে বাকি ৯০ জনকে খারাপ বলতে পারো না। একটু আগের ঐ হিসাব টা পড়ে আসুন। গড়ে ৮০ শতাংশ মানুষ জাস্ট সাকার্সের মজা নিচ্ছে। বাকি ২০ শতাংশ মানুষের মধ্যেও হয়তো ১০ শতাংশ মানুষের তো এতে ভ্রুক্ষেপই নেই। মানে ১০ জন যদি ভালো কাজ করার মানুষিকতা নিয়েও থাকে, তবুও তারা করতে পারেনা এই ভেবে যে, "বাকিরা কি ভাববে? কেউ নাক না গলালে,আমি কেন গলাতে যাবো? "
পুরো রাস্তায় ১০০ জনের মধে হয়তো ১-২জন এমন পাওয়া যাে যাদের ভালো কাজ করার মানষিকতা নয়, ভালো কাজ করার স্বভাব রয়েছে। এরপর ও বলবেন আমরা সৃষ্টির সেরা?
যদি কেউ বলেন যে, ভাই আমরা বৈজ্ঞানিক ভাবে তো সেরা জীব। তবে আমি তাকে বলবো সরি আপনার জন্য দুঃসংবাদ আছে। মানুষ এই পৃথিবীতে আসার পর পৃথিবীর যে পরিমাণ ক্ষতি করেছে তাতে প্রকৃতি যে এখনও আমাদের টিকিয়ে রেখেছে, এটা প্রকৃতির দয়া। তবে শ্রেষ্ঠ কে? এই ইথিবীর বৈজ্ঞানিক ভাবে যদি শ্রেষ্ঠ জীব বিচার করতে হয়, তবে তা উদ্ভিদ। নিজের খাবার নিজেই তৈর করে নেয়। অভিযোজন? মিউটেশন? গাছের কাছ থেকে কিছু শেখে।। মানুষ আজ পর্যন্ত নিজেদের কোনো ক্লোন তৈরি করতে পারলো না। অনদিকে গাছকে দেখে। প্রাকৃতিক ভাবেই নিজের ক্লোন তৈরি করে নিতে শিখে গেছে। অত্যন্ত সামাজিক। বটবৃক্ষ। অথচ কোনো অহংকার নেই। এক বটবৃক্ষের ছায়ায় কতশত জীব বাস করে দেখেছো? নিজেই একটা ইকোসিসটেম।
এরারও যদি কেউ বলে মানুষ সৃষ্টির সেরা। সালাম ভাই। টি. এস. সি চত্ত্বরে এসে আমার মাইকটা ধরো।
একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও