09-02-2023, 03:40 PM
"আর কতোদিন এভাবে মুখ ভার করে থাকবে ? চলোই না , তোমার মুডটাও ফ্রেশ হয়ে যাবে বালাশোরে গেলে। আর রঞ্জনদেরও ভালো লাগবে। ও তোমাকে খুব সম্মান করে। ও কি ভাববে বলো তো ? বউদি বলতে পাগল ছেলেটা , তোমাকে কতো ভালোবাসে ? আর তুমিই যদি তোমার সেই সাধের দেওরের বিয়ে তে না যাও কেমন দেখায় বলো ?"
"আমি সবই বুঝতে পারছি অঞ্জন , কিন্তু তুমি একবার আমার দিকটা বোঝার চেষ্টা করো প্লিজ। এতো বছর পর একটা বাচ্চা এলো আমার পেটে , সেটাকেও ধরে রাখতে পারলাম না। ডেলিভারি হওয়ার আগে মিসক্যারেজ হয়েগেলো। ভেবেছিলাম বাচ্চা হওয়ার পর সবাইকে সারপ্রাইজ দেবো। তা আর হলো কই ? কেউ জানতেও পারলো না যে এই চৈতালি রায় দীর্য বারো বছর পর মা হতে হতে হওয়া রয়ে গেলো। "
"ভাগ্গিস আমরা কাউকে জানাইনি। নাহলে এই দুঃখে রঞ্জনটা নিজের বিয়েই ক্যান্সেল করে বসতো !"
"এখনও তুমি শুধু তোমার পরিবারের কথাই ভাবছো , একবার আমার দিকটা দেখছো না। "
"তোমার মুড ঠিক করার জন্যই তো যেতে বলছি। ওখানে সবার সাথে থাকবে কিছুদিন , মনটা ভালো হয়ে যাবে। এমনিতেও এই লকডাউনে একা একা থেকে কম বেশি সবারই প্রাণ হাঁসফাঁস করে উঠছো। তোমাকে আর আলাদা করে কি বলবো বলো। যা ভালো বোঝো তাই করো। "
অঞ্জন সিদ্ধান্তের বলটা চৈতালির কোর্টে ঠেলে দিলো। চৈতালিও অনেক ভাবাভাবি করলো। তারপর অঞ্জনের মন রাখতে সে রাজি হয়েগেলো বালাশোর যেতে, বিয়ে বাড়িতে যোগ দিতে। শিলিগুড়ি থেকে ট্রেনে যাওয়া সম্ভব নয় কারণ ট্রেন সব বন্ধ। তাই অঞ্জন নিজের অফিসের গাড়িটাই ভাড়া করে নিলো। সরকারি গাড়ি দেখলে রাস্তায় আটকাবেও না।
প্ল্যান মতো স্বামী স্ত্রী দুজনে রওনা দিলো গাড়ি করে বালাশোরের উদ্দেশ্যে।
"আমি সবই বুঝতে পারছি অঞ্জন , কিন্তু তুমি একবার আমার দিকটা বোঝার চেষ্টা করো প্লিজ। এতো বছর পর একটা বাচ্চা এলো আমার পেটে , সেটাকেও ধরে রাখতে পারলাম না। ডেলিভারি হওয়ার আগে মিসক্যারেজ হয়েগেলো। ভেবেছিলাম বাচ্চা হওয়ার পর সবাইকে সারপ্রাইজ দেবো। তা আর হলো কই ? কেউ জানতেও পারলো না যে এই চৈতালি রায় দীর্য বারো বছর পর মা হতে হতে হওয়া রয়ে গেলো। "
"ভাগ্গিস আমরা কাউকে জানাইনি। নাহলে এই দুঃখে রঞ্জনটা নিজের বিয়েই ক্যান্সেল করে বসতো !"
"এখনও তুমি শুধু তোমার পরিবারের কথাই ভাবছো , একবার আমার দিকটা দেখছো না। "
"তোমার মুড ঠিক করার জন্যই তো যেতে বলছি। ওখানে সবার সাথে থাকবে কিছুদিন , মনটা ভালো হয়ে যাবে। এমনিতেও এই লকডাউনে একা একা থেকে কম বেশি সবারই প্রাণ হাঁসফাঁস করে উঠছো। তোমাকে আর আলাদা করে কি বলবো বলো। যা ভালো বোঝো তাই করো। "
অঞ্জন সিদ্ধান্তের বলটা চৈতালির কোর্টে ঠেলে দিলো। চৈতালিও অনেক ভাবাভাবি করলো। তারপর অঞ্জনের মন রাখতে সে রাজি হয়েগেলো বালাশোর যেতে, বিয়ে বাড়িতে যোগ দিতে। শিলিগুড়ি থেকে ট্রেনে যাওয়া সম্ভব নয় কারণ ট্রেন সব বন্ধ। তাই অঞ্জন নিজের অফিসের গাড়িটাই ভাড়া করে নিলো। সরকারি গাড়ি দেখলে রাস্তায় আটকাবেও না।
প্ল্যান মতো স্বামী স্ত্রী দুজনে রওনা দিলো গাড়ি করে বালাশোরের উদ্দেশ্যে।