03-01-2023, 10:08 PM
(This post was last modified: 03-01-2023, 11:15 PM by Raju32. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
শীতের সকালে ঘুমিয়ে আছি , এমনসময় ছোট বোন রিমু এসে পানি খেলে দিলো । আমি ধড়পর করে বিছানা থেকে উঠে পড়ি । এরপর
আমি: এই শাকচুন্নী তুই আমার উপর এই শীতের সকালে পানি দিয়ে গোসল করাই দিছস কেন ? ( প্রচন্ড রাগিভাবে )
রিমু: তো কি করমু প্রায় একঘন্টা আগে থেকে তোরে ডাকতাছি । আজকে ভার্সিটি যাবি না । পোড়াশোনা তো গোল্লায় গেছে । তাছাড়া তুই আজ ধরে সাতদিন গোসল করে নাই । বাথরূমে তা পানি গরম করে রাখছি গোসল করে নে ।
আমি: ( কামটা ঠিক করলি না রে পেত্নি পাঠকদের সামনে আমার সব সম্মান শেষ করে দিছস । ) [ বাস্তবে কিন্তু আমি প্রতিদিন গোসল করি , হিহিহি ]
কি আর করার পেত্নিটা শরীরটা ভিজিয়ে দিছে , কি আর করবো তাই গোসলটা করে নেই । এর বাথরূমে এসে দেখি ব্রাশ নিয়ে দাঁত মাজি। পানিতে হাত দিয়ে দেখি পানি খুব গরম আমার হাত পুরে গেল গো । গরম পানির সাথে একটু ঠান্ডা পানি মিশিয়ে গোসল টা করেই নেই । বাথরুম থেকে বাইরে বের হয়ে দেখি , রিমু আমার জন্য চা নিয়ে এসেছে । চায়ের কাপটা নিয়ে ছাদে যাই । কুয়াশা ভরা পরিবেশ এবং ⛅ সূর্যের হালকা মিষ্টি আলো আমার খুব প্রিয়।
এখন আসেন চা খেতে খেতে সরি পান করতে করতে আপনাদের আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই । আমি হচ্ছি বাবা মায়ের একমাত্র আদরের পোলা ( আহারে যদি এইটা বলতে পারতাম আমার পরে পরে আরো দুইটা দুনিয়ায় আসছে ) । বুঝে গেছেন তো তাহলে আমরা হচ্ছি তিন ভাইবোন । আমার নাম রাজিউল ইসলাম রাজু ( অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ) । আমার বড় একটা বোন রিমু ( অনার্স তৃতীয় বর্ষে ) । এরপর একটা ভাই রিয়াদ( ক্লাস ফোর এ ) । আমার বাবা বিজনেসম্যান, মা গৃহিণী। আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে আমার চা খাওয়া হয়ে গেছে ।
এরপর ছাদের ঠান্ডা আবহাওয়া হালকা ব্যায়াম করলাম শরীর গরম করার জন্য । নিচে নেমে এসে দেখি মায়ের রান্না করা শেষ মা আর বোন খাবারগুলো টেবিলে সাজাচ্ছে। আমার আপুটা অনেক লক্ষী , খুব কাজ করতে পারে , আমার মায়ের খুব প্রিয় ।তার বউ হবে সে খুব ভাগ্যবান হবে । আমি একটা চেয়ার টেনে বসলাম । পিচ্চি এবং বাবাও আসলো ?????? শীতের সময় মা পিঠা বানিয়েছে , তা দেখে আমার জিভে জল চলে আসছে ।
মা: বাব্বাহ আমার ছেলেটা আজ গোসল করেছে । কি সুন্দর দেখাচ্ছে । আর আগের তিনদিন ধরে এর গন্ধে আমার বাসায় থাকতে মন চাইতো না ।
রিয়াদ : ঠিক বলেছো মা ।
আমি: ঐ পিচ্চি তুই চুপ থাক । নিজে তো গোসল করে না আবার আমাকে বলছে ।
খাওয়া দাওয়া শেষে ব্যাগ নিয়ে আপুর কাছে গেলাম , একসাথে ভার্সিটি যাবো । আজ ভার্সিটিতে প্রথম দিন । তাছাড়া আপুর ভার্সিটিতে একটা পাওয়ার আছে , শুনেছি আপুদের নাকি একটা গ্যাং আছে । তাই আপুর সাথে গেলে কেউ র্যার্গিং করবে না । কিছুক্ষণ পর আপু আর আমি বের হলাম । বাসা থেকে ভার্সিটি দশ মিনিটের পথ । হাঁটতে হাঁটতে ভার্সিটি চলে এলাম । আপু আমাকে ক্লাসরুমের নির্দেশনা দিয়ে দিলে আমি চলে গেলাম । ক্লাসে এসে দেখি প্রথম বেঞ্চ ফাঁকা আছে , তাই আমি বসে পড়লাম ( কি মনে করলেন প্রথম ব্রেঞ্চে বসেছি আরে না ভাই এতো সাহস আমার নাই ) । আমার পাশে একটা ছেলে বসে আছে ।
ছেলে : হাই
আমি: হেলো
ছেলে : কেমন আছেন ?
আমি : ভালো । আপনি ?
ছেলে: আমিও ভালো আছি । তা কোন কলেজ থেকে এসেছেন?
আমি : **** কলেজ থেকে ।
ক্লাসে চশমাওয়ালা একটা ভদ্রলোক ঢুকলো । দেখলাম সবাই দাঁড়িয়ে গেছে। বুঝে গেলাম ইনি স্যার, তাই আমিও দাঁড়িয়ে গেলাম
।
স্যার: সবাই কেমন আছো ?
সবাই: ভালো স্যার। আপনি কেমন আছেন?
স্যার: আমিও ভালো আছি। আজ তোমাদের ভার্সিটির প্রথম দিন । তাই আজ পরিচিত হবো । আমার নাম রফিক , আমি তোমাদের বাংলা টিচার । এখন তোমাদের পলিচয় দাও । একে একে সবাই পরিচয় দিলাম । এভেবেই সব ক্লাশ শেষ হয়ে গেলে । আমি বাইরে বের হয়ে দেখি আপু দাঁড়িয়ে আছে। তারপর বাসায় চলে এলাম ।
পরেরদিন যথারীতি সকাল আটটায় আপু বাট দেয়ার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে পড়ি । আজকে পানিতে ভেজার এবং গোসল করার ইচ্ছা নাই । ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে দেখি বাবা পেপার পরছে । পিচ্চি টা বই পরছে । আমি আপুকে বললাম
আমি: আপু ছাদে একটা চা দিয়ে যা ।
আপু: নিজে নিয়ে যা ।
কি আর করা চা নিয়ে ছাদে গেলাম, প্রকৃতির মাছে একটু মেডিটেশন করে নিচে এসে খাওয়া দাওয়া করে ব্যাগ নিয়ে আপুর কাছে গেলাম,
আপু: আমার একটু কাজ আছে, আজ তুই একাই যা
আমি একা একা হাঁটতে থাকি , হঠাৎ পিছনে কে যেন ডাক দিলো । তাকিয়ে দেখি কালকের ছেলেটা ।
ছেলে: হাই কেমন আছেন?
আমি : ভালো আছি আপনি?
ছেলে : ভালো । কালকে তো ক্লাস থেকে বের হয়ে আপনাকে আর পেলাম না । তা কি নাম আপনার?
আমি : রাজু । আপনার ?
ছেলে: আরিয়ান । আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি ?
আমি : হতে পারি তবে একটা শর্ত আছে ।
আরিয়ান: কি শর্ত ?
আমি: আপনি করে না বলে তুই করে বলতে হবে ।
আরিয়ান: এটা কোনো ব্যাপার না । চল ভার্সিটি যাই।
দুজনে আরো গল্প করতে করতে ভার্সিটি চলে আসি । কলেজের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে ক্লাসে যাওয়ার সময়
মেয়ে: ঐ ছেলে শোন ।
আমরা হাঁটতেই থাকি ।
মেয়ে : ঐ নীল গেঞ্জি শুনতে পাস না ।
আমি : আমাকে বলছেন ( পিছনে তাকিয়ে )
মেয়ে: হে তোকেই বলছি এদিকে আয়
আরিয়ান: দোস্ত এরা কালকে আমায় র্য্যাগ করেছে ।
আরুর কথা শুনে তো আমার গলা শুকিয়ে কাঠ । মেয়েদের দলটা দেখে মনে হচ্ছে কোনো গুন্ডার দল । তবে কি করার যেতেই হবে ধীরে ধীরে যেতে থাকি ।
[ এরপর কি হবে তা জানতে নেক্সট পর্ব দেখতে হবে । গল্পের হিরোইন এর এন্ট্রি হয়ে গেছে। পরের পর্বে নাম জানবেন ।
এটা আমার প্রথম গল্প , তাই ভুল হলে শুধরিয়ে দিবেন । আর কেমন হয়েছে জানাবেন প্লিজ । আর লাইক , রেপু দিয়ে আমাকে অনুপ্রেরণা দেন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার । প্লিজ কেউ খারাপ কমেন্ট করবন
না । ]
আমি: এই শাকচুন্নী তুই আমার উপর এই শীতের সকালে পানি দিয়ে গোসল করাই দিছস কেন ? ( প্রচন্ড রাগিভাবে )
রিমু: তো কি করমু প্রায় একঘন্টা আগে থেকে তোরে ডাকতাছি । আজকে ভার্সিটি যাবি না । পোড়াশোনা তো গোল্লায় গেছে । তাছাড়া তুই আজ ধরে সাতদিন গোসল করে নাই । বাথরূমে তা পানি গরম করে রাখছি গোসল করে নে ।
আমি: ( কামটা ঠিক করলি না রে পেত্নি পাঠকদের সামনে আমার সব সম্মান শেষ করে দিছস । ) [ বাস্তবে কিন্তু আমি প্রতিদিন গোসল করি , হিহিহি ]
কি আর করার পেত্নিটা শরীরটা ভিজিয়ে দিছে , কি আর করবো তাই গোসলটা করে নেই । এর বাথরূমে এসে দেখি ব্রাশ নিয়ে দাঁত মাজি। পানিতে হাত দিয়ে দেখি পানি খুব গরম আমার হাত পুরে গেল গো । গরম পানির সাথে একটু ঠান্ডা পানি মিশিয়ে গোসল টা করেই নেই । বাথরুম থেকে বাইরে বের হয়ে দেখি , রিমু আমার জন্য চা নিয়ে এসেছে । চায়ের কাপটা নিয়ে ছাদে যাই । কুয়াশা ভরা পরিবেশ এবং ⛅ সূর্যের হালকা মিষ্টি আলো আমার খুব প্রিয়।
এখন আসেন চা খেতে খেতে সরি পান করতে করতে আপনাদের আমার পরিচয়টা দিয়ে দেই । আমি হচ্ছি বাবা মায়ের একমাত্র আদরের পোলা ( আহারে যদি এইটা বলতে পারতাম আমার পরে পরে আরো দুইটা দুনিয়ায় আসছে ) । বুঝে গেছেন তো তাহলে আমরা হচ্ছি তিন ভাইবোন । আমার নাম রাজিউল ইসলাম রাজু ( অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ) । আমার বড় একটা বোন রিমু ( অনার্স তৃতীয় বর্ষে ) । এরপর একটা ভাই রিয়াদ( ক্লাস ফোর এ ) । আমার বাবা বিজনেসম্যান, মা গৃহিণী। আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে আমার চা খাওয়া হয়ে গেছে ।
এরপর ছাদের ঠান্ডা আবহাওয়া হালকা ব্যায়াম করলাম শরীর গরম করার জন্য । নিচে নেমে এসে দেখি মায়ের রান্না করা শেষ মা আর বোন খাবারগুলো টেবিলে সাজাচ্ছে। আমার আপুটা অনেক লক্ষী , খুব কাজ করতে পারে , আমার মায়ের খুব প্রিয় ।তার বউ হবে সে খুব ভাগ্যবান হবে । আমি একটা চেয়ার টেনে বসলাম । পিচ্চি এবং বাবাও আসলো ?????? শীতের সময় মা পিঠা বানিয়েছে , তা দেখে আমার জিভে জল চলে আসছে ।
মা: বাব্বাহ আমার ছেলেটা আজ গোসল করেছে । কি সুন্দর দেখাচ্ছে । আর আগের তিনদিন ধরে এর গন্ধে আমার বাসায় থাকতে মন চাইতো না ।
রিয়াদ : ঠিক বলেছো মা ।
আমি: ঐ পিচ্চি তুই চুপ থাক । নিজে তো গোসল করে না আবার আমাকে বলছে ।
খাওয়া দাওয়া শেষে ব্যাগ নিয়ে আপুর কাছে গেলাম , একসাথে ভার্সিটি যাবো । আজ ভার্সিটিতে প্রথম দিন । তাছাড়া আপুর ভার্সিটিতে একটা পাওয়ার আছে , শুনেছি আপুদের নাকি একটা গ্যাং আছে । তাই আপুর সাথে গেলে কেউ র্যার্গিং করবে না । কিছুক্ষণ পর আপু আর আমি বের হলাম । বাসা থেকে ভার্সিটি দশ মিনিটের পথ । হাঁটতে হাঁটতে ভার্সিটি চলে এলাম । আপু আমাকে ক্লাসরুমের নির্দেশনা দিয়ে দিলে আমি চলে গেলাম । ক্লাসে এসে দেখি প্রথম বেঞ্চ ফাঁকা আছে , তাই আমি বসে পড়লাম ( কি মনে করলেন প্রথম ব্রেঞ্চে বসেছি আরে না ভাই এতো সাহস আমার নাই ) । আমার পাশে একটা ছেলে বসে আছে ।
ছেলে : হাই
আমি: হেলো
ছেলে : কেমন আছেন ?
আমি : ভালো । আপনি ?
ছেলে: আমিও ভালো আছি । তা কোন কলেজ থেকে এসেছেন?
আমি : **** কলেজ থেকে ।
ক্লাসে চশমাওয়ালা একটা ভদ্রলোক ঢুকলো । দেখলাম সবাই দাঁড়িয়ে গেছে। বুঝে গেলাম ইনি স্যার, তাই আমিও দাঁড়িয়ে গেলাম
।
স্যার: সবাই কেমন আছো ?
সবাই: ভালো স্যার। আপনি কেমন আছেন?
স্যার: আমিও ভালো আছি। আজ তোমাদের ভার্সিটির প্রথম দিন । তাই আজ পরিচিত হবো । আমার নাম রফিক , আমি তোমাদের বাংলা টিচার । এখন তোমাদের পলিচয় দাও । একে একে সবাই পরিচয় দিলাম । এভেবেই সব ক্লাশ শেষ হয়ে গেলে । আমি বাইরে বের হয়ে দেখি আপু দাঁড়িয়ে আছে। তারপর বাসায় চলে এলাম ।
পরেরদিন যথারীতি সকাল আটটায় আপু বাট দেয়ার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে পড়ি । আজকে পানিতে ভেজার এবং গোসল করার ইচ্ছা নাই । ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে দেখি বাবা পেপার পরছে । পিচ্চি টা বই পরছে । আমি আপুকে বললাম
আমি: আপু ছাদে একটা চা দিয়ে যা ।
আপু: নিজে নিয়ে যা ।
কি আর করা চা নিয়ে ছাদে গেলাম, প্রকৃতির মাছে একটু মেডিটেশন করে নিচে এসে খাওয়া দাওয়া করে ব্যাগ নিয়ে আপুর কাছে গেলাম,
আপু: আমার একটু কাজ আছে, আজ তুই একাই যা
আমি একা একা হাঁটতে থাকি , হঠাৎ পিছনে কে যেন ডাক দিলো । তাকিয়ে দেখি কালকের ছেলেটা ।
ছেলে: হাই কেমন আছেন?
আমি : ভালো আছি আপনি?
ছেলে : ভালো । কালকে তো ক্লাস থেকে বের হয়ে আপনাকে আর পেলাম না । তা কি নাম আপনার?
আমি : রাজু । আপনার ?
ছেলে: আরিয়ান । আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি ?
আমি : হতে পারি তবে একটা শর্ত আছে ।
আরিয়ান: কি শর্ত ?
আমি: আপনি করে না বলে তুই করে বলতে হবে ।
আরিয়ান: এটা কোনো ব্যাপার না । চল ভার্সিটি যাই।
দুজনে আরো গল্প করতে করতে ভার্সিটি চলে আসি । কলেজের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে ক্লাসে যাওয়ার সময়
মেয়ে: ঐ ছেলে শোন ।
আমরা হাঁটতেই থাকি ।
মেয়ে : ঐ নীল গেঞ্জি শুনতে পাস না ।
আমি : আমাকে বলছেন ( পিছনে তাকিয়ে )
মেয়ে: হে তোকেই বলছি এদিকে আয়
আরিয়ান: দোস্ত এরা কালকে আমায় র্য্যাগ করেছে ।
আরুর কথা শুনে তো আমার গলা শুকিয়ে কাঠ । মেয়েদের দলটা দেখে মনে হচ্ছে কোনো গুন্ডার দল । তবে কি করার যেতেই হবে ধীরে ধীরে যেতে থাকি ।
[ এরপর কি হবে তা জানতে নেক্সট পর্ব দেখতে হবে । গল্পের হিরোইন এর এন্ট্রি হয়ে গেছে। পরের পর্বে নাম জানবেন ।
এটা আমার প্রথম গল্প , তাই ভুল হলে শুধরিয়ে দিবেন । আর কেমন হয়েছে জানাবেন প্লিজ । আর লাইক , রেপু দিয়ে আমাকে অনুপ্রেরণা দেন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার । প্লিজ কেউ খারাপ কমেন্ট করবন
না । ]
Raju