Thread Rating:
  • 33 Vote(s) - 3.3 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Erotic Thriller গৃহদহন
#1
Photo 
  • মূল উপন্যাস : গৃহদহন
পার্ট : ১
উপেক্ষা

চারিদিকে ধু ধু করছে প্রান্তর,দুপুরের কড়া রোদে বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝরছে নিখিলের, সামনে অনেক দূরে একটা গাছ দেখা যাচ্ছে এবং সেটাই একমাত্র ছায়া এই ধূসর প্রান্তরে।
"গাছের তলায় কেউ একজন বসে আছে না!"মনে মনে বললো নিখিল
নিখিল এগোতে লাগলো, আরো স্পষ্ট হতে লাগলো লোকটার অবয়ব। কালো বস্ত্র আপদ মস্তক ঢেকে রেখেছে লোকটাকে, নিখিল যেদিক থেকে আসছে সেদিকে পিছন ফিরে বসে আছে লোকটা আর তার পাশে মাটিতে রাখা আছে একটা ত্রিশূল।
এরকম গাছ নিখিল কখনো দেখেনি, গাছটির পাতার রং ক্রমশ নিলাভ হতে থাকলো যত সে কাছে যেতে থাকলো এবং একটি মিষ্টি গন্ধ যেন ছড়িয়ে রয়েছে চারিদিকে। নিখিল লোকটির একেবারে পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো, নিখিল কিছু বলার আগেই লোকটি পিছনে না ঘুরে তার গুরুগম্ভীর গলায় তিনবার বলে উঠল "বিপদ, বিপদ, বিপদ।"
নিখিল সাহস করে লোকটির কাঁধে হাত রাখলো এবং সঙ্গে সঙ্গে কোথা থেকে একরাশ মেঘ এসে জড় হলো মাথার উপরে আকাশে, সে মেঘের রং গাড় নীল। নিখিল আকাশের থেকে মুখ নামিয়ে যখন নিচে তাকালো তখন আর সেখানে কেউ নেই, যেন বাতাসে অদৃশ্য হয়ে গেছে লোকটা। ঠিক তখনি একফোঁটা দুফোটা করে বৃষ্টি পড়তে লাগলো সেই নিলাভ মেঘ থেকে, তবে সে বৃষ্টি জলের নয়, সে বৃষ্টি রক্তের। চারিদিকে প্রান্তর লাল হয়ে উঠল রক্তে। নিখিলের সারা শরীর রক্তে ভিজে যাচ্ছে,সে ভয়ে চিৎকার করে উঠল।

ধড়ফড় করে উঠে বসলো নিখিল, জানলা থেকে রোদ এসে ঢুকেছে ঘরের মধ্যে, পাশে তাকিয়ে দেখলো ভাই ঘুমাচ্ছে, বাবা হয়তো কাজে বেরিয়ে গেছে।
মা রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে বললো"নিখিল, নিখিল, ওঠ ঘুম থেকে আটটা বেজে গেছে, স্কুলে যাবি দেরি হয়ে যাবে। "
কি ভয়টায় না পেয়েছিল সে স্বপ্নটা দেখে। তাড়াতড়ি উঠে রেডি হয়ে স্কুলের জন্য বেরিয়ে পরে সে।

অখিল চৌধুরী ৫ বছর আগে বদলি হয়ে সপরিবারে এসেছে পুরুলিয়া জেলার নয়নপুর গ্রামে,পরিবার বলতে স্ত্রী নীলিমা দেবী এবং পুত্র নিখিল চৌধুরী এবং এখানে আসার ৩ বছর পর আরো একটি পুত্র সন্তান হয় তার, তার নাম দেন তিনি নিলয়। নিখিলের বয়স ১২ বছর, সে ক্লাস ৫ এ পড়ে, পড়াশুনায় মন্দ নয় সে। আর নিলয় এখনও হাটতেই শেখেনি। নীলিমা দেবীর বয়স ৩৭, তাঁর মতো স্ত্রী ভাগ্য করেই পাওয়া যায়, যাকে বলে ঘরের লক্ষী। স্বামী এবং সংসারেই তার জীবন সীমাবদ্ধ, তাতে তার কোনো আক্ষেপও নেই, একজন আদর্শ নারীর তো এমনই হওয়া উচিত।

নয়নপুর গ্রামের স্টেশন মাস্টার অখিল চৌধুরী। বেশ মোটা বেতনই পান তিনি। কলকাতার বাড়ি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে বাড়ি করেন তিনি নয়নপুর গ্রামে, দোতলা বাড়ি এবং বাড়ির চারপাশ দেয়াল দিয়ে ঘেরা। এতো বড় বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও বাথরুম করেছেন বাড়ির বাইরের দেয়াল ঘেরা ফাঁকা জায়গায় গ্রামের মানুষের মতো এবং তার পাশে রয়েছে একটি কুঁয়ো।পয়সা থাকার কারণে এবং গ্রামের মানুষের সাহায্য করার ফলে সবাই তাকে সমীহ করতো।

নিখিল স্কুলে গিয়ে দেখলো অজয় তার আগেই এসে গেছে। অজয় নিখিলের বন্ধু, অজয়ের বাবা সামান্য একজন কৃষক। অজয় নিখিলকে দেখেই বললো-

অজয় : নিখিল জানিস আমাদের গ্রামে সার্কাস হবে?

নিখিল :সার্কাস?

অজয় :হাঁরে, পঞ্চুদের মাঠে, ওরাতো আজকে এসে তাঁবু খাটাচ্ছে।

নিখিল :সিংহ আছে?হাতি আছে?

অজয় :হাতি দেখেছি কিন্তু সিংহ আছে কিনা জানিনা

নিখিল :বড়ো হাতি?

অজয় :হ্যাঁরে, হেব্বি বড়ো আর হেবি মোটা পুরো একটা লড়ির মতো।

দুজনেই হেসে উঠল

অজয় :আর জানিস কি হয়েছে!

নিখিল :কি হয়েছে?

অজয় গলাটা একটু নিচু করে বললো

অজয় :শুভমের মা পালিয়ে গেছে

নিখিল :কোথায় পালিয়ে গেছে?

অজয় :সেটা কেউ জানেনা কোথায় পালিয়ে গেছে, কিন্তু বড়রা আলোচনা করছিলো তখনি শুনলাম যে ওদের বাড়িতে যে রাজমিস্ত্রি গুলো কাজ করছিলো তাদেরই একজনের সাথে পালিয়েছে।

নিখিল :কিন্তু পালিয়েছে কেন?

অজয় :আরে বুদ্ধু তুইতো দেখছি কিছুই জানিসনা, প্রেম করে পালিয়েছে।

নিখিল :কিন্তু শুভমের মাতো ওর বাবাকে প্রেম করে। তাহলে ওর সাথে পালালো কেন।

অজয় :ওতো কিছু জানিনা।।

তাঁদের আলোচনায় বাঁধা পড়লো কারণ হরিহর মাস্টার বেত হাতে ক্লাসে প্রবেশ করেছে।

------------------------------------------------------------------

অখিলবাবু কয়েকদিন ধরেই একটা অসংগতি লক্ষ্য করছে, প্রথম বার দেখে অতটা গুরুত্ব দেয়নি ব্যাপারটার প্রতি। এই নিয়ে এই মাসে ৪ বার হয়েছে ব্যাপারটা।স্টেশনে আসার পথে স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে রেল লাইনের পাশে মদের বোতল ও একদিন একটা গাঁজা খাওয়ার চিলাম উদ্ধার করেন তিনি কিন্তু সেটা চিন্তিত হওয়ার মূল বিষয় নয়, চিন্তিত হওয়ার মতো ঘটনাটা ঘটেছে আজকে, আজ সেখানে মদের বোতলের পাশে কিছুটা জমাট বাঁধা রক্তও লক্ষ্য করেছেন অখিলবাবু।

তিনি মনে মনে ঠিক করলেন রাতের স্টেশন মাস্টারের সাথে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করবেন, হয়তো সে কিছু জেনে থাকতে পারে। স্টেশনে ঢুকে দেখলেন খুব একটা ভিড় নেই প্লাটফর্মে, যদিও থাকারও কথা নয়। আশেপাশের তিন চারটে গ্রামের জন্য এই স্টেশনটা তৈরী করা হয়েছে। পূজো বা ঈদের মরসুম না এলে ট্রেনে জমজমাট ভীড় লক্ষ্য করা যায়না এখানে।স্টেশন ঘরে ঢোকার আগে দেখলেন প্লাটফর্মের এক কোনে একজন মানুষ আপদ মস্তক কালো কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখেছেন আর তাঁর পাশেই রাখা রয়েছে একটি ত্রিশূল। অখিলবাবু ভাবলেন কোনো সাধুবাবা হবে হয়তো এবং তাকে উপেক্ষা করে স্টেশন ঘরে ঢুকে গেলেন। যথারীতি ৯ টার সময় ট্রেন এলো এবং চলেও গেল। কিন্তু সেই কালো কাপড়ে মোড়া লোকটা তখনও সেখানেই বসে থাকলো। অখিলবাবুর সন্দেহ হলো, তিনি লোকটার পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং শুনতে পেলেন লোকটা বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছে আরো একটু কাছে গিয়ে ভালো ভাবে শোনার চেষ্টা করলেন, লোকটি বলছে "শাস্তি, শাস্তি, এ তোর কর্মফল, শাস্তি শাস্তি।"
অখিলবাবু কাঁধে হাত দিয়ে লোকটাকে ডাকলেন কিন্তু কোনো সাড়া পেলেননা। এবার তিনি লোকটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন কিন্তু লোকটা তাতেও কোনো ভ্রূক্ষেপ করলেন না, সামনে আসা সত্ত্বেও লোকটির মুখ দেখতে পেলেননা তিনি। লোকটার হাত ধরেই চমকে উঠলেন তিনি, লোকটার গা জ্বরে পুরে যাচ্ছে।অখিলবাবুর কাছে সবসময়ই প্যারাসিটামল থাকে তাঁর ব্যাগে, তিনি স্টেশন ঘরের দিকে এগোলেন ব্যাগ থেকে ওষুধটা আনার জন্য।
কিন্তু আশ্চর্য, ওষুধ নিয়ে ফিরে এসে দেখলেন লোকটি আর সেখানে নেই, আর সেই ত্রিশুলটাও নেই। তিনি আশেপাশে চোখ ফিরিয়ে খোঁজার চেষ্টা করলেন কিন্তু লোকটা যেন বাতাসে মিলিয়ে গেছে। কিন্তু অখিল বাবুর কানে শুধু একটাই কোথায় ভাসতে লাগলো "কর্মফল, কর্মফল।"


------------------------------------------------------------------


দুপুর ১২টা

নীলিমা দেবী বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছিলো শোবার ঘরে এমন সময় হটাৎ কমলা হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বললো "দিদি, দিদি, ছাদে!"
নীলিমা দেবী বিচলিত হয়ে বললেন "কি ছাদে?"
কমলা কিছু বলতে পারলোনা, তাকে দেখে মোনে হলো সে বোধহয় এবার জ্ঞান হারাবে। নীলিমা দেবী তাকে ধরে বসালেন খাটের উপর তারপর তাকে জল খেতে দিলেন।

কমলা এ বাড়ির কাজের লোক, রোজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত সে কাজ করে,সপ্তাহে ৪ দিন আসে সে, শুক্র, শনি এবং রবিবার সে আসেনা।রান্না এবং ঘর পরিষ্কার করা ছাড়া কোনো কাজই করেনা সে তাই জামা কাপড় পরিষ্কার, বাসন মাজা এবং পাতরাশের ব্যবস্থা নীলিমা দেবীকেই করতে হয়।

কমলা একটু ধাতস্ত হলে নীলিমা দেবী তাকে জিজ্ঞেস করলেন"কি দেখেছিস ছাদে?"
কমলার চোখে আতঙ্ক দেখা দিল, সে কাঁদতে কাঁদতে বললো"দিদি ছাদে অনেক গুলো কাক মিলে একটা বাচ্চার দেহ খুবলে খুবলে খাচ্ছে, আমার ভীষণ ভয় করছে দিদি!"
নীলিমা দেবী বললেন"কি আবোল তাবোল বকছিস, এটা কিভাবে হতে পারে? "
ভয় যে তিনি পাননি তা নয়, তবে বিষয়টা খুবই অবিশ্বাস্য। তিনি কমলার হাত ধরে তাকে নিয়ে ছাদের দিকে এগোতে লাগলেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় দুজনেরই বুক ধড়ফড় করতে লাগলো। আসতে আসতে পা টিপে টিপে ছাদের দরজার সামনে এসে আসতে করে উঁকি মেরে দেখলেন,কই কেউ নেইতো, পুরো ছাদটাই তো  ফাঁকা।
নীলিমা দেবী বললেন :কই, কেউতো নেই ছাদে!

কমলা:সত্যি বলছি দিদি আমি নিজের চোখে দেখেছি

নীলিমা :তোর শরীর ঠিক আছে তো? কি দেখতে কি দেখেছিস!

কমলা :আমার শরীর একদম ঠিক আছে দিদি, বিশ্বাস করো আমি সত্যি দেখেছি

নীলিমা আর কথা বাড়ালোনা, বললো "ঠিক আছে তুই ঠিক দেখেছিস, এখন যা রান্না চড়া গিয়ে তোর বাবুকে খাবার পাঠাতে হবে।

কমলা চলে গেল। নীলিমা আসতে আসতে ছাদে গিয়ে দাঁড়ালো, ভালোভাবে চারিদিকে দেখলো, না!কোথাও কোনো চিহ্ন নেই রক্তের বা কাকের। কমলা নিশ্চয় ভুল দেখেছে।হটাৎ তাঁর চোখ পড়লো বাড়ির পিছনের বাঁশঝাড়ে, বাঁশঝাড়ের একেবারে মাঝখানে রয়েছে একটাই পুকুর এবং সেই পুকুরের পাশেই পড়ে রয়েছে একজন লোক।সারা শরীরে ধুলো, কাদা,মাটি লেগে রয়েছে কিন্তু তারপরেও বোঝা গেলো লোকটির গায়ের রং কালো, ভীষণ কালো তবে তাঁর থেকেও আশ্চর্যের বিষয় হলো এটি যে লোকটি সম্পূর্ণ বিবস্ত্র এবং কিছুটা দূরে একটি লুঙ্গি পড়ে রয়েছে। মুখভর্তি একগাল দাড়ি ও লম্বা চুলে পুরো মুখটি ঢেকে রেখেছে কিন্তু যে জিনিসটা ঢেকে রাখেনি এবং যা নীলিমা দেবীরও চোখে পড়েছে তা হলো লোকটির বিশালকার পুরুষাঙ্গ, নেতিয়ে মাটিতে লেগে থাকা সত্ত্বেও তাঁর আকৃতি বিশাল। কোনো পুরুষের পুরুষাঙ্গ যে এতো বড়ো হতে পারে তা নীলিমা দেবীর ধারণা ছিলোনা কারণ তিনি অখিলবাবু ছাড়া আর কারো পুরুষাঙ্গ কখনো দেখেনি এবং অখিলবাবুর পুরুষাঙ্গ দাঁড়ানো অবস্থাতেও এতো বড়ো নয়। এবং তখনই ঘটলো আরও একটি অদ্ভুত কান্ড, লোকটি শুয়ে থাকা অবস্থাতেই ঝড় ঝড় করে মুতে দিলো। নীলিমা দেবীর গা গুলিয়ে উঠল, তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছাদ থেকে নেমে পড়লো এবং নিচে গিয়ে বেশিনে বমি করতে লাগলেন, তাকে দেখে কমলা বিব্রত হয়ে জিজ্ঞেস করলো "কি হলো বৌদি, শরীর খারাপ লাগছে?"

নীলিমা:না,আমি ঠিক আছি, আসলে, আসলে পিছনের বাঁশঝাড়ে একজন লোক পড়ে আছে উলঙ্গ হয়ে।

কমলা চমকে উঠে বললো "মানে লাশ?"

নীলিমা:না না লাশ নয়, জ্যান্ত আছে, তুই কাউকে ডেকে লোকটার কোনো ব্যবস্থা করে।

কমলা ছুট্টে বাইরে বেরিয়ে গেলো বাইরে রাস্তা থেকে কাউকে ডেকে আনার জন্য। নীলিমা দেবী তখন কিছুটা ধাতস্থ হয়েছে কিন্তু তাঁর চোখের সামনে বার বার ভেসে উঠছে ওই পুরুষাঙ্গটা, ধুলো মাটি লেগে থাকা ওই নোংরা কালো পুরুষাঙ্গটা।

কমলা ফিরে এলো দুটো লোককে নিয়ে,তারা লোকটিকে লুঙ্গি পরিয়ে ধরাধরি করে উঠোনে এনে বসালো। তারা দুজন লোকটিকে চেনে বললো"এতো সইদুল মিস্ত্রি, মোল্লা পাড়ায় থাকে, সারাদিন মদ গাঁজা খেয়ে পড়ে থাকে। "
তারপর লোকদুটো একটা রিক্সা ডেকে সইদুলকে সেটাতে তুলে দিলো। লোকটির তখনো জ্ঞান ফেরেনি শুধু হালকা হালকা গোঁজ্ঞানী শোনা যাচ্ছিল।নীলিমা দেবী তখনো ঘর থেকে বেরোয়নি, ওই নোংরা লোকটাকে আর একটিবারের জন্যেও দেখতে চাননা তিনি।

======================================

"সার্কাসের তাঁবু দেখতে যাবি পঞ্চু দের মাঠে?"
বললো অজয়।
স্কুল আজকে তিরিশ মিনিট আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে তাই অজয় একথা বললো।নিখিলেরও তাই আপত্তি ছিলোনা। তারা দুজনে স্কুল থেকে বেরিয়ে রওনা দিলো পঞ্চুদের মাঠের উদ্দেশ্যে।
বিশালকার তাঁবু খাটানো হয়েছে পঞ্চুদের মাঠে। তিন দিন হয়েছে তারা এখানে তাঁবু ফেলেছে তবে সার্কাস এখণো শুরু হয়নি, সার্কাস শুরু হবে আরও তিন দিন পড়ে। প্রচুর লোকের সমাগম মাঠের চারপাশে এবং সবাই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত। ওরা তাঁবুর সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই একজন লোক তাঁদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে বললো"ভিতরে যাওয়া বারণ আছে, যখন শুরু হবে তখনি আসবি, চল ভাগ্!"
তারা মুখ নিচু করে বাইরে বেরিয়ে এলো। হটাৎ অজয় কিছু একটা দেখতে পেয়ে একটা দুস্টু হাসি হাসলো।
নিখিল বললো"কিরে হাসছিস কেন? "
অজয় আঙ্গুল তুলে দেখালো, তাঁবুর একধারে যেখানে প্রায় কেউ নেই সেখানে তাঁবুর কাপড়ের মাঝে একটা ফাঁক আছে, একটা বাচ্চা সেখান থেকে অনায়াসে ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।
নিখিলের ভয় হলো, সে ঘাড় নেড়ে না বললো, অজয় রেগে বলল"তুই ভীতুর ডিম, মিথ্যে ভয় পাচ্ছিস, কিচ্ছু হবেনা"
নিখিল তবুও রাজি হলোনা, অজয় বললো"ঠিক আছে, তোকে ঢুকতে হবেনা, তুই বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দে আমি ভিতরে যাচ্ছি"
নিখিল আমতা আমতা করলেও রাজি হয়ে গেলো।
অজয় আসতে আসতে হামাগুড়ি দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো, নিখিল সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল, অজয় ভিতরে ঢুকে গেলে নিখিল পিছনে তাকিয়েই চমকে উঠল। একজন লোক তাঁর একদম সামনেই দাঁড়িয়ে আছে।লোকটার পরনে জোকারের বস্ত্র আর মুখেও জোকারের মেকাপ।লোকটি নিখিলের দিকে ঝুঁকে একেবারে নিখিলের মুখের সামনে মুখ এনে বললো"এই খোকা, তোমার নাম কি? "
"নি, নিখিল"
"পুরো নাম বলো"
"আজ্ঞে, নিখিল চৌধুরী"ভয়ে ভয়ে বললো নিখিল
"তুমি কোন ক্লাসে পড়ো নিখিল "
"ক্লাস ফাইভ"
"আচ্ছা বেশ, তোমার জন্য আমার কাছে একটা জিনিস আছে নিখিল"
"কি জিনিস?"
"দেখাবো, কিন্তু তাঁর আগে আমাকে একটা কথা দিতে হবে।"
"কি কথা?"
"তোমাকে কথা দিতে হবে যে এই জিনিসটার ব্যাপারে তুমি কাউকে বলতে পারবেনা এবং এটা নিয়ে একবার বাড়িতে ঢুকলে আর এটাকে নিয়ে বাড়িথেকে বেরোতে পারবেনা, বাড়ির মধ্যেই এটাকে কোথাও লুকিয়ে রাখতে হবে ৭ দিনের জন্য"
"কেন?"নিখিল প্রশ্ন করলো
লোকটি এবারে জিনিসটি বের করলো। তারই মতো দেখতে একটি জোকারের মূর্তি, সাইজে ৫ ইঞ্চির বেশি নয় এবং মূর্তিটির রং সম্পূর্ণ গাড় সবুজ। লোকটি বললো "কারণ যদি তুমি এটাকে সাত দিনের আগে বাইরে নিয়ে আসো তাহলে এর ম্যাজিক শেষ হয়ে যাবে"
নিখিল উত্তেজিত হয়ে বললো"ম্যাজিক!"
"হ্যাঁ ম্যাজিক, এটার রং এখন সবুজ দেখছো, বাড়ি গিয়ে দেখবে এটার রং অন্য।"
"সত্যি!"
"হ্যাঁ সত্যি" বলে মূর্তিটা নিখিলের হাতে দিয়ে লোকটি তাঁবুর গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো।নিখিলও মূর্তিটা তাড়াতারি নিজের ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে নিলো এবং অপেক্ষা করতে লাগলো অজয়ের বাইরে আসার।

(Continue )
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
Golpo ta darun... But image gulo dekhte pachi na
Like Reply
#3
(28-11-2022, 12:57 PM)Dushtuchele567 Wrote: Golpo ta darun... But image gulo dekhte pachi na

Need guidance on that
Like Reply
#4
(28-11-2022, 01:30 PM)Guruman Wrote: Need guidance on that

You can upload images separately
Like Reply
#5
Continue koran
Like Reply
#6
[Image: Screenshot-20221128-144808-1.jpg]

at first click on upload images , then click on the arrow & browse your device to upload image 

নতুন কোনো লেখকের কাহিনী ভালো লাগলেই আমি তাদের যথাসম্ভব উৎসাহ দিয়ে থাকি, আপনাকেও দিচ্ছি। এবার আসি গল্পের প্রসঙ্গে। দুর্দান্ত হবে শুরু হয়েছে কাহিনীটি। রহস্য রোমাঞ্চে ভরা এই পর্বের অনেকগুলি দিক একসঙ্গে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে ওই সাধুবাবা আর জোকারের মূর্তি। কিন্তু একটা ব্যাপারেই আশঙ্কা লাগছে .. এখানে শতকরা ৯০% ব্যক্তি সারা জাগিয়ে গল্প শুরু করে মাঝপথে হারিয়ে যান। আশা করি আপনার ক্ষেত্রে এরকম কিছু হবে না। সামান্য লাইক এবং রেপু রইলো আপনার জন্য।
Like Reply
#7
[Image: Picsart-22-11-25-23-14-46-884.jpg]
[+] 2 users Like Guruman's post
Like Reply
#8
বাহ্! বেশ রহস্যময় উত্তেজক গল্প। বেশ আকর্ষণ জাগছে প্রথম অংশ পড়ে। তবে এটি ইরোটিক থ্রিলার না হয়ে ইরোটিক হরর হলে সঠিক হতো মনে হয়। খুব সুন্দর। চালিয়ে জান। আমার ফেভারিট সাবজেক্ট। Tongue Big Grin
Like Reply
#9
মূল উপন্যাস

[Image: Picsart-22-11-26-00-12-24-007.jpg]
[+] 1 user Likes Guruman's post
Like Reply
#10
Ekhon dekha jachye... Pic
Like Reply
#11
শুরুটা ভালো হয়েছে বলতে হবে এখন দেখা যাক গল্প কোন দিকে যায়।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
Like Reply
#12
Khubi sundor golpa bro.Arokomi update chai
Like Reply
#13
শুরুটা খুবই সুন্দর হয়েছে. horror, suspense এবং thriller - এই প্রত্যেকটিরই ভরপুর সম্ভাবনায় সিক্ত এই প্রথম পর্ব. আশা করি পুরো গল্পের ছক, শেষ অবধি অবশ্যই, ভেবে রেখেছো.

শুভকামনা রইলো. এই গল্পটি সম্পূর্ণ পড়তে চাই.
Like Reply
#14
Good starting
Like Reply
#15
Porer update Kobe asbe?
Like Reply
#16
বড় চমৎকার শুরু হয়েছে
Like Reply
#17
ভাষার ব্যবহার খুবই সংযত ও মার্জিত। এরকম লেখা পড়তে মণগ্রাহী।
Like Reply
#18
দাদা পরের আপডেট কবে আসবে? অধীর অপেক্ষায় রয়েছি
Like Reply
#19
জাস্ট অস্থির একটা গল্প শুরু হচ্ছে।। ভালোবাসা রইলো।।
Like Reply
#20
Awesome
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)